কুরআনে পুরুষ এবং নারী কি সমান সংখ্যক বার আছে?
সূচিপত্র
ভূমিকা
ইসলাম প্রচারকগণ সাধারণ মুসলিম জনতার ব্রেইনওয়াশ করে তাদের আরও ধর্মান্ধ করে রাখতে, অমুসলিমদের সামনে ইসলামকে একমাত্র সত্য ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করতে কিছু তথাকথিত শব্দ গণনা মিরাকল উপস্থাপন করেন [1]। তার মধ্যে একটি তথাকথিত শব্দ গণনা মিরাকল হচ্ছে, কুরআনে নাকি আরবী শব্দ রাজুল (যার অর্থ পুরুষ) এবং আরবী শব্দ ইমরা (যার অর্থ নারী) উভয়ই ২৪ বার অর্থ্যাৎ, সমান সংখ্যকবার এসেছে, যা নাকি প্রমাণ করে ইসলামে নারী এবং পুরুষের অবস্থান সমান। ঠিক এমনই আরেকটি তথাকথিত শব্দ গণনা মিরাকল হচ্ছে, কুরআনে নাকি নারী এবং পুরুষ উভয় শব্দই ২৩ বার এসেছে, যা নাকি একটি ভ্রূণ যে তার গঠনের সময় মা-বাবা উভয়ের কাছ থেকেই ২৩টি ক্রোমোজম পায় সেই ইংগিত প্রদান করে। অন্যান্য সকল মিরাকলের দাবির মতো এদুটো মিরাকলের দাবিও যে ইসলামী লেখকদের মিথ্যাচারের উদাহরণ ছাড়া কিছুই না সেটাই এপ্রবন্ধে তুলে ধরবো।
বিশ্লেষণ
পুরুষ – রাজুল (رجل)
প্রথমেই আমরা পুরুষ অর্থে ব্যবহৃত শব্দসমূহ গণনা করবো যাদের মূল رجل, যার অর্থ ‘পুরুষ’,
সম্পূর্ণ গণনা | আয়াত | আরবী শব্দ | অনুবাদ | বচন |
১ | ২:২২৮ | وَلِلرِّجَالِ | এবং তাদের ওপর পুরুষদের | বহুবচন ১ |
২ | ২:২৮২ | رِّجَالِكُمْ | তোমাদের আপন পুরুষ | বহুবচন ২ |
৩ | ২:২৮২ | رَجُلَيْنِ | দুজন পুরুষ | দ্বিবচন ১ |
৪ | ২:২৮২ | فَرَجُلٌ | তাহলে একজন পুরুষ | একবচন ১ |
৫ | ৪:১ | رِجَالًا | একটি মাত্র ব্যাক্তি | বহুবচন ৩ |
৬ | ৪:৭ | لِّلرِّجَالِ | পুরুষদের | বহুবচন ৪ |
৭ | ৪:১২ | رَجُلٌ | কোনো পুরুষ | একবচন ২ |
৮ | ৪:৩২ | لِّلرِّجَالِ | পুরুষেরা | বহুবচন ৫ |
৯ | ৪:৩৪ | ٱلرِّجَالُ | পুরুষগণ | বহুবচন ৬ |
১০ | ৪:৭৫ | ٱلرِّجَالِ | পুরুষ | বহুবচন ৭ |
১১ | ৪:৯৮ | ٱلرِّجَالِ | পুরুষ | বহুবচন ৮ |
১২ | ৪:১৭৬ | رِّجَالًا | লোকেরা | বহুবচন ৯ |
১৩ | ৫:২৩ | رَجُلَانِ | দুজন লোক | দ্বিবচন ২ |
