আধুনিক বিজ্ঞান এবং স্ত্রী প্রহারের ফজিলত
ক্লাশে নতুন একজন স্যার এসেছেন। নাম- মফিজুর রহমান। হ্যাংলা-পাতলা গড়ন। বাতাস আসলেই যেনাে ঢলে পড়বে মতন অবস্থা শরীরের ভদ্রলােকের চেহারার চেয়ে চোখ দুটি অস্বাভাবিক রকম বড়। দেখলেই মনে হয় যেন বড় বড় সাইজের দুটি জলপাই, কেউ খােদাই করে বসিয়ে দিয়েছে।। ভদ্রলােক খুবই ভালাে মানুষ। উনার সমস্যা একটিই- ক্লাসে উনি যতােটা না বায়ােলজি পড়ান, তারচেয়ে বেশি দর্শন চর্চা করেন। ধর্ম কোথা থেকে আসলাে, ঠিক কবে থেকে মানুষ ধার্মিক হওয়া শুরু করলাে, ‘ধর্ম আদতে কি’ আর, ‘কি নয়’ তার গল্প করেন।
আজকে উনি পড়াবেন Analytical techniques & bioinformatics। চতুর্থ সেমিষ্টারে এটা পড়ানাে হয়।। স্যার এসে প্রথমে বললেন, ‘Good morning, guys…’ সবাই সমস্বরে বললাে,- ‘Good morning, sir…’ এরপর স্যার জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই কেমন আছাে?’ স্যারের আরাে একটি ভালাে দিক হলাে- উনি ক্লাশে এলে এভাবেই সবার কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। সাধারণত হায়ার লেভেলে যেটা সব শিক্ষক করেন না। তারা রােবটের মতাে ক্লাশে আসেন, যন্ত্রের মতাে করে লেকচারটা পড়িয়ে বেরিয়ে যান। সেদিক থেকে মফিজুর রহমান নামের এই ভদ্রলােক অনেকটা অন্যরকম। আবারাে সবাই সমস্বরে উত্তর দিলাে। কিন্তু গােলমাল বাঁধলাে এক জায়গায়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন উত্তর দিয়েছে এভাবে- ‘আলহামমমমদুলিল্লাহ ভালাে।’ স্যার কপালের ভাঁজ একটু দীর্ঘ করে বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্ ভালাে বলেছাে কে? কে?’
অদ্ভুত প্রশ্ন। সবাই থতমত খেলাে।।
একটু আগেই বলেছি স্যার একটু অন্যরকম। প্রাইমারি লেভেলের টিচারদের মতাে ক্লাশে এসে বিকট চিৎকার করে Good Morning বলেন, সবাই কেমন আছে। জানতে চান। এখন ‘আলহামদুলিল্লাহ্’ বলার জন্য কি প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষকদের মতাে বেত দিয়ে পিটাবেন নাকি?
সাজিদের তখন তার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাশের কথা মনে পড়ে গেলাে। এই লােকটা ক্লাশে কেউ দুটোর বেশি হাঁচি দিলেই বেত দিয়ে আচ্ছামতন পিটাতেন। উনার কথা হলাে- ‘হাঁচির সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে দু’টি। দু’টির বেশি হাঁচি দেওয়া মানে ইচ্ছে করেই বেয়াদবি করা।’ যাহােক, বাবুল চন্দ্রের পাঠ তাে কবেই চুকেছে, এবার মফিজ চন্দ্রের হাতেই না গণ পিটুনি খাওয়া লাগে। হিন্দুদের দিয়ে শিক্ষকতার মত সম্মানজনক কাজ করালে যা হয় আর কী! ক্লাশের সর্বমােট সাতজন দাঁড়ালাে। এরা সবাই ‘আলহামদুলিল্লাহ্ ভালাে’ বলেছে। এরা হচ্ছে- রাকিব, আদনান, জুনায়েদ, সাকিব, মরিয়ম, রিতা এবং সাজিদ। স্যার সবার চেহারাটা একটু ভালােমতাে পরখ করে নিলেন। এরপর পিক করে হেসে দিয়ে বললেন, ‘বসাে।’ সবাই বসলাে। আজকে আর মনে হয় এ্যাকাডেমিক পড়াশুনা হবেনা। দর্শনের তাত্ত্বিক আলাপ হবে।। ঠিক তাই হলাে।
মফিজুর রহমান স্যার আদনানকে দাঁড় করালাে। বললেন, ‘তুমিও বলেছিলে সেটা, না?’
– ‘জ্বি স্যার।’- আদনান উত্তর দিলাে।
স্যার বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্’র অর্থ কি জানাে?’।
আদনান মনে হয় একটু ভয় পাচ্ছে। সে ঢোঁক গিলতে গিলতে বললাে,- ‘জ্বি স্যার, আলহামদুলিল্লাহ্ অর্থ হলাে- সকল প্রশংসা কেবলি আল্লাহর।’
স্যার বললেন,- ‘সকল প্রশংসা কেবলি আল্লাহর।’
স্যার এই বাক্যটি দু’বার উচ্চারণ করলেন। এরপর আদনানের দিকে তাকিয়ে বললেন,- ‘বসাে।’ আদনান বসলাে।
এবার স্যার রিতাকে দাঁড় করালেন। স্যার রিতার কাছে জিজ্ঞেস করলেন,- ‘আচ্ছা, তোমাকে কী তোমার স্বামী কথা না শুনলে প্রহার করে?’
রিতা একটু কাঁচুমাচু করে বললাে,- ‘হ্যাঁ করে।’
– ‘তাই নাকি? এ তো ভয়াবহ ব্যাপার!’
— ‘জ্বি, স্যার।’
– ‘এইকাজ কি প্রশংসাযােগ্য?’
– ‘না। অবশ্যই না। নারী হলেও আমরা তো মানুষ, আমাদেরও আত্মসম্মান আছে।’
– ‘তাহলে কোরানে সুরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতে যেহেতু বলা আছে, অনুগত না হলে স্ত্রীকে প্রহার করা যাবে, এই বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়?’
রিতা মাথা নিচু করে চুপ করে আছে। স্যার বললেন, ‘এখানেই ধর্মের ভেল্কিবাজি। কোরান বা ধর্মগ্রন্থে যা বলা আছে, সবই প্রশংসার যোগ্য নয়। মানুষের উচিত সেখান থেকে নিজ বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে গ্রহণ বর্জন করা। মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ হয়ে থাকলে তিনি কিছুতেই স্ত্রীদের প্রহারের অনুমতি দিতে পারতেন না। স্যারের কথা শুনে ক্লাশে যে ক’জন নাস্তিক আছে, তারা হাততালি দেওয়া শুরু করলাে। সাজিদের পাশে যে নাস্তিকটা বসেছে, সে তাে বলেই বসলাে,- ‘মফিজ স্যার হলেন আমাদের বাঙলার প্লেটো।’স্যার বলেই যাচ্ছেন ধর্ম আর স্রষ্টার অসারতা নিয়ে।
এবার সাজিদ দাঁড়ালাে। স্যারের কথার মাঝে সে বললাে, ‘স্যার, আল্লাহ একচোখা নন। তিনি যখন কোন কাজের অনুমতি দেন, সেটা কল্যাণের জন্যেই দেন। মানুষ জ্ঞানের(Human knowledge) অভাবের কারণে কল্যাণটি ঠিকমত হয়তো বুঝতে পারে না। এই যে বিজ্ঞান, আজ যা বলছে কাল বলছে ঠিক তার উল্টোটা। কয়েকবছর আগেই বিগ ব্যাং এর কথা বললে লোকে হেসেই উড়িয়ে দিতো। আর আজকে? এটা প্রায় সবাই জানে। জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে, আল্লাহ তালাহর বাণী ধীরে ধীরে মানুষ বুঝতে পারে। অনুধাবন করতে পারে। আল্লাহ অবশ্যই আছেন, এবং কোরান অবশ্যই সত্য। কোরান যা যা বলা আছে, সেই সবই মানুষের জন্য চিরকল্যানকর।’
স্যার সাজিদের দিকে একটু ভালােমতাে তাকালেন। বললেন, ‘শিওর?’
