সহি ইসলামি রোল মডেল ও বঙ্গ মুসলিমের ভণ্ডামো
বাঙালি জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে অধ্যাপক হুমায়ুন আযাদের “বাঙালিঃ একটি রুগ্ন জনগোষ্ঠী ?” শীর্ষক একটি অবশ্য পাঠ্য প্রবন্ধ আছে। এতে, অধ্যাপক হুমায়ুন আযাদ বাঙালীর জাতীয় চরিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন যে, সব জাতির কিছু বৈশিষ্ট্য আছে তবে বাঙালীর তেমন কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য নাই যার মাধ্যমে আমরা এই জাতিকে আলাদা করে চিনতে পারি। আমার মতে, শতকরা একশত ভাগ সত্য না হলেও ভণ্ডামোকে বঙ্গ মুসলিমের প্রধানতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিসাবে মেনে নেয়া যায়। “হেকমতে চীন আর হুজুগে বাঙালি“ বলে আর একটি বাক্য যথাযতই প্রচলিত আছে তবে ভণ্ডামোর মত হুজুগ এই জাতির জীবনে ততোটা সর্বগ্রাসী প্রভাব বিস্তার করেনি। ধর্ম আমাদের সামাজিক জীবনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটি প্রধানতম নিয়ামক। বঙ্গ মুসলিমের জাতীয় চরিত্রের রুপায়নে ইসলাম ধর্মের সংযোজন এক ধরনের গজকচ্ছপ সঙ্করের জন্ম দিয়েছে – ভণ্ডামো তার একটি প্রধান ফসল। ভণ্ডামোর রকমফের রয়েছে, এই লেখাটিতে মূলত ধর্মের সাথে সম্পর্ক যুক্ত ভণ্ডামোর দিকে নজর দেব।
হীনমন্যতা আর পরিচয় সংকট বাঙালীর এক দুরারোগ্য ব্যাধি। আপনারা লক্ষ্য করবেন, সদ্য পরিচিত কোন ব্যাক্তি আলাপের সুরুতেই তার পদবী, সামাজিক উচ্চ অবস্থান অথবা নিদেন পক্ষে কোন মন্ত্রি – আমলা বা অনুরূপ কোন মান্যগণ্য ব্যাক্তির সাথে উনার আত্মীয়তা প্রমানের চেষ্টা করবেন। নিজের যোগ্যতায় আত্মবিশ্বাসী বাঙালির দেখা পাওয়া বেশ দুরূহ। বঙ্গ মুসলিমের প্রথম সংকট শুরু হয় তার জন্ম পরিচয় নিয়ে। ইনাদের সকলের পূর্ব পুরুষ যে বাঘের পিঠে সাওয়ার হয়ে আরব বা ইয়েমেন থেকে এই বঙ্গ দেশে তশরিফ রেখেছেন, এটা বলতে পারলে উনারা বড়ই পুলকিত বোধ করেন। বলা বাহুল্য এই আরবি যোগসূত্র দাবির কারণটি একান্তই ধর্মীয়, নবি রাসুলের দেশের লোকের সাথে যে উনার রক্তের সম্পর্ক আছে এটা বুঝানোর জন্যই এই মিথ্যাচার । এই মূর্খ বঙ্গ সন্তানেরা এ কথা জানেনা যে বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর সভ্যতার ধারে কাছেও বর্বর, অশিক্ষিত মরুচারি আরবরা কোন কালেই সমকক্ষ ছিল না। বঙ্গ মুসলিমের নিজের মুসলমানিত্ব নিয়েও আছে অপার হীনমন্যতা । এই কারনে তার লাগে এক রোল মডেল যাকে দাদা বলে ডেকে নিজের স্বকীয়তা বিক্রি করে দেওয়া যায়। এই রকম দুইটি সহি ইসলামি রোল মডেল হল সৌদি আরব ও পাকিস্থান। যদিও ইনাদের পেয়ারা পাকি ভাইরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুসলিমদের নিচু হিন্দু জাতের ভেজাল মুসলিম হিসাবে ফতওয়া দিয়েছিল। রাস্তায় রাস্তায় পাক সেনাদের কাছে লুঙ্গি খুলে বাঙালিদের মুসলমানিত্ব প্রমান দেয়ার ছবিগুলো অনেকেই দেখেছেন। মুসলিম ভাই বলে দয়া দেখিয়ে কোন পাকসেনা বাঙালীর বুকে গুলি খরচ করেনি এমন কোন উদাহরণ নেই। তবে এগুলো কোনটাই অনেক বঙ্গ মুসলিমের পাক প্রীতির অন্তরায় হয়নি, বলা বাহুল্য এখানেও হীনমন্যতা আর পরিচয় সংকটের কারণটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক । পাকপ্রেমী বঙ্গ সন্তানদের আশ্বস্ত করছি যে এই লেখাটি পাক প্রেম নিয়ে নয় বরং কিছুটা সকল পরিচয় সংকটে ভোগা মুসলিমদের বাপস্তান সহি ইসলামের পুণ্যভূমি সৌদি আরব নিয়ে।
