ইসলামে নারীর খৎনা প্রসঙ্গে

Print Friendly, PDF & Email

ভূমিকা

নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (FGM) একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা যার মধ্যে বাহ্যিকভাবে মহিলা যৌনাঙ্গের আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ বা নারীর যৌনাঙ্গ বিকৃতিকরণ অন্তর্ভূক্ত। পৃথিবীর কিছু কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনো এই পুরনো প্রথাটি একটি সাংস্কৃতিক অনুশীলন, যার মাধ্যমে নারীর যৌনতা নিয়ন্ত্রণ, বিয়ের আগে কুমারীত্ব সংরক্ষণ এবং নারীকে একটি যৌনবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করার বর্বর প্রথা হিসেবে পালিত হয়। নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ সম্পূর্ণভাবে একটি মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং এর গুরুতর শারীরিক এবং মানসিক পরিণতি রয়েছে যা সারাজীবন স্থায়ী হতে পারে। জাতিসংঘ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন থেকে এই ক্ষতিকারক প্রথা বন্ধ করার বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায় আজও এই ক্ষতিকর প্রথাটি গোপনে অনুশীলন করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমরা আলোচনা করবো, ইসলাম এই বিষয়ে কী বলে তা নিয়ে।

প্রথমত, নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (FGM) একটি পরিষ্কার মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রতিটি ব্যক্তির শারীরিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে, যা একটি শিশুর মৌলিক অধিকার। নারীর খৎনা হচ্ছে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার একটি রূপ যা মেয়েদের প্রচুর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে। এটি তাদের জীবন, স্বাস্থ্য এবং নির্যাতিত না হওয়ার অধিকারের লঙ্ঘন এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণও বটে। নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (FGM) জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসাবে স্বীকৃত এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন দ্বারা নিষিদ্ধ।

দ্বিতীয়ত, নারীর খৎনা বা যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (FGM) এর গুরুতর শারীরিক পরিণতি রয়েছে। প্রক্রিয়াটি প্রায়শই গোপনে মেডিকেল সায়েন্স সম্পর্কে অনভিজ্ঞ মানুষকে দিয়ে করানো হয় এবং প্রাথমিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে করা হয়, যা সংক্রমণ, রক্তপাত এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়। নারীর খৎনার তাৎক্ষণিক জটিলতার মধ্যে গুরুতর ব্যথা, প্রস্রাবের সমস্যা, এবং মাসিক ও সন্তান প্রসবের সমস্যা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ ক্ষত টিস্যু(scar tissue) গঠনের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা এবং যৌন আনন্দহীনতার কারণ হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত যে, নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ প্রসবের সময় জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়, যা মা ও শিশুমৃত্যুর কারণ হতে পারে।

তৃতীয়ত, নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ এর মনস্তাত্ত্বিক পরিণতি রয়েছে যা সারাজীবন স্থায়ী হতে পারে। যে নারীরা খৎনা করেছেন তারা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন। খৎনা এছাড়াও যৌন আনন্দের ক্ষতির কারণ হতে পারে, যা লজ্জার অনুভূতি, কম আত্মসম্মানবোধ এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে পরিচালিত করে। অনেক ধর্মান্ধ সমাজে নারীর খৎনার সাথে সাথেই নারীর যোনিপথ প্রস্রাবের ছিদ্র বাদ রেখে বাকি অংশ সেলাই করে দেয়া হয়, শুধুমাত্র বিবাহের আগে সেই সেলাই খুলে দেয়া হয়। এটিও একটি ভয়াবহ অবস্থা, যার ক্ষতিকর দিক অজস্র।

সবশেষে, খৎনার কোন শারীরিক বা মেডিকেল প্রয়োজনীয়তা পাওয়া যায়নি, এবং এর কোনো স্বাস্থ্য সুবিধাও নেই। খৎনা সম্পাদনের জন্য যে কারণগুলি দেখানো হয় সেগুলো সবই চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বীকৃত প্রমাণাদির পরিবর্তে ভুল ধারণা এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। খৎনার কোন স্বাস্থ্য সুবিধা তো নেই-ই, বরঞ্চ কুমারীত্ব রক্ষা করা বা কোন রোগ প্রতিরোধও করতে পারে না। পরিবর্তে, এটি অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণা ও কষ্টের কারণ হয় এবং নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, নারীর খৎনার কোনরকম কোন যৌক্তিকতা নেই, এবং এটি একটি ক্ষতিকর এবং অপ্রয়োজনীয় অভ্যাস যা অবশ্যই নির্মূল করা উচিত। নারীর যৌনাঙ্গের অঙ্গচ্ছেদ একটি গুরুতর মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং যার মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক পরিণতি রয়েছে।

ইসলামে এবং খৎনা

ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, মহাবিশ্বের সকল কিছুর একমাত্র স্রষ্টা আল্লাহ পাক সমস্ত কিছু সৃষ্টির পরে তার শ্রেষ্ঠতম, নির্ভুল, ত্রুটিমুক্ত, নিখুঁত সৃষ্টি হিসেবে আশরাফুল মাখলুকাত বা মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করেন। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থে আল্লাহ পাক বলেছেন, [1]

নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শ্রেষ্ঠতম-সুন্দর আকৃতিতে।’ (সুরা তীন : আয়াত-৪)

ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, মানুষ হচ্ছে একজন পারফেক্ট স্রষ্টার একটি পারফেক্ট সৃষ্টি। এতই উত্তম বা পারফেক্ট যে, এর চেয়ে উত্তম বা পারফেক্ট আর কেউ বানাতেই পারতো না। একইসাথে, তিনি আব্রাহামিক ধর্মের প্রবর্তক আব্রাহামকে নির্দেশ দিয়েছেন নিজের লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া কেটে ফেলার। কারণ আল্লাহ চান তিনি যেভাবে বানিয়েছেন, মানুষ সেভাবে না থেকে নিজের লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়াটুকু কেটে ফেলুক। মানে পারফেক্ট একটি সৃষ্টিকে সংশোধিত করা। অর্থাৎ, স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে, আল্লাহ পাক মানুষ সৃষ্টির সময় লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া বাদ দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। তাই পরবর্তীতে নবী পাঠিয়ে তিনি মানুষকে খৎনার নির্দেশ দেন। কারণ একটি পারফেক্ট সৃষ্টিতে পুনরায় ছুরি কাচি চালিয়ে সংশোধন করার দরকার হয় না। তার মানে, হয় শুরুতে আল্লাহ সঠিকভাবে পারফেক্ট মানুষ বানাতে পারে নি, তাই সংশোধন দরকার হয়েছিল, নতুবা সংশোধনের নির্দেশটি ভুয়া। পারফেক্ট দাবী অনুসারে দুটি একইসাথে সত্য হতে পারে না।

খাৎনা হচ্ছে শরীর থেকে একটি জিনিস কর্তন করা। সাধারণতভাবে, লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া কেটে বাদ দেয়াকেই খৎনা বলা হয়। অনেকেই দাবী করেন, খৎনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য দরকারী। খৎনা না করলে নাকি নানা রোগ হয়! তবে বৈজ্ঞানিকভাবে সেইসব দাবীর সত্যতা কতটুকু, এখানে আমরা সেটি আলোচনা করছি না। আলোচনা শুধুমাত্র ইসলামে নারীর খৎনা বিষয়ে কী বলা হয়েছে, তা নিয়ে। পরবর্তীতে খৎনা আসলেই কতটা উপকারী বা অপকারী, তা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে মুসলমানগণ যুদ্ধক্ষেত্রে লাশের লিঙ্গ পরীক্ষা করে খৎনা দেখার মাধ্যমে মুসলিমদের খুঁজতেন এবং কবর দিতেন। মুসলিমদেরকে হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধ বা পৌত্তলিকদের থেকে আলাদা করে চেনার জন্যে খৎনা মুসলিমদের কাজে লাগে।

সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ এটি দলীল ভিত্তিক এবং বিভিন্ন মাযহাবের উদ্ধৃতি উল্লেখ সাপেক্ষে রচিত ফিকহ গ্রন্থ। আধুনিক সময়ের সর্বোচ্চ আলেমগণ যেমন শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী, শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায, শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন প্রমুখ এর  ফিক্বহী পর্যালোচনাও যুক্ত করা হয়েছে। বইটি অনুবাদ করেছেন মাইনুল ইসলাম (মঈন)। এটি প্রকাশ করেছে সালাফী রিসার্চ ফাউন্ডেশন। এই গ্রন্থ থেকে আমরা একটি দলিল দেখে নিই, [2]

নারীর খৎনা 2

এছাড়াও অসংখ্য ইসলামিক গ্রন্থে বর্ণিত আছে, নারীর খৎনার সর্বোচ্চ উদ্দেশ্য ও উপকারিতা হচ্ছে, তার যৌন উত্তেজনা হ্রাস করা। ইসলামে একে নারীর জন্য সম্মান বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। আহমদ ইবন হাম্বলের মুসনাদ গ্রন্থে বলা হয়েছে (হাদিসটির সহিহ বিবরণ পাওয়া যায় না) [3]

“খাতনা পুরুষের জন্য সুন্নাত ও নারীর জন্য সম্মান।”
Abu al- Malih ibn `Usama’s father relates that the Prophet said: “Circumcision is a law for men and a preservation of honour for women.”
Ahmad Ibn Hanbal 5:75; Abu Dawud, Adab 167

প্রখ্যাত শরীয়া আইনের গ্রন্থ আহমদ ইবন নাকিব আল মিসরি রচিত উমদাত আল সালিক যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফিকাহ শাস্ত্র এবং শাফী মাজহাবের গুরুত্বপুর্ণ গ্রন্থ, সেখানে বলা আছে, খৎনা নারী পুরুষ উভয়ের জন্যেই বাধ্যতামূলক। [4]

নারী পুরুষের খৎনা

আসুন এই বিষয়ে বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম আহমদুল্লাহর বক্তব্য শুনে নিই,

নারীর খৎনা কী?

নারীর খৎনা বা নারীর ভগাঙ্কুরচ্ছেদ, এছাড়াও পরিচিত নারী ভগচ্ছেদ, নারী লিঙ্গাগ্রচ্ছেদ, নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ এবং নারী যৌনাঙ্গ ছাঁটাই নামে, বলতে বোঝানো হয় সে সকল কার্যপ্রণালী যেগুলোতে স্ত্রী যৌনাঙ্গের আংশিক বা পুরোপুরি অপসারণ করা হয় অথবা সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনো চিকিৎসা বহির্ভূত কারণে নারীর যৌন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করা হয় বা ক্ষত সৃষ্টি করা হয়। প্রধানত অনেকগুলো মুসলিম দেশে বিশেষ করে আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়াতেই এর চর্চা বেশি দেখা যায়। অত্যন্ত অমানবিক এই প্রথাটি সভ্য পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলেও অনেক দেশে এটি ধর্মীয় চর্চ্চা হিসেবে পালন করা হয়। এর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়, এটি পুরুষের যৌন আনন্দ বর্ধিত করে, এবং নারীর যৌন আনন্দ খর্ব করে। যার ফলে নারীদের যৌন আচরণ নিয়ন্ত্রণ পুরুষের জন্য সুবিধাজনক হয়

জাতিসংঘ বিশ্ব জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) ৬ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতকরণ বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ধারণায় প্রতি বছর প্রায় ১৩০ মিলিয়ন (১৩ কোটি) নারী এই নারী খৎনার কোন না কোনো একটি প্রক্রিয়া দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে ।

নারী খৎনা কোন দেশেগুলোতে বেশি?

বর্তমানে নারী যৌনাঙ্গ ছাটাই-এর চর্চা প্রধানত আফ্রিকান দেশগুলোতেই হয়। এটা একটি সাধারণ বলয় যার বিস্তৃতি পশ্চিম আফ্রিকার সেনেগাল থেকে পূর্ব উপকূলের ইথিওপিয়া, সেই সাথে উত্তরে মিশর থেকে দৰিণে তানজানিয়া পর্যন্ত। এছাড়াও আরব উপদ্বীপের কিছু গোষ্ঠীর মধ্যেও এটির চর্চা দেখা যায়। যে সমস্ত দেশে নারী খৎনার ব্যপকতা সবচেয়ে বেশি সেগুলো হলো মিশর, সেই সাথে সুদান, ইথিওপিয়া ও মালি-তে। সাম্প্রতিক কালের সংখ্যায় ধারণা করা হয় ৯০% মিশরীয় নারী খৎনার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি মিশর নারী খৎনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি আইন পাস করেছে।

উল্লেখ্য, বহু দেশেই নারী খৎনা করা হলেও সামাজিক এবং ধর্মীয় কারণে সেগুলো বাইরে খুব বেশি আলোচিত হয় না। আলোচিত না হওয়ার কারণে গোপনে এই নারীর যৌনাঙ্গ বিকৃতি একটি নিরব আতঙ্ক হিসেবে এখনো অনেক দেশে রয়ে গেছে।

নারী পুরুষ নির্বিশেষে পালনীয় বিধান

ইসলামের সবচাইতে প্রখ্যাত স্কলার ইমাম বুখারীর লিখিত আল-আদাবুল মুফরাদ এ বলা হয়েছে [5]

নারীর খৎনা 5

সহিহ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, [6] [7] [8] [9] [10] [11] ,

গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (5042)
অধ্যায়ঃ ৪৯/ সাজসজ্জা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১. স্বভাবসিদ্ধ সুন্নতসমূহ
৫০৪২. হুমায়দ ইবন মাসআদা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্গত : খাৎনা করা, নাভির নিচের চুল কামানো, বগলের নীচের চুল উপড়ে ফেলা, নখ কাটা, মোচ কাটা।
তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহুল জামে’ ৩২৫০, ইরওয়া ৭৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
হাদিস নম্বরঃ (292)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ১/৮. ফিতরাত বা স্বভাবজাত কার্যের
১/২৯২। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ফিতরাত পাঁচটি অথবা পাঁচটি জিনিস স্বভাবজাত: খতনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখসমূহ কাটা, বগলের পশম তুলে ফেলা এবং মোচ কাটা।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭; মুসলিম ২৫৭/১-২, তিরমিযী ২৭৫৬, নাসায়ী ৯১০১১, ৫২২৫; আবূ দাঊদ ৪১৯৮, আহমাদ ৭০৯২, ৭২২০, ৭৭৫৪, ৯০৬৬, ৯৯৬৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৭০৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৭৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (5224)
অধ্যায়ঃ ৪৯/ সাজসজ্জা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৫৬. ফিতরাত বা দীনের সার্বজনীন বিধান
৫২২৪. ইবন সুন্নী (রহঃ) … আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। মোচ কর্তন করা, বগলের চুল উপড়ে ফেলা, নখ কাটা, নাভীর নিচের চুল কামানো এবং খৎনা করা।

গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪৯/ সাজসজ্জা
হাদিস নম্বরঃ (5043)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১. স্বভাবসিদ্ধ সুন্নতসমূহ
৫০৪৩. কুতায়বা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত: নখ কাটা, মোচ কাটা, বগলের চুল উঠিয়ে ফেলা, নাভির নিচের চুল কামানো, খাৎনা করা
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ রিয়াযুস স্বা-লিহীন
অধ্যায়ঃ ৯/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে
হাদিস নম্বরঃ (1211)
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ২১৫: দাঁতন করার মাহাত্ম্য ও প্রকৃতিগত আচরণসমূহ
৮/১২১১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রকৃতিগত আচরণ (নবীগণের তরীকা) পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ, (১) খৎনা (লিঙ্গত্বক ছেদন) করা। (২) লজ্জা-স্থানের লোম কেটে পরিষ্কার করা। (৩) নখ কাটা। (৪) বগলের লোম ছিঁড়া। (৫) গোঁফ ছেঁটে ফেলা।” (বুখারী ও মুসলিম) (1)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ মুয়াত্তা মালিক
হাদিস নম্বরঃ (1708)
অধ্যায়ঃ ৪৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হুলিয়া মুবারক
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৩. ফিতরাত বা স্বভাব প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, প্রকৃতিগত সুন্নত পাঁচটি : (১) নখ কাটা, (২) গোঁফ কাটা, (৩) বগলের পশম উপড়াইয়া ফেলা, (৪) নাভীর নিচের চুল কামান, (৫) খাতনা করা।

বেশি গভীর করে কাটা নিষেধ

ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক নবী মুহাম্মদ বেশি গভীর করে মেয়েদের খৎনা করতে নিষেধ করেছেন, এবং তার কারণও বলে দিয়েছেন। কারণটি হচ্ছে, এটি স্বামীদের জন্য অধিক পছন্দনীয় [12] [13]

গ্রন্থের নামঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
হাদিস নম্বরঃ (5271)
অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
পরিচ্ছদঃ ১৮০. খাতনা করা সম্পর্কে
৫২৭১। উম্মু ‘আতিয়্যাহ আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। মদীনাতে এক মহিলা খাতনা করতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি গভীর করে কাটবে না। কারণ তা মেয়েলোকের জন্য অধিকতর আরামদায়ক এবং স্বামীর জন্য অতি পছন্দনীয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রহঃ) থেকে আব্দুল মালিক (রহঃ) সূত্রে একই অর্থে ও সনদে এটি বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটির সনদ দুর্বল।(1)
সহীহ।
(1). বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

নারীর খৎনা

গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৩৮/ সালাম
হাদিস নম্বরঃ (5181)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৩৮. খাতনা করা সম্পর্কে।
৫১৮১. সুলায়মান ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) …. উম্মু আতীয়া নামক জনৈকা আনসারী থেকে বর্ণিত যে, মদীনাতে একজন মহিলা মেয়েদের খাতনা করতো। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি মেয়েদের লিংগাংগ্র বেশী গভীর করে কাটবে না। কেননা, এটা মেয়েদের শরীরের এমন একটা অংশ, যা পুরুষদের কাছে খুবই প্রিয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

নারীর খৎনা 8

দুই খৎনাকৃত লিঙ্গ মিলিত হলে

সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, দুই খৎনাকৃত লিঙ্গ মিলিত হলে (ইংরেজি অনুবাদ দ্রঃ) গোছল ওয়াজিব হয়ে যায়। [14] [15]

গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
হাদিস নম্বরঃ (611)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ১/১১১. পুরুষ ও নারীর লজ্জাস্থান একত্র হলেই গোসল ওয়াজিব হয়।
৪/৬১১। আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু বিপরীত লিঙ্গ পরস্পর মিলিত হলে এবং পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ অদৃশ্য হয়ে গেলেই গোসল ওয়াজিব হয়।
It was narrated from ‘Amr bin Shu’aib from his father, that his grandfather said: “The Messenger of Allah said: ‘When the two circumcised parts meet, and (the tip of the penis) disappears, then bath is obligatory.'”
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৩/২৬০।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা
হাদিস নম্বরঃ (108)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ স্বামী-স্ত্রীর খাতনা স্থান পরস্পর মিলিত হলে গোসল ফরয।
১০৮. আবূ মূসা মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্না …. আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, মিলন-কালে স্বামী-স্ত্রীর খাতনা করার স্থানটুকু অতিক্রম হলেই গোসল ফরয হয়। আমার ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাঝে এরূপ হয়েছে। তখন আমরা গোসল করেছি। – ইবনু মাজাহ ৬০৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ (আল মাদানী প্রকাশনী)
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, আবদুল্লাহ ইবনু আমর এবং রাফি’ ইবনু খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে।
Aishah narrated: “When the circumcised meets the circumcised, then indeed Ghusl is required. Myself and Allah’s Messenger did that, so we performed Ghusl.”
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সকল মানুষের খৎনা থাকতে হবে

সহিহ হাদিসের বর্ণনা মতে, কিয়ামতের দিন নারী পুরুষ সকল মানুষকে খৎনা কৃত আর খৎনা ছাড়া এইভাবে বিভক্ত করা হবে [16]

গ্রন্থঃ সহীহ হাদিসে কুদসি
অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ
হাদিস নম্বরঃ (142)
পাবলিশারঃ ইসলাম হাউস
পরিচ্ছদঃ
১৪২. জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমার নিকট একটি হাদিসের সংবাদ পৌঁছেছে, যা কোন এক ব্যক্তির নিকট রয়েছে যে তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে শুনেছে। অতঃপর আমি একটি উট খরিদ করি ও তাতে সফর করি, অতঃপর একমাস সফর করে শামে গিয়ে তার সাক্ষাত লাভ করি, দেখলাম তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উনাইস।
আমি দারোয়ানকে বললাম: তাকে বল: জাবের দরজায় অপেক্ষা করছে। তিনি বললেন: (জাবের) ইবনু আব্দুল্লাহ? আমি বললাম: হ্যাঁ, তিনি নিজ কাপড় হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে বের হলেন, অতঃপর আমার সাথে আলিঙ্গন করলেন, আমিও তার সাথে আলিঙ্গন করলাম। আমি বললাম: আপনার কাছ থেকে আমার নিকট কিসাস সম্পর্কে একটি হাদিস পৌঁছেছে যে, আপনি তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট শ্রবণ করেছেন, আমি আশঙ্কা করছিলাম, হয় আপনি মারা যাবেন, অথবা আমিই মারা যাব তা শ্রবণ করার আগে। তিনি বললেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “কিয়ামতের দিন মানুষদের অথবা বলেছেন: বান্দাদের, হাজির করা হবে, (উরাত) উলঙ্গ, (গুরলান) খৎনা বিহীন, (বুহমান) খালি হাত অবস্থায়”। তিনি বলেন: আমরা বললাম: বুহমান কি? তিনি বললেন: “তাদের সাথে কিছু থাকবে না। অতঃপর তিনি তাদেরকে নির্দিষ্ট আওয়াজ দ্বারা ডাক দিবেন যা নিকট থেকে শুনা যাবে: আমিই বাদশাহ, আমি প্রতিদান দানকারী, কোন জাহান্নামী যার কোন জান্নাতির নিকট হক রয়েছে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না আমি তার থেকে তাকে কিসাস পাইয়ে দিব। কোন জান্নাতি যার নিকট কোন জাহান্নামীর হক রয়েছে জান্নাতে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ না আমি তার থেকে তাকে কিসাস পাইয়ে দিব, এমনকি চড় পর্যন্ত”। তিনি বলেন: আমরা বললাম: কিভাবে তা সম্ভব হবে, আমরা তো তখন আল্লাহর নিকট উলঙ্গ, গুরলান বুহমান হাজির হব?(1) তিনি বললেন: নেকি ও পাপের মাধ্যমে”। (আহমদ, বুখারি ফিল আদাবুল মুফরাদ, আবূ আসেম, হাকেম) হাদিসটি হাসান লি গায়রিহি)
(1) অর্থাৎ কিভাবে পরস্পরের হক আদান-প্রদান করব, আমাদের সাথে তো কিছুই থাকবে না? তার জবাবে বলা হয়েছে যে এ আদান-প্রদান ও কিসাস হবে সৎ কাজ ও অসৎ কাজের মাধ্যমে। সুতরাং কারও ভালো কাজ থাকলে, দুনিয়াতে কারও উপর যুলুম করে থাকলে সে ভালো কাজ তাকে দিয়ে দেওয়া হবে, আর না থাকলে তার উপর অপরের গোনাহ চাপিয়ে দেওয়া হবে। (সম্পাদক)
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)

আয়শার ভ্রাতুষ্পুত্রীদের খৎনা

সহিহ হাদিস থেকে এটিও জানা যায়, আয়েশা, যিনি ছিলেন মুহাম্মদের স্ত্রী এবং প্রথম খলিফা আবু বকরের কন্যা, তার ভ্রাতুষ্পুত্রীদের খতনা করানো হয়েছিল [17]

গ্রন্থের নামঃ আল-আদাবুল মুফরাদ
হাদিস নম্বরঃ (1259)
অধ্যায়ঃ জন্মোৎসব ও খতনা অনুষ্ঠান
পাবলিশারঃ আহসান পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৫৯৮- খতনা উপলক্ষে আনন্দ অনুষ্ঠান।
১২৫৯। উম্মু আলকামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আয়েশা (রাঃ)-র ভ্রাতুষ্পুত্রীদের খতনা করানো হলো। আয়েশা (রাঃ)-কে বলা হলো, তাদেরকে ভুলানোর জন্য কাউকে ডাকবো না কি? তিনি বলেন, অবশ্যই। অতএব হুদীর (উট চরানোর গান) গায়ককে ডেকে পাঠানো হলো। সে আসলো। আয়েশা (রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে তাকে মাথার চুল ঝাকড়িয়ে গীত পরিবেশন করতে দেখেন। তার মাথায় ছিল পর্যাপ্ত চুল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আহ! একটি শয়তান, একে বের করে দাও, একে বের করে দাও।
Umm ‘Alqama related that when the daughters of ‘A’isha’s brother were circumcised, ‘A’isha was asked, “Shall we call someone to amuse them?” “Yes,” she replied. ‘Adi was sent for and he came to them. ‘A’isha passed by the room and saw him singing and shaking his head in rapture – and he had a large head of hair. ‘Uff!’ she exclaimed, ‘A shaytan! Get him out! Get him out!'”
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)

উপসংহার

বিভিন্ন ইসলামী আলেম এই বিষয়ে নানা মত প্রকাশ করেছেন যে, নারীর জন্য খৎনা ওয়াজিব নাকি মুস্তাহাব। মুস্তাহাব এমন আমল যা পালন না করলে কোনো শাস্তি পেতে হবে না। কিন্তু পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম। অনেক আলেম বলেছেন এটি বাধ্যতামূলক, অনেকে বলেছেন করলে উত্তম।  এই বিষয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি থাকলেও, উপরের হাদিসগুলো মেনে মুসলিমগণ নারীর খৎনা করালে সেটি অনৈস্লামিক কাজ বলে গণ্য হবে না, এই সিদ্ধান্তেই আসা যায়।

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ বিবিসি থেকে সংগ্রহ করা।


তথ্যসূত্র

  1. সুরা তীন : আয়াত-৪ []
  2. সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ (১ম খন্ড), মাইনুল ইসলাম (মঈন), সালাফী রিসার্চ ফাউন্ডেশন, পৃষ্ঠা ১২৭ []
  3. Ahmad Ibn Hanbal 5:75; Abu Dawud, Adab 167 []
  4. উমদাত আল সালিক, আহমদ ইবন নাকিব আল মিসরি, ডাউনলোড লিঙ্ক। []
  5. আল-আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারী, পৃষ্ঠা ৫৪৯ []
  6. সূনান নাসাঈ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ৫০৪২ []
  7. সূনান নাসাঈ, তাওহীদ পাবলিকেশন, হাদিস নম্বরঃ ২৯২ []
  8. সূনান নাসাঈ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ৫২২৪ []
  9. সূনান নাসাঈ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ৫০৪৩ []
  10. রিয়াযুস স্বা-লিহীন, তাওহীদ পাবলিকেশন, হাদিস নম্বরঃ ১২১১ []
  11. মুয়াত্তা মালিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ১৭০৮ []
  12. সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত), আল্লামা আলবানী একাডেমী, হাদিস নম্বরঃ ৫২৭১ []
  13. সূনান আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ৫১৮১ []
  14. সুনানে ইবনে মাজাহ, তাওহীদ পাবলিকেশন, হাদিস নম্বরঃ ৬১১ []
  15. সূনান তিরমিজী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ১০৮ []
  16. সহীহ হাদিসে কুদসি, ইসলাম হাউস, হাদিস নম্বরঃ ১৪২ []
  17. আল-আদাবুল মুফরাদ, আহসান পাবলিকেশন, হাদিস নম্বরঃ ১২৫৯ []
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন

আসিফ মহিউদ্দীন

আসিফ মহিউদ্দীন সম্পাদক সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন [email protected]

9 thoughts on “ইসলামে নারীর খৎনা প্রসঙ্গে

  • April 15, 2020 at 8:13 PM
    Permalink

    নিঃসন্দেহে অথেনটিক একটা রিসার্চ। অনেক অজানা তথ্য জানাগেলো।
    আচ্ছা মুহাম্মদ খৎনা করেছিলেন কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ আছে। সহীহ্ কোনো হাদিস কেউ দিতে পারবেন কি?

    Reply
  • April 16, 2020 at 8:13 PM
    Permalink

    হ্যাঁ মুহাম্মদের খৎনা হয়েছিল কিনা জানিনা তবে মুহাম্মদের অগ্র ভাগে দুই মাথা বিশিষ্ট। এটা আমি জানি।

    Reply
  • April 19, 2020 at 5:27 AM
    Permalink

    শান্তির ধর্মের শান্তির কথা পড়ে ভালোই লাগলো।

    Reply
  • May 24, 2020 at 7:30 PM
    Permalink

    খৃস্টান ধর্মে খাৎনা বিষয়ে বিশদভাবে উল্লেখ আছে,এবং বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা আছে।তারপরও খৃস্টানগন খাৎনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে না।ইসলাম আসার বহু আগে থেকেই খাৎনা প্রচলন ছিল।প্রায় ৯৮% মুসলমান জানেই না তারা খাৎনা কেন করছে।তারা খাৎনা কে মুষলমানী নামকরণ দিয়েছে। অথচ ইসলাম আসার বহু আগে থেকে ইহুদি খৃস্টানরা খাৎনা করে আসছে।খৃস্টান ধর্মে খাৎনা করা বাধ্যতামূলক নয়।খাৎনা বিষয়ে খৃস্টান ধর্মে যে কারন উল্লেখ আছে তা খুবই যৌক্তিক।

    Reply
  • August 1, 2020 at 5:19 AM
    Permalink

    ” mythomaniac ” এর মানে জানো? এইটা হোল তোমরা।
    কোথায়ও বলা নাই খৎনা করতেই হবে। তোমাদের এসব হাদিস বই তোমাদের লোকেরই লেখা। খৎনা করলে ভাল, যে কারনে এখন তথাকথিত উন্নত দেশের লোকেরাও ছেলেদের জন্মের সময়ই খৎনা করায়। বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাও আছে।
    ” mythomaniac ” এর মানে জানো? এইটা হোল তোমরা।

    দেখেন ” mythomaniac ” এর দলেরা কি বলে “WHO”

    More than 100 million girls and women have undergone female genital cutting (FGC, also known as “female circumcision”), and more than 3 million female infants and children are at risk for this procedure annually.1–3 FGC is seen as a rite of passage for young girls in some communities and is most often performed between the ages of 4 and 10.1,4 Reasons for this practice include beliefs that it enhances fertility, promotes purity, increases marriage opportunities and prevents stillbirths.

    https://www.who.int/bulletin/volumes/90/2/11-090886/en/

    Reply
  • August 1, 2020 at 5:21 AM
    Permalink

    আর ইসলামে মেয়েদের খৎনার তো প্রশ্নই আসে না।

    Reply
  • August 1, 2020 at 5:26 AM
    Permalink

    Bible Book of acts vol 7 verse 8

    8 Then he gave Abraham the covenant of circumcision. And Abraham became the father of Isaac and circumcised him eight days after his birth. Later Isaac became the father of Jacob, and Jacob became the father of the twelve patriarchs.

    John 7:22

    Yet, because Moses gave you circumcision (though actually it did not come from Moses, but from the patriarchs), you circumcise a boy on the Sabbath.

    Luke 2:21

    21 And when eight days were accomplished for the circumcising of the child, his name was called Jesus, which was so named of the angel before he was conceived in the womb.

    Reply
  • November 29, 2023 at 4:17 AM
    Permalink

    এখানে একজন বলল যে, বাইবেলে নাকি খৎনা করার যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা আছে! আমিও দেখতে চাই, কি ব্যাখ্যা আছে।
    আর উনি এটাও বললেন, খৎনা করা নাকি খ্রিস্টান ধর্মে বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু আমি জানি, ইহুদি ধর্মে ও খ্রিস্টানদের একটি অংশে খৎনা আবশ্যিক ধর্মীয় রীতি বলে পরিগণিত।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *