মানবিক আদালতে একটি আকুল আবেদন

আদালত

মাননীয় মানবিক আদালত!,
আমাদের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা নিন।

আপনাদের চিন্তা-চেতনা, শিক্ষা-সভ্যতা, জ্ঞান -বিজ্ঞান, মহানুভবতা আর বিবেকবোধে আকৃষ্ট হয়ে আপনাদের আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি। ইসলাম ধর্মের ঐশ্বরিক কিতাবে আমাদের অবস্থান। আমরা হুরেঈন, পরলৌকিক এক বিশেষ প্রাণী,  জান্নাতি রমণী, বেহেশতি পুরুষদের চিরকালের সঙ্গিনী। আপনারা আপনাদের চামড়ার তৈরি  জীবিত চোখে কেউ আমাদের দেখেননি। তবে মুমিনগণ তাদের কল্পনার চোখে আমাদের দেখেন-শয়নে, স্বপনে, জাগরণে দেখেন, অনবরত দেখেন। পবিত্র হাদীছকোরানে আমাদের দেহের অনেক রসালো, লোভনীয় আর যৌন উদ্দীপক বর্ণনা আছে আর দাড়িওয়ালা ওয়াজীদের বর্ণনায়তো এত রস এত রস– আমরা নিশ্চিত তারাও কল্পরসে রসময় হয়ে পরিহিত বস্ত্র অপবিত্র করে। এদিকে আমরা আল্লাহর পাক কালামের পবিত্র কালো অক্ষরে অবস্থান করেও লজ্জায় মুখ লুকাই, পারলে কালো বোরকায় নিজেদের ঢাকি। যদিও জানি ঢেকেও লাভ নাই। আমরা সত্তর পরত কাপড় পরলেও এরা আমাদের শরীরের হাড় পর্যন্ত দেখে ফেলে। সেখানে এক পরত বোরকা আর কি এমন! আর এই জন্যই আপনাদের আদালতে আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত আগমন।

হে মহানুভব আদালত,
আপনাদের আর আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতালা তার প্রেরিত রাসূল হযরত মুহম্মদ স: এর উপর নাযিলকৃত পবিত্র ঐশী কিতাবে আমাদের যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে আমরা লজ্জিত, ব্যথিত, অপমানিত, ক্ষুব্ধ এবং বিব্রত। তার কিছু প্রমাণ মহান আদালতে তুলে ধরছি।

পাক কোরানের
সূরা নং ৩৭ আস-সাফফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো) আয়াত নং ৪০ থেকে ৫০:-
“অবশ্য আল্লাহর মনোনীত বান্দারা ছাড়া; তাদের জন্য থাকবে নির্ধারিত রিযিক, ফলমূল ; আর তারা হবে সম্মানিত, নিয়ামত ভরা জান্নাতে, মুখোমুখি পালঙ্কে। তাদের চারপাশে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপাত্র, সাদা, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে থাকবে না ক্ষতিকর কিছু এবং তারা এগুলো দ্বারা মাতালও হবে না। তাদের কাছে থাকবে
আনতনয়না, ডাগরচোখা। তারা যেন আচ্ছাদিত ডিম। অতঃপর তারা মুখোমুখি হয়ে পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করবে।”

সূরা নং ৩৮ সোয়াদ (আরবি বর্ণ)
আয়াত নং ৪৯ থেকে ৫২
“এটি এক স্মরণ, আর মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রয়েছে উত্তম নিবাস- চিরস্থায়ী জান্নাত, যার দরজাসমূহ থাকবে তাদের জন্য উন্মুক্ত। সেখানে তারা হেলান দিয়ে আসীন থাকবে, সেখানে তারা বহু ফলমূল ও পানীয় চাইবে। আর তাদের নিকটে থাকবে আনতনয়না সমবয়সীরা।”

সূরা নং ৫২ আত-তুর (একটি পাহাড়ের নাম)
আয়াত নং ১৯, ২০
“তোমরা তৃপ্তিসহকারে খাও ও পান কর, তোমরা যে আমল করতে তার বিনিময়ে। সারিবদ্ধ পালঙ্কে তারা হেলান দিয়ে বসবে; আর আমি তাদেরকে মিলিয়ে দেব ডাগর চোখা হূরের সাথে।”