বর্তমানে আমাদের সহি ইসলামি বাপস্তান সৌদি আরব বড়ই বেচঈন অবস্থায় আছে জামাল খাশগজি নামের স্বদেশী ও মুসলিম সাংবাদিককে ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসের ভিতরে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এই ঘটনার সাথে নাদান বঙ্গ মুসলিমের ভণ্ডামোর যোগসূত্র প্রতিষ্ঠিত করার আগে, ভবিষ্যৎ রেফারেন্সের খাতিরে এই হত্যাকাণ্ডের অতি সংক্ষিপ্ত বিবরন দেওয়া প্রয়োজন। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান যিনি কার্যত তার রাজ্যের প্রাধান নির্বাহী তার নীতি ও কাজের সমালোচনা করার কারনে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজি ক্ষমতাসীনদের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন ও স্বেচ্ছা নির্বাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলামিস্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তুরুস্কে তার বাগদত্তা মেয়ে বন্ধুর সাথে বিবাহের পূর্বে প্রথম স্ত্রীর তালাকের কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে ২রা অক্টোবর প্রায় দুপুর দেড়টায় উনি প্রবেশ করেন এবং পূর্ব পরিকল্পন অনুযায়ী আগে থেকেই ওত পেতে থাকা প্রায় পনেরজন সৌদি হিট টিম বা খুনি এজেন্টদের হাতে নিহত হন। খুনি এজেন্টদের দলে ছিলেন একজন ময়না তদন্ত বিশেষজ্ঞ যার নেতৃত্বে জীবিত অবস্থায় হাড় কাটা করাতের দ্বারা জামাল খাশগজির দেহ টুকরা টুকরা করা হয় ও লাশ গুম করে ফেলা হয়। এই সহি ও আদর্শ ইসলামি রাষ্ট্রের হত্যা পরবর্তী ধামা চাপা দেওয়ার রাষ্ট্রীয় মিথ্যাচার সারা বিশ্বকে হতবাগ করেছে, এমনকি অস্ত্র ব্যাবসার স্বার্থে যারা এই রাষ্ট্রের চরম পৃষ্ঠপোষক সেই পশ্চিমা দেশ গুলোও কথা হারিয়ে ফেলেছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এই সহি ইসলামি রাষ্ট্র সরকারিভাবে এই পর্যন্ত যে কয়টি ভাষ্য দিয়েছে , ধারাবাহিক ভাবে সে গুলো এরকম ঃ
১। জামাল খাশগজি আধা ঘণ্টার মধ্যেই সৌদি দূতাবাস ত্যাগ করেছেন। হাস্যকর ভাবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এক বাক্তিকে জামাল খাশগজির পোশাক পরিয়ে , নকল দাঁড়ি লাগিয়ে , কিন্তু জুতার পরিবর্তে স্নিকার পরিহত অবস্থায় দূতাবাসের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যায়, যাতে পরবর্তীতে জামাল খাশগজির দূতাবাস ত্যাগ করার দাবীটি প্রতিষ্ঠিত করা যায়। পরে ভিডিও ফুটেজে এই নকল ব্যাক্তিকে নিজের অভিনয় নিয়ে হাসি-তামাশা করতে দেখা যায়।
২। জামাল খাশগজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় মুষ্টিযুদ্ধে দুর্ঘটনা বশত উনি নিহত হন, আর এই বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবে ।
৩। উপরের ব্যাখ্যা আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহনযোগ্য না হয়ে হাস্যরসের কারন হয়ে উঠলে , সর্বশেষ ঘোষণায় সৌদি কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত ভাবেই জামাল খাশগজিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। তবে, এই ভাষ্যও পরিবর্তন করা হবে কিনা সেটা দেখার বিষয়।
