কুরআনে ব্ল্যাকহোল?
সূচিপত্র
সূচনা
কুরআনকে বিজ্ঞানময়, বিষ্ময়কর এবং ঐশ্বরিক গ্রন্থ বলে প্রতিষ্ঠা করার ব্যর্থ চেষ্টায় অনেক ইসলামিক প্রোপাগাণ্ডিস্ট দাবি করেছেন যে, কুরআনে ১৪০০ বছর আগেই ব্ল্যাকহোলের কথা বলা হয়েছে। ইসলামকে একমাত্র সত্য ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করতে ইসলামিক প্রোপাগাণ্ডিস্টগণ যে বৈজ্ঞানিক মিরাকলের দাবিসমূহ উপস্থাপন করেন তারমধ্যে কুরআনে ব্ল্যাকহোলের দাবিটি মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি দাবি। সত্যিই কুরআনে ব্ল্যাকহোলের কথা বলা হয়েছে কিনা সে প্রশ্নের উত্তর কৌতুহলী পাঠকদের জন্য তুলে ধরতেই প্রবন্ধটি লিখছি।
ব্ল্যাকহোল কি?
ব্ল্যাকহোল আসলে কি তা না জানা বা সঠিক ধারণা না রাখা লোকজনও দাবি করে, কুরআন ১৪০০ বছর আগেই ব্ল্যাকহোলের ইংগিত দিয়েছে। তারা খুব নিশ্চিত যে, সকল বৈজ্ঞানিক তথ্যের ইংগিত কুরআনে কোনো না কোনোভাবে আছে। যদিও আজ পর্যন্ত কোনো কুরআন গবেষক কুরআন নিয়ে গবেষণা করে এমন কোনো তথ্য বের করে দেখাতে পারেননি যা বিজ্ঞানীরা পরবর্তীতে আবিষ্কার করেছে। কোনো বিষয়ে না জানাটা আমি লজ্জাজনক মনে করি না। সবাই সবকিছু জানবে না বা বুঝবে না এমনটাই তো স্বাভাবিক। এমন অনেককিছুই থাকতে পারে আমি জানি, আপনি জানেন না। আবার, এমন অনেক কিছুই থাকতে পারে আপনি জানেন, আমি জানি না। কিন্তু, কোনো বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না রেখে যদি ভাবেন আপনার ধর্মগ্রন্থ হাজার বছর আগেই সেবিষয়ে ইংগিত দিয়েছে এবং সেটা ভেবেই আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন, তাহলে সেটা অবশ্যই লজ্জাজনক। কুরআনে ব্ল্যাকহোলের ইংগিত আছে কি নেই সেটা বুঝতে হলে আগে ব্ল্যাকহোল কি জিনিস সেটা বুঝতে হবে।
ব্ল্যাকহোল মহাবিশ্বের এমন একটি স্থান যেখানে অনেক অনেক বেশি ভর ঘনীভূত থাকে। যার ফলস্বরূপ, ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষ বল এতো বেশি থাকে যে কোনোকিছুই এর নির্দিষ্ট সীমানা পেরিয়ে গেলে আর ফিরে আসতে পারে না, এমনকি সেকেন্ডে ১৮৬,০০০ মাইল (৩০০,০০০ কিলোমিটার) বেগে চলা আলোও না।
একটি ব্ল্যাকহোলের জন্ম তখনই হতে পারে যখন একটি নক্ষত্রের সমস্ত জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। একটি নক্ষত্রের মৃত্যু থেকেই একটি ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয়। প্রত্যেক ব্ল্যাকহোলের চারপাশে একটি সীমা থাকে। ব্ল্যাকহোলের অভিকর্ষ বল অত্যন্ত অত্যন্ত বেশি হয় বলে কোনোকিছু এই সীমা একবার পেরিয়ে গেলে আর ফিরে আসতে পারে না। আলো ব্ল্যাকহোলের সীমা একবার পেরিয়ে গেলে আর ফিরে আসতে পারে না বলে আমরা ব্ল্যাকহোল দেখতে পারি না। তাহলে একটি ব্ল্যাকহোল কোথায় আছে কিভাবে জানা যায়? একটি ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব বোঝা যায় তার আশেপাশের অঞ্চলের ওপর তার প্রভাব লক্ষ্য করে।
বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখার পরামর্শ রইলোঃ
দাবিসমূহ
সুরা আল-ওয়াকিয়া: আয়াত ৭৫
কোরআনের যেসকল আয়াতে মুসলিমরা ব্ল্যাকহোল দেখতে পান তার মধ্যে সূরা আল-ওয়াকিয়ার ৭৫ নং আয়াতটি অন্যতম। আসুন দেখি আয়াতটি কি বলছে,