– ‘জ্বি।’
– ‘তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো, স্ত্রীদের প্রহার করার মধ্যে কল্যাণ নিহিত? জ্ঞানের অভাবের কারণে আমরা তা বুঝতে পারছি না? ‘
সাজিদ বললাে। – ‘অবশ্যই স্যার।’
স্যার এবার চিৎকার করে বললেন, কী অসম্ভব বাজে কথা। তুমি কী বুঝতে পারছ না, কোরান আসলে কোন এক পুরুষের দ্বারাই রচিত। যার কারণে কোরানে পুরুষ তার স্ত্রীকে প্রহার করার অধিকারপ্রাপ্ত। কোরান কোন নারী লিখলে, ঠিক উল্টোটি হতো। তাই বোঝাই যাচ্ছে, কোরান একটি চরম পুরুষতান্ত্রিক বই মাত্র, যা পুরুষতান্ত্রিক পুরুষদের দ্বারাই লিখিত।
ক্লাশে পিনপতন নিরবতা।
সাজিদ বললাে,- ‘আপনি আজকে যা বলছেন, বহু কাল আগে মানুষ এরকমই ভাবতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা করে দেখিয়েছে, নারীদের নিয়মিত প্রহার করা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ‘
স্যার বললেন, ‘হা হা হা হা। তুমি খুব মজার মানুষ দেখছি। হা হা হা হা।’
সাজিদ বললাে, ‘স্যার, স্রষ্টা মানুষকে একটি শরীর(Body) দিয়েছেন। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, এই শরীরের ভেতরে রক্ত(blood) সদা চলমান অবস্থায় থাকে। আমাদের হৃদপিণ্ড(heart) সারাক্ষণই রক্ত পাম্প (blood circulation) করে পুরো শরীরে ছড়িয়ে দেয়। ‘
স্যার বললেন, এর সাথে স্ত্রী প্রহারের কী সম্পর্ক?
সাজিদ বললাে, ‘স্যার, সে কথায় পরে আসছি। আধুনিক বিজ্ঞান থেকে আমরা জানি, রক্ত সঞ্চালন শরীরের রক্তের ক্রমাগত প্রক্রিয়া। হৃদপিণ্ড যেই রক্ত পাম্প করে, রক্ত সঞ্চালণের মাধ্যমে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। এটি শরীরের সমস্ত অঙ্গ এবং কোষে(Cell) অপরিহার্য পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ব্লাড ভেসেল নামক পাইপগুলোর মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত হয়। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির(gravitation) সাথে পাল্লা দিয়ে, হৃদপিণ্ড থেকে রক্তের পায়ে পৌঁছানো লাগে এবং পা থেকে আবার মাথায় চলাচল করতে হয়। আমরা নিঃশ্বাস নেয়া বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি, যা ফুসফুস থেকে আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত দ্বারা চালিত হয়, যা তাদের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। তাই সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহ ব্যবস্থা শরীরের কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। যা কোষ বৃদ্ধি এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, পুষ্টি সরবরাহ করে, এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষ থেকে বর্জ্য বাইরে বহন করে নিয়ে আসে। ভাল রক্ত সঞ্চালন সিস্টেম ছাড়া, আমাদের শরীর ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, পরিমিত পর্যায়ে শরীরে প্রহার করা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রক্তের প্রবাহকে উৎসাহিত করতে এবং শরীর থেকে সার্কুলেশন-ব্লকিং টক্সিনগুলিকে মুক্ত করে দেয়। অর্থাৎ, রক্তের এই চলাচলের রাস্তায় যেই সকল দূষিত দ্রব্য শরীরে জমা হয়, নিয়মিত শরীরে পরিমিত মাত্রায় আঘাতের মাধ্যমে দূষিত দ্রব্যগুলো রক্তের সাথে মিশে বর্জ্য হিসেবে বের হয়ে আসে। শুধু তাই নয়, আমেরিকার নাসা (The National Aeronautics and Space Administration-NASA) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত শরীরে পরিমিত পর্যায়ে প্রহার ব্যথা হ্রাস করে, ঘুম উন্নত করে, ইনসোমেনিয়ার রোগ ভাল করে, ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, মানসিকভাবে মানুষকে শক্ত করে, এবং আরও অনেক সুবিধা।



সেই কারণেই আল্লাহ তালাহ পবিত্র কোরানে বলেছেন,
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।
স্যার তিরস্কারের সুরে বললেন, – ‘ধর্মীয় কিতাবাদির কথা বাদ দাও, ম্যান। কাম টু দ্য পয়েন্ট এন্ড বি লজিক্যাল। তুমি নিশ্চয়ই জানো, হযরত মুহাম্মদ তার শিশু স্ত্রী আয়শাকে পর্যন্ত মেরেছিলেন। হাদিসে আছে, হযরত আয়শা হতে বর্ণিত, তিনি (মুহাম্মদ) আমাকে বুকের ওপর আঘাত করলেন যা আমাকে ব্যথা দিল। [সহি মুসলিম, বই -৪, হাদিস -২১২৭]’
সাজিদ মুচকি হেসে বললাে, – ‘স্যার, সেই ১৪০০ বছর ধরে অনেক নাস্তিকই কোরানের এই আয়াতটি নিয়ে অনর্থক সমালোচনায় লিপ্ত ছিল। আধুনিক সময়ে বেশিরভাগ নারীরাই ইনসোমেনিয়ার শিকার। তারা ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না, তাদের শরীরে নানা ধরণের ব্যাথা বেদনা তারা অনুভব করে। অথচ, সেই ১৪০০ বছর আগেই ইসলাম মানব জাতির জন্য দিয়ে এর সমাধান দিয়ে গেছে। মানুষ যদি সঠিক উপায়ে নিয়মিত এই আয়াতটি আমল করতো, তাহলে মুসলিম নারীদের মধ্যে হতাশা, আত্মহত্যা প্রবণতা, ঘুমের সমস্যা, মানসিক রোগব্যাধি হতো না। আমি কি উদাহরণ দিয়ে বােঝাতে পারি ব্যাপারটা?
– ‘অবশ্যই।’- স্যার বললেন।
সাজিদ বলতে শুরু করলাে ‘ধরুন, একজন মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেছে। ধরুন, তার হৃদপিণ্ড কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন যেকোন ডাক্তারই সর্বপ্রথম যেই কাজটি করবেন, তা হচ্ছে, হৃদপিণ্ডটিকে সচল করবার জন্য বুকে চাপ দেয়া। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয়, cardiopulmonary resuscitation বা হৃদপিণ্ডের নবজীবনসঞ্চার।
স্যার বললেন, ‘হুম, তাে?’
– ‘ধরুন, তাতেও কাজ হলও না। তখন ডাক্তার কী করেন? ডাক্তার একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে হৃদপিণ্ডটি সচল করেন। যন্ত্রটি মানুষকে সাময়িক যন্ত্রণা দিলেও, এতে আল্লাহর রহমতে মানুষের জীবন রক্ষা পায়। হৃদপিণ্ড আবার সচল হয়।

মানুষের শরীরও একইভাবে কাজ করে। জীববিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের শরীরের কোষগুলো বেশিদিন বাঁচে না। কিছুদিনের মধ্যেই কোষগুলো মারা যায়। এই মৃত কোষগুলোকে পুনরায় সচল এবং কার্যক্ষম হতে পারে শুধুমাত্র শরীরে হালকা প্রহারের মাধ্যমেই। এই কারণেই উন্নত বিশ্বে এখন অসংখ্য মেসেজ পার্লার। শরীরে ব্যাথা সৃষ্টি করে রোগ ব্যাধি উপশম তো এখন সকল বিজ্ঞানীই একবাক্যে স্বীকার করেন। ভেবে দেখুন, সেই ১৪০০ বছর আগে মানব দেহের এত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় একমাত্র আল্লাহ পাক ছাড়া আর কে জানতে পারে? বুঝতে পারে? আর নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে হযরত আয়শা (রাঃ) কে কেন বুকে ব্যাথা দিয়েছিলেন, সেটি তো আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের দ্বারাই প্রমাণিত। ডাক্তাররা যখন রোগীর জীবন বাঁচাতে cardiopulmonary resuscitation মেশিন ব্যবহার করেন, সেটাকেও কী আপনি নারী নির্যাতন বলবেন?

স্যার এইসব কথা শুনে শূন্য দৃষ্টিতে সাজিদের দিকে তাকিয়ে থাকলো। যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন! কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না।
সাজিদ বলতেই লাগলো, একারণেই নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন- স্ত্রীকে কেন প্রহার করা হলো সে বিষয়ে শেষ বিচারের দিন তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না।
স্ত্রীকে কেন প্রহার করা হলো সে বিষয়ে শেষ বিচারের দিন তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না।
[আবু দাউদ , বই নং- ১১, হাদিস -২১৪২]


ততক্ষণে মাগরিবের আজান পড়তে শুরু করেছে। স্যারকে অনেকটাই হতাশ দেখলাম। আমরা বললাম, ‘আজ তাহলে উঠি?’ উনি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘এসাে।’ আমরা বেরিয়ে পড়লাম।
রিতা সাজিদকে ধন্যবাদ দিতে এসেছিল। নইলে আজকে রিতার স্বামীর মান সম্মান থাকতো না। আমি অবাক হয়ে সাজিদের দিকে তাকিয়ে আছি। কে বলবে এই ছেলেটা গত ছ’মাস আগেও নাস্তিক ছিলাে। নিজের গুরুকেই কি রকম কুপােকাত করে দিয়ে আসলাে। কোরানের সূরা নিসার ৩৪ নাম্বার আয়াতটি কতাে হাজার বার পড়েছি, কিন্তু এভাবে কোনদিন ভাবিনি। আজকে এটা সাজিদ যখন স্যারকে বিজ্ঞান দিয়ে বুঝাচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিল আজকেই নতুন শুনছি এই আয়াতের কথা। গর্ব হতে লাগলাে আমার।। আমরা গর্বিত যে আমি একজন মুসলমান।
আমি হেসে বললাম, ‘হা হা হা। স্যারকে তাে ভালাে জব্দ করেছিস ব্যাটা।’ কথাটা সে কানে নিলাে বলে মনে হলাে না। নিজের সম্পর্কে কোন কমপ্লিমেন্টই সে আমলে নেয় না। গামছায় মুখ মুছতে মুছতে সে খাটের উপর শুয়ে পড়লাে। আমি তার কাঁধে হাত রাখলাম। বললাম, ‘সাজিদ……’ – ‘হু’ – ‘একটা কথা বলবাে?’
‘বল।’ – ‘জানিস, একসময় যুবকেরা হিমু হতে চাইতাে। হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে, মরুভূমিতে গর্ত খুঁড়ে জ্যোৎস্না দেখার স্বপ্ন দেখতাে। দেখিস, এমন একদিন আসবে, যেদিন যুবকেরা সাজিদ হতে চাইবে। ঠিক তাের মতাে…..’ এই বলে আমি সাজিদের দিকে তাকালাম। দেখলাম, ততক্ষণে সে ঘুমিয়ে পড়েছে। অঘাের ঘুম……..
তথ্যসূত্রঃ
১। https://www.nasa.gov/
২। https://en.wikipedia.org/wiki/Insomnia
৩। https://sleepfoundation.org/insomnia/content/what-causes-insomnia
৪। https://quran.com/4/34
ধর্মের কিছু ব্যাপার আছে যা আধ্যাত্মিক; এগুলো বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। জনাব আরিফ আজাদ ভন্ডামি শুরু করছে।
VAI EKTO TO LOJJA KOREN.
প্রত্যেক মুমিনের উচিৎ বাড়িতে এবার একটা করে ম্যাসাজ পার্লার খুলে ফেলা। স্ত্রীকে মারার ইচ্ছা হলেই বিজ্ঞানসম্মতভাবে ম্যাসাজ করে দিতে পারবেন!!!
আমার জানা ছিল না যে আরিফ আজাদ এতটা মূর্খ! তার জ্ঞানের পরিধি দেখে সত্যিই মুগ্ধ!!!!
বেয়াদবি করলে কি তোমাকে জড়িয়ে ধরে চুমো খাবে?
তাৎক্ষণিক মারা উচিৎ।কিন্তু ইসলাম তা করেনি দুইটা ধাপ পার হওয়ার পর মাইর দিতে বলছে।????????????
আয়াতেই স্পষ্টভাবে বলা আছে কখন পিটাইতে হবে।
“””অবাধ্য”””হলে।
প্রথম বুজাইতে হবে।তারপর বিছানা আলাদা করতে হবে।তারপর প্রহার।????
