মুগীরা ইবনে শুবা ছিলেন মুহাম্মদের একজন বিশিষ্ট সাহাবী। ফাতিমার বাড়িতে আক্রমণের ক্ষেত্রে তার একটি বড় ভুমিকা ছিল বলে বিভিন্ন বর্ণনাতে পাওয়া যায়। উমর ইবনে খাত্তাবের আদেশে মুগীরা বাহরাইন, বসরা এবং কুফার গভর্নর নিযুক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে আমীরে মুয়াবীয়ার শাসনকালে তিনি কুফার গভর্নর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। উমর ইবনে খাত্তাবের হত্যাকারী আবু ল’লু’ ছিলেন মুগীরার একজন দাস। তার সম্পর্কে খুবই জরুরি একটি তথ্য আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থ থেকে জানা যায়। মুগীরা ইবনে শুবা সম্পর্কে একটি অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছিল। বিচার প্রক্রিয়ায় ইসলামী শরীয়তের বিধান অনুসারে চারজন পুরুষ সাক্ষী প্রয়োজন হয়, যাদের প্রত্যেক সাক্ষীকে সুরমাদানিতে সুরমাকাঠি ঢুকানোর মত অবস্থায় প্রত্যক্ষ করতে হবে। কিন্তু সাক্ষীদের তিনজন সাক্ষী দিলো তারা ঐভাবেই দেখেছে, কিন্তু একজন বললেন ঠিক এত কাছ থেকে তিনি দেখেননি। এই কারণে মুগীরা ইবনে শুবাকে কোন শাস্তি দেয়া হয়নি। খলিফা কিন্তু ঠিকই জানতেন, মুগীরা ইবনে শুবা আসলেই সেই অবৈধ যৌন সঙ্গম করেছিল। কারণ ঘটনার শেষে খলিফা উমরের বক্তব্য দেখলেই বোঝা যায় খলিফা সব ঠিকই বুঝেছিলেন [1]



তথ্যসূত্র
- আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৭ম খণ্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পৃষ্ঠা ১৫২- ১৫৫ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"