তথ্য সমূহ – খ্রিস্টধর্ম

Print Friendly, PDF & Email

বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের বিতর্ক এবং আলোচনায় খ্রিস্টধর্মের বিভিন্ন রেফারেন্স আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে আমাদের সকলেরই প্রয়োজন হয়। দেখা যায়, খ্রিস্ট ধর্মের নানা তথ্য আমাদের মনে আছে কিন্তু তা কোন বাইবেলে বা অনুবাদে রয়েছে বা কোন খণ্ডে রয়েছে তা মনে নেই। এইসব সমস্যার মোকাবেলা করার জন্য এই তথ্যভাণ্ডারটি তৈরি করা হচ্ছে।

এই তথ্যভান্ডারটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি। আপনাদের সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ অন্ধভাবে আমাদের অনুসরণ না করে নিজে মিলিয়ে (cross referencing) দেখুন। প্রয়োজনীয় রেফারেন্স, বই এবং লিঙ্ক আমরাই আপনাদের জন্য জোগার করে দেবো। কেউ কোনো তথ্য যুক্ত/সংশোধন করে দিলে আমরা গালাগালি নয়, বিনয়ের সাথে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করব।

উল্লেখ্য, এখানে শুধুমাত্র তথ্যসূত্রগুলো উল্লেখ করা হবে। সেগুলো নিয়ে কোন আলোচনা, বা বিতর্ক এখানে অনুগ্রহ করে শুরু করবেন না। শুধুমাত্র আপনারা জানা কোন সংযোজন বা কোন রেফারেন্সে ভুল দেখতে পেলে জানাবেন।

এই তথ্যভাণ্ডারটি সমৃদ্ধ করবার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন নাস্তিক্য ডট কমের সম্পাদক বৃন্দ, শুধুমাত্র আপনার সুবিধার জন্য। অনুগ্রহ করে এখান থেকে রেফারেন্স সংগ্রহ করলে আমাদের লিঙ্কটি সাথে যুক্ত করে দেবেন। সেই সাথে, এই লিস্টটি আরো সমৃদ্ধ করতে আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য। আপনাদের কাছে খ্রিস্টধর্মের নানা রেফারেন্স রয়েছে, তা নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে এই তথ্যভাণ্ডারটি আপনিও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করতে পারেন।

বাইবেলের পুরাতন নিয়ম (Old Testament) এবং নতুন নিয়ম (New Testament) উভয় স্থানেই বারংবার এটা বলা হয়েছে যে, ঈশ্বরের সকল আইন উত্তম এবং চিরস্থায়ী। এর কখনো বিলোপ হবে না। খোদ যিশুখ্রিষ্ট থেকে উক্তি আছে যে তিনি পুরাতন নবীদের শিক্ষা সামান্যতমও বাতিল করতে আসেননি। খ্রিষ্ট ধর্মের জনক সাধু পল পর্যন্ত বলে গেছেন যেঃ সকল গ্রন্থের কথাগুলোই শিক্ষনীয়। কাজেই খ্রিষ্টান প্রচারকরা বাইবেলের নৃশংস জিনিসগুলোকে ‘Old Testament এর আইন’, ‘ইস্রায়েলের ইতিহাস; আমাদের বিধান না!’ এসব কথা বলে যে অযুহাত দেন তা নিতান্তই অগ্রহণযোগ্য।

” একেবারে শুরু থেকে আপনার প্রত্যেকটি বাক্যকেই নির্ভর করা যাবে| প্রভূ এবং আপনার সমস্ত ভালো ও ন্যায্য বিধিগুলো চিরদিনই থাকবে|

” All your words are true; all your righteous laws are eternal. ” (সামসঙ্গীত (Psalms) ১১৯ : ১৬০)

“য়োহন বাপ্তাইজকের (John The Baptist / ইয়াহইয়া) সময় পর্যন্ত বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষার প্রচলন ছিল৷ তারপর থেকে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় সুসমাচার প্রচার করা শুরু হয়েছে৷ আর সেই রাজ্যে প্রবেশ করার জন্য সবাই প্রবলভাবে চেষ্টা করছে৷ তবে বিধি-ব্যবস্থার এক বিন্দু বাদ পড়ার চেয়ে বরং আকাশ ও পৃথিবীর লোপ পাওযা সহজ৷” The Law and the Prophets were proclaimed until John.Since that time, the good news of the kingdom of God is being preached, and everyone is forcing his way into it.It is easier for Heaven and Earth to pass away than for the smallest part of the letter of the law to become invalid.”

(লুক (Luke) ১৬ : ১৬-১৭)

“(যিশু বললেন) ভেবো না য়ে আমি মোশির বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষা ধ্বংস করতে এসেছি৷ আমি তা ধ্বংস করতে আসিনি বরং তা পূর্ণ করতেইএসেছি৷ আমি তোমাদের সত্যি বলছি আকাশ ও পৃথিবীর লোপ না হওয়া পর্যন্ত বিধি-ব্যবস্থার বিন্দু বিসর্গও লোপ হবে না, বিধি-ব্যবস্থার সবই পূর্ণ হবে৷ তাই কেউ যদি এইসব আদেশের মধ্যে অতি সামান্য আদেশও অমান্য করে আর অপরকে তা করতে শিক্ষা দেয়, তবে সে স্বর্গরাজ্যে সব থেকে তুচ্ছ বলে গন্য হবে৷ কিন্তু যাঁরা বিধি-ব্যবস্থা পালন করে ও অপরকে তা পালন করতে শিক্ষা দেয়, তারা স্বর্গরাজ্যে মহান বলে গন্য হবে৷ আমি তোমাদের সত্যি বলছি ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের থেকে তোমাদের ধার্মিকতা যদি উন্নত মানের না হয় তবে তোমরা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না৷

” Do not think that I have come to abolish the Law or the Prophets; I have not come to abolish them but to fulfil them. I tell you the truth, until heaven and earth disappear, not the smallest letter, not the least stroke of a pen, will by any means disappear from the Law until everything is accomplished. Anyone who breaks one of the least of these commandments and teaches others to do the same will be called least in the kingdom of heaven, but whoever practises and teaches these commands will be called great in the kingdom of heaven. For I tell you that unless your righteousness surpasses that of the Pharisees and the teachers of the law, you will certainly not enter the kingdom of heaven.

(মথি (Matthew) ৫ : ১৭-২০)

“সমস্ত শাস্ত্রই ঈশ্বর দিয়েছেন এবং অনুয়োগ, সংশোধন ও ন্যায়পরায়ণ জীবনযাপনের জন্য প্রতিটি বাক্যই সঠিক নির্দেশ দিতে পারে৷ য়েন তার দ্বারা ঈশ্বরের লোক পরিপক্ক ও সমস্ত সত্ কর্মের জন্য সুসজ্জিত হয়৷

” All Scripture is God-breathed and is useful for teaching, rebuking, correcting and training in righteousness, so that the man of God may be thoroughly equipped for every good work.”

(২ তিমথিয় (2 Timothy) ৩ : ১৬-১৭)

 

পুরাতন নিয়ম (Old Testament)

নতুন নিয়ম (New Testament)

একথা ভেবো না য়ে আমি পৃথিবীতে শান্তি দিতে এসেছি৷ আমি শান্তি দিতে আসি নি কিন্তু খড়গ (তলোয়ার) দিতে এসেছি৷
আমি এই ঘটনা ঘটাতে এসেছি:‘আমি ছেলেকে বাবার বিরুদ্ধে, মেয়েকে মায়ের বিরুদ্ধে, বৌমাকে শাশুড়ীর বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে এসেছি৷ নিজের আত্মীয়েরাই হবে একজন ব্যক্তির সবচেয়ে বড় শত্রু৷
“Do not suppose that I have come to bring peace to the earth. I DID NOT COME TO BRING PEACE, BUT A SWORD.
For I have come to turn “`a man against his father, a daughter against her mother, a daughter-in-law against her mother-inlaw
a man’s enemies will be the members of his own household.’
(মথি (Matthew) ১০ : ৩৪-৩৬)

“আমি পৃথিবীতে আগুন নিক্ষেপ করতে এসেছি, ‘আহা, যদি তা আগেই জ্বলে উঠত৷”
I HAVE COME TO BRING FIRE ON EARTH, and how I wish it were already kindled!
(লুক (Luke) ১২ : ৪৯)

“যীশু তাঁদের বললেন, ‘কিন্তু এখন বলছি, যার টাকার থলি বা ঝুলি আছে সে তা নিয়ে যাক; আর যার কাছে তলোযার নেই সে তার পোশাক বিক্রি করে একটা তলোযার কিনুক৷ কারণ আমি তোমাদের বলছি:‘তিনি রোগীদের একজন বলে গন্য হবেন৷’যিশাইয় 53:12 শাস্ত্রের এই য়ে কথা তা অবশ্যই আমাতে পূর্ণ হবে: হ্যাঁ, আমার বিষয়ে এই য়ে কথা লেখা আছে তা পূর্ণ হতে চলেছে৷’ তাঁরা বললেন, ‘প্রভু, দেখুন দুটি তলোযার আছে!’তিনি তাঁদের বললেন, ‘থাক, এই যথেষ্ট৷’ He said to them, “But now if you have a purse, take it, and also a bag; and IF YOU DON’T HAVE A SWORD, SELL YOUR CLOAK AND BUY ONE. It is written: ‘And he was numbered with the transgressors’ ; and I tell you that this must be fulfilled in me. Yes, what is written about me is reaching its fulfillment.” The disciples said, “See, Lord, here are TWO SWORDS.” “That’s enough!” he replied. (লুক (Luke) ২২ : ৩৬-৩৮)

“তোমাদের কাছে কি আমি আরো দৃষ্টান্ত তুলে ধরব? আমার যথেষ্ট সময় নেই য়ে আমি তোমাদের কাছে গিদিযোন, বারক, শিম্শোন, যিপ্তহ, দাযূদ, শমূয়েল ও ভাববাদীদের সব কথা বলি; ওঁদের প্রচণ্ড বিশ্বাস ছিল৷ তাঁরা বিশ্বাসের দ্বারা রাজ্যসকল জয় করেছিলেন৷ তাঁরা যা ন্যায় তাই করলেন এবং ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতিগুলি পেলেন৷ তাঁরা সিংহদের মুখ বন্ধ করেছিলেন৷ কেউ কেউ আগুনের তেজ নিস্প্রভ করলেন, তরবারির আঘাতে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেন৷ এঁদের বিশ্বাস ছিল তাই এঁরা এসব করতে পেরেছিলেন৷ বিশ্বাসের বলেই দুর্বল লোকেরা বলশালী লোকে রূপান্তরিত হয়েছিলেন; তাঁরা যুদ্ধের সময় মহাবিক্রমী হয়ে শত্রু সৈন্যদের পরাস্ত করেছিলেন৷” (হিব্রুদের কাছে পত্র (Hebrews) ১১ : ৩২-৩৪)