সূরা নিসা আয়াত নং ৩৪।পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।
যে কোন বিষয়ে স্বামী স্ত্রীকে বুজালো, স্ত্রী তা বুজলো না।স্বামী রাগ করে বউ এর সাথে না শুয়ে বিছানা আলাদা করলো, তারপরও বউ বুজলো না!!!!এখন বিবাহ বিচ্ছেদ ছাড়া আর কোন পথ আছে কি???জিঁ হ্যা আছে,আর সেটা হলো “””প্রহার”””।পরিবারে শুধু স্বামী স্ত্রী থাকলে বিবাহ বিচ্ছেদে তেমন একটা সমস্যা হয় না।কিন্তুু,এক,দুইটা সন্তান থাকলে বাবা,মায়ের আলাদা হয়ে যাওয়াটা সন্তানের মন মানসীকতার উপর যথেষ্ট কু-প্রভাব পরে।
সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য যে,এই কু-প্রভাব সন্তানের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাকে ব্যাহত করে।
অতএব,বিবাহ বিচ্ছেদের পূর্বে স্ত্রীকে বুজানোর জন্য প্রহারের বিধান,সর্বশ্রেষ্ঠো আল্লাহর সর্বোত্তম বিধান।
যেখানে স্বামী স্ত্রীতে অবাধ্যতার সৃষ্টি হয় বুজতে হবে সেখানে ভালোবাসার ঘাটতি আছে।সেক্ষেত্রে স্ত্রী সম্পর্কটাকে পিটানো পর্যন্ত না নিয়ে গেলেই হয়!!!!!!!????????
বুজলে বুজ পাতা,না বুজলে তেজপাতা!!!????????????????
আরিফ মালটাকে বেত দিয়ে সেফুদার মত ট্রস ট্রস করে পেটানো লাগে তাহলে ও ব্যাটা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।
????????????
আমি প্রথমে মনে করেছিলাম কোনো নাস্তিক ঠাট্টা করে এই প্রবন্ধটি লিখেছেন…. পরে লেখকে পরিচয় দেখে….????????????????
alam mdmahabubol
# হযরত আয়শা হতে বর্ণিত, তিনি (মুহাম্মদ) আমাকে বুকের ওপর আঘাত করলেন যা আমাকে ব্যথা দিল। [সহি মুসলিম, বই -৪, হাদিস -২১২৭]
মুহাম্মদ বুঝি আয়েশাকে প্রথমে বিছানা থেকে আলাদা করেছিল
# যদি কেউ বলে, রহিম করিমের হাত, পা কেটে ফেলেছে। তাহলে এর অর্থ কি এটা দাড়ায় যে, রহিম প্রথমে হাত কেটেছে পরে পা কেটেছে????????
সুরা নিসা আয়াত ৩৪
আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে কোন অবাধ্যতা খুঁজে পাও তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না।
“সদুপদেশ দাও,শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর” না লিখে যদি লিখত:
“প্রহার করো, শয্যা ত্যাগ করো এবং সদুপদেশ দাও” তাহলে কি আপনি এটা বুঝতেন যে এখানে, ‘আগে মারতে হবে পরে শয্যা ত্যাগ করতে হবে এবং এরপর সদুপদেশ দিতে হবে????
https://www.shongshoy.com/archives/13370 (প্রখ্যাত আলেম ইবনে কাসীর আপনার মতো ফাউল কথা বলে নি, উনি সঠিকভাবে ব্যখ্যা করেছেন)
শুধু ইবনে কাসীর কেন, পৃথিবীর কোনো আলেম আপনার, “প্রথমে বুঝানো পরে মারা” এই কথার সাথে কখনো একমত হবে না। বরং স্ত্রীকে যখন খুশি তখন মারা যাবে,
এটা আমার challenge…
স্ত্রীকে কেন প্রহার করা হলো সে বিষয়ে শেষ বিচারের দিন তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না। [আবু দাউদ , বই নং- ১১, হাদিস -২১৪২]
#””আয়াতেই স্পষ্টভাবে বলা আছে কখন পিটাইতে হবে।
“””আমানতের খেয়ানত””ও””অবাধ্য”””হলে।””????????
আচ্ছা যদি এমন হয় স্বামী স্ত্রীর অবাধ্য হয় তাহলে কি স্ত্রী কি স্বামীকে মারতে পারবে???
নাকি এখন আবার এই যুক্তি দেখাবেন যে, “কম্পানির বস কর্মচারী কে মারতে পারে, কর্মচারী কখনো বসকে মারতে পারে না”????????