তথাকথিত মহানবীর বহুবিবাহের তথাকথিত রাজনৈতিক কারণ
ইসলামী এপোলোজিস্টদের মতানুসারে নবী মুহাম্মদ তার অধিকাংশ স্ত্রীকেই বিবাহ করেছিলেন রাজনৈতিক কারণে। রাজনৈতিক অত্যাবশ্যকতার জন্য তিনি অনেক বিবাহ করেছিলেন।
তবে এ ধরণের দাবি কোনো ধর্মান্ধতা মুক্ত যুক্তিবাদী বিবেকবান মানুষ গ্রহণ করেন না। তারা বলেন, তিনি এতো সংখ্যক বিয়ে করেছেন রাজনৈতিক প্রয়োজনে যা অনেক দূরের ব্যাপার , একসাথে একের বেশি সহধর্মিনী রাখা কোন কিছু দিয়েই সমর্থনযোগ্য করা যায় না। যদি তিনি বহুবিবাহ ছাড়া তার রাজনৈতিক সমস্যা দূরীকরণে আর কোনো পথ দেখতে না পায় তাহলে পরিষ্কারভাবে এটাই প্রমাণিত হয় যে, মুহাম্মদ কোনো নবী ছিলেন না। যিনি একজন ঈশ্বরের দূত, যিনি অনেক অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী তিনি খুব সহজেই রাজনৈতিক সমস্যাদি দূর করতে পারবেন। একজন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মানুষ কখনওই রাজনৈতিক সমস্যায় পড়ে কিংবা সমস্যার কাছে হার মেনে বহুবিবাহের মতো অগ্রহণযোগ্য ব্যবস্থায় জড়াবেন না। যেহেতু ইসলাম অনুযায়ী চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা হালাল সেহেতু চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা গ্রহণযোগ্য ধরে নিচ্ছি। তবে মুহাম্মদ সেই সীমাও ত্যাগ করেছেন।
এখন আপনি উক্ত বিষয়ে এই বলে দাঁড়ি টানতে পারেন যে সপ্তম শতাব্দীতে আরবে বহুবিবাহ খুব সাধারণ ছিলো এবং মুহম্মদ সেই সময়ের রীতিনীতি ও মানদন্ড অনুসারে ভুল কিছু করেন নি। যা কিছু কিছু মুমিনদের স্বস্তি দিবে এভাবে যে, সেইসময়ের মানদন্ড হিসেবে মুহম্মদ একজন ভালো ব্যক্তি ছিলেন, কিন্তু এটা ইসলামিক ধর্মতত্ত্বের বিপরীতে যাচ্ছে, এবং একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছেই যে মুহাম্মদের নিজের জীবনে ১১ টি সহধর্মিনী থাকলেও এবং পরে আরো বিবাহ করার ইচ্ছা থাকলেও কেন মুহাম্মদ অন্যান্য মুমিনদের জন্য ৪ টার বেশি সহধর্মিনী না রাখার নিয়ম বেঁধে দিলেন? এমনকি যখন ঘায়লান-ইবনে-সালামা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেন তখন তাঁকে ১০ জন সহধর্মিনীর মধ্যে ৬ জন সহধর্মিনীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ করতে হয়েছিলো যখন সেইসময় মুহাম্মদ ১০ টা সহধর্মিনী বর্তমান ছিলো।
কেন মুহম্মদ ‘চার’ সংখ্যাকেই বেছে নিলেন এবং এ সংখ্যাকেই মুমিনদের সর্বোচ্চ সহধর্মিনী রাখার সংখ্যা হিসেবে জোরদার নিয়ম চালু করলেন যখন তিনি নিজেই এই প্রথা মানতে ব্যর্থ? যদি উত্তর হয়, রাজনৈতিক অত্যাবশ্যকতা তাহলে আমরা এমন কিছু ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক পরিস্থিতি আশা করি, যেই পরিস্থিতিতে ইসলামের ভবিষৎ রক্ষার্থে মুহাম্মদ এতো সংখ্যক বিবাহ করেছিলেন।
সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম কি ছিলো সেটা ব্যাখ্যা করে অনেকেই এ বিষয়ে অনেক আর্টিকেল লিখেছেন। কিছু লেখকরা মুহাম্মদের এসব বিবাহের রাজনৈতিক সুবিধাও ব্যাখ্যা করেছেন (প্রকৃত সত্য কে জলাঞ্জলি দিয়ে) কিন্তু উনারা এটা ব্যাখ্যা করেন না, কেন রাজনৈতিক সংকট এত জরুরী ছিলো ও বাধ্যকারী যে মুহাম্মদকে নিজের বানানো রীতিই ভাঙতে বাধ্য হতে হলো? উনারা কখনোই এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হন নি, ‘যদি মুহাম্মদ এই মহিলাদেরকে বিবাহ না করতেন তাহলে ইসলামের পরিণতি কি হত?’
