02.আল্লাহর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ

ইসলামে আল্লাহর অস্তিত্ব, গুণাবলী এবং তার আকার বা অবস্থানের বিষয়ে কোরআনে এবং বিভিন্ন হাদিসে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। এমনই একটি বিতর্কিত হাদিস হলো আল্লাহর প্রতি রাতে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করা এবং বান্দাদের প্রতি আহ্বান জানানো সংক্রান্ত বর্ণনা। এই হাদিসটি সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিমসহ বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থে পাওয়া যায় এবং এটি ইসলামের অধিকাংশ স্কলার ও মুহাদ্দিসগণ দ্বারা বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত। তবে, যুক্তির আলোকে এই হাদিসটির ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এতে এমন কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়েছে যা যুক্তির সাথে সাংঘর্ষিক এবং একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সরাসরি পরিপন্থী।

প্রথমত, ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান এবং তিনি আরশে সমাসীন। কিন্তু যদি আল্লাহর আকার ও অবস্থানের কথা বলা হয়, তাহলে সেটি তার সত্তাকে সৃষ্টিকর্তা থেকে সৃষ্টির পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়, যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের পরিপন্থী। আল্লাহ যদি আরশে অবস্থান করেন, তবে কেন এবং কীভাবে তিনি রাতের শেষ প্রহরে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করবেন? এখানে একটি বড় ধরণের যুক্তির সমস্যা দেখা দেয়। পৃথিবী গোলাকার এবং এটি নিজ অক্ষে ঘূর্ণনশীল, ফলে পৃথিবীর একটি স্থানে যখন রাতের শেষ প্রহর, অন্য স্থানে তখন দিন বা সন্ধ্যা। তাহলে, আল্লাহ ঠিক কোন সময়ে পৃথিবীর কোন অঞ্চলে নেমে আসেন এবং আবার কোন সময়ে উপরে চলে যান? যদি তিনি সর্বক্ষণ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে রাতের শেষ প্রহরে নামেন, তবে তাকে সর্বক্ষণই পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে হবে, যা আল্লাহর অবস্থানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

আসলে, এই হাদিসটি যখন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তখন মানুষের কাছে পৃথিবীর গোলাকৃতি ও ঘূর্ণন সম্পর্কিত জ্ঞান সীমিত ছিল। তখনকার বিশ্বাস ছিল যে, পৃথিবী সমতল এবং সূর্য তার চারপাশে ঘুরে। এই প্রসঙ্গ বিবেচনায়, “রাতের শেষ তৃতীয়াংশ” বলতে পৃথিবীর নির্দিষ্ট অঞ্চলের সময় বোঝানো হতো। কিন্তু আজকের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অনুযায়ী, আমরা জানি যে পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সর্বদাই পৃথিবীর কোনো না কোনো স্থানে রাতের শেষ প্রহর থাকে। এই যুক্তি থেকে স্পষ্ট হয় যে, আল্লাহ যদি প্রতিরাতে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন, তবে তাকে অনবরত পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে বেড়াতে হবে। এই ধারণাটি আল্লাহর আরশে আজিম বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, কারণ তাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে হয়। স্থান পরিবর্তন যেই সত্তার প্রয়োজন হয়, সে ঈশ্বর কীভাবে হয়!

তাছাড়া, হাদিসটির ভাষাগত ও অর্থগত দিক থেকেও কিছু সমস্যা রয়েছে। “আসমানে অবতরণ” বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে? আল্লাহ কি আসলেই কোনো শারীরিক রূপে নিকটবর্তী আসমানে নামেন? ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর শারীরিক রূপ এবং আকার রয়েছে। এখানে আরেকটি প্রশ্নও ওঠে—আল্লাহর কি বান্দাদের প্রার্থনা শোনার জন্য এত নিকটবর্তী হতে হবে? ইসলাম ধর্মে আল্লাহ সর্বশ্রোতা (আস-সামি) এবং সর্বজ্ঞানী (আল-আলিম) হিসেবে বর্ণিত। তাহলে কেন তাকে বান্দাদের প্রার্থনা শুনতে নিকটবর্তী হতে হবে? ইসলামি বিশ্বাসমতে, আল্লাহর কাছে সময় ও স্থান কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। এমনকি তিনি বান্দার হৃদয়ের সবচেয়ে গোপন কথাও জানতে সক্ষম। তাহলে কেন তাকে প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে নিকটবর্তী আসমানে নামতে হবে? এমন ধারণা আল্লাহর ঐশ্বরিক ক্ষমতার প্রতি একধরনের ঠাট্টা, যা তাকে মানবীয় সত্তার বৈশিষ্ট্য দিয়ে বিচার করার শামিল। এটি কেবল ঈশ্বরের মহত্ত্ব এবং সর্বশক্তিমান সত্তাকে সীমাবদ্ধ করে তোলে।

এ ধরনের বিশ্বাস শুধুমাত্র যুক্তিহীনই নয়, বরং তা শিক্ষিত সমাজে কুসংস্কারের প্রসার ঘটায়। এমনকি এই ধরনের অযৌক্তিক ধারণা ধর্মের সঠিক জ্ঞান চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং মানুষের মধ্যে ধর্মীয় চিন্তা ও যুক্তিবাদের মধ্যে একটি বিভাজন তৈরি করে। যখন কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস অযৌক্তিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তা বিজ্ঞান, যুক্তি ও বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে কেবল ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধবিশ্বাসকে সমর্থন করে। এই ধরনের গোঁড়ামি ও কুসংস্কার মানুষকে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চা থেকে দূরে রাখে এবং সমাজে একটি অন্ধবিশ্বাসের সংস্কৃতি তৈরি করে, যা শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এ ধরনের ধর্মীয় কুসংস্কারের কারণে সমাজে যুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক উন্নয়নের পথ রুদ্ধ হয়। মুফতি বা ধর্মীয় নেতারা যখন নিজেদের বক্তব্যকে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বলে প্রচার করেন এবং শিক্ষিত জনগোষ্ঠী শুধুমাত্র পারিবারিক ধর্মবিশ্বাসের কারণে তাদের এই অযৌক্তিক দাবিকে মেনে নেয়, তখন সমাজে বিজ্ঞান ও প্রমাণের ভিত্তিতে সত্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া হুমকির সম্মুখীন হয়। এর ফলে, শিক্ষিত সমাজেও অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের প্রসার ঘটে। ধর্মের নাম করে অযৌক্তিক বিশ্বাস ছড়ানো এবং বিজ্ঞানকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা কেবল অজ্ঞতা নয়, এটি একটি সচেতন অপপ্রচার যা সমাজের শিক্ষাগত ও জ্ঞানমূলক পরিবেশকে কলুষিত করে।

তাই, এই ধরনের হাদিস বা ধর্মীয় বিশ্বাসের যথার্থতা এবং প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অত্যন্ত জরুরি। বিজ্ঞান, যুক্তি ও প্রমাণের ভিত্তিতে সত্য যাচাই করে ধর্মের নির্ধারণ করা প্রয়োজন। ধর্মকে বিশ্বাস করতে হলে, অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত এবং প্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। আসুন হাদিসটি বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে পড়ি [1] [2] [3] [4] [5]

সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৯/ তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত
পরিচ্ছেদঃ ৭২৮. রাতের শেষভাগে দু’আ করা ও সালাত আদায় করা। আল্লাহ্পাক ইরশাদ করেছেনঃ রাতের সামান্য পরিমাণ (সময়) তাঁরা নিদ্রারত থাকেন, শেষ রাতে তাঁরা েইসতিগ্ফর করেন। (সূরা আয্-যারিয়াতঃ ১৮)।
১০৭৯। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহ্ তা’আলা প্রতি রাতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেনঃ কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছ এমন যে, আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দিব। কে আছ এমনে, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

আল-লুলু ওয়াল মারজান
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা
পরিচ্ছেদঃ ৬/২৪. শেষ রাতে দুআ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং সে সময় কবূল হওয়া।
৪৩৪. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহ্ তা‘আলা প্রতি রাতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেনঃ কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি ডাকে সাড়া দিব। কে আছে এমন যে, আমার নিকট চাইবে? আমি তাকে তা দিব। কে আছে এমন আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ১৯ ; তাহাজ্জুদ, অধ্যায় ১৪, হাঃ ১১৪৫; মুসলিম, পর্ব ৬; মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা কসর করার বর্ণনা, অধ্যায় ২৩, হাঃ ৭৫৮
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায)
পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক রাতেই আল্লাহ্ তা’আলা দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন।
৪৪৬. কুতায়বা (রহঃ) …. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ রাতের প্রথম এক-তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হলে প্রত্যেক রাতেই আল্লাহ তা’আলা দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেনঃ আমিই রাজধিরাক, যে আমাকে ডাকে আমি তার ডাককে কবূল করি, যে আমার কাছে যাঞ্ছা করে আমি তাকে দেই, যে আমার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করে আমি তাকে ক্ষমা করে দেই। ফজরের আলো উদ্ভাসিত না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে। – ইবনু মাজাহ ১৩৬৬, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৪৬ (আল মাদানী প্রকাশনী)
এই বিষয়ে আলী ইবনু আবূ তালিব, আবূ সাঈদ, রিফাআ আল-জুহানী, জুবায়র ইবনু মুতঈম, ইবনু মাসঊদ, আবূদ্ দারদা এবং উসমান ইবনু আবিল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বহু সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ রাতের শেষ তৃতীয়াংশ যখন অবশিষ্ট থাকে, তখন আল্লাহ তা’আলা নেমে আসেন এই রিওয়ায়াতটই সবচেয়ে সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪ঃ সালাত
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. প্রথম অনুচ্ছেদ – ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান
১২২৩-(৫) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ প্রতি রাত্রে শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের মর্যাদাবান বারাকাতপূর্ণ রব দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার নিকট কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার নিকট মাফ চাইবে আমি তাকে মাফ করে দেব।’ (বুখারী, মুসলিম)(1)
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, তারপর তিনি হাত বাড়িয়ে দেন এবং বলেন, কে আছে যে এমন লোককে করয দেবে যিনি ফকীর নন, না অত্যাচারী এবং সকাল পর্যন্ত এ কথা বলতে থাকেন।
(1) সহীহ : বুখারী ১১৪৫, মুসলিম ৭৫৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

আল-আদাবুল মুফরাদ
মেহমানদারি
পরিচ্ছেদঃ ৩২০- রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দোয়া করা।
৭৫৮। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাদের বরকতময় মহামহিম প্রভু রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে প্রতি রাতে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেনঃ কে আছে যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দিবো? (কে আছে এমন, যে আমার কাছে দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করবো)? কে আছে এমন, যে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে এবং আমি তা দান করবো? কে আছে এমন, যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করবো। -(বুখারী, মুসলিম, দারিমী)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

আসুন এই হাদিসটি সম্পর্কে শুরুতেই বিশিষ্ট আলেম মঞ্জুরে ইলাহীর বক্তব্য শুনে নিই,

তথ্যসূত্র

  1. সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ১০৭৯ []
  2. আল-লুলু ওয়াল মারজান, হাদিস নম্বরঃ ৪৩৪ []
  3. সূনান তিরমিজী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ৪৪৬ []
  4. মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত), হাদিস নম্বরঃ ১২২৩ []
  5. আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নম্বরঃ ৭৫৮ []


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"