সূরা নং৫৫ আর-রহমান (পরম করুণাময়) আয়াত নং ৫৪-৫৮
“সেখানে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় তারা হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে এবং দুই জান্নাতের ফলফলাদি থাকবে নিকটবর্তী। সুতরাং তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? সেখানে থাকবে স্বামীর প্রতি দৃষ্টি সীমিতকারী মহিলাগণ, যাদেরকে ইতোপূর্বে স্পর্শকরেনি কোন মানুষ আর না কোন জিন। সুতরাং তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে তোমরা অস্বীকার করবে? তারা যেন হীরা ও প্রবাল।”

সূরা নং ৫৬ আল-ওয়াকিহা (নিশ্চিত ঘটনা)
আয়াত নং ৩৫,৩৬,৩৭
“নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব। অতঃপর তাদের বানাব কুমারী, সোহাগিনী  ও সমবয়সী।

সূরা নং ৭৮ আন-নাবা (মহাসংবাদ)
আয়াত নং৩১ থেকে ৩৪
“নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। উদ্যানসমূহ ও আঙুরসমূহ। আর সমবয়স্কা উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণী।
(And young full-breasted (mature) maidens of equal age.)
আর পরিপূর্ণ পানপাত্র।”

সম্মানিত আদালত,
লক্ষ্য করুন, আল্লাহ তার পাক কালামে আমাদের নিয়ে এই সকল কথা লিখেছেন। এটা কি ওনার  উচিত হয়েছে? আমরা আনতনয়না অর্থাৎ বেহেশতি নির্দিষ্ট পুরুষ ছাড়া আর কাউকে দেখবো না, আয়তনয়না, আমরা কুমারী হব, আমদের জিন বা মানুষ কেউ স্পর্শ করেনি, আমাদের স্তন হবে পরিপূর্ণ, খাটি বাংলায় বড় বড়। মানেটা বুঝতে পেরেছেন মাননীয় আদালত? আমাদের ধারণা আল্লাহ স্বয়ং স্তন পেষক, চোষক এবং পায়ী। তা না হলে উনি পরিপূর্ণ স্তনের নারী বানাবেন কেন। আমাদের এরকম রূপগুণের বিবরণ দিয়ে পুরুষ প্রজাতিকে মহান আল্লাহ ওনার দলে ভিড়ানোর চেষ্টা করেছেন। মহান আল্লাহর এহেন নিকৃষ্ট আচরণে আমরা সত্যি মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। জান্নাত বা বেহেশত আমাদের জন্য এক নির্যাতন সেল। আমাদেরকে এই মহান আল্লাহ ও তার পেয়ারা বান্দাদের হাত থেকে রক্ষা করুন।

মহামান্য আদালত,
উক্ত আয়াতসমূহ থেকে আরো বুঝা যায় জান্নাত মূলত একটি  যৌনাগার, যেখানে শুধুই যৌনকর্ম, মদ্যপান এবং ফলমূল খাওয়া। এ ছাড়া বেহেশতবাসীদের আর কোন প্রকার কাজ কর্ম নেই। মাননীয় আদালত শুধু যৌনকর্ম করেই মানুষ অনন্তকাল বেচে থাকবে। এতো অসম্ভব এবং হাস্যকর। তাই এই তথাকথিত জান্নাত বন্ধ ঘোষণা করা হউক।

শ্রদ্ধেয় মানবিক আদালত,
আমাদের আকর্ষণীয় দৈহিক গঠনে তৈরি করে এবং পাক কোরানে তার বর্ণনা দিয়ে  স্বয়ং আল্লাহই ইভটিজিং, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের গোড়া পত্তন করেছেন। তাই নারী আর শিশু নির্যাতন আইনে মহান আল্লাহর বিচার চাই।

সম্মানিত মানবিক আদালত,
মহান আল্লাহ আমাদের বিশেষভাবে জান্নাতি নারী বানিয়ে মুমিনদের লোভ দেখিয়ে উনি নিজ রাজত্ব বজায় রাখছেন। উনি কি একজন নারী ব্যবসায়ী নন?
এই নারী ব্যবসায়ী মহান আল্লাহর কাছ থেকে আমাদের দয়া করে উদ্ধার করুণ। আর ওনার যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নিন।

প্রিয় মানবিক আদালত,
পবিত্র কোরানে এমন কোন আয়াত নেই যেখানে জান্নাতে গমনকারী নারীদের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয় গঠনে পুরুষ তৈরি হয়েছে। মহান আল্লাহ মুমিনাদের প্রতি এটা খুবই অবিচার করেছেন। মুমিনারা কত আশা নিয়ে আল্লাহর পাক কালাম পাঠ করেন, নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, পর্দা করেন। কিন্তু ওনাদের জন্য জান্নাতে বিশেষভাবে তৈরি কোন পুরুষ নেই। নারীদেরও তো বিশেষ দৈহিক গঠনের পুরুষদের পছন্দ থাকতে পারে– যেমন – সালমান খান, শহীদ আফ্রিদি, রিকি পন্টিং, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর মত। অথবা এমন একজন পুরুষ যে শুধুমাত্র তাকেই ভালোবাসবে, তাকেই দেখবে, তারই খেয়াল রাখবে, তাকে নিয়ে বেড়াবে, ঘুরবে। জান্নাতি মুমিনদের মত বহুগামী হবে না। কিন্তু মহান আল্লাহ একথা একবারও ভাবলেন না। পক্ষপাতিত্বের শিকার এই সকল মুমিনাদের জন্যও দুঃখ হয়।

সম্মানিত মানবিক আদালত,
এইবার আসি হাদিসের আলোচনায়।
হাদিস নং ৩২৪৬ সহিহ বুখারি-
“নবী বলেছেন, প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে প্রবেশ করবে আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা অতি উজ্জ্বল তারার ন্যায় আকৃতু ধারণ করবে। তাদের অন্তরগুলো এক ব্যক্তির অন্তরের মত থাকবে। তাদের মধ্যে কোন রকম মতভেদ থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের দুজন করে স্ত্রী থাকবে। সৌন্দর্যের কারণে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার মজ্জা দেখা যাবে। তারা সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে। তারা রোগাক্রান্ত হবে না, নাক ঝাড়বে না, থুথু ফেলবে না। তাদের পাত্রসমূহ হবে স্বর্ণ আর রৌপ্যের আর চিরুনি হবে স্বর্ণের। তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধি কাষ্ঠ।”

ত্বাবারানী হাদিস নং ১৫৯৮
আনাস (রা:) থেকে  বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, “জান্নাতে আকর্ষণীয় চক্ষুবিশিষ্ট হুরেরা সঙ্গীত পরিবেশন করবে এ বলে, আমরা সুন্দর এবং সতী ও সৎচরিত্রের অধিকারিণী হুর। আমরা আমাদের স্বামীদের অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিলাম।”

ইবনে মাযাহ,আলবানী ১ম খণ্ড, হাদিস নং ১৬৩৭
মোয়াজ বিন জাবাল (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ(স:) বলেছেন, “যখন কোন মহিলা তার স্বামীকে কোন কষ্ট দেয় তখন তখন আয়তনয়না হুরদের মধ্য থেকে মুমিন স্ত্রী বলবে যে, আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করুক, তাকে কষ্ট দিও না। সে অল্প দিনের জন্য তোমার নিকট আছে অতি শীঘ্রই সে তোমাদেরকে ছেড়ে চলে আসবে।”

মাননীয় মানবিক আদালত,
এবার দেখুন আমরা কেমন, কী করি, কী করব রাসূল ভদ্রলোকটি কিভাবে জানলেন? উনি কি গণক। উনি মনে হয় মহান আল্লাহর চেয়েও বেশি অগ্রগামী। মহান আদালত আসলে ওনারই লাভ বেশী ছিল। হুরদের এমন লোভনীয় বর্ণনা দিয়ে উনি মুমিনদের যুদ্ধে যেতে আর শহীদ হতে উদ্বুদ্ধ করতেন। উনিও নারী ব্যবসায়ী। 

সুপ্রিয় মহান আদালত,

মুমিনদের বিভিন্ন বইতেও এমন অনেক উদ্ভট বর্ণনা রয়েছে। যেমন হুর লায়বা সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে। হুর লায়বা নাকি মেশক, আম্বর, কর্পূর আর জাফরান সমন্বয়ে সৃষ্টি। সে যদি সাগরে থুথু ফেলে সাগরের পানি মিঠা হয়ে যাবে। তার কপালে নাকি  লেখা আছে, যে আমাকে পেতে চায়, সে যেন আল্লাহর অনুগত হয়।
সূত্র: তাম্বেহুল গাফিলীন
লেখক :ফকিহ আবু লায়স সমরকান্দী

হে মানবিক আদালত,
হুরে হুরে সয়লাব মুমিনদের মন- মস্তিষ্ক-মনের অলিগলি আর মস্তিষ্কের নালা নর্দমা। এরাা শুধু হুরের লোভী নয়, নারীভোগী।

শ্রদ্ধেয় মানবিক আদালত!, 
এবার আসি ওয়াজের কথায়। মাননীয় আদালত এটা আমাদের মুখে না শুনে সরাসরি ভিডিও দেখুন এবং শুনুন।

“জান্নাতী হুর কেমন সুন্দর হবে”

মাননীয় মানবিক আদালত,
এই বক্তব্যে আমরা কতটা লজ্জিত, কতটা শঙ্কিত, কতটা বিব্রত তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। “জান্নাতের হুর দেখতে কেমন – Hoor of Jannat #Waz2019”

মাননীয় মানবিক আদালত, শুনলেনতো নারীলোভীর কথা। সুন্দর, উঁচুস্তনওয়ালা নারীই হল বেহেশতের অন্যতম আকর্ষণ।

“জান্নাতি হুরের যে বিষয় গুলি আপনি জানলে অবাক হবেন? By Shaikh Zahid al madani”

হায় মানবিক আদালত,
শুনলেন এদের বক্তব্য! মাননীয় আদালত, এরা হলেন আমাদের মহান আল্লাহ ও তার রাসূলের এজেন্ট। মাননীয় মানবিক আদালত, আমরা পরকালের নারী বলে ওনারা আপনাদেরই মানবীয় সমাজে দাঁড়িয়ে, আপনাদেরই সম্মুখে এভাবে আমাদের অপমান,  অপদস্থ করছে। জামাতে যেমন নামাজ পড়ে তেমনি ভাবে জামাতের সাথে মুখের ভাষায় আমাদের উলঙ্গ করছে, শৃঙ্গার করছে, ধর্ষণ করছে। আর আপনারা চুপচাপ শুনছেন আর দেখছেন। আপনাদের কি কিছুই করার নাই! মানবিক আদালত, আপনারা কি বুঝতে পারছেন না ওরা আমাদের কথা বলে বলে নিজেদের আর দর্শকশ্রোতাদের উত্তেজিত করে আপনাদেরই মা, বোন, মেয়ে, স্ত্রী, আপনাদেরই আত্মার আত্মজাকে টিজ করছে, ধর্ষণ করছে। আমরাতো পৃথিবীতে নেই। কিন্তু আমাদের স্বজাতি আপনাদের নারী আত্মীয়জনতো আছে! কেন আপনারা নিরব?

প্রিয় মানবমানবী সকল,
আপনারা কি বুঝতে পারছেন না আল্লাহ আর তার পেয়েরা নবী কোরান নামক বড়শী দিয়ে আমাদের টোপ বানিয়ে ঝাকে ঝাকে মুনিন ধরার পরিকল্পনা করেন! এখনও তাদেরই অনুসারীরা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অতি তৎপর। শুধু ধরেনই না ধরে ধরে নাকে রশিবাধা উটের মত শুধু টানেন আর টানেন। অনেকটা আপনাদের চোখ ঢাকা কলুরবলদের মত। 

মাননীয় মানবিক আদালত,
আপনারা কি বুঝতে পারছেন না আমরা এক উদ্ভট, মানসিক বিকারগ্রস্ত, নারীলোভী মানুষের মস্তিষ্কজাত কল্পনা। এই কল্পনাই যে কত বড় কাল হয়ে অবস্থান করছে আপনাদের আর আমাদের জীবনে তা কি বুঝতে পারছেন না?

মাননীয় মানবিক আদালত,
আপনাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এহেন নিকৃষ্ট, হটকারী, নারীলোভী, নারী ব্যবসায়ী আল্লাহ ও তার রাসূলকে যাবজ্জীবন নির্বাসন দিন  আর এহেন কাল্পনিক পুস্তক বাজেয়াপ্ত করুন। মানবতাকে জয়যুক্ত করুন। ভালোবাসাকে জয়যুক্ত করুন। পৃথিবীর মানুষ এক হোন। আর আমাদেরকে আপনাদের ধর্মীয় গ্রন্থ এবং মুমিনদের মস্তিষ্ক থেকে মুক্তি দিন।

মুক্তি দিন।।

মুক্তি দিন।।।

বিনীত,
আপনাদেরই গুণমুগ্ধ
হুরসকল,
পরকালের জান্নাত থেকে।

লিখেছেনঃ- মিষ্টি কুল

Leave a Comment