মনে করুন, যে মুহাম্মদের প্রথম সহধর্মিনী খাদিজা-বিনতে-খুওয়ালিদ আরো ১৫ বছর বেঁচে ছিলেন। মনে করুন আয়েশা বা অন্য কোনো মহিলা নয়, একমাত্র খাদিজাই মুহাম্মদের মৃত্যুশয্যার পাশে ছিলেন তাহলে কি ইসলামের ওপর কোনো বড় দুর্যোগ নেমে আসতো? মুহম্মদের জীবনে রাজনৈতিক সংকটের পরিণতি কি হত? চলুন সেগুলো একটু ব্যাখ্যা করা যাক।
১. (৬১৬-৬১৯)― কুরাইশরা মক্কায় হাশিম এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বাণিজ্যিক অবরোধ শুরু করে। ফলস্বরূপ মুমিনদের কে খাদিজার সম্পত্তির ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হয়েছিলো, যদিও মুসলিম ঐতিহাসিকরা এটা সরাসরি উপস্থাপন করেন না। অবশেষে অবরোধটি খুব সম্ভবত তুলে নেয়া হয় কারণ মুহাম্মদ শয়তানের সাথে সমঝোতায় আসতে রাজি হন।
২. (৬২২)― কুরাইশরা মুহাম্মদকে মৃত্যদণ্ডের আদেশ দেয়। সেই যাত্রায় মুহাম্মদ তার লোকজন সহ মদিনায় পালিয়ে আসেন এবং নিজের প্রাণ বাঁচান। যদি খাদিজা বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি সওদাহ নয় বরং ফাতিমারই অনুসঙ্গী হতেন।
৩. (৬২৪-৬২৭)― মদিনায় অবস্থানরত ইহিদীরা ঘোষণা দেন তারা বিশ্বাস করে না যে, মুহাম্মদ তাদের মসিহা ছিলেন। যার ফলে মুহাম্মদ মদিনায় অবস্থিত ইহুদিদের হত্যা করে মদিনার রাজাধিরাজ হয়ে বসেন। যদি খাদিজা বেঁচে থাকতেন তাহলে খুব সম্ভবত জিব্রাইল বিশ্বাসঘাতক ইহুদিদের ব্যাপারে আল্লাহর আদেশ হিন্দ-বিনতে-উৎবার কাছে না এনে তাঁর ঘরেই বয়ে আনতেন।
৪. (৬২৭)― বহিষ্কৃত ইহুদি ও কিছু বেদুইন নেতাদের সাথে নিয়ে মক্কাবাসীরা মদিনা অভিযান করতে রওনা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে মুহাম্মদকে হত্যা করার আশা নিয়ে। কিন্তু মুহাম্মদ মদিনার চারপাশে একটি পরিখা খনন করে দেয়ায় তাদের অভিযান ব্যর্থ হয়। সেই সময়ে মুহাম্মদ একটি কিলাব উপজাতির ওপর দখল নেয় এবং মক্কার বিরুদ্ধে করা বাণিজ্যিক অবরোধ থেকে তাদের সুরক্ষিত করে। অবশেষে মুহাম্মদ সেই অবরোধ তোলার সিদ্ধান্ত নেয় (কবে অবরোধ তোলা হয়েছিল তার তারিখ জানা যায়নি কিন্তু মক্কাবাসীরা ক্ষুধার্ত হয়ে উঠেছিল)। তখন মক্কাবাসীরা শিক্ষা পেয়েছিলো যে মুহাম্মদকে সরাসরি আক্রমণ করা যাবে না। যদি খাদিজা বেঁচে থাকতেন তাহলে মুহাম্মদ সম্ভবত কিলাবিটিসদের উপর দখল নিতেন ও একইভাবে মক্কা অবরুদ্ধ করতেন।
৫. (৬২৮)― এদিকে মুহাম্মদ বেঁচে থাকা ইহুদিদের বিরুদ্ধে অগ্রক্রয়াধিকার সংক্রান্ত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। খাইবারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের পর আরবে থাকা প্রতিটা ইহুদী দাসে পরিণত হয়। তখন মুহাম্মদ আঁচ করতে পেরেছিলেন যে তাদের গাতাফান মিত্রশক্তি প্রতিশোধ নিতে পারে। যদি খাদিজা বেঁচে থাকতেন তাহলে সম্ভবত হিন্দ-বিনতে-উৎবা খাইবারে ফার্স্ট এইড বক্স বহন করে আনতেন।
৬. (৬৩০)― যখন মক্কাবাসীরা অনাহারে প্রায় মরণাপন্ন তখন মুহাম্মদ দশ হাজার সৈন্য নিয়ে মক্কা বিজয়ে রওনা হলেন। মক্কার রাজা আত্মসমর্পণ করে এবং তার গলায় তরবারি ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মের দাওয়াত দেয়া হয়। এ বিজয় গাতাফানদের জন্য সাবধানীবাণী স্বরূপ ছিলো এবং ইয়েমেনিরাও মুসলিমবাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করার বদলে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। যদি খাদিজা বেঁচে থাকতেন তাহলে এটা কল্পনা করা খুব কষ্টকর হতো যে এখানের পরিস্থিতি কেমন হতো।
৭. (৬৩০-৬৩২)― আরবে যা কিছু অবশিষ্ট ছিলো তা মুহাম্মদ দখল করে নেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেখানকার রাজা ছিলেন। যদি খাদিজা বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি আরবের রানী হতেন।
সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি উপরিউক্ত রাজনৈতিক সমস্যাসমূহ কোনোভাবেই বৈবাহিক সূত্র দিয়ে সমাধান হয়নি। যদি খাদিজা বেঁচে থাকতেন তাহলে ইসলামের ভাগ্য একটু অন্যরকমভাবে নির্ধারিত হতো। মুহাম্মদ উপদ্বীপসমূহ দখল করতেন এবং সেখানে তার প্রচারিত ধর্মকে আরোপিত করতেন।
এবার একটু অন্যভাবে দিয়ে দেখা যাক।
যদি মুহাম্মদ অন্য নারীদের বিবাহ করতে ব্যর্থ হতেন তাহলে ইসলাম তার কি কি সুবিধা হারাতো?
১. যদি মুহাম্মদ আয়েশা, সওদাহ অথবা হাফসা কে বিবাহ না করতেন তাহলে তাকে অর্থ সংগ্রহের জন্য অন্য পথ দেখতে হতো।
২. তিনি তিনি জয়নাবকে বিবাহ না করতেন তাহলে তিনি নিজেকে কিছু অসুবিধার মুখ থেকে বাঁচাতে পারতেন। কারণ চারটি পর্যন্ত সহধর্মিনী রাখার রীতিটি ভাঙার জন্য তাঁকে এমনিতেই সামাজিক বিমূঢ়তায় পড়তে হয়েছিলো।
৩. যদি তিনি মূল্যাখ, ফতিমা, আসমা বা আমরাকে বিবাহ না করতেন তাহলে তাদের সাথে বিবাহবিচ্ছেদ করতে হতো না যা তাদের পরিবারের সাথে মুহাম্মদকে সম্পর্ক সুমধুর রাখতে সাহায্য করতো। তাৎক্ষণিক ভাবে মনে হতেই পারে যে আসমার হয়তো কোন বিশেষ রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিলো কিন্তু তার সাথেও বিবাহবিচ্ছেদ এটাই প্রমান করে যে, পরিবারের মত আসমারও কোনো গুরুত্ব ছিলো না।
৪. যদি তিনি জয়নাব, হিন্দ, অথবা মায়মুনাহকে বিবাহ না করতেন তাহলে ইসলামের কিছুই পরিবর্তন হতো না।
৫.যদি তিনি ৪ জন দাসীকে গ্রহণ না করতেন যাদের কোনো রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা ছিলো না, তাহলে তিনি নিজেকে বিখ্যাত ‘লুচ্চা নবী’ উপাধি থেকে বাঁচানোর একটা সুযোগ খুঁজে পেতেন।
মুহাম্মদের শুধুমাত্র ৩ টি বিবাহ যেকোনো অর্থে রাজনৈতিক ভাবে বিবেচনা করা হয় যেসব বিয়ে ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছিলো। কিন্তু সেইবছর রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেমন ছিলো? আসুন দেখে নেয়া যাক :
১. জুহারিয়া একটি ক্ষুদ্র নেতার কন্যা ছিলেন যার উপজাতি গোষ্ঠী শুধুমাত্র একটি অভিযানে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছিলো। ক্ষুদ্র উপজাতিটি কিন্তু মুহম্মদের অমনোযোগীতার জন্য কোনো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি যদিও তিনি তার কন্যাকে বিবাহ করেন। মুহাম্মদ বছরের পর বছর অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপজাতিদের জয় করেছেন কিন্তু সেই ধারা বজায় রাখার জন্য জুহারিয়াকে বিবাহ না করলেও হতো।
২. মক্কার রাজা আবু সুফান এর কন্যা ছিলেন রামলা যিনি অনেক বছর আগেই ইসলামের পক্ষ ত্যাগ করেছিলেন যা সম্পর্কে তিনি তার পিতাকে অবগত করেছিলেন। বদরের যুদ্ধে মুসলিমরা যে তার ভাইকে হত্যা করেছিলো কিংবা মুহাম্মদ যে তার পিতাকে হত্যা করার জন্য গুপ্তঘাতক (যদিও এই হত্যা ব্যর্থ হয় কিন্তু সবাই জানতো যে এর পেছনে মুহম্মদের ই হাত ছিলো) পাঠিয়েছিলেন- এইসব ব্যাপারে তিনি কোনোদিনই মাথা ঘামান নি। সুতরাং, রামলাকে বিবাহ করা আবু সুফিয়ানের সাথে মিত্রতা তৈরি করেনি। বরং বিষয়টা মুহাম্মদের শত্রুকে একটি মানসিক তিরস্কার প্রদান করেছিলো, যার নিজের কন্যা তার পিতাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলো মুহাম্মদের সুবিধার্থে। এমনকি যখন আবু সুফান তার কন্যার মাধ্যমে মুহাম্মদের সাথে শান্তি বজায় রাখার জন্য সবকিছু মীমাংসা করার চেষ্টা করছিলেন তখন তার কন্য সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিবাহটি হয়তো একজন অভাগা পিতার কাছে মানসিক আঘাতের কারণ। ফলস্বরূপ তিনি এতে স্বাভাবিক ভাবেই উৎসাহী ছিলেন না যা তার চূড়ান্ত পরাজয়কে নির্দেশ করে।
৩. সাফিয়া খাইবারের প্রথম নারী ছিলেন, যিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। খাইবার জয়লাভের পর মুহম্মদ সাফিয়াকে বিবাহ করেন। তবে এই মিলন ইহুদীদের জন্য কোন সুবিধা বয়ে আনে নি। পরে মৃত্যুশয্যায় মুহাম্মদ সাফিয়ার উপস্থিতিতে বয়ান দিয়েছিলেন যে তিনি বেঁচে থাকা সমস্ত ইহুদী আরব থেকে তাড়াতে চেয়েছিলেন। এটা অত্যন্ত সন্দেহজনক যে, সাফিয়ার সহিত বিয়ে মুহাম্মদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার ব্যাপারে ইহুদীদের নিরুৎসাহিত করেছিলো। তাছাড়া বিদ্রোহ না করার আরো একটি প্রধান কারণ হলো যে, তারা তা করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না, যদি তারা মুহাম্মদকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে থাকতো তাহলে সাফিয়া মদিনায় বন্দি থাকার কারণে তারা ভীত হয়ে থাকতো না।
যদি মুহাম্মদ এ তিনজন নারীকে বিবাহ না করতেন তবে নিশ্চিতভাবেই অনুমান করা যায়, তাদের স্ব স্ব গোত্র কখনওই নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করতেন না। রাজনৈতিক কারণে তার এসব বিয়ের প্রয়োজন ছিলো না।
আল্লাহ ছিলেন কাবার মন্দিরের রক্তপিপাসু অপদেবতা ; মুহাম্মদ আল্লাহর মূর্তি ধ্বংস করিয়াছিলেন ; এবং আল্লাহর ভক্তরা কারবালা ময়দানে , মুহাম্মদের বংশ ধ্বংস করিয়াছিল ; সেই আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যহ তাদের এখনো চেঁচামেচি ;