ধর্মঅবশ্যপাঠ্যস্টিকি

বাইবেলের অবৈজ্ঞানিক ভার্সসমূহ

  • আকাশ ও পৃথিবী একসাথে সৃষ্টি:

শুরুতে, ঈশ্বর আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন| প্রথমে পৃথিবী সম্পূর্ণ শূন্য ছিল; পৃথিবীতে কিছুই ছিল না|

আদিপুস্তক ১:১

  • ঈশ্বরের আত্মা জলরাশির উপরে ভাসছিল:

অন্ধকারে আবৃত ছিল জলরাশি আর ঈশ্বরের আত্মা সেই জলরাশির উপর দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছিল|

আদিপুস্তক ১:২

  • ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন:

তারপর ঈশ্বর বললেন, “আলো ফুটুক!” তখনই আলো ফুটতে শুরু করল| আলো দেখে ঈশ্বর বুঝলেন, আলো ভাল| তখন ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন| ঈশ্বর আলোর নাম দিলেন, “দিন” এবং অন্ধকারের নাম দিলেন “রাত্রি|”সন্ধ্যা হল এবং সেখানে সকাল হল| এই হল প্রথম দিন|

আদিপুস্তক ১:৩-৫

  • ঈশ্বর একভাগ জল আকাশের উপরে রাখলেন আরেকভাগ নিচে:

তারপর ঈশ্বর বললেন, “জলকে দুভাগ করবার জন্য আকাশমণ্ডলের ব্যবস্থা হোক|” তাই ঈশ্বর আকাশমণ্ডলের সৃষ্টি করে জলকে পৃথক করলেন| এক ভাগ জল আকাশমণ্ডলের উপরে আর অন্য ভাগ জল আকাশমণ্ডলের নীচে থাকল|

আদিপুস্তক ১:৬-৭

  • মহাসাগরের অবস্থান পৃথিবীর বাইরে:

তারপর ঈশ্বর বললেন, “আকাশের নীচের জল এক জায়গায় জমা হোক যাতে শুকনো ডাঙা দেখা যায়|” এবং তা-ই হল| ঈশ্বর শুকনো জমির নাম দিলেন, “পৃথিবী” এবং এক জায়গায় জমা জলের নাম দিলেন, “মহাসাগর|” ঈশ্বর দেখলেন ব্যবস্থাটা ভাল হয়েছে|

আদিপুস্তক ১:৯-১০

  • চাঁদ,সূর্য,তারার কাজ পৃথিবীকে আলো প্রদান করা:

তখন ঈশ্বর দুটি মহাজ্যোতি বানালেন| ঈশ্বর বড়টি বানালেন দিনের বেলা রাজত্ব করার জন্য আর ছোটটি বানালেন রাত্রিবেলা রাজত্ব করার জন্য| ঈশ্বর তারকারাজিও সৃষ্টি করলেন| পৃথিবীকে আলো দেওয়ার জন্য ঈশ্বর এই আলোগুলিকে আকাশে স্থাপন করলেন|

আদিপুস্তক ১:১৬-১৭

  • প্রথমে জলজ প্রানী,পাখি এরপর জন্তু জানোয়ার সৃষ্টি:

তারপর ঈশ্বর বললেন, “বহু প্রকার জীবন্ত প্রাণীতে জল পূর্ণ হোক আর পৃথিবীর ওপরে আকাশে ওড়বার জন্য বহু পাখী হোক|” সুতরাং ঈশ্বর বড় বড় জলজন্তু এবং জলে বিচরণ করবে এমন সমস্ত প্রাণী সৃষ্টি করলেন| অনেক প্রকার সামুদ্রিক জীব রয়েছে এবং সে সবই ঈশ্বরের সৃষ্টি| যত রকম পাখী আকাশে ওড়ে সেইসবও ঈশ্বর বানালেন| এবং ঈশ্বর দেখলেন ব্যবস্থাটি ভাল হয়েছে| ঈশ্বর এই সমস্ত প্রাণীদের আশীর্বাদ করলেন| ঈশ্বর সামুদ্রিক প্রাণীদের সংখ্যাবৃদ্ধি করে সমুদ্র ভরিয়ে তুলতে বললেন| ঈশ্বর পৃথিবীতে পাখীদের সংখ্যাবৃদ্ধি করতে বললেন| সন্ধ্যা হয়ে গেল এবং তারপর সকাল হল| এভাবে পঞ্চম দিন কেটে গেল| তারপর ঈশ্বর বললেন, “নানারকম প্রাণী পৃথিবীতে উত্পন্ন হোক| নানারকম বড় আকারের জন্তু জানোয়ার আর বুকে হেঁটে চলার নানারকম ছোট প্রাণী হোক এবং প্রচুর সংখ্যায় তাদের সংখ্যাবৃদ্ধি হোক|” তখন য়েমন তিনি বললেন সব কিছু সম্পন্ন হল|

আদিপুস্তক ১:২০-২৪

  • সবশেষে মানুষ তৈরী:

তখন ঈশ্বর বললেন, “এখন এস, আমরা মানুষ সৃষ্টি করি| আমাদের আদলে আমরা মানুষ সৃষ্টি করব| মানুষ হবে ঠিক আমাদের মত| তারা সমুদ্রের সমস্ত মাছের ওপরে আর আকাশের সমস্ত পাখীর ওপরে কর্তৃত্ত্ব করবে| তারা পৃথিবীর সমস্ত বড় জানোয়ার আর বুকে হাঁটা সমস্ত ছোট প্রাণীর উপরে কর্তৃত্ত্ব করবে|”

আদিপুস্তক ১:২৬

  • ঈশ্বর দেখতে মানুষের মত:

তাই ঈশ্বর নিজের মতোই মানুষ সৃষ্টি করলেন| মানুষ হল তাঁর ছাঁচে গড়া জীব| ঈশ্বর তাদের পুরুষ ও স্ত্রীরূপে সৃষ্টি করলেন|

আদিপুস্তক ১:২৭

  • জন্তু জানোয়ারের খাদ্য গাছপালা:

এবং জানোয়ারদের সমস্ত সবুজ গাছপালা দিচ্ছি| তাদের খাদ্য হবে সবুজ গাছপালা| পৃথিবীর সমস্ত জন্তু জানোয়ার, আকাশের সমস্ত পাখি এবং মাটির উপরে বুকে হাঁটে য়েসব কীট সবাই ঐ খাদ্য খাবে|” এবং এই সব কিছুই সম্পন্ন হল|

আদিপুস্তক ১:৩০

  • ঈশ্বর বিশ্রাম নেন:

যে কাজ ঈশ্বর শুরু করেছিলেন তা শেষ করে সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম নিলেন|

আদিপুস্তক ২:২

  • মানুষ তৈরী হল মাটি ও ধুলো থেকে:

তখন প্রভু ঈশ্বর মাটি থেকে ধুলো তুলে নিয়ে একজন মানুষ তৈরী করলেন এবং সেই মানুষের নাকে ফুঁ দিয়ে প্রাণবাযু প্রবেশ করালেন এবং মানুষটি জীবন্ত হয়ে উঠল|

আদিপুস্তক ২:৭

  • নারী তৈরী হয় পুরুষের পাজরের হাড় থেকে:

প্রভু ঈশ্বর মানুষটির পাঁজরের সেই হাড় দিয়ে তৈরি করলেন একজন স্ত্রী| তখন সেই স্ত্রীকে প্রভু ঈশ্বর মানুষটির সামনে নিয়ে এলেন|

আদিপুস্তক ২:২২

  • সাপ সব থেকে চালাক প্রানী:

প্রভু ঈশ্বর যত রকম বন্য প্রাণী সৃষ্টি করেছিলেন সে সবগুলোর মধ্যে সাপ সবচেয়ে চালাক ছিল| সাপ সেই নারীর সঙ্গে একটা চালাকি করতে চাইল| একদিন সাপটা সেই নারীকে জিজ্ঞেস করল, “নারী, ঈশ্বর কি বাগানের কোনও গাছের ফল না খেতে সত্যিই আদেশ দিয়েছেন?”

আদিপুস্তক ৩:১

  • সাপ ধুলো খায়:

সুতরাং প্রভু ঈশ্বর সাপটাকে বললেন,“তুমি ভীষণ খারাপ কাজ করেছ; তার ফলে তোমার খারাপ হবে| অন্যান্য পশুর চেযে তোমার পক্ষে বেশী খারাপ হবে| সমস্ত জীবন তুমি বুকে হেঁটে চলবে আর মাটির ধুলো খাবে|

আদিপুস্তক ৩:১৪

  • নোহ এর মহাপ্লাবন:

“এবার যা বলছি, মন দিয়ে শোন| পৃথিবীতে আমি এক মহাপ্লাবন ঘটাবো| আকাশের নীচের যত জীবন্ত প্রাণী আছে, সব ধ্বংস করবো| পৃথিবীর সমস্ত কিছুর মৃত্যু হবে|

পৃথিবীর সমস্ত জীব মারা গেল| প্রতিটি পুরুষ ও স্ত্রী এবং পৃথিবীর সমস্ত জন্তু জানোয়ার মারা পড়ল| সমস্ত বন্য প্রাণী, সরীসৃপ ধ্বংস হয়ে গেল| স্থলচর যত প্রাণী শ্বাস প্রশ্বাস নেয় তারাও মারা গেল|

আদিপুস্তক ৬:১৭,৬:২১

  • মহাপ্লাবনে পৃথিবী পানিতে ডুবে গিয়েছিল:

একটানা 150 দিন পৃথিবী বিপুল জলরাশিতে ডুবে থাকলো|

আদিপুস্তক ৭:২৪

  • নোহ এর ৩০০ হাত লম্বা নৌকায় পৃথিবীর সমস্ত প্রানী উঠেছিল:

“নৌকোটা 300 হাত লম্বা, 50 হাত চওড়া আর 30 হাত উঁচু করে তৈরী করবে|

সমস্ত রকম পাখীর সাতটি করে জোড়া নেবে| এর ফলে পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত পশুপাখী আমি ধ্বংস করে ফেলার পরেও এইসব পশুপাখী সম্পূর্ণভাবে বংশলোপের হাত থেকে রক্ষা পাবে|

আদিপুস্তক ৬:১৫,৭:৩

  • রঙ্ধনু হল ঈশ্বরের চুক্তির প্রমান:

আমি যখন মেঘের মধ্যে ঐ রঙধনু দেখবো তখন চিরকালের জন্য সম্পন্ন ঐ চুক্তির কথা আমার মনে পড়ে যাবে| আমার আর পৃথিবীর প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যে ঐ চুক্তির কথা আমি মনে রাখব|” তারপর প্রভু নোহকে বললেন, “পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে আমি য়ে একটা চুক্তি করেছি ঐ রঙধনুই তার প্রমাণ|”

আদিপুস্তক ৯:১৬-১৭

  • পৃথিবী স্থির,সুদৃঢ়,অনড়:

প্রভুর সামনে সমস্ত পৃথিবীর ভয়ে কম্পমান হওয়া উচিত্‌, কিন্তু ঈশ্বর পৃথিবীকে সুদৃঢ় করেছেন সুতরাং তা নড়বে না|

বংশাবলি অধ্যায় ১,১৬:৩০

প্রভুই রাজা| তিনি রাজকীয এবং শক্তিমান পোশাকে সজ্জিত| তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে এই বিশ্বকে তার আপন জায়গায় স্থাপন করেছেন এবং এটাকে নাড়ানো হবে না|

সামসঙ্গীত ৯৩:১

আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করেছে পৃথিবী স্থির কিংবা অনড় নয়। পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর সদা ঘূর্ননশীল।

  • পৃথিবী পড়ে যায়না:

ঈশ্বর, পৃথিবীকে আপনি তার শক্ত ভিতের ওপর নির্মাণ করেছেন, তাই পৃথিবী কখনও পড়ে যাবে না|

সামসঙ্গীত ১০৪:৫

আমরা জানি যে,পৃথিবী কোন ভিতের উপর দাঁড়িয়ে নেই। পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে সূর্যকে প্রদক্ষিন করছে। তাই পড়ে যাওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা।

  • সূর্য চাদকে স্থির করে দেয়:

সেই দিন প্রভু ইস্রায়েলের কাছে ইমোরীয়দের পরাজয় ঘটালেন| সেই দিন যিহোশূয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন এবং তারপর সমস্ত ইস্রায়েলবাসীদের সামনে আদেশ করলেন:“হে সূর্য়, তুমি গিবিয়োনের উপরে থামো| আর হে চন্দ্র, তুমি অযালোন উপত্যকায চুপ করে থাকো|”তাই সূর্য় সরল না| চন্দ্রও নড়ল না যতক্ষণ না লোকরা শত্রুদের হারায়| এই কাহিনী যাশের গ্রন্থে লেখা আছে| সূর্য় মধ্যগগনে স্থির হয়ে গিয়েছিল, গোটা দিনটা সে আর ঘুরল না|

যোশুয়া ১০:১২-১৩

  • সূর্য বাসরঘর থেকে বের হয়ে আকাশে দৌড়ায়:

কিন্তু তাদের “রব” সারা পৃথিবী পরিব্যপ্ত করে রাখে| তাদের “শব্দসকল” পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্য়ন্ত পৌঁছায| সূর্য়্য়ের কাছে আকাশ একটি বাড়ির মত|

সকালের সূর্য় বাসরঘর থেকে পরিতৃপ্ত বরের মত বেরিয়ে আসে| সূর্য়্য় হচ্ছে একজন দৌড়বাজের মত| আকাশের এপার থেকে ওপার পর্য়ন্ত তার দৌড়ের প্রতিয়োগিতায দৌড়বার জন্য উদগ্রীব|

সূর্য়্য় আকাশের এক দিক থেকে দৌড় শুরু করে এবং সারা রাস্তা দৌড়ে দৌড়ে আকাশের অন্য প্রান্তে গিয়ে দৌড় শেষ করে| তার তাপ থেকে কিছুই লুকিয়ে থাকতে পারে না| প্রভুর শিক্ষাগুলিও ঠিক এই রকম|

সামসঙ্গীত ১৯:৪-৬

  • সরিষা বীজ সবচেয়ে ছোট

যীশু তাদের সামনে আর একটি দৃষ্টান্ত রাখলেন, ‘স্বর্গরাজ্য এমন একটা সরষে দানার মতো যা নিয়ে কোন একজন লোক তার জমিতে লাগাল৷

সমস্ত বীজের মধ্যে ওটা সত্যিই সবচেয়ে ছোট, কিন্ত গাছ হয়ে বেড়ে উঠলে পর তা সমস্ত শাক-সব্জীর থেকে বড় হয়ে একটা বড় গাছে পরিণত হয়, যাতে পাখিরা এসে তার ডালপালায় বাসা বাঁধে৷’

মথি ১৩:৩১-৩২

কিন্তু বাস্তবে প্রকৃতিতে সরষে দানার থেকেও অনেক ছোট আকৃতির বীজ পাওয়া যায়। যেমন বিভিন্ন ধরনের অর্কিড বীজ।

  • পিপড়া সম্পর্কে ভুল তথ্য:

অলস মানুষ, তোমাদের পিঁপড়েদের মতো হওয়া উচিত্‌| দেখো, পিঁপড়েরা কি করে| পিঁপড়েদের কাছ থেকে শেখো এবং জ্ঞানী হও|

পিঁপড়েদের কোনও মালিক নেই, শাসক নেই, নেতা নেই|

কিন্তু গ্রীষ্ম কালে পিঁপড়েরা তাদের যাবতীয় খাবার সংগ্রহ করে| ঐ খাদ্য তারা বাঁচিয়ে রাখে এবং শীতের সময়ও তাদের কাছে পর্য়াপ্ত খাবার থাকে|

প্রবচন ৬:৬-৮

পিপড়াদের উপরে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে তারা কলনি গঠন করে থাকে। এবং পিপড়াদের ভেতর কর্মী, পরিদর্শক এবং রানী পিপড়া দেখতে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ পিপড়ারই উদ্দেশ্য থাকে রানীকে পর্যাপ্ত খাদ্যের যোগান দেয়া যাতে বংশের ধারা অক্ষুন্ন থাকে। তাই কর্মী পিপড়াদের অবশ্যই একজন শাসক থাকে এবং তারা সবাই একে অপরের উপর নির্ভরশীল।

  • মানুষ হৃদয় দিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে:

আমি তাদের একটি হৃদয় দেব য়েটা আমাকে জানতে ইচ্ছা করবে| তখন তারা জানবে য়ে আমিই প্রভু| তারা হবে আমার লোক| আমি হব তাদের ঈশ্বর| আমি এটা করবো কারণ বাবিলের বন্দীরা সম্পূর্ণ ভাবে তাদের হৃদয় আমার কাছে সমর্পণ করবে|

যেরেমিয়া ২৪:৭

মানুষের হৃদপিন্ডের কাজ রক্ত পাম্প করা। “জানতে ইচ্ছা করা”টা হৃদপিন্ডের কাজ নয়। মানুষ চিন্তা ভাবনা করে তার মস্তিষ্ক ব্যবহার করে, হৃদয় দিয়ে নয়।

  • মহাকাশবিজ্ঞান:

পরে তৃতীয় স্বর্গদূত তূরী বাজালেন, তখন আকাশ থেকে জ্বলন্ত মশালের মতো এক বিরাট নক্ষত্র পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ নদী ও জলের উত্‌সের ওপর খসে পড়ল৷

প্রত্যাদেশপত্র অধ্যায় ৮:১০

পরে পঞ্চম স্বর্গদূত তূরী বাজালেন, আর আমি দেখলাম স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে একটা তারা খসে পড়ল; আর তারাটাকে অতল কূপ খোলার চাবি দেওয়া হল৷

প্রত্যাদেশপত্র অধ্যায় ৯:১

এরপর স্বর্গে আর এক নিদর্শন দেখা দিল, এক প্রকাণ্ড নাগ দেখা গেল, যার রঙ ছিল লাল, তার সাতটি মাথা, দশটি শিং আর সাতটি মাথায় সাতটি মুকুট৷

সে তার লেজ দিয়ে আকাশের এক তৃতীয়াংশ নক্ষত্র টেনে নামিয়ে এনে পৃথিবীর ওপর ফেলল৷ য়ে স্ত্রীলোকটি সন্তান প্রসব করার অপেক্ষায় ছিল, সেই নাগটি তার সামনে দাঁড়াল, য়েন স্ত্রীলোকটি সন্তান প্রসব করার সঙ্গে সঙ্গে সে তার সন্তানকে গ্রাস করতে পারে৷

প্রত্যাদেশপত্র অধ্যায় ১২:৩-৪

  • বাদুড়ও অন্য পাখিদের মতই:

“ঈশ্বর যে সব পাখী খাওয়ার পক্ষে অনুপযুক্ত বলেছেন, তোমরা অবশ্যই সেইসব পাখীদের অখাদ্য বলে গণ্য করবে| এই পাখীগুলি তোমরা খাবে না: ঈগল, শকুনি, শিকারী পাখী,

চিল এবং সব ধরণের বাজ পাখী|

সমস্ত জাতের কালো পাখী,

উট পাখী, রাতের বাজ পাখী, শঙ্খচিল, সব জাতের শ্যেন পাখী,

পেঁচা, লিপ্তপদ সামুদ্রিক পাখী, বড় পেঁচা,

হংসী, জলচর প্য়ানিভেলা, শবভূক শকুনি,

সারস, সমস্ত জাতের সারস, ঝুঁটিওযালা পাখী এবং বাদুড়|

লেবীয় পুস্তক ১১:১৩-১৯

এখানে স্পষ্টতই বাদুড়কে অন্যান্য পাখিদের সাথে একই শ্রেনীভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি বাদুড় অন্য পাখিদের মত নয়। বাদুড় একটি স্তন্যপায়ী প্রানী।

  • পাই এর মান 3

অতঃপর হীরম পিতল দিয়ে গোলাকার একটা জলাধার বানালো, যার নাম দেওয়া হল “সমুদ্র|” এটির পরিধি ছিল 30 হাত, ব্যাস ছিল 10 হাত ও গভীরতা ছিল 5 হাত |

জলাধারটি ঘিরে পিতলের একটি ফালি বসানো ছিল| এই ফালিটির তলায় জলাধারের গায়ে দুসারি পিতলের লতাপাতার নকশা কাটা ছিল|

আর গোটা জলাধারটি বসানো ছিল 12টি পিতলের তৈরী ষাঁড়ের পিঠে 12টি ষাঁড়ের তিনটির মুখ ছিল উত্তরমুখী, তিনটির দক্ষিণমুখী, তিনটির পূর্বমুখী ও বাকী তিনটির পশ্চিমমুখী|

জলাধারটির চারিধার 3 ইঞ্চি পুরু| জলাধারের কাণা পানপাত্রের কাণার সদৃশ অথবা ফুলের পাপড়ির মতো ছিল| জলাধারটিতে প্রায় 11,000 গ্য়ালন জল ধরত|

রাজাবলি ১;৭:২৩-২৬

গলানো পিতল দিয়ে মন্দিরের সুবিশাল গোলাকার জলের চৌবাচচাটি ঢালাই করা হয়েছিল| এই জলাধারের ব্যাস ছিল 10 হাত, পরিধি 30 হাত এবং উচ্চতা প্রায 5 হাত|

পিতলের তৈরী জলাধারটির নীচে সমস্ত বৃত্তটিকে ঘিরে দুটো সারিতে 10 হাত ষাঁড়ের প্রতিকৃতি রাখা ছিল| ষাঁড়গুলি এবং চৌবাচচাটি ছিল একটি খণ্ডে ঢালাই করা|

চৌবাচচাটি বারোটি ষাঁড়ের মূর্ত্তির ওপরে বসানো ছিল, যার মধ্যে তিনটে ষাঁড় ছিল উত্তরমুখী, তিনটে পশ্চিমমুখী, তিনটে দক্ষিণমুখী এবং তিনটে পূর্বমুখী| চৌবাচচাটি সেগুলোর মাথায় বসানো ছিল যাদের শরীরের পিছন দিকগুলো ছিল কেন্দরের দিক|

এই জলাধারের পরিধি দেওয়াল ছিল 3 ইঞ্চি পুরু এবং জলাধারের কানাটা ফুলকাটা পেয়ালার মতো করা ছিল| এটি প্রায 17,500 গ্যালন জল ধারণ করতে পারত|

বংশাবলি ২:৪:২-৫

আমরা জানি,পাই=পরিধি/ব্যাস

বাইবেল অনুযায়ী পাই এর মান দাঁড়ায়=৩০/১০=৩

কিন্তু আসলে পাই এর মান 3.14159265358979323846264338327950288…..

2 thoughts on “বাইবেলের অবৈজ্ঞানিক ভার্সসমূহ

  • Biswajit Chowdhury

    Jodi kichu hindu dharmer অবৈজ্ঞানিক ভিত্তি niao lekha likhten to khub bhalo hoto

    Reply
  • Swadhin Aniruddha

    ইসলামেও এই ধরনের প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে প্রতিটা ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সংযোজিত করলে ভালো হ’ত। “নোহ”র নৌকার যে আয়তন ছিল তাতে কি সকল স্থলচর প্রাণীর জোড়ায় জোড়ায় স্থান সংকুলান সম্ভব ছিল? ঈশ্বর এত গাঁজাখুরী কথা বলেন কি করে? …… যাই হোক একদিন মানুষ আপনার/আপনাদের এই মহান প্রয়াস নত মস্তকে সম্মান প্রদর্শন করবে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *