সমকামীদের ওপর ইসলামের বর্বরতা

Print Friendly, PDF & Email

এই প্রবন্ধটি তৈরি করার উদ্দেশ্য হচ্ছে সমকামীদের নিয়ে ইসলামের অবস্থান পাঠকদের সামনে তুলে ধরা। সমকামীদের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে সেটা আমি কুরআন হাদিসের তথ্য দ্বারা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে যে আপনারা সেইসব তথ্যসমূহকে পড়া মাত্রই বিশ্বাস করবেন না, আমরা চাই আপনারা আগে যাচাই বাছাই করুন, তারপর ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

কুরআন

সূরা আল-আ’রাফ

7:80
وَ لُوۡطًا اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِہٖۤ اَتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَۃَ مَا سَبَقَکُمۡ بِہَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنَ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۸۰﴾
আর আমি লূতকে পাঠিয়েছিলাম। সে তার কাওমকে বলেছিলঃ তোমরা এমন অশ্লীল ও কু-কর্ম করছো যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বে আর কেহই করেনি।

তাফসীর

(১) লূত ‘আলাইহিসসালাম ছিলেন ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালামের ভ্রাতুষ্পুত্র। উভয়ের মাতৃভূমি ছিল পশ্চিম ইরাকে বসরার নিকটবর্তী প্রসিদ্ধ বাবেল শহর। এখানে মূর্তিপূজার ব্যাপক প্রচলন ছিল। স্বয়ং ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারও মূর্তিপূজায় লিপ্ত ছিল। তাদের হিদায়াতের জন্য আল্লাহ্ তা’আলাইবরাহীম আলাইহিস সালামকে নবী করে পাঠান। কিন্তু সবাই তার বিরুদ্ধাচরণ করে এবং ব্যাপারটি নমরূদের অগ্নি পর্যন্ত গড়ায়। স্বয়ং পিতা তাকে গৃহ থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেন। নিজ পরিবারের মধ্যে শুধু স্ত্রী সারা ও ভ্রাতুষ্পপুত্র লুত মুসলিম হন। অবশেষে তাদেরকে সাথে নিয়ে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম দেশ ছেড়ে সিরিয়ায় হিজরত করেন। জর্দান নদীর তীরে পৌছার পর আল্লাহর নির্দেশে ইবরাহীম আলাইহিস্ সালাম বায়তুল মোকান্দাসের অদূরেই বসতি স্থাপন করেন।
লুত আলাইহিস সালামকেও আল্লাহ্ তা’আলা নবুওয়াত দান করে জর্দান ও বায়তুল মোকান্দাসের মধ্যবর্তী সাদূমের অধিবাসীদের পথ প্রদর্শনের জন্য প্রেরণ করেন। এ এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় বড় শহর ছিল। কুরআনুল কারীম বিভিন্ন স্থানে এদের সমষ্টিকে ‘মু’তাফেকা’ ও ‘মু’তাফেকাত’ শব্দে বর্ণনা করেছে। এসব শহরের মধ্যে সাদূমকেই রাজধানী মনে করা হত। লুত ‘আলাইহিস সালাম এখানেই অবস্থান করতেন। এ এলাকার ভূমি ছিল উর্বর ও শস্যশ্যামল। এখানে সর্বপ্রকার শস্য ও ফলের প্রাচুর্য ছিল। আল্লাহ্ তা’আলা লুত আলাইহিস সালামকে তাদের হেদায়াতের জন্য নিযুক্ত করেন। তিনি স্বজাতিকে সম্বোধন করে বলেনঃ “তোমরা এমন অশ্লীল কাজ কর, যা তোমাদের পূর্বে পৃথিবীর কেউ করেনি।” অর্থাৎ লুত আলাইহিস সালামের জাতি নারীদেরকে বাদ দিয়ে পুরুষদের সাথে কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করত। এটা ছিল এমন কাজ যা এর পূর্বে কোন জাতি করেনি। এজন্য আল্লাহ্ তা’আলা বলছেনঃ তোমরা মনুষ্যত্বের সীমা অতিক্রমকারী সম্পপ্রদায়। প্রত্যেক কাজে সীমা অতিক্রম করাই তোমাদের আসল রোগ। যৌন কামনার ক্ষেত্রেও তোমরা আল্লাহর নির্ধারিত সীমা ডিঙ্গিয়ে স্বভাববিরুদ্ধ কাজে লিপ্ত হয়েছ। লুত আলাইহিস সালামের উপদেশের জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ এরা বড় পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন বলে দাবী করে। এদের চিকিৎসা এই যে, এদেরকে বস্তি থেকে বের করে দাও। তখন গোটা জাতিই আল্লাহর আযাবে পতিত হল। শুধু লুত আলাইহিস সালাম ও তার কয়েকজন সঙ্গী আযাব থেকে বেঁচে রইলেন। আল্লাহ বলেনঃ “আমি লুত ও তার পরিবারকে আযাব থেকে বাচিয়ে রেখেছি।” কারণ, লুত