নবী মুহাম্মদ এবং তার ইসলাম যে কতটা উদ্ভট, বিকট এবং হাস্যকর, তা বোঝার জন্য এই হাদিসগুলো খুব গভীরভাবে পর্যালোচনা করা খুবই জরুরি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, নবী মুহাম্মদ উটের প্রস্রাব পান করার পরামর্শ দিতেন রোগের চিকিৎসা হিসেবে, এবারে দেখুন আরও এক ভয়াবহ বিষয়। নবী মুহাম্মদ পুরুষাঙ্গ এবং পশ্চাতদেশ ধোয়া পানি দিয়ে গোছল করিয়ে বদনজরের চিকিৎসা করতেন। আসুন হাদিসগুলো পড়ি, [1] [2] [3]
সুনান ইবনু মাজাহ
২৫/ চিকিৎসা
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৩২. বদনজর
৪/৩৫০৯। আবূ উমামা ইবনে হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমের ইবনে রবীআ (রাঃ) সাহল ইবনে হুনাইফ (রাঃ)-র নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তখন গোসল করছিলেন। আমের (রাঃ) বলেন, আমি এমন খুবসুরত সুপুরুষ দেখিনি, এমনকি পর্দানশীন নারীকেও এরূপ সুন্দর দেখিনি, যেমন আজ দেখলাম। অতঃপর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাহল (রাঃ) বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলেন। তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট নিয়ে যাওয়া হলো এবং তাঁকে বলা হলো, ধরাশায়ী সাহলকে রক্ষা করুন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কাকে অভিযুক্ত করছো? তারা বললো, আমের ইবনে রবীআকে। তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ বদনজর লাগিয়ে তার ভাইকে কেন হত্যা করতে চায়? তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের মনোমুগ্ধকর কিছু দেখলে যেন তার জন্য বরকতের দোয়া করে। অতঃপর তিনি পানি নিয়ে ডাকলেন, অতঃপর আমেরকে উযু করতে নির্দেশ দিলেন। তিনি তার মুখমণ্ডল , দু’ হাত কনুই পর্যন্ত, দু’ পা গোছা পর্যন্ত এবং লজ্জাস্থান ধৌত করলেন। তিনি আমেরকে পাত্রের পানি সকলের উপর ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দিলেন। তিনি সাহলের পেছন দিক থেকে পানি ঢেলে দেয়ার জন্য আমেরকে নির্দেশ দেন।
আহমাদ ১৫৫৫০, মুয়াত্তা মালেক ১৭৪৭, মিশকাত ৪৫৬২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উমামা ইবনে হুনাইফ
মুয়াত্তা মালিক
৫০. বদনজর সংক্রান্ত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১. বদ নজরের প্রভাব হইতে মুক্তির জন্য ওযু করা প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ২. আবূ উসামা ইবন সহল (রহঃ)-এর রেওয়ায়ত, ’আমির ইবনে রবী’আ সহল ইবনে হানীফকে গোসল করিতে দেখিয়া বলিলেন, আজ আমি যেই সুন্দর মানুষ দেখিলাম, এই রকম কাহাকেও দেখি নাই, এমন কি সুন্দরী যুবতীও এত সুন্দর দেহবিশিষ্ট দেখি নাই। (আমিরের) এই কথা বলার সাথে সাথে সহল সেখানে লুটাইয়া পড়িল। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের খেদমতে হাযির হইয়া আরয করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি সহল ইবনে হুনাইফ (বা হানীফ)-এর কিছু খবর রাখেন কি? আল্লাহর কসম! সে মস্তক উত্তোলন করিতে পারিতেছে না। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তুমি কি মনে করিতেছ যে, তাহাকে কেহ বদনজর দিয়াছে লোকটি বলিল, হ্যাঁ, আমর ইবন রবী’আ (বদনজর দিয়াছে)। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আমির ইবন রবী’আকে ডাকিয়া ক্রোধান্বিত হইয়া তাহাকে বলিলেন, তোমাদের কেহ নিজের মুসলিম ভাইকে কেন নিহত করিতেছ? তুমি (بارك الله) কেন বলিলে না? এইবার তুমি তাহার জন্য গোসল কর। অতএব আমির হাত, মুখ, হাতের কনুই, হাটু, পায়ের আশেপাশের স্থান এবং লুঙ্গির নিচের আবৃত দেহাংশ ধৌত করিয়া ঐ পানি একটি বরতনে জমা করিল। সেই পানি সহলের দেহে ঢালিয়া দেওয়া হইল। অতঃপর সদল সুস্থ হইয়া গেল এবং সকলের সঙ্গে রওয়ানা হইল।
হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ

তথ্যসূত্র
- সুনান ইবনু মাজাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৩৫০৯ [↑]
- মুয়াত্তা মালিক, হাদিসঃ ১৭৪৬ [↑]
- সুনান ইবনু মাজাহ, ৩য় খণ্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৩৫০৯ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"