ইসলামি বিশ্বাস অনুসারে জিন জাতি থেকে আসা শয়তান পাদ মারে। পাদ দেয়া একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যার জন্য প্রাণী হওয়া আবশ্যক এবং তার পরিপাকতন্ত্র থাকা জরুরি। জিনের সেই পরিপাক তন্ত্র রয়েছে, অথচ তাদের দেখা যায় না, বিষয়টি উদ্ভট!
সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৯/ তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৭৮০. সালাত তিন রাকা’আত আদায় করা হল না কি চার রাকা’আত তা মনে করতে না পারলে বসা অবস্থায় দু’টি সিজ্দা করা।
১১৫৯। মু’আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন সালাতের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান পিঠ ফিরিয়ে পালায় যাতে আযান শুনতে না পায় আর তার পশ্চাদ-বায়ূ সশব্দে নির্গত হতে থাকে। আযান শেষ হয়ে গেলে সে এগিয়ে আসে। আবার সালাতের জন্য ইকামত দেওয়া হলে সে পিঠ ফিরিয়ে পালায়। ইকামত শেষ হয়ে গেলে আবার ফিরে আসে। এমন কি সে সালাতরত ব্যাক্তির মনে ওয়াস্ওয়াসা সৃষ্টি করে এবং বলতে থাকে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো, যা তার স্মরণে ছিল না। এভাবে সে ব্যাক্তি কত রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছে তা স্মরণ করতে পারে না। তাই, তোমাদের কেউ তিন রাকা’আত বা চার রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছে, তা মনে রাখতে না পারলে বসা অবস্থায় দু’টি সিজ্দা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
মহানবী (সাঃ) বলেন, “নামাযের জন্য আযান দেওয়া হলে শয়তান পাদতে পাদতে এত দূরে পালায়, যেখানে আযান শোনা যায় না। আযান শেষ হলে আবার ফিরে আসে। ইকামত শুরু হলে পুনরায় পালায়। ইকামত শেষ হলে নামাযীর কাছে এসে তার মনে বিভিন্ন কুমন্ত্রণা আনয়ন করে বলে, ‘এটা মনে কর, ওটা মনে কর।’ এইভাবে নামাযীর যা মনে ছিল না তা মনে করিয়ে দেয়। এর ফলে নামাযী শেষে কত রাকআত নামায পড়ল তা জানতে পারে না।”
(বুখারী ৬০৮ নং, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান, মালেক, মুঅত্তা, আহমাদ, মুসনাদ ২/৩১৩)