আলাইহিস সালামের ঘরের লোকেরাই শুধু মুসলিম ছিল। সুতরাং তারাই আযাব থেকে মুক্তি পেল। অবশ্য তাদের মধ্যে তার স্ত্রী অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সারকথা এই যে, গোণা-গুণতি কয়েকজন মুসলিম ছিল। তাদেরকে আযাব থেকে বাঁচানোর জন্য আল্লাহ তা’আলা লুত ‘আলাইহিস সালামকে নির্দেশ দেন যে, স্ত্রী ব্যতীত অন্যান্য পরিবার-পরিজন ও সম্পর্কশীল লোককে নিয়ে শেষ রাত্রে বস্তি থেকে বের হয়ে যান এবং পিছনে ফিরে দেখবেন না। কেননা, আপনি যখন বস্তি থেকে বের হয়ে যাবেন, তখনই কালবিলম্ব না করে আযাব এসে যাবে। লুত ‘আলাইহিস সালাম এ নির্দেশ মত স্বীয় পরিবার-পরিজন ও সম্পর্কশীলদেরকে নিয়ে শেষ রাত্রে সাদূম ত্যাগ করেন। তার স্ত্রী প্রসঙ্গে দুরকম বর্ণনা রয়েছে। এক বর্ণনা অনুযায়ী সে সঙ্গে রওয়ানাই হয়নি। দ্বিতীয় বর্ণনায় আছে, কিছু দূর সঙ্গে চলার পর আল্লাহর নির্দেশের বিপরীতে পিছনে ফিরে বস্তিবাসীদের অবস্থা দেখতে চেয়েছিল। ফলে সাথে সাথে আযাব এসে তাকেও পাকড়াও করল। কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন জায়গায় এ ঘটনাটি সংক্ষেপে ও বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। তাদের উপর আপতিত আযাব সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ যখন আমার আযাব এসে গেল, তখন আমি বস্তিটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর স্তরে স্তরে প্রস্তর বর্ষণ করলাম যা আপনার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নযুক্ত ছিল। সে বস্তিটি এ কাফেরদের থেকে বেশী দূরে নয়।
এতে বুঝা যাচ্ছে যে, উপর থেকে প্রস্তর বর্ষিত হয়েছে এবং নীচে থেকে জীবরাঈল আলাইহিস সালাম গোটা ভূখণ্ডকে উপরে তুলে উল্টে দিয়েছেন। সূরা আলহিজরের আয়াতে এ আযাবের বর্ণনার পূর্বে বলা হয়েছেঃ সূর্যোদয়ের সময় বিকট শব্দ তাদেরকে পাকড়াও করল। লুত ‘আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের উপর পতিত ভয়াবহ আযাবসমূহের মধ্যে ভূখণ্ড উল্টে দেয়ার আযাবটি তাদের অশ্লীল ও নির্লজ্জ কাজের সাথে বিশেষ সঙ্গতিও রাখে। কারণ, তারা সিদ্ধ পন্থার বিপরীত কাজ করেছিল। সূরাঃ হুদের বর্ণিত আয়াতসমূহের শেষে আল্লাহ্ তাআলা আরবদেরকে হুশিয়ার করে এ কথাও বলেছে যে, উল্টে দেয়া বস্তিগুলো যালেমদের কাছ থেকে বেশী দূরে নয়। সিরিয়া গমনের পথে সব সময়ই সেগুলো তাদের চোখের সামনে পড়ে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, তারা তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না। এ দৃশ্য শুধু কুরআন নাযিলের সময়েরই নয়, আজও বিদ্যমান রয়েছে। বায়তুল মুকাদাস ও জর্দান নদীর মাঝখানে আজও এ ভূখণ্ডটি ‘লুত সাগর’ অথবা ‘মৃত সাগর’ নামে পরিচিতি। এর ভূ-ভাগ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অনেক নীচে অবস্থিত। এর একটি বিশেষ অংশে নদীর আকারে আশ্চর্য ধরণের পানি বিদ্যমান। এ পানিতে কোন মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি জীবিত থাকতে পারে না। এ কারণেই একে মৃত সাগর বলা হয়। কথিত আছে, এটাই সাদূমের অবস্থান স্থল। (ড.শাওকী আবু খালীল, আতলাসুল কুরআন, পৃ. ৫৭-৬১)
(২) বর্তমানে যে এলাকাটিকে ট্রান্স জর্দান বলা হয় সেখানেই ছিল এ জাতিটির বাস। ইরাক ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী স্থানে এ এলাকাটি অবস্থিত। এ এলাকা এমনই শ্যামল সবুজে পরিপূর্ণ ছিল যে, মাইলের পর মাইল জুড়ে এ বিস্তৃত এলাকা যেন একটি বাগান মনে হতো। এ এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ ও বিমোহিত করত। কিন্তু আজ এ জাতির নাম-নিশানা দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এমনকি তাদের জনপদগুলো কোথায় কোথায় অবস্থিত ছিল তাও আজ সঠিকভাবে জানা যায় না। মৃত সাগরই তাদের একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে টিকে আছে।

তাফসীর আবু বকর জাকারিয়াঃ (কুরআন ৭ঃ৮০)

সূরা আশ-শু’আরা

26:165 
اَتَاۡتُوۡنَ الذُّکۡرَانَ مِنَ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶۵﴾ۙ
সৃষ্টির মধ্যে তোমরা কি শুধু পুরুষের সাথেই উপগত হবে?
26:166
وَ تَذَرُوۡنَ مَا خَلَقَ لَکُمۡ رَبُّکُمۡ مِّنۡ اَزۡوَاجِکُمۡ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ عٰدُوۡنَ ﴿۱۶۶﴾
আর তোমাদের রাব্ব তোমাদের জন্য যে স্ত্রীলোক সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে তোমরা বর্জন করে থাক, বরং তোমরা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।
26:167
قَالُوۡا لَئِنۡ لَّمۡ تَنۡتَہِ یٰلُوۡطُ لَتَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡمُخۡرَجِیۡنَ ﴿۱۶۷﴾
তারা বললঃ হে লূত! তুমি যদি নিবৃত্ত না হও তাহলে অবশ্যই তুমি নির্বাসিত হবে।
26:168
قَالَ اِنِّیۡ لِعَمَلِکُمۡ مِّنَ الۡقَالِیۡنَ ﴿۱۶۸﴾ؕ
লূত বলল, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি।
26:169
رَبِّ نَجِّنِیۡ وَ اَہۡلِیۡ مِمَّا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۶۹﴾
হে আমার রাব্ব! আমাকে ও আমার পরিবারবর্গকে, তারা যা করে তা হতে রক্ষা কর।
26:170
فَنَجَّیۡنٰہُ وَ اَہۡلَہٗۤ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۱۷۰﴾ۙ
অতঃপর আমি তাকে এবং তার পরিবার পরিজনের সবাইকে রক্ষা করলাম –
26:171
اِلَّا عَجُوۡزًا فِی الۡغٰبِرِیۡنَ ﴿۱۷۱﴾ۚ
এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
26:172
ثُمَّ دَمَّرۡنَا الۡاٰخَرِیۡنَ ﴿۱۷۲﴾ۚ
অতঃপর অন্যদেরকে ধ্বংস করলাম।
26:173
وَ اَمۡطَرۡنَا عَلَیۡہِمۡ مَّطَرًا ۚ فَسَآءَ مَطَرُ الۡمُنۡذَرِیۡنَ ﴿۱۷۳﴾
তাদের উপর শাস্তিমূলক বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম, এবং ভীতি প্রদর্শনের জন্য এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট!

আন-নামাল

27:54 
وَ لُوۡطًا اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِہٖۤ اَتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَۃَ وَ اَنۡتُمۡ تُبۡصِرُوۡنَ ﴿۵۴﴾ 
স্মরণ কর লূতের কথা, সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা জেনে শুনে কেন অশ্লীল কাজ করছ?
27:55
اَئِنَّکُمۡ لَتَاۡتُوۡنَ الرِّجَالَ شَہۡوَۃً مِّنۡ دُوۡنِ النِّسَآءِ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ تَجۡہَلُوۡنَ ﴿۵۵﴾
তোমরা কি কাম-তৃপ্তির জন্য নারীকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরাতো এক অজ্ঞ সম্প্রদায়।
27:56
فَمَا کَانَ جَوَابَ قَوۡمِہٖۤ اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوۡۤا اَخۡرِجُوۡۤا اٰلَ لُوۡطٍ مِّنۡ قَرۡیَتِکُمۡ ۚ اِنَّہُمۡ اُنَاسٌ یَّتَطَہَّرُوۡنَ ﴿۵۶﴾
উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বললঃ লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ হতে বহিস্কার কর, এরাতো এমন লোক যারা অতি পবিত্র সাজতে চায়।
27:57
فَاَنۡجَیۡنٰہُ وَ اَہۡلَہٗۤ اِلَّا امۡرَاَتَہٗ ۫ قَدَّرۡنٰہَا مِنَ الۡغٰبِرِیۡنَ ﴿۵۷﴾
অতঃপর তাকে ও তার পরিজনবর্গকে আমি উদ্ধার করলাম, তার স্ত্রী ব্যতীত, তাকে করেছিলাম ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
27:58
وَ اَمۡطَرۡنَا عَلَیۡہِمۡ مَّطَرًا ۚ فَسَآءَ مَطَرُ الۡمُنۡذَرِیۡنَ ﴿٪۵۸﴾
তাদের উপর ভয়ঙ্কর বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম; যাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল তাদের জন্য এই বর্ষণ ছিল কত মারাত্মক।

আল-আনকাবূত

29:28 
وَ لُوۡطًا اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِہٖۤ اِنَّکُمۡ لَتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَۃَ ۫ مَا سَبَقَکُمۡ بِہَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنَ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۸﴾ 
স্মরণ কর লূতের কথা, সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা এমন অশ্লীল কাজ করছো যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বে কেহ করেনি।
29:29
اَئِنَّکُمۡ لَتَاۡتُوۡنَ الرِّجَالَ وَ تَقۡطَعُوۡنَ السَّبِیۡلَ ۬ۙ وَ تَاۡتُوۡنَ فِیۡ نَادِیۡکُمُ الۡمُنۡکَرَ ؕ فَمَا کَانَ جَوَابَ قَوۡمِہٖۤ اِلَّاۤ اَنۡ قَالُوا ائۡتِنَا بِعَذَابِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۲۹﴾
তোমরা পুরুষের উপর উপগত হচ্ছ এবং তোমরা রাহাজানি করে থাক এবং তোমরা নিজেদের মজলিশে প্রকাশ্য ঘৃণ্য কাজ করে থাক। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু এই বললঃ আমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি আনয়ন কর, যদি তুমি সত্যবাদী হও।
29:30
قَالَ رَبِّ انۡصُرۡنِیۡ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡمُفۡسِدِیۡنَ ﴿٪۳۰﴾
সে বললঃ হে আমার রাব্ব! বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।
29:31
وَ لَمَّا جَآءَتۡ رُسُلُنَاۤ اِبۡرٰہِیۡمَ بِالۡبُشۡرٰی ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا مُہۡلِکُوۡۤا اَہۡلِ ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃِ ۚ اِنَّ اَہۡلَہَا کَانُوۡا ظٰلِمِیۡنَ ﴿ۚۖ۳۱﴾
যখন আমার প্রেরিত মালাইকা/ফেরেশতারা সুসংবাদসহ ইবরাহীমের নিকট এলো, তারা বলেছিলঃ আমরা এই জনপদবাসীকে ধ্বংস করব, এর অধিবাসীতো সীমা লংঘনকারী।

হাদিস

সহীহ বুখারী

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭৭/ পোশাক (كتاب اللباس)
হাদিস নম্বরঃ ৫৮৮৬
৭৭/৬২. নারীর বেশধারী পুরুষদের ঘর থেকে বের করে দেয়া প্রসঙ্গে।
৫৮৮৬. ইবনু ‘আববাস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদের উপর লা’নত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ওদেরকে ঘর থেকে বের করে দাও। ইবনু ‘আববাস বলেছেনঃ নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুককে বের করেছেন এবং ‘উমার অমুককে বের করে দিয়েছেন। আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود)
হাদিস নম্বরঃ ৬৮৩৪
৮৬/৩৩. গুনাহ্গার ও নপুংসকদের নির্বাসিত করা।
৬৮৩৪. ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন নারীরূপী পুরুষ ও পুরুষরূপী নারীদের উপর এবং বলেছেনঃ তাদেরকে বের করে দাও তোমাদের ঘর হতে এবং তিনি অমুক অমুককে বের করে দিয়েছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সুনান আবূ দাউদ

