05.প্রেমের শাস্তি পাথর ছুড়ে হত্যা

ইসলামে শরীয়তের উৎস দুইটি, একটি কোরআন আরেকটি হচ্ছে হাদিস। এরপরে ইজমা এবং কিয়াসের দিকে যাওয়ার বিধান। ইসলামের শরীয়তের অন্যতম উৎস হাদিসে রজমের অসংখ্য উদাহরণ পাওয়া যায়, যেখানে নবী নিজেই রজমের শাস্তি প্রদান করতেন।

আল লু’লুওয়াল মারজান
অধায় : হুদুদ
হাদীস নং : ১১০৫
শায়বানী (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু আবূ আওফা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রজম করেছেন কি? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, সূরায়ে নূর-এর আগে না পরে? তিনি বললেন, আমি অবগত নই। (বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ২১ হাদীস নং ৬৮১৩; মুসলিম ২৯/৬, হাঃ ১৭০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
(বুখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ২১ হাদীস নং ৬৮১৩; মুসলিম ২৯/৬, হাঃ ১৭০২)

উবাদাহ ইবনু ছামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘তোমরা আমার নিকট হতে আল্লাহর বিধান গ্রহণ কর, কথাটি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’বার বললেন। আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন, অবিবাহিত নারী-পুরুষকে একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন করতে হবে। আর বিবাহিত নারী-পুরুষকে রজম করতে হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫৫৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত ৭ম খণ্ড, হা/৩৪০২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
(মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫৫৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত ৭ম খণ্ড, হা/৩৪০২)

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ২৯। কাসামাহ্ (খুন অস্বীকার করলে হলফ নেয়া), মুহারিবীন (লড়াই), কিসাস (খুনের বদলা) এবং দিয়াত (খুনের শাস্তি স্বরূপ জরিমানা)
হাদিস নম্বরঃ ৪২৬৭
৬. মুসলিম ব্যক্তির হত্যা কি অবস্থায় বৈধ
৪২৬৭-(২৫/১৬৭৬) আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ….. ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন মুসলিমকে হত্যা করা বৈধ নয়, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল। কিন্তু তিনটি কাজের যে কোন একটি করলে (তা বৈধ)।
১. বিবাহিত ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হলে; ২. জীবনের বিনিময়ে জীবন, অর্থাৎ কাউকে হত্যা করলে; ৩. এবং স্বীয় ধর্ম পরিত্যাগকারী, যে (মুসলিমদের) দল থেকে বিচ্ছিন্ন (মুরতাদ) হয়ে যায়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪২২৮, ইসলামিক সেন্টার ৪২২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
সহিহ মুসলিম ৪২৬৭

নিচের হাদিসটি অন্যতম প্রাচীন হাদিস গ্রন্থ মুয়াত্তা মালিক এর। হাদিসটি মন দিয়ে পড়ুন। ইসলামের নবী রজমের শাস্তি কীভাবে প্রয়োগ করতেন, তার ভয়াবহ উদাহরণ এই হাদিসটি। শেষের লাইনে দেখা যাচ্ছে, প্রেমিক লোকটি নিজে পাথরের আঘাতে জর্জরিত হয়েও তার প্রেমিকাকে রক্ষা করার খানিকটা চেষ্টা চালিয়েছিল। একে ভালবাসা বলে, প্রেম বলে। নিজের জীবন তুচ্ছ করেও ভালবাসার মানুষকে রক্ষা করার এই কামনা নবী বোঝে নি, আল্লাহও বোঝে নি। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রজমের শাস্তি দেয়া। দুইজন ভালবাসার মানুষের ভালবাসা নয়। আপনি কী বলতে পারেন, জীবনের শেষ মূহুর্তে, যখন কোন মানুষকে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, সেই সময়েও ভালবাসার মানুষকে রক্ষা করার এই আপ্রাণ চেষ্টাকে কী বলে?

গ্রন্থের নামঃ মুয়াত্তা মালিক
অধ্যায়ঃ ৪১. হুদুদের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ১. আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) বলেন, ইহুদীদের একদল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট আসিয়া বলিল, তাহাদের একজন পুরুষ ও একজন স্ত্রীলোক ব্যভিচারে লিপ্ত হইয়াছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা করিলেন : রজম বা প্রস্তরাঘাতের ব্যাপারে তাওরাতে কি আদেশ রহিয়াছে? তাহারা বলিলঃ আমরা ব্যভিচারকারীকে লজ্জিত করি এবং বেত্ৰাঘাত করিয়া থাকি। আবদুল্লাহ ইবন সালাম বলিলেন, তোমরা মিথ্যা বলিতেছ। তাওরাতে প্রস্তরাঘাতের শাস্তি রহিয়াছে। তাওরাত আনয়ন কর, উহা পড়িয়া দেখ। অতঃপর তাহারা তাওরাত খুলিল এক ব্যক্তি বেত্রাঘাতের উপর হাত রাখিয়া পূর্বাপর অবশিষ্ট আয়াত পড়িয়া শুনাইল। আবদুল্লাহ ইবন সালাম তাহাকে বলিলঃ তোমার হাত উঠাও তো। সে তাহার হাত উঠাইলে দেখা গেল উহাতে প্রস্তরাঘাতের আয়াত রহিয়াছে। অতঃপর সকল ইহুদীই স্বীকার করিল যে, আবদুল্লাহ ইবন সালাম ঠিকই বলিয়াছে তাওরাতে প্রস্তাঘাতের আয়াত বিদ্যমান রহিয়াছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয়কে প্রস্তরাঘাতের আদেশ করিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে উভয়কে প্রস্তরাঘাত করা হইল। আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) বলেনঃ আমি দেখিলাম, পুরুষটি ঐ নারীকে আঘাত হইতে রক্ষা করিতে তাহার উপর ঝুঁকিয়া পড়িতেছিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উহার উপর ঝুঁকিয়া পড়িতেছিল অর্থ পুরুষ নিজে প্রস্তরাঘাত সহ্য করিয়াও ঐ নারীকে প্রস্তরাঘাত হইতে রক্ষা করিতে যাইয়া তাহার উপর উপুড় হইয়া পড়িয়ছিল।
হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ)

একইরকম আরেকটি হাদিস পাওয়া যায়,

সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ৫২/ তাফসীর
পরিচ্ছেদঃ ২৩১৩. বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে তাওরাত আন এবং পাঠ কর (সূরাহ আলে-‘ইমরান ৩ঃ ৯৩)
৪২০০। ইবরাহীম ইবনু মুনযির … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে এমন দু’জন পুরুষ ও মহিলা নিয়ে ইহুদীগণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে উপস্থিত হল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, তোমাদের ব্যভিচারীদেরকে তোমরা কিভাবে শাস্তি দাও? তারা বলল, আমরা তাদের চেহারা কালিমালিপ্ত করি এবং তাদের প্রহার করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তাওরাতে প্রস্তর নিক্ষেপের বিধান পাও না? তারা বলল, আমরা তাতে এতদ সম্পর্কিত কোন কিছু পাই না। তখন আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, তোমরা মিথ্যা বলছ। তাওরাত আন এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে তা পাঠ কর।
এরপর তাওরাত পাঠের সময় তাদের পন্ডিত-পাঠক প্রস্তর নিক্ষেপ বিধির আয়াতের উপর স্বীয় হস্ত রেখে তা থেকে কেবল পূর্ব ও পরের অংশ পড়তে লাগল। রজমের আয়াত পড়ছিল না। আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) তার হাতটি তুলে ফেলে বললেন, এটা কি? যখন তারা পরিস্থিতি বেগতিক দেখল তখন বলল, এটি রজমের আয়াত। অনন্তর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে রজম করার নির্দেশ দিলেন। এবং মসজিদের পার্শ্বে জানাযাগাহের নিকটে উভয়কে ‘রজম’ করা হল। ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, আমি সেই পুরুষটিকে দেখেছি যে নিজে মহিলার উপর উপুড় হয়ে তাকে প্রস্তরাঘাত হতে বাচানোর চেষ্টা করছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ)

নিচের হাদিসটি থেকে জানা যায়, নবি মুহাম্মদ, তারপরে আবু বকর, এবং উমরও রজমের শাস্তি দিতেন। হযরত উমর এমন আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছিলেন যে, মুসলিমরা হয়তো ভবিষ্যতে রজমের শাস্তি ভুলে গিয়ে তা অস্বীকার করে বসবে।

সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ১৭/ দন্ডবিধি
পরিচ্ছেদঃ ‘রজম’-এর প্রমাণ।
১৪৩৭। আহমাদ ইবনু মানী (রহঃ) … উমার ইবনু খাত্তব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘রজম’-এর বিধান দিয়েছেন, আবূ বাকরও ‘রজম’-এর বিধান দিয়েছেন আর আমিও ‘রজম’-এর বিধান দিয়েছি। আল্লাহর কিতাবে অতিরিক্তকরণ যদি আমি হারাম মনে না করতাম তবে অবশ্যই আমি এই বিধানটি আল্লাহর কিতাবে লিখে দিতাম। কারণ আমি আশংকা করি (ভবিষ্যতে) একদল লোক হয়ত এমন আসবে তারা যখন ‘‘রজম’’-এর বিধান আল্লাহর কিতাবে পাবে না তখন তা অস্বীকার করে বসবে।
সহীহ, তা’লীক আলা ইবনু মাজাহ, ইরওয়া ৮/৫০৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩১ (আল মাদানী প্রকাশনী)
এই বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক সূত্রে এটি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সূত্রে বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)

হাদিসটি পড়ুন। প্রেমিক পুরুষটি তার প্রেমিকাকে শরীর দিয়ে রক্ষা করার একটি শেষ চেষ্টা করেছিল।

সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ৭৫/ কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ
পরিচ্ছেদঃ ২৮৪৩. সমতল স্থানে রজম করা
৬৩৬২। মুহাম্মদ ইবনু উসমান (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক ইহুদী পুরুষ ও এক ইহুদী নারীকে হাযির করা হল। তারা উভয়েই যিনা করেছে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, এ ব্যাপারে তোমরা তোমাদের কিতাবে কি পাচ্ছ? তারা বলল, আমাদের পদ্রীরা চেহারা কালো করার ও উভয়কে গাধার পিঠে বিপরীতমুখী বসিয়ে প্রদক্ষিণ করানোর প্রথা চালু করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! তাদেরকে তাওরাত নিয়ে আসতে বলুন। এরপর তা নিয়ে আসা হল।
তাদের একজন রজমের আয়াতের উপর নিজের হাত রেখে দিল এবং এর অগ্র-পাশ্চাৎ পড়তে লাগল। তখন ইবনু সালাম (রাঃ) তাকে বললেন, তোমার হাত উঠও। (হাত উঠাতে দেখা গেল) তার হাতের নিচে রয়েছে রজমের আয়াত। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ের সম্বন্ধে নির্দেশ দিলেন, উভয়কে রজম করা হল। ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, তাদের উভয়কে সমতল স্থানে রজম করা হয়েছে। তখন ইহুদী পুরুষটাকে দেখেছি ইহুদী নারীটির উপর উপুড় হয়ে পড়ে আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ)

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১৭ঃ দণ্ডবিধি
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৫৫৯-(৫) ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন কতিপয় ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জানালো যে, তাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী যিনা করেছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘রজমের’ ব্যাপারে তোমরা তাওরাতে কি জেনেছ? তারা বলল, আমরা দোষীকে অপমান করি এবং চাবুক মারা হয়। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম বললেন, তোমরা মিথ্যা বলছ। তাওরাতে অবশ্যই ‘রজমের’ দণ্ড রয়েছে, তা নিয়ে আসো! অবশেষে তারা তা এনে খুলল ঠিকই কিন্তু তাদের একজন ‘রজমের’ আয়াতের উপর স্বীয় হাত দিয়ে ঢেকে রেখে দিল এবং তারপর এর আগের ও পরের আয়াত পড়ল।
তখন ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম বললেন, তোমার হাত উঠাও! সে হাত উঠাল। তখন দেখা গেল, সেখানে রজমের আয়াত বিদ্যমান রয়েছে। ইয়াহূদীরা বলল, হে মুহাম্মাদ! সে সত্য বলেছে। এখানে রজমের আয়াত বিদ্যমান আছে। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দুজনকে রজম করে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। তখন তাদের উভয়কে ‘‘রজম’’ করা হলো। অন্য রিওয়ায়াতে আছে, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম বললেন, তোমার হাত উঠাও! সে হাত উঠাল। তখন সেখানে স্পষ্টভাবে রজমের আয়াত বিদ্যমান দেখা গেল। (আয়াত গোপনকারী) সেই লোকটি বলল, হে মুহাম্মাদ! সত্যিই তাওরাতে রজমের আয়াত বিদ্যমান আছে; কিন্তু আমরা নিজেদের মাঝে তা গোপন রাখতাম। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে রজম করার নির্দেশ দিলেন। তখন তাদের উভয়কে রজম করা হলো। (বুখারী ও মুসলিম)(1)
(1) সহীহ : বুখারী ৬৮৪১, মুসলিম ১৬৯৯, আবূ দাঊদ ৪৪৪৯, আহমাদ ৪৪৯৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ)

নবী মুহাম্মদ যে অনেকবারই রজমের শাস্তি প্রয়োগ করেছেন, তার আরো অনেকগুলো সহিহ হাদিসের বর্ণনা রয়েছে।

সহিহ বুখারী
হাদিস নম্বর ২৭২৪
আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইব্‌নু খালিদ জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা বলেন, এক বেদুঈন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনাকে আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে বলছি, আমার ব্যাপারে আল্লাহ্‌র কিতাব মত ফয়সালা করুন।’ তখন তার প্রতিপক্ষ, যে তার তুলনায় বেশি জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন সে বলল, ‘হ্যাঁ, আপনি আমাদের মধ্যে আল্লাহ্‌র কিতাব মত ফয়সালা করুন এবং আমাকে বলার অনুমতি দিন।’ আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘বল’। সে বলল, আমার ছেলে এর নিকট মজুর ছিলো। সে তার স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করেছে। আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, আমার ছেলের প্রাপ্য দণ্ড হল রজম। তখন আমি তাকে (ছেলেকে) একশ’ বকরী এবং একটি বাঁদীর বিনিময়ে তার নিকট হতে ছাড়িয়ে এনেছি। পরে আমি আলিমদের জিজ্ঞেস করলাম। তাঁরা আমাকে জানালেন যে, আমার ছেলের দণ্ড হল একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন। আর এই লোকের স্ত্রীর দণ্ড হল রজম। আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, অবশ্যই আমি তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করব। বাঁদী এবং একশ’ বকরী তোমাকে ফেরত দেয়া হবে। আর তোমার ছেলের শাস্তি একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন। হে উনায়স! আগামীকাল সকালে এ লোকের স্ত্রীর নিকট যাবে। যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে রজম করবে। রাবী বলেন, উনায়স (রাঃ) পরদিন সকালে সে স্ত্রীলোকের নিকট গেলেন। সে অপরাধ স্বীকার করল। তখন আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশে তাকে রজম করা হল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী ২৭২৪, ২৭২৫

সহিহ বুখারী ৫২৭১
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নিকট এল, তখন তিনি মসজিদে ছিলেন। লোকটি তাঁকে ডেকে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! হতভাগা ব্যভিচার করেছে। সে এ কথা দিয়ে নিজেকে বোঝাতে চাইল। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনি যেদিকে ফিরলেন সে সেদিকে গিয়ে আবার বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! হতভাগা ব্যভিচার করেছে। তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। অতঃপর সেও সে দিকে গেল যে দিকে তিনি মুখ ফিরালেন এবং আবার সে কথা বলল। তিনি চতুর্থবার মুখ ফিরিয়ে নিলে সেও সেদিকে গেল। যখন সে নিজের ব্যাপারে চারবার সাক্ষী দিল, তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ডেকে বললেনঃ তুমি কি পাগল হয়েছ? সে বলল, না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে নিয়ে যাও এবং রজম কর। লোকটি ছিল বিবাহিত। (৬৮১৫, ৬৮২৫, ৭১৬৭; মুসলিম ২৯/৫, হাঃ ১৬৯১, আহমাদ ১৪৪৬৯) আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী ৫২৭০, ৫২৭১, ৫২৭২

সহিহ বুখারী ৫২৭২
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যুহরী (রহঃ) বলেন, জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে যিনি শুনেছেন, তিনি আমাকে বলেছেন, রজমকারীদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। আমরা মাদীনাহ্‌র মুসল্লায় (অর্থাৎ ঈদগাহে) তাকে রজম করলাম। পাথর যখন তাকে অতিষ্ঠ করে তুলল, সে তখন পালিয়ে গেল। হাররায় আমরা তাকে পাকড়াও করলাম এবং রজম করলাম। অবশেষে সে মৃত্যু বরণ করলো। (৫২৭০; মুসলিম ২৯/৫, হাঃ ১৬৬১, আহমাদ ১৪৪৬৯) আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহ বুখারী ৫২৭০, ৫২৭১, ৫২৭২

বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা মায়েয ইবনে মালেক (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমাকে পবিত্র করুন। তিনি বললেন, ‘আক্ষেপ তোমার প্রতি, চলে যাও, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও এবং তওবা কর’। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি চলে গেলেন এবং সামান্য একটু দূরে গিয়েই পুনরায় ফিরে আসলেন এবং আবারও বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমাকে পবিত্র করুন। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবারও তাঁকে পূর্বের ন্যায় বললেন। এইভাবে তিনি যখন চতুর্থবার এসে বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা! আমি তোমাকে কোন্ জিনিস হতে পবিত্র করব? তিনি বললেন, যিনা হতে। তাঁর কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (ছাহাবাদেরকে) জিজ্ঞেস করলেন, ‘লোকটি কি পাগল’? লোকেরা বলল, না তো? তিনি পাগল নন। তিনি আবার বললেন, ‘লোকটি কি মদ পান করেছে’? তৎক্ষণাৎ এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে তাঁর মুখ শুঁকে দেখেন; কিন্তু মদের কোন গন্ধ তাঁর মুখ হতে পাওয়া গেল না। অতঃপর তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি সত্যই যিনা করেছ’? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ। এরপর তিনি রজমের নির্দেশ দিলেন, তখন তাঁকে রজম করা হল। এই ঘটনার দুই/তিন দিন পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (ছাহাবাদের সম্মুখে) এসে বললেন, তোমরা মায়েয ইবনে মালেকের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। কেননা সে এমন তওবাই করেছে, যদি তা সমস্ত উম্মতের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয়, তবে তা সকলের জন্য যথেষ্ট হবে।
অতঃপর আয্দ বংশের গামেদী গোত্রীয় একটি মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমাকে পবিত্র করুন। তিনি বললেন, তোমার প্রতি আক্ষেপ! চলে যাও, আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার কর এবং তওবা কর। তখন মহিলাটি বলল, আপনি মায়েয ইবনে মালেককে যেভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন আমাকেও কি সেভাবে ফিরিয়ে দিতে চান? দেখুন, আমার এই গর্ভ যিনার! তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি (সত্যই গর্ভবতী)? মহিলাটি বলল, জি হ্যাঁ।
অতঃপর তিনি বললেন, যাও, তোমার পেটের বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আনছারী এক লোক মহিলাটির সন্তান প্রসব হওয়ার সময় পর্যন্ত তাকে নিজের তত্ত্বাবধানে নিয়ে গেলেন। সন্তান প্রসব হওয়ার পর ঐ লোকটি নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর খেদমতে এসে বলল, হুযুর! গামেদী মহিলাটির গর্ভ খালাছ হয়ে গিয়েছে। এবার তিনি বললেন, এই শিশু বাচ্চাটিকে রেখে আমরা মহিলাটিকে রজম করতে পারব না। এমতাবস্থায় যে, তাকে দুধ পান করাবার মত কেউই নেই। এমন সময় আর একজন আনছারী দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর নবী! আমিই তার দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করব। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাকে রজম করলেন ।

অন্য এক রেওয়ায়াতে আছে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মহিলাটিকে বললেন, ‘তুমি চলে যাও এবং সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর’। অতঃপর সন্তান প্রসবের পর যখন আসল, তখন বললেন, আবারও চলে যাও এবং তাকে দুধ পান করাও এবং দুধ ছাড়ান পর্যন্ত অপেক্ষা কর। পরে যখন বাচ্চাটির দুধ খাওয়া বন্ধ হয়, তখন মহিলাটি বাচ্চার হাতে এক খণ্ড রুটির টুকরা দিয়ে তাকে সঙ্গে করে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর খেদমতে উপস্থিত হল। এইবার মহিলাটি বলল, হে আল্লাহর নবী! এই দেখুন (বাচ্চাটির) দুধ ছাড়ান হয়েছে, এমনকি সে নিজের হাতের খানাও খেতে পারে। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাচ্চাটিকে একজন মুসলমানের হাতে তুলে দিলেন। পরে মহিলাটির জন্য গর্ত খোঁড়ার নির্দেশ দিলেন। অতএব তার জন্য বক্ষ পর্যন্ত গর্ত খনন করা হল। তৎপর লোকদেরকে নির্দেশ করলেন, তারা মহিলাটিকে রজম করল। খালেদ ইবনে ওয়ালীদ (রাঃ) সম্মুখে অগ্রসর হয়ে তার মাথায় একখণ্ড পাথর নিক্ষেপ করতেই রক্ত ছিটে এসে তাঁর মুখমণ্ডলের উপর পড়ল। তাই তিনি মহিলাটিকে ভর্ৎসনা ও তিরস্কার করে গাল-মন্দ করলেন। (এটা শুনে) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে খালেদ, থাম! সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! মহিলাটি এমন (খালেছ) তওবা করেছে, যদি কোন বড় যালেমও এই ধরনের তওবা করে, তারও মাগফেরাত হয়ে যাবে। অতঃপর তিনি তার জানাযা পড়ার আদেশ করলেন। অতঃপর তার জানাযা পড়লেন এবং তাকে দাফনও করা হল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫৬২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
(মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫৬২)

এই হাদিসটি আরেকটি রেওয়ায়েতে আছে। কী পরিমাণ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলে এবং এই রকম বর্বরতাকে কতোটা গ্লোরিফাই করা হলে একজন নারী নিজে এসে নিজেকে পাথর মেরে হত্যা করতে বলে ভাবতে পারেন? অথবা হতে পারে এই রকম বর্বরতা যে মানুষ নিজের ক্ষেত্রেও সমর্থন করে, তা প্রমাণ করতেই এই হাদিসটির অবতারণ করা হয়েছে।

বুলুগুল মারাম
১০ দণ্ড বিধি
পরিচ্ছেদ ০৮.
সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত গর্ভবতীর ‘রজম’ (পাথর নিক্ষেপ করা) বিলম্বিত করা
১২১২। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জুহাইনাহ গোত্রের কোন এক স্ত্রীলোক যিনার দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে হাজির হয়ে বললঃ হে আল্লাহর নাবী! আমি হদ্দের উপযুক্ত হয়েছি, আপনি আমার উপর যিনার হদ্দ ক্বায়িম করুন (প্রস্তরাঘাতে হত্যা করে আমার প্রায়শ্চিত্ত বা তাওবার ব্যবস্থা করুন)। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ওয়ালীকে (অভিভাবককে) ডাকালেন ও বললেন, তার সাথে ভাল ব্যবহার কর, সন্তান প্রসব করলে আমার নিকট তাকে নিয়ে এসো।
অভিভাবক তাই করলো (সন্তান প্রসব করার পর তাকে নাবীর দরবারে নিয়ে এলো); রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পরনের কাপড় শক্ত করে বেঁধে দিতে আদেশ করলেন, তারপর তার আদেশক্রমে তাকে রজম করা হলো। তারপর তার জানাযা নামায পড়ালেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর নাবী! সে ব্যভিচার করেছে তবু আপনি তার জানাযা নামায পড়লেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বলেনঃ সে তো এমন তাওবাহ করেছে যে, যদি তা মাদীনাসীর ৭০ জনের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হয় তবে তাদের জন্য তার এ তাওবাহ যথেষ্ট হয়ে যাবে। (হে উমার!) তুমি কি এর চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন ব্যক্তি পেয়েছ? যে স্বয়ং আল্লাহর জন্য প্রাণ বিসর্জন করেছে।
সহীহ মুসলিম (১৩১৯)
(১৩১৯) মুসলিম ১৬৯৬, তিরমিযী ১৪৩৫, নাসায়ী ১৯৯৭, আবূ দাঊদ ৪৪৪০, ইবনু মাজাহ ২৫৫৫, আহমাদ ১৯৩৬০, ১৯৪০২, দারেমী ২৩২৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
সহীহ মুসলিম (১৩১৯) (১৩১৯) মুসলিম ১৬৯৬, তিরমিযী ১৪৩৫, নাসায়ী ১৯৯৭, আবূ দাঊদ ৪৪৪০, ইবনু মাজাহ ২৫৫৫, আহমাদ ১৯৩৬০, ১৯৪০২, দারেমী ২৩২৫।

সরাসরি বই থেকেও দেখি, [1]

রজমের বিধান
রজমের শাস্তি

তথ্যসূত্র

  1. সহিহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খণ্ড ১০, পৃষ্ঠা ২২৮, ২২৯ []


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"