১৪ | ৬:৯ | رَجُلًا | পুরুষমানুষের | একবচন ৩ |
১৫ | ৭:৪৬ | رِجَالٌ | কিছু লোক | বহুবচন ১০ |
১৬ | ৭:৪৮ | رِجَالًا | লোকদেরকে | বহুবচন ১১ |
১৭ | ৭:৬৩ | رَجُلٍ | একজন লোকের | একবচন ৪ |
১৮ | ৭:৬৯ | رَجُلٍ | একজন লোকের | একবচন ৫ |
১৯ | ৭:৮১ | ٱلرِّجَالَ | পুরুষদের | বহুবচন ১২ |
২০ | ৭:১৫৫ | رَجُلًا | সত্তর জন লোক | বহুবচন ১৩ * |
২১ | ৯:১০৮ | رِجَالٌ | এমন সব লোক | বহুবচন ১৪ |
২২ | ১০:২ | رَجُلٍ | একজন লোকের কাছে | একবচন ৬ |
২৩ | ১১:৭৮ | رَجُلٌ | পুরুষ | একবচন ৭ |
২৪ | ১২:১০৯ | رِجَالًا | পুরুষদেরকেই | বহুবচন ১৫ |
২৫ | ১৬:৪৩ | رِجَالًا | পুরুষদেরকেই | বহুবচন ১৬ |
২৬ | ১৬:৭৬ | رَّجُلَيْنِ | দু ব্যক্তির | দ্বিবচন ৩ |
২৭ | ১৭:৪৭ | رَجُلًا | এক জাদুগ্রস্থ ব্যক্তির | একবচন ৮ |
২৮ | ১৮:৩২ | رَّجُلَيْنِ | দু’ব্যক্তির | দ্বিবচন ৪ |
২৯ | ১৮:৩৭ | رَجُلًا | পুরুষ | একবচন ৯ |
৩০ | ২১:৭ | رِجَالًا | পুরুষদেরকেই | বহুবচন ১৭ |
৩১ | ২৩:২৫ | رَجُلٌ | এমন লোক | একবচন ১০ |
৩২ | ২৩:৩৮ | رَجُلٌ | এমন ব্যাক্তি | একবচন ১১ |
৩৩ | ২৪:৩১ | ٱلرِّجَالِ | পুরুষদের | বহুবচন ১৮ |
৩৪ | ২৪:৩৭ | رِجَالٌ | সেসব লোক | বহুবচন ১৯ |
৩৫ | ২৫:৮ | رَجُلًا | এক লোক | একবচন ১২ |
৩৬ | ২৭:৫৫ | ٱلرِّجَالَ | পুরুষদের | বহুবচন ২০ |
৩৭ | ২৮:১৫ | رَجُلَيْنِ | দুজন লোক | দ্বিবচন ৫ |
৩৮ | ২৮:২০ | رَجُلٌ | এক লোক | একবচন ১৩ |
৩৯ | ২৯:২৯ | ٱلرِّجَالَ | পুরুষদের | বহুবচন ২১ |
৪০ | ৩৩:৪ | لِرَجُلٍ | কোনো পুরুষের জন্য | একবচন ১৪ |
৪১ | ৩৩:২৩ | رِجَالٌ | পুরুষ | বহুবচন ২২ |
৪২ | ৩৩:৪০ | رِّجَالِكُمْ | পুরুষের | বহুবচন ২৩ |
৪৩ | ৩৪:৭ | رَجُلٍ | একজন লোকের | একবচন ১৫ |
৪৪ | ৩৪:৪৩ | رَجُلٌ | ব্যাক্তি | একবচন ১৬ |
৪৫ | ৩৬:২০ | رَجُلٌ | এক লোক | একবচন ১৭ |
৪৬ | ৩৮:৬২ | رِجَالًا | লোকগুলো | বহুবচন ২৪ |
৪৭ | ৩৯:২৯ | رَّجُلًا | এক ব্যাক্তি | একবচন ১৮ |
৪৮ | ৩৯:২৯ | وَرَجُلًا | এবং আরেক ব্যাক্তি | একবচন ১৯ |
৪৯ | ৩৯:২৯ | لِّرَجُلٍ | একজন পুরুষের ওপর | একবচন ২০ |
৫০ | ৪০:২৮ | رَجُلٌ | এক ব্যাক্তি | একবচন ২১ |
৫১ | ৪০:২৮ | رَجُلًا | এক ব্যাক্তি | একবচন ২২ |
৫২ | ৪৩:৩১ | رَجُلٍ | কোনো ব্যাক্তি | একবচন ২৩ |
৫৩ | ৪৮:২৫ | رِجَالٌ | পুরুষ | বহুবচন ২৫ |
৫৪ | ৭২:৬ | رِجَالٌ | পুরুষ | বহুবচন ২৬ |
৫৫ | ৭২:৬ | بِرِجَالٍ | পুরুষদের সাথে | বহুবচন ২৭ |
(*) এক্ষেত্রে (আয়াত ৭:১৫৫) আরবী ব্যাকরণ অনুসারে শব্দটি একবচনে থাকলেও, আয়াতের কনটেক্সট অনুসারে বহুবচনে রয়েছে।
পুরুষ – মার (المرء)
এখন, পুরুষ অর্থে ব্যবহৃত শব্দসমূহ তুলে ধরছি, যাদের মূল مرا, যার অর্থ ‘পুরুষ’,
সম্পূর্ণ গণনা | আয়াত | আরবী শব্দ | অনুবাদ | বচন |
১ | ২:১০২ | ٱلْمَرْءِ | পুরুষ | একবচন ১ * |
২ | ৪:১৭৬ | ٱمْرُؤٌا۟ | পুরুষ | একবচন ২ * |
৩ | ৮:২৪ | ٱلْمَرْءِ | মানুষ | একবচন ৩ |
৪ | ১৯:২৮ | ٱمْرَأَ | পুরুষ | একবচন ৪ * |
৫ | ২৪:১১ | ٱمْرِئٍ | মানুষ | একবচন ৫ |
৬ | ৫২:২১ | ٱمْرِئٍ | মানুষ | একবচন ৬ |
৭ | ৭০:৩৮ | ٱمْرِئٍ | মানুষ | একবচন ৭ |
৮ | ৭৪:৫২ | ٱمْرِئٍ | মানুষ | একবচন ৮ |
৯ | ৭৮:৪০ | ٱلْمَرْءُ | মানুষ | একবচন ৯ |
১০ | ৮০:৩৪ | ٱلْمَرْءُ | পুরুষ | একবচন ১০ * |
১১ | ৮০:৩৭ | ٱمْرِئٍ | মানুষ | একবচন ১১ |
(*) কেবল এসকল ক্ষেত্রেই শব্দটি পরিষ্কারভাবে ‘পুরুষ’ অর্থ প্রকাশ করে। অন্যান্য আয়াতে ‘মানুষ’ অর্থ প্রকাশ করে আর ‘মানুষ’ শব্দটির মধ্যে নারীরাও পড়ে।
- যদি প্রতিবারই শব্দটি ‘মানুষ’ অর্থ প্রকাশ করে, তাহলে আয়াত ২:১০২-এর ‘স্বামী এবং তার স্ত্রীর মধ্যে’ অংশটির অর্থ দাঁড়াবে ‘মানুষ এবং তার স্ত্রীর মধ্যে’। যদি তাই হয় তাহলে ইসলামে মানুষ মাত্রই পুরুষ, নারী মানুষের মধ্যে পড়ে না।
পুরুষ – ধাকার (ذكر)
পুরুষ অর্থে ব্যবহৃত শব্দসমূহ, যাদের মূল ذكر, যার অর্থ ‘পুরুষ’,
সম্পূর্ন গণনা | আয়াত | আরবী শব্দ | অনুবাদ | বচন |
১ | ৩:৩৬ | ٱلذَّكَرُ | পুত্র | একবচন ১ |
২ | ৩:১৯৫ | ذَكَرٍ | পুরুষ | একবচন ২ |
৩ | ৪:১১ | لِلذَّكَرِ | পুরুষের | একবচন ৩ |
