অনাগত পুত্রের প্রতি

Print Friendly, PDF & Email

আমি জানি, তুমি এখন এই চিঠিটি পড়তে পারবে না। হয়তো অনেক বছর পরে, তোমার হাতে চিঠিটি আসবে, অথবা হারিয়ে যাবে। তুমি হয়তো কোনদিনই জানবে না, আমি তোমাকে একটি চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু আমি খুব করে আমি চাই চিঠিটি থেকে যাক, তোমার জন্য। একদিন হয়তো তুমি চিঠিটি পেয়েও যেতে পারো।

আমি তোমার বাবা হই। বেশিরভাগ বাবারাই তাদের সন্তানকে ভালবাসে, আমিও তোমাকে বাসি। অনেক ভালবাসি। তবে যত ভালই বাসি, কখনো তোমার মায়ের মত করে বাসতে পারবো না। কারণ প্রকৃতি থেকে আমি সেই ক্ষমতাটুকুই পাই নি। আমি একজন পুরুষ, তাই হয়তো আমি তোমার মায়ের মত করে কখনই তোমাকে ভালবাসতে পারবো না। নারীদের মত করে পুরুষেরা ভালবাসতে পারে না। তাই মনে রেখো, পৃথিবীর সব যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তবুও, তোমার মা, একজন নারী, তোমাকে বুকে আগলে রাখবে। যদি রূপকথার দৈত্য দানব কিংবা আল্লাহ ভগবান ঈশ্বরের সাথেও যুদ্ধ করতে হয়, তোমার মা তোমার জন্য সেটাও করবে। তাই আমি না থাকলে, তুমি তাকে আগলে রেখো। যত্ন করে। তোমার ভালবাসা মানুষকেও। তোমার কন্যাকেও। পৃথিবীর সকল নারীকে। তোমার মাকে তুমিও অনেক ভালবেসো। যেমনটা আমি তোমাকে বাসি।

হয়তো অন্য বাবাদের থেকেও বেশি। তুমি যেদিন এই চিঠিটি পড়বে, সেদিন আমি নাও থাকতে পারি। তাই আমি ভাবতে ভালবাসি, একদিন তুমি বাবার এই চিঠিটি হাতে পাবে, পড়বে, আর তোমার ভেতরে খুঁজে পাবে আমার অস্তিত্বকে। আমি তোমার ভেতরে কোথাও না কোথাও রয়ে যাবো। হয়তো তোমার রক্ত কণিকার কোন এক কোনায়, বা মস্তিষ্কের ভেতরে কোন নিউরনের মধ্যে। খুব গোপনে।

এখন তুমি খুব ছোট। সেদিন ডাক্তার বলেছে তোমার ওজন ৪৭০ গ্রাম। কাউকে না বলার শর্তে ডাক্তার আমার কানে কানে বলে দিয়েছে, তুমি একজন ছেলে। আর মাত্র চারটে মাস, এরপরেই তুমি দেখতে পাবে পৃথিবীর আলো বাতাস। পৃথিবীর রঙ রূপ। জীবন এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। এই জীবনকে প্রাণভরে উপভোগ করবে তুমি। ” কত লক্ষ জনম ঘুরে ঘুরে, আমরা পেয়েছি ভাই মানব জনম। এ জনম চলে গেলে আর পাবো না না না না আর মিলবে না ” -এটা একটা অসাধারণ বাঙলা গান।

কিন্তু মনে রেখো, তোমাকে আমরা এমন এক পৃথিবীতে নিয়ে আসছি, যেই পৃথিবীকে পৃথিবীর মানুষরাই ক্রমশ ধ্বংস করে ফেলছে। আমি চাই না, তুমি তাদের মত একজন হও। আমি খুব করে চাই, পৃথিবীর প্রতিটি গাছপালা, প্রতিটি পশুপাখি এমনকি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কীটপতঙ্গকে পর্যন্ত তুমি তোমার স্বজন ভাববে। খেলার ছলে, বা আনন্দের জন্য কারও জীবন কেড়ে নেবে না। তা একটি পাখী হোক, কিংবা খরগোশ, বা একটি ফড়িঙ। আমরা সবাই মিলেই পৃথিবীর এই জীবজগত। কোন পশুপাখি গাছপালাকে তুমি তোমার থেকে দূরের কেউ ভেবো না। কিংবা ভেবো না, তুমি তাদের থেকে শ্রেষ্ঠ বা উন্নত। অনেকে তোমাকে বোঝাতে চাইবে, তুমি সৃষ্টির সেরা জীব, তুমি সেসব কথাকে গুরুত্ব দিও না। সেগুলো কিছু ঠগ বাটপার, হিংসুটে এবং অহংকারী মানুষের কথা।

বরঞ্চ ভেবো, তুমি এই পরিবারের একজন সদস্য। আর পরিবারে যেমন একজন আরেকজনার ওপর নির্ভর করতে হয়, হাতে হাত ধরে চলতে হয়, তুমিও সেরকম চলবে। হয়তো বেঁচে থাকবার জন্য তোমার অন্যান্য মানুষ, প্রাণী বা গাছপালার প্রতি নির্ভর করতে হবে, কিন্তু তাদের জীবনকে তুমি অসম্মান করো না। যেই মানুষটি তোমার জন্য ধান উৎপাদনের কাজ করেছে, কিংবা যেই পশুটি তোমার জন্য জীবন দিয়ে তোমার আমিষের চাহিদা পূরণ করেছে, বা যেই গাছটি নিজের সবকিছু দিয়ে তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, এমনকি অক্সিজেন দিয়েও তোমাকে নিঃশ্বাস নিতে দিচ্ছে; তাদের সবাইকে তুমি ভালবেসো, শ্রদ্ধা জানিও। এমন নয় যে, তুমি মানুষ হিসেবে জন্মেছো বলে শ্রেষ্ঠ, তাই তুমি তাদের থেকে শুধু নেবে! তুমি মোটেও শ্রেষ্ঠ কেউ নও। কারণ শ্রেষ্ঠ তারাই, যারা নিঃস্বার্থভাবে দিতে জানে। তুমি হয়তো একদিন শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠবে। যদি তুমি একটি গাছের মত অক্সিজেন, ফলমূল এমনকি কাঠ পর্যন্ত কাউকে দিয়ে যেতে পারো। যেমন, আমি আমার শরীরটিকে মৃত্যুর পরে ব্যবহারের জন্য দান করে গিয়েছি। কেউ হয়তো আমার একটি চোখ নিয়ে দেখতে পাবে, কেউ হয়তো আমার একটি কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকবে। আমি বেঁচে থাকবো তাদের মধ্যে। এর চাইতে আনন্দের আর কী হতে পারে?

মনে রেখো, মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছো বলেই শ্রেষ্ঠ, এইরকম ধারণা অত্যন্ত বর্বর ধারণা। বরঞ্চ শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠতে হয়, কাজ দিয়ে। মেধা দিয়ে। ভালবাসা দিয়ে। একদিন তুমি শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠবে, আমরা তা খুব করে চাই।

আবার দেখবে, কেউ কেউ তোমাকে বোঝাবে, তুমি যেহেতু একজন পুরুষ মানুষ, তাই তুমি শ্রেষ্ঠ। বা তুমি বেশি ক্ষমতাবান। আমি জানি, তুমি ঠিকই বুঝতে পারবে, এগুলোও সেই একই ঠগ বাটপার অহংকারী কিছু মানুষের ঠগবাজি। তুমি মোটেও কোন নারীর চেয়ে, কিংবা তৃতীয় লিঙ্গের চেয়ে, কিছুমাত্র শ্রেষ্ঠ নও। এই উৎকট শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাকে তুমি কখনো তোমাকে গ্রাস করতে দিও না। খুব জঘন্য এই ধারণা, তোমাকে ক্রমশ দানবে পরিণত করবে। তুমি মনে রেখো, যেই মা তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভালবাসে, পৃথিবীর প্রতিটি মেয়ের মধ্যে তেমন একজন করে মা বসবাস করে।

বরঞ্চ তুমি নারীদের পক্ষে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পক্ষে, সমকামী মানুষদের অধিকারের, আদিবাসী সংখ্যালঘু সকল মানুষের পক্ষে কথা বলবে। পৃথিবীর অধিকাংশ নারীর এই যুগেও স্কুলে যাওয়ার অধিকার নেই, নিজেকে সমান অধিকার সম্পন্ন মানুষ বলে দাবী করার সাহস নেই। যেন তারা মানুষই নয়। যেন তাদের ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন পুরুষের বিনোদনের জন্য! এসব রূপকথা একজন নারীর জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর। তুমি সকলের পক্ষে কথা বলবে। সেই নারীদের মধ্যে হয়তো কেউ কেউ তোমাকে আক্রমণ করবে, তোমার ক্ষতি করবে, কিন্তু তুমি তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ো না। গত কয়েক হাজার বছর ধরে আমরা পুরুষেরা তাদের যেই পরিমাণ অত্যচার করেছি, যেই নির্যাতন করেছি, তার দায় আমাদেরকেই নিতে হবে। তুমি যদি তা পারো, আমি ভাববো, তুমি মানুষ হয়ে উঠেছো।

পৃথিবীর মানুষ এখন নানা ধরণের যুদ্ধ এবং একে অন্যকে হত্যা করার এক বীভৎস খেলায় মেতে উঠেছে। এই যুদ্ধ আর একে অন্যকে হত্যা করার খেলায় কেউ কখনো জেতে নি। কিন্তু কিছু মূর্খ বর্বর মানুষ এই ভেবে সুখ পেয়েছে যে, তারা জয়লাভ করেছে। তুমি কখনো সেই খেলায় মেতে উঠো না। সেনাবাহিনী, অস্ত্রধারী, মারণাস্ত্র প্রস্তুতকারী, এরা কোন না কোন মানুষের রক্তেই আনন্দ পায়। যারা মানুষ হত্যার ট্রেনিং নিয়ে অপেক্ষায় থাকে, কখন মানুষ হত্যা করতে পারবে, কবে অনুমতি পাবে। আর অনুমতি পেলেই ঝাঁপিয়ে পরে তারই মত আরেকজন মানুষের ওপর, যেই মানুষটির ছোট্ট ছেলেটা হয়তো তার বাবার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। তোমার নিয়ন্ত্রকেরা হয়তো তোমাকে বলবে, সেই বাবাটির বুকে গুলি চালাতে পারলেই তুমি বীর, তুমি বীরশ্রেষ্ঠ, তুমি মহান! সেইসব নিয়ন্ত্রকের কথায় তুমি ভুল করো না। সেই মরণ খেলায় তুমি কোনদিন নাম লিখিও না। কারণ, তুমি যেই পক্ষেই থাকো, যার রক্তে পৃথিবী রক্তাক্ত হবে, সেও কারও বাবা মা ভাই বোন। যাদেরকে তুমি কোনদিন দেখো নি, যাদের নামটাও তুমি জানো না, সেই মানুষটিকে তুমি পারলে বুকে জড়িয়ে ধরো। হত্যা করার কথা ভাববে না।

কোনদিন কোন অস্ত্র হাতে নিও না। কোনদিন কাউকে হত্যার কথা ভেবো না। আমি জানি, অস্ত্র হাতে নিলে এক অদ্ভুত আনন্দ হয়। নিজেকে সবার চাইতে শক্তিশালী আর শ্রেষ্ঠ মনে হতে থাকে। মনে হতে থাকে, আমি আরেকজন মানুষের চাইতে ক্ষমতাবান। কিন্তু এই ক্ষমতার আনন্দ ভয়াবহ, তার ভয়াবহতা থেকে তুমিও রক্ষা পাবেনা। জীবন নামক এই অপূর্ব অভিজ্ঞতার স্বাদ নেয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। যতটা তোমার, ততটাই অন্য সকলের।

আজ থেকে বহুকাল আগে কিছু বর্বর আর যুদ্ধবাজ লোকেরা ধর্ম আর ঈশ্বর সৃষ্টি করেছিল। তারা বলেছিল, তাদের ঈশ্বরই শ্রেষ্ঠ আর সত্য, করুণাময়। তাদের ধর্মটিই শান্তির। এবং এই কথাটি না মেনে নিলে তারা তোমাকে হত্যা করতেও পারে। মানুষের ভেতরে তারা তুলে দিয়েছিল বিভেদের এক দেয়াল। জানিয়েছিল, তুমি হিন্দু তুমি মুসলিম তুমি ইহুদী তুমি খ্রিস্টান। তুমি এই দলাদলির মধ্যে কোনদিন যেও না।

তারা টিভিতে দেখানো বিজ্ঞাপনের মতই দাবী করেছিল, তার কথাটিই একমাত্র সত্য, তার ধর্মটিই একমাত্র সঠিক। তারা তোমাকে প্রতিশ্রুতি দেবে অনন্ত ভোগ বিলাসী জীবনের, এক কাল্পনিক স্বর্গের, যেগুলোর আসলে কোন অস্তিত্ব নেই। কিছু যৌন অবদমনের শিকার পার্ভার্ট বিকৃত মগজের নোংরা যৌন রুচি সম্পন্ন লোক কল্পনা করেছে এরকম এক স্বর্গের। কিন্তু তুমি তোমার স্বর্গ নিজেই ঠিক করে নিও। একটা অসহায় শিশুকে কোলে তুলে নিলে, ঘরে ঢুকে আটকে যাওয়া একটি চড়ুই পাখীর জীবন বাঁচালে যেই আনন্দ হয়, সেটাই আসল স্বর্গ। অশালীন পরকাল কল্পনার চাইতে তা অনেক সুখকর। কোন লোভ ভয় বা প্রাপ্তির বিনিময়ে যেই কাজ, তাতে কোন স্বর্গ মিলবে না।

তোমার ওপর আমি কোন ধর্ম, এমনকি নাস্তিকতাও চাপিয়ে দেবো না। তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হলে নিজেই ঠিক করে নিও, তুমি কোন ধর্মটি বেছে নেবে। কোনটি তোমার কাছে যথার্থ বলে মনে হয়। কোন ধর্মই যদি উত্তম না মনে হয়, তাহলে আমার মত নাস্তিকও হতে পারো। তবে, যেকোন ধর্ম যদি গ্রহণ করোও, মনে রেখো, আমি তোমাকে ততটাই ভালবাসবো, যতটা এখন বাসি। তুমি বিনা সংকোচে যেকোন ধর্ম গ্রহণ করতে পারো, সেই ধর্মটি আমার খুব অপছন্দের হলেও। আমি বাধা দেবোনা।

তুমি এটাও ভেবো না, তুমি জার্মানিতে জন্মেছো বলে তুমি আফ্রিকা কিংবা বাঙলাদেশের পথশিশুর চেয়ে উন্নত। বরঞ্চ, তুমি যেই সুবিধাটুকু পাচ্ছো, সেই সুবিধাটুকু তুমি আরেকজনার সাথে ভাগ করে নিতে পারো। তুমি ভেবো না, তোমার গায়ের রঙ কিছুটা ফর্সা বলে তুমি আফ্রিকার মানুষের থেকে শ্রেষ্ঠ। তুমি এটাও ভেবো না, তোমার গায়ের রঙ কিছুটা কালো বলে তুমি ইউরোপের মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। প্রতিটি মানুষ আলাদা, এবং বৈচিত্র্যময়। এই বৈচিত্র্যই সুন্দর।

সবার জন্য ভালবাসা

ধর্মবাদ, জাতীয়তাবাদ, বর্ণবাদ, লিঙ্গবাদ এইসবই বর্বর এবং পুরনো আমলের কিছু ঠগ বাটপারের চালাকি। আমাদের বিভক্ত করার, এবং একে অন্যের গলায় ছুরি চালাবার অজুহাত তৈরিরই বর্বর ধারণা। আমি চাই, তুমি এইসব চালাকির মধ্যে পা দিও না। একজন মানুষ, একজন পৃথিবীর নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলো। এই পৃথিবীটা তোমার। এই পৃথিবীর বাইরে আর কোন পৃথিবী নেই, আর কোন স্বর্গনরক নেই। তাই এই পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখবার দায়িত্বও তোমার।

তোমার ছোট্ট কাঁধে অনেক মস্ত বড় দায়িত্ব। পৃথিবীকে এগিয়ে নেয়ার, বাঁচিয়ে রাখার। তোমার এই দায়িত্ব নিতে হবে। তুমি তোমার সন্তানকেও জানিয়ে যেও, আমাদের এই পৃথিবীটাকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। আমাদের মানুষের এই প্রজাতিটিকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। আমরা মিলে মিশে কাজ করলে আমরা আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারবোই। পৃথিবীর মানুষ অনেক দূষিত আর বিষাক্ত করে ফেলেছে এই বিশ্বকে। আমাদের আর বেশি সময় নেই।

অনেক কথা লিখে ফেললাম। তুমি হয়তো অনেক কথাই বুঝবে না, অনেক কথার মানেও হয়তো তুমি জানো না। আমি মোটেও তোমাকে শুধু উপদেশ দেয়ার জন্য কথাগুলো লিখি নি। উপদেশ দেয়া আমার স্বভাবেই নেই। আমি শুধু তোমার জন্য জীবন যাপনের কিছু চিন্তা জানিয়ে গেলাম। তুমি অবশ্যই এসবের যেকোন কথার সাথে দ্বিমত করতে পারো।

মনে রেখো, কোন কথাকেই বিনা দ্বিধায় যাচাই বাছাই না করে, বিচার বুদ্ধি জ্ঞান না খাটিয়ে মেনে নিও না। বরঞ্চ সবকিছুকেই প্রশ্ন করতে শিখো। হোক সেটা আইন, হোক রাষ্ট্র, হোক ধর্ম, হোক সমাজ। এমনকি, আমার কথাগুলোও।

ভাল থেকো । ভালবাসা সবসময়।
তোমাকে ভালবাসি, আমার খুব আদরের সন্তান।

– তোমার বাবা।

আসিফ মহিউদ্দীন

আসিফ মহিউদ্দীন সম্পাদক সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন [email protected]

2 thoughts on “অনাগত পুত্রের প্রতি

  • September 12, 2023 at 2:52 PM
    Permalink

    ভালো লাগলো লেখাটি। অসাধরণ !

    Reply
  • February 24, 2024 at 3:01 AM
    Permalink

    মানবতা বেঁচে থাক পৃথিবীর সবার মধ্যে

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *