মুহাম্মদের ম্যারাথন এবং যৌন সক্ষমতা
সূচিপত্র
ভূমিকা
যৌনতা মানুষের খুবই স্বাভাবিক একটি চাহিদা। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ তার ভালবাসার মানুষের সাথে কী করবেন, সেটি নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে, ভালবাসার মানুষকে তারা অন্যের সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত দেখতে অপছন্দ করেন। এটি নারীর জন্য যেমন, পুরুষের জন্যেও তেমন। এই কারণে যুগে যুগে এই নিয়ে অসংখ্য কবিতা এবং উপন্যাস লেখা হয়েছে। কারণ বেশিরভাগ মানুষেরই একটি স্বাভাবিক আচরণ হচ্ছে, তার ভালবাসার মানুষকে নিজের করে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। একজন নারীর পছন্দের পুরুষ যদি আরেক নারীর সাথে যৌনকর্ম করে, তার মনে যেরকম কষ্ট হতে পারে, ঠিক একইভাবে একজন পুরুষের ভালবাসার নারী যদি আরেকজন পুরুষের সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়, তারও কষ্ট হতে পারে। যদি তারা দুইজনই ওপেন রিলেশনশীপে থাকেন, অর্থাৎ মুক্ত সম্পর্কে থাকেন, তাহলে ভিন্ন কথা। মুক্ত সম্পর্কে একজন নারীও যেমন একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক করতে পারেন, একজন পুরুষও তা পারেন। দুইজনার অধিকার এখানে সমান। লিঙ্গের ভিত্তিতে কোন বৈষম্য নেই। সেরকম হলে আমাদের বলার কিছুই ছিল না। কিন্তু নারী এবং পুরুষের অধিকারের ক্ষেত্রে বৈষম্য হলেই, সেটির তীব্র সমালোচনা করতে হবে।
মাঝে মাঝেই বেশ কিছু লজ্জিত চেহারার ধার্মিক মুসলিম আমাদের সাথে আলাপ আলোচনায় কিছু সহীহ হাদিসকে নিয়ে নানা ধরণের মিথ্যাচার করেন, এবং এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে উনারা উনাদের নবীর চরিত্র রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। নানা ধরণের কুযুক্তি, অপব্যাখ্যা, মিথ্যাচার করে উনারা নাস্তিকরাই নাকি ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে, এরকম অভিযোগ আরোপ করেন। তাই একটু যাচাই করে দেখা জরুরি যে, নাস্তিকরা আসলে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে, নাকি লজ্জিত এইসব মুমিন ভাইয়েরা- যারা নবীর সম্মান রক্ষার জন্য কোরআন হাদিসও বদলে ফেলতে পিছপা হন না! আজকে আমরা আলোচনা করবো নবীর একই দিনে বা রাত্রে ৯ বা ১১ জন স্ত্রী, ভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় ৯ জন স্ত্রী এবং দুইজন দাসীর সাথে সঙ্গমের হাদিসটি কতগুলো হাদিস গ্রন্থে রয়েছে, এবং এই হাদিসটির ব্যাখ্যা মুফাসসিরগণ কীভাবে করেছেন। মনে রাখতে হবে, এই দাবীটি নাস্তিকদের নয়, এটি সাহাবী এবং হাদিস বর্ণনাকারী, সেই সাথে হাদিস সংকলক, একই সাথে সমস্ত হাদিস বিশেষজ্ঞদেরই অভিমত। আমরা শুধুমাত্র সেই তথ্যগুলোকে উপস্থাপন করছি। কেউ একই দিনে বা রাতে এতবার সঙ্গম করতে পারে কিনা, সেই প্রশ্ন নাস্তিকদের কাছে না করে, মুসলিমদের উচিত ইসলামের আলেমদেরকে করা।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকজন মুমিন বেশ কয়েকবার আমাদের আলোচনাতে এসে দাবী করেছেন, আমরা নাস্তিকরা নাকি এই হাদিসটিকে অপব্যাখ্যা করেছি! আসলে নাকি নবী একই দিনে বা রাতে শুধুমাত্র তার সকল স্ত্রীর সাথে দেখাসাক্ষাত এবং কুশল বিনিময় করতেন! আমরা নাস্তিকরা নাকি নোংরা মন মানসিকতার, সেই কারণে এর মধ্যে আমরা যৌনকর্ম ঢুকিয়ে দিয়েছি, নবীকে অপমান করার জন্য! তাহলে দেখে নিই, এই বিষয়টি নাস্তিকদের অপব্যাখ্যা কিনা।
নারী দেখলে উত্তেজিত হতেন মুহাম্মদ
অনেক মুসলিমই দাবী করেন, নবীর বহুবিবাহের কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক এবং সমাজ সংস্কার। ব্যক্তিগতভাবে নাকি নবীর এত নারী লোভ ছিল না! অসহায় নারীদের উদ্ধার করাই নাকি নবীর উদ্দেশ্য ছিল! কিন্তু সহীহ হাদিস থেকে জানা যায়, নবী রাস্তাঘাটে নারী দেখে এতটাই উত্তেজিত হয়ে যেতেন যে, নিজেকে আর সামলাতে পারতেন না। স্ত্রী অথবা দাসীর সাথে গিয়ে উনার উত্তেজনা প্রশমন করতেন। এই বিষয়টি শুরুতেই জেনে নেয়া প্রয়োজন, কারণ অনেক মুমিনই আজকাল তাদের নবীকে নির্লোভ সাধু পুরুষ হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেন।
