দাসী মারিয়াহ, নবী মোহাম্মদ এবং মধু

দাসী মারিয়াহ

কে এই দাসী মারিয়াহ?

মারিয়াহ বিন্ত শামুন, যিনি বেশি পরিচিত মারিয়াহ আল-কিবতিয়্যা (Mariah Al Qibtiyah) নামে, তার সাথে নবী মুহাম্মাদের সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ । মিশরের (Egypt) ক্রিস্টান রাজা মুকাওকিস, মারিয়াহ আল-কিবতিয়াকে উপহার হিসেবে মুহাম্মাদের কাছে পাঠান । মারিয়ার সাথে তার বোন শিরিনকেও উপহার হিসেবে পাঠানো হয় । নবী শিরিনকে হাসান বিন তাহবীতের কাছে পাঠিয়ে দেন এবং সুন্দরী মারিয়াকে নিজের কাছে রাখেন ।

মুহাম্মাদের সাথে মারিয়ার শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হয়, এবং তার থেকে জন্ম হয় তাঁর একমাত্র পুত্র ইব্রাহিমের । কিন্তু ইব্রাহিম শিশু অবস্থাতেই মারা যান । অনেকে দাবি করেন যে মুহাম্মদ মারিয়াকে বিবাহ করেছিলেন ( যেমন প্রখ্যাত তাফসীরের লেখক এবং প্রথম তাফসীরকারী নবী মুহাম্মাদের চাচাতো ভাই ইবনে আব্বাস ) এবং অনেকে বলেন যে তিনি নবী মুহাম্মাদের রক্ষিতা ছিলেন । আমরা সেটা অন্য একটি লেখায় বিশ্লেষণ করবো ।

এই লেখায় কোরআন ও তাফসীর থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে মারিয়ার সাথে বিবাহের আগে তাঁর সাথে নবীর কিরকম সম্পর্ক ছিল ।

এই বিষয়ে আল-কোরআনে কি বলা আছে?

আল-কোরআনের সুরাহ আত-তাহিরমের (সুরাহ নম্বর ৬৬) আয়াত নম্বর ১ থেকে ৫ উল্লেখযোগ্য । প্রথমে এই আয়াতগুলি একটু দেখে নি :

1. হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।
2. আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
3. যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন: যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন।
4. তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।
5. যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।

কোনো তাফসীর ছাড়াই এই আয়াতগুলি পড়লে এই তিনটি জিনিস পরিষ্কার:

  • নবী কিছু জিনিস থেকে দূরে থাকবেন সেরকম কথা দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীদের খুশি করার জন্য ।
  • তিনি তাঁর একজন স্ত্রীকে কিছু গোপন রাখতে বলেছিলেন, যেটা সেই স্ত্রী অন্য স্ত্রীদের বলে দিয়েছিলেন ।
  • এর ফলে নবী প্রায় তাঁর স্ত্রীদের পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন ।

এবার আমরা দেখি বিভিন্ন তাফসীরে এই আয়াতগুলি, বিশেষত ৬৬:১ এর কি প্রেক্ষাপট বলা হয়েছে ।

তাফসীর আল-জালালাইন (সুন্নি তাফসীর):

সুন্নিদের প্রধান তাফসীর আল-জালালাইন ৬৬:১ এর ব্যাপারে যা লেখা আছে:

হে নবী! কেন আপনি আপনার কপ্টিক (ইজিপ্শিয় ক্রিস্টান) দাসী মারিয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ যা আপনার জন্য জায়েজ করেছেন তার থেকে নিজেকে দূরে রাখেন – যখন আপনি হাফসার গৃহে তার সাথে শয্যা নিয়েছিলেন এবং হাফসা গৃহে ছিলেন না, কিন্তু হাফসা ফিরে আসেন ও জানতে পারেন যে এই ঘটনা ঘটেছে তাঁরই গৃহে ও তারই বিছানায় – ‘সে আমার জন্য হারাম’ বলার দ্বারা আপনার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য (যা আপনার জন্য হালাল) তাকে হারাম ঘোষণা করেছেন?

আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময় তিনি আপনাকে এই নিষেধের জন্য ক্ষমা করেছেন ।

আল-তাবারি:

হাফসার গৃহে মারিয়ার সাথে নবী শুয়ে পড়েছিলেন এটা আল-তাবারিতেও আছে :

“হে আল্লার নবী, আমার গৃহে আর আমার বিছানায়?”
Source: Tafsīr al-Ṭabarī 66:1

ইব্ন আব্বাসের তাফসীর:

ইব্ন আব্বাস নবীর চাচাতো ভাই এবং সম্পূর্ণ কোরআনের প্রথম তাফসিরকারক ।

হে নবী! মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ তা’আলা তোমার জন্য যা হালাল করেছেন ( অর্থাৎ মারিয়া কিপতিয়া ইব্রাহিমের মাতাকে বিয়ে করা ; এ কারণে যে, তিনি মারিয়া কিপতিয়াকে বিয়ে না করার শপথ করেন ) তা কেন নিষিদ্ধ করছেন? আপনার স্ত্রী আয়েশা ও হাফসাকে সন্তুষ্ট করার জন্য? (এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়) তিনি আপনাকে ক্ষমা করেন, সেই শপথ সম্পর্কে।

আসবাব আল-নুজুলের তাফসীর:

মুহাম্মদ ইবনে মনসুর আল-তুসী আমাদেরকে খবর দিয়েছিলেন- ‘আলী ইবনে উমর ইবনে মাহদী আল হুসাইন ইবনে ইসমাঈল আল-মাহামিলী> আবদুল্লাহ ইবনে শাবীব ইশক ইবনে মুহাম্মাদ’ আবদুল্লাহ ইবনে উমর আবু আল-নাদর ‘উমর ইবনে আবদুল মালেকের ক্রেতা ‘আলী ইবনে আব্বাস’ ইবনে আব্বাস ‘উমর বলেন:

“আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আশীর্বাদ করুন এবং তাকে শান্তি দান করুন । হাফসাহের গৃহে তার সন্তানের মাতা মারিয়ার সাথে প্রবেশ করেন ।

যখন হাফসা তাকে (ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে) মারিয়ার সঙ্গে পেয়ে গেলেন, তখন তিনি বললেন, ‘কেন তুমি তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছ? তুমি আমার সাথেই এটা করেছ, তোমার সমস্ত স্ত্রীদের ব্যতীত, কেবলমাত্র আমি তোমার কাছে তুচ্ছ। তিনি তাকে বললেন, ‘এ ব্যাপারে আয়শাকে বোলো না; সে (মারিয়াহ) আমার জন্য নিষিদ্ধ যদি আমি কখনো তাকে স্পর্শ করি ‘ ।

হাফসা বললেন, “সে তোমার দাসী হলে সে তোমার জন্য কীভাবে নিষেধ হবে?” নবী তাঁর কাছে শপথ করেছিলেন যে তিনি মারিয়াহকে স্পর্শ করবেন না এবং তারপর বললেন: ‘এই ঘটনার কথা কাউকে উল্লেখ করো না’।

কিন্তু হাফসা আইশাকে অবগত করেন । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর এক মাস নিজের স্ত্রীদের কাছে যাননি । তিনি ওনাদের থেকে ঊনত্রিশ দিন আলাদা অবস্থান করার পর, মহান ও মহিমান্বিত আল্লাহ প্রকাশ করেছেন: “হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য আল্লাহ যা হালাল করেছেন তা কেন সরিয়ে রেখেছো?

শিয়াদের মতে:

এই ঘটনাটি ত্বাবাকাতে ইবনে সা’দ দ্বারাও প্রকাশিত হয়েছে:

ওয়াকিদী আমাদেরকে জানায় যে আবু বকর (রাঃ) বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাফসার বাড়িতে মারিয়া সাথে যৌন সম্পর্ক করেছিলেন। যখন রাসূলুল্লাহ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন, তখন হাফসা দরজায় বসে ছিল। তিনি নবীকে বললেন, হে আল্লাহর রসূল, আপনি আমার ঘরে এবং আমার পালা সময়ে এটা করলেন?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করো এবং আমাকে যেতে দাও কারণ আমি তাকে (মারিয়াহকে) আমার জন্য হারাম করে দিলাম । হাফসা বললেন, যদি আপনি শপথ না করেন, আমি এটা গ্রহণ করবো না। আল্লাহর পবিত্র হজরত বলেন, আমি আর (মারিয়াহকে) স্পর্শ করবো না।

■ তাবাকাত অষ্টম এডিশন পৃষ্ঠা ২২৩ । প্রকাশক এন্তেশারাত-এ ফারহাঙ বা আন্দিসহ তেহরান ২০০৩

মোহাম্মদ কাজেম মোরেফির ফার্সি তাফসীর:

এছাড়াও এটি বিবৃত করা হয় যে স্ত্রীদের মধ্যে তাঁর (আল্লাহর রাসূল) দিন বিভক্ত ছিল। যখন হাফসার পালা আসে, নবী হাফসাকে তাঁর পিতা ওমর খাত্তাবের বাড়ীতে একটি কাজের জন্য পাঠান। যখন তিনি এই আদেশটি গ্রহণ করেছিলেন এবং গিয়েছিলেন, তখন নবী তাঁর দাসী মরিয়মকে(আল-কিবতিয়্যা) ডাকেন, (যিনি তার পুত্র ইব্রাহিমকে জন্ম দিয়েছিলেন এবং যাকে রাজা নাজাশী থেকে উপহার পেয়েছিলেন), এবং তার সাথে যৌনসম্পর্ক করেছিলেন। হাফসা ফিরে এলে তিনি দেখেন দরজা বন্ধ। তাই তিনি যে বন্ধ দরজার সামনে বসে থাকলেন যতক্ষণ না নবী কাজ সমাপ্ত করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এবং তাঁর মুখশ্রী থেকে তৃপ্তি ঝরে পড়ছিলো । হাফসা যখন এই অবস্থায় তাকে পেয়েছিলেন তখন তিনি তাকে বলেছিলেন: আপনি আমার সম্মান রাখেননি; আপনি আমার বাড়িতে থেকে, একটি অজুহাত দিয়ে আমাকে বাইরে পাঠান যাতে আপনি ক্রীতদাস মেয়ের শয্যাসঙ্গী হতে পারেন । এবং যে দিন আমার পালা ছিল আপনি অন্য কারোর সঙ্গ নিয়েছেন ।

তারপর নবী বলেন: মৌন হও । যদিও তিনি (মারিয়া) আমার দাসী এবং আমার জন্য হালাল, তোমার সন্তুষ্টির জন্য আমি এই মুহুর্তে তাকে নিজের জন্য হারাম ঘোষণা করলাম ।

কিন্তু হাফসা চুপ না থেকে যখন নবী তার বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলেন তখন তিনি সেই দেওয়ালের দিকে তাকালেন যা তার কক্ষকে আয়েশার থেকে আলাদা করেছিল এবং আয়েশাকে সব কিছু জানালেন।
তিনি এই সুখবরও জানালেন যে হযরত মরিয়মকে নিজের জন্য হারাম ঘোষণা করেছেন ।

আকা মাহ্দী পুয়ার তাফসীর:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জয়নবের কক্ষে গিয়েছিলেন তখন তিনি একটি পাত্রে মধু পান করতেন। আয়শা এবং হাফসা বিরক্ত হয়ে পড়েন এবং আয়শা একটি ফন্দি তৈরি করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আইশার ঘরে এলে তিনি অভিযোগ করেন যে তিনি মাগাফীর খেয়েছেন (মাগাফীর একটি বৃক্ষের রসে তৈরী দুর্গন্ধযুক্ত আঠা ) তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে তিনি শুধুমাত্র মধু গ্রহণ করেছেন। আয়শা বলেন: “সম্ভবত মৌমাছিরা মাগাফির বৃক্ষের রস খেয়েছিলো । এইজন্যেই মধুতে দুর্গন্ধ হয়ে গেছে ।”

যখন তিনি হাফসার কক্ষে যান তখন হাফসাও আয়শার মত অভিনয় করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দুর্গন্ধপূর্ণ বস্তু থেকে দূরে থাকতেন । তাই তিনি মধু খাবেন না বলে কসম খেলেন ।

হাফসার নির্ধারিত দিনে, যখন তিনি তার পিতা-মাতার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং তার কক্ষে ছিলেন না, হযরত রাসূলুল্লাহ রাত্রির সময় মরিয়াকে তার স্থানে নিয়ে আসেন । এই মারিয়াহ মিসরের শাসক কর্তৃক প্রেরিত এবং তাঁর তার পুত্র ইব্রাহিমের জন্ম দেন । হাফসা ফিরে এসে এটা জানতে পারেন ।
হাফসার বিদ্বেষপূর্ণ মন্দ স্বভাবকে শান্ত করার জন্য তিনি শপথ করে বলেছিলেন যে, মরিয়ার সাথে তিনি আর কিছুতে লিপ্ত হবেন না।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীগণ আচরণের সাধারণ নারীদের চেয়ে উচ্চতর মর্যাদা, সামাজিক আচরণ ও শিষ্টাচার প্রদর্শন করবেন বলে আশা করা হতো যেহেতু তারা শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সাথে ছিলেন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আইসা ও হাফসার অবাধ্য আচরণ দ্বারা অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন এবং তিনি এক মাসের জন্য তাঁর স্ত্রীদের ত্যাগ করেন। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে নবী একথা জানালেন যে, আল্লাহ তাকে মধু ও মরিয়ার অনুমতি দিয়েছেন, তাদের কাউকে ত্যাগ করতে হবে না। উল্লিখিত ঘটনায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কসম খেয়েছিলেন । আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি এই কসম ভঙ্গ করেন ,এবং কাফ্ফারা আদায় করেন ।

পরিবর্ত মতামত:

এর পরিবর্তে কিছু ইসলামিক স্কলার দাবি করেন এখানে নবী জয়নাবের গৃহে মধু খেয়েছিলেন এবং সেটা নিয়ে হাফসা ও আয়েশা গোসা করেছিলেন । তখন নবী তাদের খুশি করার জন্যে বলেন যে “আমি আর মধু খাবো না” । তখন নাকি আল্লাহ এই আয়াত নাজিল করেন । ইবনে কাসির ও সহীহ বুখারীতে এই মধু খাওয়ার গল্পটি রয়েছে ।

পাঠকের কাছে প্রশ্ন:

  1. মারিয়া যদি নবীর স্ত্রী হতেন, নবী কি কখনো মারিয়াকে নিজের জন্য হারাম করতেন? সেটা তো মারিয়ার ওপর অবিচার করা হতো ।
  2. মধু খাওয়ার মতো একটি তুচ্ছ জিনিসের জন্য কি এরকম অবস্থা হয় যে নবী তাঁর সব স্ত্রীদের তালাক দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন?
  3. শুধু মধু খাওয়ার জন্যে নবী ২৯ দিন কোনো বিবির ঘরে যান নি এটা কতটা সম্ভব ?
  4. নবী “মধু খাবো না” বলাতে আল্লাহ পাঁচ পাঁচটি আয়াত নাজিল করবেন?

রেফারেন্স:

1. Al Qu’ran Surah At-Tahrim
2. Tafsir Al_Jalalain English
3. তাফসীর আসবাব আল-নুজুল
4. অন্যান্য তাফসীর

View Comments (1)

Leave a Comment