দেখা যাক হাদিস কোরানে মিথ্যা নিয়ে কি বলা আছে । মিথ্যা সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন : ‘মিথ্যাবাদীদের উপর অভিসম্পাত।’ (আল-ইমরান-৬১) ‘আল্লাহ তায়ালা মিথ্যুক অপচয়ীকে সুপথ দেখান না।’ (মুমিন : ২৮)। মিথ্যা কেবল তারা রচনা করে, যারা আল্লাহর নিদর্শনে বিশ্বাস করে না এবং তারাই মিথ্যাবাদী (নাহল ঃ১০৫) । সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তিনটি জিনিস মুনাফিকের নিদর্শন, সে যতই নামায-রোযা করুক এবং নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করুক, তাহলো কথা বললে সে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে তা খেলাফ করে এবং আমানত রাখলে তার খেয়ানত করে।’ মুসলিম শরীফে আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে দৃষ্টি দেবেন না এবং তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না, তারা হলো ব্যভিচারী বৃদ্ধ, মিথ্যুক শাসক এবং অহংকারী দরিদ্র।’
সৌদি রাজপ্রধানকে বলা হয় মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র দুই ধর্মীয় স্থান মক্কার কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নবাবির জিম্মাদার। সৌদির কঠোর ইসলামি নীতি , আদর্শ, আইন, রাষ্ট্র বাবস্থা , রাজা-বাদশা-রাজপুত্র আমাদের দেশের মোল্লা – মওলানা, শায়েখ – মুফতি- মাশায়েখ , আল্লামা – হযরত , অলিপুরি – হাকিমপুরী , শায়খুল হাদিস – মুফাসসেরে কোরান , ওয়াহাবি-সালাফি, মাজহাবী – লা- মাজহাবী , আহালে হাদিস – আহালে সুন্নাত , হেফাজতি-জামাতি , বাংলা ভাই-জংলি ভাই , আন্সারুল্লাহ-হকতুল্লাহ , মডারেট মুমিন – ডিজিটাল মুমিন সকলের কাছে সর্বোচ্চ আদর্শ ও প্রাতঃ স্মরণীয় । আমাদের এই দীর্ঘ তালিকার ইস্লামিসট ভাইদের এক জনকেও তাদের এই বাপস্তান কর্তৃক একজন নিরাপরাধ মুসলিমকে হত্যা ও পরবর্তী মিথ্যাচার নিয়ে সমালোচনা তো দুরের কথা একটা টু শব্দও করতে শুনিনি। অথচ , সদ্য প্রায়াত সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু ও তার গান বাজনা যে বেশারিয়তি আর আইয়ুব বাচ্চু যে একজন জাহান্নামী এই বয়ান দিতে দিতে উনারা মসজিদ,মক্তব, সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম করে বিশাল ঈমানই দায়িত্ব পালন করছেন। হীনমন্য বঙ্গ মুসলিমের ইসলামি ভণ্ডামোর কোন উদাহরণটিকে অস্বীকার করবেন।
(caption id=”attachment_9840″ align=”alignleft” width=”240″) যাত্রাবাড়ির মেয়ে তানিয়া, সৌদি মনিব মেরে পায়ের হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে। পাঠকদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে অত্যাচারের বেশি ভয়াবহ ছবি পরিহার করা হল।(/caption)
সৌদি আরবে বাংলাদেশী নারি শ্রমিকদের প্রতি অমানবিক নির্যাতনের বিষয়টি কারোরই অজানা নেই। গত তিন বছরে প্রায় ৫০০০ নারী ধর্ষণ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন, এদের অনেকেই আবব মনিব , মনিব পুত্রদের দ্বারা পালা ক্রমে ধর্ষিতা হয়েছেন এবং বিনা বিচারে গর্ভবতী অবস্থায় দেশে ফিরেছেন । এই সৌদি বর্বরতার কাহিনী অত্যন্ত মর্মান্তিক । এই সহি ইসলামি দেশের নারীদের প্রতি এই লাগামহীন ও বিচারহীন নির্যাতনের ফলে ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া , ফিলিপাইন ,উগান্ডা , ইথিওপিয়া তাদের নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে আর শ্রীলংকা পাঠানো কমিয়ে এনে বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে । বাংলাদেশ সরকার যদিও এ ব্যাপারে নীরব। অনেকেই সৌদি মালিক কর্তৃক বাংলাদেশী নারী শ্রমিক ধর্ষণকে ইসলামের দাসী সহবাসের কোরান ভিত্তিক বৈধতাকে দায়ী করেন। সংশ্লিষ্ট দুইটি সুরার আয়াত নীচে উল্লেখ করলামঃ
“ হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন।“ (সুরা আল-আহযাব আয়াত ৫০)
“ যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে, কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না।“ (সুরা আল-মা’আরিজ আয়াত ২৯-৩০)
এই বর্বর নারী নির্যাতনের ঘটনায়ও আমাদের ইস্লামিসট ভাইদের ইসলামি বিবেক মোটেও জাগ্রত হয়নি। কত ময়দান কাঁপানো ইসলামি ওয়াজির কাফির মুরতাদ হত্যা করা,নারী শিক্ষা ,চাকুরী বন্ধ করা বা পহেলা বৈশাখ, জাতীয় সংগীত বন্ধ করা সংক্রান্ত অতি জনগুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শুনতে পাই। এখানেও তাদের সৌদি বাপস্তানের বাপদের ব্যাপারে এরা মুখে ঢিলা কুলুপ এঁটে রেখেছেন । এত পদলেহন করার পরেও এই ইসলামি ভাইরা হয়ত একথা জানেন না যে, এই সৌদিরা সাদা চামড়া ছাড়া সকলকেই ফকির- মিসকিন মনে করে আর বাংলাদেশীদের তো প্রকৃত মুসলমানই মনে করে না। মুমিন ভাইদের আরও দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে সৌদি সরকার তার দেশের পুরুষদের উপর চারটি দেশের প্রবাসী নাগরিককে বিবাহের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে; এই দেশগুলো হল : পাকিস্তান, বাংলাদেশ, চাঁদ ও বার্মা । এর নাম সহি ইসলামি ভাতৃত্ব ও জাতিগত সাম্যতা। বঙ্গ মুসলিমের ইসলামি ভণ্ডামোর কোন উদাহরণটিকে অস্বীকার করবেন।
(caption id=”attachment_9849″ align=”alignright” width=”383″) ফায়হান আল ঘামাদি সৌদি ইসলাম প্রচারক যিনি ৫ বছরের নিজ কন্যা লুমাকে ধর্ষণ ও খুন করেন।(/caption)
এইসব হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের ঘটনাকে অনেকেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে পাশ কাঁটিয়ে যান। তবে সৌদিতে কর্মরত এমন একজন বাংলাদেশীকে কেও পাবেন না যারা এই সহি ইসলামি সমাজের জঘন্যতম অনৈতিকতার বর্ণনা দেবেন না। সেই সব বিস্তারিত বিবরণ আপনারা দয়া করে নিজেরাই যাচাই করে নিবেন। তবে সকলেই একটা বিষয়ে অভিন্ন বলেন যে সব সৌদি নিয়মিত নামাজ পড়েন। একটা ধর্মীয় রীতি কতোটা মূল্যহীন হতে পারে, এই বাংলাদেশী প্রবাসীদের মুখে সৌদিদের গল্প না শুনলে হয়ত বিশ্বাস করতাম না।ফায়হান আল ঘামাদি নামের এক সৌদি মোল্লা যিনি সৌদি টেলিভিশনে ইসলাম প্রচারের অনুষ্ঠান করতেন ২০১২ সালে তার ৫ বছরের নিজ কন্যা লুমাকে ধর্ষণ ও অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন করেন । প্রায় ৭ মাস হাসপাতালে ভোগার পর লুমা মৃত্যুবরণ করে। তার মাথার খুলি, পাঁজরের হাড় নির্যাতনের ফলে ভেঙ্গে যায়। এই জঘন্যতম অপরাধ করেও শুধু রক্তপনের টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়ে যান এই ইসলামি বক্তা, এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠলে পরবর্তীতে তাকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় কিন্তু পরবর্তী আদালতের রায়ে কিছু মাস কারা ভোগ করে এই খুনি ছাড়া পেয়ে যায়। যে দেশে অতি সামান্য বিচার প্রক্রিয়ায় বহু প্রবাসী শ্রমিকদের শিরচ্ছেদ করা হয়েছে, সেই একই শরিয়া বিচার বাবস্থায় এই শিশু খুনি, ধর্ষক সৌদি মোল্লার কোন শাস্তিই হয় না। যে কোন জাতি বা সংস্কৃতি থেকে ইতিবাচক দিকগুলো অবশ্যই গ্রহণযোগ্য তবে আত্মপরিচয়হীন হয়ে শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভুতির তাগিদে এই সৌদি বর্বরতার পদলেহন সত্যই দুঃখজনক।
(caption id=”attachment_9841″ align=”alignleft” width=”365″) ১৯৫৩ সালের ২১শের প্রভাত ফেরির ছবি। রাস্তা ঘাটে তখন হিজাবিদের ছড়াছড়ি ছিলনা। মানুষের নৈতিক অধঃপতনও বর্তমানের মত ছিলনা।(/caption)
বাংলাদেশে ধর্মীয় লেবাস আর হিজাবের এক সুনামি শুরু হয়ে গেছে গত দুই তিন দশক ধরে। হিজাবি নারী আর আলহাজ নেতা নেত্রী দিয়ে দেশ সয়লাব। প্রতি পাড়ায় দুই তিনটি করে মসজিদ থেকে দৈনিক পাঁচ বার করে আজান আর সব টিভি চ্যানেলে সুন্নতি চেহারার মোল্লা মাশায়েখ প্রতিদিন ইসলামি ছবক দিয়ে যাচ্ছেন। এ সব সহি ইসলামি তরিকার চর্চা দেখে আপনাদের মনে হতে পারে আহা দেশটা নৈতিকতা আর সততায় কতটাই না এগিয়ে গেছে ? বাস্তবিক চিত্র এর সম্পূর্ণ বিপরীত। এই ধর্মীয় পোশাকী আর বাহ্যিক প্রদর্শনীর বিপরীতে আমাদের বাঙালী জাতি হয়ে উঠেছে সবচেয়ে দুর্নীতি গ্রস্থ, মূল্যবোধ বিবর্জিত ও অপরাধপ্রবন জাতি। এই পোশাকী ধর্মাচরণ বাঙালীর অন্তরগত নষ্ট হয়ে যাওয়া বিবেক আর নৈতিকতার অবক্ষয় ঢাকার এক ভণ্ডামোর ঢাল ।
এই আপাত ধর্মাচরণের প্রদর্শনীর কারন বিবিধ, রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রনদিত কারন বাদ দিলে, এই হিজাব সংস্কৃতি অনেকটাই আমদানিকৃত ও আরোপিত। ইসলামি জঙ্গিবাদের মত এটারও প্রধান যোগানদাতা সৌদি ও পাকিস্তানি ধর্ম ব্যাবসায়িরা । ইদানিং আমাদের দেশে হিজাবি নারির চাইতেও এক কাঠি সরেস সাচ্চা মুমিনা দেখা যায়, উনারা আমাদের এই উষ্ণ প্রধান দেশে হাতমোজা পরিধান করে উনাদের সহি ধর্মপালনটাকে সবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এমনকি পঞ্চাশ বা ষাটের দশকের বাঙালী সমাজেও নারিরা সাধারন বাঙালি পোশাক পরেছেন, তখন এখনকার তুলনায় ধর্ষণ, ইভ টিজিং ছিল অতি বিরল আর নৈতিকতার মান বর্তমানের চাইতে অবশ্যই ছিল উন্নত।
(caption id=”attachment_9850″ align=”alignright” width=”287″) ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বিলাস বহুল ব্যাক্তিগত এয়ার বাস A380 র সামনে প্রিন্স তালাল সাথে সহি ইসলামি পোশাকে বিমান বালিকাগন(/caption)
যাই হোক ,যেই সৌদি সহি ইসলামি তরিকা আমরা এই হিজাব-দস্তানার মাধ্যমে পালন করছি , সেই রাজপ্রভুদের ব্যাক্তি জীবনে ইসলামের অসংগতির বর্ণনা দিতে গেলে সাত খণ্ড রামায়ন হয়ে যাবে। এতক্ষণ ফকির মিসকিনের গল্প শুনে যারা বিরক্ত সৌদি যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালালের প্রাচুর্যের কিছু ছবি উনাদের নিশ্চয়ই ভাল লাগবে। উনার ধন সম্পদ আর জৌলুসের বিবরন আরব্য উপন্যাসকেও হার মানাবে, আগ্রহি পাঠকরা ইউ টিউবে উনার ধন সম্পদ নিয়ে বহু ভিডিও আছে যা আপনারা দেখতে পারেন। ফরব্স ম্যাগাজিনের মতে উনি বিশ্বের ৪৫তম ধনী। উনার বা অন্যান্য উজির নাজিরদের ব্যাক্তিগত ধন সম্পদ নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই যদি তা নিজ মেধা ও যোগ্যতার দ্বারা সৎ উপায়ে অর্জিত হয়। পেট্রো ডলার থেকে অনুদান, অস্ত্র ব্যাবসার কমিশন ইত্যাদি বাদ দিলে, তাদের মূলধনের একটা বড় উৎস হজ্জ বাণিজ্যের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ যা আসে কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কষ্টার্জিত শ্রম লব্ধ বা জমিজমা বিক্রি করা টাকা থেকে। যেহেতু হজ্জের সাথে প্রবল ভাবে ধরমানুভুতি জড়িয়ে আছে কাজেই এই প্যারাডক্সটি কারো চোখে না পড়াটাই স্বাভাবিক। আমার পয়েন্ট উনাদের ধন সম্পদ আর জৌলুস নয় বরং যে ইসলামি আদর্শ উনারা আমাদের দস্তানা-হিজাবি বা ইস্লামিসট ভাইদের মন মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, তাদের ব্যাক্তিগত জীবনে এই রোল মডেলরা তাদেরই প্রচারিত শরিয়ত কতটুকু পালন করেন?
(caption id=”attachment_9851″ align=”alignleft” width=”291″) ?হিজাবি স্ত্রীর সাথে প্রিন্স তালাল। হীরক খচিত মারসেডিস গাড়িটি নিজের নয় বলে পরে দাবি করা হয়।(/caption)
সৌদি, তালিবান বা আই এস দ্বারা শাসিত ইসলামি রাষ্ট্রে আছে ধর্মীয় পুলিশ, যাদের কাজ ঘাটে, মাঠে , মার্কেটে কোন মহিলা মাহরম ছাড়া বের হয়েছে কিনা অথবা বোরখার ফাক দিয়ে চুল বের হয়ে গেল কিনা এসব দেকভাল করা, এসব পাওয়া গেলে সাথে সাথে দোররা বা আরও কোন ভয়াবহ শাস্তি এই মহিলাদের কপালে নেমে আসে। সহি ইসলামি লেবাস পরিহিত ললনা সমেত সৌদি যুবরাজের ছবি দেখে মনে হয় এই হিজাব – হাতমোজা শুধু অন্য দেশের টুঁটা ফাটা মুসলিমদের জন্য।
বাংলাদেশের কোন ওয়াযি – জামাতি, জাকির নায়কীয় টেলিভিশন জেহাদি, চরমনাই – হেফাযতি, তাব্লিগি-সালাফি, আহলে হাদিস – আহালে সুন্নত কারো মুখে ভুলেও এই সহি ইসলামি রোল মডেলদের কোন সমালোচনা কস্মিন কালেও শুনবেন না। বঙ্গ মুসলিমের ভণ্ডামোর আরেকটি প্রকৃষ্ট উদাহরন এটি। যতো ধর্মীয় শরিয়া, সালিশ –বিচার ক্ষমতাহীন, নিরপরাধ মানুষদের জন্য। কর্তার পাদে কোন গন্ধ নাই।
(caption id=”attachment_9845″ align=”alignright” width=”304″) পায়ুকামী ইসলামের লেবাসধারি হেফাযতি মোল্লা(/caption)
মধ্যপ্রাচ্য বাদ দিয়ে দেশে ফিরে আসি আর একটি ইসলামি ভণ্ডামোর উদাহরন দিতে। প্রায় প্রতিদিন খবরে আসছে কওমি মাদ্রাসা বা মসজিদে ইসলামি হুজুরদের ভয়াবহ যৌন অপরাধের নানা অজানা তথ্য, ভেতরের খবর হয়ত আরও ভয়াবহ আমরা শুধু হিমশিলার দৃশ্যমান উপরিভাগ দেখতে পাই। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কোন গুরুত্ব না দিলেও এর দীর্ঘ মেয়াদী ফলাফল যে কত ভয়াবহ তা হয়ত অনেকেই বুঝতে চান না। সমাজের গরিব বা অনুন্নত জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশের সন্তানরা পড়ে এই মাদ্রাসায়। সমাজের অনেক উঁচু তলার মানুষরা আখেরি জীবনে পূর্ণের আশায় অনেক সময় এই সব মাদ্রাসা তৈরি করে থাকেন। দান খইরাত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য থেকেও আসে মাদ্রাসার জন্য অনুদান। মাদ্রাসায় সমাজের উঁচু তলার মানুষরা কখনই তাদের সন্তানদের পড়ান না, নিজেরা যত বড় হাজি বা মুমিন হন না কেন, নিজের সন্তানদের বেপর্দা ইয়াহুদি নাসারা দেশে পড়াতে পারলে গর্ব বোধ করেন। অমানুষিক অত্যাচারে এই অসহায় এই শিশুরা স্নেহ বঞ্চিত অবস্থায় বাস্তব জীবনের জন্য সম্পূর্ণ অকার্যকরী এক শিক্ষা নিয়ে বের হয়। মানব সম্পদের অপচয় আর সম্ভবনার কবর দেয়ার এর চাইতে বড় উদাহরন পৃথিবীতে বিরল। যে হুজুররা এই শিশুদের উপর পায়ুকাম করেন, তারা খুব ভাল করেই জেনা করা বা সমকামের ইসলামি শরিয়া মোতাবেক শাস্তির কথা জানেন। অন্য সাধারন মানুষদের চাইতে নিয়মিত নামায পড়া আর প্রতিদিন কোরান পড়া উনাদের পেশার অন্তর্ভুক্ত। স্বভাবতই আমরা ভাবতেই পারি আমাদের মত পাপী –তাপী আম জনতার চেয়ে এই হুজুরদের কলব প্রতিদিন ইসলামি জমজমের পানি দিয়ে ধৌত করা হয় কাজেই উনাদের নৈতিকতা প্রতিদিন ইসলাম চর্চার ফলে হয়ে উঠবে অনুকরণীয়। বাস্তব চিত্র ঠিক এর বিপরীত, যে সকল ইসলামি পণ্ডিত নৈতিকতার মানদণ্ড হিসাবে ধর্মকে প্রধান বলে দাবি করেন, এই বাস্তবতা তাদের জন্য এক বিশাল চপেটাঘাত। ইসলামে বিবাহিত ব্যাক্তির জিনার শাস্তি রজম বা পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা আর সমকামের শাস্তি সর্ব অবস্থায় মৃত্যুদণ্ড, এর কার্যকর করার পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ আছে , তবে কোন এক ইসলামি সুত্র মেনে আই এস সমকামিদের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে। আমাদের এই বিশাল হেফাযতি –জামাতি অথবা অন্য কোন ইসলামি দল, গোষ্ঠী, ব্যাক্তি কেওই আজ পর্যন্ত এই পায়ুকামি সগোত্রীয় মোল্লা মওলানাদের শরিয়া ভিত্তিক ত দুরের কথা সাধারন বিচারের দাবিও তোলেন নি। অথচ ইনারাই নাস্তিক – মুরতাদের ফাঁসির দাবিতে বা ব্লাস্ফেমি আইন করার দাবিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মিটিং , মিছিল , লং মার্চ করে আসছেন। ভাব খানা এরকম, দেশের তাবত সমস্যার সমাধান নাস্তিক – মুরতাদের ফাঁসি দিলেই সমাধান হয়ে যাবে। এই ইসলামি ভণ্ডামো আর দ্বীচারিতা আমরা বিনা প্রতিবাদে মেনে নেই। পশ্চিমা দেশগুলো যারা যৌন স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, সেখানে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ভয়াবহ অপরাধ হিসাবে বিবেচিত। অপরাধ ঘটার ৫০ বছর পরেও অশীতিপর বৃদ্ধ পাদ্রিকেও বিচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যখন আমাদের মোল্লারা শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালান, তাতে এই শিশুদের পায়ুপথে ক্ষত সৃষ্টি করে দীর্ঘ মেয়াদী শারীরিক জটিলতা হতে পারে, অধিক রক্ত ক্ষরণের ফলে মৃত্যুর ঘটনাও প্রচুর। অনেক সময় হুযুররা রক্তপাত বন্ধ করতে না পেরে ভয়ে শিশুটিকে হত্যা করেন। তবে, সবচেয়ে ক্ষতিকারক এই নির্যাতনের ফলে শিশুটির মানসিক স্বাস্থ্যের যে দুরারোগ্য ক্ষতি হয়। পরবর্তী জীবনে এই শিশু নানা মানসিক সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে, নিজের মধ্যে জন্ম নেয় জগতের প্রতি ঘৃণা ও অবিশ্বাস। এক ধর্ষকামী মনস্তত্ত্ব নিয়ে নিজেও হয়ে উঠে সমাজে অমানানসই , অসুখী এক ব্যাক্তি। কোন সমাজপতি, দায়িত্বশীল ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয় গুলো ভেবে দেখেন না। আমাদের সমাজে বড়জোর দুইটা চর থাপ্পর বা জুতার মালা গলায় পরিয়ে এই ভয়াবহ অপরাধের এক প্রতীকী বিচার করা হয়। এই হুযুর পুনরায় নিয়োগ পান অন্য কোন মাদ্রাসায় আর চালিয়ে যান তার যৌন বিকৃতি নতুন কোন শিকারের উপর। আমাদের ভণ্ড, ধর্মবাজ ইস্লামিসটরা স্বভাবতই এ নিয়ে মুখে ঢিলা কুলুপ এঁটে নিরব থাকেন।
এক উদ্ভট উটের পিঠে ঠিক কবে থেকে আমাদের দেশ তথা বঙ্গ মুসলিমরা সাওয়ার হয়েছেন সেটা তর্ক সাপেক্ষ আর ধর্মই যে এই উল্টো যাত্রার একমাত্র কারন সেটাও ঠিক নয়। তবে আমাদের চরিত্রের গভীরে যে ভণ্ডামো আর দ্বীচারিতা আমাদের বিবেককে রুদ্ধ করে রেখেছে তার একটি প্রধান কারন এই ধর্মীয় রঙ ফর্সাকারি ক্রিম ,একজোড়া ধর্মীয় রোদ চশমা আর ধর্মীয় কানের খৈল যা কর্ণ কুহরকে বধির করে রেখেছে। যে সব ধর্মবাজ গোষ্ঠী বা রাজনীতিবিদগণদের স্বার্থের জন্য এই ধর্ম আর ভণ্ডামো অতি প্রয়োজনীয় তারা যুগ যুগ ধরে এর বাজারজাতকরন করে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। সাধারন মানুষকে তার নিজের বিবেক- বুদ্ধি , চিন্তা-চেতনা আর মননশীলতাকে এই ভণ্ডামো থেকে মুক্ত করতে হবে আর তা নাহলে সব সমস্যার সমাধানের জন্য সাত আসমানের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবেন, তাতে উড়ন্ত পাখির পড়ন্ত বস্তু ছাড়া আর কিছুই আপনাদের ভাগ্যে জুটবে না। ভেড়ার পালের মত আসমানি কিতাব বগলে নিয়ে ধর্মবাজ মোল্লা – পুরুত-রাজনীতিবিদদের পিছনে যতই ছোটেন না কেন একদিন জবাই হওয়া আপনার মাংস দিয়েই ইনারা পবিত্র ভোজ সভা বসাবেন।
তথ্যসূত্রঃ
1. সৌদি আরবে বাংলাদেশী নারি শ্রমিকদের অমানবিক নির্যাতন সংক্রান্ত তথ্যসূত্র :
Employers from hell : Domestic workers tortured by their ‘masters’
News.com.au May 1, 20181:27am
2. Saudi Arabia: Men banned from marrying some expat women
But men are apparently banned altogether from marrying expat workers from Pakistan, Bangladesh, Chad and Burma. Unofficial statistics say that Saudi Arabia, which already has a very large foreign workforce – some estimate it at nine million people or 30% of the population – has about 500,000 female residents from those four countries.
3. Uganda bans maids working in Saudi Arabia amid complaints of mistreatment
Indonesia, Ethiopia and the Philippines have also banned the flow of migrant workers to Saudi Arabia until they could be assured the workers were given basic labor rights.
By YASIN KAKANDE/REUTERS
Jerusalem Post
January 23, 2016 04:08
4. ফায়হান আল ঘামাদি সৌদি ইসলামি প্রচারক ৫ বছরের নিজ কন্যা লুমাকে ধর্ষণ ও হত্যা সংক্রান্ত তথ্যসূত্র :
Saudi preacher who killed his daughter released
Published: 16:18 August 26, 2015 02
By Habib Toumi, Bureau Chief
5. সৌদি যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালাল ও অন্যান্য বিষয়ে কিছু রেফারেন্স :
Al-Waleed bin Talal
Strange things Saudi Princes spent money on
Lifestyle Of Wahhabi/Saudi Prince Al Walid bin Tallal
কথা সত্য কিন্তু এই কথাগুলো বোঝার মতো যৌক্তিক চিন্তাচেতনা্ কী মুমিনদের ভিতরে কাজ করে? তবে এটাকে ওরা ইসলাম বিদ্বেষী বলে ঠিকই চালিয়ে দিবে। কারন ওরা যে একটু বেশী বেশী ধর্মান্ধ। আজকে আমার Kumar Dada KD ফেইজবুক প্রোফাইলে ধর্ম কী করে অঙ্কুরিত হয় তার একটা প্রমান আমার মোবাইলে ধারন করা ভিডিওতে দেখাবো। তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ।
হে জীবন
———-মুহাম্মদ জনি
(উৎসর্গ মুক্তমনাদের উদ্দেশ্যে )
হে জীবন তোমার সাথে আড়ি ।
ধোঁয়ায় উড়ে যাও ,তুমি
বেখেয়ালি মনে ।
হে জীবন
তোমার সুখ ,আনন্দ ।
তো এনট্রপি বাড়ানোর খেলা
অথবা কতকগুলো সুতোর নড়াচড়া ।
হে জীবন
তুমি তোমার স্নায়ুকোষে
সত্য মিথ্যার মিশেলে
কল্পনার সাগরে” চৈতন্যময়” আত্মা ।
হে জীবন
তোমাকে স্বাগতম
এই উন্মুক্ত সিস্টেমে ।
উদার মানবতার ঐ মুক্ত গগনে ।
হে জীবন
তবুও ,তোমার সাথে আড়ি ,
তোমার এই উদ্দেশ্যহীন ভ্রমণে ,
প্রকৃতির এই বিশৃঙ্খল খামখেয়ালিপনায় ।
হে জীবন
তুমি দর্শকের ভূমিকায়
নাটক চলছে মঞ্চে…