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ (3300)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২. কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়
৩৩০০-(১০/…) সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো যদি কোন স্ত্রীলোক দেখে মনে কিছু উদয় হয় তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে মিলিত করে। এতে তার মনে যা আছে তা দূর করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩২৭৫, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ (3298)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২. কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়
৩২৯৮-(৯/১৪০৩) আমর ইবনু আলী (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর বের হয়ে সাহাবীগণের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়ত্বানের বেশে এবং ফিরে যায় শায়ত্বানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ৩২৭৩, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদির গ্রন্থ সমূহের বিবরণ
বহু হাদিস গ্রন্থেই একাধিক বর্ণনাকারীর কাছ থেকে সরাসরি এই বর্ণনাটিই এসেছে যে, নবী মুহাম্মদের ৯ জন স্ত্রী এবং ২ জন দাসী ছিল। তিনি একই দিনে বা রাতে তাদের সাথে পর্যায়ক্রমে যৌনকর্ম করতেন। এই নিয়ে আশেপাশের সাহাবীগণ বা পাহারায় থাকা মানুষেরা বলাবলি করতেন যে, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তারা নবীর এই সক্ষমতা নিয়ে পরস্পর বলাবলি করতো, নবীকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। এই শক্তি যে শুধু কুশল বিনিময়ের শক্তি নয়, যৌনশক্তি, সেটি হাদিসটি পড়লেই বোঝা যায়। এই বিবরণটি অনেকগুলো হাদিস গ্রন্থে গোসল অধ্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে। কারণ এই হাদিস থেকে জানা যায়, একাধিক স্ত্রীর সাথে একই দিনে বা রাত্রে যৌনলীলা চালাবার পরে শেষে একবার গোসল করাই যথেষ্ট।
সহীহ বুখারী
সহীহ বুখারীতে এই হাদিসটি খুব পরিষ্কারভাবেই বর্ণিত হয়েছে [1]।
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫/ গোসল
পরিচ্ছেদঃ ১৮৫। একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সংগত হওয়ার পর একবার গোসল করা।
২৬৫। মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) …. মুহাম্মদ ইবনু মুনতাশির (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে (আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ))-এর উক্তিটি* উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ আবূ ‘আবদুর রহমানকে রহম করুন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুশবু লাগাতাম, তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তারপর ভোরবেলায় এমন অবস্থায় ইহ্রাম বাঁধতেন যে, তাঁর দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়তো।
(আবদুল্লাহ্ ইবন ‘উমর (রাঃ))-এর উক্তিটি: আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধতে পছন্দ করি না, যাতে সকালে আমার দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়ে ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির (রহঃ)
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫/ গোসল
পরিচ্ছেদঃ ১৮৫। একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সংগত হওয়ার পর একবার গোসল করা।
২৬৬। মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) …. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময় পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেওয়া হয়েছে। সা’ঈদ (রহঃ) কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, আনাস (রাঃ) তাঁদের কাছে হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
৫/ গোসল
পরিচ্ছেদঃ ৫/১২. একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।
২৬৭. মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশাহ (রাযি.)-এর নিকট (‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.))-এর উক্তিটি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ আবূ ‘আবদুর রহমানকে রহম করুন। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে সুগন্ধি লাগাতাম, তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তারপর ভোরবেলায় এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধতেন যে, তাঁর দেহ হতে খুশবু ছড়িয়ে পড়তো। (২৭০; মুসলিম ১৫/৭, হাঃ ১১৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির (রহঃ)
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
৫/ গোসল
পরিচ্ছেদঃ ৫/১২. একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।
২৬৮. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা‘ঈদ (রহ.) ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযি.) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
উপরের হাদিসটি থেকে আমরা জানতে পারি, মহানবীর ত্রিশজন সক্ষম পুরুষের সমপরিমান যৌনশক্তি থাকার কারণে একই দিনে/রাতে নয়জন অথবা এগারোজন স্ত্রীর সাথে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। এই নিয়ে সাহাবীদের মধ্যে আবার কানাঘুষাও চলতো। এত সেক্স পাওয়ার তিনি কই পেতেন, তা ভেবে সাহাবীগণ অবাক হয়ে যেতেন। অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। ৯ জন বা ১১ জনার সাথে একইদিনে বা রাতে পর্যায়ক্রমে সেক্স করা আজকের যুগে সবচাইতে বড় পর্নস্টার জনি সিন্সের পক্ষেও অসম্ভব ব্যাপার। এই হাদিস ইমাম বুখারীর কাছে বর্ণনার সময়ও এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বর্ণনা করা হয়েছে। যার কারণে ইমাম বুখারী এই হাদিসটিকে গোসল অধ্যায়ের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছে। সেই সাথে, এর একটি শিরোনামও দিয়ে দিয়েছে।
সহীহ মুসলিম
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩। হায়য ঋতুস্রাব
পরিচ্ছেদঃ ৬. নাপাক অবস্থায় ঘুমানো জায়িয; তবে খাদ্য গ্রহণ, শয়নকালে অথবা স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে চাইলে তার জন্যে ওযু করা এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে নেয়া মুস্তাহাব।
৫৯৫-(২৮/৩০৯) হাসান ইবনু আহমাদ ইবনু আবূ শু’আয়ব আল হাররানী (রহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সকল স্ত্রীর কাছে একই গোসলে যেতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৯৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
সূনান আবু দাউদ
সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. স্ত্রী সঙ্গমের পর গোসলের পূর্বে পুনরায় সঙ্গম করা সম্পর্কে।
২১৮. মুসাদ্দাদ ….. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের সাথে সহবাসের পর একবার গোসল করেন। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
সুনানে ইবনে মাজাহ
সুনানে ইবনে মাজাহ
১/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ
পরিচ্ছেদঃ ১/১০১. যে ব্যক্তি সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর একবার গোসল করে।
১/৫৮৮। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস শেষে একবার গোসল করতেন।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ২৬৮, ২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫; মুসলিম ৩০৯, তিরমিযী ১৪০, নাসায়ী ২৬৩-৬৪, ৩১৯৮; আবূ দাঊদ ২১৮, আহমাদ ১১৫৩৫, ১২২২১, ১২২৯০, ১২৫১৪, ১২৫৫৫, ১২৯৪২, ১৩০৯৩, ১৩২৩৬; দারিমী ৭৫৩-৫৪, ইবনু মাজাহ ৫৮৯।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২১১-২১৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
সুনানে ইবনে মাজাহ
১/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ
পরিচ্ছেদঃ ১/১০১. যে ব্যক্তি সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর একবার গোসল করে।
২/৫৮৯। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর গোসলের পানি প্রস্তুত করে রাখলাম। তিনি একই রাতে তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সহবাসের পর একবার গোসল করেন।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ২৬৮, ২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫; মুসলিম ৩০৯, তিরমিযী ১৪০, নাসায়ী ২৬৩-৬৪, ৩১৯৮; আবূ দাঊদ ২১৮, আহমাদ ১১৫৩৫, ১২২২১, ১২২৯০, ১২৫১৪, ১২৫৫৫, ১২৯৪২, ১৩০৯৩, ১৩২৩৬; দারিমী ৭৫৩-৫৪, ইবনু মাজাহ ৫৮৮।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২১৪। উক্ত হাদিস্বে রাবী সালিহ ইবনুল আদখার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম বুখারী তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আল আজালী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
সুনান আদ-দারেমী
সুনান আদ-দারেমী
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৭১. যিনি একাধিক স্ত্রীর নিকট গমণ করে একবার গোসল করেন
৭৭৬. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই রাতে পর্যায়ক্রমে স্ত্রীগণের নিকট গমণ করতেন।(1)
(1) তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের হাদীস।
তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১২৯; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৪২, ৩১৭৫, ৩১৭৬, ৩২০৩, ৩৭১৮, ৩৭১৯, ৩৮৮৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২০৬-১২০৯; এবং পরের টীকাটি দেখুন। (সহীহ বুখারী ২৬৮; সহীহ মুসলিম ৩০৯; আহমাদ ৩/১৮৫; তিরমিযী ১৪০; আবু দাউদ ২১৮; নাসাঈ ১/১৪৩, ১৪৪ ও ৬/৫৩, ৫৪; ইবনু মাজাহ ৫৮৮; বাইহাকী ১/২০৪; সহীহ ইবনু খুযাইমা ২৩১; সহীহ ইবনু হিব্বান , ১১৯৫. ১১৯৬; আব্দুর রাযযাক, আল মুছান্নাফ ১০৬১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ২৬৯, ২৭০; আবুশ শাইখ, আখলাকুন নাবী সা:, পৃ: ২৩১; আবু আওয়ানাহ ১/২৮০; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৭/২৩২; তাবারানী, আস সগীর ১/২৪৬; অনেকগুলো সূত্রে। – মুহাক্বিক্বের তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৪১, ২৯৪২ এর টীকা অনুসরণে।- অনুবাদক))
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
সুনান আদ-দারেমী
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৭১. যিনি একাধিক স্ত্রীর নিকট গমণ করে একবার গোসল করেন
৭৭৭. (অপর সূত্রে) আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই রাতে পর্যায়ক্রমে স্ত্রীগণের সাথে মিলিত হতেন।(1)
(1) তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/২৫২; আর পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
বুখারীর ব্যাখ্যা নাসরুল বারী
এই হাদিসটির ব্যাখ্যা এবারে প্রখ্যাত ব্যাখ্যা গ্রন্থ নাসরুল বারী থেকে দেখে নিই [2]।
উপসংহার
উপরের আলোচনা থেকে এটি খুবই পরিষ্কার যে, নবী মুহাম্মদের এই কাজটি যারা কাছাকাছি থেকে দেখেছিলেন, সেই বর্ণনা ইমাম বুখারীর কাছে যখন বর্ণনা করেছিলেন, সেগুলোর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যেভাবে মুহাদ্দিসগণ করেছিলেন, সব জায়গাতেই বিষয়টি খুবই পরিষ্কার। এরপরেও যদি তারা নাস্তিকদের ওপর হাদিসটিকে ভুল ব্যাখ্যা বা মিথ্যাচারের অভিযোগ আরোপ করেন, সেটি শুধুমাত্র তাদের অসীম মূর্খতাকেই প্রমাণ করবে। আমাদের এর চেয়ে বেশী কিছু আর বলার নেই।
তথ্যসূত্র
- সহিহ বুখারী তাওহীদ পাবলিকেশন্স খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ১৪১ [↑]
- নাসরুল বারী, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৫৬-১৬০ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"
nobi jokhon sex korten bibi der sthe tokhon ki sahaba ra ta niz chokhe dekten ba sunten naki!!!!
লিঙ্ক কোথায় পাওয়া যাবে ? pornhub?