৪ | ৪:১২৪ | ذَكَرٍ | পুরুষ | একবচন ৪ |
৫ | ৪:১৭৬ | فَلِلذَّكَرِ | তবে সেই পুরুষের | একবচন ৫ |
৬ | ৬:১৩৯ | لِّذُكُورِنَا | আমাদের পুরুষদের জন্য | বহুবচন ১ |
৭ | ৬:১৪৩ | ءَآلذَّكَرَيْنِ | দুই প্রকার নর | দ্বিবচন ১ |
৮ | ৬:১৪৪ | ءَآلذَّكَرَيْنِ | দুই প্রকার নর | দ্বিবচন ২ |
৯ | ১৬:৯৭ | ذَكَرٍ | পুরুষ | একবচন ৬ |
১০ | ১৬:১৬৫ | ٱلذُّكْرَانَ | পুরুষদের | বহুবচন ২ |
১১ | ৪০:৪০ | ذَكَرٍ | পুরুষ | একবচন ৭ |
১২ | ৪২:৪৯ | ٱلذُّكُورَ | পুত্র সন্তান | বহুবচন ৩ |
১৩ | ৪২:৫০ | ذُكْرَانًا | পুত্র | ববহুবচন ৪ |
১৪ | ৪৯:১৩ | ذَكَرٍ | পুরুষ | একবচন ৮ |
১৫ | ৫৩:২১ | ٱلذَّكَرُ | পুত্র সন্তান | একবচন ৯ |
১৬ | ৫৩:৪৫ | ٱلذَّكَرَ | পুরুষ | একবচন ১০ |
১৭ | ৭৫:৩৯ | ٱلذَّكَرَ | নর | একবচন ১১ |
১৮ | ৯২:৩ | ٱلذَّكَرَ | নর | একবচন ১২ |
নারী – ইমরা (امرأة)
নারী অর্থে ব্যবহৃত শব্দসমূহ, যাদের মূল مرا, যার অর্থ ‘নারী’,
সম্পূর্ণ গণনা | আয়াত | আরবী শব্দ | অনুবাদ | বচন |
১ | ২:২৮২ | وَٱمْرَأَتَانِ | এবং দুজন মহিলা | দ্বিবচন ১ |
২ | ৩:৩৫ | ٱمْرَأَتُ | স্ত্রী | একবচন ১ |
৩ | ৩:৪০ | وَٱمْرَأَتِى | এবং আমার স্ত্রী | একবচন ২ |
৪ | ৪:১২ | ٱمْرَأَةٌ | স্ত্রী | একবচন ৩ |
৫ | ৪:১২৮ | ٱمْرَأَةٌ | নারী | একবচন ৪ |
৬ | ৭:৮৩ | ٱمْرَأَتَهُۥ | তার স্ত্রী | একবচন ৫ |
৭ | ১১:৭১ | وَٱمْرَأَتُهُۥ | এবং তার স্ত্রী | একবচন ৬ |
৮ | ১১:৮১ | ٱمْرَأَتَكَ | তোমার স্ত্রী | একবচন ৭ |
৯ | ১২:২১ | لِٱمْرَأَتِهِۦٓ | তার স্ত্রীকে | একবচন ৮ |
১০ | ১২:৩০ | ٱمْرَأَتُ | স্ত্রী | একবচন ৯ |
১১ | ১২:৫১ | ٱمْرَأَتُ | পত্নী | একবচন ১০ |
১২ | ১৫:৬০ | ٱمْرَأَتَهُۥ | তার স্ত্রী | একবচন ১১ |
১৩ | ১৯:৫ | ٱمْرَأَتِى | আমার স্ত্রী | একবচন ১২ |
১৪ | ১৯:৮ | ٱمْرَأَتِى | আমার স্ত্রী | একবচন ১৩ |
১৫ | ২৭:২৩ | ٱمْرَأَةً | নারী | একবচন ১৪ |
১৬ | ২৭:৫৭ | ٱمْرَأَتَهُۥ | তার স্ত্রী | একবচন ১৫ |
১৭ | ২৮:৯ | ٱمْرَأَتُ | স্ত্রী | একবচন ১৬ |
১৮ | ২৮:২৩ | ٱمْرَأَتَيْنِ | দুইজন স্ত্রীলোক | দ্বিবচন ২ |
১৯ | ২৯:৩২ | ٱمْرَأَتَهُۥ | তার স্ত্রী | একবচন ১৭ |
২০ | ২৯:৩৩ | ٱمْرَأَتَكَ | আপনার স্ত্রী | একবচন ১৮ |
২১ | ৩৩:৫০ | وَٱمْرَأَةً | এবং কোনো নারী | একবচন ১৯ |
২২ | ৫১:২৯ | ٱمْرَأَتُهُۥ | তার স্ত্রী | একবচন ২০ |
২৩ | ৬৬:১০ | ٱمْرَأَتَ | পত্নী | একবচন ২১ |
২৪ | ৬৬:১০ | وَٱمْرَأَتَ | এবং পত্নী | একবচন ২২ |
২৫ | ৬৬:১১ | ٱمْرَأَتَ | পত্নী | একবচন ২৩ |
২৬ | ১১১:১ | وَٱمْرَأَتُهُۥ | এবং তার স্ত্রী | একবচন ২৪ |
- অধিকাংশ সময়েই শব্দটি ‘স্ত্রী’ অর্থে প্রকাশিত হয়েছে।
- শব্দটির বহুবচন নিয়মবহির্ভূত, যা ভিন্ন মূল نسو থেকে এসেছে।
- একই মূল مرا থেকে ‘পুরুষ’ (মার) শব্দটি এসেছে।
নারী – নিসা (نساء)
নারী অর্থে ব্যবহৃত শব্দসমূহ, যাদের মূল نسو, যার অর্থ ‘নারী’,
সম্পূর্ণ গণনা | আয়াত | আরবী শব্দ | অনুবাদ | বচন |
১ | ২:৪৯ | نِسَآءَكُمْ | তোমাদের স্ত্রীদিগকে | বহুবচন ১ |
২ | ২:১৮৭ | نِسَآئِكُمْ | তোমাদের স্ত্রী | বহুবচন ২ |
৩ | ২:২২২ | ٱلنِّسَآءَ | স্ত্রী | বহুবচন ৩ |
৪ | ২:২২৩ | نِسَآؤُكُمْ | তোমাদের স্ত্রীরা | বহুবচন ৪ |
৫ | ২:২২৬ | نِّسَآئِهِمْ | তাদের স্ত্রী | বহুবচন ৫ |
৬ | ২:২৩১ | ٱلنِّسَآءَ | স্ত্রীদেরকে | বহুবচন ৬ |
৭ | ২:২৩২ | ٱلنِّسَآءَ | স্ত্রীদেরকে | বহুবচন ৭ |
৮ | ২:২৩৫ | ٱلنِّسَآءِ | নারী | বহুবচন ৮ |
৯ | ২:২৩৬ | ٱلنِّسَآءَ | স্ত্রীদেরকে | বহুবচন ৯ |
১০ | ৩:১৪ | ٱلنِّسَآءِ | নারী | বহুবচন ১০ |
১১ | ৩:৪২ | نِسَآءِ | নারী | বহুবচন ১১ |
১২ | ৩:৬১ | وَنِسَآءَنَا | এবং আমাদের স্ত্রী | বহুবচন ১২ |
১৩ | ৩:৬১ | وَنِسَآءَكُمْ | ও তোমাদের স্ত্রী | বহুবচন ১৩ |
১৪ | ৪:১ | وَنِسَآءً | নারী | বহুবচন ১৪ |
১৫ | ৪:৩ | ٱلنِّسَآءِ | মেয়ে | বহুবচন ১৫ |
১৬ | ৪:৪ | ٱلنِّسَآءَ | স্ত্রীদেরকে | বহুবচন ১৬ |
১৭ | ৪:৭ | وَلِلنِّسَآءِ | নারীদের | বহুবচন ১৭ |
১৮ | ৪:১১ | نِسَآءً | নারীর | বহুবচন ১৮ |
১৯ | ৪:১৫ | نِّسَآئِكُمْ | নারীদের | বহুবচন ১৯ |
২০ | ৪:১৯ | ٱلنِّسَآءَ | নারীদেরকে | বহুবচন ২০ |
২১ | ৪:২২ | ٱلنِّسَآءِ | নারী | বহুবচন ২১ |
২২ | ৪:২৩ | نِسَآئِكُمْ | তোমাদের স্ত্রী | বহুবচন ২২ |
২৩ | ৪:২৩ | نِّسَآئِكُمُ | তোমাদের স্ত্রী | বহুবচন ২৩ |
২৪ | ৪:২৪ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদের | বহুবচন ২৪ |
২৫ | ৪:৩২ | وَلِلنِّسَآءِ | নারী | বহুবচন ২৫ |
২৬ | ৪:৩৪ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদের | বহুবচন ২৬ |
২৭ | ৪:৪৩ | ٱلنِّسَآءَ | নারী | বহুবচন ২৭ |
২৮ | ৪:৭৫ | وَٱلنِّسَآءِ | এবং নারী | বহুবচন ২৮ |
২৯ | ৪:৯৮ | وَٱلنِّسَآءِ | নারী | বহুবচন ২৯ |
৩০ | ৪:১২৭ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদের | বহুবচন ৩০ |
৩১ | ৪:১২৭ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদের | বহুবচন ৩১ |
৩২ | ৪:১২৯ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদেরকে | বহুবচন ৩২ |
৩৩ | ৪:১৭৬ | وَنِسَآءً | নারী | বহুবচন ৩৩ |
৩৪ | ৫:৬ | ٱلنِّسَآءَ | স্ত্রীদের | বহুবচন ৩৪ |
৩৫ | ৭:৮১ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদেরকে | বহুবচন ৩৫ |
৩৬ | ৭:১২৭ | نِسَآءَهُمْ | মেয়েদেরকে | বহুবচন ৩৬ |
৩৭ | ৭:১৪১ | نِسَآءَكُمْ | মেয়েদের | বহুবচন ৩৭ |
৩৮ | ১২:৩০ | نِسْوَةٌ | মহিলারা | বহুবচন ৩৮ |
৩৯ | ১২:৫০ | ٱلنِّسْوَةِ | মহিলা | বহুবচন ৩৯ |
৪০ | ১৪:৬ | نِسَآءَكُمْ | মেয়েদেরকে | বহুবচন ৪০ |
৪১ | ২৪:৩১ | نِسَآئِهِنَّ | নারীদেরকে | বহুবচন ৪১ |
৪২ | ২৪:৩১ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদের | বহুবচন ৪২ |
৪৩ | ২৪:৬০ | ٱلنِّسَآءِ | নারী | বহুবচন ৪৩ |
৪৪ | ২৭:৫৫ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদেরকে | বহুবচন ৪৪ |
৪৫ | ২৮:৪ | نِسَآءَهُمْ | নারীদেরকে | বহুবচন ৪৫ |
৪৬ | ৩৩:৩০ | يَٰنِسَآءَ | হে পত্নীগণ | বহুবচন ৪৬ |
৪৭ | ৩৩:৩২ | يَٰنِسَآءَ | হে পত্নীগণ | বহুবচন ৪৭ |
৪৮ | ৩৩:৩২ | ٱلنِّسَآءِ | নারীদের | বহুবচন ৪৮ |
৪৯ | ৩৩:৫২ | ٱلنِّسَآءُ | নারী | বহুবচন ৪৯ |
৫০ | ৩৩:৫৫ | نِسَآئِهِنَّ | তাদের সহধর্মিণী নারী | বহুবচন ৫০ |
৫১ | ৩৩:৫৯ | وَنِسَآءِ | এবং স্ত্রীগণকে | বহুবচন ৫১ |
৫২ | ৪০:২৫ | نِسَآءَهُمْ | তাদের নারীদেরকে | বহুবচন ৫২ |
৫৩ | ৪৮:২৫ | وَنِسَآءٌ | এবং নারী | বহুবচন ৫৩ |
৫৪ | ৪৯:১১ | نِسَآءٌ | নারী | বহুবচন ৫৪ |
৫৫ | ৪৯:১১ | نِّسَآءٍ | নারী | বহুবচন ৫৫ |
৫৬ | ৫৮:২ | نِّسَآئِهِم | তাদের স্ত্রীগণকে | বহুবচন ৫৬ |
৫৭ | ৫৮:৩ | نِّسَآئِهِمْ | তাদের স্ত্রীগণকে | বহুবচন ৫৭ |
৫৮ | ৬৫:১ | ٱلنِّسَآءَ | স্ত্রীদেরকে | বহুবচন ৫৮ |
৫৯ | ৬৫:৪ | نِّسَآئِكُمْ | তোমাদের স্ত্রীদের | বহুবচন ৫৯ |
নারী – উনছ (أنثى)
নারী অর্থে ব্যবহৃত শব্দসমূহ, যাদের মূল انث, যার অর্থ ‘নারী’,
সম্পূর্ণ গণনা | আয়াত | আরবী শব্দ | অনুবাদ | বচন |
১ | ২:১৭৮ | وَٱلْأُنثَىٰ | এবং নারী | একবচন ১ |
২ | ২:১৭৮ | بِٱلْأُنثَىٰ | নারীর জন্য | একবচন ২ |
৩ | ৩:৩৬ | أُنثَىٰ | কন্যা | একবচন ৩ |
৪ | ৩:৩৬ | كَٱلْأُنثَىٰ | কন্যার মত | একবচন ৪ |
৫ | ৩:১৯৫ | أُنثَىٰ | স্ত্রীলোক | একবচন ৫ |
৬ | ৪:১১ | ٱلْأُنثَيَيْنِۥ | দুজন নারী | দ্বিবচন ১ |
৭ | ৪:১১৭ | إِنَٰثًا | নারী | বহুবচন ১ |
৮ | ৪:১২৪ | أُنثَىٰ | নারী | একবচন ৬ |
৯ | ৪:১৭৬ | ٱلْأُنثَيَيْنِ | দুজন নারী | দ্বিবচন ২ |
১০ | ৬:১৪৩ | ٱلْأُنثَيَيْنِ | দুটি মাদী | দ্বিবচন ৩ |
১১ | ৬:১৪৩ | ٱلْأُنثَيَيْنِ | দুটি মাদী | দ্বিবচন ৪ |
১২ | ৬:১৪৪ | ٱلْأُنثَيَيْنِ | দুটি মাদী | দ্বিবচন ৫ |
১৩ | ৬:১৪৪ | ٱلْأُنثَيَيْنِ | দুটি মাদী | দ্বিবচন ৬ |
১৪ | ১৩:৮ | أُنثَىٰ | নারী | একবচন ৭ |
১৫ | ১৬:৫৮ | بِٱلْأُنثَىٰ | কোনো কন্যা সন্তানের | একবচন ৮ |
১৬ | ১৬:৫৭ | أُنثَىٰ | কন্যা সন্তান | একবচন ৯ |
১৭ | ১৭:৪০ | إِنَٰثًا | কন্যা | বহুবচন ২ |
১৮ | ৩৫:১১ | أُنثَىٰ | নারী | একবচন ১০ |
১৯ | ৩৭:১৫০ | إِنَٰثًا | নারী | বহুবচন ৩ |
