সেই সময়ে নবীর সাহাবীদের মধ্যে অনেক নারীই পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত ছিল বলেই জানা যায়। মুহাম্মদ এবং তার সাহাবীগণ এক একজন অনেকগুলো বিবাহ করতো। শুধু তাই নয়, তারা নিয়মিত জিহাদে যেতো, সেখানে তারা গনিমতের মাল হিসেবে কাফেরদের হত্যা করে তাদের নারীদের ধরে তাদের ধর্ষণ করতো [1]। এরপরে মুতা বিবাহও করতো [2] । কিন্তু সেই সময়ে তাদের স্ত্রীগণ নিঃসঙ্গ অবস্থাতেই থাকতো। তাদেরও নিশ্চয়ই যৌন চাহিদা ছিল। সহিহ হাদিস থেকেই জানা যায়, তাদের পরকীয়া প্রেমের কথা। অনেক সাহাবীর স্ত্রীই সাহাবীরা জিহাদে গেলে অন্য পুরুষ ঘরে নিয়ে আসতো। এর অর্থ হচ্ছে, এটি সেই সময়ে খুব অস্বাভাবিক বিষয় ছিল না।[3]
সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪০/ অনুমতি প্রার্থনা
পরিচ্ছেদঃ ১৯. সফর থেকে ফিরে রাতের বেলায় স্ত্রীর নিকট যাওয়া অপছন্দনীয়
২৭১২। জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর থেকে ফিরে রাতের বেলায় স্ত্রীর নিকট যেতে তাদেরকে নিষেধ করেছেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আনাস, ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এ হাদীসটি জাবির (রাযিঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলায় সফর থেকে ফিরে এসে তাদেরকে স্ত্রীদের নিকট যেতে নিষেধ করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এ নিষেধাজ্ঞার পরও দু’জন লোক রাতে তাদের স্ত্রীদের ঘরে ঢুকে তাদের প্রত্যেকের সাথে একজন করে পরপুরুষ দেখতে পেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)
তথ্যসূত্র
- ইসলামে অমানবিক দাসপ্রথা [↑]
- ইসলামে মুতা বিবাহ বা হালাল যৌনচুক্তি প্রসঙ্গে [↑]
- সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত), হাদিসঃ ২৭১২ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"