56:75
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِمَوٰقِعِ النُّجُوۡمِ ﴿ۙ۷۵﴾
English – Sahih International
Then I swear by the setting of the stars,
Bengali – Taisirul Quran
উপরন্তু আমি শপথ করছি তারকারাজির অস্তাচলের।
আয়াতটিতে নক্ষত্রসমূহের অস্ত যাওয়ার কসম করা হয়েছে। নক্ষত্রসমূহের অস্ত যাওয়া কিভাবে ব্ল্যাকহোলের ইংগিত হতে পারে সেটা আমার বোধগম্য নয়। সূর্যকে প্রতিদিনই পশ্চিম আকাশে অস্ত যেতে দেখা যায়, সূর্য কি তাহলে প্রতিদিন ব্ল্যাকহোল হয়ে যায়? সূর্যের অস্ত যাওয়ার মানে পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে সূর্যের পৃথিবীর একদিকের মানুষের দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া, ব্ল্যাকহোল হয়ে যাওয়া নয়। একইভাবে, নক্ষত্রসমূহের অস্ত যাওয়ার মানে পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে নক্ষত্রসমূহের পৃথিবীর একদিকের মানুষের দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া, ব্ল্যাকহোল হয়ে যাওয়া নয়।
সূরা আল-মুরসালাত: আয়াত ৮
সূরা আল-মুরসালাতের ৮ নং আয়াতেও তারা ব্ল্যাকহোল খুঁজে পান। আসুন দেখে নিই, আয়াতটি কি বলছে,
77:8
فَاِذَا النُّجُوۡمُ طُمِسَتۡ ۙ﴿۸﴾
English – Sahih International
So when the stars are obliterated
Bengali – Taisirul Quran
যখন নক্ষত্ররাজির আলো বিলুপ্ত হবে,
ইসলাম প্রচারকরা সারাজীবন দাবি করে এসেছেন যে, ইসলামের সমালোচকরা কোনো আয়াতের আগে পরের আয়াত বিবেচনায় না এনেই সেই আয়াত বিচার করে। মজার ব্যাপার হলো, ইসলামকে একটি মানবিক ধর্ম হিসাবে উপস্থাপন করতে, কুরআনে বৈজ্ঞানিক মিরাকলের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে তারা এমন কিছু আয়াত তুলে ধরেন যেসব আয়াতের আগে পরের আয়াত তারা বিবেচনায় আনেন না।
সূরা আল-মুরসালাতের ৮ নং আয়াতের আগে পরের আয়াত আপাতত বিবেচনায় না আনলাম, ঐ আয়াতটি নিয়েই কথা বলি। আয়াতটি পরিষ্কারভাবেই ভবিষ্যতের একটি সময়ের কথা বলছে যে সময়ে নক্ষত্র সমূহ আলোহীন হয়ে পড়বে। এই আয়াতটি যে বর্তমান সময়ের কথা বলছে না বা অতীতের কথা বলছে না, বরং ভবিষ্যতের কথা বলছে সেটা যেকোনো সুস্থ মানুষের বোঝার কথা। আয়াতটি বলছে, ভবিষ্যতে নক্ষত্রসমূহ আলোহীন হয়ে যাবে। আয়াতটি কিন্তু এমন কোনো ইংগিত দিচ্ছে না যে, আলোহীন নক্ষত্রের অস্তিত্ব এখনো আছে। ব্ল্যাকহোল কোনো বিজ্ঞানীর ভবিষ্যদ্বাণী নয়, ব্ল্যাকহোল চন্দ্র সূর্যের মতোই অস্তিত্বশীল ছিলো, আছে এবং থাকবে। মানুষ প্রজাতিটির উদ্ভবের আগেও মহাবিশ্বে ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব ছিলো, মানুষ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব মহাবিশ্বে থাকবে। পরিষ্কারভাবেই, আয়াতটি ব্ল্যাকহোলের ইংগিত দেয় না।
আয়াতটির আগে পরের আয়াত সমূহ লক্ষ্য করলে আমরা জানতে পারি, সূরা আল-মুরসালাত ব্ল্যাকহোল নয়, কিয়ামতের দিনের কথা বলে।
77:7
اِنَّمَا تُوۡعَدُوۡنَ لَوَاقِعٌ ؕ﴿۷﴾
English – Sahih International
Indeed, what you are promised is to occur.
Bengali – Taisirul Quran
তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সংঘটিত হবে।
77:8
فَاِذَا النُّجُوۡمُ طُمِسَتۡ ۙ﴿۸﴾
English – Sahih International
So when the stars are obliterated
Bengali – Taisirul Quran
যখন নক্ষত্ররাজির আলো বিলুপ্ত হবে,
77:9
وَ اِذَا السَّمَآءُ فُرِجَتۡ ۙ﴿۹﴾
English – Sahih International
And when the heaven is opened
Bengali – Taisirul Quran
যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
77:10
وَ اِذَا الۡجِبَالُ نُسِفَتۡ ﴿ۙ۱۰﴾
English – Sahih International
And when the mountains are blown away
Bengali – Taisirul Quran
যখন পবর্তমালা ধুনিত হবে।
77:11
وَ اِذَا الرُّسُلُ اُقِّتَتۡ ﴿ؕ۱۱﴾
English – Sahih International
And when the messengers’ time has come…
Bengali – Taisirul Quran
যখন (হাশরের মাঠে) রসূলগণের একত্রিত হওয়ার সময় এসে পড়বে।
77:12
لِاَیِّ یَوۡمٍ اُجِّلَتۡ ﴿ؕ۱۲﴾
English – Sahih International
For what Day was it postponed?
Bengali – Taisirul Quran
(এ সব বিষয়) কোন দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে?
77:13
لِیَوۡمِ الۡفَصۡلِ ﴿ۚ۱۳﴾
English – Sahih International
For the Day of Judgement.
Bengali – Taisirul Quran
চূড়ান্ত ফয়সালার দিনের জন্য।
সূরা মুরসালাতের ৮ নং আয়াতটি এটাই প্রকাশ করছে যে, কিয়ামতের দিন নক্ষত্রসমূহ আলোহীন হয়ে পড়বে। তাহলে কি এখন কিয়ামত চলছে? নাকি ব্ল্যাকহোল বর্তমানে নেই, কিয়ামতের দিন সৃষ্টি হবে?
সূরা আল-মুরসালাত বলছে, কিয়ামতের দিন নক্ষত্র সমূহ আলোহীন হয়ে পড়বে, আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পাহাড়-পর্বত চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে। ৮ নং আয়াতটি যদি ব্ল্যাকহোলের কথা বলে থাকে, তাহলে ৯ এবং ১০ নং আয়াত অনুযায়ী এখন আকাশ এবং পাহাড়-পর্বত বলে কিছু থাকার কথা না। যদিও আকাশ এমন কিছুই না যা বিদীর্ণ হতে পারে। ১০ নং আয়াতটি আকাশ বিদীর্ণ হওয়ার কথা বলে শক্ত ছাদস্বরূপ আকাশের ভুল ধারণাই প্রকাশ করছে।
সূরা আত-তাকভীর: আয়াত ২
তারা ব্ল্যাকহোল খুঁজে পান সূরা আত-তাকভীরের ২ নং আয়াতেও। দেখে নেওয়া যাক, আয়াতটি কি বলছে,
81:2
وَ اِذَا النُّجُوۡمُ انۡکَدَرَتۡ ۪ۙ﴿۲﴾
English – Sahih International
And when the stars fall, dispersing,
Bengali – Taisirul Quran
আর তারকাগুলো যখন তাদের উজ্জ্বলতা হারিয়ে খসে পড়বে।
আয়াতটি পড়লেই বোঝা যায়, এই আয়াতেও ভবিষ্যতে ঘটবে এমন একটি ঘটনার কথা বলছে। ব্ল্যাকহোল কি এমনকিছু যা বর্তমানে নেই এবং ভবিষ্যতে সৃষ্টি হবে? আয়াতটি কিয়ামতের দিন ঘটবে এমন একটি ঘটনার কথা বলছে। এখন নিশ্চয় কিয়ামত চলছে না।
সূরা আত-তাকভীর: আয়াত ১৫-১৬
সূরা আত-তাকভীরের ১৫-১৬ নং আয়াতেও ব্ল্যাকহোলের কথা বলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। আসুন দেখি, আয়াত দুটি আসলে কি বলছে,
81:15
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِالۡخُنَّسِ ﴿ۙ۱۵﴾
English – Sahih International
So I swear by the retreating stars –
Bengali – Taisirul Quran
আমি শপথ করছি (নক্ষত্রের) যা পেছনে সরে যায়,
81:16
الۡجَوَارِ الۡکُنَّسِ ﴿ۙ۱۶﴾
English – Sahih International
Those that run (their courses) and disappear –
Bengali – Taisirul Quran
চলে ও লুকিয়ে যায়,
কোনোভাবেই আয়াত দুটি ব্ল্যাকহোলের কথা বলছে না। আয়াত দুটি কেবল এতটুকুই বলছে যে, আল্লাহ নক্ষত্রসমূহের শপথ করেছেন, যারা চলতে থাকে এবং চলতে থাকার ফলে একসময় মানুষের দৃষ্টির বাইরে চলে যায়।
আসুন দেখি, প্রখ্যাত তাফসীরকারক ইবনে কাসির এই আয়াত সমূহের ব্যাখ্যায় কি বলেছেন,
উপসংহার
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে পরিষ্কারভাবেই এটা প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামিক প্রোপাগাণ্ডিস্টগণের কুরআনে ব্ল্যাকহোলের দাবিটি ভুল।
vai Quran-e to aro bohut ayat ase…shegulay Black Hole niye bola hote pare… particular koyta ayat Keno bollen?
এমন কোনো আয়াত খুঁজে পেলে আয়াতটি আমাদের সামনে উপস্থাপন করুন।
আপনি ভুল করেছেন , ! মহা ভুল ,
ওয়াকিয়া ৭৫ , ‘‘ শপথ নক্ষত্র সমূহের অস্তাচলের ’’! এটা অবশ্যই ব্ল্যাকহোলের দিকেই ইশারা। এখানে মূল যে শব্দটা আছে তা হল ,‘ موقع যা وقع মূল শব্দ থেকে উৎপন্ন ! وقع শব্দের কি কি অর্থ আছে যেনে নেওয়া যাক
•পতন হওয়া/ধ্বংস হোওয়া
• অস্তাচলে যাওয়া
• সংঘটিত হোওয়া
• প্রতিপন্ন হোওয়া।
এখন আপনি, নিতেই পারেন অন্য শব্দার্থটা কুরআনকে ভুল প্রমান করার জন্য , কিন্তু বার বার বারংবার ব্যর্থ হবেন ( ইনশাআল্লাহ)
আহারে । আবেগে মুমিন লাফায় রে ।
আরে মুমিন এখানে বলা , ওয়াকিয়া ৭৫ , ‘‘ শপথ নক্ষত্র সমূহের অস্তাচলের ’
প্রতি রাতে সূর্য উঠে অ অস্ত যায় তেমনি প্রাচীন কালে মরুভভুমিতে খালি চোখে তাকালে নক্ষত্রগুলা উঠে ও ডুবে রাতের সাথে এটা দেখা যেত । একটু বিজ্ঞান নিয়ে পরে আসেন । এখানে কোন ব্ল্যাক হোলই নাই ।
56:75
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِمَوٰقِعِ النُّجُوۡمِ ﴿ۙ۷۵﴾
English – Sahih International
Then I swear by the setting of the stars,
Bengali – Taisirul Quran
উপরন্তু আমি শপথ করছি তারকারাজির অস্তাচলের।
আয়াতটিতে নক্ষত্রসমূহের অস্ত যাওয়ার কসম করা হয়েছে। নক্ষত্রসমূহের অস্ত যাওয়া কিভাবে ব্ল্যাকহোলের ইংগিত হতে পারে সেটা আমার বোধগম্য নয়। সূর্যকে প্রতিদিনই পশ্চিম আকাশে অস্ত যেতে দেখা যায়, সূর্য কি তাহলে প্রতিদিন ব্ল্যাকহোল হয়ে যায়? সূর্যের অস্ত যাওয়ার মানে পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে সূর্যের পৃথিবীর একদিকের মানুষের দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া, ব্ল্যাকহোল হয়ে যাওয়া নয়। একইভাবে, নক্ষত্রসমূহের অস্ত যাওয়ার মানে পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে নক্ষত্রসমূহের পৃথিবীর একদিকের মানুষের দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া, ব্ল্যাকহোল হয়ে যাওয়া নয়।
কোরানে যে কথাগুলি নেই ঃ ১) নক্ষত্র তার জ্বালানি হারিয়ে ফেলে–এটা কোরানের কোন সূরায় বলা নেই; ২) বিজ্ঞান বলছে-জ্বলানি হারানোর ফলশ্রুতিতে, কোন নক্ষত্রের যখন আয়তন অত্যন্ত কমে যায়, তখন ভর বা মেসের তুলনায় আয়তন খুব কম হওয়ায়, ঘনত্ব অসীম হয়ে যায় । কোরানে কোথায় বলা আছে যে “মৃত নক্ষত্রগুলির ঘনত্ব অসীম হয়ে যায়” ? এসব দেখালাম আপনাদের অন্ধত্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার জন্য যে, আবেগ দিয়ে বিজ্ঞান চলেনা, ব্যক্তিগত মত আর আবেগ দিয়ে যদি বিজ্ঞান চলতো তাহলে মুসলমানরা এক নম্বরে থাকতো কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে কারণ বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যক্তিগত মতামত আর আবেগের স্থান নেই, সেই কারণে আবেগি মুসলমান থেকে খুব কমই বিজ্ঞানী হয়েছে–এখন শুরু হবে ৮০০ বছর আগের এক স্বর্ণযুগ নিয়ে জাবর কাটা । আরে মূর্খ, সেই যুগে কোন বিজ্ঞানী ছিল না, ছিল দার্শনিক, পণ্ডিত, প্রাকৃতিক দার্শনিক, আলকেমিষ্ট এসব । কারণ এম্পিরিক্যাল সায়েন্স অর্থাৎ পরীক্ষণ ভিত্তিক বিজ্ঞান তথাকথিত স্বর্নযুগে চালু হয়নি ।
আরেকটা কথা , আপনাদের পদ্ধতি অনুসারে, নজরুলও তাহলে নবুয়তের দাবীদার যেহেতু নজরুলের একটা কবিতার বক্তব্য আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের সর্বশেষ একটি উদ্ভাবনের সঙ্গে মিলে যায় যা নজরুলের যুগের মানুষ কেউই জানত না যে সেটা সম্ভব । কবিতাটির একটি লাইন ঃ বিশ্বটাকে দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে ।
অনেক সময় ছন্দের টানে কবিরা এমন অনেক কথা বলে ফেলেন যা ভবিষ্যতে সত্যিই হয়ে যায়, এর মধ্যে অলৌকিকতা খোজা মূর্খতা ছাড়া কিছুই না । রবীন্দ্রনাথ সহ অনেক কবির ক্ষেত্রেই তা ঘটেছে, তাহলে তারা সবাই আল্লার নবী ?
প্রিয় মারুফ ভাই, এক মুমিনের মহাকর্ষ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনার সিস্টেম তো আমার মোক্ষম জবাবটা নিচ্ছে না, এরা বিজ্ঞান সম্পর্কে বেসিক ধারণাটাও না নিয়ে লাফিয়ে চলে আসে তর্ক করতে । স্পেস-টাইম, ঘনত্বের সঙ্গে মহাকর্ষের সম্পর্ক এসব নিয়ে বিন্দুমাত্র কোন ধারনা নেই তাও তর্ক করবে ।
কোরানে যে কথাগুলি নেই ঃ ১) নক্ষত্র তার জ্বালানি হারিয়ে ফেলে–এটা কোরানের কোন সূরায় বলা নেই; ২) বিজ্ঞান বলছে-জ্বলানি হারানোর ফলশ্রুতিতে, কোন নক্ষত্রের যখন আয়তন অত্যন্ত কমে যায়, তখন ভর বা মেসের তুলনায় আয়তন খুব কম হওয়ায়, ঘনত্ব অসীম হয়ে যায় । কোরানে কোথায় বলা আছে যে “মৃত নক্ষত্রগুলির ঘনত্ব অসীম হয়ে যায়” ? এসব দেখালাম আপনাদের অন্ধত্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার জন্য যে, আবেগ দিয়ে বিজ্ঞান চলেনা, ব্যক্তিগত মত আর আবেগ দিয়ে যদি বিজ্ঞান চলতো তাহলে মুসলমানরা এক নম্বরে থাকতো কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে কারণ বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যক্তিগত মতামত আর আবেগের স্থান নেই, সেই কারণে আবেগি মুসলমান থেকে খুব কমই বিজ্ঞানী হয়েছে–এখন শুরু হবে ৮০০ বছর আগের এক স্বর্ণযুগ নিয়ে জাবর কাটা । আরে মূর্খ, সেই যুগে কোন বিজ্ঞানী ছিল না, ছিল দার্শনিক, পণ্ডিত, প্রাকৃতিক দার্শনিক, আলকেমিষ্ট এসব । কারণ এম্পিরিক্যাল সায়েন্স অর্থাৎ পরীক্ষণ ভিত্তিক বিজ্ঞান তথাকথিত স্বর্নযুগে চালু হয়নি ।
আরেকটা কথা , আপনাদের পদ্ধতি অনুসারে, নজরুলও তাহলে নবুয়তের দাবীদার যেহেতু নজরুলের একটা কবিতার বক্তব্য আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের সর্বশেষ একটি উদ্ভাবনের সঙ্গে মিলে যায় যা নজরুলের যুগের মানুষ কেউই জানত না যে সেটা সম্ভব । কবিতাটির একটি লাইন ঃ ঃ”বিশ্বটাকে দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে ।” একটা গাধাও বুঝবে যে সেলফোনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে , কিন্তু নজরুলের সময়ে একজন বিজ্ঞানীর পক্ষেও জানা সম্ভব ছিল না যে সেলফোনের মতো কিছু যে উদ্ভাবিত হবে । অনেক সময় ছন্দের টানে কবিরা এমন অনেক কথা বলে ফেলেন যা ভবিষ্যতে সত্যিই হয়ে যায়, এর মধ্যে অলৌকিকতা খোজা মূর্খতা ছাড়া কিছুই না । রবীন্দ্রনাথ সহ অনেক কবির ক্ষেত্রেই তা ঘটেছে, তাহলে তারা সবাই আল্লার নবী ?
“নক্ষত্রসমূহের ধ্বংসস্থানের” (সূরাহ ওয়াক্বিয়াহ : ৭৫)। এই আয়াতটির ব্যাখ্যা চাইছি।
আপনি কি শিওর যে আপনি ঠিক অনুবাদটিই দিয়েছেন?
আমি আপনাকে সূরা ওয়াক্বিয়াহের ৭৫ নং আয়াতের তিনটি বাংলা অনুবাদ দেখাচ্ছি যার কোনোটার সাথেই আপনি যা দিয়েছেন তা মিলছে নাঃ
ভাইয়া, একটা ভুল পেয়েছি আমি।
আপনি লিখেছেন “ব্ল্যাকহোলের অভিকর্ষ বল বেশি”। কিন্তু আমরা জানি অভিকর্ষ বল হলো পৃথিবীর সাথে অন্য যে কোনো কিছুর আকর্ষন।
অর্থাৎ এখানে পৃথিবী থাকাটা compulsory।
তাই Edit করে ” মহাকর্ষ ” লিখবেন আশা করি।
ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখি বিজ্ঞানের বেসিক জ্ঞানটাও রাখেন না । আপনি মহাকর্ষ আর মাধ্যাকর্ষণের পার্থক্যই জানেন না । মহাকর্ষ মহাবিশ্বের যেকোন স্থানের জন্য প্রযোজ্য । কিন্তু মূল সূত্র একই । কোরানে যে কথাগুলি নেই ঃ ১) নক্ষত্র তার জ্বালানি হারিয়ে ফেলে–এটা কোরানের কোন সূরায় বলা নেই; ২) বিজ্ঞান বলছে-জ্বলানি হারানোর ফলশ্রুতিতে, কোন নক্ষত্রের যখন আয়তন অত্যন্ত কমে যায়, তখন ভর বা মেসের তুলনায় আয়তন খুব কম হওয়ায়, ঘনত্ব অসীম হয়ে যায় । কোরানে কোথায় বলা আছে যে “মৃত নক্ষত্রগুলির ঘনত্ব অসীম হয়ে যায়” ? আইনষ্টাইনের জেনারেল থিউরী অব রিলেটিভিটি থেকে আমরা জানি-ভরের বৃদ্ধি স্থান-সময়ের বক্রতাকে বৃদ্ধি করে, এবং স্থান-সময়ের বক্রতা মহাকর্ষের মানকে বৃদ্ধি করে । নিউটনের গতিবিদ্যা থেকে আমরা জানি, ( F=(G*m1*m2)/r2), যে ভর বা ঘনত্ব বৃদ্ধি পেলে মহাকর্ষের পরিমান বাড়বে ঃ অর্থাৎ F এর মান বাড়বে । আপনাদেরকে পদার্থ বিজ্ঞান শেখানো কি আমাদের কাজ ? আমাদের অন্য কাজ নেই ?
এই আয়াতের আন্তর্জাতিক অনুবাদটিও দেখে নিনঃ
এখানে আল্লাহ্ কেবল নক্ষত্রসমূহের অস্ত যাওয়ার সময়ের শপথ করছেন। এখান থেকে কি প্রমাণিত হয় বলে মনে করেন?
আরে । আরবরা মনে করত কেয়ামতের সময় নক্ষত্র পরে যাবে ও সূর্য চন্দ্র মিলে বিস্ফরন হবে । কাল্পনিক কাহিনি ।
এই ওয়েবসাইটের সবই তো নাস্তিক। এদের শিক্ষা পরিবেশ তাদের নাস্তিক বানিয়ে দিল। এসব লোকদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা পিতা মাতা মিলনের মাধ্যমে নাপাক পানি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। ও নাস্তিকরা কিভাবে আল্লাহর সৃষ্টির কথা ভুলে গেছে? হে নাস্তিকরা!আল্লাহ ও তার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালমন্দ করে নিজেদের ক্ষতি ছাড়া কিছুই করতে পারবে না।
Show us straight way. Ameen.
Marufur Rahman আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই।
01824908814
+8809638-66 5403 (Brilliant)
এসব লোকদেরকে আল্লাহ তায়ালা পিতা মাতা মিলনের মাধ্যমে নাপাক পানি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। নাপাক পানি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন কেন? আপনি নিজেই আল্লাহর উপর দোষ বর্তালেন আবার তার সৃষ্টি গালাগালি করলেন, আপনি তো খাটি মুশরিক।
ভাই তোমরা কখনই সত্য স্বীকার করবা না, আল্লাহ তো এই জন্যই জান্নাতের পাশা পাশি জাহান্নাম ও তৈরী করেছেন।
Finger print এর কথাতো এখানে টানাহ্যাঁচড়া করার কিছু নেই, একজন নাস্তিক বললো এখানে আঙুলির অগ্রভাগ বলতে, আঙুলের হাড়কে বুঝিয়েছে। আমি সেদিন থেকে বুঝছি কত বিভ্রান্তিতে রয়েছে নাস্তিকরা।
হাহা । আর ফিঙ্গারপ্রিন্টের জায়গায় যে আঙ্গুলের ছাপের কথা নাই সেটা দেখেই বুঝছি যে মুমিনরা কত মিথ্যাবাদি । এই সাইটে এ নিয়েও লেখা আছে । জাকির নায়েকের ভন্ডামি । বুকে সাহস থাকলে পরে আস ।
মানুষের আঙুলের ছাপ️
দাবিঃ সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে মানুষের আঙুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।
খণ্ডনঃ দেখা যাক কুরআনে আসলে কী বলা হয়েছে
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ (القيامة), আয়াত: ৩
اَیَحۡسَبُ الۡاِنۡسَانُ اَلَّنۡ نَّجۡمَعَ عِظَامَہٗ ؕ
উচ্চারণঃ আ ইয়াহছাবুল ইনছা-নুআল্লান নাজমা‘আ ‘ইজা-মাহ।
অর্থঃ মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করব না?
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ (القيامة), আয়াত: ৪
بَلٰی قٰدِرِیۡنَ عَلٰۤی اَنۡ نُّسَوِّیَ بَنَانَہٗ
উচ্চারণঃ বালা-কা-দিরীনা ‘আলাআন নুছাওবিয়া বানা-নাহ।
অর্থঃ পরন্ত আমি তার অংগুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।
যখন পূনরুত্থানের আয়াত নাজিল হয়, তখন মক্কার মূর্তিপূজারীরা বলে যে আমরা মরার পর পচে গলে হাড় হয়ে গেলে কি ভাবে আবার পূনরুত্থান হবে! এই প্রেক্ষাপটে এই আয়াত নাজিল করা হয়। ইবনে কাসির তার তাফসিরে যা লিখেছেন সেটা পড়লেই বোঝা যাবে এই আয়াত দুইটির প্রকৃত অর্থ কী বোঝান হয়েছে।
আল্লাহ এই আয়াত দ্বারা বুঝিয়েছেন “আমি এসব (হাড়) বিভিন্ন যায়গা থেকে একত্রিত করে পূনরায় দাড় করিয়ে দেব এবং একে পূর্নভাবে গঠিত করব”। দেখা যাচ্ছে যে, এখানে আঙুলের অগ্রভাগ বলতে সম্পূর্ণ পূনর্গঠনকে বোঝান হয়েছে। আমরা যেমন বলি “তুই আমার চুলটা পর্যন্ত বাঁকা করতে পারবিনা” এর অর্থ এই না যে সত্যিই চুল বাঁকা করার কথা বলা হয়েছে। প্রাচীন আরবিতে এই রকম অনেক সাংকেতিক বা রূপক শব্দ ব্যাবহার করা হত। আল্লাহ নিজেই কুরআনে বলেছে যে কুরআনের কিছু আয়াত রুপক। আসুন আরো গভীরে যাই…….
জাকির নায়েকের ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে দেখে আসি নবীজির কাছ থেকে যারা কুরআনের ব্যাখ্যা শিখেছেন তারা কী বলেছেন এই আয়াত সম্পর্কে [3]।
জাকির
ইবনে আব্বাস (রা) এবং আরো প্রমুখ বলেন যে এর ভাবার্থ হলঃ আমি একে উট বা ঘোড়ার পায়ের পাতার মত বানিয়ে দিতে সক্ষম। অর্থাৎ উট বা ঘোড়ার পায়ের পাতা যেমন সুগঠিত তেমনি মানুষকেও পূনরুত্থানের সময় সুগঠিত করে তোলা হবে। ইমাম ইবনে জারির (র) বলেন, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ একত্রিত করবনা? হ্যা হ্যা শীঘ্রই আমি এসব (হাড়) একত্রিত করব। আমি তার আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত পূনর্বিন্যাস্ত করতে সক্ষম। আমি ইচ্ছে করলে সে পূর্বে যা ছিল তার চেয়েও কিছু বেশি করে দিয়ে তাকে পূনরূত্থিত করতে পারব। ইবনে কুতাইবা (র) ও যাজ্জাজ (র) এর মতেও এই উক্তির অর্থ এটাই।
সুতরাং যারা নবীজির কাছে (সাহাবিরা) বা যারা সাহাবিদের কাছে কুরআনের ব্যাখ্যা বুঝেছেন তারা বলছেন যে এই আয়াত দুটির ভাবানুবাদ নিতে হবে আর আঙুলের অগ্রভাগ বলতে পূর্নরূপে মানুষকে গঠন বুঝানো হয়েছে সেখানে এক আব্দুল ডাঃজাকের নায়েক বলছে যে না না এই আয়াতের আক্ষরিক অনুবাদ করতে হবে। এমনকি এই আব্দুল পুরোপুরি আক্ষরিক অনুবাদও করে নাই। আয়াতের মধ্যে নিজের মন মত ফিংগার প্রিন্টও ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই কাজটাকে কী বলে জানেন? এটাকে বলে কুরআন বিকৃতি। ডাঃ জাকির নায়েক কেবল কিছু জিনিস গড় গড় করে মুখস্ত বলতে পারে কিন্তু সে কুরআনের ইন্ট্যালেকচুয়াল জ্ঞান বিন্দুমাত্র রাখেনা। যে কুরআনের ভাবানুবাদ আর আক্ষরিক অনুবাদের গুরুত্ব বোঝেনা সে আবার তাফসিরও করে! এখনকার মুসলিমরা তাদের নবীর শেখানো কুরআনের ব্যাখ্যাকে বাদ দিয়ে ডাঃ জাকির নায়েকের করা নতুন তাফসির আবার গিলেও খাচ্ছে । আপনি যদি ডাঃ জাকির নায়েক বা তার তৈরি করা তাফসির নিয়ে কোন নেতিবাচক কথা বলেন, বর্তমানে জাকির নায়েক ভক্ত মুসলিমদের আতে ঘা লেগে যায়! এই সব কারণেই আমি তার ওপর রিতিমত বিরক্ত এবং তাকে আব্দুল মার্কা মাশরুম মুফাস্যির বলি। বিনা কারণে বলিনারে ভাই। কারণ আছে!
সুরা ওয়াকিয়ার ৭৫ নং আয়াত – সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের
সুরা আত তাকভির ২ নং আয়াত – আর নক্ষত্ররাজি যখন পতিত হবে
এই ২ টি আয়াতের যুক্তি খণ্ডন উপস্থাপন করবেন আশা করি।
কারন যখন একটা বিষয়ে কুরআনের যুক্তি খণ্ডন করবেন সেটা যেন টাইট হয়, অর্থাৎ কুরআনের যত আয়াতে সেই বিষয়ে বিন্দু মাত্র ইঙ্গিত দেয়া আছে সব বিবেচনায় নিতে হবে, যাতে মুমিন রা সন্দেহ পোষণ না করতে পারে।
তাদের আবার ছাই দিয়ে ধরে গুলে খাইয়ে না দিলে কুরআনের ভুল বুঝতে পারে না এই যা সমস্যা।
আল্লাহ বিভিন্ন জড় বস্তুর শপথ করে কেন, জড় বস্তু কি তার চেয়েও বেশি শক্তিশা?
নাকি আল্লাহ নিজের সাথে নিজের শিরক করছে?
Aves ভাই বলেই সম্বোধন করলাম। আপনি অবশ্যই একটা ধর্মে আছেন আর সেটার নাম বিজ্ঞান। তা বিজ্ঞানে ধর্ম এখনো কেন পারতেছেনা যে মৃত্যুর পর মানুষ ফিরে আসা সম্ভব নয় ক্যান।এটা কি বিজ্ঞানের লিমিটেশন ? সারাজীবন তো পৃথিবীর রহস্য উদঘাটন করতে করতে একসময় মারা যাবেন তাহলে সৃষ্টি হয়ে লাভ কি , উদ্দেশ্য কি ?
আমি শপথ করছি নক্ষত্র সমূহের পতনের স্থানের, নিশ্চয়ই এ এক মহাশপথ তা যদি তোমরা জানতে। সূরা ওয়াকিয়া – আয়াত ৭৫ – ৭৬।
এই মূর্খের দল এই আয়াতটি কি ব্ল্যাক হলকে ইঙ্গিত করে না?