07.আরিফ আজাদের মিথ্যাচারঃ হিটলার কি নাস্তিক ছিলেন?

আরিফ আজাদ নামক বাংলাদেশে একজন জনপ্রিয় ইসলামিক কিতাব লেখক তার প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ কিতাবে নাস্তিকদের সমালোচনা করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্বের সবচাইতে বড় গণহত্যাকারীদের একজন হিটলার সম্পর্কে লিখেছে, [1]

“…ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও হিটলার হয়ে ওঠে একজন বিধ্বংসী নাস্তিক”।

এই তথ্যের কোন সূত্র আজাদ দেন নি। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই তথ্যটি ইসলামিক তাকিয়াবাজীরই অংশ। হিটলার ইহুদি পরিবারে জন্মেছেন, এরকম উদ্ভট তথ্য কোন প্রমাণ ছাড়াই উনারা বইতে লিখে ফেলেন। কোন রেফারেন্স উল্লেখের দরকার হয় না। কারণ এরকম সস্তা লেখকদের আর সস্তা পাঠকরা তথ্যের সত্যতার ধার ধারে না। যাচাই করে কেউ দেখে না। শুধু দেখে যে, লেখাগুলো পক্ষে যাচ্ছে না বিপক্ষে। এটি আরিফ আজাদরা ভালভাবেই জানে, বোঝে। সেইসাথে আরিফ আজাদ এটি লিখেছে, হিটলারের দৃষ্টিতে ইহুদিরা ছিল নিচু জাত, যা কোরআনেই বহুবার খুব পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। আসুন কর আনের একটি আয়াত এবং তার তাফসীর পড়ি ইবনে কাসীর থেকে [2]

তাফসীরঃ উল্লেখিত আয়াতসমূহে আল্লাহ পাক কাফিরদের প্রতি তাঁহার ঘৃণা এবং তাহাদের অপকর্মের বর্ণনা দিয়া বলিতেছেন যে, ভূপৃষ্ঠে জীবকুলের মধ্যে বেঈমান কাফিরগণই হইল আল্লাহর নিকট অতি নিকৃষ্ট জীব। উহাদের মধ্যকার যাহাদের সাথে তুমি যখনই কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হও, তখনই উহারা সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে। যখন উহাদিগকে বিশ্বাস করিয়া আস্থা স্থাপন কর, তখন বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া তোমার আস্থা নষ্ট করিয়া ফেলে। উহারা আল্লাহকে আদৌ কোনরূপ ভয়ই করে না। নির্ভয় দাম্ভিকতার সহিত পাপাচারে লিপ্ত হয়। আলোচ্য আয়াতাংশের মর্ম হইলঃ তুমি যদি উহাদের যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া বিজয় লাভ করিতে পার, তবে কঠোরভাবে বন্দী করিয়া জ্বালা-যন্ত্রণা দিবে। এই ব্যাখ্যা প্রদান করেন ইবন আব্বাস (রা)।
হাসান বসরী, যাহহাক, সুদ্দী, আতা খুরাসানী ও ইবন উআয়না (র) ইহার ব্যাখ্যায় বলেনঃ যুদ্ধে উহাদিগকে পরাস্ত করিতে পারিলে অতি কঠোরভাবে শাস্তি দিবে এবং নির্দয়ভাবে উহাদিগকে হত্যা করিবে যেন ইহাদের ছাড়া আরবের অন্যান্য শত্রুগণ এই শাস্তির কথা শুনিয়া ভীত হয় এবং নসীহত ও শিক্ষা গ্রহণ করে। তাহাদের মধ্যে লজ্জা ও অনুশোচনার সৃষ্টি হয়।

অমুসলিমরা নিকৃষ্ট জীব তাফসীরে ইবনে কাসীর

আসুন আরেকটি আয়াত পড়ি তাফসীরে জালালাইন থেকে [3]

তাফসীরে জালালাইন আরবি-বাংলা, সপ্তম খণ্ড । ৩০তম পারা। পৃষ্ঠা ৫৩৮
————————————————————————-
অনুবাদ :
৬. নিশ্চয়ই যারা কুফরি করেছে আহলে কিতাবদের মধ্য হতে এবং মুশরিকগণ, জাহান্নামী হবে তথায় তারা চিরকাল থাকবে * শব্দটি * এখানে হয়েছে। অর্থাৎ তারা চিরকালের জন্য জাহান্নামী হওয়া আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরাই নিকৃষ্টতম সৃষ্টি ।
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
——————————–
আহলে কিতাবগণের মধ্য হতে যারা কুফরি করেছে এবং যারা মুশরিক তারা চিরকালের জন্য জাহান্নামী হবে। তারা নিকৃষ্টতম জীব ।এখানে কুফর অর্থ হযরত মুহাম্মদ-কে আল্লাহর শেষ নবী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করা। আল্লাহর সৃষ্টিতে তাদের অপেক্ষা নিকৃষ্ট আর কোনো সৃষ্টি নেই। এমনকি জন্তু-জানোয়ার অপেক্ষাও তারা নিকৃষ্ট। কেননা বিবেক-বুদ্ধির অধিকারী হয়ে ও
সত্য দ্বীনকে অমান্য করেছে।

অমুসলিমরা নিকৃষ্ট জীব তাফসীরে জালালাইন

ব্যক্তিগতভাবে হিটলার ক্যাথলিক চার্চের অনেক বিরোধিতা করলেও, নাস্তিক হিসেবে কখনো নিজেকে দাবী করেছেন বলে জানা যায় না। এর বিপরীতটা প্রমাণ করার মত যথেষ্ট তথ্য আছে, হিটলার একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান ছিল। মাইন ক্যাম্ফে হিটলার লিখেছে,  

“তাই, আজ আমি মনে করি আমি মহান স্রষ্টার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করছি; ইহুদীদের থেকে নিজেকে বাঁচানোর মধ্যে দিয়ে, আমি স্রষ্টার দেখানো কাজই করছি”। (৬৫)
Hence today I believe that I am acting in accordance with the will of the Almighty Creator: by defending myself against the Jew, I am fighting for the work of the Lord. (p. 65)

আসুন সরাসরি বই থেকে বক্তব্যটি দেখে নেয়া যাক. প্রথমে জার্মান ভাষায় লিখিত হিটলারের বই থেকে সরাসরি পড়ে নিই, [4]

3

এবারে আসুন ইংরেজিতে অনুদিত বই থেকে দেখে নেয়া যাক [5]

5

তার আরও কিছু বক্তব্য জেনে নেয়া যাক,

“তার (ইহুদীর) জীবন এই জগতের, তার আত্মার সাথে খ্রিষ্ট ধর্মের দুরত্ব ২০০০ বছর পূর্বে আসা যিশু খ্রিষ্টের প্রতি তখনকার ইহুদীদের দুরত্বের সমানই। অবশ্য, যিশু ইহুদীদের ব্যাপারে তার মনোভাব গুপ্ত করেন নি, এবং প্রয়োজনে তিনি ওদের চাবকে প্রভুর জমিন থেকে বিতাড়িত করেছেন এই মানবতার শত্রুদের যারা ধর্মকে ব্যবসা ছাড়া অন্য কিছু বিবেচনা করেনি। এর বিনিময়ে খ্রিষ্টকে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করেছিল তারা, আর এখন আমাদের বর্তমানের খ্রিষ্টান রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের নিচে নামিয়ে ইহুদীদের কাছ থেকে ভোট ভিক্ষা করেন আর পরে এই নাস্তিক্যবাদি ইহুদীদের সাথে নিজেদের রাজনীতি মিশিয়ে নেন- আর নিজের দেশের সাথে বেঈমানি করেন”। (পৃষ্ঠা ৩০৭)
His (the Jewish person’s) life is only of this world, and his spirit is inwardly as alien to true Christianity as his nature two thousand years previous was to the great founder of the new doctrine. Of course, the latter made no secret of his attitude toward the Jewish people, and when necessary he even took to the whip to drive from the temple of the Lord this adversary of all humanity, who then as always saw in religion nothing but an instrument for his business existence. In retum, Christ was nailed to the cross, while our present-day party Christians debase themselves to begging for Jewish votes at elections and later try to arrange political swindles with atheistic Jewish parties — and this against their own nation. (p. 307)

যে-ই প্রভুর মহত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে সে মহান স্রষ্টার বিরুদ্ধে পাপ করে, আর স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হওয়ার কারণকে প্রভাবিত করে”। (পৃষ্ঠা ৩৮৩)
Anyone who dares to lay hands on the highest image of the Lord commits sacrilege against the benevolent creator of this miracle and contributes to the expulsion from paradise. (p. 383)

“সাধারন মননের লোকেদের, বিশেষত, একটা পবিত্র দায়িত্ব আছে…তাদের নিজের অবস্থান থেকে স্রষ্টার ব্যাপারে কটুক্তি করানো বন্ধ করানোর ব্যবস্থা নেয়ার, আর স্রষ্টার ইচ্ছাকে পূরণ করার, আর স্রষ্টার কথার বিকৃতি বন্ধে কাজ করার। কারণ স্রষ্টার ইচ্ছা মানুষকে তার জীবন দেয়, তার ক্ষমতা আর অস্তিত্ব দেয়। যদি কেউ স্রষ্টার কাজে বাধা দেয়, সে স্রষ্টার সৃষ্টির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে আর স্রষ্টার ঐশ্বরিক ইচ্ছাকে অমান্য করেছে”। (পৃষ্ঠা ৫৬২)
The folkish-minded man, in particular, has the sacred duty, each in his own denomination, of making people stop just talking superficially of God’s will, and actually fulfill God’s will, and not let God’s word be desecrated. For God’s will gave men their form, their essence and their abilities. Anyone who destroys His work is declaring war on the Lord’s creation, the divine will. (p. 562)

জার্মানির চ্যান্সেলার হয়ে হিটলার তার ভাষণে (১৯৩৩) বলে-    

প্রভু যেন আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য তার আশীর্বাদ দেন, তার ঐশ্বরিক জ্ঞান দিয়ে আমাদের বোধকে বাড়িয়ে দেন, আর জনগণের মধ্যে আমাদের জন্য আস্থা সৃষ্টি করেন, কারণ আমরা নিজেদের জন্য লড়ছি না, আমরা লড়ছি জার্মানির জন্যে”।
May God Almighty give our work His blessing, strengthen our purpose, and endow us with wisdom and the trust of our people, for we are fighting not for ourselves but for Germany.) (পৃষ্ঠা ১০)

আরো অন্যান্য ভাষণে-

“…আমাদের এই আন্দোলনের মূলনীতি, একটা বাক্য দিয়ে প্রকাশ করা যায়- “প্রভু তাদের সাহায্য করেন যারা নিজেদের সাহায্য করে”…বাক্যটা শুধু একটা ধর্মভীরু বাক্যই না, এটা একটা ন্যায়সঙ্গত বাক্য। কারণ আমরা ধরে নিতে পারি না প্রভু ভীতু আর অলসদের সাহায্য করার জন্য আছেন আর যারা ভাবে প্রভু দূর্বলের দূর্বলতাকে প্রশমিত করার জন্য আছেন। প্রভু এদের পক্ষে নাই। তিনি সবসময়, সকল সময়, তাদের আশীর্বাদ করেছেন যারা নিজেদের লড়াই নিজেরা করতে পারে”।    

(The conception of the new Movement, whose fundamentals can be expressed in a single sentence: “The Lord helps those who help themselves,” opposed this. That is not only a very pious phrase, but a very just one. For one cannot assume that God exists to help people who are too cowardly and too lazy to help themselves and think that God exists only to make up for the weakness of mankind. He does not exist for that purpose. He has always, at all times, blessed only those who were prepared to fight their own battles). (১১)    

“কিন্তু যারা “প্রভু” শব্দটাকে এমন নিধার্মিক কারণে ব্যবহার করে তারা ঐশ্বরিক আইনের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি করে, আর আমাদের বিশ্বাস অনুযায়ী তার ধ্বংস ছাড়া আর কোন গন্তব্য নাই”।    

(But he who dares to use the word “God” for such devilish activity blasphemes against Providence and, according to our belief, he cannot end except in destruction.) (১২)    

প্রভু কখনো অলসদের সাহায্য করেন নি। না সাহায্য করেছেন ভীতুদের। তিনি তাদের সাথে নাই যারা নিজের কাজ নিজে করতে পারে না। এখানে মূলনীতি হচ্ছে- নিজেদের সাহায্য কর, প্রভুও তোমাদের সাহায্য করতে অস্বীকার করবেন না”।    

(The Lord God has never helped the lazy person. Nor does He help the coward. He will never help him who is not ready to help himself. Here the principle applies: Volk, help yourself, then the Lord God will not refuse you His assistance either.) (১৩)    

আর ব্যক্তিগত আলাপে-    

আমি এখনও, আগের মত, ক্যাথলিক আছি আর সারাজীবনই থাকবো।    
(I am now as before a Catholic and will always remain so.) (১৪)    

আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, আর আমি নিশ্চিত যে তিনি নিজের পৃথিবীতে নিজের অধিকার আদায়ে কাজ করা ৬৭ মিলিয়ন জার্মানকে নিরুৎসাহিত করবেন না।    
(I believe in God, and I am convinced that He will not desert 67 million Germans who have worked so hard to regain their rightful position in the world.) (১৫)  

এবারে বলুন তো, নাৎসি মতাদর্শ এবং হিটলার নাস্তিক হয়ে থাকলে, জার্মানিতে নাৎসি বাহিনী ক্ষময়াত থাকাকালীন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মান বাহিনীর সরকারী বেল্টে কীভাবে ঈশ্বরের নাম খোদাই করা থাকে?

নাৎসী বাহিনীর ব্যবহৃত বেল্ট
নাৎসী বাহিনীর ব্যবহৃত বেল্ট
Gott mit uns যার বাঙলা হচ্ছে, ঈশ্বর আমাদের সাথে আছেন

আচ্ছা বলতে পারেন, হিটলারের সাথে জেরুজালেমের গ্র্যান্ড মুফতি (১৯২১-১৯৪৮) আমিন আল হুসেইনির কি কাজ ছিল? হুসেইনি, যিনি নিজেকে নবী মুহাম্মদের বংশধর দাবি করেন, তিনি কেন হিটলারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন, কেউ বলতে পারেন? কেন তিনি হিটলারের সাথে মিলে ইহুদীদের ইউরোপে এবং ইউরোপের বাইরে লড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন? ষাট লক্ষ ইহুদী মারায় কি মুফতিও জড়িত ছিলেন?

হিটলারের সাথে আলেম
Der Grossmufti von Palästina vom Führer empfangen.
Der Führer empfing in Gegenwart des Reichsministers des Auswärtigen von Ribbentrop den Grossmufti von Palästina, Sayid Amin al Husseini, zu einer herzlichen und für die Zukunft der arabischen Länder bedeutungsvollen Unterredung.
9.12.41 Presse Hoffmann

এবারে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় উল্লেখ করছি। হিটলার কী নাস্তিক ছিলেন, নাকি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদের খুব বড় মাপের ভক্ত ছিলেন? হযরত মুহাম্মদ এবং ইসলাম সম্পর্কে প্রশংসা করে মানব ইতিহাসের সবচাইতে বড় গণহত্যাকারী এবং ভয়ঙ্কর শাসক হিটলার কী বলেছিলেন?

-দেখো, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের ভুল ধর্মটি রয়েছে। আমাদের কেন জাপানিদের ধর্মটি নেই? যেই ধর্মে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের নিয়ম আছে? খ্রিষ্ট ধর্মের চাইতে মুহাম্মদের ধর্মটাও আমাদের জন্য যথার্থ ছিল। কেন আমাদের এত বিনয়ী এবং দুর্বলতার সাথে খ্রিস্টান হতে হবে?
– এডলফ হিটলার
“You see, it’s been our misfortune to have the wrong religion. Why didn’t we have the religion of the Japanese, who regard sacrifice for the Fatherland as the highest good? The Mohammedan religion too would have been more compatible to us than Christianity. Why did it have to be Christianity with its meekness and flabbiness?”
– Adolf Hitler (২৬)

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের ভুল ধর্মটি রয়েছে। আমাদের কেন জাপানিদের ধর্মটি নেই? যেই ধর্মে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের নিয়ম আছে? খ্রিষ্ট ধর্মের চাইতে মুহাম্মদের ধর্মটাও আমাদের জন্য যথার্থ ছিল। কেন আমাদের এত বিনয়ী এবং দুর্বলতার সাথে খ্রিস্টান হতে হবে?
– এডলফ হিটলার

তথ্যসূত্র

  1. প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২, আরিফ আজাদ, পৃষ্ঠা ১৩০ []
  2. তাফসীরে ইবনে কাসীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৪৮১ []
  3. তাফসীরে জালালাইন, সপ্তম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৩৮ []
  4. Mein Kampf, Adolf Hitler, Zentralverlag der NSDAP., Frz. Eher Nachf., G.m.b.H., München, Page: 70 []
  5. Mein Kampf, Adolf Hitler, Translated into English by James Murphy, Page: 59 []


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"