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود)
হাদিস নম্বরঃ ৪৪৬২
২৯. কেউ কওমে লূতের অনুরূপ অপকর্ম করলে
৪৪৬২। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কাউকে যদি লূত গোত্রের মতই কুর্কমে লিপ্ত দেখতে পাও তাহলে কর্তা ও যার সঙ্গে করা হয়েছে তাদের উভয়কে হত্যা করো।(1)
হাসান সহীহ।
(1). তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ, হাকিম। ইমাম হাকিম ও যাহাবী বলেনঃ হাদীস সহীহ। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود)
হাদিস নম্বরঃ ৪৪৬৩
২৯. কেউ কওমে লূতের অনুরূপ অপকর্ম করলে
৪৪৬৩। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, অবিবাহিতদের লাওয়াতাতে (পায়ুকামে) লিপ্ত পাওয়া গেলে রজম করা হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আসিম (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীস আমর ইবনু আবূ আমরের হাদীসকে দুর্বল প্রমাণিত করে।(1)
সনদ সহীহ মাওকুফ।
(1). বায়হাক্বী। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ২৬/ গণ-গোসলখানা (كتاب الحمَّام)
হাদিস নম্বরঃ ৪০১৮
৩. উলঙ্গ হওয়া সম্পর্কে
৪০১৮। আব্দুর রাহমান ইবনু অবাূ সাঈদ আল-খুদরী থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোনো পুরুষ অন্য পুরুষের গোপন অঙ্গের দিকে তাকাবে না এবং কোনো নারীও অন্য নারীর গোপন অঙ্গের দিকে তাকাবে না। আর কোনো পুরুষ অপর পুরুষের সাথে একই কাপড়ের ভিতরে একত্রে ঘুমাবে না এবং কোনো নারীও অপর নারীর সাথে একই কাপড়ের ভিতরে ঘুমাবে না।(1)
সহীহ।
(1). মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান গরীব সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ২৭/ পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس)
হাদিস নম্বরঃ ৪০৯৮
৩০. নারীদের পোশাক
৪০৯৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন ঐসব পুরুষকে যারা নারীর অনুরূপ পোশাক পরে এবং ঐসব নারীকে যে পুরুষের অনুরূপ পোশাক পরিধান করে।(1)
সহীহ।
(1). নাসায়ী, আহমাদ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ২৭/ পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس)
হাদিস নম্বরঃ ৪০৯৯
৩০. নারীদের পোশাক
৪০৯৯। ইবনু আবূ রুলাইকাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আয়িশাহ (রাঃ)-কে বলা হলো, এক মহিলা (পুরুষদের জুতার মতো) জুতা ব্যবহার করে। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষবেশী নারীদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন।(1)
সহীহ।
(1). আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন সহীহ সনদে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সুনানে ইবনে মাজাহ

গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ (كتاب النكاح)
হাদিস নম্বরঃ ১৯০৪
৯/২২. নপুংসকদের প্রসঙ্গে।
৩/১৯০৪। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশধারিণী নারীদেরকে।
সহীহুল বুখারী ৫৮৮৫, ৫৮৮৬, ৬৮৩৪, তিরমিযী ২৭৮৪, ২৭৮৫,আবূ দাউদ ৪০৯৭, ৪৯৩০, আহমাদ ১৯৮৩, ২০০৮, ২১২৪, ৩৪৪৮, দারেমী ২৬৪৯, রওয ৪৪৭, আল-আদাব ৪৪৭, হিজাবুল মারআহ ৬৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ১৪/ হদ্দ (দন্ড) (كتاب الحدود)
হাদিস নম্বরঃ ২৫৬১
১৪/১২. যে ব্যক্তি লূত জাতির অনুরূপ অপকর্মে লিপ্ত হয়
১/২৫৬১। ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা কাউকে লূত জাতির অনুরূপ অপকর্মে লিপ্ত পেলে তাকে এবং যার সাথে তা করা হয় তাকে হত্যা করো।
তিরমিযী ১৪৫৬, আবূ দাউদ ৪৪৬২, বায়হাকী ফিস সুনান ৮/২৩২, ইরওয়া ২৩৫০, মিশকাত ৩৫৭৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ১৪/ হদ্দ (দন্ড) (كتاب الحدود)
হাদিস নম্বরঃ ২৫৬২
১৪/১২. যে ব্যক্তি লূত জাতির অনুরূপ অপকর্মে লিপ্ত হয়
২/২৫৬২। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লূত জাতির অনুরূপ অপকর্মে লিপ্ত ব্যক্তি সম্পর্কে বলেনঃ তোমরা উপরের এবং নিচের ব্যক্তিকে অর্থাৎ উভয়কে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করো।
তিরমিযী ১৪৫৬, বায়হাকী ফিস সুনান ৮/২৩২, ইরওয়া ৬/১৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আসিম বিন উমার সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন, তিনি সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০১৭, ১৩/৫১৭ নং পৃষ্ঠা) ২. সুহসায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস সহিহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬২৯, ১২/২৩৩ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)

Marufur Rahman Khan

Marufur Rahman Khan is an Atheist Blogger from Bangladesh.

8 thoughts on “সমকামীদের ওপর ইসলামের বর্বরতা

  • February 3, 2019 at 5:15 PM
    Permalink

    সমকামীদের প্রতি এরকম তীব্র ঘৃণা চিরকাল ধরেই বিভিন্ন প্রাচীন ধৰ্মগুলো করে আসছে।দুঃখের বিষয় ধর্মের ধ্বজাধারীরা কখনও এর জন্য অনুতপ্ত নয়।তারা তাদের দৃষ্টিকোন থেকে একবারও ভাবেনা যে,এই সমকামীরাও তাদের আল্লাহ ঈশ্বর যিহোবার সৃষ্টি।
    বরঞ্চ মনে করে থাকে ইন্টেশনালি হোমসেক্সুয়ালরা এই কাজ করে থাকে!!

    Reply
    • July 16, 2020 at 1:17 PM
      Permalink

      আল্লাহ পাক কুরআনে বলেন: আমি মানুষ ও জিন জাতি তৈরি করেছি, আমার ইবাদতের জন্য, যদি মানুষ জন্ম না নেয় তবে আল্লাহর ইবাদত করবে কে?? যদি মানুষ জন্ম না নেয় তবে আল্লাহর একাত্মবাদের সত্যতা দুনিয়ার প্রতি কোনায় ছড়িয়ে দিবে কে?? এমন হাজারো কারণ আছে ইসলামে সমকামিতা অবৈধ হওয়ার।।।

      Reply
      • August 1, 2020 at 9:35 PM
        Permalink

        শামিম

        “যদি মানুষ জন্ম না নেয় তবে আল্লাহর ইবাদত করবে কে?? যদি মানুষ জন্ম না নেয় তবে আল্লাহর একাত্মবাদের সত্যতা দুনিয়ার প্রতি কোনায় ছড়িয়ে দিবে কে?? এমন হাজারো কারণ আছে ইসলামে সমকামিতা অবৈধ হওয়ার।।।” – কি বাজে যুক্তি!!

        ১) আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা বাচ্চা জন্ম দিতে অক্ষম। তাহলে তাদেরকেও কি এভাবে শাস্তি দিবেন আপনি?

        আফসোস, একটা বিষয় কোনো মুসলিম চিন্তা করে দেখে না, একজন সমকামী কে আল্লাহ নিজেই সৃষ্টি করেছেন সমকামী হিসেবে তাহলে তার দোষটা কোথায়? কোনো সমকামী তো আর কোনদিন স্বেচ্ছায় সমকামী হয়না। হয় জন্মগত ভাবে, সে তো আর আল্লাহ কে বলেনি যে আল্লাহ, আমাকে বানিয়ে দাও।

        ২) প্রত্যেক মানুষ চায় নিজের যৌন চাহিদা মেটাতে। যদি কেউ জীবনে কোন দিন নিজের যৌন চাহিদা মেটাতে না পারে, তাহলে সে সারাজীবন অসুখী বোধ করে, যৌন কামনা মিটাতে না পেরে অস্বস্তি বোধ করে। অস্বস্তি বোধ করাটাই স্বাভাবিক। এখন কাউকে যদি এমন কারো সাথে বিয়ে দেওয়া হয় যাকে দেখলে তার কখনোই যৌন কামনা জাগে না এবং তার সাথে যদি সারাজীবন পার করতে বলা হয় তাহলে তার কি অবস্থা হবে ভাবতে পারেন?? তার জীবন তো নষ্ট হবেই সাথে যার সাথে তার বিয়ে হয়েছে তার life টাও শেষ হয়ে যাবে। (কোনো বিষমকামীকে তার অপছন্দ কারো সাথে বিয়ে দিলেই সেই সংসার টিকে না, আর সমকামী হলেতো আরো অবস্থা খারাপ)।

        একটা বিষয় ভালোকরে বুঝুন যার বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কোনো আকর্ষণ নেই তাকে তো আর আপনি জোর করে আকর্ষণ তৈরি করতে পারবেন না, #একজন জন্মগত সমকামী কখনোই নিজের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে পারবেন না# তাহলে ভালো হয়না যে সে তার মতো জীবন গড়ুক আর আপনি আপনার মতো।

        ৩) আজ এই আধুনিক বিশ্বে অনেক দেশে (সৌদি আরব, ইরান, ইরাক) সমকামীদের মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় বিষয় টা দুঃখজনক ????।

        অনেক মুসলিম আবার বলে বসেন সমকামীতা একটি রোগ কিন্তু আদোও এটা কোনো রোগ নয়। তবুও যদি তাদের কথা মেনেও নেই তাহলেও একটা প্রশ্ন থেকে যায়: যারা কোনো চিকিৎসা নেই এমন কোনো রোগ নিয়ে জন্মায়, তাহলে কি আপনি তাদের ঘৃণা করবেন,?? তাদের মৃত্যুর ফরমান জারি করবেন??? উত্তর দিন।

        আমি যে কথা গুলো বললাম তা নিজে একটু বিবেক দিয়ে চিন্তা করুন, অন্ধের মতো ধর্ম যা বলে তা সাথে সাথে মেনে নিয়েন না। একটু বিবেক খাটান।

        Reply
  • July 16, 2020 at 1:10 PM
    Permalink

    মৃত সাগরে এবং এর আশেপাশে অনেক যায়গায় মানুষের কংকাল পাওয়া যায়, এরপরেও বিশ্বাস করবে না??? আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে সমব্ভত সুরা বাকারা বা সুরা ইমরানে বলেছেন: আমি মানুষ ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদতের জন্য, যদি মানুষ জন্ম না নেয়, তবে কে আল্লাহর ইবাদত করবে, আর তুমি বলবা,,তাহলে যারা স্বাভাবিক ভাবে মিলন করে, সন্তান প্রসব করে তারা ইবাদত করলে হবে না?? না, হবে না কারণ কুরআনে অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন: তোমরা দারিদ্র্যের অভাবে সন্তানদের মেরে ফেলো না, তার মানে সন্তান জন্মাতে হবে, যাতে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষ আল্লাহ ইবাদত করতে পারে, আর বিজ্ঞান বলছে সমকামীতায় শারিরিক ক্ষতি অনেক, তাই ইসলামে একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথেও পায়ুকাম করা হারাম করেছে যা হাদিসে প্রমান হয়, সেখানে কিভাবে সমকাম বৈধ হয়।

