04.অবমাননাকর জিযিয়া

ইসলাম খুব পরিষ্কারভাবে অমুসলিমদের অপমান অপদস্ত করার মাধ্যমে জিজিয়া আরোপের নির্দেশনা দেয়, যা কোরআন হাদিস সীরাত তাফসীর সর্বত্রই খুব খোলামেলাভাবেই বর্ণনা করা আছে। আসুন এই নিয়ে আলোচনার শুরুতেই একটি ভিডিও দেখি, যেখানে আরবের একজন ইসলামিক আলেম শেখাচ্ছেন, কীভাবে একটি শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্রে অমুসলিমদের প্রতি পদে পদে অপমান অপদস্ত করতে হবে, যেন তারা বাধ্য হয় ইসলাম গ্রহণ করতে,

জিযিয়া শব্দটির অর্থ কী, তা আমাদের সকলের জেনে নেয়া জরুরি । অনেকেই জিযিয়া এবং খেরাজকে মিলিয়ে ফেলে জিযিয়াকে সাধারণ অর্থে কর বা ট্যাক্স হিসেবে দাবী করেন। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। খেরাজ হচ্ছে অমুসলিমদের দেয়া ভূমি কর। কিন্তু জিযিয়া হচ্ছে তাদের বিজয়ী মুসলমানদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া, বেঁচে থাকার বা নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য দেয়া অর্থ। এই অর্থ দিতে হবে নত অবস্থায়, অপমানিত ভাবে। কোরআনে পরিষ্কারভাবেই বিষয়টি বলে দেয়া হয়েছে, [1]

তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না, আর সত্য দ্বীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিয্য়া দেয়।

আসুন শুরুতেই বুখারী শরীফ থেকে এই আয়াতের একটি শব্দের অর্থ জেনে নিই [2]

জিযিয়া

এই বিষয়ে তাফসীরে জালালাইনে যা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে, জিযিয়া শব্দটি “জায়া” শব্দ থেকে নিষ্পন্ন অর্থাৎ তুমি মৃত্যুদণ্ডের উপযুক্ত অপরাধী ব্যক্তি। কিন্তু তোমাকে এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে যে, তোমার উপর এ দণ্ড জারি হচ্ছে না এবং দারুল ইসলামে নিরাপত্তার সাথে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে [3]

জিযিয়া 1

জিযিয়া কাকে বলে, এর অর্থ এবং উদ্দেশ্য আসুন আমরা পড়ে দেখি হানাফি ফিকাহ শাস্ত্রের গ্রন্থ আশরাফুল হিদায়া থেকে [4]

জিযিয়া 3
জিযিয়া 5
জিযিয়া 7
জিযিয়া 9
জিযিয়া 11
জিযিয়া 13
জিযিয়া 15
জিযিয়া 17

আল্লামা কাজী মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ পানিপথী রচিত তাফসীরে মাযহারী কোরআনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ তাফসীর গ্রন্থ। এই গ্রন্থে জিযিয়া সম্পর্কিত সুরা তওবার ২৯ নম্বর আয়াতে কী বলা আছে এবং তার ব্যাখ্যা কী, তা স্পষ্টভাবে বিবৃত রয়েছে। জিযিয়া যে আসলে অপমান, অপদস্থতার নিদর্শন, এবং জিযিয়া কীভাবে গ্রহণ করা হবে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই অধ্যায়টি পড়ে দেখতে হবে [5]

জিযিয়া 19
জিযিয়া 21
জিযিয়া 23
জিযিয়া 25
জিযিয়া 27
জিযিয়া 29
জিযিয়া 31
জিযিয়া 33
জিযিয়া 35
জিযিয়া 37
জিযিয়া 39

একই বিষয় আমরা দেখতে পারি তাফসীরে ইবনে কাসীরেও [6]

জিযিয়া 41
জিযিয়া 43

এবারে আসুন ভারত উপমহাদেশের বিখ্যাত একটি ফতোয়া গ্রন্থ ফাতায়ায়ে আলমগীরী থেকে দেখি যে, অমুসলিম জিম্মি মহিলাদের গলায় লোহার শেকল এবং তাদের হেয়তা ও তুচ্ছতা প্রমাণের জন্য বাড়িতে কিছু আলামত রাখার বিধান ইসলাম রেখেছে কিনা। তথ্যগুলো সরাসরি বই থেকে জেনে নিই, [7]

জিযিয়া 45

তথ্যসূত্র

  1. কোরআন, সূরা তওবা, আয়াত ২৯ []
  2. সহিহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩২৮ []
  3. তাফসীরে জালালাইন, ইসলামিয়া কুতুবখানা প্রকাশনী, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৫৩ []
  4. আশরাফুল হিদায়া, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৭৬-৪৯২ []
  5. তাফসীরে মাযহারী, পঞ্চম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৯১-৩০১ []
  6. তাফসীরে ইবনে কাসীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৬৪-৫৬৫ []
  7. ফাতায়ায়ে আলমগীরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৪২ []


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"