নাস্তিকতাও একটি ধর্ম?
ভূমিকা
আস্তিকদের মধ্যে অনেকেই নাস্তিকদেরকে বোকা মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে নাস্তিকতাকে একটি ধর্ম বলে দাবি করে নিজেদেরকেই বোকা মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেন। তারা সাধারণত নাস্তিকদের হিপোক্রেট হিসেবে উপস্থাপন করতে এমন দাবি করেন। তারা বলতে চান, নাস্তিকরা ধর্মের বিরোধিতা করে, অথচ নাস্তিকতাও একটি ধর্ম। অনেকে আবার বুঝতেই পারেন না যে একজন মানুষ কিভাবে কোনো ধর্মে বিশ্বাস না করে থাকতে পারে আর তাই তারা এটা ধরে নেন যে নাস্তিকতাও একটি ধর্ম। কিন্তু না, নাস্তিকতা কোনো ধর্ম নয়। নাস্তিকতা হচ্ছে, ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাস বা বিশ্বাসের অভাব। নাস্তিকতা কেবল এই ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তার বাইরে কোনোকিছুই নাস্তিকতার অংশ নয়।
নাস্তিকতা যে কোনো ধর্ম নয়, সেটা বোঝাটা খুব কঠিন কিছু নয়। এটা বোঝার জন্য কোনো অনেক পড়াশোনার প্রয়োজন নেই। তারপরও যারা বুঝতে পারেন না যে নাস্তিকতা কেনো কোনো ধর্ম নয় তাদের জন্য কাজটা সহজ করে দেয়ার উদ্দেশ্যেই প্রবন্ধটি লিখছি।
ধর্ম কি?
নাস্তিকতাকে একটি ধর্ম বলে দাবি করা যায় কিনা সেটা বোঝার জন্য ধর্ম বলতে আসলে কি বোঝায় সেটা জানা প্রয়োজন। ধর্মের সংজ্ঞা না জেনে বা এড়িয়ে গিয়ে খেয়ালখুশি মতো যা ইচ্ছা তাই ধর্ম বলে দাবি করলে কেবল নিজেকেই বোকা প্রমাণ করা হয়।
ধর্ম বলতে আসলে কি বোঝায়? এ প্রশ্নের বিস্তারিত এবং তথ্যসমৃদ্ধ উত্তর ব্লগার সুমিত রায় তার “সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে ধর্ম কী?” শিরোনামের একটি প্রবন্ধে দিয়েছেন।
নাস্তিকতাও একটি ধর্ম?
নাস্তিকতার সংজ্ঞা হচ্ছে, ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাস বা বিশ্বাসের অভাব। ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই হচ্ছে নাস্তিকতা।
নাস্তিকতা কোনোকিছুই দাবি করে না, কোনোকিছুই বিশ্বাস করতে বলে না। কোনো আদেশ করে না, কোনো নিষেধ করে না, কোনো রীতিনীতি পালন করতে বলে না। এটা কেবলই ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসের অনুপস্থিতি আর কোনোকিছুর অনুপস্থিতিকে কোনোভাবেই একটি ধর্ম বলা যায় না। একজন নাস্তিক কেবল ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করা বা ঈশ্বর আছে মনে না করার জন্যই নাস্তিক। কোনোকিছু না করার জন্য কোনোভাবেই একজন মানুষ ধার্মিক হয়ে যায়না।
হ্যাঁ, একজন মানুষ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করেও কোনো কোনো ধর্মের অনুসারী হতে পারেন, কিন্তু তারমানে এটা নয় যে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করাটাই একটি ধর্ম।
নাস্তিকতাকে একটি ধর্ম প্রমাণ করতে অনেকে বলেন, সংস্কৃত ধৃত শব্দ হতে ধর্ম শব্দের উৎপত্তি যার অর্থ ধারন করা, আমরা যা ধারন করি তাই আমাদের ধর্ম, যেহেতু নাস্তিকরা নাস্তিকতা ধারন করে সেহেতু নাস্তিকতাও একটি ধর্ম। কিন্তু, নাস্তিকতা এমনকিছু নয় যা ধারন করা যায়। যারা নাস্তিক তারা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস ধারন করে না বলেই নাস্তিক। ধারন করা নয়, বরং ধারন না করার জন্যই তারা নাস্তিক। আস্তিকতা ধারন না করলেই আপনি নাস্তিক, নাস্তিকতাকে আবার আলাদাভাবে ধারন করার কিছু নেই। কোনোকিছু ধারন না করার অর্থ অন্যকিছু ধারন করা নয়, ঠিক যেমন বাগান না করাও একটি শখ নয়।
নাস্তিকতাও একটি ধর্ম হতে পারে, যদি বাগান না করা একটি শখ হয়, যদি স্বচ্ছতাও একটি রঙ হয়, যদি স্থলে হেঁটে চলাও আকাশে উড়ে বেড়ানো হয়, যদি না খাওয়াও খাওয়া হয়, যদি বসে থাকাও দৌড়ানো হয়, যদি আস্তিকতাও নাস্তিকতা হয়।
অনেকে আছেন, নিজেদেরকে নাস্তিকদের চেয়ে ইন্টেলেকচুয়ালি সুপিরিয়র হিসেবে উপস্থাপন করতে প্রশ্ন করেন, ‘নাস্তিক ধর্মে ধর্ষণের শাস্তি কি?’ কিংবা ‘নাস্তিক ধর্মে ভালো খারাপ বলে কিছু নেই’। আমি মনে করি, তাদের উচিত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করা যে, ‘ঘাস না খাওয়ায় ধর্ষণের শাস্তি কি?’ বা নিজেই নিজেকে বলা যে, ‘ঘাস না খাওয়ায় ভালো খারাপ বলে কিছু নেই’।
উপসংহার
‘নাস্তিকতাও একটি ধর্ম’ দাবিটি নিঃসন্দেহে ভুল এবং হাস্যকর। কেননা, কোনোকিছুর অনুপস্থিতি কখনোই একটি ধর্ম হতে পারে না। এক শ্রেণীর মানুষ নাস্তিকদেরকে বোকা প্রমাণের উদ্দেশ্যে জোর করেই নাস্তিকতাকে একটি ধর্ম বলে প্রতিষ্ঠা করতে চান। কিন্তু, সত্যিকার অর্থে তারা কেবল নিজেদেরকেই বোকা প্রমাণ করেন।
(নাস্তিক ) নিয়ে আপনাদের কথা গুলো সত্য ও ভালো ।
আসলে যারা ধম বিশ্বাস করে ও যখন তার ধমের কাজের জন্য সমালোচিত হয় , ও তারা তাদের কাজের ব্যাখ্যা দিতে পারে না ,,, তখন যারা এই ধম র কাযকলাপ নিয়ে সমালোচনা করে ,,, তখন তাদের কে নাস্তিক (দোশ চাপানোর মতন )বলে চালিয়ে দেয় বা পাশ কাটিয়ে চলে যায় ।
আসলে আমি বলতে চাই ,,,নাস্তিক কে – ধমে বিশ্াস করা সমাজের মানুষ পাপি ও গালি র মতন করে দেখে ।
কারন কেন সে ধমের ও সৃষ্টিকতার সমালোচনা করল ।
