নীতিমালা
সূচিপত্র
- 1 ভূমিকা
- 2 ওয়েবসাইটের মালিকানা চ্যালেঞ্জ
- 3 “সংশয় – চিন্তার মুক্তির আন্দোলন”-এর নীতিমালা
- 4 সাধারণ নিয়মাবলী
- 5 সদস্যপদ
- 6 গুটেনবার্গ এডিটর কী?
- 7 শিরোনাম
- 8 ফিচার্ড ফটো
- 9 প্রবন্ধ
- 10 হেডিং যুক্ত করা
- 11 হাইপারলিঙ্ক যুক্ত করা
- 12 ছবি যুক্ত করতে হলে
- 13 ভিডিও যুক্ত করতে হলে
- 14 Excerpt যুক্ত করতে হবে
- 15 Tag যুক্ত করুন
- 16 সঠিক Categories নির্বাচন করুন
- 17 ফুটনোট
- 18 অন্যান্য বিষয়
ভূমিকা
গত কয়েকবছর ধরে অনলাইন জগতে রাষ্ট্র, ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল, গোয়েন্দা সংস্থা, সেনাবাহিনী ইত্যাদির নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে বাঙালী ব্লগাররা অবিরাম লিখে গেছেন। মৌলবাদীরা একেরপর এক কুপিয়ে হত্যা করেছে ব্লগারদের, রাষ্ট্র আমাদের দিয়েছে জেল জরিমানা, গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা দিয়ে গেছে হুমকি ধামকি। আমাদের লেখাগুলো নিষিদ্ধকরণ ইত্যাদির মধ্য দিয়েও আমাদের থামিয়ে রাখা যায় নি। বর্তমান সময়ে তারা বইমেলাতেও বাজেয়াপ্ত করছে মুক্তচিন্তার বই। যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানচেতনা, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, অবিশ্বাস এবং ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং এখন বাঙলাদেশে যেন এক নিষিদ্ধ বিষয়। সেই সাথে ব্যাপকভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র প্রচার করছে মৌলবাদীদের হাস্যকর, অপবৈজ্ঞানিক এবং নিম্নমানের কিছু পবিত্র কেতাব। যেগুলো বর্তমান আধুনিক সভ্য পৃথিবীতে শুধুমাত্র হাস্যরসেরই সৃষ্টি করতে পারে।
আমাদের থামিয়ে দিয়ে, মুখ বন্ধ করে দিয়ে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করে যাচ্ছে। একের পর এক নিজেরাই নিজেদের বইগুলোকে বেস্ট সেলার বুক হিসেবে ঘোষণা করছে। আমাদের গলায় চাপাতি রেখে মুখ বন্ধ করে যেন বাঙলাদেশ রাষ্ট্র নিজেই প্রচারে নেমেছে ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের পবিত্র কেতাবগুলোর বিক্রিতে। যেন দৌড় প্রতিযোগিতায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একজনার হাত পা ভেঙ্গে অন্যজনকে একটি গাড়ি দিয়ে বলা হচ্ছে, এবারে দৌড়ে কে জেতে দেখা যাক। কিন্তু তারপরেও, অসভ্য ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের লজ্জা নেই। বাঙলাদেশ রাষ্ট্রই আজ লজ্জাহীন। সরকার নির্লজ্জ বেহায়া এবং শোষক। কিন্তু তারপরেও, বাঁধ ভাঙ্গা স্রোতের মতো প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ধর্মের প্রাগৌতিহাসিক গালগপ্প থেকে বের হয়ে আসছেন। স্বাধীন এবং মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারছেন। সমস্ত শক্তি দিয়েও আমাদের থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
“সংশয় – চিন্তার মুক্তির আন্দোলন” শ্রদ্ধা জানায় সেই সব লেখকদের, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তচিন্তা প্রকাশের দুঃসাহস দেখিয়েছেন, এবং এখনো লিখে যাচ্ছেন। আমাদের কথা বলা আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো না, আমরা কথা বলা বন্ধও করবো না। আমরা কথা বলবো ধর্মের বিরুদ্ধে, ধর্ম প্রবর্তকদের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের জনক জননীদের বিরুদ্ধে, রাজনীতির বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, তথাকথিত স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামক মূলোর বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতা আর পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে, বর্ণবাদ আর অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে, সব ধরণের প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সংশয় কোন ভয়ভীতি ছাড়াই দর্শন, বিজ্ঞানচেতনা, যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, নারীবাদ, সাম্যবাদ, সর্বপরি যৌক্তিক ও ইহলৌকিক মানবতাবাদ (Secular Humanism) প্রচার করবে।
“সংশয়-চিন্তার মুক্তির আন্দোলন” যুক্তিবাদী এবং বিজ্ঞানমনষ্ক পাঠক এবং লেখকদের এমন একটি জায়গা, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। আপনি যেই মতেরই হোন না কেন, আপনার বক্তব্য কতটুকু যৌক্তিক তার ওপরেই নির্ভর করবে আপনার লেখার গুরুত্ব। এমনকি, আপনার যৌক্তিক মতামত যদি এই ওয়েবসাইটের মূল নীতির বিরুদ্ধেও যায়, আপনাকে এখানে আপনার মতামত প্রকাশের সর্বোচ্চ সুযোগ পাবেন। বাক-স্বাধীনতা আপনার অধিকার এবং আপনি জন্মগতভাবেই এই অধিকার প্রাপ্ত। যেহেতু আমরা যৌক্তিক চিন্তাকে উৎসাহ দিই, তাই শুধুমাত্র অযৌক্তিক, মিথ্যা বা প্রোপাগান্ডামূলক বক্তব্য বাদে আপনি আপনার বক্তব্য যুক্তি এবং তথ্যপ্রমাণ সহকারে এখানে উপস্থাপন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মালিকানা চ্যালেঞ্জ
নাস্তিক্যবাদ, সংশয়বাদ, অজ্ঞেয়বাদ প্রধানত যুক্তি, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এবং বিশ্লেষণের ওপরে নির্ভরশীল। তাই নাস্তিক্যবাদ, সংশয়বাদ, অজ্ঞেয়বাদ ভুল এবং ঈশ্বর আসলেই আছে, এরকম কোন যথোপযুক্ত প্রমাণ, তথ্য, যুক্তি এবং বিশ্লেষণ উপস্থাপন করতে পারলে তাকে সাধুবাদ জানিয়ে এই ওয়েবসাইটটির মালিকানা যিঁনি এমনটি প্রমাণ করতে পারবেন, তাঁকে প্রদান করা হবে। শুধু ঈশ্বরই নয়, যেকোন অলৌকিক ঘটনা যা আসলেই অলৌকিক, যার কোন ভৌত ও প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই, অথবা যা কোন অতি প্রাকৃতিক সত্ত্বার অস্তিত্বকে নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, এরকম কিছু প্রমাণ করতে পারলে তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেয়া হবে। পুরষ্কারের অর্থ ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করা হবে।
“সংশয় – চিন্তার মুক্তির আন্দোলন”-এর নীতিমালা
“সংশয় – চিন্তার মুক্তির আন্দোলন” – ওয়েবসাইটটিকে একটি গবেষণাধর্মী এবং তথ্যমূলক প্রবন্ধের সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই ওয়েবসাইটে লিখতে আগ্রহী লেখকদের অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যে, শুধুমাত্র মতামত কিংবা ফেইসবুক স্ট্যাটাসের উপযোগী লেখা সংশয় ডট অর্গ আর গ্রহণ করছে না। এই ধরণের লেখা অবশ্যই গুরুত্বপুর্ণ, কিন্তু সেগুলো পোস্ট করার জন্য ফেইসবুকই আদর্শ জায়গা। এই ধরণের লেখা আমরা প্রকাশ করি না। শুধুমাত্র রেফারেন্সভিত্তিক, তথ্যপ্রমাণ সমৃদ্ধ, গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ আমরা প্রকাশ করি। এখানে প্রবন্ধ পোস্ট করার নিয়মাবলী দেয়া হচ্ছে৷লেখকগণ অনুগ্রহ করে এই নিয়মগুলো ফলো করুন।
সাধারণ নিয়মাবলী
১। “সংশয়-চিন্তার মুক্তির আন্দোলন” বাক স্বাধীনতার পক্ষে শক্তভাবে অবস্থান নেয়। যেকোন ধর্ম, জাতি, গোত্র, লিঙ্গ ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোন রকম পক্ষপাত করে কোন প্রকার প্রবন্ধ কিংবা মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না। তবে সকল বিশ্বাস, মতাদর্শ, রাজনৈতিক চিন্তাকে সমালোচনা, কটাক্ষ, স্যাটায়ার সবকিছুই করা যাবে। আপনি আস্তিক কিংবা নাস্তিক, সেটি গুরুত্বপুর্ণ নয়। আপনার লেখা কতটুকু যৌক্তিক এবং তথ্যসমৃদ্ধ সেটিই আমাদের কাছে গুরুত্বপুর্ণ।
২) ‘ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস’-এর আর্টিকেল-১৯ এ লেখা রয়েছে,
Article 19
Everyone has the right to freedom of opinion and expression; this right includes
freedom to hold opinions without interference and to seek, receive and impart
information and ideas through any media and regardless of frontiers.
সংশয়-চিন্তার মুক্তির আন্দোলন এই ডিক্লারেশনের সাথে সম্পূর্ণ একমত এবং এই আইনের ওপর ভিত্তি করেই এই ওয়েবসাইটটি পরিচালিত হবে।
৩) কোন লেখা খুন, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদকে সমর্থন বা উৎসাহিত করে কিংবা যেকোন বর্ণবাদী, লিঙ্গবৈষম্যমূলক, জাতিবিদ্বেষী লেখা বিনা নোটিসে মুছে দেয়া হবে। কোন লেখায় কারো শারীরিক অক্ষমতাকে কটাক্ষ করা হলে, সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে কটাক্ষ করা হলে কিংবা পর্নগ্রাফিক বক্তব্য থাকলে, সেই লেখকের লেখার ক্ষমতা সীমিত করে দেয়া হবে। এই ধরণের লেখা বা মন্তব্য আমাদের নিয়ম পরিপন্থী বলে বিবেচিত হবে।
৪) আপনি সংশয় ডট অর্গের নীতিমালার সাথে সম্মত হলে, নিয়মিত লেখক স্ট্যাটাস পেতে সম্পাদক , মাতুব্বর , মারুফুর তিনজনকে CC তে রেখে তাদের বরাবর একটি ইমেইল করুন। সাথে আপনার একটি লেখার স্যাম্পল পাঠান।
সদস্যপদ
সদস্যপদ পেতে হলে আপনাকে শুরুতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেই সময়ে আপনি একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে মন্তব্য করার অধিকাপ্রাপ্ত হবেন। এরপরে আপনাকে একটি লেখা যথোপযুক্ত তথ্য প্রমাণ সহকারে ইমেইল করে পাঠাতে হবে সম্পাদকদের বরাবর। লেখাটির গুরুত্ব বিবেচনায় আপনাকে একজন পূর্নাঙ্গ লেখক হিসেবে সুবিধা দেয়া হবে। মনে রাখতে হবে, সংশয় ডট অর্গ অসংখ্য লেখা বা পাঠকে পরিপুর্ণ হওয়ার চাইতে অতি অল্প সংখ্যক মানসম্মত এবং যৌক্তিক লেখাকেই বেশি গুরুত্ব দেবে। যেকোন লেখক ইচ্ছা হলে নিজের আসল নাম অথবা ছদ্ম নাম (pseudonym/pen name) গ্রহণ করে লেখার অধিকার রাখেন। প্রত্যেক সদস্যের নিরাপত্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় সংশয় ডট অর্গ অঙ্গিকারবদ্ধ। কোন অবস্থাতেই সদস্যের কোন তথ্য রাষ্ট্রীয় বা গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্য কোন মহলকেই দেয়া হবে না।
যেকোন লেখার সৌন্দর্য্যবর্ধণসহ গুগল সার্চে লেখাটির অবস্থান নির্ধারণ থেকে শুরু করে বেশ কিছু প্রায়োগিক বিষয়াদি সম্পাদকগণ নিয়ন্ত্রণ করবেন।
গুটেনবার্গ এডিটর কী?
সংশয় ডট অর্গ গুটেনবার্গ এডিটর ব্যবহার করে। গুটেনবার্গ হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন টেক্সট এডিটর। এটি জোহানেস গুটেনবার্গের নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি ৫০০ বছর আগে প্রিন্টিং প্রেস আবিষ্কার করে পৃথিবীর একটি আমূল পরিবর্তনের সুচনা করেছিলেন। আগের সমস্ত টেক্সট এডিটরের চাইতে এটি গুণেমানে অনেক বেশি উন্নত এবং ভবিষ্যতে এই টেক্সট এডিটরটি আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। সকল লেখককে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা এই এডিটরে লেখা পোস্ট করাটি শিখে নিন। ইউটিউবে এই এডিটরে লেখার অসংখ্য টিউটোরিয়াল পাবেন।
গুটেনবার্গ এডিটর দিয়ে লেখা শুরু করতেই যা আপনি দেখতে পাবেন, সেটি নিচের ছবির মত হবে। লক্ষ্য করুন, Add title, তার নিচে Start writing or type / to choose a block আসবে। পছন্দমতো ব্লক সিলেক্ট করুন।
শিরোনাম
শিরোনাম যথাসম্ভব ছোট, বোধগম্য এবং লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। অনুগ্রহ করে বেশি লম্বা শিরোনাম দেবেন না। শিরোনাম অতিরিক্ত লম্বা হলে সংশয় ডট অর্গের সম্পাদক মণ্ডলী তা ছোট করে দিতে পারেন।
ফিচার্ড ফটো
- ১) ফিচার্ড ফটো ৭২৫×৪০০ পিক্সেলের হতে হবে। (ResizeImage অথবা PicResize এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে ছবি পছন্দমতো রিসাইজ করা যাবে)
- ২) ফিচার্ড ফটোর সাইজ ৩০ কিলোবাইটের মধ্যে হতে হবে। ( এই ওয়েবসাইট থেকে ছবির সাইজ কমানো যাবে)
- ৩) ছবি অবশ্যই jpg ফরমেটে হতে হবে।
- ৪) কোনো ঘোলাটে ছবি ব্যবহার করা যাবে না, কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে।
প্রবন্ধ
- ১) বানানের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ভুল বানানে লিখিত যেকোন প্রবন্ধ মুছে ফেলা হতে পারে।
- ২) প্রয়োজনমাফিক যথেষ্ট পরিমাণ তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে হবে এবং সেসব অবশ্যই নির্ভরযোগ্য হতে হবে। অনির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র যুক্ত করবেন না।
- ৩) মার্জিত ভাষায় লিখতে হবে, কোনোপ্রকার শব্দ বিকৃতি গ্রহণযোগ্য হবে না।
- ৪) যথাযথভাবে বিরামচিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
- ৫) প্রতি দুই শব্দের মাঝেই একটি করে স্পেস দিতে হবে। কোথাও একটির স্থলে দুটি দেওয়া যাবে না।
- ৬) প্রতি দুই প্যারা এক একটি গুটেনবার্গ ব্লকের মধ্যে রাখতে হবে।
- ৭) যেকোন উদ্ধৃতি বা বাইরের তথ্য ব্লককোটের মধ্যে রাখতে হবে।
- ৮) উদ্ধৃতির যথাযথ তথ্যসূত্র যুক্ত করতে হবে।
- ৯) আমরা ছোট ছোট খণ্ডে পর্ব ১ পর্ব ২ এই ধরণের লেখাকে নিরুৎসাহিত করি। এর চাইতে একটি বড় পোস্টে সব পর্ব সন্নিবেশন করাকে উৎসাহিত করি।
হেডিং যুক্ত করা
লেখায় প্রয়োজনমাফিক হেডিং যুক্ত করতে হবে। ডিফল্ট হেডিং H2 দিয়ে শুরু করতে হবে। H1 হেডিং ব্যবহার করা যাবে না। কারণ H1 হেডিং পোস্ট টাইটেলের জন্য সংরক্ষিত। এরপরে ক্রমধারা অনুসারে H3,H4,H5,H6 হেডিং ব্যবহার করতে হবে। হেডিং সমূহ পরবর্তীতে Table Of Contents এ যুক্ত হবে। নিচে হেডিং তৈরির প্রক্রিয়া দেখে নিন-
হাইপারলিঙ্ক যুক্ত করা
সংশয় ডট অর্গ কোন ওপেন লিঙ্ক সাপোর্ট করে না। আপনি আপনার লেখায় www.google.com এই ধরণের কিছু লিখতে পারবেন না। তবে Google লিখে এর ভেতরে লিঙ্কটি হাইপারলিঙ্ক হিসেবে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন। সেটি যেভাবে করবেন, তা নিচের ছবি থেকে দেখে নিন-
ছবি যুক্ত করতে হলে
- লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক ছবি যুক্ত করলে ছবিটি jpg ফরমেটে যুক্ত করুন।
- ছবিটিকে এডিট করার জন্য এই ওয়েবসাইটটিকে ব্যবহার করুন। এই ওয়েবসাইটে খুব সহজেই ছবিগুলোর লাইন ভিন্ন রঙ এ আন্ডারলাইন করা যায়, ছবিকে রিসাইজ করা যায়, ছবির ফরমেট পরিবর্তন করা যায়।
- এই ওয়েবসাইট থেকে ছবিটি ডাউনলোড করার পরে ছবিটিকে রিনেইম করুন। মূল লেখার সাথে প্রাসংগিক, এমন একটি নামে ছবির ফাইলটিকে নামকরণ করুন। এরপরে ছবিটি আপলোড করুন।
- ছবির সাথে Alt text (alternative text) হিসেবে ছবিটির সম্পর্কে এক লাইনে সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখুন।
- প্রয়োজন হলে ছবিটির সাথে যথাযথ ক্যাপশন ব্যবহার করুন।
- অতিরিক্ত বড় ছবি ব্যবহার করবেন না।
ভিডিও যুক্ত করতে হলে
ভিডিও যুক্ত করতে হলে একটি গুটেনবার্গ ব্লক এড করুন, সেখানে ইউটিউব সহ অন্যান্য ভিডিও লিঙ্ক যুক্ত করার অপশন পাবেন। আপনি যেখান থেকে ভিডিওটি পোস্টে যুক্ত করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করে লিঙ্কটি দিয়ে দিন।
Excerpt যুক্ত করতে হবে
ডানদিকের সেটিংসে দেখবেন Document অপশন রয়েছে, তার নিচে Write an excerpt (optional) নামে একটি বক্স পাবেন। সেখানে পুরো প্রবন্ধটি থেকে দুই বা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লাইন, যা মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দেয়, তা যুক্ত করুন।
Tag যুক্ত করুন
অনুগ্রহ করে Tag তৈরি করা বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আমরা Tag তৈরি করাকে নিরুৎসাহিত করি। অনর্থক Tag তৈরি করবেন না। নিতান্তই জরুরি প্রয়োজনে ট্যাগ নির্বাচন করুন।
সঠিক Categories নির্বাচন করুন
অনুগ্রহ করে যথাযথ Category নির্বাচন করুন। নতুন Category তৈরি করবেন না। ক্যাটাগরি শুধুমাত্র সম্পাদকগণই প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করবেন।
লিঙ্ক যুক্ত করা
ফুটনোট
আপনারা রেফারেন্সিং এর জন্য ফুটনোট ব্যবহার করুন। ফুটনোট ব্যবহারের জন্য রেফারেন্সের শুরুতে দুইবার প্রথম ব্রাকেট দিয়ে শুরু করুন, শেষে আবার দুইবার প্রথম ব্রাকেট দিন। নিচের ছবিতে উদাহরণ দেখুনঃ
উপরে দেখুন, প্রথম ব্রাকেটের ভেতরে রেফারেন্সটি দেয়া হয়েছে। লেখাটির নিচে ফুটনোট নম্বর সহকারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়ে যাবে। নিচে দেখুন, ফুট নোট তৈরি হয়ে গেছে-
অন্যান্য বিষয়
যেকোন অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে যেকোন জিজ্ঞাসা থাকলে সকল সম্পাদককে CC তে রেখে একটি ইমেইল করুন। ব্যস্ততার কারণে অনেক সময়ই আমাদের পক্ষে ইমেইল পড়া এবং উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না। এরকম হলে এবং উত্তর না পেলে, একই ইমেইল দুই তিনদিন পরে আবারো করুন।
মনে রাখতে হবে, আমরা কেউই লেখার কাজে অর্থ উপার্জন করি না, এবং জীবন ধারণের জন্য আমাদের অন্যান্য কাজ করতে হয়। তাই উত্তর না পেলে বা আপনার ইমেইলটি পড়া না হলে অনুগ্রহ করে আবারো চেষ্টা করুন। আমরা আমাদের সীমিত সাধ্য দিয়ে আপনাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করবো।
সবাইকে ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
সম্পাদক
সংশয় – চিন্তার মুক্তির আন্দোলন