২০ | ৪০:৪০ | أُنثَىٰ | নারী | একবচন ১১ |
২১ | ৪১:৪৭ | أُنثَىٰ | নারী | একবচন ১২ |
২২ | ৪২:৪৯ | إِنَٰثًا | কন্যা সন্তান | বহুবচন ৪ |
২৩ | ৪২:৫০ | وَإِنَٰثًا | কন্যা | বহুবচন ৫ |
২৪ | ৪৩:১৯ | إِنَٰثًا | নারী | বহুবচন ৬ |
২৫ | ৪৯:১৩ | وَأُنثَىٰ | এবং এক নারী | একবচন ১৩ |
২৬ | ৫৩:২১ | ٱلْأُنثَىٰ | কন্যা সন্তান | একবচন ১৪ |
২৭ | ৫৩:২৭ | ٱلْأُنثَىٰ | নারীবাচক | একবচন ১৫ |
২৮ | ৫৩:৪৫ | وَٱلْأُنثَىٰ | নারী | একবচন ১৬ |
২৯ | ৭৫:৩৯ | وَٱلْأُنثَىٰٓ | নারী | একবচন ১৭ |
৩০ | ৯২:৩ | وَٱلْأُنثَىٰٓ | নারী | একবচন ১৮ |
উপসংহার
মিরাকল – এক
“কুরআনে আরবী শব্দ রাজুল (পুরুষ) এবং আরবী শব্দ ইমরা (নারী) উভয়ই ২৪ বার এসেছে। যা একটি মিরাকল এবং যা প্রকাশ করে, নারী-পুরুষ সমান” [2] [3]
- কুরআনে আরবী শব্দ রাজুল এবং ইমরা মোটেও সমান সংখ্যকবার আসেনি। রাজুল শব্দটি এসেছে ৫৫ বার আর ইমরা শব্দটি এসেছে ২৬ বার। যারা আলোচ্য দাবিটি করেছেন তারা জেনেবুঝে ইচ্ছে করে বহুবচন এবং দ্বিবচন এড়িয়ে গেছেন, কেবলমাত্র কুরআনকে ঐশ্বরিকগ্রন্থ বলে প্রমাণ করার জন্য। ইসলামী লেখকেরা এভাবেই সাধারণ মুসলিমদের আরও গভীর ধর্মান্ধ করে রাখার উদ্দেশে অমুসলিমদের সামনে কুরআনকে ঐশ্বরিকগ্রন্থ হিসেবে প্রমাণ করার উদ্দেশে মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
- এমনকি একবচনেও আরবী শব্দ রাজুল এবং ইমরা সমান সংখ্যকবার আসেনি। কেননা, আয়াত ৭:১৫৫-তে রাজুল শব্দটি একবচনে থাকলেও, আয়াতটি ৭০ জন পুরুষের কথা বলছে আর সেই হিসেবে শব্দটি বহুবচনে আছে বলে গণনা করাই ন্যায্য।
- শব্দসংখ্যায় সমতা কোনোভাবেই প্রমাণ করেনা যে, ইসলাম সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে নারী-পুরুষের সমতা সমর্থন করে।
মিরাকল – দুই
“কুরআনে নারী এবং পুরুষ উভয় শব্দই ২৩ বার এসেছে আর একটি ভ্রূণের গঠনের সময় মা-বাবা উভয়ের কাছ থেকেই ২৩টি ক্রোমোজম আসে।
- কুরআনে মোটেও ‘নারী’ এবং ‘পুরুষ’ শব্দদুটি সমান সংখ্যকবার আসেনি।
তথ্যসূত্রঃ
চমৎকার