বাট সংগঠিত হওয়া কাজ টা কেমন ছিলো সেটার ভালো মন্দ বিচার কেও না । কারন এখানে মূল্যবান হচ্চে ধম
ধম হীন পৃথিবী কখনোই হবে না । যুগের পর যুগ থেকে আমাদের ব্ংশধর রা এই ধম কে বহন করে আনতেছে ও দিয়েও যাচ্চে
কিছু টা রক্তের মতন ও ধরতে পারেন ।
তাই ধম থাকবেই ।
আমাদের সমাজ ও জীবন যাপন এ ধম কোন সমস্যা না ।সমস্যা হচ্চে ধমান্ধাতা ও অতি ধামীক লোকের কাযকলাপ ।
সব থেকে বেশি সংহিতার কারন হলো ধমান্ধ ও অতি ধামিক( স্বাথ ) জন্য । যারা অধিক খারপ কাজ করে তথন একটা সময় গিয়ে ধামিক হয়ে যায় ।নিজের কম কে ঢাকানোর জন্য
এই ধমান্ধ ও অতি ধামীক ব্যক্তির চরিএ টাকে বাচিয়ে দেয় ধম ।
কারন তারা ধমের জন্য কাজ করেছে ,,, এতে কোটি মানুষের ক্ষতি হলেও নিজের ধমের মানুষের কাছে ,, সে একজন ধামিক ও ধমগুরু ।
আর সমস্যার কেন্দ্র হলো এটাই ।
ধম সমস্যা না , আমাদের মাথায় সেট হয়ে গেছে বিদায় ধমান্ধ ও ধমগুরু র স্বাথের জন্য করা কাজ গুলো ধমের মধ্য রেখে বিচার করি ।
সঠিক ও সত্য ভাবে মানবিক ভাবে বিচার করি না তার কাজ টা ভালো হইল না খারাপ ।
তাই আমাদের মেধাবী ও আধুনিক শিক্ষিত হওয়ার বিকল্প কোন ঊপায় নাই ধমের স্বাথের থেকে বের হবার ।লক্ষ করলে বুজা যায় সেই দেশ যত উন্নত ও মেধাবি ,,তাদের মধ্য ধমের কুসংস্কার এর প্রভাব তত কম । তাদের কি বুজ /চালাক কম । তারা মেধাবি ও আধুনিক শিক্ষিত বিদায় বিশ্বের মধ্য এত ঊন্নত । জলজ্যান্ত প্রমান থাকার পর ও আমরা ধমের গোলকধাঁধা য় পরে আছি ।
কারন ধম রক্ষার জন্য ধমগুরুরা বা যারা লিড পযায়ে আছে ,, আমাদের ছোটসন্তান দের ধমের উছিলা দিয়ে ,ধমীয় শিক্ষা র নামে মেধাহীন করে বড় করে ,, যেন কোন কারনে নাস্তিক দের মতন প্রশ্নের ঊওর না খোজে বা নিজের কম নিজের ব্রইন দিযে বিচার করে ,, আমি সকলের জন্য অন্যায় করতেছি নাকি ভালো করতেছি ।(ধম যেটাই হওক )
মানুষের মেধা ও আধুনিক শিক্ষা বারলে এমনেতেই ধমের কুসংস্কার ও নিজের কম কে বিচার করার শক্তি ও মনমানসিকতা তৈরি হয়ে যাবে ব্রইনে ।
প্রধান সমস্যা ,, ধমান্ধ ।তাই ধমান্ধতা যেন তৈরি না করতে পারে বা তৈরি কম হয় ,, এই বেপার টা চিন্তা করে দেখবেন ।
ধমান্ধ তৈরি হওয়া কমে গেলে ধমীয় হিংস্রতা ও সহিংসতা এমনেতেই কমে যাবে ।
নাস্তিক রা (মনে হয়) এটাই বলে ,,, আমি ধম কে শ্রদ্বা করি বাট আমার ধমের জন্য এমন কোন কাজ করি না ।যা যে কোন ধমের বা ধমহীন কোন ব্যাক্তি র মৌলিক অধিকার নষ্ট হয় ।
আমার কথা যদি অযৌক্তিক বা অহেতুক বিবেচিত হয় তাহলে সরি ।🙏
নাস্তিকতা হচ্ছে মানবতার ধর্ম এর চেয়ে শ্রেষ্টত্ব আর নেই। চালিয়ে যান আসিফ ভাই।।