16.ইহুদি বুড়ি কাঁটা বিছিয়ে রাখতো!

আমাদের সমাজে মুহাম্মদ সম্পর্কে অনেকগুলো মিথ্যা এবং বানোয়াট গল্প প্রচলিত আছে, যার মধ্যে ইহুদি বুড়ির কাঁটা বিছিয়ে রাখার গল্পটি অন্যতম। এমনকি এই গল্পটি আমাদের অনেক পাঠ্যপুস্তকেও আছে বা ছিল। গল্পটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ আর একজন ইহুদি বুড়িকে নিয়ে। এক ইহুদি বুড়ি রোজ মহানবীর নামাজে যাবার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখতো, মহানবী নামাজে সিজদা করার সময় পিঠে উটের নাড়িভুঁড়ি চাপিয়ে দিতো, নানান অত্যাচার করতো, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করতো। কিন্তু মানবদরদী মহাবিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব আমাদের নবীজি সেই ইহুদি বুড়িকে কিছুই বলতেন না। মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতেন, যেন সেই ইহুদি বুড়িকে আল্লাহ সঠিক পথ দেখান।

একদিন মহানবী দেখলেন, তার রাস্তায় কাঁটা নেই। কেউ তাকে গালি দিচ্ছে না, কেউ তার পিঠে উট কিংবা ভেড়ার নাড়িভুড়ি চাপিয়ে দিচ্ছে না। তিনি তো হতবাক! নামাজ বাদ দিয়েই দৌঁড়ে গেলেন বুড়ির বাসায়। গিয়ে দেখেন বুড়ি অসুস্থ। এরপরে মানবতাবাদী মহানবী বুড়ির সেবা শুশ্রূষা করলেন, প্রেম আর ভালবাসা দিয়ে তাকে সুস্থ করে তুললেন। মহানবীর এই মানবপ্রেম দেখে ইহুদি বুড়ি তার ভুল বুঝতে পারলো এবং লজ্জিত হলো। তিনি পরে ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং দ্বীনের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন।

গল্পটি অসাধারণ। ছোটবেলা যখন গল্পটা শুনতাম, তখন আবেগে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যেতো। আহা, আমাদের মহানবী কত ভালমানুষই না ছিলেন। ধর্ম বর্ণ সবাইকে সমান ভালবাসতেন। এরকম মানুষই তো পৃথিবীর জন্য দরকার। একটু বড় হবার পরে এই গল্পটা আরো বিস্তারিতভাবে জানার জন্য কোরআন পড়তে শুরু করলাম। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা ছিল কোরআন হাদিস এই ধরণের ঐতিহাসিক সত্য ইতিহাসে পরিপূর্ণ থাকবে। কিন্তু কোরআন হাদিসগুলো সব তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। কোথাও এরকম কিছু খুঁজে পেলাম না। আমি খুব খুশি হতাম যদি আসলেই ঘটনাগুলো এরকম হতো। মহানবী হযরত মুহাম্মদকে আমি ছোটবেলা যেরকম জানতাম, সেভাবে পেলেই নিজের কাছে খুব ভাল লাগতো। বরঞ্চ কোরআন হাদিস সীরাত গ্রন্থে যেসকল ঘটনা বর্ণিত আছে, সেগুলো শুনলে পিলে চমকে যায়। নবীর সমালোচনা করলে নবী লোক পাঠিয়ে তাদের খুন করাতেন, এরকম ঘটনা অনেকগুলো। সীরাত গ্রন্থগুলো থেকে জানা যায়, শত্রুদের মাথা কেটে এনে নবীকে উপহার দেয়া হতো, কাটা মাথা দেখে নবী খুশি হয়ে যেতেন। সেগুলো সব একসাথে পড়তে পারেন এখান থেকে। এবারে আসুন এই ওয়াজটি শুনি,