সেক্স ওয়ার্ক , নারীবাদী পর্ন এবং সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম
সূচিপত্র
- 1 ভূমিকা
- 2 সেক্স ওয়ার্ক জিনিসটা কি?
- 3 সেক্স ওয়ার্ক এবং নারীবাদী বিভাজন
- 4 সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম
- 4.1 সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম-এর সংজ্ঞা
- 4.2 সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী নারীবাদ এবং বৈচিত্রময় যৌনতার মধ্যে পার্থক্য
- 4.3 সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম এবং মানসিক সুস্থতা
- 4.4 যৌন আনন্দের সংজ্ঞা
- 4.5 যৌন আনন্দের মূল্য
- 4.6 সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার স্বাধীনতা একটি মানবধিকার
- 4.7 সম্মতি
- 4.8 সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম এবং সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার লঙ্ঘন
- 4.9 সেক্স ওয়ার্কারদের নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখা যায়?
- 4.10 সেক্স ওয়ার্ক এবং অবজেক্টিফিকেশন আলাদা
- 4.11 পুরুষ সেক্স ওয়ার্কার-দের সংখ্যা এতো কম কেন?
- 4.12 তৃতীয় বিশ্ব দেশের সেক্স ওয়ার্কারদের সাথে জোট-গঠন
- 5 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-এর মধ্যে বিভ্রম
- 5.1 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব এক নয়
- 5.2 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলার ক্ষতি
- 5.3 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা ধর্ষণ সংস্কৃতিকে সমর্থন করে
- 5.4 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করে
- 5.5 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা বর্ণবাদী আদর্শকে অনুসরণ করে
- 5.6 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা যৌন পাচার/দাসত্ব-কে উপেক্ষা করে
- 5.7 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা HIV-এর নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেয়
- 5.8 সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলার বিরুদ্ধে নারীবাদী প্রতিবাদ
- 6 সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম কেন সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে?
- 6.1 সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ ঘোষণা করার ক্ষতি
- 6.2 সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা কিভাবে সেক্স ওয়ার্কারদের ক্ষতিগ্রস্ত করে?
- 6.3 সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সহিংসতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়
- 6.4 সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা HIV-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
- 6.5 সেক্স ওয়ার্ক অবৈধ করার বিরুদ্ধে নারীবাদী প্রতিবাদ
- 6.6 সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার ইতিবাচক দিক
- 7 সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে Stigma/লাঞ্ছনার ক্ষতি
- 7.1 “লাঞ্ছনা/Stigma” সেক্স ওয়ার্ক-এর মৌলিক বৈশিষ্ট নয়
- 7.2 সমাজের কারণে Stigma/লাঞ্ছনা বিদ্যমান
- 7.3 অসম্মানজনক ভাষা Stigma/লাঞ্ছনাকে বজায় রাখে
- 7.4 Stigma/লাঞ্ছনার কারণে নেতিবাচক প্রভাব
- 7.5 Stigma/লাঞ্ছনার কারণে সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিদ্যমান
- 7.6 Stigma/লাঞ্ছনা সেক্স ওয়ার্কারদের সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধা দেয়
- 7.7 Stigma/লাঞ্ছনা সেক্স ওয়ার্কারদের চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়
- 7.8 সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে Stigma/লাঞ্ছনা কমানোর প্রয়োজনীয়তা
- 8 সেক্স ওয়ার্ক-এর ইতিবাচক দিকগুলি
- 8.1 সেক্স ওয়ার্ক একটি সম্মানজনক পেশা
- 8.2 সেক্স ওয়ার্ক পুরুষতন্ত্রের ক্ষয় করে
- 8.3 সেক্স ওয়ার্ক ধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
- 8.4 সেক্স ওয়ার্ক নারীবাদের প্রকাশ
- 8.5 সেক্স ওয়ার্ক ধর্ষণের ভিক্টিমদের জন্যেও মর্যাদাপূর্ণ পেশা হতে পারে
- 8.6 সম্মতিমূলক সেক্স ওয়ার্ক এবং নারীদের যৌন আনন্দ
- 8.7 সেক্স ওয়ার্কার হতে চেয়েও সমাজের ভয়ে তারা হয় না
- 8.8 পুরুষরাও সেক্স ওয়ার্কার হতে পারে
- 9 বেশ্যা গর্ব (Slut Pride), মাগী ঐক্যবদ্ধ (Whore Solidarity) এবং নারীবাদী পর্ন
- 9.1 “নারীবাদ” এবং “পর্নোগ্রাফি” পারস্পর বিরোধী নয়
- 9.2 নারীবাদী পর্ন জিনিসটা কি?
- 9.3 নারীদের জন্যে পর্ন
- 9.4 একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
- 9.5 পর্ন বিরোধী অবস্থানের সমালোচনা
- 9.6 পর্নোগ্রাফির বিরোধিতা কিভাবে নারীদের যৌনতাকে দমন করে?
- 9.7 পর্নোগ্রাফির সংস্কার
- 9.8 পর্নোগ্রাফির অবৈধ করার বিরুদ্ধে নারীবাদী প্রতিবাদ
- 9.9 নারীবাদী পর্ন অ্যাওয়ার্ডস
- 9.10 বেশ্যা গর্ব (Slut Pride) এবং মাগী ঐক্যবদ্ধ (Whore Solidarity)
- 10 বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন কেন সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে?
- 10.1 ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেসন (World Health Organization)
- 10.2 অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (Amnesty International)
- 10.3 হিউমান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)
- 10.4 আন্তর্জাতিক আইন ও HIV কমিশন (The Global Commission on HIV and the Law)
- 10.5 ফ্রিডম নেটওয়ার্ক US (Freedom Network US)
- 10.6 আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (American Civil Liberties Union)
- 11 ক্রেতা এবং তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দিয়ে আমরা কি সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরোধিতা করতে পারি?
- 11.1 নিরাপদ যৌনতার বাধাগ্রস্ত
- 11.2 বিপদের সম্ভাবনা বেড়ে যায়
- 11.3 সেক্স ওয়ার্কারদের সুরক্ষিত রাখতে পারে না
- 11.4 পুলিশের কাছে সহিংসতার আন্ডার-রিপোর্টিং
- 11.5 সেক্স ওয়ার্কারদের ক্ষমতা কমে যায়
- 11.6 ক্ষতির পুনরাবৃত্তি
- 11.7 ক্ষতিকারক ব্যবসায়িক অনুশীলনের প্রচার
- 11.8 HIV-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়
- 11.9 সেক্স ওয়ার্ক বৈধ করার প্রয়োজনীয়তা
- 12 সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে আপত্তি
- 13 নিজের মা/বোন/কন্যাকে কি সেক্স ওয়ার্কার হতে দিবো?
- 14 সেক্স ওয়ার্ক-এ বাধ্য থাকা সেক্স ওয়ার্কারদের কিভাবে সাহায্য করা যায়?
- 15 নাস্তিকরা দেনমোহরের বিরোধিতা করলে কিভাবে সেক্স ওয়ার্ক-কে সমর্থন করতে পারে?
- 16 উপসংহার
- 17 কৃতজ্ঞতা স্বীকার
- 18 তথ্যসূত্র
ভূমিকা
ধরে নিন আমাদের সাধারণ দৈনন্দিন যৌনকর্মের মধ্যে ৯০% নারী ধর্ষিত হয়, এবং কেবলমাত্র ১০% নারী তাদের সম্মতি প্রদান করে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আমরা কি নারীদের দৈনন্দিন যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার বিরোধিতা করবো? অথবা আমরা কি এটা বলতে পারবো যে, এই ১০% নারীর দৈনন্দিন যৌন সঙ্গমে সম্মতি প্রদান করা বাকি ৯০% নারীদের ধর্ষণের অবদান রাখে? বা আমরা কি বলতে পারি যে, যেহেতু দৈনন্দিন যৌনকর্মের মধ্যে ৯০% নারীরা ধর্ষিত হয়, তাই সেই ১০% নারীদের সম্মতিমূলক দৈনন্দিন যৌন সঙ্গমও ধর্ষণ? আমরা কি বলতে পারি যে, যতক্ষণ সেই ৯০% নারীরা ধর্ষিত না হয়, ততক্ষন পর্যন্ত আমরা সেই ১০% নারীদের সম্মতিমূলক যৌন সঙ্গমের বিরোধিতা করবো? আমরা কি সেই ১০% নারীদের যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার সম্মতিমূলক সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে বাকি ৯০% নারীদেরকে ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে পারবো? অর্থাৎ সমস্যা যদি “কোনো কাজে কারোর সম্মতির লঙ্ঘন” হয়ে থাকে, আমরা কি “সেই কাজে কারোর সম্মতিমূলক সিদ্ধান্তকে” অবৈধ অথবা অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করে সমাধান করতে পারবো?
আমাদের সমাজে অনেকেই আছে যারা সেক্স ওয়ার্ককে যৌন পাচার এবং যৌন দাসত্বের সাথে সমতুল্য করে, এবং সেক্স ওয়ার্ককে অবৈধ করার উদ্দেশ্যে সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী “নারীবাদী” সংগ্রাম চালিয়ে যায়। তারা ধারণ করে যে সেক্স ওয়ার্ক মৌলিকভাবে নারীদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক এবং অবমাননাকর, এবং কল্পনাই করতে পারে না যে কোনো নারী তার স্বাধীন ইচ্ছা ও সম্মতি প্রদান করে একজন সেক্স ওয়ার্কার হতে পারে। এমনকি কোনো নারী যদি নিজেকে সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে পরিচয় দেন, তাহলে সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীরা বলে যে সেই নারী নিশ্চই কোনো মিথ্যা চেতনায় ভুগছে, অথবা তারা বলে যে এই সেক্স ওয়ার্কার তার উপরে হয়ে যাওয়া নিপিড়নকে পছন্দ করে, এবং তাই, সে আসলে বিপথগামী। যেহেতু সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীরা সেক্স ওয়ার্ককে যৌন পাচারের সাথে সমতুল্য করে, তাদের মতে সকল সেক্স ওয়ার্কার হলো নিরীহ ভিক্টিম। এবং, সেক্স ওয়ার্ক-কে বিলুপ্ত করার মাধ্যমে সকল সেক্স ওয়ার্কারকে বাঁচানো দরকার; হোক সেটা সেক্স ওয়ার্ক-কে পুরোপুরি অবৈধ করে, অথবা শুধুমাত্র ক্রেতা এবং তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে সেক্স ওয়ার্ক-কে নিরুৎসাহিত করে। সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীরা আরো ধারণ করে যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা নারীবাদের অন্তর্ভুক্ত, এবং সেক্স ওয়ার্ক-কে সমর্থন করা সম্পূর্ণভাবে পুরুষতান্ত্রিক এবং নারীবিরোধী। ফলস্বরূপ, অন্যান্য সকল পেশার মতন নারীরা যে সীমিত অর্থনৈতিক সুযোগের সম্মুখীন হয়ে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সম্মতিমূলক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তা সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীদের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়।
আমার এই লেখাটির মূল উদ্দেশ্য হলো এই ভুল ধারণাটিকে আক্রমণ করা যে নারীবাদ মানেই হলো সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা। আমার লেখার মাধ্যমে আমি তুলে ধরবো সেসব নারীবাদী স্কলার যারা সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে। এই ধরণের নারীবাদকে বলা হয় সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম, অথবা যৌন-ইতিবাচক নারীবাদ। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী এক্টিভিস্টদের দ্বারা পরিচালিত “সেক্স ওয়ার্কারদেরকে rescue করার” রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে এবং বিশেষভাবে সেক্স ওয়ার্ক-কে পাচারের সাথে সমতুল্য করার বিরুদ্ধে নিন্দা করে। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম-এর দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা ক্ষতিকর, HIV/AIDS/STI-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এবং সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং যৌন আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এবং তাই তারা সেক্স ওয়ার্ক-কে সম্পূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে। একই সাথে, সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদের মানবাধিকার বজায় রাখার সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমরা বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, যেমন United Nations, UNAIDS, World Health Organization, Amnesty International, Human Rights Watch, The Global Commission on HIV and the Law, Freedom Network US, এবং American Civil Liberties Union-এ দেখতে পারি- এবং তাই, তারা সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে পরামর্শ দেয়। এমনকি, ক্রেতা এবং তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরোধিতা করাও সেক্স ওয়ার্কারদের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই নেতিবাচক প্রভাবটি বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে যেমন- Sweden, France, Norway, Iceland, Canada ইত্যাদি যেখানে সেক্স ওয়ার্কারকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের ক্লায়েন্টদেরকে আইনি শাস্তি দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম আরো ধারণ করে যে সমস্ত সম্মতিমূলক যৌনতার মূল্য রয়েছে, এবং সেক্স ওয়ার্ক যৌনতার অন্যান্য রূপের মতন মৌলিকভাবে মূল্যবান। একজন মানুষ তার নিজের শরীর নিয়ে যা ইচ্ছা তা করতে পারে- এমনকি টাকার বিনিময়ে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া, যতক্ষণ এই সিদ্ধান্তের ফলে কারোর ক্ষতি হচ্ছে না বা অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম অনুযায়ী, নিজের শরীরকে সেক্স ওয়ার্ক-এর উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করার স্বাধীনতা অনেকটা ভোট করার মতন একটি মানবাধিকার। তাই, সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা ক্ষতিকর হওয়ার পাশাপাশি সেক্স ওয়ার্কারদের যৌনতা এবং শারীরিক স্বায়ত্তশাসনকে সীমিত করে।
যেখানে সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীরা সেক্স ওয়ার্কারদের হয়ে কথা বলে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সেক্স ওয়ার্কারদেরকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত করার পক্ষ্যে থাকে এবং তাদের নিজেদের কণ্ঠস্বরটি তুলে ধরে। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্ট সংলাপে সেক্স ওয়ার্কাররা নিজেরা যুক্ত হয়ে একাডেমিক রিসার্চ পেপার এবং বই পাবলিশ করে তাদের জীবনকে আরো শ্রবণযোগ্য করে তুলে এবং তাদের সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার অভিজ্ঞতাকে ইতিবাচক আলোতে প্ৰদৰ্শন করে। একটি পেশা হিসাবে সেক্স ওয়ার্ক-কে বেছে নেওয়ার জন্যে সেক্স ওয়ার্কাররা তাদের নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছা এবং (agency) মনুষ্য কর্মক্ষমতার উপরে জোর দেয়। একজন সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে তাদের গর্ব এবং ব্যক্তিগত পছন্দ তারা প্রকাশ করে। তারা তাদের সেক্স ওয়ার্ক-এর মাধ্যমে সৃজিনশীল যৌন প্রকাশের সুযোগ পায়। প্রথাগত যৌন অনুশীলনকে অতিক্রম করার মাধ্যমে, এবং টাকার বিনিময়ে অর্গাজম করে তারা অর্থনৈতিকভাবে এবং যৌনভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। পর্নোগ্রাফির ক্ষেত্রে, নারীবাদীরা নিজেরা পর্নোগ্রাফির উৎপাদনে যুক্ত হয়ে অবহিত সম্মতি (informed consent) এবং নারীত্বের প্রকৃত যৌন আনন্দকে কেন্দ্র করে। শারীরিক বৈচিত্র-কে প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে তারা পর্নোগ্রাফির নতুন একটি বিভাগ সৃষ্টি করেছে- যা নারীবাদী পর্ন নামে পরিচিত। নারীবাদী পর্নে নারীবাদীরা অভিনেতা এবং প্রোডিউসার হিসাবে কাজ করে পর্নের মাধ্যমে যৌন শিক্ষা প্রদান করে, এবং প্রচলিত অধিপত্যবাদী নারীবিরোধী এবং পুরুষতান্ত্রিক যৌন অনুশীলনের বিরুদ্ধে কাজ করে। Annie Sprinkle, Wendy McElroy, Betty Dodson, Nina Hartley এবং Tristan Taormino-এর মতন নারীবাদীরা পর্নোগ্রাফির সংলাপে যুক্ত হচ্ছে এবং এই সংলাপে অবদান রাখছে। এই নারীদের মধ্যে অনেকেই পর্ন ফিল্মের উৎপাদনের সাথে নিজেরা জড়িত। এমনকি নারীবাদীরা ফেমিনিস্ট পর্ন অ্যাওয়ার্ডস (Feminist Porn Awards) প্রতিস্থাপন করে পর্নোগ্রাফির মধ্যে নৈতিক শ্রমের মানদণ্ডকে উদযাপন করছে। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা এবং সেক্স ওয়ার্কার-রা নিজেরা সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এবং সহিংসতা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কেননা সেক্স ওয়ার্কার-রা নিজেরা বৈষম্য এবং সহিংসতার ভিক্টিম। অথচ, এরা নিজেরা বৈষম্য এবং সহিংসতার ভিক্টিম হওয়ার সত্ত্বেও, তারা সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে। এই সেক্স ওয়ার্কাররা হলো জীবন্ত প্রমান যে এমনকি একটি পুরুষতান্ত্রিক, তৃতীয় বিশ্ব দেশের মধ্যেও একজন মানুষ তার নিজের ব্যক্তিগত মর্যাদা এবং সম্মান অক্ষত রেখে, তার স্বাধীন ইচ্ছা ও সম্মতি প্রদান করে একজন সেক্স ওয়ার্কার হতে পারে। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম অনুযায়ী সেক্স ওয়ার্ককে বিদ্যমান পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক, নারীবাদী প্রতিবাদ হিসাবে দেখা যেতে পারে।
আমাদের অবস্যই মূলধারার সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে নারীদের ক্ষতিকারক প্রতিনিধিত্বকে তুলে ধরতে এবং বুঝা উচিত। তবে নারীবাদী তথ্যে এবং নারীবাদী অনুশীলনের মধ্যে সেক্স ওয়ার্ক-এর আকারে নারীদের যৌন চাহিদার সম্পূর্ণ বর্জন কভাবেই একটি সমাধান হতে পারে না। এক কালে নারীবাদের মূলধারার মধ্যে নারীদের অর্গাজম এবং নারীরা যে সমলিঙ্গ প্রেমী হতে পারে (অর্থাৎ লেসবিয়ানিজম) উল্লেখ করা হতো না। ঠিক একই ভাবে সেক্স ওয়ার্ক যেভাবে নারীদের যৌন আনন্দকে বাস্তবায়িত হতে দেয়, তা বর্তমাদের মূলধারার নারীবাদী সংলাপের মধ্যে দৃশ্যমান নয়। নারীদের অর্গাজম এবং লেসবিয়ান পরিচয় এককালে নারীবাদের “নতুন বিদ্যা” হিসাবে বিবেচনা করা হতো। ঠিক একই ভাবে সেক্স ওয়ার্ক একটি পুনর্গঠিত ধারণা হিসাবে সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম-এ বিদ্যমান, যার মাধ্যমে নারীরা তাদের যৌনতা এবং চাহিদা অন্বেষণ করার সুযোগ পায়।
মূলত, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী অবস্থানের ক্ষতিকারক, পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতা বিরোধী ধারণাগুলি তুলে ধরে এবং সমালোচনা করে। এর পাশাপাশি, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সেক্স ওয়ার্ক-কে অন্যান্য পেশার মতন রাজনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করে সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার চেষ্টা করে। একই সাথে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সমাজে সেক্স ওয়ার্ক-এর প্রতি বিদ্যমান লাঞ্ছনা/স্টিগমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, এবং সেক্স ওয়ার্ক-কে অন্যান্য পেশার মতন সমাজে স্বাভাভিক করার চেষ্টা করে। মানুষের কাছে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোনো ধরণের যৌন উদ্দেশ্যে তাদের শরীরকে প্রয়োগ করার অধিকার এবং স্বাধীনতা অত্যন্ত মূল্যবান- এমনকি সেটা যদি টাকার বিনিময়েও হয়ে থাকে। যেহেতু যৌন মুক্তি ছাড়া মানব মুক্তি অসম্ভব, আমরা কখনোই সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী অবস্থানকে সমর্থন করতে পারি না, এবং একজন মানুষের সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সম্মতিমূলক সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই অগ্রহণযোগ্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করতে পারি না।
সেক্স ওয়ার্ক জিনিসটা কি?
নারীবাদী হওয়ার জন্যে কি সেক্স ওয়ার্কার হতেই হবে? নারীবাদের মধ্যে এমন কোনো বিধান নেই যা বলে যে নারীবাদী হওয়ার জন্যে একজন মানুষের বা নারীর সেক্স ওয়ার্কার হতেই হবে। নারীবাদী হওয়ার জন্যে একজন মানুষের লিঙ্গ সমতার পক্ষে হতে হবে এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে সকল ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে। লিঙ্গের ভিত্তিতে নারীদের বিরুদ্ধে এক ধরণের বৈষম্য হলো নারীদের যৌনতা-কেন্দ্রিক। মূলত, একজন নারীর ইচ্ছা অনুযায়ী, সম্মতি প্রদান করে তার নিজের শরীরকে যৌন উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করার স্বাধীনতা সমাজ দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। যখন কোনো নারী যৌনতা সম্পর্কিত সামাজিক প্রত্যাশার বিরুদ্ধে যায়, তাদেরকে লাঞ্চিত করা হয়- যদিও সে ধরণের বিকল্প যৌন রূপ কারোর ক্ষতি বা অধিকার লঙ্ঘন করছে না।
সেক্স ওয়ার্ক বিরোধিতরা মনে করে যে সেক্স ওয়ার্ক শুধুমাত্র নারীদের প্রতি অবমাননাকর, যা একটা অত্যন্ত পুরুষতান্ত্রিক ধারণা। যদিও প্রাথমিকভাবে সেক্স ওয়ার্ক একটি আয় উত্পন্নকারী কার্যকলাপ, সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে আপত্তি বেশির ভাগ সময় এটি নয় যে নারীরা আয়-রোজগার করছে। বরং, আপত্তিটি হলো সেক্স ওয়ার্কার-রা টাকার বিনিময়ে যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। যৌনতার প্রেক্ষাপটে টাকার শর্ত রাখাটা কিছু মানুষের জন্যে সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। তাদের মতে যৌনতা শুধুমাত্র ভালোবাসা অথবা ঘনিষ্টতার উপরে ভিত্তি করা উচিত। তবে এই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি casual sex-এর বিভিন্ন রূপকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে, যা কোনো ভাবেই ভালোবাসা বা মানসিক ঘনিষ্টতার উপরে নির্ভর করে না। Casual sex হলো এমন এক ধরণের যৌন প্রকাশ যা শুধুমাত্র পারস্পরিক, সম্মতিমূলক যৌন আনন্দের উপরে ভিত্তি করা- এবং তাই, casual sex মৌলিকভাবে মূল্যবান। একজন মানুষ তাদের যৌন কাজে যা শর্ত রাখুক না কেন- যতক্ষণ না সেটা কারোর ক্ষতি বা অধিকার লঙ্ঘন করছে, সেটার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলার কোনো যুক্তি থাকে না। এখন কেউ যদি নিজের যৌনতার জন্যে ঘনিষ্টতা বা ভালোবাসাকে শর্ত হিসাবে স্থাপন করে, তাহলে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এরকম প্রত্যাশা রাখা যে অন্যদের যৌন রুচি আপনার ব্যক্তিগত যৌন রুচির সাথে সবসময় মিলে যাবে, বা মিলানো উচিত, তা একটি অত্যন্ত যৌন-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি।
“টাকা”-কে যৌনতার একটি শর্ত হিসাবে রাখাটা কতটুক গ্রহণযোগ্য? যৌনতা সর্বদা কোনো না কোনো জিনিসের বিনিময়ে ঘটে থাকে- হোক সেটা যৌন আনন্দ, ভালোবাসা, ঘনিষ্টতা, সৌন্দর্য, শারীরিক গঠন, মানসিকতা (personality) ইত্যাদি। যৌনতার শর্ত আপেক্ষিক হওয়ার কারণে, বিভিন্ন মানুষের কাছে তা ভিন্ন হবে। অনেকেই “gold-digger” শব্দটি দ্বারা টাকার বিনিময়ে নারীদের যৌনতাকে বিশেষকরে নেতিবাচক আলোতে উপস্থাপন করে। অন্যদিকে পুরুষরা যে সৌন্দর্য, যৌন আনন্দ বা মানসিকতার ভিত্তিতে কারোর প্র্রতি আকর্ষিত হতে পারে, তা আবার “স্বাভাবিক” হিসাবে; এমনকি যৌনতার আদর্শিক অনুশীলন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে, প্রাপ্তবয়স্করা কার সাথে এবং কোন শর্তে যৌনতায় লিপ্ত হবে তা কি আমরা তৃতীয় পলক্ষ হিসাবে নির্ধারণ করে দিতে পারি, তাও আবার যখন আমরা দেখছি যে সেখানে কারোর ক্ষতি বা অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না? কেউ যদি যৌনতার শর্ত “টাকা” রাখে, তাহলে সেটা ততটুকু গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা যখন কোনো মানুষ যৌনতার জন্যে অন্যান্য শর্ত স্থাপন করছে- যেমন সৌন্দর্য, ঘনিষ্টতা, মানসিকতা ইত্যাদি (বা এমনকি লিঙ্গ পরিচয়)।
সেক্স ওয়ার্ক কি যৌনতা নাকি একটা পেশা? সেক্স ওয়ার্ক-এর অভিজ্ঞতা অত্যন্ত বৈচিত্রময়। বেশির ভাগ সেক্স ওয়ার্কাররা তাদের সেক্স ওয়ার্ক-কে “কাজ” হিসাবে দেখে। সীমিত অর্থনৈতিক সুযোগের সম্মুখীন হয়ে তারা সেক্স ওয়ার্ক-কে আয় উৎপন্ন করার জন্যে একটি পেশা হিসাবে বেছে নেয়। কিছু সেক্স ওয়ার্কার এটিকে শুধুমাত্র শারীরিক যৌন শ্রম হিসাবে দেখে, যা যৌন আনন্দ থেকে বিচ্ছিন্ন। আবার কিছু সেক্স ওয়ার্কার তাদের কাজকে মূলত টাকার বিনিময়ে অর্গাজম করা হিসাবে দেখে। অর্থাৎ যেটাকে আমরা “সেক্স ওয়ার্ক” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করছি, সেটার মধ্যে যৌনতা এবং বাণিজ্য— উভয় বিদ্যমান। তাই, সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরোধিতা এবং সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা মানুষের শ্রম করার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করার পাশাপাশি মানুষের যৌনতা এবং শারীরিক স্বায়ত্তশাসনকে সীমাবদ্ধ করে।
যদিও নারীবাদী হওয়ার জন্যে একজনের সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, সেক্স ওয়ার্ক-কে অগ্রহণযোগ্যতা বা “খারাপ” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করাটাও নারীবাদী নয়। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সকল মানুষের জন্যে যৌন সমতার পক্ষে হয়ে থাকে, এবং এটি এমন এক ধরণের নারীবাদ যা দাবি করে যে মানুষের যৌন মুক্তি ছাড়া লিঙ্গ সমতা অসম্ভব। লিঙ্গের সমতার অর্থ হচ্ছে সমাজের প্রত্যেকটা স্তরে সমতা- যার মধ্যে যৌনতা অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু সেক্স ওয়ার্ক যৌনতার একটি রূপ, সেক্স ওয়ার্ক বিরোধিতার মানেই হচ্ছে যৌনতার বিরোধিতা- এবং একটি যৌনতা বিরোধী মতাদর্শ কখনোই “নারীবাদী” হতে পারে না। সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে আপত্তি যখন বিশেষভাবে নারীকেন্দ্রিক হয়ে থাকে, তখন লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্য আরো পরিষ্কার হয়ে উঠে। এই ধারণা যে শুধুমাত্র নারীদের সেক্স ওয়ার্ক থেকে বিরত থাকা উচিত, তা মৌলিকভাবে নারী-বিদ্বেষী। এবং সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে এই নারীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সমাজে শব্দের মধ্যে বিদ্যমান- “বেশ্যা” এবং “মাগী” শুধুমাত্র নারীদের জন্যে প্রযোজ্য যদিও যেকোনো মানুষ লিঙ্গের নির্বিশেষে তাদের শরীরকে সেক্স ওয়ার্ক-এর জন্যে প্রয়োগ করতে পারে। নারীরা এমনকি তাদের ব্যক্তিগত কারণে সেক্স ওয়ার্ক-এর ক্লায়েন্ট হতে পারে বা পর্ন দেখতে পারে, তা সাধারণ বোধগম্যের বাহিরে। নারীদেরকে সেক্স ওয়ার্ক থেকে বঞ্চিত করা— ক্লায়েন্ট হিসাবে অথবা পেশাদার হিসাবে— তা কখনো নারীবাদী হতে পারে না।
“সেক্স ওয়ার্ক” এবং “সেক্স ওয়ার্কার”-এর সংজ্ঞা
সেক্স ওয়ার্ক এর সংজ্ঞা হলো- “বস্তুগত অর্থলাভ অথবা পণ্যের বিনিময়ে যৌন পরিষেবা প্রদান করা, বা যৌন পারফরম্যান্স-এ লিপ্ত হওয়া।” বৃহত্তর নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায় (anthropological community) সেক্স ওয়ার্ক-কে শুধুমাত্র অর্থ বা অন্যান্য পণ্যের বিনিময়ে সম্মতিমূলক যৌন ক্রিয়াকলাপকে বোঝায়। সেক্স ওয়ার্ক-কে পতিতাবৃত্তির সাথে অনেক সময় মিলিয়ে ফেলা হয়। তবে, পতিতাবৃত্তি কেবলমাত্র সেক্স ওয়ার্ক-এর একটি মাত্র অংশ; সমস্ত সেক্স ওয়ার্ক পতিতাবৃত্তি নয়। World Health Organization দ্বারা সেক্স ওয়ার্ক-কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে অর্থ লাভের বিনিময়ে সকল ধরণের যৌনতা সম্পর্কিত পরিষেবা হিসাবে, যার মধ্যে রয়েছে অনুপ্রবেশকারী যৌন সঙ্গম, সাইবার সেক্স, পর্নোগ্রাফি, স্ট্রিপিং, ইত্যাদি।
সেক্স ওয়ার্ক-এর ক্ষেত্রে পতিতা, ক্যামগার্ল এবং সুগারবেবিরা সেক্স ওয়ার্কার হিসেবে স্বীকৃত। তবে যৌন সেবার কোনো একক উৎস সেক্স ওয়ার্ক-এর সংজ্ঞাকে অন্তর্ভুক্ত বা প্রতিস্থাপন করতে পারে না। “সেক্স ওয়ার্কার” হল সেসব ব্যক্তিরা “যারা যৌন পরিষেবার বিনিময়ে অর্থ লাভ করে বা পণ্য গ্রহণ করে এবং যারা সচেতনভাবে সেই কার্যকলাপগুলিকে আয় উৎপন্ন কার্যকলাপ (income generating activities) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে।”
“One of the most significant arguments within the debate over decriminalized sex work is how one defines “sex work” as a term. Defined as “the exchange of sexual services, performances, or products for material compensation,” the greater anthropological community recognizes sex work only as the voluntary act of sexual acts in exchange for money or other goods. [1] However, the term “sex work” is often conflated with prostitution, stripping, and other sexual acts. […] sex work as defined by the World Health Organization will be used. The World Health Organization defines sex work as sex-related services (including penetrative sex, cyber-sex, pornography, stripping, etc.) in exchange for a profit. Prostitutes, camgirls, and sugarbabies are recognized […] as sex workers in the field of sex work, however no single source of sexual service will encompass or replace the definition of sex work. Sex workers are individuals “…who receive money or goods in exchange for sexual services, and who consciously defined those activities as income generating.” [2]” [3]
“দেহব্যবসা” বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই
এই ধারণা যে সম্মতিমূলক যৌনতা শুধুমাত্র নারীত্বকে ক্ষয় করে, তা সমস্ত সেক্স ওয়ার্কারদের জন্য ক্ষতিকর, এবং তার পাশাপাশি সমস্ত নারীর জন্য ক্ষতিকর। এটি এমন একটি ধারণা যা গভীরভাবে পুরুষতান্ত্রিক এবং নারীবিরোধী। যদিও পুরুষ এবং ট্রান্সজেন্ডার সেক্স ওয়ার্কার-রাও বৈষম্যের শিকার হয়, কেবলমাত্র পুরুষদের দ্বারা নারীদের শরীরে যৌন অনুপ্রবেশ, অথবা পুরুষদের দ্বারা নারীদের উপরে শারীরিক আক্রমণকে অবমাননাকর বলে বিবেচিত হয় (অর্থাৎ নারীর প্রতি অবমাননাকর)। এবং বিবেচনা করা হয় যে এই অবমাননার সমাধান শুধুমাত্র ভালোবাসা এবং ঘনিষ্টতা করতে পারে, টাকা নয়। সম্মতিমূলক বিষমকামী যৌনতা কেনজানি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিপীড়নে পরিনিত হয় যখনি কেউ জানতে পারে যে এর সাথে টাকার আদানপ্রদান জড়িত।
কিন্তু সেক্স ওয়ার্কার-রা “নিজেদের” অথবা “তাদের দেহ” বিক্রি করে না, তারা টাকার বিনময়ে একটি পরিষেবা প্রদান করছে। এবং এই পরিষেবার প্রদানের অর্থ এই নয় যে একটি ক্লায়েন্ট একজন সেক্স ওয়ার্কার-এর শরীরের সাথে যা ইচ্ছা তা করতে পারে, অথবা সেক্স ওয়ার্কার-টা ক্লায়েন্ট-এর থেকে টাকা নেওয়ার মাধ্যমে তার শরীরের সীমাহীন ব্যবহারের অনুমতি যোগাযোগ করছে। ঠিক যেমন একজন নারী বিবাহের সম্মতি অথবা এমনকি দৈনন্দিন যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার সম্মতি প্রদানের মাধ্যমে তাদের শরীরের সীমাহীন ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে না। কেউ যদি একটি সেক্স ওয়ার্কার-এর সাথে যৌনতায় লিপ্ত হয়, তার মানে এই নয় যে সেই ব্যক্তি সেক্স ওয়ার্কার-এর শরীর কিনে ফেলেছে। তবে, কিছু কিছু পেশা এমনকি সেক্স ওয়ার্ক-এর থেকেও শারীরিক শ্রমের উপরে আরো বেশি নির্ভর করার পাশাপাশি একটি রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে পাওয়া ভালোবাসা এবং ঘনিষ্টতাকে প্রতিফলন করতে পারে। পুলিশ কর্মচারী বা আর্মি সৈনিক হিসাবে দেশপ্রেমে মাতাল হয়ে মানুষ এমনকি তাদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছে। সেক্স ওয়ার্ক যদি দেহব্যবসা হয়ে থাকে, তাহলে পুলিশ আর আর্মি কি জীবনব্যবসা?
আশ্চর্য ব্যাপার হলো যে সেক্স ওয়ার্কারদের যৌনব্যবসায়ী না বলে তাদেরকে দেহব্যবসায়ী বলা হয়। কেননা “দেহব্যবসা” শব্দটির মাধ্যমে নিজের শরীরের সমর্পন করার সাথে নিজের মানবতাকে সমর্পন করাকে সমতুল্য করা হয়। এর ফলে, সেক্স ওয়ার্ক-কে “দেহব্যবসা” হিসাবে অন্যান্য সকল পেশার থেকে আলাদাপ্রাপ্ত করা হয়, যেগুলো “দেহব্যবসা” নয়; অর্থাৎ যেসব পেশার মধ্যে শ্রমিকরা তাদের মানবতা সমর্পন করছে না, শুধুমাত্র এই কারণেই যে সেক্স ওয়ার্ক-এর সাথে যৌনতার ধারণা যুক্ত। এর মাধ্যমে যৌনতার ভিত্তিতে এক ধরণের লাঞ্ছনার সৃষ্টি হয়, এবং যৌন শ্রমকে অগ্রহণযোগ্য এবং মানবতা-বিরোধী হিসাবে দেখা হয়।
সেক্স ওয়ার্ক বিরোধিতাকারী নৈতিকতার অনুসারে, প্রেম, আকাঙ্ক্ষা এবং যৌনতার commodification সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং অবাঞ্ছিত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে যৌনতার commodification-এর ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে এটি শুধুমাত্র একটি সমস্যা যখন এটি কোনো মানুষের ব্যক্তিস্বত্তা উপেক্ষা করে তাদেরকে পণ্যে অথবা বস্তু হিসাবে পরিণত করছে (অর্থাৎ যতক্ষণ না এটি কোনো মানুষকে অবজেক্টিফাই করছে)। তাই যৌনতার commodification অন্যান্য সকল পরিষেবা এবং শ্রমের commodification-এর মতনই গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা, যেমন ডাক্তারির commodification, যেখানে পেশাদার-রা commodification-এর নির্বিশেষে পণ্য অথবা বস্তু-তে পরিণত হয় না, এবং যা পেশাদারদের অবজেক্টিফিকেশন ছাড়াই বিদ্যমান।
যেখানে টাকা আছে, সেখানে banking এবং বাণিজ্যিক যৌনতা থাকবেই। যৌন মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে যেকোনো ধরণের আদানপ্রদান আসলে বেশ সাধারণ। অবশ্যই, কেউ যদি নিরাপত্তার ভয়ে অথবা বলপ্রয়োগের ভিত্তিতে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়, তাহলে সেটা ধর্ষণ। তবে ঘনিষ্টতা, ভালোবাসা, পার্টনারের প্রশংসা এবং সম্পর্ক বজায় রাখার বিনিময় যৌনসঙ্গমে কারোর অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না। যৌন গবেষকরা প্রচুর পরিমাণে “লেনদেনমূলক যৌনতা,” “instrumental sex”, “কৌশলগত যৌনতা” এবং “স্মার্ট সেক্স” নথিভুক্ত করেছেন। যৌন সম্পর্কের পুরো বর্ণালীতে বিনিময় যৌনতা বা “Exchange sex” কোনো ধরণের ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়।
“The basic idea that sex diminishes women is not only harmful to sex workers but to all women and is profoundly sexist and antifeminist. Although male (and transsexual) sex workers suffer stigma as well [4], it is particularly the penetration of women by men, the bodily invasion of women by men, that is considered to be inherently degrading (for the women involved that is), a degradation that can only be mitigated by love or desire, not by money [5]. Consensual heterosex seems to automatically turn into abuse once money is involved. But sex workers don’t “sell themselves” or “their bodies,” they sell a service. And what’s more, some commercial exchanges may even increasingly mirror the traditional romance and the emotional intimacies found in “ordinary” relationships [6].
According to abolitionist morality, however, the commodification of love, desire, and sexuality is something altogether unworthy and undesirable. But let’s face it: wherever there is money, there is banking and there is commercial sex. And some sort of exchange is actually altogether quite common in many sexual interactions. Sex may be exchanged for intimacy, safety, love, partner appreciation, relational security, keeping the peace, and averting wrath and abuse. Sex researchers have documented plenty of “transactional sex,” “instrumental sex,” “tactical sex,” and “smart sex.” Exchange sex is far from exceptional in the whole spectrum of sexual relations.”[7]
Commodification ও ভোগবাদের অন্যান্য রূপের মতো, সেক্স ওয়ার্ক-এর রূপগুলি বুদ্ধিমান প্রতিরোধ এবং সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের স্থান হিসাবে দেখা যেতে পারে। সেক্স ওয়ার্কারদেরকে পুরুষদের যৌন অনুশীলনে ব্যবহৃত একটি নিষ্ক্রিয় বস্তু হিসাবে হ্রাস করা যায় না, তবে এর পরিবর্তে সেক্স ওয়ার্ক একটি মনুষ্য কর্মক্ষমতার জায়গা হিসাবে বোঝা যেতে পারে যেখানে একজন সেক্স ওয়ার্কার বিদ্যমান যৌন শৃঙ্খলার সক্রিয় ব্যবহার করছে।
“Like other forms of commodification and consumption, practices of prostitution can be seen as sites of ingenious resistance and cultural subversion […] the prostitute cannot be reduced to one of a passive object used in male sexual practice, but instead it can be understood as a place of agency where the sex worker makes active use of the existing sexual order.” [8]
সেক্স ওয়ার্ক এবং নারীবাদী বিভাজন
নারীবাদী অধ্যায়ন দুটি অংশে বিভক্ত। একদিকে আছে সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীরা, যারা সেক্স ওয়ার্ক-কে শোষণমূলক হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। অন্য দিকে আছে সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা, যারা টাকার বিনিময়ে যৌনকাজে লিপ্ত হওয়া-কে অন্যান্য সাধারণ পেশার মতনই দেখে।
সেক্স ওয়ার্ক-কে বিলুপ্ত করার পরিবর্তে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা সেক্স ওয়ার্কারদের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে কথা বলে, যেন ক্লায়েন্ট-এর সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে ওয়ার্কারদের exploitation না ঘটে। তৃতীয় তরঙ্গ নারীবাদীরা আরো ধারণ করে যে বিভিন্ন ধরণের সেক্স ওয়ার্ক- যেমন পতিতাবৃত্তি, পর্নোগ্রাফি ইত্যাদি নারী নিপীড়ন ছাড়া, এবং এমনকি নারীদেরকে অব্জেক্টিফাই না করেও বিদ্যমান থাকতে পারে।
“Feminists advocate the establishment of non-oppressive work structures in the sex industry which empower workers in their interactions with clients and owners. They also argue for an end to the legal harassment of sex workers [9]. Feminists argue for the importance of an ongoing dialogue and support between feminists and sex workers. Feminists argue that the nature of client demand in the sex industry is a cultural construct (that is, client demand is not simply the expression of natural male needs) which has varied both across history and between cultures [10]. As such, it is open to changes which may or may not be in the best interests of women and sex workers in particular.
While feminists are supportive of sex workers they are critical of many aspects of the sex industry, particularly as it is presently organised. Some feminists would look to the long- term abolition of the sex industry whereas others would say that it might be possible to create a less oppressive prostitution (where, for example, sex workers had the same rights and privileges as other Australian workers and were not subject to harsh criminal sanctions) or pornography which addresses women’s erotic interests and does not only represent women as sex objects.” [11]
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সেক্স ওয়ার্ক/পর্নোগ্রাফি বিরোধী নারীবাদীদের অবস্থানটি হ্রাসকারী/essentialist হিসাবে দেখে। কেননা, পর্নোগ্রাফি বিরোধী নারীবাদ পুরুষদের যৌনতাকে “বিকৃত” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে, শুধুমাত্র এই ধারণার ভিত্তিতে যে পুরুষদের যৌনতা যৌনাঙ্গকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে, তারা ধারণ করে যে যেহেতু নারীদের যৌনতা ঘনিষ্টতা এবং ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে, তাই নারীদের যৌনতা পুরুষদের “বিকৃত” যৌনতার তুলনায় “নৈতিক” এবং গ্রহণযোগ্য।
যৌনতার এমন একটি ধারণা নারীদের মধ্যে অপরাধবোধের জন্ম দেয় যখন তারা কোনো ধরণের যৌন চাহিদা অনুভব করে। এটি নারীদের নিজেদের যৌনতাকে explore করার বাঁধা দেয়, এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ধারা নির্ধারিত গ্রহণযোগ্য যৌনতার বাহিরে অন্যান্য বিকল্প যৌনতা প্রকাশ করা থেকে বাঁধা দেয়। সমাজ যেসব যৌন প্রকাশগুলি “অগ্রহণযোগ্য” বলে বিবেচিত করে, তার মধ্যে রয়েছে-
* ইমোশনাল এটাচমেন্ট (emotional attachment) ছাড়া যৌনতা
* সমলিঙ্গ প্রেমী যৌনতা
* BDSM (Bondage Domination Sadomasochism)
* সেক্স ওয়ার্ক
এবং, কোনো নারী যদি উপরলিখিত যৌনতাগুলি প্রকাশ করে, তাহলে সমাজের দ্বারা তাদেরকে বিপথগামী হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। নারীদের যৌনতা নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা হয়, এবং এই কারণেই সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিদ্যমান।
অন্য দিকে সেক্স পসিটিভ নারীবাদীরা সেক্স ওয়ার্ক-কে ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং যৌন exploration/অন্বেষণের সুযোগ হিসাবে বিবেচনা করে। সেক্স পসিটিভ নারীবাদীদের অনুযায় আমাদের অবশ্যই সেই নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হবে, যা নারীদেরকে “বৈধ দম্পতির” বাহিরে যৌনতা অনুভব করা থেকে বাঁধা দেয়। তাদের মতে সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে বিদ্যমান ইতিবাচক দিক এবং আনন্দগুলি উপভোগ করার অনুমতি আমাদের নিজেদেরকে দেওয়া উচিত। আমাদের অবশ্যই সকল অপরাধবোধকে ফেলে দেওয়া উচিত যা সমাজ আমাদের মধ্যে যৌন প্রকাশের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে। তা করে আমরা আমাদের নিজেদের শরীর এবং যৌনতার প্রতি আরো comfortable বোধ করবো।
“Sex-positive feminists see the position of anti-pornography and anti-sex work feminists as being essentialist: it attributes a perverse sexuality to men on the grounds of their presumably having a sexuality focused on the genitals, whereas women’s sexuality would be the moral model to follow as theirs would be focused on feelings and love. Such a position, on the one hand, maintains the feeling of guilt women have toward their sexual desires and acts that are labeled as ‘deviant’; on the other hand, it stops women from exploring their own sexuality, as they are not allowed to express any alternate sexuality (e.g., sexuality without emotional attachment, lesbianism, bondage/ domination/ sadomasochism, and sex work) without being stigmatized. Thus, sex work has been criminalized and stigmatized with the aim of controlling women’s sexuality, not with the aim of protecting women against moral alienation.
Consequently, sex-positive feminists pose sex work as an opportunity for sexual exploration and personal growth regarding one’s own sexual taboos and prejudices. According to them, we have to question the moral codes that forbid women to be ‘sexual’ outside the legitimate couple; allow ourselves to explore sexual acts, activities, and role playing that can be found within sex work and that seem interesting either because they sound exciting or simply because they are new; enjoy the pleasures generated by this type of work (e.g., pleasure in finding oneself beautiful and desirable, pleasure in mastering the art of the courtesan, erotic pleasures); and, ultimately, get rid of all feelings of guilt that have been socially instilled toward such sexual expression. Doing so would bring about greater comfort in one’s own body and sexuality as well as toward the sexuality of others [12].” [13]
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম-এর সংজ্ঞা
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম-এর কোনো একক সংজ্ঞা নেই। তবে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম-এর কিছু নির্দেশক এবং নীতি রয়েছে। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম যৌন স্বাধীনতা এবং স্বায়ত্তশাসন-কে মূল্য দেয়। একই সাথে এটি সমস্ত ধরণের সম্মতিমূলক যৌন কার্যকলাপকে আনন্দ এবং তৃপ্তির একটি উৎস হিসাবে মূল্য দেয়। যৌনতা এবং যৌন আনন্দ যে লজ্জাজনক- এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করে। এটি যৌনতা প্রকাশ করা এবং যৌনতা অনুভব করার বৈচিত্রময় উপায়কে সম্মান করে। এটি পুরুষতান্ত্রিক অধিপত্যবাদী সংস্কৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে এবং বিষমকামী যৌন চাহিদার বিশেষাধিকারকে প্রত্যাখ্যান করে যা সমাজে নারীদের এবং সমলিঙ্গ-প্রেমীদের যৌন আনন্দ এবং চাহিদার উপরে প্রাধান্য পায়।
“There is also no one accepted definition for sex positivity; there are, however, several guiding principles. A sex-positive framework values sexual autonomy and all forms of consensual sexual activities as sources of pleasure and fulfillment. It rejects a view that sex and sexual pleasure are shameful. It respects diverse ways of expressing and experiencing sexuality and sexual pleasure, and rejects a culture that privileges male or heterosexual desire and pleasure above female or queer desire and pleasure.”[14]
সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী নারীবাদ এবং বৈচিত্রময় যৌনতার মধ্যে পার্থক্য
সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী নারীবাদ এবং যৌনতার একটি বৈচিত্রময়, প্রগতিশীল থিওরির মধ্যে তিনটা মৌলিক পার্থক্য রয়েছে-
• সেক্স ওয়ার্কারদের-কে রাজনৈতিক এবং যৌনযুক্ত মানুষ হিসাবে বিবেচিত করা হয়, যেখানে সেক্স বিরোধী নারীবাদ তাদেরকে নিষ্ক্রিয় ভিক্টিম হিসাবে বিবেচনা করে।
• সেক্স ওয়ার্ক-কে একটি বৈধ পেশা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
• যৌনতার বিনিময়ে “টাকা”-কে অন্যান্য factors-এর মতন গণ্য করা হয়, যেমন বয়স, লিঙ্গ, সম্প্রদায় এবং সহিংসতা।
অবশেষে, Sexual Pluralist Theory ধারণ করে যে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ব্যক্তিগত এবং সম্মতিমূলক বিষয়ে রাষ্ট্রের আঙ্গুল ঢুকানোর কোনো অধিকার নেই।
“Three factors that differentiate radical sexual pluralist theory on sex work from the radical and Marxist feminist constructions and domination theory are as follows:
(a) Sex workers are constructed as sexual and political figures rather than as MacKinnon’s view of them as “passive holes” [15]
(b) Sex work is recognized as legitimate work
(c) Money in the sexual exchange is treated just like any other variable, such as age, gender, ethnicity, and violence [16].
Finally, radical sexual pluralist theory shares the liberal feminist perspective that the state should not intrude into private intimate behaviors between consenting adults.” [17]
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম এবং মানসিক সুস্থতা
“Sex-positivity”-একটি শব্দ যা যৌনতা এবং যৌন প্রকাশের ক্ষেত্রে উন্মুক্ততা, non-judgemental মনোভাব এবং স্বাধীনতাকে বোঝায়। সেক্স পসিটিভ মানসিক কাউন্সেলিং-এর দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, একটা মানুষের যৌনতা তার মানসিক কাউন্সেলিং-এর জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা মনোবিজ্ঞানীদের দ্বারা উপেক্ষা করা হয়েছে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কলার যৌনতার উপর positive psychology-এর প্রভাব বুঝার চেষ্টা করেছে। যদিও আপাত দৃষ্টিতে পেশাগত মনোবিজ্ঞানের নির্দিষ্ট স্তরে যৌনতার সম্পর্ক দৃশ্যমান হয়ে উঠে না, “sex-positivity” মানসিক কাউন্সেলিং-এর আদর্শের সাথে সম্পূর্ণরূপে সঙ্গতিপূর্ণ। কেননা সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম যৌনতা এবং সেক্সকে মানুষের সুস্থ বিকাশের অংস হিসাবে দেখে, যা একজন মানুষের জীবন জুড়ে তার সুস্থতা এবং ভালো থাকাকে বাড়িয়ে দেয়।
“Sex positivity is a term used to describe individuals and communities who emphasize openness, nonjudgmental attitudes, freedom, and liberation about sexuality and sexual expression [18]. Sex-positive counseling frameworks assert that sexuality is a critical aspect of the counseling process that is often overlooked or purposely ignored by mental health practitioners [19]. Scholars have sought to understand the influence that positive psychology has had on sexuality [20]. For instance, in a content analysis of peer-reviewed articles in sex research journals, Arakawa et al. (2012) found that very few articles examined what they termed “positive sexuality.” Although an examination at the intersection of positive psychology and sexuality may be difficult to find within certain domains of professional psychology, we argue that sex positivity is particularly aligned with counseling psychology values because it conceptualizes sex and sexuality as part of healthy development, enhancing client wellness and resilience throughout the lifespan.” [21]
যৌন আনন্দের সংজ্ঞা
যৌন আনন্দকে সংজ্ঞায়িত করা বেশ কঠিন। যৌনতা এবং আনন্দ উভয়ই মৌলিকভাবে আপেক্ষিক এবং তাই, যৌন আনন্দ একটি অত্যন্ত তরল ধারণা। “যৌন আনন্দ” বলতে এমন মানসিক উপভোগকে বোঝায় যা সেই মানুষের দ্বারা যৌনভিত্তিক অথবা কামোত্তেজক/erotic বলে অনুভব করা হয়। যৌন আনন্দ কেবলমাত্র শারীরিক উদ্দীপনা অথবা যৌনাঙ্গের উদ্দীপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই সংজ্ঞার মধ্যে সকল চাক্ষুষ এবং শ্রবণযোগ্য উদ্দীপনা দ্বারা নির্মিত আনন্দকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা একজন মানুষের দ্বারা যৌনভাবে আনন্দদায়ক হিসাবে অনুভব করা হয়। একই সাথে এটি কোনো বহিরাগত উদ্দীপনা ব্যতিত শুধুমাত্র মনের চিন্তা এবং কল্পনাকেও অন্তর্ভুক্ত করে, যা একজন মানুষের দ্বারা যৌনভাবে আনন্দদায়ক হিসাবে অনুভব করা হয়। কিছু মানুষের জন্যে যৌন আনন্দ শুধুমাত্র একটি ঘনিষ্ট এবং আবেগপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই জগতে পারে। আবার কিছু মানুষ বেনামী ব্যক্তিদের সাথে অথবা একা একা এই যৌন আনন্দ অনুভব করতে পারে।
“Sexual pleasure is not easy to define. Both pleasure and sexuality are inherently subjective, making sexual pleasure a fluid concept. “sexual pleasure” [refers to] physical and psychological enjoyment that is interpreted as sexual or erotic by the individual experiencing it. It does not limit the term to genital stimulation or even physical stimulation. This definition includes pleasure produced by visual or auditory stimuli that an individual interprets as pleasurable in a sexual way, as well as mere thoughts and fantasies without any external stimulation. For some, sexual pleasure may be intensified or only reached in the context of an emotional relationship; others may experience it with anonymous individuals or alone.” [22]
যৌন আনন্দের মূল্য
যৌন আনন্দ বাকি সকল কার্যকলাপের মধ্যে পাওয়া আনন্দের মতনই মূল্যবান। যৌন আনন্দ মৌলিকভাবে মূল্যবান শুধুমাত্র এই কারণে যে এটি আনন্দদায়ক। এই আনন্দের মূল্যের প্রমান হলো যে মানুষ যৌন আনন্দ উপভোগ করার জন্যে যা কিছু করতে রাজি আছে, সেটার পরিনিত যাই হোক না কেন। যৌন আনন্দের যদি মৌলিক মূল্য থেকে থাকে তাহলে আইন এবং সংলাপের মধ্যে এই মূল্যয়ের প্রতিফলন থাকা দরকার। কোনো আইন যদি যৌন আনন্দকে সীমাবদ্ধ করে তাহলে যৌনতার এই সীমাবদ্ধতাকে সেই একই ভাবে বিবেচিত করা উচিত যেমনটা আমরা অন্যান্য সকল আনন্দের সীমাবদ্ধতাকে বিবেচিনা করি।
“Sexual pleasure is no less valuable than pleasure derived from other types of activities. Sexual pleasure is intrinsically valuable simply because it is pleasurable. The value of this pleasure is evidenced by the ends to which people will go and the significant unwanted consequences they will risk or endure to achieve it. If sexual pleasure has intrinsic value, then law and the discourse that surrounds it should reflect this. Laws that restrict sexual pleasure should weigh the diminishment of this pleasure just as we weigh the costs of restricting other pleasurable activities.” [23]
সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার স্বাধীনতা একটি মানবধিকার
তৃতীয় তরঙ্গ নারীবাদী সেক্স ওয়ার্কাররা, সেক্স ওয়ার্ক করার অধিকার-কে ভোট করার মতন একটা মানবাধিকার হিসাবে দেখে। অনেক নারী সেক্স ওয়ার্কার অন্যদের দ্বারা শোষিত নির্জীব বস্তু এবং ভিক্টিম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ হওয়ার কারণে রীতিমতো বিরক্ত।
সেক্স ওয়ার্কাররা যখন তাদের জৈবিক অভিজ্ঞতাকে আরো শ্রবণযোগ্য করে তুলার জন্যে তৃতীয় তরঙ্গ নারীবাদী সংলাপে যুক্ত হয়ে বইপুস্তক লিখে, তখন আমরা তাদের সেক্স ওয়ার্ক-এ লিপ্ত হওয়ার সম্মতিমূলক সিদ্ধান্তের পেছনে কারণগুলো বুঝতে পারি। এই নারীবাদীরা তাদের সেক্স ওয়ার্ক-এ লিপ্ত হওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্যে তাদের স্বাধীনতা এবং তাদের মনুষ্য কর্মক্ষমতার উপর জোর দেয়, যা তাদেরকে নির্জীব বস্তুর থেকে একটি স্বাধীন মানুষ হিসাবে আলাদাপ্রাপ্ত করে। তারা তাদের পেশার মধ্যে যৌনতার সৃজনশীল প্রকাশের অনুমতি পায়, এবং একই সাথে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য যৌন সীমারেখা অতিক্রম করার সুযোগ পায়।
“The sex workers who align themselves with feminism’s third-wave, and write for academic anthologies such as Jane Sexes It Up: True Confessions of Feminist Desire or Whores and Other Feminists, are very conscious of their stake within feminist discourses; they feel that their work allows for the creative expression of sexuality, an exploration of a multitude of sexual practices, and the blurring and dismantling of sexual boundaries. These feminists emphasize the agency that they enact in choosing sex work, purposefully pulling away from the representations of sex workers as victims of coercion and sexual exploitation. As Astrid Henry points out, “Third-wave feminists see their sexual freedom as a fundamental right, much like their right to vote.” [24] […] These young women are frustrated and annoyed at being categorized as exploited sexual objects rather than active sexual agents, sex workers are always simultaneously agents and victims.” [25]
সম্মতি
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম যেই ধরণের যৌন কর্মকে সমর্থন করে, তা হলো সম্মতিমূলক যৌন কর্ম- হোক সেটা বাণিজ্যিক যৌনতা, যেমন সেক্স ওয়ার্ক, অথবা রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে সেক্স, যেমন সমকামী, লেসবিয়ান বা বিষমকামী সেক্স। তবে একই সাথে তৃতীয় তরঙ্গ নারীবাদীরা শিকার করে যে নিখুঁত সম্মতির সুযোগ সবসময় থাকে না, এবং বেশির ভাগ যৌন কর্মের ক্ষেত্রে সম্মতি একটি প্রিভিলেজ বা বিশেষাধিকার। আমাদের দৈনন্দিন যৌন কর্ম, এবং সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে শক্তির ভারসাম্য সমস্ত পক্ষের জন্যে সমান থাকে না। একটি পেশা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে, সম্মতি প্রদান করার অসীম সুযোগ থাকে না। অর্থাৎ, যখন কেউ কোনো পেশা নিজের জন্যে বেছে নিচ্ছে, তারা সীমিত অর্থনৈতিক সুযোগের সম্মুখীন হয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে- এবং থাকে সিদ্ধান্ত তাদের সামনে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সুযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেক্স ওয়ার্ক-এর ক্ষেত্রে “সম্মতি” মানে এই নয় যে তাদের কাছে অসীম সুযোগ রয়েছে। একই সাথে, সীমিত অর্থনৈতিক সুযোগের সম্মুখীন হয়ে যখন কোনো মানুষ সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে ক্লায়েন্টের সাথে প্রত্যেক যৌন কার্জকলাপের ক্ষেত্রে সেক্স ওয়ার্কারদের অবহিত সম্মতি লঙ্ঘন করা হচ্ছে না।
“Consent is at the centre of the range of sexual activities that sex radicals champion, including commercial sex, gay and lesbian sex, public sex, and sadomasochistic sex. Sex radicals, however, do not uncritically endorse a liberal conception of consent. That is, they do not take assertions of consent at face value, on the presumption that everyone operates from a position of equal bargaining power. They acknowledge that sexuality and sexual activity is experienced in complex and contradictory ways and that it can serve simultaneously as a site of exploitation and victimization and as a site of subversion and agency.
However, sex radicals note that in law the capacity to consent has, for the most part, been a privilege enjoyed by those who engage in sexual behavior of the highest status, that is, heterosexual, married, monogamous, procreative, non-commercial sex.” [26]
নারীবাদী সংলাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক হলো সেক্স ওয়ার্ক-এর প্রেক্ষাপটে “সিদ্ধান্ত” এবং “সম্মতির” সংজ্ঞা সম্পর্কে। এই দুটি ধারণাকে আলাদাপ্রাপ্ত করার মাধ্যমে আমরা সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন শোষণ (sexual exploitation)-এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবো। যখন তৃতীয় তরঙ্গ নারীবাদীরা সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে সেক্স ওয়ার্কারদের অবধান সম্পর্কে কথা বলে, তখন তারা যৌন দাসত্ব (sexual slavery) এবং যৌন পাচার (sex trafficking) সেই সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করে না। একজন সেক্স ওয়ার্কার যৌন পাচার বা যৌন দাসত্বের জন্যে দায়ী না, ঠিক যেমন একজন স্ত্রী তার স্বামীর হাতে ধর্ষিত হওয়ার জন্যে দোষী নয়। “সেক্স ওয়ার্ক” শব্দটি অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের, প্রতারিত বা হুমকির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের, নিরাপত্তার ভয়ে কাজে আবদ্ধ থাকা ব্যক্তিদের, এবং অন্যদের কাছে তাদের ইনকাম সমর্পন করতে বাধ্য থাকা ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেক্স ওয়ার্ক-এর ক্ষেত্রে “সম্মতির” বৈশিষ্টগুলি নিম্নরূপে লিখিত-
• একজন প্রাপ্তবয়স্ক যিনি স্বেচ্ছায় সেক্স ওয়ার্ক-এ প্রবেশ করেছেন। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে মৌখিকভাবে “হ্যা” বলে টাকার বিনিময়ে যৌন পরিষেবা প্রদান করা হয়, অথবা একটি যৌন কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
• সেক্স ওয়ার্ক-এর প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন কোন জবরদস্তি, প্রতারণা, বল প্রয়োগ বা ব্ল্যাকমেইল ব্যবহার করা না হয়।
• স্বায়ত্তশাসিতভাবে প্রতিটি যৌন ক্রিয়াকলাপের সীমানা নির্ধারণ করা এবং ক্লায়েন্ট-এর সাথে প্রতিটি যৌন ক্রিয়াকলাপের বিনিময়ের মূল্য/পরামি নির্ধারণ করা।
• ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ভয় ছাড়া যৌন কার্যকলাপ শেষ করা/প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা।
• ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ভয় ছাড়া সেক্স ওয়ার্ক ত্যাগ করার ক্ষমতা।
• সময়ের সাথে পুনরায় renegotiate করার ক্ষমতা (অর্থাৎ অবহিত সম্মতি/informed consent)।
“A contentious debate within feminist discourse specifically vocalizes criticism for definitions of “consent” and “choice” in the context of sex work. These terms are particularly significant in feminist and legal attempts to create non-intersecting, separate definitions of sex work and sex trafficking […] consent will be defined as the following:
• The actions of an adult who willingly enters the field of sex work. One verbally says “yes” in situations where sex is exchanged for profit, permits for an act to occur.
• Actions in which no coercion, deception, use of force, or blackmail is used to enter into the field of sex work.
• Autonomously sets the boundaries of each and every sexual activity in any given exchange, and sets prices/parameters of exchange for each sexual activity in agreement with patron.
• The ability to end a sexual activity without fear for personal safety.
• The ability to leave the profession of sex work without fear for personal safety.
• The ability to renegotiate over time (i.e. Informed consent).(Doezema, 2002)
When discussing sex workers and their contributions to the field of sex work, sex trafficking and sexual slavery will not be included in this dialogue. Sex work does not pertain to minors or children, individuals who have been deceived or threatened, individuals who are unable to refuse to work for fear of personal safety, or individuals who engage in sexual activity for a profit they are unable to keep. [27]” [3]
অবশ্যই, একজন নারী যিনি মাদকের নেশা মিটানোর জন্যে সেক্স ওয়ার্ক-এ লিপ্ত হতে বাধ্য হচ্ছে, তিনি তার অবহিত সম্মতি প্রদান করছেন না, বরং একটি অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক সেক্স ওয়ার্কারদের সম্মতি লঙ্ঘন করা হয়, ঠিক যেমন অনেক স্ত্রী তাদের স্বামীদের হাতে ধর্ষিত হয়। সম্মতির লঙ্ঘনের (অথাৎ সম্মতির অনুপস্থিতির) সমস্যা আমরা সম্মতির বিরোধিতা করে কখনো সমাধান করতে পারবো না।
স্পষ্ট এবং আনন্দদায়ক সম্মতি হলো সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজমের মৌলিক বিধান। এই ধরণের সম্মতি জাতি, বর্ণ, শারীরিক গঠন, লিঙ্গ পরিচয় এবং যৌন অভিমুখিতার ভিত্তিতে (Asexuality সহ) মানুষের বিরুদ্ধে বৈধম্য করে না। এবং এই ধরণের সম্মতি সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার বাহিরে সকল ধরণের অ-প্রথাগত সম্পর্ক (যেমন একবিবাহ/monogamy ব্যতিত সকল ধরণের সম্পর্ক) এবং যৌন চর্চাকে (যেমন BDSM-কে) অন্তর্ভুক্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সমাজে প্রচলিত নারীদের যৌনতা সম্পর্কিত লাঞ্ছনাদায়ক ধারণার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যেমন ধারণ করা যে নারীরা প্রকৃতিগতভাবে নম্র এবং বিনয়ী। অথবা ধারণা করা যে যেসব নারীরা একাধিক যৌন সঙ্গী বেছে নেয়, তারা আসলে বিকৃত অথবা “মাগী।”
“Clear and enthusiastic consent is the overriding principle of sex-positivism, and it allows for the acceptance and inclusion of people of color, people of size, and people with any gender presentation or sexual orientation (including asexuality), as well as the acceptance of non -traditional relationships (such as all forms of non-monogamy) and sexual practices (such as BDSM). In accordance with this, sex-positivism also combats the stigmas associated with female sexuality, specifically the idea that women are naturally demure and passive, and that women who enjoy their sexuality or have surpassed whatever the socially sanctioned number of sex partners is that day are deviant or “slutty.”” [28]
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম এবং সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার লঙ্ঘন
যেহেতু সেক্স ওয়ার্কাররা সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, তাদের নাগরিক অধিকার এবং শ্রমিক অধিকার অনেক সময় লঙ্ঘন করা হয়। স্কলারদের মতে সেক্স ওয়ার্কার-রা আয় উৎপন্ন করার উদ্দেশ্যে সীমিত অর্থনৈতিক সুযোগের সম্মুখীনহয়ে সেক্স ওয়ার্ক-কে একটি পেশা হিসাবে বেছে নেয়। একই সাথে নারীবাদী স্কলাররা স্বীকার করে যে সেক্স মার্কেট বিভিন্ন রূপ নিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, যারা শ্রম সরবরাহ করে, তারা স্বাধীন এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত মানুষ হতে পারে, আবার অনেক সময় তারা তা নাও হতে পারে। কঠিন ব্যাপারটি হলো এমন নীতি প্রণয়ন করা যা এই মার্কেটের মধ্যে শিশুদের এবং সামাজিকভাবে প্রান্তিক মানুষদের নিয়োগকে থামাতে পারে; এবং যা একইসাথে সেসব মানুষদের অধিকার বজায় রাখতে পারে যারা এই মার্কেটে সম্মতি প্রদান করে প্রবেশ করেছে।
“Because sex workers often come from marginalized social groups, their basic rights as workers and citizens are frequently violated [29]. Feminist theorists who recognize sex work as a legitimate choice that some people make among a constricted set of opportunities in order to earn a living, also recognize that sex markets can take many forms. In some cases those who supply the labor are relatively free and empowered agents, and in other cases they are not. The challenge is to devise policies that prevent the recruitment of children and socially vulnerable people as providers, and that also protect the rights of those who enter such markets even with informed consent.” [30]
সেক্স ওয়ার্কারদের নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখা যায়?
সেক্স ওয়ার্কার এবং সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার সংস্থাগুলি যৌন সহিংসতা, শারীরিক সহিংসতা এবং যৌন শোষণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন, যা সেক্স ওয়ার্কার-রা তাদের ক্লায়েন্ট, পিম্প এবং পুলিশের হাতে ভোগ করতে বাধ্য হয়। বিশ্ব মাগী কংগ্রেসে (World Whores Congress), অনেক সেক্স ওয়ার্কার তাদের এবং অন্য সেক্স ওয়ার্কারদের সাথে হয়ে যাওয়া অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বকভাবে সেক্স ওয়ার্ক-এ বাধ্য হওয়ার কথা বলেছিলেন। সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিপরীতে, যারা সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে, তারা এই জাতীয় নির্যাতন বন্ধ করতে চায় সেসব বিদ্যমান আইন প্রয়োগের মাধ্যমে, যা সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার পরিবর্তে শুধুমাত্র অপহরণ, শারীরিক হামলা/আক্রমণ, ধর্ষণ এবং প্রতারণাকে নিষিদ্ধ করে।
“Sex workers and sex workers’ rights groups are concerned about the sexual violence, physical violence, and exploitation that prostitutes suffer at the hands of customers, pimps, and the police. At the World Whores Congresses, many sex workers told of heinous acts of abuse that they and other prostitutes experienced, including kidnapping, torture, rape, and being forced into sex work [31]. Yet, unlike those who support the abolition of sex work, those in favor of decriminalization want these abuses stopped by the enforcement of existing laws that prohibit kidnapping, assault, rape, and fraud and claim that the illegal status of sex workers leaves them vulnerable to abuse, rape, and exploitation.” [17]
Catherine MacKinnon-এর মতন দ্বিতীয় তরঙ্গ নারীবাদীরা যুক্তি দেখান যে আমাদের সমাজে যেভাবে বেশির ভাগ যৌন চর্চা হয়, তা নারীদের বিরুদ্ধে এমন সহিংসতার উপর ভিত্তি করা যে দৈনন্দিন যৌনমিলন এবং যৌন সহিংসতা ও যৌন শোষণের মধ্যে পার্থক্য করা প্রায় অসম্ভব। অথচ, দ্বিতীয় তরঙ্গ নারীবাদীরা সাধারণ যৌন সঙ্গমের বিলুপ্ত ঘটাতে চায় না; তারা কেবলমাত্র সেক্স ওয়ার্ক-কে বিলুপ্ত করতে চায়।
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তকারীদের এই অবস্থানটি অবাস্তব হিসাবে সমালোচনা করেছে। সেক্স ওয়ার্ক-এ যৌন শোষণের সমস্যার সমাধান আমরা কখনোই করতে পারবো না, যতক্ষণ না আমরা সেক্স ওয়ার্ক-কে অন্যান্য পেশার মতন একটা সাধারণ পেশা হিসাবে বিবেচনা করি। সেক্স ওয়ার্ক কোনোভাবেই দেহব্যবসা নয়; পতিতাবৃত্তিতে যা বিক্রি করা হয় তা মানবদেহ নয়, বরং বরং একটি পরিষেবা, এবং সেক্স ওয়ার্কার-এর সময়। টাকার বিনিময়ে সেক্স করা মানে এই নয় যে ক্লায়েন্ট সেক্স ওয়ার্কার-এর শরীরের সীমাহীন ব্যবহার-এর অনুমতি পেয়ে যায়। নারীদের যৌন শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্যে সাধারণ যৌনকর্ম, বা সেক্স ওয়ার্ক- যেমন পতিতাবৃত্তি বা পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
যেমনটি বলেছিলেন erotic labour-কে একটি service work হিসাবে বিবেচনা করা এতটা রোমাঞ্চকর না কারণ এই দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে না যে সেক্স ওয়ার্কার-রা তাদের সেক্স ওয়ার্ক-এর সিদ্ধান্তের জন্যে একটি পণ্যে রূপান্তরিত হচ্ছে। এবং, এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করলেই রাজনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করে সেক্স ওয়ার্কারদের ক্ষমতাবায়ন করে যৌন শোষণের প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। অর্থাৎ, অন্যান্য পেশার মতন সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে রাজনৈতিক ও আইনি শক্তির মাধ্যমে পেশাদারদের নিরাপত্তা বজায়ে রাখা শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন আমরা সেক্স ওয়ার্ক-কে একটি সাধারণ পেশা হিসাবে স্বীকৃতি দেই।
“Abolitionists generally identify prostitution with the selling of the body and consequently of the self. It is a self-estranging activity “destructive of woman’s humanity.” This position is countered by sex workers rights advocates, who insist that what is sold in prostitution is not the body, but a service, and that what a client pays for is sex worker’s time and not indiscriminate access to her body. They criticise the abolitionist position as moralizing and utopian: the best way to protect vulnerable women is not to eradicate the market for sex by legislative means, but to use political power to organize that market in a way that makes it safer and less exploitative for sex-workers. Sex work must be understood essentially as a service sector job determined by the operative conditions of the labour market as well as other factors regulating the supply and demand of sexual services. As Wendy Chapkis, for example argues, viewing erotic labour as a form of service work is less grand and poetic than imagining the prostitute’s soul in mortal danger through the commodification of its most intimate aspects, but such formulation has the advantage of pointing critics in the direction of practical interventions such as work-place organizing and broader political campaigns to increase the status and respect accorded to those performing the labour.” [32]
সেক্স ওয়ার্ক এবং অবজেক্টিফিকেশন আলাদা
অবজেক্টিফিকেশনের এর সংজ্ঞা হচ্ছে, “কোন ব্যক্তির ব্যক্তিসত্ত্বাকে উপেক্ষা করা, তার কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নেওয়া এবং তাকে একটি বস্তুর মত অবস্থানে বসানো যাকে অন্যের সুবিধার খাতিরে ব্যবহার করা হয়।” অবজেক্টিফিকেশন দুই ভাবে হতে পার। একটা হলো যখন আমরা কোনো মানুষকে নির্জীব বস্তুর মতন ব্যবহার করি, যেমন মালিকরা যখন দাসীদের যৌন কাজে ব্যবহার করে। আরেক ধরণের অবজেক্টিফিকেশন ঘটে যখন আমরা সংলাপের মধ্যে অন্য মানুষের ভুল প্রতিনিধিত্ব করে তাদের ব্যাপারে মিথ্যা ধারণা যোগাযোগ করে। উদাহরণ- যখন ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের একাডেমিক সংলাপে লিঙ্গযুক্ত মানুষের উপহাস হিসাবে ভুল প্রতিনিধিত্ব করা।
“Objectification, at its bare bones definition, means to disregard an individual’s personhood, strip them of agency, and position them as a thing that is acted upon or used in interaction to the benefit of another. One form of the objectification of transgender people within social scientific research is the positioning of transgender people as figures or caricatures of what it means to be a gendered person in society.”[33]
যৌনতা কারো অবজেক্টিফিকেশনের সাথে অপ্রাসঙ্গিক। অবজেক্টিফিকেশন ঘটে যখন কেউ ভুল উদ্দেশ্যে একজন মানুষের মূল দিকগুলিকে উপেক্ষা করতে থাকে। অন্য মানুষের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করা, তাদের কাছে নিজের শরীর সমর্পন করা, অথবা তাদের কাছে যৌনতা প্রদান করা মানে এই নয় যে এসব ক্রিয়াকলাপে জড়িত হলে তাদের ব্যক্তিস্বত্তা সর্বক্ষেত্রে হারিয়ে যাবে। এমনকি যৌন কার্যকলাপের “শারীরিক গ্রহণযোগ্যতা” এবং “নিয়ন্ত্রণের পদত্যাগ”-এর বৈশিষ্টগুলিও সর্বক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বত্তা হারানোর সঙ্গে জড়িত থাকে না।
যদি কারোর শরীর এবং তাদের যৌন অঙ্গগুলি তাদের মানবতার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকে, তাহলে সেই অঙ্গগুলির প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করা, এবং এমনকি সেই অঙ্গগুলিকে সেই মানুষের সম্মতির অধীনে ব্যবহার করা মৌলিকভাবে অপমানজনক বা অমানবিক নয়। অন্যের লিঙ্গযুক্ত শরীরের অঙ্গগুলির যৌন ব্যবহার করাটা শুধুমাত্র যৌনতার সাথে জড়িত থাকার কারণে অবজেক্টিফিকেশনের দিকে পরিচালিত করে না। বরং, অন্যদের শরীর এবং তাদের অঙ্গগুলি ব্যবহার করা শুধুমাত্র তখনই অবজেক্টিফিকেশন ঘটায় যখন তা কারোর নিম্নলিখিত বৈশিষ্টগুলিকে উপেক্ষা করে-
* তাদের মানবতা
* তাদের শারীরিক স্বায়ত্তশাসন (যা তাদের অবহিত সম্মতি দ্বারা নির্ধারিত)
* তাদের মনুষ্য কর্মক্ষমতা (agency)
* তাদের অপরিহার্যতা (non-fungibility)
* তাদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার
* তাদের ব্যক্তিস্বত্তা
“Desiring someone sexually does not necessarily involve objectifying them in bad ways – in ways that, for example, deny a person’s humanity, autonomy, or subjectivity […] yielding sexually to another person, and the ‘bodily receptivity’ and ‘resignation of control’ characteristic of such acts, also do not necessarily involve a loss of personhood.
Nussbaum’s defence of Lawrence challenges the first component of Kant’s views on sex – that sexual desire inevitably transforms persons into things, in part, because it finds satisfaction through the use of the body of another. If the body and its sexual organs are integral parts of one’s humanity and not subhuman parts, then to desire and use them sexually is not, by itself, degrading or dehumanizing. For Nussbaum, the sexual use of the sexed body parts of another does not lead to objectification simply because sex is involved; instead, the use of the body or body parts of another (her genitals, hands, and so on) constitutes treating a person as a thing when it largely disregards one or more of the following: her humanity, autonomy, agency, non-fungibility, boundaries, inalienable rights, and subjectivity. [34] […]
Sex is irrelevant to the objectification of someone (or sexual objectification is no worse than other forms of objectification); rather, objectification occurs when one persists in disregarding key aspects of persons for the wrong purposes.”[35]
পুরুষ সেক্স ওয়ার্কার-দের সংখ্যা এতো কম কেন?
সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে বেশির ভাগ সেক্স ওয়ার্কার কেন নারী হয়ে থাকে, এবং বেশির ভাগ ক্লায়েন্ট কেন পুরুষ হয়ে থাকে? সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম ব্যাখ্যা করে যে সেক্স ওয়ার্ক-এর ক্লায়েন্ট হিসাবে নারীদের কম সংখ্যার মূল কারণ হলো লিঙ্গের ভিত্তিতে সমাজের মধ্যে নারীদের পদ্ধতিগত দমন। এই পদ্ধতিগত দমনের কারণে নারীরা অন্য মানুষের চাহিদা এবং প্রয়োজন বিবেচনা না করে তাদের ব্যক্তিগত আনন্দ উপভোগ করার জন্যে বৈধভাবে কোনো যৌন কাজে লিপ্ত হতে পারে না। নারীদের যৌনতার উপর এই সামাজিক নিয়ন্ত্রণ না থাকলে, নারীরা তাদের নিজেদের যৌন চাহিদার ব্যাপারে বাধাগ্রস্ত হতো না, এবং একজন দক্ষ সেক্স ওয়ার্কার-এর কাছে যৌন পরিষেবার জন্য তারা তাদের নিজেদের অর্থ প্রদান করতো, ঠিক যেমনভাবে নারীরা বর্তমানে কোনো স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের কাছে যায়। ফলশ্রুতিতে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্ট-রা সেক্স ওয়ার্ক-এর decriminalization এবং destigmatization-এর পক্ষে, কেননা তার মাধ্যমে নারীদের যৌনতা সম্পর্কে সামাজিক মানসিকতাকে আরো উন্মুক্ত করা যেতে পারে।। এটি এমন নারীদেরকেও সাহায্য করতে পারে যারা সেক্স ওয়ার্ক-এ লিপ্ত নয় কিন্তু যারা শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ সামাজিক নিয়মের বাহিরে যৌনতা অনুভব করতে চায়৷
“Concerning the fact that sex work happens mainly between female sex workers and male clients, sex-positive feminists explain that the limited presence of women as clients is directly due to the sexual repression of women, which does not allow them to envisage the possibility that they might legitimately desire a sexual activity for themselves without necessarily having to take the other’s desires and needs into account [36]. Without this social control over women’s sexuality, women would not be inhibited regarding their own sexual needs and would allow themselves to pay for the sexual services of a competent sex worker, in the same way they now do when they go to a healthcare professional [37]. Consequently, sex-positive feminists argue and militate for both decriminalization and destigmatization of sex work, as this would help open social mentality about female sexuality and make it both less guilt-loaded and more fulfilling, even for women who are not in sex work but who simply want to experience sexuality outside restrictive norms.” [13]
তৃতীয় বিশ্ব দেশের সেক্স ওয়ার্কারদের সাথে জোট-গঠন
এটি একটি অত্যন্ত ভুল ধারণা যে সেক্স ওয়ার্কার-দের সামাজিক সংগ্রাম শুধুমাত্র প্রথম বিশ্ব দেশে বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক স্তরে, তৃতীয় বিশ্ব দেশের সেক্স ওয়ার্কার-দের initial অনুপস্থিতি এই ভুল ধারণাকে সৃষ্টি করতে পারে। তবে গত দশক ধরে, আন্তর্জাতিক স্তরে এই অনুপস্থিতির সংশোধন করা হয়েছে। সেক্স ওয়ার্কার-দের আন্দোলন এবং অধিকার সংস্থা নিম্নলিখিত তৃতীয় বিশ্ব দেশে বিদ্যমান-
• Uruguay
• Brazil
• Venezuela
• Chile
• Mexico (La Union Unica)
• India (দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি)
• Colombia
• Peru
• South Africa (Sex Workers Advocacy and education Taskforce SWEAT)
• Japan
• Dominican Republic
• Nicaragua
• Indonesia
• Taiwan
• Turkey
“The initial lack of representation of Third World sex workers in the international movement contributed to the popular conception that sex worker struggles are products of North America and Western Europe. This is simply not the case. Sex workers’ movements and organizations exist in Uruguay, Brazil, Venezuela, Chile, Mexico, Suriname, India, Colombia, Peru, South Africa, Japan, Dominican Republic, Nicaragua, Indonesia, Taiwan, and Turkey. For example, the Mahila Samanwaya Committee, founded in Calcutta in 1994, is one of the world’s largest sex workers’ organizations. Its activities have included public rallies against eviction campaigns and police raids launched against Indian prostitutes. La Uinion Unica, founded in Mexico City in 1993, advocates for a membership of around 20,000 night workers. In South Africa, the Sex Workers Advocacy and Education Taskforce (SWEAT), founded in 1994, has fought for the inclusion of sex workers’ rights in the South African Constitution.
The lack of Third World representation in the international movement has steadily been rectified over the past decade, but the initial history of exclusion calls for vigilance, lest the “postmodern cacophony of voices” be reduced to a “free market of ideas” in which the already dominant monopolize the debate.” [38]
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-এর মধ্যে বিভ্রম
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব এক নয়
সেক্স ওয়ার্ক সম্পর্কিত শক্তিশালী রিসার্চ প্রকাশ করে যে-
১) সমস্ত সেক্স ওয়ার্ক নারীদের এবং মেয়েদের দ্বারা করা হয় না। অনেক সেক্স ওয়ার্কার পুরুষ এবং ট্রান্সজেন্ডার হতে পারে, যদিও তারা নারীদের থেকে ভিন্নভাবে আইনের দ্বারা টার্গেটেড হয়।
২) সেক্স ওয়ার্ক মৌলিকভাবে যায় উৎপন্নকারী কার্যকলাপ হিসাবে পরিচালিত করা হয়। সেক্স ওয়ার্ক মৌলিকভাবে সহিংসতা হিসাবে পরিচালিত করা হয় না, যদিও সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে বাড়িয়ে দেয়।
৩) সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার একই জিনিস না। এটি একটি অত্যন্ত ভুল ধারণা যে সকল মানুষ যারা যৌন পরিষেবা বিক্রি করে, তারা সকলেই এক্সপ্লয়েটেড।
“A strong body of research on prostitution [39] [40] [41] [42] shows the following:
1) All prostitution is not only done by women and girls; men and transgender people also sell sexual services, though they are targeted differently by law enforcement.
2) The selling of sexual services is fundamentally conducted as an income generating activity, and not primarily as violence, although the criminalization of sexual commerce is seen to enhance the violence that sex workers may face.
3) Prostitution and human trafficking are not the same phenomenon, and that it is incorrect to assume that everyone who sells sexual services is exploited.” [43]
সেক্স ওয়ার্ক-কে বৈধ করার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং বিশ্বব্যাপী সংলাপ কাজ করে। এই সংলাপ সেক্স ওয়ার্কারদেরকে নিরীহ ভিক্টিম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে, যাদের নিরাপত্তা দরকার। এই সংলাপ পাচার সম্পর্কিত বিতর্ক থেকে উঠে এসেছে। বেশিরভাগ দেশে, “trafficking/পাচার” শব্দটি “prostitute/পতিতা”-এর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়েছে, তবে evidence দেখায় যে সেক্স ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে trafficking/পাচারের সমস্যাটি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। যেহেতু এই সংলাপটি সেক্স ওয়ার্কারদের ভিক্টিম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে, এটি সরাসরি বলছে যে কোনো মানুষ তার স্বাধীন ইচ্ছা প্রয়োগ করে সেক্স ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে প্রবেশ করতে পারে না। এই সংলাপটি সেক্স ওয়ার্ক-কে বৈধ করার জন্যে কোনো সুযোগ রাখে না। Wagenaar and Altink (২০১২) দাবি করেন যে “trafficking/পাচার” এবং “জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি”-কে “exploitation/এক্সপ্লয়টেশন” হিসাবে বোঝা উচিত।
“World-wide, the existence of a strong moral discourse on sex work is a key obstacle to getting decriminalization on the policy agenda. This discourse frames sex workers as helpless victims requiring protection and relocation and has arisen from the debate about trafficking [44]. The word ‘trafficking’ has become synonymous with ‘sex work’ or ‘prostitution’ in most countries [45] yet evidence suggests that the issue of trafficking has been grossly exaggerated [46]. Some have an interest in perpetuating the trafficking discourse. It negates any argument for prostitution to be seen as service work if sex workers are framed as victims and not able to choose freely to work in the sex industry [45] and leaves little capacity to push the arguments which may lead to a legislative change to decriminalization. Wagenaar and Altink (2012) therefore argue for the concepts of trafficking and ‘forced prostitution’ to be reframed as exploitation.” [47]
রিসার্চ প্রমান করে যে আমরা যদি দাসত্ব-কে শারীরিক স্বায়ত্তশাসন (autonomy), মনুষ্য কর্মক্ষমতা (agency), এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারের অনুপস্থিতি হিসাবে বুঝি, তাহলে সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন দাসত্ব সমূর্ণরূপে আলাদা। যদিও কিছু ক্ষেত্রে সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে সহিংসতা, বলপ্রয়োগ এবং মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, তা সেক্স ওয়ার্ক-এর মৌলিক বৈশিষ্ট নয়। একজন মানুষ তার নিজের স্বাধীন ইচ্ছা প্রয়োগ করে অন্যান্য পেশার পরিবর্তে সেক্স ওয়ার্ক-কে বেছে নিতে পারে।
“Much literature has come out in recent decades affirming that sex work, can in some conditions but does not necessarily entail “violence or coercion or cause any physical or psychological harm,” it can be “actively chosen in preference to other forms of employment,” and “agency and choice can be exercised within prostitution as much as any other job.” Essentially, research has shown that sex work is not sex slavery, if slavery is an absence of autonomy, agency, and choice, and that cases of sex slavery are a case held distinct from general sex work—and yet, sex work is still widely seen as sex slavery—a conflation that the language surrounding the debate, such as the term prostitution, reifies.” [48]
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলার ক্ষতি
যেসব নারীবাদীরা সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে, তারা স্বীকার করে যে যদিও যৌনতার উদ্দেশ্যে নারীদেরকে জোরপূর্বকভাবে পাচার করা হয়, এটি সকল পেশার শ্রমিকদের মধ্যে একটি সমস্যা যেমন- ডোমেস্টিক, কৃষি, এবং ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের মধ্যে। জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি-কে সম্মতিমূলক সেক্স ওয়ার্ক-এর সাথে মিলিয়ে ফেলার পরিণতি হলো কোটি কোটি সেক্স ওয়ার্কারদের মনুষ্য কর্মক্ষমতা (agency) এবং আত্ম-নির্ধারণের অধিকার-কে উপেক্ষা করা, শুধুমাত্র একটি মতাদর্শের ভিত্তিতে যা সেক্স ওয়ার্কারদের জীবন্ত অভিজ্ঞতার সাথে মিলে না।
“These feminists maintain that while coercion and the trafficking in women for sexual purposes sometimes do happen – these also happen among domestic, agriculture, and sweatshop workers [49] […] to mix up situations of forced prostitution with those of freely chosen sex work and situations of trafficking in women with those of sex worker migration is to deny the right to autonomy and self-determination for millions of sex workers, and this on the basis of an ideological reasoning that does not correspond to the experience of the female sex workers themselves [50].” [51]
সম্মতিমূলক সেক্স ওয়ার্ক এবং জোরপূর্বক যৌনকর্মের মধ্যে বিভ্রান্তি সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনাকে বজায় রাখে। দুর্ভাগ্যবশত, সেক্স ওয়ার্ক-কে “অপরাধ” হিসেবে স্থান দেওয়া সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের পরিস্থিতি তৈরি করে এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পরিস্থিতি ঘটতে দেওয়ার অনুমতি দেয়। সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করে সেক্স ওয়ার্কার-রা পুলিশের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। সেক্স ওয়ার্কারদের পুলিশী সুরক্ষায় প্রবেশাধিকার অস্বীকার করার ফলে সেক্স ওয়ার্কার-রা ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে চুরি, ধর্ষণ এবং নৃশংসতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা অসীমভাবে বেড়ে যায়। কেননা, ক্লায়েন্টরা তখন জানবে যে কোনো সেক্স ওয়ার্কার যদি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস-ও করে, সেই ক্ষেত্রেও পুলিশ ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত চালু করবে না। এই একই পরিস্থিতি সেক্স ওয়ার্কারদের হত্যার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে ফেলে, কেননা এমতাবস্থায় খুনি জানে যে, পুলিশ কখনো “সামাজিক আবর্জনা” হিসাবে বিবেচিত মানুষদের হত্যার তদন্ত করবে না।
“This confusion between voluntary and forced sex work maintains the judicialization and stigmatization of sex workers. Unfortunately, positioning sex work as a crime produces inhuman working conditions and allows situations of violence to happen. It does so by denying sex workers access to police protection, which causes sex workers to be infinitely more vulnerable to theft, rape, and brutalities from clients, as the latter know that the police will not intervene if the sex worker dares to lodge a complaint against them. This same situation also makes sex workers more vulnerable to murder, as the murderer knows that, often, the police will not investigate the murder of what is considered social trash [52].” [51]
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা ধর্ষণ সংস্কৃতিকে সমর্থন করে
সেক্স ওয়ার্ক বিরোধিতাকারীদের ধর্ষণ এবং সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে পার্থক্যকে স্বীকার না করাটা কিছু তাত্ত্বিক এবং বাস্তবায়িক সমস্যার সৃষ্টি করে। এতে বোঝানো হয় যে সেক্স ওয়ার্কার-রা পাবলিকের হাতে ধর্ষিত হওয়ার জন্যে বসে আছে। এটি এমন একটি ধারণা যা অনেক পুলিশের সদস্য এবং বিচারপতি ধারণ করে থাকে, যে একজন সেক্স ওয়ার্কার কোনো ক্ষেত্রেই ধর্ষণের শিকার হতে পারে না। সেক্স ওয়ার্ক বিরোধিতাকারীদের কাছে সব ধরণের সেক্স ওয়ার্ক যৌন পাচারের সমতুল্য, তাই সকল সেক্স ওয়ার্ক মানুষের উপরে অপরাধ এবিং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তাই তারা সেক্স ওয়ার্কারদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং তাদের কল্যায়ন করার পরিবর্তে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার উপরে অগ্রাধিকার দেয়।
“The neo-abolitionist refusal to mark the differences between rape and sex for money has discursive and practical perils. It implies that prostitutes are “publicly available to be raped,” a position held by many law enforcement officials and judges who “refuse to accept” that prostitutes can be raped. [53] It also perpetuates the Madonna versus whore stigma, or the sense that only those who unwittingly ended up in prostitution are deserving of protection. Because all prostitution is trafficking, and thus a crime and a human rights abuse, neo-abolitionist strategies prioritize prohibition and antiproliferation of the prostitution trade rather than the welfare and empowerment of prostitutes within the trade.” [54]
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করে
UN-দ্বারা পরিচালিত Global Comission on HIV and the Law আমাদেরকে সেক্স ওয়ার্ক-কে যৌন পাচার-এর সাথে গুলিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে সতর্ক করে। তারা দাবি করে যে সেক্স ওয়ার্ক এবিং পাচারের মধ্যে বিভ্রম সেক্স ওয়ার্কারদের মর্যাদা এবং মনুষ্য কর্মক্ষমতা (agency) মুছে ফেলার চেষ্টা করে। এটি স্ব-পরিচালিত অভিনেতাদের ভিক্টিম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে, যাদেরকে তাদের পরিস্থিতি থেকে বাঁচানো দরকার।
“As the Global Commission on HIV and the Law recently warned us, conflating the concept of sex work and trafficking ‘erases the dignity and autonomy of the sex worker in myriad ways. It turns self-directed actors into victims in need of rescue’ [55].” [56]
সেক্স ওয়ার্ক-কে যৌন পাচারের সাথে মিলিয়ে ফেলা সেক্স ওয়ার্কারদের দ্বারা সকল ধরণের মনুষ্য কর্মক্ষমতার প্রয়োগকে মুছে ফেলে। সেক্স ওয়ার্ক-কে পাচারের সাথে মিলিয়ে ফেলা একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণনার অধীনে সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে আপেক্ষিক নিয়ন্ত্রণ বা স্বাধীনতার সকল দাবিকে অস্বীকার করে। এটি মূলত এই ধারণার উপরে ভিত্তি করা যে, “পুরুষ অধিপত্য প্রয়োগ করে এবং সকল সেক্স ওয়ার্কার অধীনস্ত, নিপীড়িত এবং অস্বাধীন।” এবং যখন নারীরা নিজেদেরকে “সেক্স ওয়ার্কার” বলে পরিচয় দেন, তখন সেক্স ওয়ার্ক বিরোধিতাকারীরা দাবি করে যে সেসব নারীরা আসলে মিথ্যা চেতনায় ভুগছে, তাই তারা তাদের উপরে হয়ে যাওয়া নিপীড়ণটি আসলে বুঝে না। অথবা বুঝানো হয় যে সেসব সেক্স ওয়ার্কাররা আসলে তাদের বিরুদ্ধে অপব্যাপহারটি পছন্দ করে থাকে এবং তাই, তারা আসলে বিপথগামী।
“The discursive slippage between prostitution and trafficking sweeps any exercise of agency by the putative victim under a totalizing narrative of victimization that refuses to engage in any marking of relative control or freedom—“men dominate and all prostitute women are subordinated, oppressed and unfree.” [57] Instead, those women— the self-proclaimed “sex workers” who defy the dominant narrative— are explained away as suffering from a false consciousness and thereby unaware of their oppression or as deviant in desiring abuse.” [58]
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা বর্ণবাদী আদর্শকে অনুসরণ করে
তৃতীয় বিশ্ব সেক্স ওয়ার্কারদেরকে সর্বক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক এবিং অর্থনৈতিক নিপীড়ণের কারণে সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, যার কারণে সেক্স ওয়ার্কারদের দ্বারা কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হয়। তাই, তৃতীয় বিশ্ব সেক্স ওয়ার্কারদের উদাহরণ দিয়ে সেক্স ওয়ার্ক-কে পাচারের সাথে সমতুল্য করা হয়। সমাজবিজ্ঞানী Kamala Kempadoo বলেন যে সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী স্কলাররা হলো একটি সামাজিক জনগোষ্ঠী যাদের হাতে একটি জাতিগত শক্তি রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা পুরো বিশ্বকে সংজ্ঞায়িত করে পারে এবং সামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে নতুন ধারণার সৃষ্টি করতে পারে। যৌন পাচারের ভিক্টিমদের এই হ্রাসকারী উপস্থাপন নব্য সাম্রাজ্যবাদীর একটি শক্তির সম্পর্ক প্রকাশ করে, যা পূর্ব এবং পশ্চিম দেশগুলির মধ্যে একটি বিভাজন প্রতিস্থাপন করে, যে পূর্বের দেশগুলি প্রাচীন, সৌরাচারী এবং অস্বাভাভিক যেখানে পশ্চিম দেশগুলি প্রগতিশীল এবং বুদ্ধিমান। তৃতীয় বিশ্বের নারীদেরকে অজ্ঞ, ঐতিহ্যে আবদ্ধ, দরিদ্র এবং শিশুসুলভ, অর্থাৎ নির্দেশনার প্রয়োজনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মতো শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
“Under this construction, Third World prostitutes represent the paradigmatic example of prostitution amounting to sex-sector trafficking. They are characterized as “perpetually underprivileged and marginalized” by all-encompassing economic and cultural oppression, such that the very possibility of choice or agency is negated. [59] “By equating choice with wealth, and coercion with poverty, no space remains to recognize and validate the choices that women make when confronted with limited economic opportunities.” [60] As sociologist Kamala Kempadoo argues, the universalizations and generalizations that the neo-abolitionists adopt and export abroad reveal the epistemic privilege of a social group that has a racialized power to define the world and to create new meanings about social realities. [61] The reductive portrayal of the trafficking victim sets up a neoimperialist power relation that presumes and establishes an essential divide between East and West, South and North-—exotic, archaic, and authoritarian versus progressive and enlightened; it positions Third World women as ignorant, tradition bound, poor, and infantilized, resembling minors in need of guidance [62].” [63]
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা যৌন পাচার/দাসত্ব-কে উপেক্ষা করে
সেক্স ওয়ার্ক-কে পাচারের সাথে সমতুল্য করার কারণে ভুল ধারণা জাগতে পারে যে অন্যান্য পেশার তুলনায় সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যেই বেশির ভাগ মানুষের পাচার হয়ে থাকে। তাই, মানুষের পাচার বিরুদ্ধে আইন মূলত যৌন পাচারের বিরুদ্ধে হয়ে থাকে। তবে, আন্তর্জাতিক শ্রম সেবার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস- British International Labour Organization (ILO) ২০১৫ সালে অনুমান করেছিল যে পুরো বিশ্ব জুড়ে জোরপূর্বক শ্রম এবং পাচারের ভিক্টিমের সংখ্যা ছিল ২১ মিলিয়ন, যার মধ্যে ৪৫ মিলিয়ন ছিল জোরপূর্বক যৌন এক্সপ্লয়টেশনের ভিক্টিম। পাচারের ৭৫% ভিক্টিম (অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ট) সেক্স ইন্ডাস্ট্রির বাহিরে তাদের শ্রম প্রদান করে থাকে। এর সত্ত্বেও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির বাহিরে অন্যান্য পেশার মধ্যে পাচারের মামলার হার কেবলমাত্র ৮% । যদিও সেক্স ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে জোরপূর্বক শ্রম পাচারের ভিক্টিমের মোট সংখ্যার এক চতুর্থাংশ (অর্থাৎ ২৫% বা চার ভাগের এক ভাগ); ৯২% পাচারের মামলা সেক্স ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে হয়ে থাকে। এই সংখ্যাগুলি প্রমান করে সেক্স ওয়ার্ক-কে মৌলিকভাবে শোষণমূলক হিসাবে আমাদের সাধারণ চিন্তা কত শক্তিশালী হতে পারে, এবিং কিভাবে সেক্স ওয়ার্ক “পতিতাবৃত্তির” নামে পাচার এবং জোরপূর্বক যৌন শ্রমের সাথে সমতুল্য করা হয়।
“Many people, not just scholars, are now using the term “sex work” instead of prostitution. In contemporary times, with the increase of advocates” interest in the living conditions and exploitation of women that accompanied the rise of feminist methodologies, another association forms—the association of the term “prostitute” with “victim.” Modern anti-prostitution activists assert “that all or nearly all individuals in the sex industry are coerced or trafficked, therefore equating all prostitution with trafficking.” Due to this association of human trafficking with sex work, and therefore the perceived dominance of trafficking in the sex work industry as compared to other labor industries, criminal justice efforts are focused on fighting human trafficking concentrate on sex trafficking. This is despite 2015 estimates of the British International Labour Organization (ILO)—the most reliable source for global labor statistics—“that there are almost 21 million victims of forced labor and human trafficking worldwide, including an estimated 4.5 million victims of forced sexual exploitation.” While about 75%, the majority, of trafficking victims are involved in labor outside the sex industry, only 8% of trafficking convictions are found in these other areas. Though forced labor in the sex industry makes up only about a quarter of estimated trafficking victims, they constitute 92% of convictions for human trafficking. [64] These statistics indicate just how powerful our perception of sex work as inherently exploitative and coercive really is, and how sex work, usually named “prostitution” by those who are against it, is conflated with trafficking and forced sexual labor.” [65]
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলা HIV-এর নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেয়
সেক্স ওয়ার্ক-কে পাচারের সাথে সমতুল্য করাটা HIV নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা সামাজিকভাবে প্রান্তিক। সেক্স ওয়ার্ক এবং পাচারের একীকরণ পাচারকে বিলুপ্ত করার উদ্দেশ্যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার মাধ্যমে HIV নিয়ন্ত্রণের উপরে প্রভাব বিস্তার করে। এমনকি, human trafficking/মানব পাচারের অবৈধকরণকে আসলে সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিষ্ঠানিক রূপ হিসাবে দেখা যেতে পারে। এর ফলে, সেক্স ওয়ার্কারদেরকে সামাজিকভাবে নিচে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং HIV প্রতিরোধ পরিষেবা এবং যৌন সংক্রামিত রোগের প্রতিরোধ ও চিকিত্সা পরিষেবাগুলির অ্যাক্সেস থেকে তাদেরকে আরও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“The impacts of the conflation of prostitution and human trafficking are far-reaching and have a profoundly negative effect on efforts to contain and control the HIV epidemic among those who are among the most vulnerable to seroconversion. The primary way in which the conflation of prostitution and trafficking impact HIV-prevention, in particular, is through the criminalization of prostitution as an effect of criminalizing trafficking. In fact, the criminalization of ‘human trafficking’ is the institutionalization of an anti-prostitution perspective that, while common, has never been institutionalized in the way that it has come to be. This has resulted in prostitution being the most criminalized that it has ever been. As a result, sex workers have been driven ‘underground,’ and are further removed from access to medical services, including HIV prevention services, and sexually transmitted infection prevention and treatment. The overall effect is one in which the social well-being of people selling sexual services is jeopardized, and successful efforts that have been underway since the beginning of the HIV epidemic to control HIV incidence are being undermined.” [66]
সেক্স ওয়ার্ক এবং যৌন পাচার/দাসত্ব-কে গুলিয়ে ফেলার বিরুদ্ধে নারীবাদী প্রতিবাদ
ভারতে বিভিন্ন সেক্স ওয়ার্কার অধিকার সংস্থা রয়েছে, যেমন দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি- পৃথিবীর সবথেকে বড় সেক্স ওয়ার্কার দ্বারা পরিচালিত সংস্থা। এই সহিংসতা শিশুদের সাহায্য করা এবিং দারিদ্রে থাকা যুবকদী সাহায্য করার পাশাপাশি সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। দুর্বার কমিটি গ্লোবাল নর্থের অনেক পাচারবিরোধী এক্টিভিস্টদের দ্বারা পরিচালিত “rescue”-এর রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিশেষভাবে সেক্স ওয়ার্ক-কে পাচারের সাথে সমতুল্য করার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে। পাচার বিরোধী মতবাদের মধ্যে তৃতীয় বিশ্ব দেশে নিষ্ক্রিয়, দরিদ্র, এবং নিঃশব্দে ভুক্তভোগীর ধারণাটি একটি পরিচিত ঔপনিবেশিক বর্ণনাকে প্রতিস্থাপন করে- যার প্রভাব বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষত যখন এরকম ধারণা নীতি এবং অনুশীলনে বাস্তবায়িত করা হয়।
“India is home to a number of sex worker rights groups, including the Durbar Mahila Samanwaya Committee, the largest sex worker-led organization in the world, whose extensive activities include supporting children and youth living in poverty while challenging the criminalization of sex work. The Durbar Committee rejects the politics of rescue espoused by many anti-trafficking activists from the Global North, and specifically challenges the conflation of sex work and trafficking. The constant evocation in anti-trafficking discourses of passive, impoverished, and mutely suffering victims abroad cements a familiar colonial narrative with exceptionally dangerous implications especially when translated into policy and practice [67].” [68]
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম কেন সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে?
সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ ঘোষণা করার ক্ষতি
অবৈধকরণ হলো সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অবৈধকরণ সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিজের পরিবেশকে সংগঠিত করার ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে সীমিত করে। সেক্স ওয়ার্ক-এর অবৈধকরণ সেক্স ওয়ার্কারদেরকে কাজের পরিবেশের মধ্যে সরকার-নিয়ন্ত্রিত ন্যূনতম নিরাপত্তাগুলি পেতে বাধা দেয়, যেমন- যখন তারা erotic dancing bar এবং অন্যান্য যৌন পরিষেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করতে যায়। অবৈধকরণ স্বাস্থ্যসেবা প্রবেশাধিকার সীমিত করে এবং এটি নারীদের জন্য মানসিক আঘাতের উত্স যখন গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ কর্তৃপক্ষের দ্বারা সেসব নারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। সমাজের বিরুদ্ধে একটি নৈতিক অপরাধ হিসাবে সেক্স ওয়ার্ক-এর ধারণা বজায় রাখার মাধ্যমে, অবৈধকরণ সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে স্টিগমা/লাঞ্ছনাকে বজায় রাখে যা সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে অবমাননার সৃষ্টি করে, যার কারণে অনেক সেক্স ওয়ার্কার ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং নিম্ন আত্মসম্মানের সমস্যায় ভুগে।
“Criminalization remains a major constraint. It tremendously limits the possibilities to organize one’s environment to protect oneself against possible aggression [69], prevents sex workers from getting the government-regulated minimal norms for working conditions respected when they work as employees in erotic dancing bars and other sex service establishments [70], limits healthcare access [71], and constitutes an important source of trauma for the women who get mistreated by police authorities during arrest [72]. Furthermore, by maintaining the notion of sex work as a moral crime against society, criminalization maintains stigmatization which, on its turn, is the source of denigration on the part of others, isolation, internal conflicts, and lower self-esteem [73].” [51]
সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা কিভাবে সেক্স ওয়ার্কারদের ক্ষতিগ্রস্ত করে?
সেক্স ওয়ার্ক-এর অবৈধকরণ সেক্স ওয়ার্কারদের জোট-গঠন এবং ব্যবসার স্থানে ক্লায়েন্ট গ্রহণ করাকে নিষেধ করার মাধ্যমে ঝুঁকির পরিস্থিতি আরো শক্তিশালী করে তুলে। তবে, এই ধরণের জোট-গঠন ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সম্ভাব্য সহিংসতার বিরুদ্ধে অনেক বেশি নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে। অবৈধকরণ যৌন ক্রিয়াকলাপের সময় কনডম ব্যবহারকেও নিরুৎসাহিত করে, কারণ পুলিশ সেক্স ওয়ার্ক-এর কার্যকলাপের ‘প্রমাণ’ হিসাবে কনডমের মালিকানা হওয়া বা কাজের পরিবেশে কনডমের উপস্থিতিকে শ্রেণীবদ্ধ করে। পাবলিক প্রাঙ্গনে সেক্স ওয়ার্ক-এর অবৈধকরণ সেক্স ওয়ার্কারদের বিচ্ছিন্ন এলাকায় আবদ্ধ হতে বাধ্য করে; এবং এটি তাদের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সহিংসতার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। একই সাথে নতুন ক্লায়েন্টদের সম্ভাব্য বিপদের মাত্রা মূল্যায়ন করতে সময় নিয়ে যাচাই করা থেকে বাধা দেয় এবং এইভাবে, কখন লেনদেন গ্রহণ করতে হবে এবং কখন তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে তাদের বাধা দেয়।
যৌন কাজের উদ্দেশ্যে যোগাযোগের অবৈধকরণ, সেইসাথে যৌন কাজের জন্য ম্যাসেজ পার্লারের মতো ব্যবসায়িক জায়গার ব্যবহারের অবৈধকরণ সেক্স ওয়ার্কারদের পর্যাপ্তভাবে ক্লায়েন্টদের সাথে টাকার পরিমান এবং নিরাপদ যৌন কাজি সম্পর্কে negotiate করা থেকে বিরত রাখে।
“Moreover, criminalization reinforces this situation of vulnerability by forbidding sex workers from organizing themselves into teams and receiving clients in business premises, even though this type of work organization would offer much greater security against potential violence from clients. This also discourages the use of condoms during sexual acts, as the police use the possession of condoms or their presence in the work environment as ‘proof’ of sex work activity. The criminalization of solicitation in public premises forces sex workers to retreat into isolated areas; this makes them more vulnerable to violence from clients, all the while preventing them from taking the time to evaluate the degree of potential danger of new clients and, thus, from deciding when to accept the transaction and when to refuse it.
This criminalization of communication for sex work purposes, as well as of the use of business premises such as massage parlors for sex work, prevents the sex worker from adequately negotiating acts, fees, and safe sex with clients. This sometimes creates misunderstandings, which generate stress for the sex worker and frustration for the client who will then be less willing to respect the limits imposed the sex worker [74].” [13]
সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সহিংসতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়
১৫-টি দেশ জুড়ে ১৬-টি NGO দ্বারা পরিচালিত রিসার্চ-এ দেখা গেছে যে পুলিশের হাতে সেক্স ওয়ার্কারদের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনা নয় যা শুধুমাত্র কিছু কম সংখক পুলিশ অফিসারদের দ্বারা সংগঠিত। বরং, সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন জাতিগত আইনের প্রতিফলন যা সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে সমর্থন এবং উৎসাহিত করে। Cambodian Prostitues’ Union দ্বারা পরিচালিত আরেকটি রিসার্চ ১০০০ নারী এবং ট্রান্সজেন্ডার সেক্স ওয়ার্কারদের নিয়ে গবেষণা করে প্রকাশ করেছে যে তাদের মধ্যে অর্ধেক পুলিশের দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছে, এবং তাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ (অর্থাৎ ১/৩) পুলিশের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। Kenya, South Africa, Uganda এবং Zimbabwe-এর মতন দেশগুলিতে, পুলিশ কন্ডোমের অজুহাত ব্যবহার করে সেক্স ওয়ার্কারদের শারীরিক এবং যৌনভাবে নিপীড়ন করে, এবং অনেক সময় তাদেরকে বিনা অভিযোগে আটক করে রাখে।
“Researchers working on a Soros Foundation-funded participatory project led by the Sex Workers’ Rights Advocacy Network, a conglomeration of 16 non-governmental organizations working in 15 countries throughout Eastern and Central Europe and Central Asia, concluded that “human rights abuses committed by police against sex workers in the countries studied… cannot be dismissed as simply the acts of rogue officers, but are rightly considered manifestations of state policies that tolerate, and in some cases even encourage, violence against sex workers” [75]. Another participatory study, conducted with the Cambodian Prostitutes’ Union, surveyed 1000 women and transgender people who sell sex and found that in the past year half had been beaten by police and a third had been gang-raped by police (Jenkins et al. 2006). Likewise, interviews conducted by peer outreach workers who engage with female, male, and transgender sex workers in Kenya, South Africa, Uganda, and Zimbabwe indicated that police confiscate condoms as evidence, physically or sexually abuse sex workers, and sometimes detain them without charges [76].” [77]
সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা HIV-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
সেক্স ওয়ার্ককে অবৈধ করা সফল HIV প্রতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্য অনুশীলনকে বাধা দেয়। সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদের যৌনবাহিত রোগ (Sexually Transmitted Diseases) এবং HIV-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এর কারণ হলো যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা ডাক্তারদের কাছ থেকে সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনা/স্টিগমা সৃষ্টি করে, এবং পুলিশের হাতে সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে নিপীড়নকে পোষণ করে। তার সাথে, এটি সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থসেবা রাজনীতিতে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করে যদিও সেই রাজনীতি তাদের নিজেদের জীবনের উপরে প্রভাব ফেলে।
সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদেরকে ক্রিমিনাল হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে, যার ফলে স্বাস্থসেবা কর্মচারীরা সেক্স ওয়ার্কারদেরকে নেতিবাচক আলোতে দেখে। এর ফলে স্বাস্থসেবার প্রেক্ষাপটে সেক্স ওয়ার্কাররা বৈষম্যের শিকার হয়, এবং তাদের স্বাস্থসেবায় প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ হয়। একজন সেক্স ওয়ার্কার বলেন, “আমাদের সাথে যেইভাবে তারা আচরণ করে, তার কারণে সেক্স ওয়ার্কারদের জন্যে স্বাস্থসেবা ক্লিনিকে প্রবেশ করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। স্বাস্থসেবা কর্মচারীদের প্রতিক্রিয়ার ভয়ে আমরা তাদেরকে এই কথাটাও বলতে দ্বিধাবোধ করি যে আমরা আসলে সেক্স ওয়ার্কার। শুধুমাত্র তারা যেন আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, আমরা আমাদের নিজেদের পরিচয় নিয়ে মিথ্যা কথা বলি।” সেক্স ওয়ার্কারদের প্রতি স্বাস্থসেবা কর্মচারীদের নেতিবাচক মনোভাব সেক্স ওয়ার্কারদেরকে টেস্টিং এবং চিকিৎসা নেওয়া থেকে বাধা দেয়। একই সাথে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্ক-কে isolated/বিচ্ছিন্ন বানিয়ে ফেলে, যা সেক্স ওয়ার্কারদেরকে বিদ্যমান স্বাস্থসেবা থেকে লুকিয়ে রাখে।
“Criminalization impedes successful HIV public health intervention practices. [78] Sex workers, their clients, and family members make up 19.8% of new HIV infections in South Africa. [79] Sex workers face an increased risk of HIV and STI infections because criminalization fuels stigma against sex workers in health services and fosters police abuse of sex workers. It also dissuades sex worker involvement in the development of health policy decisions that affect them.
Criminalization stigmatizes sex workers as criminals, which negatively affects how health workers view them. This leads to discrimination in health care settings that obstructs sex workers’ access to services and information. As one sex worker noted, “It’s not easy for sex workers to go to health clinics because of the way we’re treated. It’s hard for us to even tell health staff we’re sex workers because of the way they react. We have to lie about ourselves and our stories just to be treated better.” [80] Health professionals’ often negative and disapproving attitudes towards sex workers also drive sex workers to delay seeking treatment for STI infections, HIV testing, and post-exposure prophylaxis medication. [81] In addition, due to its illegality, the isolated nature of sex work often leaves sex workers hidden from health outreach services that do exist [82].” [83]
সেক্স ওয়ার্ক অবৈধ করার বিরুদ্ধে নারীবাদী প্রতিবাদ
নারীবাদীরা যখন বিশেষভাবে সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত/decriminalize করার জন্য প্রচারণা চালায়, তখন সাধারণত তারা বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান অনেকগুলো সেক্স ওয়ার্কার অধিকার সংস্থাগুলির যেকোনো একটির মাধ্যমে করে। সেক্স ওয়ার্কারদের জীবন এবং তাদের কাজের অবস্থার উপর অবৈধকরণের এবং লাঞ্ছনার নেতিবাচক প্রভাবগুলির উপর এই নারীবাদীরা তাদের যুক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে এবং এই উপসংহারে আসে যে এই নেতিবাচক অবস্থার উন্নতির জন্য সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত/decriminalize করা প্রয়োজন।
“Feminists specifically campaigning for the decriminalization of sex work usually do it through one of the many sex workers’ rights organizations that exist around the world. They concentrate their argumentation on the very negative effects that criminalization and stigmatization have on the life and working conditions of sex workers and conclude that decriminalization is necessary in order to improve these conditions [84].” [13]
সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার ইতিবাচক দিক
সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করা এবং সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার সমর্থন করা Australia-তে HIV-এর বোঝা কমাতে দেখা গেছে, যেখানে সেক্স ওয়ার্ক অপরাধমুক্ত। গবেষকদের অনুযায়ী, নারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা স্বাস্থ্যসেবার সরকারী সহায়তার কারণে এবং বিভিন্ন pro sex-work-এর সরকারি সমর্থনের কারণে Australia-তে HIV-এর হার এতো কম; যেখানে সেক্স ওয়ার্ক অবৈধ নয়। New South Wales, যা ১৯৯৫ সালে সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করে ফেলে সেক্স ওয়ার্কারদের মধ্যে ৯৯% কন্ডোমের ব্যবহারের হার দেখা গেছে। একই সাথে সেই দেশে সেক্স ওয়ার্কারদের মধ্যে Sexually Transmitted Diseases-এর হার ঐতিহাসিকভাবে কম। এই সাফল্যগুলি মূলত সেক্স ওয়ার্কারদের এবং New South Wales ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথের মধ্যে গড়ে ওঠা অংশীদারিত্বের কারণে বাস্তবায়িত হয়েছে। এবং পাশাপাশি যৌন শিক্ষক হিসাবে সেক্স ওয়ার্কারদের স্বীকৃতির জন্য এই সাফল্য দেখা গেছে। এর মাধ্যমে সেক্স ওয়ার্কারদের পেশায় তাদের মানসিক শ্রমের প্রদানকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
“The decriminalization of sex work and the attendant recognition of the rights of women in sex work have also been shown to decrease the burden of HIV in Australia. Sex workers’ rights advocates and public health researchers contend that the country’s relatively low incidence of HIV is due, in large part, to government support for different pro-sex work agencies and health promotion programming designed specifically for these women [85]. Findings from the state of New South Wales, which decriminalized sex work in 1995, indicate 99 % condom use among sex workers and historically low rates of sexually transmitted infections. These successes are attributed largely to the partnerships developed between sex workers and the New South Wales Department of Public Health [86] as well as the recognition of sex workers as sex educators. Doing so recognizes the important communication that takes place in transactional sexual exchanges as well as the emotional labor that sex industry workers provide to their clients, which many describe as of equal or even greater importance than the sexual services purchased [87].” [88]
সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে Stigma/লাঞ্ছনার ক্ষতি
“লাঞ্ছনা/Stigma” সেক্স ওয়ার্ক-এর মৌলিক বৈশিষ্ট নয়
স্টিগমা/লাঞ্ছনা হল সেক্স ওয়ার্ক-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এটি যৌন বাণিজ্যে সর্বব্যাপী, যদিও স্টিগমার উপাদান এবং তীব্রতা লিঙ্গ পরিচয়, পেশাগত খাত এবং জাতীয় প্রেক্ষাপট অনুসারে কিছুটা পরিবর্তিত হয়। সেক্স ওয়ার্কার, তাদের পরিচালক এবং তাদের ক্লায়েন্টদের উপর গবেষণা স্টিগমা/লাঞ্ছনার ক্ষতিকর প্রভাবের প্রচুর প্রমাণ দেয়।
স্টিগমা/লাঞ্ছনা-কে মানুষের প্রতি নিকৃষ্ট মর্যাদার একটি অভিপ্রায় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে; হয় একটি কথিত দৃশ্যমান অসম্মানজনক বৈশিষ্টের ভিত্তিতে (যেমন শারীরিক অক্ষমতা), অথবা কোনো বিবেচিত নৈতিক ত্রুটির ভিত্তিতে। আরভিং গফম্যান স্টিগমাকে “একটি বিবেচিত বৈশিষ্ট্য যা গভীরভাবে অসম্মানজনক” হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। কিন্তু স্টিগমা কোনো জিনিসের মৌলিক বৈশিষ্টের কারণে গড়ে উঠে না। বরং, স্টিগমা হলো অন্তত দুটি (বা দুটোর থেকে বেশি) মানুষের মধ্যে সম্পর্কের একটি উৎপাদন , কোনো আচরণের বা শারীরিক পরিস্থিতির মৌলিক বা আন্তরিক বৈশিষ্ট নয়। স্টিগমা সমগ্র শ্রেণীর লোকেদের (যেমন সমকামীদের, মাদক ব্যবসায়ীদের, ইত্যাদি) জন্যে, এবং পাশাপাশি নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। জনমত জরিপ, মিডিয়ার প্রতিনিধিত্ব, রাজনৈতিক বক্তৃতা, মুখোমুখি সংঘর্ষ, এবং যে উপায়ে ব্যক্তিরা তাদের stigmatized পরিচয় গোপন করে double lives যাপন করে, তাতে স্টিগমা প্রকাশ পায়।
“Stigma is one of the most important problems in sex work. It is omnipresent in sexual commerce, although its substance and intensity vary somewhat by gender, by occupational sector, and by national context. Research on sex workers, their managers, and their clients offers abundant evidence of the harmful consequences of stigmatization.
Stigma has been described as an imputation of inferior status to those who have either a visible discrediting trait (e.g. physical disability) or some perceived moral defect. Erving Goffman defines stigma as ‘‘an attribute that is deeply discrediting,’’ but what is key is not the attribute itself: instead stigma is a product of a relationship between at least two actors, not something inherent in a type of behavior or physical condition [89]. It applies to entire categories of people (e.g. gays, drug dealers) as well as to specific individuals. It is manifested in public opinion polls, media representations, political discourse, face-to-face encounters, and the ways in which individuals internalize stereotypes, conceal their stigmatized identity, and lead double lives.” [90]
সমাজের কারণে Stigma/লাঞ্ছনা বিদ্যমান
স্টিগমা/লাঞ্ছনা সম্পূর্ণরূপে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তির উপরে ভিত্তি করে। শক্তির এই ধারণাটি স্টিগমা/লাঞ্ছনার জটিলতা প্রকাশ করে- স্টিগমা/লাঞ্ছনা শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত মানসিক প্রক্রিয়া নয়। বরং, স্টিগমা অভন্তরীন এবং বহিরাগত সামাজিক পদ্ধতি দ্বারা সংগঠিত এবং মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব বিস্তার করে। ব্যক্তিগত স্তরকে অতিক্রম করে স্টিগমাকে বিবেচনা করা সামাজিক নিয়ন্ত্রণের শক্তিশালী কাঠামোগুলিকে প্রকাশ করে, যার অধীনে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং লজ্জা প্রয়োগ করা হয়। মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে এই নিয়ন্ত্রক শক্তি কাঠামো কিরকম প্রভাব বিস্তার করে, তা বুঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“Link and Phelan (2014) used the term stigma power to describe the resources others draw on to keep the stigmatized down, in, or away. The authors noted that “stigma is entirely dependent on social, economic, and political power—it takes power to stigmatise” [91]. The concept of stigma power shifts conventional understandings of stigma as an individual psychological process toward a more complex conceptualization of stigma as a set of internal and external social processes, affecting “multiple domains of people’s lives” [92]. Recognizing stigmas beyond the personal level—in other words, as a “personal tragedy” or form of individual “deviance”—allows for exposure of the powerful structural mechanisms of social control underlying cultural norms of shame and blame and is vital to understanding how they play out in the daily lives of those who are stigmatized [93].” [94]
Kong (২০০৬) বলেছিলেন যে সামাজিক স্টিগমার কারণে সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে সমস্যা বিদ্যমান। তাই, সেক্স ওয়ার্ক-এর প্রকৃতির মধ্যে কোনো মৌলিক সমস্যা নেই। Swendeman et al. (২০১৫) ভারতীয় সেক্স ওয়ার্কারদের ব্যক্তিগত জীবনে স্টিগমা/লাঞ্ছনা নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তিনি বলেন যে, ব্যক্তিগত অর্থলাভ এবং স্বাধীনভাবে টাকা ব্যবহার করে সম্পদ কিনা এবং পরিবারকে সাহায্য করার স্বাধীনতা সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে বিদ্যমান স্টিগমা/লাঞ্ছনার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিনি আরো বলেন যে সেক্স ওয়ার্ক-এ উপার্জিত টাকা এবং মর্যাদার বৃদ্ধি স্টিগমা/লাঞ্ছনা সহ্য করার জন্যে আংশিকভাবে সাহায্য করতে পারে। Koken et al. (২০০৪) এর একটি রিসার্চ-এ একজন সেক্স ওয়ার্কার বলেছিলেন, “টাকা এটিকে মূল্য দেয়।”
“Kong (2006) concluded it is the social stigma that makes sex work problematic, not the nature of the work itself. In their examination of the impact of prostitution stigma on the lives of sex workers in India, Swendeman et al. (2015) stated the “monetary gains and exercising agency in using money to gain achievements of property and supporting family eventually compensated for stigma associated with their work” (p. 1017). Swendeman et al. (2015) concluded that an increase in economic and social status from earning in sex work was seen as a partial compensation for the enduring stigma. As one sex worker in Koken et al.’s study (2004) stated, “[T]he money makes it worth it” (p. 27).” [95]
অসম্মানজনক ভাষা Stigma/লাঞ্ছনাকে বজায় রাখে
কোনো stigmatized/লাঞ্ছনাদায়ক কাজ/আচরণকে স্বাভাবিক করার জন্যে অবমাননাকর/অপমানজনক নাম এবং শব্দের বাতিল অবশ্যই করতে হবে। Michel Foucault যেমনটি পর্যবেক্ষণ করেছেন, ভাষার ব্যবহারের মধ্যে সামাজিক শক্তি বিদ্যমান; সমাজের শক্তিশালী গোষ্ঠী প্রায়শই অধীনস্ত গোষ্ঠীদের নামকরণ করার মাধ্যমে তাদেরকে লাঞ্ছিত করে। “Whore”, “hooker”, “harlot”, “john”, এবং “punter”-জাতীয় শব্দ “worker”, “provider”, “client”, এবং “manager” -দ্বারা প্রতিস্থাপন করা উচিত। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সমাজে নিপীড়িত গোষ্ঠীর শ্রেণী অবমাননাকর/অসম্মানজনক শব্দের পুনরুদ্ধার করতে পারে। এই শব্দগুলির সাথে সম্পর্কিত নেতিবাচক ধারণাগুলি উল্টানোর উদ্দেশ্যে তারা নিজেদেরকে “whore” এবং “john” জাতীয় শব্দ দ্বারা নিজেদেরকে পরিচয় দিতে পারে। এর উদাহরণের মধ্যে রয়েছে- Brussels-এ ১৯৮৫ সালের আন্তর্জাতিক মাগী কনফারেন্স (World Whores Convention), SanFransico-তে ১৯৭০ সালের Hookers Ball, মার্কিন সেক্স ওয়ার্কারদের দ্বারা প্রকাশিত পত্রিকা “Whorezine” এবং “Johnzine”; এবং ২০১৩ সালে Chester Brown-এর বই, Paying for it: A Comic Strip Memoir About Being a John । বাণিজ্যিক যৌনতার অংশীদাররা নিজেদেরকে যা ইচ্ছা তা ডাকতে পারে। তবে লাঞ্ছনা কমানোর জন্যে অন্যদের (অর্থাৎ বাণিজ্যিক যৌনতার অংশীদারদের ব্যতিরেখে) এসব অসম্মানজনক/অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত, কেননা এসব শব্দের ব্যবহার সময়ের সাথে সাথে অসম ক্ষমতার সম্পর্ককে পুনরুৎপাদন করে।
“Derogatory names must be erased from public and private discourse for normalization of any stigmatized condition or behavior to occur. As Michel Foucault observed, power relations are embedded in language, with dominant groups typically engaging in ‘‘naming and shaming’’ of subordinates. Words such as whore, hooker, harlot, john, and punter should be replaced with worker, provider, client, and manager. It should be noted that discredited groups sometimes expropriate pejorative terms: they may call themselves ‘‘whores’’ or ‘‘johns’’ for purposes of shock value and to reclaim and invert negative identifiers. Examples include the 1985 World Whores Convention in Brussels; the Hookers Ball dance events that COYOTE sponsored in San Francisco in the 1970s; the magazines Whorezine and Johnzine published by American sex workers in the 1990s; and Chester Brown’s (2013) defense of clients in his book Paying For It: A Comic Strip Memoir about Being a John. It can be argued that those who participate in sexual commerce should be free to call themselves whatever they wish. But to reduce stigma, others should cease using derogatory terms because of the asymmetrical power relationship that their usage reproduces over time.” [96]
Stigma/লাঞ্ছনার কারণে নেতিবাচক প্রভাব
কোনো কিছুকে লাঞ্ছিত করার পরিণীতি অত্যন্ত গভীর। স্টিগমা/লাঞ্ছনা মানুষের quality of life, employment এবং income-এর উপরে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে এবিং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্নতার দিকে এগিয়ে দেয়। একই সাথে স্টিগমা/লাঞ্ছনা শারীরিক এবং মানসিক সমসসার সাথে সম্পর্কিত, এবং স্বাস্থসেবা ব্যবহারে বাধা দেয়। Hatzenbuehler, Pehlan and Link (২০১৩) বলেন যে মানুষের বিরুদ্ধে স্টিগমা/লাঞ্ছনা তাদের জীবনে অন্য কোনো জিনিসের থেকে আরো বেশি প্রভাব বিস্তার করে। স্টিগমা/লাঞ্ছনার প্রকৃতি অধিপত্যবাদী- লাঞ্ছিত বৈশিষ্ট বা আচরণের উপস্থিতি একজন মানুষের অন্যান্য বৈশিষ্টকে লুকিয়ে দেয়।
“The consequences of stigmatization are far-reaching. It is negatively associated with quality-of-life measures, such as social isolation, employment, and income [97], is linked to an array of physical and mental health problems [98], as well as a reluctance to use health services [99]. As Hatzenbuehler, Phelan, and Link (2013) note, “[T]he accumulated literature makes a compelling case that stigma represents an added burden that affects people above and beyond any impairments or deficits they may have” (p. 814). Stigmas sometimes have totalizing properties, so that any sign of stigmatized attributes or behaviors renders such persons wholly damaged and becomes their “master status,” eclipsing all other characteristics to organize interpersonal interactions [100].” [101]
Stigma/লাঞ্ছনার কারণে সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিদ্যমান
সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এতো প্রবল যে “Whorephobia” শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় “পশ্চিম দেশে সবথেকে ব্যাপকভাবে প্রচলিত বৈষম্য”-কে। Canada এবং পুরো বিশ্বের প্রখ্যাত সেক্স ওয়ার্ক স্কলারদের অনুযায়ী, সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য মৌলিকভাবে লাঞ্ছনার উপরে ভিত্তি করে, যেমনটি Goffman ধারণা করেছিলেন। সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য কমানোর জন্যে, স্টিগমা/লাঞ্ছনার উৎপাদন এবং প্রভাব বুঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা লাঞ্ছনা বৈষম্যকে বৈধতা দেয়।
“The purchase and sale of sexual services are understood as stigmatized practices, and both sex workers and sex clients face discrimination as a result of stigma [102]. For sex workers, discrimination is so prevalent that the term “Putophobie,” and its English translation “Whorephobia,” have been taken up by sex workers, sex work researchers, and sex work advocates to label “one of the most widespread discriminations in our western culture” [103]. According to prominent sex work scholars in Canada and the world, sex work discrimination is rooted in stigma as theorized by Goffman [104]. In order to diminish sex work discrimination, it is important to understand the production and consequences of the stigma that legitimizes it [105].” [106]
Stigma/লাঞ্ছনা সেক্স ওয়ার্কারদের সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধা দেয়
সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনা/স্টিগমা সেক্স ওয়ার্কারদের ক্যারিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং সমর্ক বানাতে এবং বহায় রাখতে বাধা দেয়। তার উপরে, লাঞ্ছনা/স্টিগমা সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে অসম্মান এবং সহিংসতাকে উৎসাহিত করে। সেক্স ওয়ার্কারদেরকে “dirty”, “immoral”, “hyper-sexual”, “home wreckers”, “victims” এবং “sex work is not a labour activity” বলে অপমানিত করা হয়।
“Some reoccurring stereotypes encountered by sex workers are that they are “dirty”, “immoral”, “hyper-sexual”, “home wreckers”, “victims” and that sex work is not a “labour activity” [107]. Sex work stigma has serious consequences; it hinders sex workers trying to develop careers or build and maintain relationships [108]. Moreover, it legitimizes and promotes the discreditation and disrespect of sex workers as well as violence against them. [109].” [110]
Stigma/লাঞ্ছনা সেক্স ওয়ার্কারদের চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়
সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থসেবায় প্রবেশাধিকারের উপরে স্টিগমা/লাঞ্ছনা একটি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। অনেক সেক্স ওয়ার্কারদের জন্য, স্বাস্থসেবা কর্মচারীদের কাছ থেকে অনুপযুক্ত প্রশ্ন, নৈতিক বিচার, এবং চিকিৎসায় ধারাবাহিকতার অনুপস্থিতি সেক্স ওয়ার্কারদের পেশা প্রকাশ করতে বাধা দেয়। এমনকি তারা গুরুতর ভাবে আহত হলেও চিকিৎসার সহায়তা নিতে চায় না। যেসব Canadian সেক্স ওয়ার্কাররা তাদের পেশা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা প্রায়ই দেখতে পায় যে স্বাস্থসেবা কর্মচারীদের দ্বারা তাদের উপরে বিচার হওয়ার ভয় বাস্তবায়িত হয়েছিল। কিছু সেক্স ওয়ার্কার ব্যাখ্যা করেছেন যে তাদের পেশা প্রকাশ করার পরে তাদের চিকিৎসায় তারা একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন।
“Many sex workers deal with stigma through information control; they lead double lives and use lies and selective disclosure to protect their identity [111]. Though information control helps protect sex workers from the consequences of stigma, it is very demanding and time consuming. Especially concerning is the effect that stigma is found to have on sex workers’ access to health care. For many sex workers, inappropriate questions, moral judgement, and lack of continuity and consistency in care lead sex workers to avoid disclosing their work and avoid seeking medical assistance when severely injured [112]. Canadian sex workers who did decide to disclose their work often found that their fears of judgement came true, with some sex workers explaining that they noticed a change in their care after disclosure [113].” [114]
সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে Stigma/লাঞ্ছনা কমানোর প্রয়োজনীয়তা
সেক্স ওয়ার্ক এবং সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে স্টিগমা/লাঞ্ছনা এমনকি একটি অপরাধমুক্ত প্রেক্ষাপটেও সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থসেবায় প্রবেশাধিকারকে সীমাবদ্ধ করতে পারে। একই সাথে স্টিগমা/লান্ছনা সেক্স ওয়ার্কারদেরকে শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে। অবস্যই, সেক্স ওয়ার্কারদের শ্রম এবং মানবাধিকার বজায় রাখার জন্যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করা প্রয়োজন। তবে, রাজনীতিতে সেক্স ওয়ার্কারদের নিজেদের উপস্থিতি ছাড়া সেক্স ওয়ার্কারদের কাজের পরিবেশ এবং স্বায়ত্তশাসন কখনো উন্নত হবে না।
“Regulation and policies in the field of prostitution often do not address the issues of discrimination and destigmatization of prostitution. It is precisely the stigmatization of sex work and sex workers that can (even within a decriminalized setting) make it more difficult to access social welfare services and exercise the rights arising from labour legislation. Although the decriminalization of sex work is a precondition to secure the labour and human rights of sex workers, the involvement of sex workers in policy development and facilitation of different modes of working are necessary to improve their working conditions and autonomy (Pitcher and Wijers, 2014).” [115]
বৃহত্তর স্তরে সেক্স ওয়ার্ক-এর স্টিগমা/লাঞ্ছনা কমানো এবং সেক্স ওয়ার্ক-কে একটি বৈধ পেশা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর উপরে ভিত্তি করে সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার বজায় রাখার জন্যে সামাজিক নীতি বানানো যেতে পারে। বর্তমান রিসার্চ “সহযোগিতামূলক নেতৃত্বের” পরামর্শ দেয়, যেখানে সেক্স ওয়ার্ক সম্পর্কিত আইনি পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে সেক্স ওয়ার্কাররা রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে একটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সেক্স ওয়ার্ক-এর কথা চিন্তা করলে, এই “সহযোগিতামূলক নেতৃত্ব” অত্যন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমেই সেক্স ওয়ার্কারদের নিজেদের কণ্ঠস্বর আমরা তুলে ধরতে পারি, যেখানে তারা সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে নৈতিক সীমাবদ্ধতা প্রয়োগ না করে রাজনীতির প্রয়োগ করে সেক্স ওয়ার্ক-কে উন্নত এবং পরিবর্তন করার পক্ষে কথা বলে। একই সাথে, তারা তাদের সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতাও তারা প্রকাশ করে।
“Interventions should address the actual needs of sex workers focusing on the perspective of harm reduction and on informing sex workers about various topics such as safe sex, health, legal regulation and rights, and so on. In addition to addressing the needs of sex workers in social welfare programmes, there is a need to destigmatize sex work on a broader social scale and to recognize it as a legitimate form of work, which can be seen as a starting point for establishing social policies and acknowledging workplace rights of sex workers. Through an insight into the needs of sex workers, the present research represents an important shift towards the principle of ‘collaborative governance’, which emphasizes an active role and perspective of sex workers in the process of changing the legislation policies regulating sex work. Considering the specifics of sex work, this is of great importance for improving and upgrading the (social) policies governing sex work to put voices of sex workers as agents of change, building the policies based on diverse (working) practices and experiences of sex workers rather than moral restraints towards it.” [115]
সেক্স ওয়ার্ক-এর ইতিবাচক দিকগুলি
নিম্নলিখিত সেক্স ওয়ার্কার-দের বিবৃতিগুলি আফ্রিকা উপমহাদেশের দুটি নারীবাদী সেক্স ওয়ার্কার সংগঠনের থেকে নেওয়া হয়েছে, যেমন African Sex Worker Alliance (ASWA) এবং AWAKE! Women of Africa, যা ২০১৮ সালে একটি peer-reviewed research paper-এ প্রকাশিত হয়। তাদের বিবৃতি থেকে প্রমানিত হয় যে একটি পুরুষতান্ত্রিক, তৃতীয় বিশ্ব দেশের মধ্যেও একজন নারী স্বেচ্ছায়, সম্মতি প্রদান করে ব্যক্তিগত মর্যাদা ও সম্মান অক্ষত রেখে একজন সেক্স ওয়ার্কার হতে পারে। এবং তাদের জীবন্ত সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার অভিজ্ঞতার মধ্যে সেক্স ওয়ার্ক-এর ইতিবাচক দিকগুলি উঠে আসে।
সেক্স ওয়ার্ক একটি সম্মানজনক পেশা
সেক্স ওয়ার্কাররা তাদের ব্যক্তিগত মর্যাদা এবং সম্মান ক্ষয় না করে তাদের কাজটি করতে পারে। নারীবাদী সেক্স ওয়ার্কার সংগঠনের থেকে আমরা প্রমান পাই যে সেক্স ওয়ার্কাররা সমাজে সমতা এবং সম্মান- উভয় অর্জন করতে পারে। এবং নারীদের মর্যাদা অক্ষত রাখার জন্যে সেক্স ওয়ার্ক বা পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করার কোনো প্রয়োজন নেই। নারীদের জন্যে সমতার অর্থ হলো আইনের চোখে সমান অধিকার, এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে সমতা- যেমন অফিস, স্কুল, রাস্তা, রান্নাঘর এবং শয়নকক্ষে সমতা। এবং, শয়নকক্ষে বা অন্য কোন স্তরে সমতা কোনো ভাবেই বাণিজ্যিক যৌনতার বাতিলের উপরে নির্ভর করে না। বাণিজ্যিক যৌনতার বাতিলের মাধ্যমে সমতা কখনো অর্জন করা যেতে পারে না। বরং, টাকার বিনিময়ে কেউ যদি যৌন কাজে লিপ্ত হয়, তখন সেটার জন্যে প্রয়োজন সেই একই আইনি সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা যা অন্যান্য পেশার কর্মীরা বিশেষাধিকার হিসাবে উপভোগ করে। এর মানে হলো যে সেক্স ওয়ার্কারদের প্রয়োজন একটি যুক্তিসঙ্গত সামাজিক এবং আইনি পরিবেশ, যা তাদের কাজ করার অধিকার, নিরাপত্তা এবং সুস্থতা বজায় রাখতে পারবে।
যেহেতু সেক্স ওয়ার্ক যৌন নৈতিকতা এবং নারী সম্মানের গ্রহণযোগ্য সীমারেখা অতিক্রম করে, সেক্স ওয়ার্কাররা সামাজিক অধীনতা, অসম্মান এবং করুণার শিকার হতে পারে। তাই, অনেক সেক্স ওয়ার্কাররা তাদের নিজেদের পক্ষে কথা বলার অধিকারের দাবি করছে। তাদের জীবনকে ইতিবাচক আলোতে প্রদর্শন করে তারা বইপুস্তক লিখছে, একাডেমিক সংলাপে যুক্ত হচ্ছে এবং প্রথাগত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সমালোচনা করছে। একই সাথে তারা সকল পেশায় সাধারণ সমস্যাগুলো তুলে ধরছে, এবং সেক্স ওয়ার্ক ও সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বৈষম্য এবং অসম্মান তুলে ধরছে। সমাজের থেকে লাঞ্ছনার সম্মুখীন হওয়ার সত্ত্বেও, এই সেক্স ওয়ার্কার-রা প্রমান যে সম্মান উপভোগ করার জন্যে তাদের সমাজের কাছে যেতে হয় না। বরং, তারা নিজেরা তাদের ব্যক্তিগত মর্যাদা স্বীকার করতে সক্ষম হয়, এবং পৃথিবীর কাছে তা উপস্থাপনা করতে তারা দ্বিধা করে না।
“For several decades, feminist-oriented sex worker organizations have been demonstrating that, contra Kant and MacKinnon, the work they perform can be carried out with personal dignity and need not undermine respect for women. The existence and efforts of sex worker associations show that women can achieve social equality and respect without suppressing pornography or sex work, for women’s equality really depends on achieving equal treatment under the law, and in the workplace, school, street, kitchen, and bedroom. Moreover, equality in the bedroom or else- where does not require keeping sex off the streets, but when it is performed anywhere, for wages, it requires the same protections and privileges as other forms of work. This means that sex workers must have a reasonably tolerant legal and social environment in which to work, health and safety protections, enforceable employment contracts, and so on. In addition to addressing the problems common to all market relationships, many sex workers are addressing the historical prejudices that still exist toward their work and themselves. Because sex work violates conventional norms of sexual morality and female respectability, sex workers are vulnerable to social subordination, disrespect, and pity. To counter their image as the mere instruments of others, many are demanding the right to speak for themselves and to present their lives in positive terms, by publishing books, becoming academic experts and cultural critics, organizing conferences, producing artwork, and so on.” [116]
সেক্স ওয়ার্ক পুরুষতন্ত্রের ক্ষয় করে
উগান্ডার মতন তৃতীয় বিশ্ব দেশেও আমরা সেক্স ওয়ার্ক-এর ইতিবাচক দিকগুলি দেখতে পারি। অবজ্ঞা এবং মনুষ্য কর্মক্ষমতা (agency) উগান্ডার সেক্স ওয়ার্কারদের নারীত্বের বৈশিষ্ট্য। সেক্স ওয়ার্ক পুরুষতান্ত্রিক আদর্শগুলোকে ধ্বংস করে এবং তার উপহাস করে। সেক্স ওয়ার্ক-এর প্রকৃতিই এমন যে এটি অনুপ্রবেশকারী যৌনতা এবং নারীদের যৌন আনন্দের ধারণাগুলি চ্যালেঞ্জ করে। এটি সরাসরি নারীর শারীরিক স্বায়ত্তশাসন এবং যৌন কর্মক্ষমতা কর্মক্ষমতার প্রতিফলন। একই সাথে, সেক্স ওয়ার্ক যৌন এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সুযোগ দেয়। তাই, সেক্স ওয়ার্ক-কে নারী নিপীড়ন এবং বিষমকামী পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি বিধ্বংসী শক্তি হিসাবে বিবেচিনা করা যেতে পারে।
“The femininity that Ugandan sex workers perform is “one of defiance and agency; one mostly driven by economic survival but which subverts and parodies patriarchy.” […] the very nature of sex work flouts hegemonic notions of women’s sexual pleasure and penetrative sex. This speaks directly to women’s bodily autonomy and sexual agency. Tamale goes on to assert that because sex work offers possibilities for economic and sexual liberation, African feminists should use the gender and sexuality analysis of sex work to draft a progressive continental agenda. Furthermore, she proposes that the campaign for the decriminalization of sex work be launched within feminist movements as a subversive force against hetero-patriarchal control and oppression over women’s bodies.” [117]
সেক্স ওয়ার্ক ধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
অনেক ধর্মে, যেমন ইসলাম ধর্মে [118] সেক্স ওয়ার্কার এবং এমনকি নারীবাদী হওয়া একটা পাপ। আফ্রিকার মুসলিম পরিবারের নারীরা নারীবাদী এবং সেক্স ওয়ার্কার- উভয় হয়ে, অর্থাৎ ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। তারা নির্দিষ্ট সামাজিক প্রত্যাশা পূরণ করতে অস্বীকার করে, যেমন তাদের তাদের স্বামীদের অনুগত হতে অস্বীকার করে, যা তাদের নারীবাদের প্রদর্শন।
“Another participant, Haadiyah, added that being a feminist was also considered by some religions to be a sin, just like being a sex worker.
“I come from a Muslim family,” she explained. “When it comes to [being] religious, it’s a sin to be a sex worker, and again it is something very bad—like a sin—to be a feminist, because if I’m a woman I’m supposed to be married to a man. As a Muslim, as someone coming from a Muslim family.” Many of the participants expressed a sense of emancipation for having gone against sociocultural norms and religious beliefs by being both sex workers and feminists. They pointed to social expectations that they refused to adhere to, such as being submissive to their husbands, as demon- strations of their feminism.” [117]
সেক্স ওয়ার্ক নারীবাদের প্রকাশ
আফ্রিকার অনেক সেক্স ওয়ার্কার তাদের সেক্স ওয়ার্ক এবং নারীবাদের মধ্যে মিল খুঁজে পান। উদাহরণস্বরূপ, Rose দাবি করেন যে একজন সেক্স ওয়ার্কার হলো নারীবাদের সর্বোত্তম সংজ্ঞা। কেননা, সমাজ এমন প্রত্যাশা রাখে যে নারীরা বিয়ে করে বাচ্চা পয়দা করবে, নির্দিষ্ট কাপড় পড়বে, ইত্যাদি। একজন সেক্স ওয়ার্কার এই চিত্রের ঠিক বিপরীত। তারা জোর করে সমাজে বিদ্যমান থাকে। অনেক সেক্স ওয়ার্কার এই বিষয়ে একমত যে নারীবাদ কেবলমাত্র একটি পরিচয় নয়, বরং জীবনযাপনের একটি উপায়। তাই, সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকারের পক্ষে থাকা এবং কথা বলা হলো নারীবাদের প্রতিফলন।
“Many of the participants were able to draw correlations between sex work and feminism. Rose even argued that being a sex worker intrinsically made her a feminist: “For me I’d say feminism is sex work. . . . If a person knows who a sex worker is, a sex worker is a best definition of feminism. Because . . . like [another participant] was saying, our society tells you what a woman should do, what a woman should wear. You’re supposed to get married and have one husband, you know, have children. A sex worker is the opposite of that. We fit in the society by force.” The participants all agreed that feminism was not merely an identity but also something one does and lives by. Therefore advocating and lobbying for sex workers’ rights was highlighted as a demonstration of one’s activism and, by extension, evidence of one’s feminism.” [117]
আফ্রিকার অনেক সেক্স ওয়ার্কার এই বিষয়েও একমত যে নারীবাদ তাদের সেক্স ওয়ার্ক-কে প্রভাব করে। ক্লায়েন্টরা যখন এমন যৌন সার্ভিস দাবি করে যা সেক্স ওয়ার্কাররা দিতে ইচ্ছুক না, নারীবাদ তখন সেই সেক্স ওয়ার্কারদের তাদের সেক্স ওয়ার্ক-এ আরো সাহসী এবং দৃঢ় করে তুলতে সাহায্য করে। আফ্রিকার মতন দেশে সেক্স ওয়ার্কার হওয়া সত্ত্বেও অনেক সেক্স ওয়ার্কাররা বলার সাহস রাখে যে যদিও এখানে টাকার আদান প্রদান হচ্ছে, তার মানে এই নয় যে ক্লায়েন্ট তাদের শরীর নিয়ে যা ইচ্ছা তা করতে পারবে। বরং, সেক্স ওয়ার্কাররাই নির্ধারণ করে যে তারা কি করতে চায় এবং কি করবে। এবং যদিও বেশির ভাগ ক্লায়েন্ট এতে রেগে যায়, অনেক সেক্স ওয়ার্কার সেই রাগে অনুতপ্ত হয় না।
“Many of the ASWA feminists positioned themselves in strong agreement with the statement “Feminism impacts on my sex work.” When asked to explain her positionality, Amaka of ASWA explained how being a feminist emboldened her to be assertive in her sex work when clients tried to demand services she was not willing to offer: “Why I strongly agree is because as a sex worker in Africa I will be able to tell a man, ‘Although you are paying me, I don’t want this’ or ‘Because you are paying me it shouldn’t make me do whatever you want. I do what I want. If you know you cannot cope with it you can go.’” Even though “most of them [clients] they get very very angry” when she refuses them certain services, Amaka claims she never relents.” [117]
সেক্স ওয়ার্ক ধর্ষণের ভিক্টিমদের জন্যেও মর্যাদাপূর্ণ পেশা হতে পারে
একটি “নারীবাদী সিদ্ধান্ত”-এর বৈশিষ্ট হলো সাহস; যেই সাহসের মাধ্যমে নিপীড়নমূলক সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রথা থেকে বেরিয়ে আশা যায়। সমাজের একটি নিপীড়নমূলক প্রত্যাশা হলো মনে করা যে ধর্ষণের ভিক্টিমরা আজীবন ঘরে থাকবে, নত হয়ে থাকবে, এবং যত দিন বেঁচে আছে সেই ভিক্টিমটা যৌনতাকে ভয় করবে, এবং যৌনতা থেকে বিরত থাকবে। অথচ আমরা দেখতে পারি যে ধর্ষণের ভিক্টিমরা নিজেদের সাহস প্রদর্শন করে সমাজের এই নিপীড়নমূলক প্রত্যাশাকে চ্যালেঞ্জ করে স্বাভাবিক, সুস্থ জীবনযাপন করছে। একই সাথে আমরা দেখতে পারি যে তাদের সাথে যৌন আক্রমণ হওয়ার সত্ত্বেও, তারা যৌনতাকে ঘৃণা করছে না এবং নিজেরা আনন্দের সাথে যৌনতা উপভোগ করতে সক্ষম হচ্ছে। এমনকি, সাহসের সাথে ধর্ষণের ভিক্টিমরা সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার হিসাবে, তাদের নিজেদের শ্রমের মাধ্যমে এবং সেক্স ওয়ার্ক-এর প্রকৃতির কারণে তারা অর্থনৈতিকভাবে এবং যৌনভাবে উপকৃত হচ্ছে। একটি নারীবাদী সিদ্ধান্ত হলো নিজেদের স্বাধীনতা গ্রহণের সাহস; এমন একটি স্বাধীনতা যা নিজের দ্বারা নির্ধারিত, এবং অন্যদের দ্বারা পূর্বনির্ধারিত নয়।
এই সাহসের নেতিবাচক দিকগুলির নির্বিশেষে, এর ইতিবাচক দিকগুলি প্রবল। উদাহরণস্বরূপ, ১৭ বছর বয়সে Jolly-কে বলা হয়েছিল তার ধর্ষণকারীকে বিয়ে করতে। Jolly যখন তা করতে রাজি হলেন না, উনার বোন উনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলো। এরপরে তিনি বার হোস্টেস হিসাবে কাজ করা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে। তার ধর্ষণকারীকে বিয়ে করার সামাজিক প্রত্যাশা তিনি পূরণ করতে রাজি হন নাই। এর পরিবর্তে, তার সন্তানকে support করার জন্য একজন আফ্রিকান নারীবাদী সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করে Jolly ক্ষমতা এবং স্বাধীনতা- উভয় উপভোগ করেছে। সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে ক্ষমতাবায়ন হওয়ার সুযোগটি অনেক সেক্স ওয়ার্কার লক্ষ্য করেছেন।
Jolly আরো ব্যাখ্যা করেন যে তিনি যখন ১০০ ডলারের বিনময়ে কোনো পুরুষের সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে রাজি হন, তখন তিনিই নির্ধারিন করেন কি ধরণের যৌনতা এবং কোথায় ও কতটুক সময়ের জন্যে তিনি সে কাজে লিপ্ত হবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিভাবে বলা যায় যে সেক্স ওয়ার্ক মর্যাদাপূর্ণ নয়?
“At the age of seventeen, Jolly was asked to marry a man who had raped her. When she refused, her sister kicked her out of her home. She then left to work as a bar hostess but later turned to sex work because it generated a better income. For her to defy the cultural expectation of marrying the man who had raped and impregnated her, and then selling sex to support her baby, was empowering and liberating for her as an African sex worker feminist. Patricia McFadden (2003, 5) asserts that feminist choice needs to be (re)imagined as having the “courage to step out of the cages of cultural practices and values that not only oppress us, but also presume the terms of our ‘freedom.’” […]
It is important to note that most of the participants described deriving some form of empowerment from doing sex work. “Because if I negotiate with a man, I tell a man I want a hundred dollars, and he gives me my money,” claimed Jolly. She explained, “I decide what style of sex, how, the time, [and] I decide the place. How do you tell me that that kind of work is not empowering?”” [117]
সম্মতিমূলক সেক্স ওয়ার্ক এবং নারীদের যৌন আনন্দ
সেক্স ওয়ার্ক মৌলিকভাবে জীবিকার একটি উৎস এবং এটি সেক্স ওয়ার্কারদের স্বনির্ভর হওয়ার একটি সুযোগ দেয়। সেক্স ওয়ার্ক সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা হচ্ছে যে এখানে নারীরা যৌন আনন্দ উপভোগ করেন না। এটি এমন একটি পেশা, যার মাধ্যমে পেটের ক্ষুধা এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা- দুটো মিটে যায়। উদাহরণস্বরূপ, Penelope উনার নিজের সেক্স ওয়ার্ক-কে বিনামূল্যে অর্গাজম করার পরিবর্তে বিপুল টাকার বিনিময়ে অর্গাজম করা হিসাবে বিবেচনা করেন। উনার এই কথা যৌনতা বিক্রির মাধ্যমে যৌন আনন্দ উপভোগ করার প্রমান, এবং এটি Audrey Lorde-এর “erotic as power” ধারণার অনুকূল। Andrea Cornwall-এর মতন সেক্স পসিটিভ নারীবাদীরা দাবি করে যে নারীদের agency আসলে যৌন ন্যায়বিচারের উপরে ভিত্তি করে। তারা পরমমর্শ দেয় যে যৌন আনন্দকে একটি সাহসী নারীবাদী সিদ্ধান্ত হিসাবে বিবেচনা করা উচিত, এবং যা নারীদের agency অর্জন করার অন্তর্ভুক্ত।
“Sex work is primarily a source of livelihood, as it affords [sex workers] the opportunity to be self-employed. […]
Penelope noted, “It [her vagina] is a bank: an ATM. You see? So when I do business that’s my bank. Because all the men that got to be attracted it’s because they wanted to have sex. So I charge for them. I don’t do it for free. I always tell my fellow sex workers that I get paid to come. I don’t just come for free. I’m very expensive [laughs].” Her response also alludes to her own sexual pleasure derived from selling sex and evokes notions of Audre Lorde’s (1982) “erotic as power.” Sex-positive feminists such as Andrea Cornwall assert that promoting women’s sexual agency actually builds on the feminist principle of erotic justice [119]. They suggest that “sexual pleasure as a feminist choice can be part of reclaiming women’s agency.”” [117]
সেক্স ওয়ার্কার হতে চেয়েও সমাজের ভয়ে তারা হয় না
একটি ক্লায়েন্ট-এর কাছ থেকে যৌন কর্মের বিনিময়ে টাকা চাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমানের সাহস দরকার। Lisa Glazer লক্ষ্য করেন যে ১৯৭০ সালের দিকে Zambia দেশের Lusaka শহরে অনেক নারী টাকার বিনিময়ে সেক্স ওয়ার্ক-এ লিপ্ত হতে চাওয়ার সত্ত্বেও তারা সেটা দাবি করার সাহস করে না। বেশির ভাগ আফ্রিকান দেশগুলিতে এই জাতীয় রক্ষণশীল ধারণা যৌনতা সম্পর্কে সাধারণ। সমাজ যৌনতার উপর একটি অতিরঞ্জিত তাৎপর্য স্থাপন করে যখন মৌলিকভাবে এটি একটি সাধারণ, প্রাকৃতিক শারীরিক প্রক্রিয়া। Menon (২০১২) এই একই জিনিস লক্ষ্য করে বলেন যে সমাজ যৌনতাকে রোমাঞ্চকর হিসাবে উপস্থাপনা করার কারণেই সেক্স ওয়ার্ক-কে “মৃত্যুর থেকে খারাপ” একটি অবস্থান হিসাবে গণ্য করা হয়।
“A certain degree of courage is necessary to ask a client to pay for sexual services. Lisa Glazer (1997) recalls that in Lusaka (Zambia) in the 1970s, there was not much of this contemporary Western-style impersonal form of sex work. She notes that shantytown beer brewers sometimes had sex workers in their premises in order to attract male customers. “However, some of these ‘prostitutes’ who wanted money in exchange for sex were sometimes too shy to demand it” (151). Such conservative attitudes toward sex are common in most African communities, with more contemporary sex workers challenging them. Dudu, a member of AWAKE!, observes that society tends to place an exaggerated significance on sex when in essence it is merely a natural bodily function. […]
Menon (2012, 180) affirms this observation and further argues,
“We need to demystify ‘sex’—it is only the mystification of sex by both patriarchal discourses and feminists that makes sex work appear to be ‘a fate worse than death.’” [117]
পুরুষরাও সেক্স ওয়ার্কার হতে পারে
অনেক পুরুষ সেক্স ওয়ার্কার-রা আপত্তি তুলেছেন যে আফ্রিকার পুরুষালি আদর্শওয়ালী নারীবাদী সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে তাদের স্ব-পরিচয়ের সাথে সংঘর্ষে আসে। উদাহরণস্বরূপ, Daniel দুঃখ প্রকাশ করেন যে একজন পুরুষ সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে তাকে প্রায়শই সমকামী, ট্রান্সজেন্ডার বা মেয়েলি বলে ধরে নেওয়া হয় (অর্থাৎ লম্বা চুল, মিনিস্কার্ট পরা এবং মেকআপ করা)। যদিও তিনি মাঝে মাঝে তার সেক্স ওয়ার্ক-এর অংশ হিসাবে সৌন্দর্যায়নের এই ধরণের কাজগুলিতে লিপ্ত হন; Daniel জোর দেন যে এটিকে অসম্মানজনক বা মেয়েলি বলে ভুল বিবেচনা করা উচিত নয়। বরং, তিনি বলেন যে, আফ্রিকান পুরুষত্বের আধিপত্যবাদী আদর্শের প্রতি তার ব্যাঘাত হলো একটি রাজনৈতিক নারীবাদী প্রতিবাদ।
“Some of the male-bodied ASWA feminists took issue with how African masculine ideals often clashed with their self-identification as sex worker feminists. Daniel explained […] He lamented the assumption that as a male sex worker he is often presumed to be either gay, transgender, or at least effeminate (that is, have long hair, wear miniskirts, and be covered in makeup). Although he occasionally indulged in such acts of beautification (as part of his sex work), Daniel stressed that this should not be misread as emasculating. He argued that instead, his disruption of African hegemonic ideals of manhood was a feminist political act. According to him, “The fact that sex workers are sex working is feminist enough. The fact that they have taken, you know—they have decided to be sex workers in sex work, given that the whole ‘sex work, oh, it’s un-African, blah, blah, blah, it’s wrong, it’s immoral’ [is a feminist act].”” [117]
বেশ্যা গর্ব (Slut Pride), মাগী ঐক্যবদ্ধ (Whore Solidarity) এবং নারীবাদী পর্ন
এটা মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে সমাজের মূলধারার পর্নোগ্রাফি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের ক্ষতিকারক প্রতিনিধিত্বের জন্যে দায়ী- যেখানে নারীদেরকে পুরুষদের যৌন উপভোগের পণ্য হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করা হয়। একই সাথে পর্ন ফিল্ম-এর উৎপাদনের মধ্যে অবহিত, আনন্দদায়ক সম্মতি এবং নৈতিক শ্রমের মানদণ্ডের অনুপস্থিতির কারণে নারীরা এবং পর্নের অভিনেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সাথে, বেশির ভাগ পর্নোগ্রাফি পুরুষদের বিষমকামী যৌন রুচিকে সমর্থন করে, এবং তাই প্রকৃত যৌন আনন্দকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে। তবে তার মানে এই নয় যে সব পর্নোগ্রাফি খারাপ। নারীবাদী পর্ন হলো পর্নোগ্রাফির একটা সম্পূর্ণ নতুন বিভাগ, যা নারীবাদীদের নিজেদের দ্বারা উৎপাদন করা। যেখানে সমাজের মূলধারার পর্নোগ্রাফি নারীদেরকে পুরুষদের যৌন উপভোগের জন্যে একটি পণ্য হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করে, নারীবাদী পর্ন অধিপত্যবাদী বিষমকামিতার বিরুদ্ধে। অভিনেতাদের অবহিত সম্মতি এবং নারীত্বের প্রকৃত যৌন আনন্দ প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে নারীবাদী পর্ন এক ধরণের যৌন শিক্ষা প্রদান করছে। একই সাথে নারীবাদী পর্ন পর্নোগ্রাফির মধ্যে নৈতিক শ্রমের মানদণ্ডের উপরে জোর দিয়ে অভিনেতাদের অধিকার এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার চেষ্টা করে। নারীবাদী পর্ন সমাজের একটি বিদ্যমান ক্ষতিকারক কাঠামোর সম্পূর্ণ সংস্কার করার মাধ্যমে নারীদেরকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত করে। নারীবাদী পর্ন আমাদেরকে দেখায় যে নারীরা নিজেরা পর্ন ফিল্মের অভিনেতা এবং প্রোডিউসার হতে পারে, এবং একই সাথে দেখায় যে নারীরা তাদের নিজেদের যৌন চাহিদার ভিত্তিতে পর্ন ফিল্ম উপভোগ করতে পারে।
“নারীবাদ” এবং “পর্নোগ্রাফি” পারস্পর বিরোধী নয়
ডিকশনারি থেকে আমরা জানতে পারি যে পর্নোগ্রাফির সংজ্ঞা হলো, “যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ইরোটিক/কামোত্তেজক আচরণকে (ছবি বা লেখার মধ্যে) প্রতিনিধিত্ব করা।“
“Pornography- The depiction of erotic behavior (as in pictures or writing) intended to cause sexual excitement.” [120]
ডিকশনারি থেকে আমরা আরো জানতে পারি যে ফেমিনিজম-এর সংজ্ঞা হলো- “সকল লিঙ্গের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সমতার প্রতি বিশ্বাস ও সমর্থন, যা বিশেষ করে নারীর অধিকার ও স্বার্থের পক্ষে সংগঠিত কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।”
“Feminism- Belief in and advocacy of the political, economic, and social equality of the sexes expressed especially through organized activity on behalf of women’s rights and interests.” [121]
এই দুটি সংজ্ঞা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে নারীবাদ এবং পর্নোগ্রাফি দুটার একটাও পারস্পর বিরোধী/mutually exclusive নয়। পর্নোগ্রাফি যদি “পুরুষতান্ত্রিক” হতে পারে (অর্থাৎ পর্ণোগ্রাফির মধ্যে যদি লিঙ্গ অসমতার প্রতিফলন ঘটে) তাহলে একইসাথে তা নারীবাদীও হতে পারে (অর্থাৎ পর্নোগ্রাফির মধ্যে যদি লিঙ্গ সমতার প্রতিফলন ঘটে)। আমাদের সমাজের বেশিরভাগ পর্নোগ্রাফি পুরুষতান্ত্রিক, এবং যেখানে ব্যাপকভাবে লিঙ্গ অসমতার প্রতিফলন ঘটে। সমাজে নারীদেরকে পর্নোগ্রাফির মধ্যে ক্ষতিকারক প্রতিনিধিত্বের শিকার হতে হয়। বেশিরভাগ পর্ন ফিল্ম গুলো পুরুষদের যৌনতাকে কেন্দ্র করে বানানো হয় এবং যেখানে নারীদেরকে যৌন ভোগ্যপণ্য হিসেবে চিত্রিত করা হয়। নারীরা যে তাদের নিজেদের যৌন আনন্দ উপভোগ করার উদ্দেশ্যে পর্ন ফিল্ম দেখতে পারে, তা আমাদের সমাজে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়।
নারীবাদী পর্ন জিনিসটা কি?
নারীবাদী পর্ন হলো এমন পর্ন যা নারী এবং পুরুষ- উভয় লিঙ্গের মানুষকে ক্ষমতাবায়ন করে, এবং যৌনতা সম্পর্কে মানুষের কাছে নতুন তথ্য যোগাযোগ করে। নারীবাদী পর্ন মৌলিকভাবে যৌনতা সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করে। এটি মানুষের মনের মধ্যে কল্পনা এবং কৌতূহলতা- উভয়কে উৎসাহিত করে। নারীবাদী পর্ন যৌনতাকে আনন্দদায়ক, মজাদার, নিরাপদ এবং সন্তোষজনক (satisfying) হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করে। নারীবাদী পর্ন নারীবিদ্বেষী পর্ন এবং অপমানজনক পর্ন-এর বিরোধিতা করে। নারীবাদী পর্ন সমাজ থেকে পাওয়া যৌনতা সম্পর্কিত অন্যান্য ধারণার বিরুদ্ধেও কাজ করে; যেমন এই ধারণা যে যৌনতা লজ্জাজনক, দুষ্টু, নোংরা, ভীতিকর বা বিপজ্জনক। নারীবাদী পর্ন এই ধারণার-ও বিরোধিতা করে যে যৌনতা শুধুমাত্র পুরুষদের domain, যেখানে শুধুমাত্র পুরুষদের যৌন ইচ্ছা এবং যৌন কল্পনা পূর্ণ হয়। অবশ্যই, নারীবাদী পর্ন যৌন উত্তেজনাকে উৎসাহিত করে, এবং নারীবাদী পর্ন যদি শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে যৌন উত্তেজনার উদ্দেশ্যে বাদ্যমান থাকে, তবুও এটি নারীবাদী পর্ন-এর একটি ইতিবাচক দিক। কেননা, আমাদের যৌনতা আমাদের পরিচয়ের একটি অত্যন্ত মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ; এবং তাই, যৌন আন্দন্দের একটি মূল্য রয়েছে।
“Feminist porn is porn that empowers women and men: it gives them information and ideas about sex. It primarily teaches. It inspires fantasy and adventure. It validates viewers when they see themselves or a part of their sexuality represented. It presents sex as joyful, fun, safe, and satisfying. It counteracts porn that is misogynist, stereotypical, and degrading. It also counteracts the other messages about sex we get from society: that sex is shameful, naughty, dirty, scary, or dangerous; or that it’s the domain of men, where only their desires and fantasies are fulfilled. And yes, it arouses, but even if that’s all it does, that is a good thing. Our sexuality is part of who we are, and pleasure has value.” [122]
নারীদের জন্যে পর্ন
১৯৭০ সালে নারীবাদীরা Sex Wars-এ লিপ্ত ছিল। এ সময়, কিছু নারী এক ধরণের নৈরাজ্যে অংশ নিয়েছিল। এই নারীরা নারীবাদী পর্ন উৎপাদন করা শুরু করে, এমন পর্ন যা নারীদের দ্বারা এবং নারীদের জন্যে তৈরী। নারীবাদী পর্নের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এমন কাহিনী, অভিনেতা এবং যৌন কার্যকলাপ যা নারীদেরকে আকৃষ্ট করে। তাদের নিজেদের যৌন কল্পনা দ্বারা, এবং তাদের সমাজে বিদ্যমান পর্নোগ্রাফির দ্বারা উৎসাহিত হয়ে এই নারীবাদীরা পর্নের একটি ছোট মার্কেট সৃষ্টি করেছে। নারীবাদী পর্নের মধ্যে নারীদের যৌন প্রকাশ প্রাধান্য পায়। নারীবাদী পর্ন পুরুষ শ্রোতাদের যৌন উদ্দেশ্যে বানানো হয় না।
“During the 1970s sex wars, a few women engaged in a type of anarchy. These few women began to create feminist pornography, pornography made for and by women, utilizing storylines, characters, sets, and sexual acts that were presumably more attractive to female porn users. Fueled by their own fantasies, as well as popular pornography of the time, these feminist pornographers created a niche market where female sexual expression was the order of the day, and a dominantly heteronormative male audience was not the driving force behind the work.” [123]
একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
নারীবাদী পর্নোগ্রাফিকে ‘একটি genre এবং একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি’- উভয় হিসাবে বোঝা যায়। ২০১৫ আন্তর্জাতিক নারীবাদী পর্ন পুরষ্কারের দশ বছর anniversary-তে বিভিন্ন ধরণের পর্ন ফিল্ম উদযাপন করা হয়েছে , যা-
• নারীদের প্রকৃত যৌন আনন্দকে চিত্রিত করেছিল।
• যৌন প্রতিনিধিত্বের সীমানা প্রসারিত করে এবং
• Producer ও Director ভূমিকায় নারীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
নারীবাদী পর্ন-এর উৎপত্তি নারীদের নিজেদের দ্বারা। পর্ন অভিনয়কারীরা পরবর্তীতে Director হয়ে নারীবাদী পর্ন-এর প্রথম পথপ্রদর্শক হয়ে উঠে। নারীবাদী পর্ণ একটি বিস্তৃত আন্দোলনে বিকশিত হয়েছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত-
• নারীবাদ
• পারফরম্যান্স আর্ট
• এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম মেকিং
• কিউয়ার থিওরি (Queer Theory)
• ক্রিটিক্যাল রেস স্টাডিজ (Critical Race Studies)
• সেক্স ওয়ার্কার অধিকার সংলাপ এবং
• Disability Activism
পর্ন-এর নৈতিক উৎপাদন এবং বৈচিত্রময় মানুষের প্রতিনিধিত্বের উপরে নারীবাদী পর্ন জোর দেয়। নারীবাদী পর্ন অনেক মানুষকে শারীরিক বৈচিত্র্যতা, যৌন আনন্দ এবং নিরাপদ যৌনতা সম্পর্কে শিক্ষিত করতে পারে। এবং পর্ন ফিল্ম-এর উৎপাদনে নৈতিক শ্রমের মানদণ্ডের উপর নারীবাদী পর্ন জোর দেয়।
“Feminist pornography can be understood as both ‘a genre and a political vision’ [124]. 2015 saw the ten-year anniversary of the international Feminist Porn Awards, celebrating films depicting genuine female pleasure, expanding the boundaries of sexual representation and featuring women in production and director roles [125]. With its roots in porn ‘for women’ [126] and pioneered by performers-turned directors aiming to transform the genre [127], feminist porn has since developed into a broad and inclusive movement drawing upon feminism, performance art, experimental filmmaking, queer theory, critical race studies, sex worker rights discourse and disability activism [128], with a focus on ethical production and diverse representation. Originally a focus on aesthetics, camera angles, narrative, and a ‘female gaze’, the movement has progressed to explore pornography’s potential to educate viewers about body diversity, pleasure, and safer sex [129] and to insist upon ethical labor standards in production [130]” [131]
পর্ন বিরোধী অবস্থানের সমালোচনা
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা দাবি করে যে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে নারীরা তাদের যৌনতা সম্পর্কে সমাজে প্রচলিত বিশ্বাস এবং নৈতিকতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, Ellen Willis দাবি করেন যে পর্ন বিরোধী নারীবাদীরা পর্ন ফিল্ম-এর উৎপাদনের বিরোধিতা করার মাধ্যমে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। অন্যদিকে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম দাবি করে যে আধুনিক পর্নোগ্রাফি নারীদের যৌনতা সম্পর্কে রক্ষণশীল লাঞ্ছনার/স্টিগমার বিরোধিতা করার মাধ্যমে নারীদেরকে ক্ষমতাবায়ন করতে সাহায্য করে। নারীবাদী পর্ন এমন নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে যারা তাদের শরীর নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে তারা নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে আসতে পারে। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা সরকারী censorship/সেন্সরশিপের সমালোচনা করেন, এবং দাবি করেন যে বিকল্প বক্তৃতা সীমাবদ্ধ করা ঐতিহাসিকভাবে সমাজের মধ্যে প্রান্তিক মানুষদের নীরব করার এবং মানুষের ব্যক্তিগত প্রকাশকে নিপীড়ন করার একটি উপায় হিসাবে কাজ করেছে। পর্নোগ্রাফির criminalization/অবৈধকরণ তাই একটি এলোমেলো রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয় যা শুধুমাত্র যৌন সম্পর্কের বিষয়ে সমাজে নেতিবাচক সাংস্কৃতিক ধারণাকে শক্তিশালী করতে কাজ করে।
“Sex-positive feminists claim that pornography provides women with a medium through which they are able to challenge conventional values and beliefs in relation to a woman’s relationship with sex. Ellen Willis, a prominent American activist credited with coining the term pro-sex feminism, claimed in her 1981 essay Lust Horizons: Is the Women’s Movement Pro-Sex? that anti-pornography advocates were essentially reinforcing patriarchal attitudes by opposing the production of sexually explicit material […] the sex-positive branch of feminism argues that modern pornography reinforces the dominance of women by removing the conservative stigmas associated with female sexuality and showcasing women that are confident enough with their own body image to appear naked on film. Sex-positive feminists are also critical of government censorship, claiming that restricting alternative discourses has historically served as a means of silencing marginalised groups and oppressing individual expression; censorship of pornography is therefore seen as a haphazard political action that only serves to reinforce negative cultural connotations regarding sexual relations.”[132]
পর্নোগ্রাফির বিরোধিতা কিভাবে নারীদের যৌনতাকে দমন করে?