    Reply
  • December 3, 2021 at 1:49 AM
    Permalink

    আমি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছি আমি এই শাস্তির বিষয় আরো ভালো জানি। কিন্তু কেন কোনো মেয়েকে দেখলে আমার কিছুই হয় না। কোনো মেয়েকে আমি যদি উলঙ্গ হয়েও থাকে তাহলেও আমার কোনো আকর্ষণ হয় না। কিন্তু আমার সেই যখন ৬ বছরের বাচ্চা। আমি কি বুঝবো ওই বয়সে ? আমার স্কুলের সুন্দর দেখতে ছেলেদের অনেক ভালো লাগতো এটা কি আমার দোষ? একটু বড় হলাম এলাকায় আমার নিউ নাম দিলো হিজলা। আমি নাকি মেয়েদের মতো বেবহার করি। এটাও কি আমার দোষ ? তাহলে কি জন্ম নেয়ার পর গ্রওমিং করতে হবে নাকি ছেলেদের কিভাবে অঙ্গ ভঙ্গি করতে হয় ?এটা তো আমার নিজের ভিতর থেকে আসে। এখন ২২ বছরের যুবক প্রতিনিয়ত অভিনয় করে চলেছি ছেলেদের মতো এবং এখন আমি পাক্কা অভিনেতা হয়ে গেছি । এবং আমি সমকামীদের মোটেও পছন্দ করি না। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি ওদের কি দোষ ? দোষটা কার আসলে ? আমি সকল সময় একজন পুরুষ হতে চেয়েছি এখনো চায় যেন আমি আর দশটা পুরুষের মতো আমার কোনো নারীকে দেখলে আকর্ষণ বোধ করি। কিন্তু আমার হয় উল্টো তাহলে আমি কি করবো ? আমাকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ কি আল্লাহ তায়ালার ? শুধুই অভিনয় করে জীবন কাটিয়ে দেয়া। আমি এটাও জানি বেশির ভাগ নরমাল মানুষ এটা বুঝবে না। তারাই বুঝবে যারা এইভাবে মরেও বেঁচে আছে। একটি মিথ্যে শরীর নিয়ে। যার শরীরটা এক আর মনটা আলাদা। মাদ্রায় পড়াশুনা করেছি। হাফেজ ও হয়েছি এখন আলেম হচ্ছি কিন্তু আমার জীবন শুধুই পুরুষের অভিনয় করে কাটিয়ে দেয়া। একদিন আল্ল্লাহকে প্রশ্ন করবো ? নিজেই দিয়েছো আবার নিজেই শাস্তির বেবস্তা করেছো কি লীলা খেলা তুমার বুঝার সাদ্ধ কারো নেই।

    Reply
    • October 8, 2023 at 2:44 PM
      Permalink

      তুমি আমার সাথে কথা বলো । আমি তোমাকে বুঝবো আর বোঝাবো । 8537897469

      Reply
  • December 3, 2021 at 1:53 AM
    Permalink

    মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছি আমি এই শাস্তির বিষয় আরো ভালো জানি। কিন্তু কেন কোনো মেয়েকে দেখলে আমার কিছুই হয় না। কোনো মেয়েকে আমি যদি উলঙ্গ হয়েও থাকে তাহলেও আমার কোনো আকর্ষণ হয় না। কিন্তু আমার সেই যখন ৬ বছরের বাচ্চা। আমি কি বুঝবো ওই বয়সে ? আমার স্কুলের সুন্দর দেখতে ছেলেদের অনেক ভালো লাগতো এটা কি আমার দোষ? একটু বড় হলাম এলাকায় আমার নিউ নাম দিলো হিজলা। আমি নাকি মেয়েদের মতো বেবহার করি। এটাও কি আমার দোষ ? তাহলে কি জন্ম নেয়ার পর গ্রওমিং করতে হবে নাকি ছেলেদের কিভাবে অঙ্গ ভঙ্গি করতে হয় ?এটা তো আমার নিজের ভিতর থেকে আসে। এখন ২২ বছরের যুবক প্রতিনিয়ত অভিনয় করে চলেছি ছেলেদের মতো এবং এখন আমি পাক্কা অভিনেতা হয়ে গেছি । এবং আমি সমকামীদের মোটেও পছন্দ করি না। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি ওদের কি দোষ ? দোষটা কার আসলে ? আমি সকল সময় একজন পুরুষ হতে চেয়েছি এখনো চায় যেন আমি আর দশটা পুরুষের মতো আমার কোনো নারীকে দেখলে আকর্ষণ বোধ করি। কিন্তু আমার হয় উল্টো তাহলে আমি কি করবো ? আমাকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ কি আল্লাহ তায়ালার ? শুধুই অভিনয় করে জীবন কাটিয়ে দেয়া। আমি এটাও জানি বেশির ভাগ নরমাল মানুষ এটা বুঝবে না। তারাই বুঝবে যারা এইভাবে মরেও বেঁচে আছে। একটি মিথ্যে শরীর নিয়ে। যার শরীরটা এক আর মনটা আলাদা। মাদ্রায় পড়াশুনা করেছি। হাফেজ ও হয়েছি এখন আলেম হচ্ছি কিন্তু আমার জীবন শুধুই পুরুষের অভিনয় করে কাটিয়ে দেয়া। একদিন আল্ল্লাহকে প্রশ্ন করবো ? নিজেই দিয়েছো আবার নিজেই শাস্তির বেবস্তা করেছো কি লীলা খেলা তুমার বুঝার সাদ্ধ কারো নেই।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *