কারো বিশ্বাসকে আঘাত করা ঠিক নয়?

Print Friendly, PDF & Email

বিশ্বাস শব্দটি আমরা প্রতিদিনই নানাভাবে ব্যবহার করি। ইংরেজিতে Believe, Trust, Faith এই তিনটি শব্দের অর্থ আগে জেনে নেয়া যাক।

Believe (অনুমান, বিশ্বাস, বিশেষভাবে প্রমাণ ছাড়াই মেনে নেয়া)
1. accept that (something) is true, especially without proof.
2. hold (something) as an opinion; think.
যেমন, ভুতে বিশ্বাস করা। এলিয়েনে বিশ্বাস করা।

Trust (আস্থা)
1. firm belief in the reliability, truth, or ability of someone or something.
কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা বা ধারণার আলোকে কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা করা। যেমন আমি আমার অমুক বন্ধু সম্পর্কে আস্থাশীল যে, সে টাকা ধার নিলে আমাকে ফেরত দেবে।

Faith (বিশ্বাস, ধর্মবিশ্বাস, বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই পরিপূর্ণ বিশ্বাস)
1. complete trust or confidence in someone or something.
2. strong belief in the doctrines of a religion, based on spiritual conviction rather than proof.
যেমন, ইসলাম বিশ্বাস করা। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা। আল্লাহ ভগবান ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখা।

প্রথমে বাঙলায় বিশ্বাস কাকে বলে সেটা জানতে হবে। বিশ্বাস হচ্ছে যুক্তিহীন কোন ধারণা, অনুমান, প্রমাণ ছাড়াই কোন প্রস্তাব মেনে নেয়া। তথ্য প্রমাণ পর্যবেক্ষন এবং অভিজ্ঞতালব্ধ বিষয় মানুষের বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত নয়।

যেমন

  • ধরুন, আগামীকাল সূর্য উঠবে। এটা আমার বিশ্বাস নয়, এটা পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া আমার সিদ্ধান্ত। যেহেতু আমরা জন্ম থেকেই দেখে এসেছি সূর্য উঠতে, তাই এটা আমার বিশ্বাস নয়। আমি নিশ্চিতভাবেই জানি যে, কাল নিশ্চয়ই সূর্য উঠবে।
  • একটি আপেল গাছ থেকে নিচের দিকে পড়ে। এটা আমার বিশ্বাস বা আস্থা নয়, এটি আমরা অভিজ্ঞতা থেকে দেখি। এর কারণ জানতে আমাদের বিজ্ঞান শিখতে হয়। সেটা শিখলে আমরা নিশ্চিতভাবেই মেনে নিই, পৃথিবীর সকল গাছের আপেলই নিচের দিকেই পড়বে। এটি আমাদের সিদ্ধান্ত। মোটেও এটি আমাদের বিশ্বাস নয়।
  • কিন্তু ধরুন আগামীকাল আমার বন্ধুটি আমার বাসায় আসবে। এটি হচ্ছে আমার বন্ধুর প্রতি আস্থা। বা আমার বাবা আমাকে দুই’শ টাকা দেবে। এটি আমার বাবার প্রতি আস্থা।
  • ধরুন আগামীকাল আমি আকাশে উড়তে পারবো। এর পেছনে আমার কোন যুক্তি বা প্রমাণ নেই। আমার পূর্বের অভিজ্ঞতাতেও এরকম কখনো কিছু ঘটে নি। এই কারণে এটি হচ্ছে আমার বিশ্বাস। বা অমুক পীর সাহেব পানি পড়া দিলে রোগ ভাল হয়। এটির পেছনে আমরা শুধু বিশ্বাস করতে পারি, কোন প্রমাণ বা এর পেছনে যুক্তি চাইতে পারি না।

যখনই কোন কিছু যুক্তিতর্ক পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা লব্ধজ্ঞান হয়ে উঠবে, তা আর বিশ্বাস থাকবে না। যেমন ধরুন পানি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের মিশ্রণে তৈরি। এটা মানুষের বিশ্বাস নয়, এটা পরীক্ষালব্ধ ফলাফল; এবং কে এতে বিশ্বাস করলো কে করলো না, তাতে এই তথ্যের কিছুই যায় আসে না। এটা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সত্য। আমরা কেউ বলি না “পানি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের মিশ্রন, এই কথা আমি বিশ্বাস করি”; এটা বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্নই নয়। বা ধরুন, পৃথিবী গোল, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি মেনে নিই উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের আলোকে। এটা এখন আর অনুমান বা বিশ্বাস নেই, এটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠিত সত্য। বা ধরুন বিবর্তনবাদ। এটা কোন অনুমান নয়। বর্তমানে এটি পরীক্ষানিরীক্ষা দ্বারা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সত্য।

বিশ্বাস সেটাই করতে হয়, যাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বা যার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ধরুন কেউ ভুতে বিশ্বাস করে, কেউ বিশ্বাস করে এলিয়েন পৃথিবীতেই আছে, কেউ জ্বীন পরী, কেউ আল্লা ভগবান, কেউ জিউস কালী ইত্যাদি। এগুলো বিশ্বাসের ব্যাপার, কিন্তু আমরা আলোতে বিশ্বাসী নয়, আমরা সুর্যে বিশ্বাসী নই, আমরা চেয়ার টেবিলে বিশ্বাসী নই। কারন এগুলো বিশ্বাস অবিশ্বাসের উর্ধ্বে। আমরা বলি না অমুক লোক সুর্যে বিশ্বাসী, তমুক লোক চেয়ার টেবিলে বিশ্বাস করে। আমরা বলি মুসলিমরা আল্লায় বিশ্বাসী, হিন্দুরা শিব বা দুর্গায়, কেউ শাকচুন্নীতে বিশ্বাস করে, কেউ বিশ্বাস করে আমাদের চারপাশে জ্বীন পরী খুরে বেড়ায়।

এখন ধরুন,

  • কোন পুরুষ বিশ্বাস করে নারীকে সে ইচ্ছা করলেই পেটাতে পারে, তার স্ত্রী হচ্ছে তা অধিনস্ত জীব। বা কোন মানুষ বিশ্বাস করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পৃথিবীর জন্য ভাল।
  • বা কেউ বিশ্বাস করতে পারে মুসলিমরাই আসলে মানুষ, অন্য ধর্মের অনুসারীরা কাফের-ঈশ্বরের শত্রু, তাই তাদের কল্লা কাটাই ঈশ্বরের রাজত্ব কায়েম করা।
  • একজন মৌলবাদী ধার্মিক বিশ্বাস করতে পারে দেশে ইসলামী শাসন বা শরীয়া আইন আসলেই দেশ ফুলে ফুলে ভরে উঠবে।
  • কেউ বিশ্বাস করতে পারে, সমকামীদের হত্যা করা ঈশ্বরের নির্ধারিত পবিত্র দায়িত্ব।
  • কেউ বিশ্বাস করতে পারে, গণতন্ত্র কুফরি মতবাদ, জিহাদ করে এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
  • কেউ বিশ্বাস করতেই পারে, মেয়েদের এত পড়ালেখার প্রয়োজন নেই।
  • কেউ বিশ্বাস করতেই পারে, জন্মনিয়ন্ত্রণ অন্যায়।

— এবং এইসকল বিশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তার কাছে যুক্তি চাওয়া যাবে না, এই নিয়ে আলোচনাও করা যাবে না। আলোচনা বা যুক্তিতর্ক তার বিশ্বাসকে খারিজ করে দিতে পারে, তার বিশ্বাসে আঘাত করতে পারে।

আমরা যারা নিজেদের যুক্তিবাদী বলে দাবী করি, তারা সকল ধারণা, সকল বিশ্বাসকেই যুক্তিতর্ক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করি, যাচাই বাছাই করে দেখতে চাই। এই সময়ে “বিশ্বাসে আঘাতের” অজুহাত এনে আলাপ আলোচনা এবং যুক্তিতর্ককে খারিজ করে দেয়া শুধু প্রতিক্রিয়াশীলতাই নয়, মানব সমাজের জন্য হুমকিও বটে।

সকল বিশ্বাসকেই যদি সম্মান করতে হয়, শ্রদ্ধা করতে হয়, তাহলে গোলাম আজম বা বাঙলা ভাইয়ের বিশ্বাসকেও শ্রদ্ধা করতে হবে, আবার হিটলারের বিশ্বাসকেও শ্রদ্ধা করতে হবে। সকল বিশ্বাসকে সম্মান করা শুধু বোকামি নয়, বিপদজনকও বটে।  আমি কেন তা করবো? তাদের বিশ্বাসকে আমি কেন যাচাই করে দেখবো না? তাদের বিশ্বাসকে আঘাত কেন করবো না? তা যদি মিথ্যা হয়, তাহলে কেন তা যে মিথ্যা তা বলবো না? কেন আমার যুক্তি তুলে ধরবো না? আমি শুধু সেই বিশ্বাসকেই সম্মান জানাবো, যা যুক্তিতর্ক আলাপ আলোচনায় যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হবে। যুক্তিহীন বিশ্বাস মাত্রই ক্ষতিকর এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজের জন্য ভয়ংকর। বিশ্বাস ভিত্তিক সমাজ কুসংস্কারের আখড়ায় পরিণত হয়, মানুষকে ক্রমশ মধ্যযুগে টেনে নিয়ে যায়, যার প্রমাণ বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

সমস্যা হচ্ছে, বিশ্বাস যদি যুক্তিতর্ক, তথ্য প্রমাণ এবং পর্যবেক্ষণ দ্বারা সত্য প্রমাণিত হয়, তখন তা আর বিশ্বাস থাকে না। সেটা সত্য হয়ে ওঠে। তাই প্রতিটি বিশ্বাসকে আঘাত করা জরুরী, যাচাই বাছাই আলাপ আলোচনা সমালচনা জরুরী। মিথ্যা হলে তা খারিজ করা এবং সত্য হলে তাকে প্রতিষ্ঠিত করা জরুরী।

বিজ্ঞান, দর্শন, শিল্পকলা- সাহিত্য বা সঙ্গীত কখনই বলবে না, বিজ্ঞানে অবিশ্বাসীরা নোংরা-ইতর-নরকের জ্বালানী, যারা বিবর্তনবাদ মানে না তাদের স্থান নরকের নিম্নতম প্রকোষ্ঠে, যারা আপেক্ষিক তত্ত্ব বোঝে না তারা শয়তানের চ্যালা। অথবা দর্শন না মানলে তাদের কল্লা কেটে নাও, দ্বান্দিক বস্তুবাদের সাথে একমত না হলে তাকে যেখানেই পাও পাকড়াও করে হত্যা কর, অস্তিত্ত্ববাদই আদর্শ জীবন বিধান অথবা শিল্পকলা- সাহিত্য বা সঙ্গীত চর্চা না করলে জিজিয়া কর দাও। তাদের পুত্র কন্যা স্ত্রীদের দাস বানাও, তাদের স্ত্রী কন্যাদের গনিমতের মাল বলে ভোগ কর।

এমনকি এও বলে না, যারা বিজ্ঞান-দর্শন-সাহিত্য মানে না, তাদের সাথে বন্ধুত্ত্বও করো না।

  • এমনকি কোন কবি যদি কবিতা ছেড়ে দিয়ে দর্শন চর্চাও শুরু করে, কবিতা বর্জনের জন্য তাকে মুরতাদও ঘোষণা করা হয় না।
  • কোন বিজ্ঞানী যদি বিজ্ঞান ছেড়ে দিয়ে সঙ্গীত সাধনাও শুরু করে, তাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। তার জন্য কোন শাস্তিও নেই।
  • এমনকি কোন প্রচন্ড যুক্তিবাদী যদি হঠাৎ ভোল পাল্টে টুপি পরে মক্কায় গিয়ে মাথা ঠোকা শুরু করে, তাকেও কেউ কিছু বলে না।
  • সাহিত্যের জন্য কোন হুরপরী নেই, কোন মদের সমুদ্র নেই। অপসাহিত্য লিখলে কোন মারপিটেরও ব্যবস্থা নেই।
  • চিকিৎসক যদি চিকিৎসা ছেড়ে ঝাড় ফুঁক, তাবিজ কবচের ব্যাবসা শুরু করে, তার জন্যেও কোন শাস্তির ব্যাবস্থা নেই।

কিন্তু এসবই ধর্মবিশ্বাসীরা করে এবং করে আসছে। এবং সাধারণ শিক্ষাবঞ্চিত নিম্নবিত্ত মানুষও বিজ্ঞান-দর্শন-সাহিত্য-শিল্পকলা-সঙ্গীত ছুড়ে ফেলে ক্রমশ আরো বেশি ধর্মে আসক্ত হয়ে উঠছে। আমাদের দেশ ক্রমশই ভরে উঠছে টুপি আর হিজাবে।

আর সবচাইতে আতংকের বিষয় হচ্ছে, এখন প্রগতিশীলতার দাবীদাররাও ধর্মান্ধদের ভাষাতেই কথা বলছে! বিশ্বাসে আঘাত করা যাবে না, বিশ্বাসকে যুক্তিতর্কের আলোচনায় আনা যাবে না, বিশ্বাসকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে বলে যারা দাবী করে, তারা তাদের বিশ্বাসের ভ্রান্ততা ফাঁস হবার ভয়েই করে, তারা নিজেরাও বোঝে তাদের বিশ্বাস যুক্তিতর্কের ধোপে টিকবে না।

সকল ধর্মীয় বিশ্বাস, রাজনৈতিক বিশ্বাস, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, আইনকানুন, প্রথা, নিয়ম, নৈতিকতা, সবকিছুই যুক্তিতর্ক, তথ্য প্রমাণ এবং অর্জিত জ্ঞান দ্বারা পরীক্ষা এবং যাচাইযোগ্য। এতে বিশ্বাস আহত হলে হবে।  বিশ্বাস যদি এতই ঠুনকো হয়ে থাকে, অল্প আঘাতেই যদি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়, তবে তা মমি করে জাদুঘরে পাঠালেই হয়। সভ্য সমাজে যুক্তিহীন মিথ্যা বিশ্বাসের কোন স্থান থাকতে পারে না।

আসিফ মহিউদ্দীন

আসিফ মহিউদ্দীন সম্পাদক সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন [email protected]

One thought on “কারো বিশ্বাসকে আঘাত করা ঠিক নয়?

  • August 1, 2021 at 5:55 AM
    Permalink

    আমার প্রিয় কবি ও সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একটি কবিতা এ প্রসঙ্গে মনে পরে গেলো

    #সর্বহারা অবিশ্বাসী#
    -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর স্ত্রী
    বেশ সেজেগুজে এসেছে,
    কিন্তু আমাদের সঙ্গে খেতে বসবে না,
    আজ তার নীলষষ্ঠী ।
    যৌবন বয়েসে এই নিয়ে
    কত না চটুল রঙ্গ করতাম,
    এখন শুধু একটা পাতলা হাসি
    অন্যের বিশ্বাসে নাকি
    আঘাত দিতে নেই ।

    আর এক বন্ধু
    যে প্রথম আমায়
    ছাত্র রাজনীতিতে টেনেছিল,
    তার আঙুলে দেখি
    একটা নতুন পাথর বসানো আংটি,
    আমার কুঞ্চিত ভুরু দেখে
    সে দুর্বল গলায় বলল –
    শরীরটা ভালো যাচ্ছে না
    তাই শাশুড়ি এটা পরতে বললেন,
    মুনস্টোন, না বলা যায় না ।
    আমার মনে হল
    এ যেন আমারই নিজস্ব পরাজয় !

    শ্রদ্ধেয় অধ্যাপকের বাড়ি, মাঝে মাঝে তাঁর আলাপচারিতা শুনতে…
    এখনও কত কিছু শেখার আছে
    আজই প্রথম দেখলাম,
    তাঁর দরজার পেছন দিকে
    গণেশের মূর্তি আটকানো ।
    প্রশ্ন করিনি, তিনি নিজেই জানালেন
    দক্ষিণ ভারত থেকে ছেলে এনেছে,
    কী দারুণ কাজ না ?
    সুন্দর মূর্তির স্থান
    শো-কেসের বদলে
    দরজার ওপরে কেন,
    বলিনি সে কথা –
    সেই ফক্কুড়ির বয়েস আর নেই ।

    বয়েস হয়েছে তাই হেরে যাচ্ছি
    অনবরত হেরে যাচ্ছি,
    অন্যের বিশ্বাসে আঘাত দিতে নেই…
    অন্যের বিশ্বাসে আঘাত দিতে নেই…
    চতুর্দিকে এত বিশ্বাস
    দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে,
    কত রকম বিশ্বাস…
    যে গেরুয়াবাদী ঠিক করেছে,
    পরধর্মের শিশুর রক্ত গড়াবে মাটিতে,
    চাটবে কুকুরে
    সেটাও তার দৃঢ় বিশ্বাস ।
    ধর্মের যে ধ্বজাধারী মনে করে,
    মেয়েরা গান গাইলে
    গলার নলি কেটে দেওয়া হবে,
    টেনিস খেলতে চাইলেও
    পরতে হবে বোরখা,
    সেটাও তার দৃঢ় বিশ্বাস ।
    যে পেটে বোমা বেঁধে
    যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে,
    যে পেশি ফুলিয়ে, দেঁতো হাসি হেসে
    পদানত করতে চাইছে গোটা বিশ্বকে,
    এরা সবাইতো বিশ্বাসীর দল ।

    সবাই বিশ্বাসী, বিশ্বাসী, বিশ্বাসী
    এক-একবার ভাঙা গলায়
    বলতে ইচ্ছে করে
    অবিশ্বাসীর দল জাগো,
    দুনিয়ার সর্বহারা অবিশ্বাসীরা
    এক হও !

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *