দেনমোহর | ইসলামে নারীর লজ্জাস্থান ভোগের মূল্য

দেনমোহর 11

ভূমিকা

প্রায় প্রতিদিনই একটি কথা ইসলামিস্টদের মুখে বারবার শুনি, ইসলাম নাকি নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান এবং সুমহান মর্যাদা। অথচ ইসলামে শিশু মেয়েদের বিয়ে এবং তাদের সাথে যৌনকর্ম হালাল, দাসীদের সাথে যৌনকর্ম হালাল, একাধিক স্ত্রী রাখা হালাল, স্ত্রীকে দাসীর স্থান দেয়া, এরকম অসংখ্য কুপ্রথায় ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলামিস্টগণ গলা মোটা করে এইসব আলোচনার সময় একটি কথাই বলেন, যত যাই হোক, ইসলাম নারীকে দিয়েছে দেনমোহর। এটিই উনাদের কাছে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য, অসাম্য আর অধিকারহীনতার একমাত্র জাস্টিফিকেশন।

ইসলামে দেনমোহর বা মাহর বা মোহর হল বিবাহের সময় কনেকে দেয়ার মত অর্থ বা সম্পদ, যা বর বা বরের অভিভাবকের পক্ষ থেকে কনেকে প্রদান করতে হয়। এটি প্রদান করা বাধ্যতামুলক। ইসলাম অনুসারে মহরের অর্থ প্রদানের মাধ্যমেই বিয়েকে বৈধ করা হয়। উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্ম কোন ধরণের রাখঢাক না রেখেই নারীকে একটি ভোগ্যপণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে, যা আসলে ভোগযোগ্য বলে ঘোষণা করে এবং এই পণ্যটি ভোগ করতে হলে আপনাকে অর্থ দিয়েই ভোগ করতে হবে, সে বিষয়েও কঠোরতা অবলম্বন করে।

কোরআনের আয়াত ও হাদিস দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়, দেনমোহর স্বামীর স্ত্রী ভোগের জন্য নির্ধারিত মূল্য এবং এটা আদায় করা ওয়াজিব। তবে যদি স্ত্রী স্বেচ্ছায় মোহরের দাবী ছেড়ে দেয়, তবে স্বামীর ওপর এর বাধ্যকতা অবশিষ্ট থাকবে কিন্তু স্ত্রীকে মোহর ক্ষমা করে দেওয়ার ব্যাপারে বাধ্য করা কিংবা মোহর আদায় করতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে না। কারণ এটি হচ্ছে নারীর জন্য সহবাসের মূল্য। নারীর লজ্জাস্থানের মূল্য। স্বামীকে সহবাসের পুর্বেই এই মূল্য পরিশোধ করে দিতে হবে বা এই মূল্য বিষয়ে ফয়সালা করতে হবে।

ইসলামে নারী হচ্ছে ভোগ্যপণ্য

এই কথা সর্বজন বিদিত যে, ইসলাম নারীকে একটি ভোগ্যপণ্য বা উপভোগের বস্তু হিসেবে ঘোষণা করে। কোরআনে বলা হচ্ছে, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষের জন্য, পুরুষের বিনোদন এবং অবসন্নতা কাটাবার জন্য [1] [2]। এটি নারীর জন্য চরমভাবে অমর্যাদাকর। নারীর সৃষ্টি যদি পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য হয়ে থাকে, তা অবশ্যই নারীকে একটি স্বাধীন এবং স্বাভাবিক সত্ত্বা হিসেবে চিহ্নিত করে না, বরঞ্চ পুরুষের জন্য একটি উপভোগ্য বস্তু হিসেবে নির্দেশ করে, একটি যৌনযন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে।

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।

তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে; আর তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া, যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে।

উপরের আয়াত দুটি থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, নারীর সৃষ্টি হয়েছে শস্যক্ষেত্রের মত, যেন পুরুষেরা তাদের কাছে সুখ এবং স্বস্তি পেতে পারে। একইসাথে পড়ুন নিচের হাদিসটি [3] [4]

সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৮/ দুধপান
পরিচ্ছদঃ ৯. মহিলাদের সম্পর্কে ওসিয়ত
৩৫১২। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন নুমায়র আল-হামদানী (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া উপভোগের উপকরণ (ভোগ্যপণ্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ পুণ্যবতী নারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

ইসলামের পরিভাষায় একজন মুসলমানের বিয়েতে অপরিহার্য প্রদেয় হিসেবে স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রী যে অর্থ-সম্পদ পেয়ে থাকে তাকেই দেনমোহর বলে। বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেনমোহর প্রদান করা স্বামীর ওপর ফরজ। কোরআনে বর্ণিত রয়েছে, [5]

“আর তোমাদের স্ত্রীদের তাদের দেনমোহর দিয়ে দাও খুশি মনে। অবশ্য স্ত্রী চাইলে দেনমোহর কিছু অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশ ছেড়ে দিতে পারে।

হযরত মুহাম্মদ স্বয়ং নারীদের উপদেশ দিয়ে বলেছেন, নারীরা যেন কম দেনমোহরে বিয়ে করে। অর্থাৎ একজন নারী যেন তার দেনমোহর বেশি ধার্য্য না করে। [6]

“সে নারী বরকতের মাঝে আছে যাকে প্রস্তাব দেয়া সহজ ও যার দেনমোহর অল্প”

এ ছাড়া কুরআনের আরো এক আয়াতে দেনমোহর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, [7]

‘হে নবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীদেরকে, যাদের দেনমোহর তুমি প্রদান করেছো।’

দেনমোহর প্রথা কী মুহাম্মদের আবিষ্কার?

বিভিন্ন বিতর্কে ইসলামিস্ট স্কলার বলেন, একমাত্র ইসলামই নারীকে বিবাহের সময় দেনমোহর দিতে বলে, এতে নারী নাকি খুব সম্মানিত হয়। তারা এটাও বলে যে, ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীকে দেনমোহর দেয়। অথচ, ইসলামই এই দেনমোহর প্রথার শুরু করে নি। কারণ ইসলাম আসার অনেক পূর্বে, সেই আরবের পৌত্তলিক সমাজে, আবদুল্লাহ এবং আমিনার বিয়ে থেকে শুরু করে মুহাম্মদের প্রথম বিয়েতেও মুহাম্মদ দেনমোহর পরিশোধ করেছিল। তাই দেনমোহরের বিষয়টি আল্লাহ পাকের কোরআন নামক ওহী নাজিলের অনেক আগে থেকেই ঐ অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। এটি যে পৌত্তলিক-ইহুদী-খ্রিস্টান অধ্যুষিত মক্কায় সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা ছিল, তা পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায়। তাই ইসলামিস্টদের এই দাবীটি যে অন্যান্য দাবীর মতই নির্লজ্জ মিথ্যাচার, তা আর বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। যার প্রমাণ নিচের সীরাত গ্রন্থ থেকেই পাওয়া যাবে, যেখানে বলা হচ্ছে, নবী এবং খাদিজার বিয়ের সময় দেনমোহর ছিল বিশটি উট।

প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামই যদি এই প্রথার প্রবর্তক হয়, ইসলাম আসার পুর্বে মুহাম্মদ খাদিজাকে বিয়ের সময় কেন দেনমোহর দিলো? তার মানে কী এই নয় যে, ইসলাম আরবের এই পৌত্তলিক প্রথাটি নিজের ধর্মে স্থান দিয়েছে? [8]

দেনমোহর – লজ্জাস্থান ভোগের মূল্য

এবারে সবচাইতে ভয়াবহ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। সেটি হচ্ছে, দেনমোহরের উদ্দেশ্য কী, কেন তা দিতে হয়? ইসলামে দেনমোহর স্বামীর দিতে হয় স্ত্রীর যোনী ভোগ করার মূল্য হিসেবে। বিষয়টি প্রমাণ দিচ্ছি। শুরুতেই দেনমোহর কাকে বলে জেনে নিই শরহে আবূ দাউদ গ্রন্থ থেকেঃ [9]

আহকামুল কুরআন গ্রন্থে আরো পরিষ্কারভাবেই বর্ণিত আছে, স্বামী তার স্ত্রীর যৌন অঙ্গের মালিক পর্যায়ের [10]

নিচের হাদিসগুলো পড়ুনঃ [11] [12]

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ – বিয়ের ওয়ালী (অভিভাবক) এবং নারীর অনুমতি গ্রহণ প্রসঙ্গে
৩১৩১-(৬) ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোনো নারী তার ওয়ালীর (অভিভাবকের) অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে; তার বিয়ে বাত্বিল (না-মঞ্জুর, পরিত্যক্ত), তার বিয়ে বাত্বিল, তার বিয়ে বাত্বিল। যদি এরূপ বিয়েতে স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে থাকে, তবে স্ত্রীর মোহর দিতে হবে তার (লজ্জাস্থান) উপভোগ (হালাল) করার জন্যে। আর যদি তাদের (ওয়ালীগণের) মধ্যে আপোসে মতবিরোধ দেখা দেয়, তবে যার ওয়ালী নেই শাসক (প্রশাসন) তার ওয়ালী (বলে বিবেচিত) হবে।
(আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)(1)
(1) সহীহ : আবূ দাঊদ ৩০৮৩, তিরমিযী ১১০২, ইবনু মাজাহ ১৮৭৯, আহমাদ ২৪২০৫, দারিমী ২২৩০, ইরওয়া ১৮৪০, সহীহ আল জামি‘ ২৭০৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)

সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ২০/ লি’আন
পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৬১০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ বকর ইবনু শায়বা ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লি’আনকারীদ্বয়ের (লি’আন বাক্য পাঠের ব্যাপারে) হিসাব আল্লাহর দায়িত্ব। তোমাদের দু’জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী তার (তোমার স্ত্রীর) উপর তোমার কোন অধিকার নেই। লোকটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মালের (প্রদত্ত মাহর) কি হবে? তিনি বললেন, তুমি তোমার মাল পাবে না। যদি তুমি তার ব্যাপারে সত্যবাদী হও তাহলে তোমার দেওয়া সস্পদ ঐ বস্তুর বিনিময়ে বলে গণ্য হবে যা দ্বারা তুমি তার লজ্জাস্থান হালাল করেছ। আর যদি তুমি তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাক তাহলে তার থেকে মাল ফেরত পাওয়া তো আরো দুরের কথা।
যুহায়র (রহঃ) তার বর্ণনায় বলেছেন যে, সুফিয়ান (রহঃ) সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) এর সুত্রে ইবনু উমর (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বলতে শুনেছেন।
Ibn Umar (Allah be pleased with them) reported Allah’s Messenger (ﷺ) saying to the invokers of curse: Your account is with Allah. One of you must be a liar. You have now no right over this woman. He said: Messenger of Allah, what about my wealth (dower that I paid her at the time of marriage)? He said: You have no claim to wealth. If you tell the truth, it (dower) is the recompense for your having had the right to intercourse with her, and if you tell a lie against her, it is still more remote from you than she is. Zuhair said in his narration: Sufyan reported to us on the authority of ‘Amr that he had heard Sa’id b Jubair saying: I heard Ibn Umar (Allah be pleased with them) saying that Allah’s Messenger (ﷺ) had said it.
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে সহিহ মুসলিম গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ৪৭২ নম্বর পৃষ্ঠায় যে কেউ চাইলেই এই হাদিস খুঁজে পড়তে পারেন। বইটির ছবি যুক্ত করে দিচ্ছিঃ [13]

এই বিষয়ে সহিহ বুখারী থেকেও পড়িঃ [14]

সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৫/ তালাক
পরিচ্ছদঃ ২০৭২. লি‘আনকারীদ্বয়কে ইমামের একথা বলা যে, নিশ্চয় তোমাদের কোন একজন মিথ্যাবাদী, তাই তোমদের কেউ তাওলা করতে প্রস্তুত আছ কি ?
৪৯২৯। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … সাঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি লিআনকারীদ্বয় সম্পর্কে ইবনু উমরকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিআনকায়ীদ্বয়কে লক্ষ্য করে বলেছিলেনঃ তোমাদের হিসাব গ্রহনের দায়িত্ব আল্লাহরই। তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। তার (স্ত্রীর) উপর তোমার কোন অধিকার নেই। লোকটি বললঃ তবে আমার মাল (মোহর হিসেবে প্রদত্ত)? তিনি বললেনঃ তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও তাহলে এর বিনিময়ে তুমি তার লজ্জাস্থানকে হালাল করে নিয়েছিলে। আর যদি তার উপর মিথ্যারোপ করে থাক তবে তো মাল চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
সুফিয়ান বলেনঃ আমি এ হাদীস আমর (রাঃ) এর কাছ থেকে মুখস্থ করেছি। আইয়্যুব বলেনঃ আমি সাঈদ ইবনু জুবায়র-এর কাছে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলামঃ এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীর সাথে লিআন করল (এখন তাদের বিধান কি?) তিনি তার দু’আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ সুফিয়ান তার তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল ফাঁক করলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আজলানের এক দম্পত্তির বৈবাহিক সম্পর্ক এভাবে ছিন্ন করে দেন এবং বলেনঃ আল্লাহ তাআলা অবহিত আছেন যে, তোমাদের একজন অবশাই মিথ্যাবাদী। সুতরাং কেউ তাওবা করতে সম্মত আছ কি? এভাবে তিনি তিনবার বললেন। সুফিয়ান বলেনঃ আমি তোমাকে যেভাবে হাদীসটি শোনাচ্ছি এভাবেই আমি আমর ও আইয়্যুব (রাঃ) থেকে মুখস্থ করেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

এবারে আরো একটি পড়িঃ [15]

সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ২৬/ নিকাহ (বিবাহ)
পরিচ্ছদঃ ৪২. বিবাহের শর্ত
৩২৮৪. ঈসা ইবন হাম্মদ (রহঃ) … উকবা ইবন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সৰ্বাধিক প্রয়োজনীয় শর্ত হলো তোমরা যা দ্বারা মহিলার লজ্জাস্থান হালাল করবে, তা আদায় করা অর্থাৎ মোহর আদায় করা
It was narrated from ‘Utbah bin ‘Amir that the Messenger of Allah said: “The conditions that are most deserving of fulfillment, are those by means of which the private parts become allowed to you.”
তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ১৯৫৪, মুখতাসার মুসলিম ৮০৪, সহীহ জামে’ আস-সগীর ১৫৪৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

এই সম্পর্কিত আরো কিছু হাদিস পড়ে নিইঃ [16]

সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৫/ তালাক
পরিচ্ছদঃ ২০৯১. নির্জনবাসের পরে মোহরের পরিমাণ, অথবা নির্জনবাস ও স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিলে স্ত্রীর মোহর এবং কিভাবে নির্জনবাস প্রমাণিত হবে সে প্রসঙ্গে।
৪৯৫৮। আমর ইবনু যুরারা (রহঃ) … সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমরকে জিজ্ঞাসা করলামঃ যদি কেউ তার স্ত্রীকে অপবাদ দেয়? তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজলান গোত্রের এক দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ জানে তোমাদের দু’ জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে কেউ কি তাওবা করতে রাযী আছ? তারা উভয়ে অস্বীকার করল। তিনি পুনরায় বললেনঃ আল্লাহ অবহিত আছেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। কাজেই তোমাদের মধ্যে কে তাওবা করতে রাযী আছ? তারা কেউ রাযী হল না। এরপর তিনি তাদেরকে পৃথক করে দেন। আইয়্যুব বলেনঃ আমর ইবনু দীনার আমাকে বললেন, এই হাদীসে আরো কিছু কথা আছে, আমি তা তোমাকে বর্ণনা করতে দেখছি না। রাবী বলেন, লোকটি তখন বললঃ আমার মাল (স্ত্রীকে প্রদত্ত মোহর) ফিরে পাব না? তিনি বললেনঃ তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবুওতো তুমি তার সাথে সংগম করেছ। আর যদি মিথ্যাবাদী হও, তাহলে তো কোন প্রশ্নই আসে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
Narrated Sa`id bin Jubair: I said to Ibn `Umar, “If a man accuses his wife of illegal sexual intercourse (what is the judgment)?” He said, “Allah’s Prophet separated the couple of Bani ‘Ajlan (when the husband accused his wife for an illegal sexual intercourse). The Prophet (ﷺ) said, ‘Allah knows that one of you two IS a liar; so will one of you repent?’ But they refused. He then again said, ‘Allah knows that one of you two is a liar; so will one of you repent?’ But they refused, whereupon he separated them by divorce.” Aiyub (a subnarrator) said: `Amr bin Dinar said to me, “In the narration there is something which I do not see you mentioning, i.e. the husband said, “What about my money (Mahr)?’ The Prophet (ﷺ) said, “You are not entitled to take back money, for if you told the truth you have already entered upon her (and consummated your marriage with her) and if you are a liar then you are less entitled to take it back.

অর্থাৎ, একবার এক লোক তার মোহরের অর্থ ফেরত চাইলো। কিন্তু সে তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে ফেলেছে। নবীজী তাকে বললেন, যেহেতু সে সঙ্গম করে ফেলেছে, সেহেতু তার আর মোহর ফেরত পাওয়ার অধিকার নেই [17] [18] [19] [20]

সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৫/ তালাক
পরিচ্ছদঃ ২০৭১. লি’আনকারিণীর মোহর
৪৯২৮। আমর ইবনু যুরারা (রহঃ) … সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমরকে জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে অপবাদ দিল- (তার বিধান কি?) তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আজলানের স্বামী স্ত্রীর দু-জনকে পৃথক করে দিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলেনঃ আল্লাহ তাআলা অবহিত আছেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের কেউ তাওবা করতে রাযী আছ কি? তারা দু-জনেই অস্বীকার করল। পুনরায় তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা অবহিত আছেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী সুতরাং কেউ তাওবা করতে প্রস্তুত আছ কি? তারা আবারও অস্বীকার করল। এরপর তিনি তাদেরকে পৃথক করে দেন।
আইয়্যুব বলেনঃ আমাকে আমর ইবনু দীনার (রহঃ) বললেন এ হাদীসে আরও কিছু কথা আছে তোমাকে তা বর্ণনা করতে দেখছি না কেন? তিনি বলেন লোকটি বললঃ আমার (দেওয়া) মালের (মোহর) কি হবে? তাকে বলা হল, তোমার মাথা ফিরে পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও (তবুও পাবে না) (কেননা) তুমি তার সাথে সহবাস করেছ। আর যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে তা পাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৬৮/ ত্বলাক
পরিচ্ছদঃ ৬৮/৩২. লি‘আনকারিণীর মোহর।
৫৩১১. সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমারকে জিজ্ঞেস করলাম, এক লোক তার স্ত্রীকে অপবাদ দিল- (তার বিধান কী?) তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ ‘আজলানের স্বামী-স্ত্রীর দু’জনকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা জানেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাচারী। কাজেই তোমাদের কেউ তাওবাহ করতে রাযী আছ কি? তারা দু’জনেই অস্বীকার করল। তিনি পুনরায় বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা অবহিত আছেন তোমাদের একজন মিথ্যাচারী, সুতরাং কেউ তাওবাহ করতে প্রস্তুত আছ কি? তারা আবারও অস্বীকার করল। তিনি পুনরায় বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা অবহিত আছেন তোমাদের একজন মিথ্যাচারী সুতরাং কেউ তাওবাহ করতে প্রস্ত্তত আছ কি? তারা আবারও অস্বীকার করল।
এরপর তিনি তাদেরকে পৃথক করে দেন। আইয়ুব বলেনঃ আমাকে ‘আমর ইবনু দ্বীনার (রহ.) বললেন, এ হাদীসে আরও কিছু কথা আছে, তোমাকে তা বর্ণনা করতে দেখছি না কেন? তিনি বলেন, লোকটি বললঃ আমার (দেয়া) মালের কী হবে? তাকে বলা হল, তোমার মাল ফিরে পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও, (তবুও পাবে না)। (কেননা) তুমি তার সঙ্গে সহবাস করেছ। আর যদি তুমি মিথ্যাচারী হও, তবে তা পাওয়া তো বহু দূরের ব্যাপার। (৫৩১২, ৫৩৪৯, ৫৩৫০) আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৬৮/ ত্বলাক
পরিচ্ছদঃ ৬৮/৫২. নিভৃতেবাস করার পরে মাহ্রের পরিমাণ, অথবা নির্জনবাস ও স্পর্শ করার পূর্বে ত্বলাক্ব দিলে স্ত্রীর মাহর এবং কিভাবে নির্জনবাস প্রমাণিত হবে সে প্রসঙ্গে।
৫৩৪৯. সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমারকে জিজ্ঞেস করলামঃ যদি কেউ তার স্ত্রীকে অপবাদ দেয়? তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজলান গোত্রের এক দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের দু’জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের কেউ কি তাওবাহ করবে? তারা উভয়ে অস্বীকার করল। তিনি আবার বললেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। কাজেই তোমাদের মধ্যে তাওবাহ করতে কে প্রস্ত্তত? তারা কেউ রাযী হল না। এরপর তিনি তাদের মধ্য বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলেন। আইয়ূব বলেনঃ আমর ইবনু দ্বীনার আমাকে বললেন, হাদীসে আরো কিছু কথা আছে, আমি তা তোমাকে বর্ণনা করতে দেখছি না। রাবী বলেন, লোকটি তখন বলল, আমার মাল প্রদত্ত মাহর) ফেরত পাব না? তিনি বললেনঃ তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে তো তুমি তার সাথে সহবাস করেছ। আর যদি মিথ্যাচারী হও, তাহলে মাল ফেরত পাওয়া তো বহু দূরের ব্যাপার। (৫৩১১) আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

মুয়াত্তা মালিক
হাদিস নম্বরঃ (1125)
অধ্যায়ঃ ২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায়
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১১. বিভিন্ন অবৈধ বিবাহ
রেওয়ায়ত ২৭. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তুলায়হা আসদিয়া রুশাইদ ছকফী (রাঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি তাহাকে তালাক দিলেন। তারপর তুলায়হা ইদ্দতের ভিতরে বিবাহ করিলেন। এই কারণে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) তাহাকে এবং তাহার স্বামীকে কয়েকটি চাবুক মারিলেন এবং উভয়কে পৃথক করিয়া দিলেন। তারপর উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিলেন, যে স্ত্রীলোক ইদ্দতের ভিতর বিবাহ করিয়াছে, বিবাহকারী তাহার সেই স্বামী যদি তাহার সহিত সহবাস না করিয়া থাকে তবে উভয়কে পৃথক করিয়া দেওয়া হইবে। তারপর স্ত্রীলোকটি প্রথম স্বামীর পক্ষের অসম্পূর্ণ ইদ্দত পূর্ণ করবে। অতঃপর দ্বিতীয় স্বামী স্বাভাবিক নিয়মে বিবাহের প্রস্তাবকারীগণের মধ্যে একজন প্রস্তাবকারী হিসাবে গণ্য হইবে। আর যদি দ্বিতীয় ব্যক্তি তাহার সহিত সহবাস করিয়া থাকে তবে উভয়কে পৃথক করা হইবে। তারপর প্রথম স্বামীর (পক্ষের) অবশিষ্ট ইদ্দত পূর্ণ করিবে। আর তাহারা (দ্বিতীয় স্বামী ও স্ত্রী) উভয়ে আর কখনো মিলিত হইতে পারিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিয়াছেনঃ সেই স্ত্রীলোক মহর-এর হকদার হইবে। কারণ তাহার সঙ্গে (বিবাহের মাধ্যমে) সহবাস করা হইয়াছে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধান্ত হইল, স্বামীর মৃত্যু হইয়াছে, এমন স্বাধীন নারী চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে। আর তাহার হয়েযের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় গর্ভধারণের আশংকা দেখা দিলে সে নারী সন্দেহমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করিবে না।

সহিহ বুখারীর বই থেকে পাতাও তুলে দিলাম, পাঠকগণের যাচাই করে দেখার জন্য [21]

এবারে আসুন নবীর প্রখ্যাত সাহাবী ইবনে আব্বাসের তাফসীর গ্রন্থ থেকে সূরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াতটির তাফসীর দেখে নিই, [22]

উপসংহার

কোরআনে বর্ণিত রয়েছে, [23]

স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার আগে এবং কোন মোহর সাব্যস্ত করার পূর্বেও যদি তালাক দিয়ে দাও, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই। তবে তাদেরকে কিছু খরচ দেবে। আর সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এবং কম সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সাধ্য অনুযায়ী। যে খরচ প্রচলিত রয়েছে তা সৎকর্মশীলদের উপর দায়িত্ব।

উপরের আয়াতটি থেকে জানা যায়, স্পর্শ করা বা সহবাসের আগে যদি কেউ স্ত্রীকে তালাক দেয়, তাতে কোন পাপ নেই। তাদের কিছু খরচ দিয়ে দিলেই হবে। তবে পূর্ণ দেনমোহর দিতে হবে না, কারণ তাকে সেই স্বামী ভোগ করে নি। এখানে ভোগ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ, দেনমোহরের অর্থ নির্ভরশীল স্ত্রীর লজ্জাস্থান ভোগের সাথে।

উপরের হাদিসগুলো থেকে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার যে, ইসলামে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে দেনমোহর দেয় সেই নারীর লজ্জাস্থান ভোগের মূল্য হিসেবে। এখানে পুরুষটি সম্পূর্ণ ভাবে মাল ভোগকারী, বা নারীর লজ্জাস্থান নামক মালটির ক্রেতা। স্বামীর লজ্জাস্থানও কিন্তু স্ত্রী উপভোগ করে, তবে স্বামীর লজ্জাস্থানের কিন্তু কোন মূল্য দিতে হবে না। কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী একজন খাদক বা শিকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ, আর স্ত্রী হচ্ছে তার খাদ্য বা শিকার স্বরূপ। যার মূল্য হিসেবে সে দেনমোহর পরিশোধ করছে। অর্থাৎ, আমাদের দেশে যাদের আমরা পথে ঘাটে অপমান করি, সেইসব অবহেলিত এবং সমাজের চোখে খারাপ তথাকথিত বেশ্যা বা দেহব্যবসায়ী নারীর সাথে ইসলামিক সমাজে স্ত্রী হিসেবে পরিচিত নারীদের খুব বেশী পার্থক্য নেই। ইসলামেও নারীরা নিজের লজ্জাস্থান কোন পুরুষকে ভোগ করতে দিয়ে তার মূল্য নিয়ে থাকে। বেশ্যাবৃত্তি যদিও মুসলিমরা অপছন্দ করে, তবে এই হালাল পদ্ধতিতে নিজের যোনী বা লজ্জাস্থান বিক্রয় ইসলামের অন্যতম মূল ভিত্তি।

সবচাইতে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, এই বিষয়টি নিয়ে মুসলিম নারীদের গর্বের সীমা নেই! সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র এই মুমিনাগণ!

তথ্যসূত্র

  1. সূরা আল বাকারা, আয়াত ২২৩ []
  2. সূরা আল আরাফ, আয়াত ১৮৯ []
  3. সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৩৫১২[]
  4. সহিহ মুসলিম খণ্ড ৩ পৃৃৃৃৃৃৃষ্ঠা ৪১৮[]
  5. সূরা আন-নিসা, আয়াত ৪ []
  6. মুসনাদে আহমাদ, হাসান সানাদে []
  7. সূরা আল-আহজাব, আয়াত ৫০ []
  8. সিরাতুন নবী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭৮ []
  9. শরহে আবূ দাউদ []
  10. আহকামুল কুরআন, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪২ []
  11. মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত), হাদিসঃ ৩১৩১ []
  12. সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), হাদিসঃ ৩৬১০ []
  13. সহিহ মুসলিম গ্রন্থের ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৪৭২ []
  14. সহীহ বুখারী (ইফাঃ), হাদিসঃ ৪৯২৯ []
  15. সূনান নাসাঈ (ইফাঃ), হাদিসঃ ৩২৮৪ []
  16. সহীহ বুখারী (ইফাঃ), হাদিসঃ ৪৯৫৮ []
  17. সহীহ বুখারী (ইফাঃ), হাদিসঃ ৪৯২৮ []
  18. সহীহ বুখারী (তাওহীদ), হাদিসঃ ৫৩১১ []
  19. সহীহ বুখারী (তাওহীদ), হাদিসঃ ৫৩৪৯ []
  20. মুয়াত্তা মালিক, হাদিসঃ ১১২৫ []
  21. সহিহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ৭০-৭১ []
  22. তাফসীরে ইবনে আব্বাস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা ২২৮ []
  23. সূরা বাকারা, আয়াত ২৩৬ []
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন

View Comments (14)

  • আর কার দেনমোহর কত বেশী হলো তাই নিয়ে কত গর্ব! এ লজ্জা কোথায় রাখবো!

    • নাস্তিকের বাচ্চারা আল্লাহ যেদিন ধরবে কোন কূল কিনারা পাবি না।

  • ধর্ষনের জরিমানা দেনমোহর এ বিষয়টি প্রবন্ধের সাথে যুক্ত করে দিলে ভালো হত

  • *ধর্ষণ করার পরে মোহরানা দিয়ে ফয়সালা:
    গ্রন্থের নাম: মুয়াত্তা মালিক
    হাদিস নম্বর:1435
    অধ্যায়:36.বিচার সম্পর্কিত অধ্যায়
    পাবলিশার:ইসলামিক ফাউন্ডেশন
    পরিচ্ছদ:16.কোন স্ত্রীলোকের সাথে জবরদস্তি যিনা করিলে তাহার ফয়সালা রেওয়ায়ত

    ইবন যুহরী (রহ:) হইতে বর্ণিত, আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান জবরদস্তিভাবে যিনা করান হইয়াছে এমন স্ত্রীলোকের ফয়সালা এই দিয়াছেন: ব্যাভিচার যে করিয়াছে ঐ স্ত্রীলোকটিকে মোহর দান করিবে।মালিক (রহ:) বলেন: আমাদের নিকট এই ফয়ছালা যে, যদি কেহ কোন স্ত্রীলোকের উপর জবরদস্তি করে, চাই সে কুমারী হউক অথবা অকুমারী, যদি সে স্বাধীন হয় তবে তাহাকে মাহরে মিসাল দেওয়া আবশ্যক।আর যদি সে দাসী হয় তবে যিনার দ্বারা যে মূল্য কম হইয়াছে তাহা আদায় করিতে হইবে এবং উক্ত স্ত্রীলোকের উপর কোন শাস্তিও হইবে না। আর যদি ব্যভিচারী গোলাম হয় তবে মনিবের জরিমানা দিতে হইবে।কিন্তু যদি গোলামকে ক্ষতিপূরণ হিসাইবে দিয়া দেয় তবে ভিন্ন কথা।

  • এই কথাগুলো বীরদর্পে ফেসবুকে প্রকাশ করুন, এবং বেশি বেশি করে করুন। কেননা, মূর্খ মুমিনদের এই বিষয়ে জানাটা অপরিহার্য

  • অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ এমন তথ্যবহুল লেখার জন্য। ছিঃ কি জঘন্য এই ধর্ম!!
    ইসলামে নবজাতক বিয়ে করতে পারার হাদিস'টি খুঁজে পাচ্ছি না। একটু সাহায্য করুন খুঁজে পেতে।

  • আহ্ আফসুস।
    এ লোকগুলো যদি সত্য অনুসন্ধানের ইচ্ছে নিয়ে কুরআন হাদীসকে এতটা অধ্যয়ণ করতো যতটা এর দোষ অন্বেষণে করেছে, তবে নিশ্চয়ই তারা সত্যের অনুসন্ধান পেয়ে যেতো।
    কিন্তু তারা খুজেছে মনে বিদ্বেষ নিয়ে এবং সত্য সামনে আসার পর উল্টো দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।

  • আপনাদের এত আধুনিক মনা চিন্তা নিয়ে এতটুকুই পেয়েছেন, লেটেস্ট আপডেটে দিহান-আনুশকা (!).
    ফ্রী রিলেশনের পর এখন কার বয়স কত? কার (...) সাইজ কত কার শাস্তি কত হবে? শিশু না বয়স্ক(?).
    এসব নিয়ে মাথা ঘুরায়ে উল্টে রয়েছেন।
    অথচ ইসলামে এ ধরনের বিয়ে বহিুর্ভুত সম্পর্কের ব্যাপারে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিন্তু বিয়েকে বৈধতা দানে বয়সের কোন বাধা আনা হয় নি। কেননা আপনাদের মতের ১৮+ হওয়ার আগে ছেলেপুলে ১২+ বয়সেই আজকাল ধর্ষনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। তখন আবার আপনাদের শিশু ধর্ষনকারীর জন্য মানবতা উথলায়ে উঠছে। আর ভিক্টিম মেয়েটি যখন বিচারহীন অপমানের স্বীকার হয়ে সমাজে বয়কট পরিস্তিতি পার করছে তখন আপনাদের লোক দেখানো এ ধরনের ভেলকীবাজির মানবতা আর সামনে আসে না।
    এনজয়ের সময় লাইফ এনজয়, আর বিয়ের সময় পিওর সতীত্ব খুজে ফেরা আপনাদের লজ্জাহীন মানবতার নিকুচি করছি।

    • ভাই তারা বিয়ের পর সহবাস করলেও তো এই দুর্ঘটনা ঘটত। এই নিউজ দেখছেন ভালো কথা। ১৪ বছরের একটা মেয়ে যে স্বামীর সাথে বিয়ে করে বাসর রাতে সহবাসের জন্য মারা গেছে। সেই নিউজটা দেখেন নাই

  • ভাই তারা বিয়ের পর সহবাস করলেও তো এই দুর্ঘটনা ঘটত। এই নিউজ দেখছেন ভালো কথা। ১৪ বছরের একটা মেয়ে যে স্বামীর সাথে বিয়ে করে বাসর রাতে সহবাসের জন্য মারা গেছে। সেই নিউজটা দেখেন নাই

  • দেনমোহর – লজ্জাস্থান ভোগের মূল:
    সুনান আবু দাউদ এর মোহর নির্ধারণ পিডিএফ লিংক পেতে সাহায্য করুন

Leave a Comment