লাঞ্ছিত অবস্থায় জিযিয়া |তাফসীরে ইবনে কাসীর

Print Friendly, PDF & Email

সুরা তওবার ২৯ নম্বর আয়াত নিয়ে প্রচুর সংখ্যক মুসলিম নানা ধরণের মিথ্যাচার প্রতিনিয়ত করে থাকেন। অনেক মডারেট মুসলিম দাবী করেন, অমুসলিমগণ ইসলামিক রাষ্ট্রে সমান সুযোগ সুবিধা এবং অধিকার পান! সেখানে অমুসলিমদের লাঞ্ছিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই! মুসলমানদের জাকাতের মত তাদেরও জিযিয়া নামক ট্যাক্স দিতে হয়! কিন্তু আসলেই কী সেসব সত্য? এই বিষয়ে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ তাফসীর ইবনে কাসীরের তাফসীরে কী বলা হয়েছে? জিযিয়া কী সম্মানজনক ট্যাক্স? জিযিয়া দেয়াটা কী সমান মানবিক মর্যাদা এবং অধিকার নিশ্চিত করে? নাকি জিযিয়া মানে লাঞ্ছিত হওয়া? অপমানিত হওয়া?

শুরুতেই আমাদের জেনে নেয়া জরুরি, জিযিয়া শব্দটির অর্থ কী। অনেকেই জিযিয়া এবং খেরাজকে মিলিয়ে ফেলে জিযিয়াকে ট্যাক্স হিসেবে দাবী করেন। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। খেরাজ হচ্ছে অমুসলিমদের দেয়া কর। কিন্তু জিযিয়া হচ্ছে তাদের বেঁচে থাকার বা নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য দেয়া অর্থ। এই অর্থ দিতে হবে নত অবস্থায়, অপমানিত ভাবে।

এই বিষয়ে তাফসীরে জালালাইনে যা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে, জিযিয়া শব্দটি “জায়া” শব্দ থেকে নিষ্পন্ন অর্থাৎ তুমি মৃত্যুদণ্ডের উপযুক্ত অপরাধী ব্যক্তি। কিন্তু তোমাকে এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে যে, তোমার উপর এ দণ্ড জারি হচ্ছে না এবং দারুল ইসলামে নিরাপত্তার সাথে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

লাঞ্ছিত 2

এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা অন্য লেখাতে হবে, আপাতত শুধুমাত্র রেফারেন্স হিসেবে ইবনে কাসীরের বিখ্যাত তাফসীর থেকে আপনাদের জন্য আয়াতটির তাফসীর তুলে দিচ্ছি। তাফসীরে ইবনে কাসীরের ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বের হওয়া বইটি আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারেন এখান থেকে

জিজিয়া
ইবনে কাসীর
ইবনে কাসীর
ইবনে কাসীর
ইবনে কাসীর
লাঞ্ছিত 9

আসিফ মহিউদ্দীন

আসিফ মহিউদ্দীন সম্পাদক সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন [email protected]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *