ধার্মিক পান্ডবরা যখন ঠান্ডা মাথার খুনি

পান্ডব 10

মহাকাব্য হিসেবে মহাভারত এর বিশালতা অনেক বেশি। সে অতীতের ভালোমন্দ সব ধারণ করে আছে। তাইতো মহাভারত এর চরিত্রগুলির মধ্যেও শুভ-অশুভ একসাথে মিশে আছে। কিন্তু কাব্য যখন ধর্মগ্রন্থের রূপ লাভ করে, তখন বাস্তবতা ভুলে  মানুষ কল্পনাবিলাসী হতে ভালোবাসে। তখন মানবেরা অতিমানব হয়ে ওঠে, তারা দেবত্ব লাভ করে। তারা হয়ে ওঠে প্রশ্নাতীত। কিন্তু এর বিপরীতে কালের ধর্ম হল যা পুরাতন তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা , তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা। সেই কালের গর্ভ হতে আমার জন্ম। আমি বর্তমানের প্রতিনিধি হয়ে এসেছি , তাইতো অতীতকে যাচাই করতে বসেছি , প্রশ্নাতীতকে প্রশ্নবিদ্ধ করছি।  

মহাভারতকে আমরা যতটা সরলভাবে দেখতে ভালোবাসি, এই মহাভারত আসলে অতটা সরল নয়। মহাভারতের নায়ক পান্ডবদের আমরা অত্যাচারিত, প্রতিবাদী এবং ধর্মের স্বরূপ ভাবতে ভালোবাসি। আর কৌরবদের আমরা ভাবি অত্যাচারী, লোভী এবং অধর্মের সাক্ষাৎ প্রতিমূর্তি।   কিন্তু পৃথিবীটা আসলে এতটা সাদাকালো নয়। এখানে সবকিছু হয় সাদা, না হয় কালো, এমন হয় না। সাদা কালোর মাঝে ধূসর থাকতে পারে, থাকতে পারে রঙধনুর সাত রং। মহাভারতের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।  তাই যখন মোহমুক্ত হয়ে আমরা পান্ডবদের  বিচারে প্রবৃত্ত হই, তখন আমরা তাদের অনেক দুষ্কর্মের সাক্ষাৎও পাই। সেইসব অপকর্মগুলোর মধ্যে একটির আজ আমরা পর্যালোচনা করবো। 

কৌরব-পান্ডব ভাইদের মধ্যকার গৃহযুদ্ধ এবং সিংহাসন নিয়ে ঘাত-প্রতিঘাত পুরো মহাভারত জুড়েই ফুটে উঠেছে। কৌরবরা বরাবর পান্ডবদের অনিষ্ট করতে চেয়েছে। তারা নানাসময় পান্ডবদের প্রাণ নাশের  ছক কষেছে  ।

একবার পাণ্ডবদের হত্যা করার জন্য দুর্যোধন-শকুনিরা ষড়যন্ত্র করে কুন্তিসহ পঞ্চপাণ্ডবকে বারণাবতে পাঠিয়ে দেন। দুর্যোধন তার মন্ত্রী পুরোচনকে দিয়ে বারণাবতে শণ, সর্জরস ইত্যাদি দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করান। মাটির সাথে প্রচুর ঘি, তেল মিশ্রিত জতু মিশিয়ে সেই ঘরের দেওয়ালে প্রলেপ দেওয়া হয়। এছাড়াও সেই ঘরের চারদিকে কাঠ, তেল প্রভৃতি দাহ্য পদার্থ রেখে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল সেই দাহ্য গৃহে আগুন লাগিয়ে কুন্তি সহ তার পাঁচ পুত্রকে পুড়িয়ে হত্যা করা।

অবশ্য পাণ্ডবহিতৈষি বিদূর দুর্যোধনের এই ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে ইঙ্গিতের মাধ্যমে যুধিষ্ঠিরকে সাবধান করে দিয়েছিলেন আগেভাগেই । বিদূর যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন, “ শত্রুর অভিসন্ধি যে জানে সে যেন বিপদ থেকে নিস্তারের উপায় করে। লৌহভিন্ন অন্য অস্ত্রেও প্রাণনাশ হয়। অগ্নিতে শুষ্কবন দগ্ধ হয় কিন্তু গর্তবাসীর হানি হয় না। মানুষ শজারুর ন্যায় গর্তপথে পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারে। যে লোক নক্ষত্র দ্বারা দিক নির্ণয় করতে পারে এবং পথ চিনে রাখে, সে নিজেকে এবং আরও পাঁচজনকে বাঁচাতে পারে।“

যুধিষ্ঠির বিদুরের সতর্কবার্তা বুঝতে পারলেন। এরপর পান্ডবরা বারণাবরতে গমন করলেন।  পাণ্ডবরা বারণাবতের সেই দাহ্য জতুগৃহে গিয়ে উপস্থিত হলে বুঝতে পারেন তাদের হত্যা করার জন্যই এই ঘর তৈরি করা হয়েছে। সেই সময় পাণ্ডবদের রক্ষা করার জন্য বিদূর একজন লোককে সেই ঘরে একটি সুড়ঙ্গ খোড়ার জন্য পাঠান। লোকটি সেই ঘরে একটি গোপন সুড়ঙ্গ খোড়েন, যাতে সে পথ দিয়ে পাণ্ডবরা সহজেই পালিয়ে যেতে পারেন।

বারণাবতে অনেকদিন থাকার পর যুধিষ্ঠির তার ভাইদের ডেকে বলেন, “ এখন আমাদের পলায়ণের সময় এসেছে, আমরা অন্ধকারে আগুন দিয়ে পুরোচনকে দগ্ধ করব এবং অন্য ছয়জনকে এখানে রেখে চলে যাব।“

‘অন্য ছয়জনকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার’ অর্থ হল- মাতা সহ পাণ্ডবেরা ছিলেন ছয়জন। পুরোচনের সাথে অন্য ছয়জনকে যদি পুড়িয়ে মারা যেত, তবে দুর্যোধনেরা ভাবতেন কুন্তি ও পাণ্ডবেরা আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছেন।  আর সেই সুযোগে পাণ্ডবেরা দুর্যোধন-শকুনিদের হাত থেকে পালিয়ে বেঁচে থাকতে পারতেন।

পাণ্ডবেরা যখন ঠিক করলেন, তারা পুরোচন ও অন্য ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে পালিয়ে যাবেন, তখন একদিন কুন্তি ব্রাহ্মণভোজন এর ডাক দিলেন। ব্রাহ্মণেরা সেই অনুষ্ঠানে এলেন।  তারা পানভোজন করে কুন্তির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। সেইসময় ক্ষুধার্ত এক নিষাদী তার পাঁচ পুত্রের সাথে সেই স্থানে উপস্থিত হলেন। কুন্তি তাদের ভালোভাবে পানভোজন করালেন। নিষাদী ও তার পুত্রেরা অতিরিক্ত মদ্যপান করায় অজ্ঞান ও মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে থাকেন। গভীর রাতে যখন জোরে জোরে বাতাস বইতে থাকে, তখন উপযুক্ত সময় বুঝতে পেরে ভীম প্রথমে পুরোচনের ঘরে , তারপরে জতুগৃহে আগুন লাগিয়ে দেন। আগুনের তাপ ও শব্দপ্রাবল্যে পৌরবাসীরা জেগে ওঠেন। তারা পাণ্ডবদের ঘর দগ্ধ হয়েছে দেখে শোকাহত হয়ে বলতে থাকেন,” পাপিষ্ঠ পুরোচন দুর্যোধনের আদেশে এই গৃহদাহ করে পান্ডবদের বধ করেছে । দুর্বুদ্ধি ধৃতরাষ্ট্রকে ধিক, যিনি নির্দোষ পাণ্ডবগণকে শত্রুর ন্যায় হত্যা করিয়েছেন। ভাগ্যক্রমে পাপাত্মা পুরোচনও পুড়ে মরেছে। ”  অন্যদিকে মাতা কুন্তি সমেত পাণ্ডবেরা আগে খুড়ে রাখা গর্ত দিয়ে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যান।

সকালবেলা পৌরবাসীরা পাণ্ডবদের দেখার জন্য আগুন নেভান। তারা অগ্নিদগ্ধ নিষাদী ও তার পাঁচ পুত্রকে দেখতে পান । তারা  ভাবেন এরা বুঝি  কুন্তি ও তার পাঁচ পুত্র। [1]

মহাভারত থেকে সরাসরি উদ্ধৃতি দিচ্ছিঃ

“তদনন্তর পৌরগণ পাণ্ডবদিগের অন্বেষণার্থে অগ্নি নির্বাণ করিতে করিতে ভস্মীভূত নিরপরাধা নিষাদী ও তাহার পঞ্চপুত্রকে দেখিতে পাইলেন, তাহারা উহাদিগকেই পঞ্চপুত্র সমবেতা কুন্তি বলিয়া স্থির করিল।“ [2]

লক্ষ্য করুন, মহাভারতকার নিজেও বলছেন ‘ভস্মীভূত নিরপরাধা নিষাদী ও তাহার পঞ্চপুত্র’। মহাভারতের রচয়িতা নিজেও আসলে জানতেন যে, ওই নিষাদী মাতা ও তার পুত্রেরা নিরপরাধ।

এভাবেই ধর্মপুত্র সত্যবাদী যুধিষ্ঠির, তার মাতা কুন্তি ও তার পরম ধার্মিক ভাইয়েরা এক নিষাদী ও তার পাঁচ পুত্রকে মদ্যপ অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন। যুধিষ্ঠির আগেই স্থির করেছিলেন , ‘অন্য ছয়জনকে এখানে রেখে চলে যাব।‘ এই ঘটনার জন্য পঞ্চপান্ডবদের আর কখনো অনুতপ্ত হতে বা দুঃখ প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি।

পঞ্চপাণ্ডবের এই কাজ মহাভারতের সারানুবাদকারী রাজশেখর বসুকেও অবাক করেছিল। তিনি তার মহাভারতের সারানুবাদের ভূমিকায় বিষয়টি নিয়ে লিখেছেনঃ-

“মহাভারতে যে ঘটনাগত অসঙ্গতি দেখা যায় তার কারণ – বিভিন্ন কিংবদন্তীর যোজনা। চরিত্রগত অসঙ্গতির একটি কারণ – বহু রচয়িতার হস্তক্ষেপ, অন্য কারণ- প্রাচীন ও আধুনিক আদর্শের পার্থক্য। সেকালের আদর্শ এবং ন্যায়-অন্যায়ের বিচারপদ্ধতি সকল ক্ষেত্রে একালের সমান বা আমাদের বোধগম্য হতে পারে না। মহামতী দ্রোণাচার্য একলব্যকে তার আঙ্গুল কেটে দক্ষিণা দিতে বললেন , অর্জুনও তাতে খুশি। জতুগৃহ থেকে পালাবার সময় পাণ্ডবরা বিনা দ্বিধায় এক নিষাদী ও তার পাঁচ পুত্রকে পুড়ে মরতে দিলেন। দুঃশাসন যখন চুল ধরে  দ্রৌপদীকে দ্যুতসভায় নিয়ে এল তখন দ্রৌপদী আকুল হয়ে বললেন , ‘ভীষ্ম, দ্রোণ, বিদূর আর রাজা ধৃতরাষ্ট্রের কি প্রাণ নেই? কুরুবৃদ্ধগণ কি এই দারুণ অধর্মাচার দেখতে পাচ্ছেন না?’ দ্রৌপদী বহুবার প্রশ্ন করলেন, ‘ আমি ধর্মানুসারে বিজিত হয়েছি কিনা আপনারা বলুন।‘ ভীষ্ম বললেন, ‘ধর্মের তত্ত্ব অতি সূক্ষ্ম , আমি তোমার প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দিতে পারছি না। ‘ বীরশ্রেষ্ঠ শিভালরস কর্ণ অম্লানবদনে দুঃশাসনকে বললেন, ‘ পান্ডবদের আর দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ কর।‘ মহাপ্রাজ্ঞ ভীষ্ম আর মহাতেজস্বী দ্রোণ চুপ করে বসে ধর্মের সূক্ষ্ম তত্ত্ব ভাবতে লাগলেন। ভীষ্ম-দ্রোণ দুর্যোধনাদির অন্নদাস এবং কৌরবদের হিতসাধনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, কিন্তু দুর্যোধনের উৎকট দুষ্কর্ম সইতেও কি তারা বাধ্য ছিলেন? তাদের কি স্বতন্ত্র হয়ে কিংবা যুদ্ধে কোনও পক্ষে যোগ না দিয়ে থাকবার কোনো উপায় ছিল না? এ প্রশ্নের আমরা বিশদ উত্তর পাই না।“

যাইহোক, শেষে কিছু প্রশ্ন রেখে গেলাম। যারা এই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবতে চান, তারা ভাবতে পারেন।  নিরপরাধ মনুষ্যদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা এই পাণ্ডবেরাই কি তথাকথিত ‘সনাতন ধর্মের’ অনুসারী এবং এর আদর্শ? আর তাদের লড়া কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ কি আসলেই ধর্মযুদ্ধ, ধর্মের জন্য যুদ্ধ? এমন নিষ্ঠুর স্বভাবের পাণ্ডবেরা যদি সত্যই ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন এবং তাদের এসব কাজও ধর্মের মধ্যেই পড়ে থাকে,  তবে সেই ধর্ম ও তার নৈতিকতাই কি প্রশ্নবিদ্ধ নয়?

.

.

বি.দ্রঃ কালিপ্রসন্ন সিংহের মহাভারতের পূর্ণ অনুবাদের চারটি অধ্যায়ের এতগুলো স্ক্রিনশট এখানে দেওয়া সম্ভব হল না। নিচে কালিপ্রসন্ন সিংহ কর্তৃক অনূদিত মহাভারত ডাউনলোড করার লিংক রয়েছে। বইটি ডাউনলোড করে যাচাই করুন।

( মহাভারতের রাজশেখর বসুর এবং কালিপ্রসন্ন সিংহ সহ আরো অনেক অনুবাদ ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে )

সবার জন্য রাজশেখর বসুর সারানুবাদের স্ক্রিনশট দেওয়া হয়েছে তথ্যসূত্রে ।

** আর যারা তথ্যসূত্র ছাড়া জোরগলায় গালগল্প প্রচার করতে আসছেন, তারা দয়াকরে আগে তথ্যসূত্র দেবেন। তথ্যসূত্র ছাড়া কোনো কথা যেমন লেখক বলেন না, তেমনি তথ্যসূত্র ছাড়া কোনো বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে বিচারও করেন না।
.

.

তথ্যসূত্র

  1. রাজশেখর বসু কর্তৃক অনূদিত মহাভারত/ আদিপর্ব /জতুগৃহপর্বাধ্যায় এবং  কালিপ্রসন্ন সিংহ কর্তৃক অনূদিত মহাভারত/ আদিপর্ব/ ১৪৭ অধ্যায় দেখুন।



    ** রাজশেখর বসুর মহাভারতের সারানুবাদের জতুগৃহপর্বাধ্যায় এর স্ক্রিনশট নিচে রইলোঃ

    রাজশেখরের সারানুবাদ ১
    রাজশেখরের সারানুবাদ ২
    রাজশেখরে অনুবাদ ৩
    রাজশেখরের অনুবাদ ৪

    []

  2. কালিপ্রসন্ন সিংহ কর্তৃক অনূদিত মহাভারত/ আদিপর্ব/ ১৫০ অধ্যায় 

    সম্পূর্ণ ঘটনা পাবেন- কালিপ্রসন্ন সিংহের অনূদিত মহাভারতের আদিপর্বের , ১৪৭-১৫০ অধ্যায়ে। []

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন

View Comments (3)

  • আমার কাছে হয়ত তথ্য নেই, তবে আমি যতদুর শুনেছি যারা কুন্তীসহ পান্ডবদের মারার জন্য যে গৃহ তৈরি করেছিল তারাই ওই গৃহে পুড়ে মরেছিল।
    আর একলব্যের কাহিনীতে দ্রোণ জানত সে অস্ত্রশিক্ষা নিচ্ছে রাজার বিরূদ্ধে যাবার উদ্দেশ্যে।
    আর বস্ত্রহরণের কাহিনীটা রাজধর্মের প্যাচে পড়ে সর্বস্ব হারানো পাণ্ডব যখন ক্রীতদাস এদের উপর যা খুশি তাই করানো যায়, মহামুনি ভীষ্মের এর বিরূদ্ধে যাওয়া উচিত ছিল কিন্তু তিনিও ধর্মের শিকলে আবদ্ধ, চাইলেও তিনি কিচ্ছু বলেন নি। এজন্যে প্রত্যেকেই পরবর্তিতে শাস্তি পেয়েছিল।
    হ্যা, আমি মানছি এখানের প্রত্যেকটা ঘটনাতে কৌরবভিন্ন বাকিদের অধর্ম করেছিল কিন্তু ঘটনা বিশ্লেষণে প্রত্যেকরই সেইসময়ে সেটাই ধর্ম বলে মনে করেছিল। হয়ত রেফারেন্সসহ আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি।
    আসলে এই ধর্ম অধর্মের ফারাক বুঝানোর জন্যই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল। আপনার পোস্টটি ভাল ছিল, ধন্যবাদ।

  • তথ্য ছাড়া শোনা কথার তেমন মূল্য নেই। আপনি যে কাহিনী বললেন, মহাভারতে তা নেই। আমি কালিপ্রসন্নের পূর্ণ অনুবাদ এবং রাজশেখরের সারানুবাদ দুটোই দেখিয়েছি।

    "আর একলব্যের কাহিনীতে দ্রোণ জানত সে অস্ত্রশিক্ষা নিচ্ছে রাজার বিরূদ্ধে যাবার উদ্দেশ্যে।" এটাও শোনা ভুয়া কথা, তথ্যসূত্র দিতে পারবেন না। মহাভারতে বলা আছে একলব্য নীচুজাতির বলে দ্রোণ তাকে শিক্ষা দেননি।

    আমি তথ্যসূত্র ছাড়া কিছু বলিনা। আর তথ্যসূত্র দিয়ে বললেও গালির বন্যা বয়ে যায়। আর শোনা কথা প্রচার করলে তো ছিঁড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলতো কিছু লোক।

  • আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি আপনি যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন মূল বিষয় এমনটা নয়।

Leave a Comment