নাস্তিকরা ঈশ্বরের কেমন প্রমাণ চায়?
নাস্তিকরা ঈশ্বরের কেমন প্রমাণ চায়? স্বাভাবিকভাবেই, এই প্রশ্নে পৃথিবীর সকল নাস্তিকের উত্তর একরকম হবে না। নাস্তিক থেকে নাস্তিকে উত্তরে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে।
প্রথমেই জেনে রাখুন, “প্রমাণ করা” বলতে আমরা কি বুঝাচ্ছি। “প্রমাণ করা” কে আমরা সংজ্ঞায়িত করছি, “যৌক্তিক সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রদর্শন করা”।
একটি বড় সমস্যা হলো, “ঈশ্বর” শব্দটির অনেকরকম সংজ্ঞা আছে, ঠিক যেমন পৃথিবীতে অনেকরকম আস্তিক আছে। ঈশ্বরের সংজ্ঞায় ঈশ্বর অবশ্যই “প্রমাণসাধ্য” হতে হবে। ঈশ্বর বলতে যদি এমনকিছু ধরে নেওয়া হয় যা প্রমাণ করা যায় না, তাহলে “নাস্তিকরা ঈশ্বরের কেমন প্রমাণ চায়?” প্রশ্নটি করার আর কোনো অর্থ থাকে না। যে ঈশ্বরের সংজ্ঞায় ঈশ্বর প্রমাণাতীত, নাস্তিকরা সেই ঈশ্বরের কেমন প্রমাণ চায় জিজ্ঞেস করা ন্যায্য নয়। কারো বিশ্বাস অনুযায়ী, ঈশ্বর যদি এমন কেউ হয় যার অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায়, তাহলেই সে এই প্রশ্নটি করতে পারে যে, “নাস্তিকরা ঈশ্বরের কেমন প্রমাণ চায়?”
তারপর সে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করবে। বাস্তবতা কি এবং কিভাবে কাজ করে তা সঠিক এবং যথাযথভাবে নির্ধারণ করার জন্য বিজ্ঞান মানুষের কল্পনা করা সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি। এটি অবিশ্বাস্যভাবে খুঁতখুঁতে, কঠোর, ধীর এবং কঠিন। এটি দারুণ কাজ করে।
আপনি যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করতে চান, এটি একটি ভালো প্রক্রিয়া হতে পারেঃ
- আপনি যা প্রদর্শন করতে চাচ্ছেন তা এবং তার বৈশিষ্ট্যাবলী সংজ্ঞায়িত করুন।
- কিছু সম্ভাব্য পরীক্ষা বের করুন যা ঐ বৈশিষ্ট্যাবলী প্রদর্শন করতে পারবে, আবার ভুলও প্রমাণ করতে পারবে।
- পরীক্ষা সমূহ সঞ্চালন করুন এবং প্রমাণ একত্রিত করুন।
- Peer Review এর জন্য সাবমিট করুন।
- যদি এটি Peer Review তে টিকে যায়, তাহলে সেই ব্যক্তির কাছে সাবমিট করুন যাকে আপনি উপলব্ধি করাতে চাচ্ছেন।
আস্তিকরা প্রায়ই নাস্তিকদের উপলব্ধি করানোর জন্য ভয় দেখানো (“তুমি জাহান্নামে পুড়বে!”) বা আবেগ দিয়ে প্ররোচিত করার (“কিন্তু ঈশ্বর তোমাকে কতো ভালোবাসে!”) চেষ্টা করে। আমাদেরও অন্য যেকারো মতো এমন অনুভূতি আছে। তবে, যখন বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিক সত্যতার ব্যাপার চলে আসে, তখন যুক্তি এবং তথ্যপ্রমাণের দারস্থ হতেই হবে।
মূল লেখাঃ What would it take to prove to you that a god exists?
আরও পড়ুনঃ ঈশ্বর হাইপোথিসিস
Ther is God or not that is my headach. If there is God fine, there is no God fine. But if we assume there is a God,who create our universe. This universe is so enormous, I may that it is limitedlees. Number of stars he created is countless. Our sun which is 1300000 times bigger than our earth. How big is the sun compre to our unnverse ? Smaller than a sand particle. We can assume our earth is like an electron moving round the nucleous inside an atom.We cannot see an atom with our normal eye, but with an electron microscope. Now we can try to immagine our universe. How big it is? Beyound the immagination. Question is, is there a God ( Allah, Yaway,Bhagoban etc. ) who create this limitless universe?
Again if I say Allah. How enormous is he? How does he look like? Is his power is limited or limitless? One who created all these limitless things, so his power must not be limited. Now the question is does it matter for him that we pray to him or not? What shoud we pray to him? Does he need a messanger to convey his message to us ? If we yes, he needs,then I should say we are really stupid. If he needs a messanger then he is not the most powerful! He needs the help from his own creation, like Sri Krisna, Mosses, Jesus and Mohammed, whom we call Gods messanger? As soon as we say that, we make him very small, like a great king with limited power.
Who is more intelligent God or we ? Now a days almost every one of us use mobile phone to convey our message to eachother, who created tis moble phone? We humen created it with very limited knowledge and limited life length. Now the question is we, his negligible creation don’t need a messanger but God has messanger? By saying that Gos’s messanger are we not insulting God? Are we not bringing him down to our class or lower? Now the question is God needs messange or not, shall we insult God or not? It is up to you to judge.
Around 2500 years ago one of the greatst philosopher said ” The boundary of our ignorence is boundless and depth of our ignorence is bottom less”.
( Sorry I don’t have bengali alphabets in my computer why I wrote in english. I could explain better in bengali than in english, may be I made some spelling mistake or sentence formation due to my vey limited knowledge inglish, I apologise for that. )
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/মহাবিস্ফোরণ_তত্ত্ব
কোনো পদার্থবিজ্ঞানী কি বলতে পারবেন বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী, কিভাবে বিন্দুতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল এবং সৃষ্টি হয়েছিল এই মহাবিশ্বের?
আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি তত্ত্ব সম্পর্কে যা বলেছেন পবিত্র কুরআনে,
“সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে দেখে না যে, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম” (সূরা আম্বিয়া ২১:৩০)
“আমি আকাশমণ্ডলী নির্মান করিয়াছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহা-সম্প্রসারণকারী” (সূরা জারিয়াত ৫১:৪৭)
“আকাশমণ্ডল, যা পথ ও কক্ষপথ দ্বারা পরিপূর্ণ”(সূরা জারিয়াত ৫১:৭)
“তিনিই সৃষ্টি করেছেন দিবা-নিশি, সুর্য ও চন্দ্র, প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে।” (সূরা আম্বিয়া ২১:৩৩)
“তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনে এবং দিনকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রত্যেকেই বিচরণ করছে নির্দিষ্টকৃত সময় অনুযায়ী, তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত।” (সূরা লুকমান ৩১:২৯)
“আর সূর্য তার জন্যে নির্দিষ্ট করে দেয়া জায়গায় গতিশীল, এটা মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের সুনিরূপিত নির্ধারণ।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩৮)
“সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদকে ধরে ফেলা, আর রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে ছাড়িয়ে আগে বেড়ে যাওয়া, প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরণ করছে।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৪০)
“এরা কি কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া নিজেরাই অস্তিত্ব লাভ করেছিল? অথবা এরা নিজেরাই কি নিজেদের সৃষ্টিকর্তা? অথবা পৃথিবী ও আকাশসমূহ কি এরাই সৃষ্টি করেছে? বরং এরা কোন কথায়ই দৃঢ় প্রত্যয়ী নয়।” (সূরা আত-তূর ৫২:৩৫-৩৬)
এত পট পট করা লাগবে না ভাই। আপনি এই কথা পিয়ার রিভিউ করান।পিয়ার রিভিউ টিকে গেলে নাস্তিকরা সব দলে দলে ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য। এত পট পট করা লাগে আর ?? ??????
@Sabbir Ahmed
মস্ত বড়ো ফর্দ দিছেন আল্লা তালার কাজের | সত্যি তো ! সব কিছু বানাইছেন তিনি অরে নাস্তিকরা কিনা তাকে অমান্য করে ? কি দুর্মতি | কি অন্যায় কথা | এবার আমি আরো কিছু কাজের ফর্দ দিতাছি | এগুলিও আল্লা বানাইছেন কারণ তিনিই তো সব সব বানাইছেন | অস্বীকার করার উপায়ে নাই
– করোনা, ক্যান্সার, ইবোলা, hiv, কলেরা, প্লেগ, পক্স (যাতে সবাই, এমন কি তার ভক্তরা পর্যন্ত সব পটাপট করে মরে যায়)
– ভূমিকম্প, সাইক্লোন, উল্কাপাত, ধ্বস, বন্যা, মরুঝড় (যাতে প্রচুর মৃত্যু ও ক্ষতি হয় সবার)
– জান্নাত ও জাহান্নাম (যা তিনি বানিয়ে কোথায় লূকিয়ে রাখছেন তা কেউ জানে না)
– 1000 টা ধর্ম (যারা পরপস্পরের বিরুদ্ধে মারামারি করে এবং যার মধ্যে 999 টা তাকে (আল্লাহ কে) মানে না এমন কি গালি দেয়),
– শয়তান (যা তাকে ও তার সৃষ্টিকে বাঁশ দিতাছে চিরকাল এবং তিনি কিছুই করতে পারতেআছেন না),
– মদ (যা পৃথিবী তে খেলে প্রচন্ড অন্যায় কিন্তু জান্নাত যার নদী আছে এবং সেখানে খেলে কোনো দোষ নাই)
– বিষ (যাতে তার একমাত্র, যে একজন মাত্র নিজের লোক ছিল, যার সাথে তার রোজ কথা হইতো সে পর্যন্ত মারা যায়)
– সমকামী মানুষ (যা তার একদম পছন্দ না তবু বানাইছেন),
– প্রচুর বিধর্মী (যারা 1500 বছর পরেও তার অনুরাগীদের থেকে তিন গুন্ বেশি সংখ্যায় এবং যাদেরকে তার বিরোধী পক্ষের ঈশ্বরেরা পৃথিবীর শ্রেষ্ট সব দেশগুলো দিয়া দিছে আগেই, যেই সব দেশে তার ভক্তরা জন্ম থেকে যাবার স্বপ্ন দেখে )
– নাস্তিক (যারা তাকে পাত্তা দেয় না আর এই রকম বাজে ফর্দ বানিয়ে তার বিশ্বাসীদের বিরক্ত করে)
Sir/Mam
I’m 13 years old. but according to me I believe in “Creator[God]” But not in ‘Christ’; ‘Mahadev’;’Allah’ or’ Buddha’ etc….
Then what am I? “আস্তিক”[Believer] / “নাস্তিক'[
Atheist] or what?
Waiting for your feedback…
Emm
Google “Deist”.
You can call yourself an agnostic.
https://www.bng.hinduhum.net/2020/11/blog-post_11.html
You can call yourself an agnostic.
ভাই আমারা সপ্ন দেখি কেন? পাগলেরা কি সপ্ন দেখে? আমার জীবনে যত সপ্ন দোষ হয় কাল মেয়ে রিং ডাল ব্যেক ঠাল তাদের দেখে হয় কেন আমি রাতে সুন্দর জামা কাপড় পড়ে শুইয়ে ও এবং কি পারফিউম মারি তার পর ও সুন্দরী মেয়েরা কেন আসে না? প্রশ্ন হল সপ্ন কে দেখায় তার উদ্দেশ্য কি?
ভাই আমারা সপ্ন দেখি কেন? পাগলেরা কি সপ্ন দেখে? আমার জীবনে যত সপ্ন দোষ হয় কাল মেয়ে রিং ডাল ব্যেক ঠাল তাদের দেখে হয় কেন আমি রাতে সুন্দর জামা কাপড় পড়ে শুইয়ে ও এবং কি পারফিউম মারি তার পর ও সুন্দরী মেয়েরা কেন আসে না? প্রশ্ন হল সপ্ন কে দেখায় তার উদ্দেশ্য কি?
সৃষ্টির স্রষ্টা আছে, কিন্তু স্রষ্টার স্রষ্টা থাকতে পারে না।
আমি আব্রাহামিক ইশ্বর সম্পর্কে কিছুই বলতে চাই না তবে বৈদিক ইশ্বর সম্পর্কে আমার জানা কিছু কথা বলতে চাই।
জগতের অস্তিত্বই তার অস্তিত্ব। তিনিই জগত হয়েছেন এবং জগতের সকল অস্তি নাস্তি তিনিই। জগত তার আমিত্বর প্রসার। যেভাবে আমরা স্বপনে মনময় জগত সৃষ্টি করে পিতা, মাতা, শত্রু, মিত্র দেখতে পাই। সেভাবেই ইশ্বর তার মায়াময় জগত সৃষ্টি করেছেন। উপনিষদ বলে:-
সর্বং হ্যেতদ্ ব্ৰহ্মায়মাত্মা ব্রহ্ম সোঽয়মাত্মা চতুষ্পাৎ॥২
অন্বয় বিশ্লেণ করে বলেছেন: — সর্বং হি এতৎ ব্রহ্ম (এই সকলই ব্রহ্ম); অয়ম্ আত্মা ব্রহ্ম (এই আত্মাও ব্রহ্ম); সঃ অয়ম্ আত্মা চতুষ্পাৎ (এই আত্মার চারটি অবস্থা)।
সরলার্থ: সমগ্র জগৎই ব্রহ্ম। অতেব এই জীবাত্মাও ব্রহ্ম। আপাতদৃষ্টিতে এই আত্মার চারটি অবস্থা।
কি সেই অবস্থা?
জাগরিতস্থানো বহিষ্প্রজ্ঞঃ সপ্তাঙ্গ একোনবিংশতিমুখঃ
স্থূলভুগ্বৈশ্বানরঃ প্রথমঃ পাদঃ॥
জাগ্রত অবস্থায় আমরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে সচেতন এবং ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমেই আমরা এই জগৎকে উপলব্ধি করি। যাঁর সাতটি অঙ্গ এবং উনিশটি উপলব্ধির দ্বারা জীব হিসাবে তিনিই এই স্থূলদেহ ভোগ করেন। এটিই আত্মার প্রথম প্রকাশ।
স্বপ্নস্থানোঽন্তঃপ্রজ্ঞঃ সপ্তাঙ্গ একোনবিংশতিমূখঃ
প্রবিবিক্তভুক্তৈজসো দ্বিতীয়ঃ পাদঃ॥
আমরা যখন স্বপ্ন দেখি তখন আমরা যা কিছু করি সেসবের অস্তিত্ব আমাদের মনে। স্বপ্ন বাহ্যবিষয়-বিহীন। এটা পুরোপুরি মনের ব্যাপার। স্বপ্ন হচ্ছে জাগ্রত অবস্থায় আমাদের বাসনা ও পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার ফলস্বরূপ। জাগ্রত অবস্থার মতো স্বপ্নবস্থাতেও আমাদের সাতটি অঙ্গ ও উনিশটি ইন্দ্রিয় অটুট থাকে, কিন্তু তখন আমরা যা কিছু কাজ করি মনের দ্বারা। এ অবস্থায় বাইরের জগতের সাথে কোন সম্পর্ক থাকে না। এই মানস অভিজ্ঞতার অধিপতি হল (ব্রহ্মের) দ্বিতীয় অবস্থা।
যত্র সুপ্তো ন কঞ্চন কামং কাময়তে ন কঞ্চন স্বপ্নং পশ্যতি তৎ সুষুপ্তম্।
সুষুপ্তস্থান একীভূতঃ প্রজ্ঞানঘন এবানন্দময়ো হ্যানন্দভুক্ চেতোমুখঃ প্রাজ্ঞতৃতীয়ঃ পাদঃ॥
যখন তুমি গভীর নিদ্রায় মগ্ন থাক তখন তোমার মনে কোন কামনা-বাসনা থাকে না এবং তখন তুমি স্বপ্নও দেখ না; মন নিষ্ক্রিয় থাকে। একেই বলে সুষুপ্তি। জাগ্রত অবস্থায় বা স্বপ্নাবস্থায় তুমি বস্তু সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু সুষুপ্তি অবস্থায় কোন বিষয় বা কোন দ্বৈত দৃষ্টি থাকে না। তখন শুধুই এক দেখা যায়। কিন্তু এই অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা যায় না। এ যেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া, যেখান থেকে আবার স্বপ্ন বা জাগ্রত অবস্থায় তোমাকে ফিরে আসতেই হবে। এটাই প্রাজ্ঞ—আত্মার তৃতীয় অবস্থা।
এষ সর্বেশ্বর এষ সর্বজ্ঞ এষোঽন্তৰ্যাম্যেষ যোনিঃ
সর্বস্য প্রভবাপ্যয়ৌ হি ভূতানাম্॥৬
উপনিষদ বলছেন যে, পরম সত্য এক। নাম-রূপের পার্থক্যের দরুন সেই এককেই আমরা বহু দেখি, কিন্তু এই বৈচিত্র ক্ষণস্থায়ী। প্রশ্ন হল, কেমন করে বুঝব যে আমিই সেই পরম সত্য? বেদান্ত বলেন, তুমি কি তোমার নিজের অস্তিত্বে বিশ্বাসী? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা প্রত্যেকেই বলব, হ্যাঁ। বেদান্ত বলছেন, যদি তোমার নিজের অস্তিত্ব থাকে এবং পরম সত্য বলতে সেই এক ও অভিন্ন সত্তাকেই বোঝায় তাহলে সেই পরম সত্য থেকে তুমি কখনো নিজেকে তালাদা করতে পার না। তুমি তোমার অস্তিত্বে বিশ্বাসী। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত তুমি সেই পরম অস্তিত্বের সাথে একাকার হয়ে যাও, তোমার এই অস্তিত্বের বোধ আসে কোথা থেকে? এই মুহূর্তে অবশ্য পরম অস্তিত্ব আছে এবং ‘আমি’ নামক সত্তাটিও আছে। কিন্তু এই পরম সত্য থেকে আমি নিজেকে পৃথক বলে মনে করি। বেদান্তমতে এ থেকেই অজ্ঞানতার শুরু।
আত্মাকে বর্ণনা করা যায় কিভাবে?
উপনিষদের মতে আত্মার সম্বন্ধে কিছু বলা যায় না। আত্মাকে কোনও বিশেষণে বিশেষিত করা যায় না। বলা যায় না যে, আত্মা এই প্রকার বা আত্মা ঐ প্রকার। যখন আমরা আত্মার সম্বন্ধে কিছু বলি তখনি আমরা তাঁকে সীমাবদ্ধ করে ফেলি। আত্মায় আরোপিত গুণসমূহ আত্মার বৈশিষ্ট্য নয়। যেমন, কেউ হয়তো বলল পদ্মফুল নীল। নীল একটি গুণমাত্র, পদ্মের কোনও অংশ নয় কারণ পদ্ম সাদা কিংবা লালও হতে পারে। সেভাবেই কেউই বলতে পারে না আত্মা ছোট কিংবা বড় বা আর কিছু। আত্মাকে বর্ণনা করা যায় না, আত্মা যে সঠিক কি তা বলে বোঝানোও যায় না। সেইজন্যই বেদান্ত বলেন, ‘নেতি, নেতি’ অর্থাৎ ‘ন ইতি, ন ইতি’ যার অর্থ আত্মা এটি নয়, এটি নয়।
আরো অনেক কিছু আছে যা আমি আমার ওয়েবসাইটে পুনঃ পুনঃ প্রকাশ করছি।