একটি সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, নারীবাদী পর্ন বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, উদ্দিষ্ট শ্রোতা, প্রোডিউসার ও অভিনেতাদের লিঙ্গ, বা এমনকি ব্যবসায়িক অনুশীলনের নির্বিশেষে, সমস্ত ধরণের পর্নোগ্রাফি নারী-বিরোধী। তবে এটি যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে অনেক নারী এবং অনেক নারীবাদীদের যৌন প্রকাশের সিযোগ বন্ধ হয়ে যায়। নারীদেরকে যৌন দাসত্ব থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীদের পর্নোগ্রাফিকে অবৈধ করার প্রচেষ্টা বাস্তবতায় নারীদের যৌনতা দমনের জন্যে কাজ করে থাকে, যখন সেই নারীদের যৌন রুচি প্রথাগত যৌন অনুশীলনের বিরুদ্ধে যায়। Ellen Willis যেমনভাবে বলেন যে পর্নকে যদি শত্রু বানানো হয়, তাহলে অনেক নারী তাদের যৌন অনুভতি নিয়ে লজ্জাবোধ করবে এবং তাদের যৌন অনুভতি প্রকাশ করতে চাবে না। নারীবাদীর অধীনে নারীদের উপরে যৌন লজ্জা, অপরাধবোধ এবং কপটতা প্রয়োগ করার কোনো দরকার নেই। তাই সেক্স ওয়ার্ক বিরোধী অবস্থানটি কোনোভাবে নারীদের পক্ষে কোনো অবস্থান নয়।
“From a radical feminist perspective, feminist pornography cannot possibly exist. From this perspective all pornography is by definition anti-woman, regardless of the intended audience, sex or gender of the producers, or the behind-scenes business practices. However, if this were true, many women, and many feminists (regardless of gender) would find themselves at a serious loss for sexual expression. Radical feminists wanting to quash the pornography industry in the name of freeing women from sexual slavery has actually worked to silence or at least challenge women who enjoy a variety of sexual possibilities that may or may not fit the status quo. As Willis [133] points out, if porn is the enemy, “…the result will be to make a lot of women ashamed of their sexual feelings and afraid to be honest about them. The last thing women need is more sexual shame, guilt, and hypocrisy – this time served up as feminism.” How could this possibly be pro-woman?” [134]
পর্নোগ্রাফির সংস্কার
নারীবাদী পর্ন সমাজে বিদ্যমান একটি নারীবিরোধী কাঠামোর সম্পূর্ণ সংস্কার। এটি পর্নকে সমস্ত নারীদের জন্যে erotic, sensual, empowering এবং আনন্দদায়ক করে তোলে।
আমাদের অবস্যই মূলধারার পর্নোগ্রাফির মধ্যে নারীদের ক্ষতিকারক প্রতিনিধিত্বকে তুলে ধরতে এবং বুঝা উচিত। তবে নারীবাদী তথ্যে এবং নারীবাদী অনুশীলনের মধ্যে পর্ণ আকারে নারীদের যৌন চাহিদার সম্পূর্ণ বর্জন কোনো সমাধান নয়। এক কালে নারীবাদের মূলধারার মধ্যে নারীদের অর্গাজম এবং নারীরা যে সমলিঙ্গ প্রেমী হতে পারে (অর্থাৎ লেসবিয়ানিজম), তা উল্লেখ করা হতো না। ঠিক একই ভাবে নারীবাদী পর্ন যেভাবে নারীদের যৌন আনন্দকে বাস্তবায়িত হতে দেয়, তা বর্তমাদের মূলধারার নারীবাদীর মধ্যে দৃশ্যমান নয়। নারীদের অর্গাজম এবং লেসবিয়ান পরিচয় এককালে নারীবাদের “নতুন বিদ্যা” হিসাবে বিবেচনা করা হতো। ঠিক একই ভাবে নারীবাদী পর্ন একটি পুনর্গঠিত ধারণা হিসাবে বিদ্যমান, যার মাধ্যমে নারীরা তাদের যৌনতা, eroticism এবং চাহিদা explore করার সুযোগ পায়।
“Feminist porn is a complete overhaul of an existing structure within society that is oppressive to women, transforming porn into something erotic, sensual, empowering, pleasurable for all women involved […]
We do need to understand and address the old – harmful depictions of women in mainstream pornography – but to simply exclude women’s sexual desires in the form of porn in feminist theory and practice is not the answer. Similar to the ways in which the female orgasm and lesbianism were excluded from dominant discourses surrounding women’s sexuality, the enabling pleasures of feminist pornography have remained less visible in mainstream understandings of erotica. The female orgasm and lesbian identities were once “new” knowledges within feminism, and now feminist pornography emerges as an entirely reconceptualized way of exploring women’s desires, sexuality, and eroticism.” [135]
পর্নোগ্রাফির অবৈধ করার বিরুদ্ধে নারীবাদী প্রতিবাদ
পর্ন বিরোধী নারীবাদীদের বিপরীতে, অনেক সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা পর্নের মাধ্যমে empowerment-এর সম্ভাবনা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে। Annie Sprinkle, Wendy McElroy, Betty Dodson, Nina Hartley এবং Tristan Taormino-এর মতন নারীবাদীরা পর্নোগ্রাফির সংলাপে যুক্ত হচ্ছে এবং এই সংলাপে অবদান রাখছে। এই নারীদের মধ্যে অনেকেই পর্ন ফিল্মের উৎপাদনের সাথে নিজেরা জড়িত।
Wendy McElroy পর্নোগ্রাফির মধ্যে নারীদের যৌনতা সম্পর্কে বলেছেন- “নারীর যৌনতা নিয়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রূপ দেখা যায় পর্নোগ্রাফির মধ্যে নারীদের কাছ থেকে- যারা পর্নের উৎপাদন, এবং পরিচালনার সমস্ত বাধা অতিক্রম করে নিজেদের কোম্পানির মালিকানা হয়েছে।”
অনেক নারীবাদীরা দাবি করেন যে পর্নে নারীদের access এবং পর্নের মধ্যে নারীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া একটি রাজনৈতিক বিষয়, এবং যৌন প্রকাশ হিসাবে পর্নোগ্রাফিকে অবৈধ করা নারীদের মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করে।
মার্কিন নারীবাদী Nadine Strossen বলেন যে তিনি এবং অন্যান্য সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা যৌন প্রকাশের সব ধরণের সীমাবদ্ধতার বিরুদ্ধে। তাদের এই বিরোধিতার কারণ হলো যে যৌনতার সীমাবদ্ধতা মানুষের স্বাধীন ভাবে থাকাকে সীমাবদ্ধ করে- অর্থাৎ মানুষের স্বাধীনভাবে চিন্তা করা, কথা বলা, গান গাওয়া, লেখা, ছবি আঁকা, স্বপ্ন দেখা, ফোটোগ্রাফি করা, ফিল্ম করা এবং কল্পনা করার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে। একই সাথে, নারীদের যৌনতার এই ধরণের সীমাবদ্ধতা তাদের সমতা, মর্যাদা এবং শারীরিক স্বায়ত্তশাসনকে সীমাবদ্ধ করে।
অনেক নারীবাদীরা বলে যে যারা পর্ন ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে নারীদেরকে সমর্থন করে না, তারা আসলে নারীবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে। McElroy-এর সাথে একটা ইন্টারভিউ-তে Nina Hartley বলেন যে, “একজন প্রকৃত নারীবাদী হলো একজন সহানুভূতিশীল ব্যক্তি, যিনি নারীদেরকে তাদের আন্তরিক সত্য সৎভাবে প্রকাশ করতে উৎসাহিত করে।” সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা পর্নোগ্রাফিকে এমন একটি স্থান হিসাবে দেখেন “যেখানে নারীদের যৌন রুচি এবং যৌনতা সম্পর্কিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করা প্রয়োজন।”
“In opposition to anti-pornography feminists, many sex-positive feminists have theorized pornography’s potential capacity for empowerment. Women such as Annie Sprinkle, Wendy McElroy, Betty Dodson, Nina Hartley and Tristan Taormino are all contributing to the discourse of pornography – several of which are actively involved with the making of pornographic films themselves.
McElroy discusses women’s sexuality in pornography: “The most interesting work on women’s sexuality is coming from the women in porn who are pushing through all the barriers to produce, direct, and own their own companies.” [136]
Some feminists argue that women’s access and involvement with porn is a political issue, and that abolishing it as a form of sexual expression for women, denies them their basic rights.
American feminist Strossen argues that she and other sex-positive feminists “adamantly oppose any effort to restrict sexual speech not only because it would violate our cherished First Amendment freedoms – our freedoms to read, think, speak, sing, write, paint, dance, dream, photography, film, and fantasize as we wish – but also because it would undermine our equality, our status, our dignity, and our autonomy.” [137]
Some suggest feminists who do not support or advocate for women in the porn industry hold anti-feminist sentiments. Hartley declares in an interview with McElroy, “A true feminist is a compassionate person, who tries to encourage women to speak their own truths.” [138] Sex-positive feminists see pornography as a space where “women need to be supported in their decisions and choices around sex and sexuality.”” [139] [140]
নারীবাদী পর্ন অ্যাওয়ার্ডস
নারীবাদী পর্ন অ্যাওয়ার্ড-এর জন্যে পর্নোগ্রাফিক ফিল্ম বিবেচনা করার মানদণ্ড নিম্নলিখিত-
১) অভিনেতাদের সম্মান দেওয়া হয়, ঠিক মতন টাকা দেওয়া হয়, সম্মতি প্রদান করার সুযোগ দেওয়া হয় এবং তারা তাদের কাজের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়।
১) ফিল্ম-এর ডিরেক্টর অভিনেতাদের নিজস্ব যৌন চাহিদা এবং কল্পনাকে ফিল্ম-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে।
৩) ফিল্মের মধ্যে যৌন প্রতিনিধিত্বের সীমানাকে অতিক্রম করা, এবং নারীদের সম্পর্কে প্রথাগত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা।
৪) প্রকৃত যৌন আনন্দকে প্রতিনিধিত্ব করা।
নারীবাদী পর্ন ফিল্ম উৎপাদনের দ্বারা এবং পর্নের জন্যে নারীদের যৌন চাহিদাকে সমর্থন করার মাধ্যমে নারীদের মনুষ্য কর্মক্ষমতাকে (agency) শক্তিশালী করে।
“Lee, a sex-positive feminist and an advocate for feminist porn, is the manager of Good For Her, a feminist sex store in Toronto. She has also been a primary organizer of the Feminist Porn Awards, “which honour the hard-working feminists who are revolutionizing the porn industry.” The films considered for the Feminist Porn Awards should adhere to the following criteria:
Actors are treated with respect, paid fairly, given choice and ethical working conditions, empowered in their work; Directors collaborate with and incorporate the actor’s own sexual desires and fantasies (making for better scenes too!); it expands the boundaries of sexual representation on film and challenges stereotypes especially of women and marginalized communities; Realistic pleasure is depicted.
Feminist pornography enables agency in women, both in the production of the films as well acknowledging their libidinal desires for erotica.” [140]
বেশ্যা গর্ব (Slut Pride) এবং মাগী ঐক্যবদ্ধ (Whore Solidarity)
সেক্স ওয়ার্কাররা ভাল মেয়ে বনাম খারাপ মেয়ে-এর বিভেদ অতিক্রম করার জন্যে এবং নারীত্বের সদগুণের আদর্শকে চ্যালেঞ্জ করার জন্যে ‘slut pride’ এবং ‘whore solidarity’-কে অ্যাডভোকেট করে। সেক্স ওয়ার্কাররা এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে যে যৌন চাহিদা প্রকাশ করা নিকৃষ্ট এবং নারীত্বহীন। তারা বৈচিত্রময় শরীরের নারীদের যৌনতার বিচ্ছিন্নতাকে চ্যালেঞ্জ করে। নারীবাদী পর্নোগ্রাফার-রা বিভিন্ন ধরণের শারীরিক বৈচিত্রের এবং যৌন আকাঙ্ক্ষার নারীদেরকে তুলে ধরে পর্ন ফিল্ম তৈরি করছে। তারা disabled প্রাপ্তবয়স্কদের যৌন অধিকার রক্ষার জন্য রাজনৈতিক উপকরণ-ও তৈরি করছে। যৌনতা এবং নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করার পরিবর্তে, নারীবাদী পর্নোগ্রাফাররা বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করছে, যেমনটি Judith Butler এবং Drucilla Cornell পরামর্শ দিয়েছেন।
“Sex workers are advocating ‘whore pride’ and ‘slut solidarity’ in order to challenge good/bad girl dichotomies and stifling ideals of female virtue.( Some sex workers are challenging the idea that expressing sexual desire is subhuman or unfeminine, and they are challenging the desexualization of older women, large women, and disabled adults. For example, some feminist pornographers are making films featuring women with a diversity of body types and sexual appetites, and they are producing political materials defending the sexual rights of adults with disabilities [141]. Instead of trying to control the representation of sexuality and women, feminist pornographers are offering alternative visions, as both Judith Butler (2000) and Drucilla Cornell (2000) have recommended. And sex worker organizations in the United States and Europe are forming international coalitions with sex workers from third-world countries, giving sex workers whose lives are circumscribed by global inequalities, neo-colonialism, and racism a larger forum to present their issues.” [142]
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন কেন সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার বিরুদ্ধে?
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, যেমন United Nations, UNAIDS, World Health Organization, Amnesty International, Human Rights Watch, The Global Commission on HIV and the Law, Freedom Network US, এবং American Civil Liberties ইউনিয়ন থেকে আমরা জানতে পারি যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা ক্ষতিকর, HIV/AIDS/STI-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, এবং সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং যৌন আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একই সাথে, সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদের মানবাধিকার বজায় রাখার সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক। এবং তাই তারা সেক্স ওয়ার্ক-কে সম্পূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেসন (World Health Organization)
World Health Organization থেকে বলা হয়েছে যে সমস্ত দেশগুলির সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করা উচিত। একই সাথে সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে non-criminal আইন ও নীতিকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা উচিত।
সেক্স ওয়ার্কারদের বৈষম্য এবং সহিংসতা থেকে নিরাপত্তা রাখার জন্যে সরকারের অধিকার-সম্মানকারী এবং বৈষম্য-বিরোধী আইন প্রয়োগ করা উচিত। একই সাথে এটি সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার সমর্থন করে এবং HIV ও AIDS-এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বৈষম্যবিরোধী আইন ও নীতির অবস্যই সেক্স ওয়ার্কারদের সামাজিক, স্বাস্থ এবং অর্থনৈতিক সেবায় access বজায় রাখতে হবে।
“All countries should work toward decriminalization of sex work and elimination of the unjust application of non-criminal laws and regulations against sex workers.
Governments should establish antidiscrimination and other rights-respecting laws to protect against discrimination and violence, and other violations of rights faced by sex workers in order to realize their human rights and reduce their vulnerability to HIV infection and the impact of AIDS. Antidiscrimination laws and regulations should guarantee sex workers’ right to social, health and financial services.” [143]
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (Amnesty International)
একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিসাবে, Amnesty International-এর দায়িত্ব হচ্ছে কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ করা যায়, তা যাচাই করা। তাই, তারা সমাজের এমন একটি জনগোষ্ঠীর উপরে নজর দিচ্ছে, যারা সমাজে সবথেকে সুবিধাবঞ্চিত, এবং যারা সাধারণত আইনের বাহিরে জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়, এবং যাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়, -অর্থাৎ সেক্স ওয়ার্কারদের উপরে।
তাই, তারা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূল যৌন কার্যকলাপের সমস্ত রূপকে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে; অর্থাৎ সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে, যার বধ্যে কোনো ধরণের বলপ্রয়োগ, শোষণ বা নিপীড়ন নেই। এটি বাস্তব প্রমান এবং সেক্স ওয়ার্কারদের নিজেদের জীবন্ত অভিজ্ঞতার উপরে ভিত্তি করা, যা দেখায় যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদের কম নিরাপদ করে তুলে।
“As a global human rights organization, Amnesty International has a responsibility to assess how best to prevent human rights violations. As such, it is right and fitting that we should look at one of the most disadvantaged groups of people in the world, often forced to live outside the law and denied their most basic human rights: sex workers.
We have chosen to advocate for the decriminalization of all aspects of consensual adult sex – sex work that does not involve coercion, exploitation or abuse. This is based on evidence and the real-life experience of sex workers themselves that criminalization makes them less safe.” [144]
তারা সম্মতিমূলক সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে। একই সাথে, তারা সেক্স ওয়ার্ক সম্পর্কিত সকল আইনি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, তারা এমন আইনের বিরুদ্ধে যা সেক্স ওয়ার্ক কিনা বা একটা সেক্স ওয়ার্কার-এর কাছে সেক্স ওয়ার্ক কিনতে চাওয়া, বা সেক্স ওয়ার্ক-এর জন্যে সংগঠিত হওয়া-কে অবৈধ করে। এটি প্রমানের উপরে ভিত্তি করা যে এই ধরণের আইন সেক্স ওয়ার্কারদের নিরাপত্তা কমিয়ে দেয়, এবং নিপীড়কদের বৈধতা দেয়, যেখানে সেক্স ওয়ার্কাররা পুলিশের ভয়ে তাদের কাছে কোনো অপরাধের মামলা করতে চায় না। সেক্স ওয়ার্ক-কে নিষেধ করার পরিবর্তে, সেক্স ওয়ার্ক সম্পর্কিত আইনগুলি মানুষকে নিপীড়ন এবং শোষণ থেকে নিরাপদ রাখার জন্যে প্রয়োগ করা উচিত।
“It recommends the decriminalization of consensual sex work, including those laws that prohibit associated activities—such as bans on buying, solicitation and general organization of sex work. This is based on evidence that these laws often make sex workers less safe and provide impunity for abusers, with sex workers often too scared of being penalized to report crime to the police. Laws on sex work should focus on protecting people from exploitation and abuse, rather than trying to ban all sex work and penalize sex workers.” [145]
হিউমান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)
স্বেচ্ছাসেবী, সম্মতিমূলক ও প্রাপ্তবয়স্ক যৌনতা- এমনকি বাণিজ্যিক যৌনতাকে অবৈধ করা গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিগত শারীরিক স্বায়ত্তশাসনের অধিকারের সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক। মূলত- সরকার প্রাপ্তবয়স্কদের কখনোই বলতে পারে না যে তারা কার সাথে এবং কোন শর্তের বিনিময়ে সম্মতিমূলক যৌনতায় লিপ্ত হবে।
সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদের পুলিশ-এর দ্বারা নিপীড়ন এবং exploitation-এর দিকে নিয়ে যায়। Human Rights Watch লক্ষ্য করেছে যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করলে পুলিশ সাধারণত সেক্স ওয়ার্কারদের হয়রানি করে, তাদের থেকে চাঁদা আদায় করার চেষ্টা করে, তাদেরকে শারীরিকভাবে এবং মৌখিকভাবে নিপীড়ন করে এবং এমনকি তাদেরকে ধর্ষণ করে।
“Criminalizing adult, voluntary, and consensual sex – including the commercial exchange of sexual services – is incompatible with the human right to personal autonomy and privacy. In short – a government should not be telling consenting adults who they can have sexual relations with and on what terms.
Criminalization exposes sex workers to abuse and exploitation by law enforcement officials, such as police officers. Human Rights Watch has documented that, in criminalized environments, police officers harass sex workers, extort bribes, and physically and verbally abuse sex workers, or even rape or coerce sex from them.” [146]
আন্তর্জাতিক আইন ও HIV কমিশন (The Global Commission on HIV and the Law)
প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতিমূলক সেক্স ওয়ার্ক-এ অংশ নেওয়ার জন্যে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া বন্দ করা উচিত। এর পরিবর্তে, সেক্স ওয়ার্ক-কে সমূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করা উচিত। যৌনতা বিক্রি করার বিরুদ্ধে সকল আইনের সংশোধন করা উচিত, এবং সেসব আইনের সংশোধন করা উচিত, যা সেক্স ওয়ার্কারদের ড্রাইভার বা সিকিউরিটি গার্ড হওয়াটাকে অবৈধ করে। পাচার বিরোধী আইনগুলিকে শুধুমাত্র সেসব মানুষদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা উচিত যারা শক্তি, প্রতারণা এবং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে মানুষকে বাণিজ্যিক যৌনতায় আবদ্ধ করে, এবং তাদের বিরুদ্ধে যারা অভিবাসী সেক্স ওয়ার্কারদের ঋণ দাসত্ব, সহিংসতা এবং স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার মাধ্যমে নিপীড়ন করে।
“Stop punishing consenting adults involved in commercial sex. Instead, decriminalize sex work by repealing laws that prohibit the sale or purchase of sexual services, as well as ancillary laws that prohibit brothel keeping or “living off the earnings” of sex workers—i.e. as sex workers’ drivers or security guards, and more […] Ensure that anti-human-trafficking laws and programming are carefully targeted to prohibit and punish only those who use force, trick, or coerce people into commercial sex, or abuse migrant sex workers through debt bondage, violence, or deprivation of liberty.” [147]
ফ্রিডম নেটওয়ার্ক US (Freedom Network US)
সেক্স ওয়ার্ক-কে সম্পূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করা সেক্স ওয়ার্কারদেরকে ক্ষতি কমানোর কৌশলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়, কেননা তার কারণে সেক্স ওয়ার্ক দৃশ্যমান হয়ে উঠে। সেক্স ওয়ার্কাররা নিজেদের উপরে সহিংসতা কমানোর জন্যে বিভিন্ন কৌশলে লিপ্ত হয়, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত- খারাপ ক্লায়েন্টের তালিকা রাখা, একসাথে দল হয়ে কাজ করা, সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের যাচাই করা এবং কাস্টমারের সাথে শর্ত নির্ধারণ এবং পুনর্নির্ধারণ করা। সেক্স ওয়ার্কারদের অপরাধের হুমকি থেকে মুক্তির দরকার, এবং তাদের সময় দরকার যেন তারা এই সকল ক্ষতি কমানোর কৌশলে লিপ্ত হতে পারে। নির্দিষ্ট পেশা নির্বিশেষে, আমরা যদি শ্রমিকদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে অস্বীকার করি, তখন তাদের নিপীড়ন এবিং শোষণের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অতএব, সেক্স ওয়ার্কাররা অথবা কাস্টমাররা যখন অপরাধের ভয় করে, তখন সেক্স ওয়ার্কারদের ক্ষতি কমানোর কৌশলে লিপ্ত হওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এমনকি এই কৌশলগুলিও অবৈধ হয়ে যেতে পারে।
একটি মানবাধিকার সংগঠন হিসাবে, FNUSA বিশ্বাস করে যে সেক্স ওয়ার্ক-কে সম্পূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করা সকল মানুষের মানবতা এবং মনুষ্য কর্মক্ষমতাকে বজায় রাখে। একই সাথে এটি ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে এবং পদ্ধতিগত নিপীড়ন ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। বর্তমান আইনগুলি বর্ণবাদী এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাকে উৎসাহিত করে। সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করা ক্ষতির এই চক্রান্তকে ভাঙতে পারে, এবং নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নতুন সুযোগ খুলে দেয়।
“Full decriminalization also allows sex workers to engage in harm reduction strategies because it makes sex work less hidden. Sex workers have developed critical strategies to reduce their exposure to violence, including bad date lists, screening of potential clients, working in teams, and negotiating terms with customers. Sex workers need time and space, free from the threat of criminalization, to engage in these harm reduction strategies. When we refuse to protect workers, they are more likely to face abuse and exploitation in any workplace, regardless of the industry. Therefore, when either sex workers or customers fear criminalization, sex workers’ ability to engage in harm reduction strategies is diminished or even criminalized.
As a human rights-based organization committed to anti-racism, FNUSA believes that full decriminalization is the approach that best supports the agency and humanity of all people while working to dismantle systemic oppression and reduce harm. The current policies are contributing to racist and gender-based violence, the overcriminalization of people of color, and generational poverty. Decriminalization will begin to break these cycles of harm and open new pathways for safety and security.” [148]
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (American Civil Liberties Union)
সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, এবং পুলিশের কাছে সহিংসতা রিপোর্ট করতে নিরুৎসাহিত করে। এটি যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি access করতে বাধা দেয়, একটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গণ কারাগারের ব্যবস্থাকে আরো বেশি শক্তিশালী করে এবং সমাজের সবচেয়ে দুর্বল গোষ্ঠীকে আরো প্রান্তিক করে তোলে, যেমন ট্রান্স নারী এবং অভিবাসী।
সেক্স ওয়ার্কাররা অন্য সকল মানুষের মতো একই আইনি সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য। সহিংসতা বা গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়াই তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করার স্বাধীনতা থাকা উচিত, কোনো ধরণের বৈষম্য ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলি access করার স্বাধীনতা থাকা উচিত এবং ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাদের বিচার চাওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত। সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করা সেক্স ওয়ার্কারদের বিপদজনক অবস্থান থেকে বের হয়ে এসে আলোতে পা রাখার সুযোগ দেয়, যেখানে তারা আইনের দ্বারা দ্বারা অপরাধী হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে, তারা আইনের দ্বারা সুরক্ষিত।
“The criminalization of sex work makes sex workers more vulnerable to violence on the job and less likely to report violence. It prevents sex workers from accessing health care and other critical services, feeds an out of control mass incarceration system, and further marginalizes some of society’s most vulnerable groups, such as trans women of color and immigrants.
Sex workers deserve the same legal protections as anybody else. They should be able to maintain their livelihood without fear of violence or arrest, access health care and other services without discrimination, and seek justice when they are harmed. Decriminalization would help bring sex workers out of the dangerous margins and into the light where people are protected — not targeted — by the law.”[149]
ক্রেতা এবং তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দিয়ে আমরা কি সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরোধিতা করতে পারি?
অনেক সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীরা বলে যে সেক্স ওয়ার্কারদের শাস্তি না দিয়ে, আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট এবং তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে সেক্স ওয়ার্ক-কে নিরুৎসাহিত করা উচিত। এই ধরণের আইনকে বলা হয় “End-demand” আইন। এই ধরণের আইন Sweden, Norway, Iceland, Canada এবং France-এ স্থাপন করা হয়েছিল। বিভিন্ন ধরণের গবেষণায় দেখা গেছে যে এ সকল দেশে, এই ধরণের আইন সেক্স ওয়ার্কারদের জীবনে কোনো ধরণের উন্নতি করতে পারে না। বরং, প্রমান আমাদেরকে ইঙ্গিত দেয় যে এই ধরণের আইন সেক্স ওয়ার্কারদের জন্যে ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এর কারণে, অসংখ্য সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আইনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে, এবং ক্লায়েন্ট এবং তৃতীয় পক্ষের সাথে সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকারকে রক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন। ক্লায়েন্ট এবং তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দিয়ে আমরা সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরোধিতা কখনোই করতে পারি না, কেননা এই জাতীয় আইন কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না, বরং সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
নিরাপদ যৌনতার বাধাগ্রস্ত
পূর্বের রিসার্চ দেখায় যে সেক্স ওয়ার্ক অবৈধ করার বিভিন্ন রূপ- এমনকি সেক্স ওয়ার্কারদের জন্যে নিরাপদ ব্যবসায়িক অনুশীলন মেনে চলার ক্ষেত্রে বাধা দেয়। সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা- এমনকি ক্লায়েন্টদেরকে অপরাধী হিসাবে আইনি শাস্তি দেওয়ার ফলে-
১) স্বাস্থসেবা, ও আইনি নিরাপত্তার এক্সেস (access) অবমূল্যায়ন করা হয়।
২) ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩) সেক্স ওয়ার্কারদের সম্মিলিতভাবে কাজ করা এবং নিরাপদ কর্মক্ষেত্র স্থাপন করার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়।
৪) সেক্স ওয়ার্ক কমে না বা বিলুপ্ত হয় না।
৫) মানুষের পাচার প্রতিরোধ করার প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করা হয়।
তাই, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নীতি সংস্থা সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যে সেক্স ওয়ার্ক-কে সমূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করার জন্যে পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেক্স ওয়ার্ক অপরাধমুক্ত করার বিভিন্ন রিসার্চ-এ পাওয়া গেছে যে সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার বজায় রাখার জন্যে অপরাধমুক্তকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমান-ভিত্তিক সমাধান। মূলত, সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার মাধ্যমে সেক্স ওয়ার্কাররা স্বাস্থসেবা এবিং সামাজিক সাহায্যের এক্সেস (access) বেড়ে যায়।
“Prior research indicates that the criminalization of sex work through various models, including ‘end-demand’ criminalization, puts up barriers to safer work practices for sex-workers, making a legal profession into an unnecessarily dangerous one. Criminalization—including criminalization of clients— undermines access to health, safety, and legal protections; elevates risk for harm; hinders sex-workers’ abilities to establish safer workspaces and work collectively; does not reduce or eliminate sex work; and undermines efforts to address human trafficking [150]. International policy bodies [151] now call for decriminalization as a best practice for supporting sex workers’ health and labour rights [152]. This is supported by evidence from modelling and research from sex work-decriminalized settings (e.g., New Zealand) [153] suggesting that decriminalization is a critical evidence-based approach to enhance the human rights of SWs, largely through increased access to justice (Platt et al. 2018; Abel 2014), health, and social supports [154].” [155]
বিপদের সম্ভাবনা বেড়ে যায়
Amnesty International এবং The Economist উভয় সেক্স মার্কেট সম্পর্কিত আইন নিয়ে একই উপসংহারে পৌঁছেছে। ২০১৫ সালের August মাসে, Amnesty International সেক্স ওয়ার্ক-কে সম্পূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে পরামর্শ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে শুধুমাত্র সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার মাধ্যমেই সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার বজায় রাখা সম্ভব। এমনকি, Amnesty International বিশেষভাবে সেক্স ওয়ার্কার এবং কোয়েন্ট- উভয়ের জন্যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে পরামর্শ দিয়েছেন। সেক্স ওয়ার্ক-এর supply/যোগান (অর্থাৎ সেক্স ওয়ার্কার) এবং demand/চাহিদা (অর্থাৎ ক্লায়েন্ট)— উভয়কে অবৈধ করা এই মার্কেটকে “লুকানো অর্থনীতি”-তে ঠেলে দিতে পারে, যা সেক্স ওয়ার্কারদের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়।
“In fact, both Amnesty International and The Economist have recently reached similar conclusions on policies regarding sex markets. In August 2015, the International Council of Amnesty International (2015) decided to back complete decriminalization of sex work. Decriminalizing sex work, they reasoned, would be better for the health and safety of sex workers and better protect their human rights. Amnesty’s International Council took care to declare opposition to criminalizing sex work for both clients and sex workers. Criminalization both on the demand side (clients) and supply side (sex workers) implies pushing this “market” into the hidden economy, increasing the risks sex workers face.” [156]
সেক্স ওয়ার্কারদের সুরক্ষিত রাখতে পারে না
“End-demand” মডেলের দৃষ্টিভঙ্গি সেক্স ওয়ার্কারদের কর্মক্ষেত্রে বিপদ কমানোর নীতি ও কৌশলকে বাধা দেয়। রিসার্চ-এ শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া গেছে যে সেক্স ওয়ার্ক-এর যে কোনো স্তরকে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কারদের নিরাপদ রাখতে পারে না। বরং, তা সেক্স ওয়ার্কারদের উপরে সহিংসতার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়, এবং সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনাকে বজায় রাখে। সমর্থকরা অনেক বড় গলায় লিঙ্গ সমতার দাবি করে থাকে। তবে, Canada-এর মতন দেশে End-demand আইন সেক্স ওয়ার্কারদের শ্রমিক অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি অবদান রাখছে। তাই, আমাদের এমন আইনের প্রয়োজন যা সেক্স ওয়ার্কারদের অধিকার সীমাবদ্ধ করার পরিবর্তে তাদের হাতে অধিকার দিয়ে দেয়।
“The victimization lens through which end-demand models view sex workers precludes exploring policy or programmatic interventions to reduce workplace risks, as are typical in other industries towards enhancing workers’ rights [157]. Our findings add to robust evidence that laws criminalizing any aspect of sex work do not protect sex workers, but rather increase their risks of violence and perpetuate sex work stigma [158]. Despite end-demand ideology on promoting gender equality, end-demand laws in Canada and resulting enforcement practices are contributing to ongoing severe labour and human rights violations against sex workers. Legislative reforms which enhance sex workers’ rights, rather than limiting their freedoms under the guise of protection, are urgently needed to enable safer working conditions.” [159]
পুলিশের কাছে সহিংসতার আন্ডার-রিপোর্টিং
২০১৪ সালের পর Canada-তে End-demand আইনের প্রভাবের উপরে গবেষণায় দেখা গেছে যে সেক্স ওয়ার্কারদের সহিংসতা রিপোর্ট করার মাত্রার কোনো উন্নতি হয় নাই। একইভাবে, ২০১৬ সালে France-এ End-demand আইন প্রয়োগ করার পর গবেষণায় দেখা গেছে যে ৭০% সেক্স ওয়ার্কার বলেছেন যে পুলিশের সাথে তাদের সম্পর্কের কোনো উন্নতি হয় নাই, বরং অবনতি হয়েছে। অন্যদিকে ৪২% সেক্স ওয়ার্কার বলেন যে এই আইন প্রয়োগের পরবর্তীতে তাদের উপরে সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে। End-demand আইনের অন্যান্য প্রেক্ষাপটে সেক্স ওয়ার্কাররা পুলিশের কাছ থেকে হয়রানি ও লাঞ্ছনার সম্মুখীন হতে হয়। সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের কারণে, পুলিশ তাদেরকে নিরাপদ রাখতে চায় না। যদিও End-demand আইনের উদ্দেশ্য হলো সেক্স ওয়ার্কারদের নিরাপত্তা বজায় রাখা, তা এ জাতীয় আইনের দ্বারা সম্ভব না। Sweden-এর আইনে যদিও এটি বলা আছে যে “পতিতাবৃত্তির ভিক্টিম কোনো আইনি শাস্তি পাবে না”— এর নির্বিশেষে End-demand আইনের অধীনে Sweden-এর সেক্স ওয়ার্কারদের পুলিশি হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং তাদের বাসা-বাড়ি থেকে জোরপূর্বকভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে Norway-তে দেখা গেছে যে লাঞ্ছনা এবং তাদের বাসা থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের ভয়ে সেক্স ওয়ার্কাররা পুলিশের কাছে অপরাধ রিপোর্ট করতে ভয় পায়। এই সকল প্রমান আমাদেরকে দেখায় যে এমনকি সেসব আইনের অধীনে যা শুধুমাত্র ক্লায়েন্ট এবং তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দেয়, সেক্স ওয়ার্কার-রা তবুও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে হয়রানি এবং শাস্তিমূলক নজরদারির সম্মুখীন হতে হয়। এটি সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য নেওয়া থেকে বাধা দেয়।
“Our study found no improvement in proportions of reporting violence among sex workers post 2014 end-demand law reform. Similarly, under end-demand laws implemented in France in 2016, 70% of sex workers reported no improvement or a deterioration of relationships with police, and 42% faced heightened violence [160]. In other contexts where end-demand models have been introduced, sex workers continue to experience police harassment and stigma [161]; and discrimination influences police officers’ willingness to protect sex workers [162], despite these laws’ purported aims to support sex workers. Under end-demand legislation, sex workers in Sweden have faced police harassment and forced evictions from their homes despite laws stating ‘victims of prostitution do not risk any legal repercussions’ [163], and Norwegian sex workers fear reporting crimes due to fear of being evicted and facing stigma from police [164]. This evidence suggests that even under laws which purportedly solely criminalize clients and third parties, sex workers face punitive law enforcement surveillance and harassment, posing a serious barrier to accessing recourse. Despite its purported aim of protecting vulnerable communities [165], our participants were no more likely to report violence after implementation of end-demand legislation. This is particularly concerning given strong evidence that sex workers’ inability to access protection enables impunity for perpetrators, which perpetuates ongoing human rights violations against sex workers [166].” [167]
সেক্স ওয়ার্কারদের ক্ষমতা কমে যায়
End-demand আইনি মডেল প্রথমে ১৯৯৯ সালে Sweden-এ স্থাপন করা হয়, এবং পরবর্তীতে Norway, Iceland, এবং France-এ। End-demand আইন সেক্স ওয়ার্কারদেরকে “ভিক্টিম” এবং ক্লায়েন্টদেরকে “নিপীড়ক” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করার মতাদর্শের উপরে ভিত্তি করে। End-demand আইন যৌনতা ক্রয় করাকে অবৈধ করে, এবং সেক্স ওয়ার্কারদের শাস্তি না দিয়ে যৌন বিক্রি করাকে বৈধ রাখে। তবে, যৌন পরিষেবার লেনদেনের যেকোনো অংশকে অবৈধ করা যৌন স্বাস্থ্যের উপরে একটি গভীর প্রভাব বিস্তার করে। সেক্স ওয়ার্ক-এর কোনো অংশকে অবৈধ করা সেক্স ওয়ার্কার এবং তাদের ক্লায়েন্টের সাথে মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে HIV/যৌনবাহিত সংক্রমণ-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কেননা সেক্স ওয়ার্ক-এর উপরে পুলিশের শাস্তিমূলক নজরদারি সেক্স ওয়ার্কারদের বিচ্ছিন্ন এলাকায় ঠেলে দেয়, আক্রমণাত্মক ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, এবং কনডম ব্যবহার করার শর্ত স্থাপন করতে সীমাবদ্ধ করে। Sweden এবং France-এ End-demand আইন নিয়ে রিসার্চ পরামর্শ দেয় যে এইসব আইনের কারণে সেক্স ওয়ার্কারদের নতুন ক্লায়েন্ট যাচাই করার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়, কেননা শাস্তির ভয়ে ক্লায়েন্টরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে ভয় পায়। অর্থাৎ, ক্লায়েন্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা, ক্লায়েন্টের সাথে সীমানা স্থাপন করা, প্রস্তাবিত সেবাসমূহ এবং সেবার দাম, এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যে যন্ত্রের ব্যবহার— সকলই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। আইন সেক্স ওয়ার্ক-এ কন্ডোমের ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে, তাদের কর্মক্ষেত্রে সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, এবং স্বেচ্ছাসেবী HIV/যৌনবাহিত সংক্রমণ-এর testing-কে বাধাগ্রস্ত করে।
“The “end-demand” legislative model (Nordic/abolitionist model) was first implemented in Sweden in 1999, and subsequently in Norway, Iceland, France and several other countries.Based on ideologies depicting sex workers as victims and clients as abusers who exploit vulnerable women (including through coercing condomless sex), end-demand laws typically criminalize the purchase of sex, while leaving the sale of sex legal to lessen the criminalization of sex workers. However, criminalizing any aspect of sexual service exchange can impact occupational health including sexual health and HIV/STI exposure in sex worker-client interactions, as punitive policing has been robustly documented to push sex workers and clients into isolated settings, increase workers’ vulnerability to violent perpetrators, and limit their negotiating power for condom use. Concerningly, limited research from Sweden and France suggests that end-demand laws undermine sex workers’ ability to screen new clients (the process of collecting client information; vetting clients; and establishing boundaries, services offered, prices, and use of personal protective equipment), as clients fear providing identifying information due to the potential consequences of criminalization. End-demand laws have also been shown to undermine condom use negotiation, enhance exposure to workplace violence, and heighten barriers to voluntary HIV/STI testing.” [168]
ক্ষতির পুনরাবৃত্তি
End-demand আইনের একটি মূল লক্ষ্য হলো সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য পরিষেবা এবং কাঠামোর প্রবেশাধিকার বা এক্সেস (access) বাড়ানো। তবে, এই লক্ষ্যের নির্বিশেষে, রিসার্চ-এ পাওয়া গেছে যে Canada-তে End-demand আইন স্থাপন করার পরে সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থ্যসেবায় access-এর মাত্রা বাড়ে নাই। বরং, প্রমান আমাদেরকে দেখায় যে নতুন End-demand আইন প্রয়োগ করার পর, সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থসেবায় access কমে গেছে।
এর থেকে আমরা বুঝতে পারি যে সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থ্য এবং মানবাধিকার বজায় রাখার জন্যে এবং একইসাথে HIV ও অন্যান্য যৌনবাহিত সংক্রমণ-এর মাত্রা কমানোর জন্যে সেক্স ওয়ার্ক-কে সম্পূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করা উচিত। বর্তমান data আমাদেরকে শেখায় যে End-demand আইন, যা ক্রেতা এবং তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দেয়, সেক্স ওয়ার্ক-কে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ করার পুরাতন আইনের ক্ষতিকে পুনরাবৃত্তি করে।
“Despite one of the explicit goals of end-demand criminalization approaches being to increase access to services and supports for sex workers, this study found no statistically significant increase in access to health or sex worker/community-led support services following implementation of the PCEPA in Vancouver, Canada. Rather, findings suggest that after implementation of the new laws, sex workers had reduced access to health and sex worker/community led supports. To our knowledge, this study is the first to longitudinally evaluate the impact of end-demand legislation on access to health services and supports for sex workers in Canada.
Findings from this study support global calls for full decriminalization of sex work as a critical and necessary structural intervention to improve health and human rights for sex workers and reduce transmission of HIV and other STIs. Existing data suggests that end-demand criminalization that targets clients and third parties, but not sex workers, has been shown to reproduce the risks and harms associated with previous laws criminalizing sex work.” [169]
ক্ষতিকারক ব্যবসায়িক অনুশীলনের প্রচার
ব্যাপক আকারে তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দেওয়া যৌন পরিষেবায় বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক factors-কে উপেক্ষা করে। একই স্থাথে End-demand মতাদর্শ একজন সেক্স ওয়ার্কার-এর সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে, যে তৃতীয় পক্ষগুলি আসলেই বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে নিপীড়ন করছে কি না। বর্তমান প্রমান আমাদেরকে দেখায় যে তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দেওয়ার ফলে ক্ষতিকারক ব্যবসায়িক অনুশীলনকে প্রচার করে, যেমন manager যখন কন্ডোমের access এবং স্বাস্থসেবায় access সীমাবদ্ধ করে। এর ফলে, সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থ্য এবং তাদের নিরাপত্তাকে অবমূল্যায়ন করা হয়। তৃতীয় পক্ষকে শাস্তি দেওয়া সেক্স ওয়ার্কারদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে। এটি শ্রমিক অধিকার এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন, যা সহিংসতার অভিজ্ঞতাকে বৃদ্ধি করতে পারে।
“The sweeping criminalization of third parties disregards the highly variable contextual factors around the services provided; and sex workers’ own decisions on whether a third party’s actions are coercive. Concerningly, recent evidence suggests that third party criminalization and resulting policing efforts promote harmful managerial practices (i.e., managers restricting condom access and health outreach services), thereby undermining workers’ access to health and safety [170]. Research on the many security supports associated with third parties in indoor spaces [171] suggests that criminalizing third parties restricts sex workers’ ability to work with others to enhance their own safety, which is a labour and human rights violation and may exacerbate experiences of violence.” [172]
HIV-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়
Sweden-এর আইন সেক্স ওয়ার্কারদের শাস্তি না দিয়ে ক্লায়েন্ট-কে শাস্তি দেয়। তবে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা লক্ষ্য করেছেন যে এই আইনি মডেলটি বাস্তবতায় একটি আরো ক্ষতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। Swedish মডেল-এর কারণে, সেক্স ওয়ার্ক আরো কম নিরাপদ একটি পেশা হয়ে উঠে। কেননা, এসব আইনের কারণে, ক্লায়েন্ট-এর গোপনীয়তা রক্ষা করার ফলে, সমাজের দৃষ্টির বাইরে সেক্স ওয়ার্কারদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিলো, এবং তাদের কন্ডোম ব্যবহার করার সম্ভাবনা কমিয়ে গিয়েছিলো। এর ফলে, নারীদের HIV/AIDS-এর ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিলো। অন্যান্য দলিল থেকে জাবিতে পারি যে Swedish আইনের অধীনে বাড়ির জমিদার যখন সেক্স ওয়ার্কারদের বাসা ভাড়া দেয়, তাদেরকে কোটনা হিসাবে আইনি শাস্তি দেওয়া হয়। এর ফলে, সেক্স ওয়ার্কাররা বসবাস করার কোনো জায়গা পায় না। বিভিন্ন স্কলাররা হাউজিং এবং HIV/AIDS-এর ঝুঁকির মধ্যে সম্পর্ককে লক্ষ্য করেছে। এই স্কলাররা যুক্ত দেন যে গৃহহীনতা নারীদেরকে সহিংস সম্পর্কের দিকে ঠেলে দেয়, এবং নিরাপদ যৌনতার শর্ত স্থাপন করতে বাধা দেয়।
সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করা সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে সাথে সাথে বিলুপ্ত করে দেয় না। তবে, এর ফলে, সেক্স ওয়ার্কাররা সমাজের মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠে। সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার ফলে, সেক্স ওয়ার্কাররা নিরাপদ কর্মক্ষেত্র স্থাপন করতে সাহায্য করে, এবং তাদের স্বাথ্যসেবায় এক্সেস বেড়ে যায়। স্বাস্থসেবা কর্মচারীদের কাছেও সেক্স ওয়ার্কাররা দৃশ্যমান হয়ে উঠে।
“Abolitionist feminists often rely on the “Swedish” model as a means of abolishing sex work while not harming the sex worker herself. The Swedish model criminalizes the client without criminalizing the activities of the sex worker.
Sex workers and sex-positive feminists note that the Swedish model actually creates a more harmful situation. Instead of ending sex work, sex workers and sex-positive feminists assert that the Swedish model simply makes practicing sex work less safe, as sex workers are driven out of sight to suit the need of their clients to remain hidden. Sex workers become more vulnerable to violence and may be less likely to negotiate condom use. This places women at higher risk of contracting HIV/AIDS. There are other unexpected consequences as well. Documentation suggests that when landlords understand themselves as prosecutable as pimps under the Swedish law, sex workers are left without a place to live. The connection between access to housing and HIV risk has been noted by many scholars who argue that homelessness pushes women into economic dependency, transactional sex, violent relationships, and, often, a greater inability to negotiate safe sex.
Decriminalization of sex work does not immediately eliminate violence against sex workers; however, it does allow for sex workers to remain visible. In turn, sex workers are better able to negotiate sex in safer venues, can be less afraid to seek services related to health, safety, and security, and are visible and accessible to health care workers with information and education.” [173]
সেক্স ওয়ার্ক বৈধ করার প্রয়োজনীয়তা
অন্যান্য পেশার মতন, সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে তৃতীয় পক্ষরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করে থাকে। সেক্স ওয়ার্কাররা তৃতীয় পক্ষ দ্বারা পরিচালিত পরিষেবা ব্যবহার করে সবথেকে অনুকূল এবং নিরাপদ ব্যবসায়িক শর্তাবলী স্থাপন করে। রিসার্চ আমাদের দেখায় যে আইন, যা সেক্স ওয়ার্কারদের ভিক্টিম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করার মতাদর্শের উপরে ভিত্তি করা, একটি বিপজ্জনক ব্যাবশীক অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে। তাই, সেক্স ওয়ার্ক-কে সমূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করার জন্যে নতুন আইন দরকার- এমন আইন যা সেক্স ওয়ার্কারদের তৃতীয় পক্ষের সাথে কাজ করার অধিকারকে বজায় রাখে। এর মাধ্যমেই আমরা আন্তর্জাতিক স্তরে নৈতিক শ্রমের মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারবো, যা সেক্স ওয়ার্কারদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারকে বজায় রাখতে পারবো।
“In sex work, as in other industries, third parties offer useful services, and sex workers use third party services (and work collectively, as third parties to one another) towards creating the most optimal and safe working conditions for themselves. Our research presents new evidence demonstrating that end-demand ideologies depicting sex workers as victims, and laws based on these representations, reproduce the unsafe working conditions under the previous laws which were deemed unconstitutional by the Canadian Supreme Court. Legislative reforms to fully decriminalize all aspects of the sex industry, including sex workers’ right to work with third parties, are urgently recommended in Canada and globally to promote labour conditions which support sex workers’ health, safety, and human rights.” [174]
সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে আপত্তি
একটি ধারণা হলো যে, সেক্স ওয়ার্ক অগ্রহণযোগ্য কেননা সমাজের বেশির ভাগ মানুষ সেক্স ওয়ার্ক-কে তুচ্ছ করে দেখে। এবং সমাজের মানুষ যেহেতু সেক্স ওয়ার্ক-কে খারাপ হিসাবে বিবেচিত করে, তাই সেক্স ওয়ার্কারদের নিজেদের ভালোর জন্যে সেক্স ওয়ার্ক থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা সমাজ তাদের সাথে কারাপ ব্যবহার করবে। এবং, কেউ যদি সেক্স ওয়ার্কার হতে চায়, তাহলে তাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা উচিত।
তবে সমাজ কোনো কিছুকে খারাপ মনে করার ভিত্তিতে যদি আমরা কোনো কাজের বিরোধিতা করি, তাহলে সেই ভিত্তিতে নাস্তিক হওয়ার পাশাপাশি আরো অনেক কিছুরই বিরোধিতা করতে হবে। ধরে নেন, বাংলাদেশের একজন নারী হাফ-প্যান্ট পরে একটি ছবি ফেইসবুক-এ আপলোড করলো। এখন যেহেতু সেই নারীকে সবাই গালি-গালাজ ও খারাপ ব্যবহার করবে, তাহলে কি সেই নারীর হাফ-প্যান্ট পরার সম্মতিমূলক ও স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবো? এই বিরোধিতা করে কি সেই নারীর বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহারের সমস্যা সমাধান হবে?
ঠিক তেমনি সেক্স ওয়ার্কার-দের সাথে ঘটে যাওয়া অপরাধ, আক্রমণ এবং খারাপ ব্যবহারের সমস্যার সমাধান আমরা সেই বা অন্যান্য সেক্স ওয়ার্কার-দের সম্মতিমূলক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বা অগ্রহণযোগ্যতা স্থাপন করে কখনোই সমাধান করতে পারবো না।
কিছু সেক্স ওয়ার্ক বিরোধিতাকারীরা আরো দাবি করে যে যেহেতু সেক্স ওয়ার্কারদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়, তাই সেক্স সেক্স ওয়ার্কারদেরকে “slut-shame” করা উচিত, যেন তাদের খারাপ লাগে আর যেন তারা সেক্স ওয়ার্ক ছেড়ে দেয়। এই অবস্থানটি আরো বেশি অযৌক্তিক। যদি সমস্যাটাই এটি হয়ে থাকে যে সেক্স ওয়ার্কার-দের বিরুদ্ধে আক্রমণ, শোষণ ও খারাপ ব্যবহার করা হয়, তাহলে এই সমস্যা কি সেক্স ওয়ার্কার-দের বিরুদ্ধে আরো খারাপ ব্যবহার করে সমাধান করা যেতে পারবে? একজন সেক্স ওয়ার্কার-কে তার সেক্স ওয়ার্ক-এর জন্যে slut-shame করা একটা নারিকে হাফ-প্যান্ট পরার জন্যে slut-shame করার সমান।
“Slut-shaming is the act or idea of attacking a female for being sexual. The purpose of slut-shaming is to make a woman feel guilty or inferior for acting in ways that do not conform with traditional gender expectations, such as having more than one sexual partner, acting on sexual feelings, or wearing revealing clothing.”[175]
Slut-shaming-এর অর্থ হলো একজন নারীকে তার যৌনতার জন্যে আক্রমণ করা। Slut-shaming-এর উদ্দেশ্য হলো একজন নারীকে সাংস্কৃতিক লিঙ্গিক প্রত্যাশা পূরণ না করার জন্যে দোষী বা নিকৃষ্ট হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা; যেমন একাদিক যৌন সঙ্গী রাখা, যৌন চাহিদা পূরণ করা, অথবা উন্মুক্ত পোশাক পড়ার জন্যে নারীদেরকে দোষী বা নিকৃষ্ট হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা। একজন নারীর যৌনতা প্রকাশের স্বাধীন ইচ্ছা থাকা উচিত, হোক সেটা হাফ প্যান্ট পড়া, একাধিক যৌন সঙ্গী রাখা, কোনো যৌন সঙ্গী না রাখা এবং এমনকি টাকার বিনিময়ে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া।
টাকার বিনিময়ে সম্মতিমূলক যৌনকর্মের বিরুদ্ধে তর্ক
প্রেমিস ১- টাকার বিনিময়ে সম্মতিমূলক যৌনকর্মে অংশ নেয়াতে একজন মানুষের সম্মানহানি হয়।
প্রেমিস ২- টাকার বিনিময়ে সম্মতিমূলক যৌনকর্মে অংশ নেয়াটা মানুষকে অবজেক্টিফাই করে।
প্রেমিস ৩- সম্মানহানি এবং অবজেক্টিফিকেশন মানুষের ভোগান্তিকে বাড়িয়ে দেয় এবং মানুষের ভালো থাকাকে কমিয়ে দেয়।
উপসংহার – সুতরাং টাকার বিনিময়ে সম্মতিমূলক যৌনকর্মে অংশ নেয়াটা মানুষের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য আচরণ নয়।
পুরো দাবির বিরুদ্ধে আপত্তি
প্রেমিস ১ এবং ২-এর মধ্যে casual fallacy ঘটছে, কীভাবে যুক্তিতর্ক করা হচ্ছে, তার উপর ভিত্তি করে cum hoc অথবা post hoc বলা যেতে পারে।
প্রেমিস ১ এবং ২-এর মধ্যে special pleading ফ্যালাসি ঘটছে।
Casual ফ্যালাসির উদাহরণ: আমি যখনই ঘুমোতে যাই সূর্য অস্ত যায়। সুতরাং আমার ঘুমোতে যাওয়াই সূর্যের অস্ত যাওয়ার কারণ।
Special pleading ফ্যালাসির উদাহরণ: সবগুলো ধর্মই ভুয়া এবং অযৌক্তিক শুধুমাত্র আমার ধর্ম ইসলাম বাদে।
প্রেমিস ১ এর বিরুদ্ধে আপত্তি
আপত্তি ১- সম্মতিমূলক যৌনকর্ম দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে কারোই সম্মানহানি করে না। তাহলে প্রেমিস ১ এ বর্ণিত সম্মানহানির মানদন্ড যৌনকর্ম নয়, বরং টাকার আদানপ্রদান।
আপত্তি ২- যদি সম্মতিমূলক কোনো কাজে টাকার আদানপ্রদান করাটাই সম্মানহানির মানদণ্ড হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেখানে সম্মতিমূলকভাবে টাকার আদানপ্রদান ঘটে, তা অবশ্যই মানুষের সম্মানহানির কারণ হবে না হলে এখানে একটি special pleading ফ্যালাসি [176] সংঘটিত হচ্ছে।
আপত্তি ৩- অন্য ক্ষেত্রে যদি সম্মতিতে টাকার আদানপ্রদানে কারো সম্মানহানি না হয়, কিন্তু শুধুমাত্র যদি টাকার আদানপ্রদানের বিনিময়ে যৌনকর্মের ক্ষেত্রে সম্মানহানি হয়, তাহলে সম্মানহানি ঘটাচ্ছে সম্মতিমূলক যৌন কর্ম, টাকার আদানপ্রদান নয়।
আপত্তি ৪- টাকার বিনিময় সম্মতিমূলক যৌনকর্ম এবং সম্মানহানির মধ্যে causal relationship/কার্যকারণ সম্পর্ক (পারস্পরিক সম্পর্ক বা আন্তসম্পর্ক নয়) ব্যাখ্যা করা হয়নি।
প্রেমিস ২ এর বিরুদ্ধে আপত্তি
আপত্তি ১- অবজেক্টিফিকেশনের এর সংজ্ঞা হচ্ছে, “কোন ব্যক্তির ব্যক্তিসত্ত্বাকে উপেক্ষা করা, তার কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নেওয়া এবং তাকে একটি বস্তুর মত অবস্থানে বসানো যাকে অন্যের সুবিধার খাতিরে ব্যবহার করা হয়।” (Johnson 2015)
অবজেক্টিফিকেশন তখনই ঘটে যখন আপনাকে বাধ্য করা হয় আপনার কর্তৃত্ব এবং শারীরিক স্বায়ত্তশাসন সমর্পণ করতে এবং আপনাকে যখন ব্যবহার করা হয় চেয়ার, টেবিল, কাগজ, কলম, টাকা, কয়েন ইত্যাদি বস্তুর মত। বস্তু কখনো কোনো কিছুতে সম্মতি দিতে পারে না। একজন সেক্স ওয়ার্কার কোন বস্তু নয়, তিনি একজন মানুষ যে তার মনুষ্য সত্ত্বাকে প্রদর্শন করছে সেক্স ওয়ার্ক-এ সম্মতি দেয়ার মাধ্যমে, এবং তার সম্মতি মূলক ইচ্ছা “অবজেক্টিফিকেশন” নয়।
আপত্তি ২- যদি কেউ আপনাকে বস্তুর মতন ব্যবহার করে সেটা আপনার অপরাধ নয়। আপনার অবজেক্টিফিকেশনের জন্য আপনাকে দায়ী করা সরাসরি ভিকটিম ব্লেমিং। ভিকটিম ব্লেমিং বলতে বোঝায়- “হিংস্রতা বা অবিচারের শিকার কোন মানুষকে তার সাথে ঘটা অপরাধের জন্য দোষী বলা এবং এটি এমন একটি অস্ত্র যেটি ব্যবহার করা হয় সেই সকল মানুষদের বিরুদ্ধে যারা যেকোনো ধরণের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে।” (Johnson et al, 2021) বৈবাহিক বন্ধনে থাকা কোন নারী যদি সেক্স অবজেক্ট এর মতন ব্যবহৃত হয় সেটির জন্য তার ‘বিবাহে সম্মতি দেয়া’কে দায়ী করা যায় না। নিজের অবজেক্টিভেশনের জন্য দায়ী হওয়া কারো পক্ষে অসম্ভব।(যেটি আপনার বিরুদ্ধে সংঘটিত একটি অপরাধ)
আপত্তি ৩- সম্মতিতে যৌনসঙ্গম কোনপক্ষকেই অবজেক্টিফাই করে না। তাই প্রেমিস ২ এর অবজেক্টিফিকেশনের মানদন্ড হচ্ছে টাকার আদানপ্রদান।
আপত্তি ৪- সম্মতিমূলক টাকার আদানপ্রদান যদি অবজেক্টিফিকেশনের মানদন্ড হয়, তাহলে প্রতিটি ক্ষেত্র যেখানে সম্মতিমূলক টাকার আদানপ্রদান ঘটে অবশ্যই অবজেক্টিফিকেশনের কারণ হবে, নাহলে, special pleading ফ্যালাসি সংঘটিত হচ্ছে।
আপত্তি ৫- যদি অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্মতি মূলক টাকার আদানপ্রদান অবজেক্টিফিকেশন না করে, কিন্তু শুধুমাত্র যখন যৌনকর্মের জন্য টাকার আদানপ্রদান ঘটে তখনই অবজেক্টিফিকেশন ঘটে, তাহলে অবজেক্টিফিকেশন ঘটছে যৌন কর্মের জন্য, টাকার জন্য নয়।
আপত্তি ৬- টাকার বিনিময়ে সম্মতি মূলক যৌন কর্ম এবং অবজেক্টিফিকেশনের মধ্যে causal relationship/কার্যকারণ সম্পর্ক (পারস্পরিক সম্পর্ক নয়) ব্যাখ্যা করা হয়নি।
রিডাকটিও অ্যাড-অ্যাবসার্ডাম এবং স্পেশাল প্লিডিং
যদি কার্যকারণ সম্পর্কের (causal relationship) বদলে পারস্পরিক সম্পর্কের (correlation) কথা বলা হয়, তাহলে প্রেমিস গুলোর ভিত্তিতে উপরোক্ত উপসংহারে পৌঁছানো আরো অযৌক্তিক হয়। অর্থাৎ যদি বলা হয় যে, “টাকার বিনিময়ে সম্মতি মূলক যৌন কর্ম অবজেক্টিফিকেশনের কারণ নয় বরং টাকার বিনিময়ে সম্মতি মূলক যৌন কর্মে অংশ নিলে অবজেক্টিফিকেশন ঘটে বা ঘটতে পারে, তাই উপরোক্ত উপসংহারে পৌঁছানো যায়”, তাহলে সেটা আরো অযৌক্তিক হবে।
Reductio ad-absurdum and special pleading: বাংলাদেশের বিবাহ এমন একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেখানে স্বামীর আইনগত অধিকার আছে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করার। তাহলে কি বিবাহের এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের সম্মানহানি ঘটায়? এবং সেই কারণে কি বিবাহকে একটি সুপারিশযোগ্য মনুষ্য আচরণ বলা যায়? উত্তরে যদি হ্যাঁ বলা হয় তাহলে special pleading ফ্যালাসি সংঘটিত হচ্ছে।
Reductio ad-absurdum and special pleading: যদি দেখা যায় যে ডাক্তারি পেশাটির সাথে নারীদের বিরুদ্ধে অনেক বেশী পরিমাণে যৌন আক্রমণ ঘটার সম্পর্ক রয়েছে, তাহলে কি এই পেশাকে একটি সুপারিশযোগ্য মনুষ্য আচরণ বলা যায়? উত্তরে যদি হ্যাঁ বলা হয় তাহলে special pleading ফ্যালাসি সংঘটিত হচ্ছে।
সেক্স ওয়ার্ক-এর পক্ষে পাল্টা যুক্তি
প্রেমিস ১- ব্যক্তি স্বাধীনতার সম্মতিমূলক প্রয়োগ একজন মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা ও মনুষ্য কর্মক্ষমতার প্রতিফলন।
প্রেমিস ২- একজন মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা (free will) ও মনুষ্য কর্মক্ষমতা (agency) হলো সেই বৈশিষ্টগুলি যা একজন মানুষকে চেয়ার, টেবিল, কাগজ, টাকা, কলম ইত্যাদির মত বস্তু থেকে আলাদা একটি মর্যাদা প্রদান করে।
প্রেমিস ৩- একটি কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্মতিমূলক সিদ্ধান্ত হলো মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা ও মনুষ্য কর্মক্ষমতার গ্রহণযোগ্য প্রয়োগ যতক্ষণ সেই সিদ্ধান্তের কারণে কারোর ক্ষতি বা অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না।
প্রেমিস ৪- সেক্স ওয়ার্ক হলো সম্মতিমূলকভাবে টাকার বিনিময়ে যৌন আচরণে লিপ্ত হওয়া বা যৌন পরিষেবা প্রদান করা, যেখানে কারোর ক্ষতি বা অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না।
উপসংহার- টাকার বিনিময়ে সেক্স ওয়ার্ক করার সম্মতিমূলক সিদ্ধান্ত একজন সেক্স ওয়ার্কার-এর স্বাধীন ইচ্ছা ও মনুষ্য কর্মক্ষমতার প্রয়োগ, যা সেই বৈশিষ্ট যা একজন সেক্স ওয়ার্কার-কে একটি নির্জীব বস্তু থেকে আলাদা একটি মর্যাদা প্রদান করে, এবং এটি ব্যক্তি স্বাধীনতার একটি গ্রহণযোগ্য প্রয়োগ যতক্ষণ সেই সিদ্ধান্তের কারণে কারোর ক্ষতি বা অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না।
নিজের মা/বোন/কন্যাকে কি সেক্স ওয়ার্কার হতে দিবো?
কে কি হবে আর কে কি হবে না সেইটা সম্পূর্ণভাবে সেই মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যতক্ষণ না সেই সিদ্ধান্তের কারণে কোনো ক্ষতি বা কারো অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তবে একটি প্রশ্ন সবসময় উঠে আসে- “কিন্তু আপনার মা/বোন/কন্যা যদি সেক্স ওয়ার্কার বা পতিতা হয়, তাইলে তো আপনি নিশ্চয় তাদের থামাবেন, তাইনা?” Matt Dillahunty এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন- “ওহ সত্যিই? আচ্ছা, আপনি যে আমাকে একেবারেই চেনেন না তা প্রমাণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কারণ আমি কি চাই, তা বিবেচ্য নয়- বরং বড় হয়ে আমার মেয়ে নিজে কী করতে চায় তা গুরুত্বপূর্ণ।”
টাকার বিনিময়ে নিজের শরীরকে সম্মতি প্রদান করে যৌন কার্যকলাপে প্রয়োগ করাটাকে আমি খারাপ বা অগ্রহযোগ্য হিসাবে দেখি না। আমার মা/বোন/কন্যা যদি তাদের ব্যক্তিগত কারণে, সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্ক-কে তাদের পেশা হিসাবে বেছে নেয়, তাদের সিদ্ধান্তকে আমি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করবো। সেক্স ওয়ার্ক-এ প্রবেশ করার পর যদি তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তুষ্ট না হন, এবং যদি তারা তাদের পেশা ছেড়ে দিতে চায়, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত-ও আমি সমর্থন করবো। পেশাগত মর্যাদার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি সকল ধরণের যৌন শ্রমকে অন্যান্য ধরণের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমের মতনই দেখি। পতিতা হওয়া বা পর্নস্টার হওয়া আমার মতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সায়েন্টিস্ট হওয়ার মতনই মর্যাদাপূর্ণ। তবে এই প্রশ্নটা শুধুমাত্র মা/বোন/কন্যার ক্ষেত্রেই কেন জিজ্ঞেস করা হয়? কেন কখনো এই প্রশ্নটি করা হয় না যে ছেলে/ভাই/বাবা যদি সেক্স ওয়ার্কার হয়, তাহলে কি করবে? সেক্স ওয়ার্ক সকল লিঙ্গের মানুষের জন্যে প্রযোজ্য। এই প্রশ্নের মধ্যেই প্রমান হয় যে কোনো নারী তাদের সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওমরকে-এর জন্যে প্রয়োগ করলেই মানুষের আপত্তি জাগে।
কিছু মানুষের ছবি আঁকতে ভালো লাগে। অন্যদের তা করতে অপছন্দ হয়। সেক্স ওয়ার্ক-এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একই। অনেক সেক্স ওয়ার্কার রয়েছে যারা তাদের পেশায় সন্তুষ্ট নন, এবং যারা অন্য কোনো বিকল্প না পেয়ে সেক্স ওয়ার্ক-এ আবদ্ধ আছেন। সেই সকল সেক্স ওয়ার্কারদের আমাদের অবশ্যই সাহায্য করা দরকার। তবে আমরা সেসব সেক্স ওয়ার্কারদের কথা ভুলে যেতে পারি না যারা সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে খুশি, এবং গর্ব নিয়ে তাদের দৈনন্দিন আয়-রোজগার করছে। আপনি যদি একজন পতিতার সন্তান হয়ে থাকেন, যার মাকে জোরপূর্বকভাবে পতিতালয় আটক করে রাখা হয়েছিল, তাহলে আপনি অবশ্যই যৌন ব্যবসাকে নেতিবাচক আলোতে দেখবেন। তবে, সেই পরিস্থিতি এবং একটি পরিস্থিতি যেখানে বাণিজ্যিক যৌনতা অপরাধমুক্ত এবং যেখানে যৌন শ্রমিকদের আইনি নিরাপত্তা আছে এবং যেখানে একজন নারী সম্মতি প্রদান করে তাদের পেশায় সন্তুষ্ট আছেন, তা সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন। মানুষের যৌনতা, শ্রমের স্বাধীনতা এবং শারীরিক স্বায়ত্তশাসনকে সীমাবদ্ধ এবং অগ্রহণযোগ্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করার পরিবর্তে, আমাদের নিশ্চিত করা উচিত তাদের নিরাপত্তা এবং তারা যেন কোনো ধরণের বৈষম্য বা লাঞ্ছনার শিকার যেন না হয়।
সেক্স ওয়ার্ক-এ বাধ্য থাকা সেক্স ওয়ার্কারদের কিভাবে সাহায্য করা যায়?
এটা সত্যি যে অনেক নারীরা বাধ্য হয়ে সেক্স ওয়ার্ক-এ লিপ্ত থাকে, এবং অন্য কোনো বিকল্প থাকলে তারা অন্য কোনো পেশা বেছে নিতো। অনেক ক্ষেত্রে, জোরপূর্বকভাবে নারীদেরকে পাচার করে তাদেরকে যৌন দাসী বানানো হয়। তবে, পাচারের ভিক্টিমদের সাহায্যের নামে সেক্স ওয়ার্ক বিপুলতবাদীরা বিভিন্ন সরকার এবং NGO-এর উপরে চাপ প্রয়োগ করে Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রাম স্থাপন করেছেন। এই প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে, নারীদের সম্মতির বিরুদ্ধে জোরপূর্বকভাবে “উদ্ধার” করে তাদেরকে দীর্ঘ সময়ের জন্যে Rehabilitation Center-এর মধ্যে, বা এমনকি কারাগারের মধ্যে আটকে রাখা হয়। এমনকি তারা পাচারের ভিক্টিম না হলেও, তারা সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্কার হলেও, তাদেরকে জোরপূর্বকভাবে আটকে রাখা হয়। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্ট স্কলার-রা সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তবাদীদের এই Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রাম-এর ক্ষতিকারক এবং নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরেছেন, এবং দেখান যে এই জাতীয় প্রোগ্রামগুলি সেক্স ওয়ার্কারদের জীবনে অত্যন্ত নেতিবাকক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। একই সাথে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্টরা যুক্তি দেখান যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার মাধ্যমে সবথেকে ভালোভাবে সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য করা যায়।
সমাজবিজ্ঞানী রিসার্চ থেকে আমরা জানতে পারি যে সেক্স ওয়ার্ক-বিলুপ্তবাদীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত এই Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামগুলি সেক্স ওয়ার্কারদের জীবন উন্নত করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়, এবং সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য করার পরিবর্তে তাদের লক্ষ্য মূলত এই যে তারা যেন সেক্স ওয়ার্ক থেকে বিরত থাকে, এমনকি যদিও তারা প্রাপ্তব্যয়ষ্ক হয়ে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সম্মতিমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এই Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামগুলির থেকে “উদ্ধার” করা নারীদেরকে বলা হয় যে হয় নিজেদেরকে ভুক্তভোগী হিসাবে স্বীকার করে সেক্স ওয়ার্ক থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা নিজেকে সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে দাবী করে অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত হতে হবে। এর ফলে, যারা ভুক্তভোগী না, তারা তাদের আয়-রোজগার থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। একইসাথে, এই প্রোগ্রামগুলি পাচারের ভিক্টিমদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারে না, এবং Rehabilitation Center-এর মধ্যে সেই ভুক্তোভোগীদেরকে সহিংসতা এবং শোষণের সম্মুখীন হতে হয়। এই প্রোগ্রামের মধ্যে নারীদেরকে সাহায্য করার নামে বিয়ে করার পরামর্শ দেওয়া হয়, এবং নারীদের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়। সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তবাদীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত এই প্রোগ্রামগুলির কারণে সেক্স ওয়ার্কারদের ব্যাপক স্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলি সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্ট স্কলাররা খুবই পরিষ্কারভাবে নথিভুক্ত করেছেন।
অন্যদিকে, আমরা দেখতে পারি যে সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য করতে সফল হয়। NGO-দের পরিবর্তে সেক্স ওয়ার্কার-রা নিজেরা Community Based Organizations (CBO) যখন স্থাপন করে, তারা সেক্স ওয়ার্কারদের মানবাধিকার এবং ব্যক্তিগত সম্মান অক্ষত রেখে সফলভাবে পাচারের ভিক্টিমদের সাহায্য করতে পারে, এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের সেক্স ইন্ডাস্ট্রি থেকে সফলভাবে উদ্ধার করতে পারে। একইসাথে, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম-এর মাধ্যমে সফল যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ ব্যবস্থা (Sexual Violence Prevention Program) গড়ে তুলে যায়, যা যৌন শিক্ষার মাধ্যমে সফলভাবে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ করতে দেখা গেছে।
যখন আমরা “সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য করার” কথা বিবেচনা করি, আমাদের আগে নির্ধারণ করা লাগবে যে সেই নির্দিষ্ট সেক্স ওয়ার্কার আসলেই সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে বাধ্য নাকি না। একই সাথে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য ব্যবস্থাগুলি কোনোভাবে জোরপূর্বকভাবে সেই সেক্স ওয়ার্কারদের “উদ্ধার” না করতে যায়, যারা সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সাথে, সেই সাহায্য ব্যবস্থাগুলি ভিক্টিমদের ক্ষতিগ্রস্ত না করে তাদেরকে যেন আসলেই সাহায্য করে, তাও আমাদের নিশ্চিত কর উচিত।
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম আমাদেরকে আরো বলে যে এই ক্ষেত্রে আমাদের সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরুধ লাঞ্ছনা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বেশিরভাগ সেক্স ওয়ার্কার অর্থনৈতিক কারণে সেক্স ওয়ার্ক-কে একটি পেশা হিসাবে বেছে নিতেসে। একজন মানুষ হুদা কারণে কখনো একটি পেশার মধ্যে প্রবেশ করে না। তারা শুধুমাত্র তা তখনই করে যখন তাদের আয়-রোজগারের প্রয়োজন। তাই, সেক্স ওয়ার্ক-কে একটি সাধারণ পেশা হিসাবে বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা শুধুমাত্র তখনই সেক্স ওয়ার্ক-এ প্রবেশ করার সিদ্ধান্তটি নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক বিকল্পের সম্মুখীন হয়ে একটি সীমিত, সম্মতিমূলক সিদ্ধান্ত হিসাবে বোধগম্য হয়। আয় রোজগার করতে সকলেই বাধ্য হয়, তবে ব্যাপারটা এমন নয় যে আয় রোজগার করার জন্যে একজনের সেক্স ওয়ার্কার হওয়াটাই প্রয়োজন। তাই, যখন আমরা জানতে পারি যে একজন টাকার অভাবে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের “সাহায্য” করার আগে আমাদের অবশ্যই নির্ধারণ হতেই হবে যে তারা এই পেশার মধ্যে সন্তুষ্ট আছেন নাকি না এবং তিনি আসলেই সেক্স ওয়ার্ক ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো বিকল্প বেছে নিতে চান নাকি না। একই সাথে, এমনও হতে পারে যে তারা সেক্স ওয়ার্ক ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় সন্তুষ্ট না হয়ে সেক্স ওয়ার্ক-এ আবারো ফেরত যেতে চাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন সেক্স ওয়ার্কার-দের “সাহায্য” করার নামে আমরা যেন তাদের সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার মানবাধিকারকে লঙ্ঘন না করছি।
সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য করার ব্যাপারে সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্ট স্কলারদের কয়েকটি রিসার্চ পেপার এবং তাদের সারমর্ম নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
Chuang, J. A. (2009). Rescuing Trafficking from Ideological Capture: Prostitution Reform and Anti-Trafficking Law and Policy. University of Pennsylvania Law Review, 158, 1655.- Professor Janie Chuang (২০০৯) উল্লেখ করেন যে বিশ্বব্যাপি স্তরে পাচারকে থামানোর প্রচেষ্টা সেক্স ওয়ার্ক বিলুপদবাদীদের আন্দোলন হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই রিসার্চ পেপার-এর মধ্যে পাচার বিরোধী প্রচেষ্টার উপরে সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তকরণের রাজনীতি যা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে, তাও নথিভুক্ত করা হয়েছে। Professor Chuang দাবি করেন যে পাচার বিরোধী আইনি ব্যবস্থাগুলোকে এই ধরণের ideological দখলের থেকে রক্ষা করা উচিত। সেক্স ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পাচার বিরোধী আইনি প্রচেষ্টার ঐতিহাসিক অপ্রয়োজনীয় ফোকাসের কারণে, অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পাচারের সমস্যাটি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়। একই সাথে, পাচার এবং সেক্স ওয়ার্ক-কে সমতুল্য করার কারণে, পাচার বিরোধী আইনি ব্যবস্থার ফলে যেসব সেক্স ওয়ার্কার-রা বাধ্য হন নি, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। [177]
Aziza Ahmed (2011). Feminism, Power, And Sex Work in the Context of HIV/AIDS: Consequences for Women’s Health– Aziza Ahmed (২০১১) উল্লেখ করেন যে HIV-নিয়ন্ত্রণ সংস্থার উপরে নারীবাদীরা বেশ প্রভাব রাখে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি UNAIDS-এর কথা উল্লেখ করেন। ২০০৬ সালে UNAIDS-এর International Guidelines on HIV/AIDS and Human Rights-এর মধ্যে তারা সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে বক্তব্য দেন। একই সাথে তারা সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করার নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরেছিলেন, এবং কিভাবে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা HIV-এর নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেয়। তবে, US-এর সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তবাদী নারীবাদীদের প্রভাবে ২০০৭ সালে তাদের প্রকাশিত Guidance Note on Sex Work and HIV-এর মধ্যে তারা একবারও সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করার পক্ষে বলেন নি। তাদের 2007-এর প্রকাশিত Guidance Note-এর কারণে UNAIDS বিভিন্ন সেক্স ওয়ার্কার অধিকার সংস্থা থেকে সমালোচনার সম্মুখন হয়েছিল। সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তবাদী মতাদর্শ কিভাবে HIV কমানোর সবথেকে সফল ব্যবস্থাগুলোকে দুর্বল করে তুলে, তা এই রিসার্চ পেপার-এ উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে, সেক্স ওয়ার্ক-কে অপরাধমুক্ত করা কিভাবে সেক্স ওয়ার্কারদের সাহায্য করতে পারে, তাও এই রিসার্চ পেপার-এ নথিভুক্ত করা হয়েছে। [178]
R Sahni & V Shankar (2011). The First Pan–India Survey of Sex Workers: A summary of preliminary findings- ৩০০০ নারী সেক্স ওয়ার্কার এবং ১৩০০ ভারতীয় পুরুষ সেক্স ওয়ার্কার-দের নিয়ে এই গবেষণায় দেখা গেছে যে বেশিরভাগ নারীরা নিজেরা স্বাধীনভাবে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বেশিরভাগ নারীদের জন্যে,অর্থনৈতিক কারণে তারা সেক্স ওয়ার্ক-কে অন্যান্য পেশার বিকল্প হিসাবে বেছে নেয়। বেশিরভাগ নারী সেক্স ওয়ার্কারদের অন্য পেশায় পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা আছে। তবে, বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণে তারা তাদের আগের পেশা ছেড়ে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। [179]
Himani Chouhan (2021). A Conflict of Agency and Morality: Acknowledging the Right of Sex Workers to Not Be Rescued, Centre for Women and the Law, National Law School of India University- সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তবাদী মতাদর্শ ভারতের আইনি ব্যবস্থার উপরে একটি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে, যার কারণে সেক্স ওয়ার্কার-রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সকল সেক্স ওয়ার্কারদের পাচারের ভিক্টিম হিসাবে বিবেচনা করে, Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেক্স ওয়ার্কারদের জোরপূর্বকভাবে রিহ্যাবিলিটেশন-এ পাঠানো হয়, এমনকি যদিও তারা তাদের নিজেদের সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ভারতের সেক্স ওয়ার্কারদের উপরে Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামের নেতিবাচক এবং ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি এই রিসার্চ পেপার-এ নথিভুক্ত করা হয়েছে। Raid-এর মাধ্যমে উদ্ধার করা নারীরা পুলিশের হাতে প্রায়শই সহিংসতার শিকার হয়ে থাকে। ভারতের পুলিশের Raid-গুলি নারীর সম্মতির কথা একেবারেই বিবেচনা করে না। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের একটি Raid-এর থেকে ২৪৩ উদ্ধার করা নারীদের মধ্যে ১৯৩ নারী সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। একই সাথে, HIV নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামের নেতিবাচক প্রভাবগুলিও এই রিসার্চ পেপার-এ নথিভুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে, সেক্স ওয়ার্কারদের “ভালো জীবন” দিতে এই Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামের ব্যর্থতাও এই পেপার-এ উল্লেখ করা হয়েছে। এই Rehabilitation প্রোগ্রামগুলি নারীদের সম্মতিকে কোনোভাবে মূল্য করে না এবং এমনকি Rehabilitation Center-এর মধ্যে উদ্ধার করা নারীদের বিয়ে করার পর্যন্ত দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যবশত, এই Rehabilitation Center-গুলোর মধ্যে উদ্ধার করা নারীরা প্রায়শই শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। যেসব নারীরা সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্কার হয়েছেন এবং যারা সেক্স ওয়ার্কার হিসাবে খুশি, তাদের এভাবে “উদ্ধার” না হওয়ার একটি অধিকার রয়েছে। [180]
Ahmed, A., & Seshu, M. (2014). “We have the right not to be ‘rescued’”: When anti-trafficking programs undermine the health and well-being of sex workers. In Global Human Trafficking. Routledge.- সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তবাদীদের Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামগুলি কিভাবে সেক্স ওয়ার্কার-দের ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা এই রিসার্চ পেপার-এ নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তবাদীরা কিভাবে সেক্স ওয়ার্কার-দের “উদ্ধার” করার নামে সফল HIV-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে প্রতিরোধ করে, তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক নারী হিসাবে নিজে সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সত্ত্বেও, Raid থেকে “উদ্ধার” করা নারীদেরকে মাসের পর মাস Rehabilitation Center-এর মধ্যে বন্ধি করে রাখা হয়। এই Rehabilitation Center-এর চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে অন্য পেশায় চাকরি খুজার পরামর্শ দেওয়া, এবং পুরুষদের সাথে সেই নারীদেরকে বিয়ে দেওয়া। এই রিসার্চ পেপার-এর লেখক দাবি করে থাকে যে এভাবে করে “উদ্ধার” না হওয়ার অধিকার সকল মানুষের রয়েছে। [181]
Banerji, V. (2018). Status and remedies of female sex workers: an Indian perspective. Novum Jus: Revista Especializada en Sociología Jurídica y Política; Vol. 12, no. 2- এই রিসার্চ পেপার-এর মধ্যে সেক্স ওয়ার্কারদের উপরে ভারতের Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামের নেতিবাচক প্রভাবগুলি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামগুলি সেক্স ওয়ার্ক বিলুপ্তবাদী মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত, এবং ভারতের Immoral Traffic Prevention Act 1956 দ্বারা বাস্তবায়িত, যার মাধ্যমে পুলিশ এবং NGO-এর কর্মচারীরা করে নারীদেরকে সেক্স ওয়ার্ক থেকে “উদ্ধার” করে Rehabilitation Center-এ পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে, সেক্স ওয়ার্কার মানবাধিকার-কে লঙ্ঘন করা হয়। এই Rehabilitation Center -গুলির মধ্যে নারীদের সম্মতিকে কোনোভাবেই মূল্য করা হয় না, এমনকি তখনও যখন নারীরা বলে যে তারা সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্কার হয়েছ। এবং পরিবারের কাছে এই প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ছেড়ে দেওয়া হয় শুধুমাত্র তখনি যখন তারা সেক্স ওয়ার্ক ছেড়ে দিতে রাজি হয়। নারীদের জোরপূর্বক Rehabilitation তাদের সাহায্য করতে স্পম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়। [182]
Veronica Magar (2012). Rescue and Rehabilitation: A Critical Analysis of Sex Workers’ Antitrafficking Response in India Signs, Vol. 37 The University of Chicago Press- সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে পাচার-কে প্রতিরোধ করার জন্যে সেক্স ওয়ার্কার-রা নিজেরা Community Based Organization (CBO) স্থাপন করে পাচারের ভিক্টিমদের সাহায্য করে, এবং তাদেরকে সেক্স ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের হতে সাহায্য করে। এই রিসার্চ পেপার-এর মধ্যে সেক্স ওয়ার্কার-দের সাহায্য করার ক্ষেত্রে CBO-এর সফলতা তুলে ধরা হয়েছে। CBO হলো প্রমান যে সেক্স ওয়ার্কার-দের সম্মান অক্ষত রেখে সেক্স ওয়ার্কার-দের সাহায্য করা সম্ভব এবং একইসাথে পাচারের অপ্রাপ্তবয়স্ক ভিক্টিমদের সেক্স ইন্ডাস্ট্রি থেকে উদ্ধার করা সম্ভব। যেখানে ভারতীয় Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামগুলি নারীদেরকে জোরপূর্বকভাবে নারীদের “উদ্ধার” করে, CBO-এর ক্ষেত্রে, ভিক্টিমটির সম্মতিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল্য দেওয়া হয়। CBO-এর কর্মচারীরা যেহেতু নিজেরা সেক্স ওয়ার্কার, তারা সেক্স ওয়ার্ক সম্পর্কিত সামাজিক ধারণাকে বদলাতে চায়। তারা এই পৃথিবীকে জানাতে চায় যে সেক্স ওয়ার্কার মানে এই নয় যে তিনি একজন অনৈতিক, বিকৃত অপরাধী। এই রিসার্চ পেপার-এর মধ্যে সকল CBO কর্মচারী বলেছেন যে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা কখনোই সেক্স ওয়ার্কার হতে পারে না। একই সাথে, CBO কর্মচারীরা মনে করেন যে যখন কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তখন য়ঁতারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে তারা নিজেরা সেক্স ওয়ার্কার হবে কি হবে না। ইতিবাচক ফলাফল আনার প্রবণতার কারণে, বিভিন্ন সরকার CBO-দের দ্বারা সেক্স ওয়ার্কার-দের সহায় করতে সফল হয়েছে, এবং সেক্স ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের উদ্ধার করতে সফল হয়েছে। [183]
Hoang, K. K. (2016). Perverse Humanitarianism and the Business of Rescue: What’s Wrong with NGOs and What’s Right About the “Johns”?. In Perverse Politics? Feminism, Anti-Imperialism, Multiplicity. Emerald Group Publishing Limited.- Vietnam-এর সেক্স ওয়ার্কার-দের উপরে Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামের নেতিবাচক প্রভাবগুলি এই রিসার্চ পেপার-এ নথিভুক্ত করা হয়েছে, এবং দেখানো হয়েছে যে নারীদেরকে এভাবে করে “উদ্ধার” করা একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। NGO দ্বারা পরিচালিত Raid-এর মধ্যে “উদ্ধার” করা নারীদেরকে ১০ ঘন্টা ধরে কাপড় সেলাই করতে হতো। প্রত্যেক আইটেমের জন্যে সেই নারীরা $১০ করে পেতো। এবং বিদেশীদের কাছে তা $১০০-এ বিক্রি হতো। এবং তাদের আয় করা টাকাটি সেই নারীদের হাতে না দিয়ে NGO-এর ডিরেক্টর তাদের বাড়িতে সরাসরি পাঠিয়ে দিতো। Vietnam-এর এই Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামগুলি লেখকটি “বিকৃত মানববাদ” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন। অনেক সেক্স ওয়ার্কার দ্বারা “উদ্ধার” হওয়ার পর বলেছেন যে “উদ্ধারের” পর ফ্যাক্টরিতে তাদের নতুন পেশা সেক্স ওয়ার্ক-এর থেকে আরো অনেক বেশি শোষণমূলক, এবং উদ্ধারের পর তাদের নতুন পেশায় তারা শারীরিক আক্রমণ, যৌন সহিংসতা এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। এই রিসার্চ পেপার-এর মধ্যে একটাও ইন্টারভিউ করা নারী নিজেকে ভিক্টিম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেন নি, যাকে “উদ্ধার” করা দরকার। [184]
Oishik Sircar & Debolina Dutta (2011). Beyond compassion: Children of sex workers in Kolkata’s Sonagachi- এই রিসার্চ পেপার-এর মধ্যে সেক্স ওয়ার্কার-দের সন্তানরা কিভাবে সেক্স ওয়ার্কার-দের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনা কমানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছে,তা এখানে নথিভুক্ত করা হয়েছে। লেখকগুলো উল্লেখ করেন যে সেক্স ওয়ার্কার এবং সেক্স ওয়ার্কার-দের সন্তানদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি দেখানো উচিত। লেখনগন আরো পরামর্শ দেন যে ঐতিহাসিক Raid, Rescue and Rehabilitation প্রোগ্রামগুলি Resilience, Reworking and Resistsance দ্বারা প্রতিস্থাপন করা উচিত। [185]
Natalie Marian Raymond (2019). The Effects of a Sex Positive Sexual Violence Prevention Program on College Women, University of North Dakota- সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম কিভাবে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ ব্যবস্থা (Sexual Violence Prevention program) গড়ে তুলতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তা এই PhD Dissertation-এর মধ্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম দ্বারা অনুপ্রাণিত যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ ব্যবস্থার সফলতা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। [186]
নাস্তিকরা দেনমোহরের বিরোধিতা করলে কিভাবে সেক্স ওয়ার্ক-কে সমর্থন করতে পারে?
লজ্জাস্থান উপভোগের জন্যে [187] নারীদেরকে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী টাকা দিয়ে কিনে ফেলা এবং সম্মতিমূলক সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে কোনো মিল নেই। দেনমোহরের বিরোধিতা করার পিছনে একটি মূল উদ্দেশ্য হলো যে ইসলাম ধর্মকে অনুসরণ করে কোটি কোটি মানুষ দেনমোহর দিয়ে দাবি করছে যে এই টাকা দেওয়ার ফলে, তারা এখন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে সেই নারীকে বিবাহের পর যৌনভাবে উপভোগ করতে পারবে–এমনকি সেই নারীটা যৌন সঙ্গমে লিপ্ত না হতে চাইলেও। অর্থাৎ, দেনমোহরের বিরোধিতা করা হয় কারণ পুরুষরা দাবী করে থাকে এই প্রথার অধীনে সে এখন নারীটার ইচ্ছার বিরুদ্ধেও তার সাথে যৌন সঙ্গম বৈধভাবে করতে পারবে। তাই, শুধুমাত্র পুরুষদের নারীদেরকে সেক্স অবজেক্ট হিসাবে ব্যবহার করার প্রবণতার কারণে দেনমোহরের প্রথার মধ্যে নারীরা ধর্ষিত হয়, সেই ধর্ষণকে বৈধ হিসাবে দেখা হয় এবং ফলস্বরূপ, নারীদের মানবতাকে সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নিয়ে নেওয়া হয়। এখন ধরেন কেউ বিয়ের আগে উপহার হিসাবে তার future spouse-এর থেকে টাকা পাইলো, অথবা তার future spouse -কে টাকা দিলো। এবং এই টাকার আদানপ্রদানের সাথে এমন কোনো প্রত্যাশা নেই যে এক পক্ষকে অন্য পক্ষের কাছে তার মানবতাকে সম্পর্পন করতে হবে, অথবা যে টাকার মাধ্যমে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে কিনে ফেলেছে। এমতাবস্থায়, তারা সেই কার্যকলাপ-কে “দেনমোহর” ডাকলেও তা নিয়ে বিরোধিতা করার কিছু নেই।
অন্যদিকে একজন সেক্স ওয়ার্কার-কে টাকা দেওয়ার অর্থ কোনোভাবে এই নয় যে একজন ক্লায়েন্ট সেই সেক্স ওয়ার্কার-এর শরীরের সীমাহীন ব্যবহারের অনুমতি পেয়ে গেছে, অথবা যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে সেই ক্লায়েন্ট-টা সেক্স ওয়ার্কার-এর শরীরের মালিক হয়ে যাচ্ছে। ক্লায়েন্ট-এর থেকে টাকা নেওয়ার মাধ্যমে একজন সেক্স ওয়ার্কার কোনোভাবেই যোগাযোগ করছে না যে তিনি ক্লায়েন্টের কাছে তার মানবতাকে সমর্পন করেছে। অর্থাৎ, একটি সেক্স ওয়ার্কার-কে টাকা দেওয়ার মানে এই নয় যে সেক্স ওয়ার্কার-টি মানুষ হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সেক্স ওয়ার্ক-এর জন্যে টাকা দেওয়ার মানে এই নয় যে একজন ক্লায়েন্ট সেক্স ওয়ার্কার-এর শরীর ব্যবহার করে হস্তমৈথুন করার অনুমুতি পেয়ে যায়।
সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম শুধুমাত্র সম্মতিমূলক সেক্স ওয়ার্ক-কে সমর্থন করে, অর্থাৎ যেই ধরণের সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে অবহিত সম্মতি বিদ্যমান। অর্থাৎ, সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম ক্লায়েন্ট-দের সাথে যৌন শর্ত নির্ধারণ করার জন্যে সেক্স ওয়ার্কারদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত করার পক্ষে কথা বলার পাশাপাশি ক্লায়েন্ট-এর সাথে যৌনতায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় সেক্স ওয়ার্কারদের অবহিতভাবে যৌন শর্ত করার পক্ষে সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম কথা বলে থাকে। সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম “যৌন চুক্তি” এবং “যৌনতার মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্টতা” সম্পর্কে আমাদের সাধারণ চিন্তাধারা বদলানোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে, কেননা যেকোননো ধরণের সম্মতিমূলক যৌন চুক্তির মধ্যে নারীর “না” বলার ক্ষমতা থাকতেই হবে, নাহলে তা কখনো সম্মতিমূলক হতে পারে না।
ধরেন আপনি আপনার পার্টনার কে অনেক ভালোবাসেন। আপনারা একটি কমিটেড সম্পর্কের মধ্যে এবং আপনাদের মধ্যে যৌন সম্পর্কের চুক্তি আপনাদের ভালোবাসার উপরে ভিত্তি করা। তার মানে তো এই নয় যে একদিন আপনার পার্টনার যদি আপনার সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত না হতে চায়, তাহলে তিনি আপনাদের যৌন চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এখন ধরেন একদিন আপনার প্রতি আপনার পার্টনারের ভালোবাসা চলে গেলো, এবং তিনি আপনার সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে আর রাজি হচ্ছে না। এই ক্ষেত্রেও আপনার পার্টনার আপনাদের মধ্যে যৌন চুক্তির ভঙ্গ করছে না।
টাকার উপরে ভিত্তি করা যৌন চুক্তির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। একজন সেক্স ওয়ার্কার যদি যৌন শর্ত নির্ধারণ করার পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে আসলে ক্লায়েন্ট-এর সাথে তা করতে চাচ্ছে না, তাহলে তিনি ক্লায়েন্টের সাথে যৌন চুক্তি ভঙ্গ করছে না। কেননা, ক্লায়েন্ট-এর থেকে টাকা নেওয়ার মানে এই নয় যে সেক্স ওয়ার্কার যেকোনো সময় না বলতে পারবে না। এখন ভালোবাসা এবং টাকার মধ্যে মূল পার্থক্য হলো যে টাকা ফেরত দেওয়া যেতে পারে, তবে ভালোবাসার সাথে তা করা যায় না। ক্লায়েন্ট-এর সাথে যৌনতায় না বলার কারণে, সেই ক্লায়েন্ট-কে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যে একজন সেক্স ওয়ার্কার-এর উপরে কতটুক দায়িত্ব, এবং কত পরিমানের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত, তা সম্পূর্ণভাবে সেই নির্দিষ্ট পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটের উপরে ভিত্তি করে।
ধরেন একজন সেক্স ওয়ার্কার একটা ক্লিয়ন-এর সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে রাজি হলো। তিনি ক্লায়েন্ট-এর থেকে টাকা নিয়ে রুম-এ গেলো। ক্লায়েন্ট তার পোশাক খুলে সেক্স ওয়ার্কার-এর সামনে দাঁড়ালো। সেক্স ওয়ার্কার-টি দেখতে পারলো যে সেই ক্লায়েন্টটা অন্ততপক্ষে গত পঞ্চাশ বছর ধরে গোসল করেন নি। কেননা, ক্লায়েন্ট-টি ন্যাংটা হওয়ার সাথে সাথে রুমের মধ্যে এমন দুর্গন্ধ ছড়িয়ে গেলো যা এমনকি শকুনের চোখে কান্না ঝরিয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট তীব্র ছিল। একই সাথে সেক্স ওয়ার্কার-টি দেখতে পারলো যে ক্লায়েন্ট-এর লজ্জাস্থানে অনেকগুলো ব্যাঙের ছাতার উদ্ভব হয়েছিল। সেক্স ওয়ার্কার-টি গলা ফেটে চিৎকার মেরে ক্লিয়েন্টের মুখে টাকা ছুড়ে মেরে পালিয়ে গেলো। এখানে যৌন চুক্তি ভঙ্গ হচ্ছে না। এখন ধরেন একজন সেক্স ওয়ার্কার ক্লায়েন্ট-এর থেকে এই বলে টাকা নিলো যে তার সাথে যৌন অনুপ্রবেশের পাশাপাশি Oral Sex-এ লিপ্ত হতে রাজি আছেন। এরপর, যৌন অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ধরেন ক্লায়েন্ট-টি ৬৯ বার অর্গাজম করলো। ক্লান্ত হয়ে সেক্স ওয়ার্কার-টি সে রুম থেকে বের হওয়ার আগেই ক্লায়েন্ট-টি সেক্স ওয়ার্কার-এর থেকে Oral Sex-এর দাবী করে বসলো। ক্লান্ত অবস্থায় সেক্স ওয়ার্কার-টি “না” বললো। সেই উত্তরে রাগ হয়ে ক্লায়েন্ট-টি সেই সেক্স-ওয়ার্কার-কে ধর্ষণ করলো এবং হত্যা করলো। এমতবস্থায়, Oral Sex-এর জন্যে সেই সেক্স ওয়ার্কার-এর “না” বলাটা সেই সম্মতিমূলক যৌন চুক্তির ভঙ্গ নয়, এমনকি সেই অবস্থায় সেক্স ওয়ার্কার-টা যদি ক্লায়েন্ট-কে কোনো ধরণের টাকা ফেরত নাও দিতো।
অনেক পুরুষ সমাজবিজ্ঞানী যারা জাতিরাষ্ট্র, বিশ্বায়ন, আধুনিকতা এবং এই জাতীয় অন্যান্য সম্মানজনক বিষয় নিয়ে লেখেন, প্রায়শই ভালোবাসার উপর একটি বা দুটি বই লিখে থাকে। একজন বাবার মতো, যিনি সপ্তাহে একবার তার সন্তানদের স্কুল থেকে তুলে নেন, সেই লেখকদেরকে প্রশংসিত করা হয়, এবং ভালোবাসা সম্পর্কে তাদেরকে তাত্ক্ষণিক উচ্চ-উদ্ধৃত বিশেষজ্ঞ হিসাবে গণ্য করা হয়। তার চিকন বই-এ The Transformation of Intimacy, Anthony Giddens “বিশুদ্ধ সম্পর্ক” এর ধারণাটি তুলে ধরেন যার দ্বারা তিনি নৈতিকভাবে বিশুদ্ধ সম্পর্কের পরিবর্তে, প্রাতিষ্ঠানিক নোঙ্গর থেকে বিছিন্ন একটি সম্পর্কের কথা বোঝান, যেই সম্পর্কের মধ্যে মানুষ নিজেদের সুবিদার্থে প্রবেশ করে, এবং যা শুধুমাত্র সেই সম্পর্কের মধ্যে উত্পাদিত পারস্পরিক মানসিক পুরস্কারের কারণে বিদ্যমান। এই ধরণের সম্পর্ক অন্তর্নিহিতভাবে ভঙ্গুর, কারণ এটি শুধুমাত্র মানুষের নিজেদের সুবিধার উপরে ভিত্তি করে বিদ্যমান। কিন্তু তবুও এই ধরণের সম্পর্কের পুরষ্কারগুলি সমানভাবে দুর্দান্ত: অংশীদাররা “ends-in-themselves” হিসাবে মূল্যবান বোধ করে। বিশুদ্ধ সম্পর্ক অগত্যা equals-দের মধ্যে বিদ্যমান এবং এটি প্রাতিষ্ঠানিক খ্যাতির উপর কখনোই নির্ভর করতে পারে না। “আস্থা শুধুমাত্র পারস্পরিক আত্ম-প্রকাশের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংঘটিত হতে পারে,” গিডেন্স জোর দিয়ে বলেন। [188] এই সম্পর্কের মধ্যে, যৌনতা প্রজনন থেকে বিচ্ছিন্ন, এটি নিজেই একটি ফলক; যা নমনীয় এবং মানুষের সুখ প্রকাশ ও ঘনিষ্ঠতার একটি মৌলিক মাধ্যম। এটিকে তিনি “নমনীয় যৌনতা” বলেছেন যার উদ্দেশ্য হল যৌন সংযোগের মাধ্যমে আনন্দ।
গিডেন্স স্বীকার করেছেন যে নারীবাদ এই “ঘনিষ্ঠতার রূপান্তর” এর সূচনা করেছিল, এবং নারী, সমকামী ও লেসবিয়ান দম্পতিরা এই উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের অগ্রগামী হিসাবে গড়ে উঠেছে। তিনি একটি চূড়ান্ত “ঘনিষ্ঠতার গণতন্ত্রীকরণ” এর চিত্র তুলে ধরেছেন, যা সমাজের জন্য আমূল সম্ভাবনা রাখে, যার সাথে অন্তর্ভুক্ত আমাদের জীবনযাপনের মৌলিক অগ্রাধিকারগুলির পুনর্বিন্যাস। তিনি লিখেন-
“ঘনিষ্ঠতার রূপান্তরের আমূল/radical সম্ভাবনা খুবই বাস্তব। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে ঘনিষ্ঠতা নিপীড়নমূলক হতে পারে এবং স্পষ্টতই ঘনিষ্ঠতা নিপীড়নমূলক হতে পারে যদি এটি ধ্রুবক মানসিক ঘনিষ্ঠতার দাবি হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে, equals/সমানের মধ্যে একটি লেনদেনমূলক/transactional আলোচনা হিসাবে, মানুষের মধ্যে সম্পর্ক একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আলোতে প্রদর্শিত হয়। ঘনিষ্ঠতা বলতে বোঝায় আন্তঃব্যক্তিক ডোমেনের একটি গণতন্ত্রীকরণ, এমনভাবে যা জনসাধারণের মধ্যে গণতন্ত্রের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও আরো implications আছে। ঘনিষ্ঠতার ধারণা সম্পর্কে আমাদের চিন্তার রূপান্তর সামগ্রিকভাবে মানুষের সম্পর্কের আধুনিক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উপর একটি বিধ্বংসী প্রভাব রাখতে পারে। একটি সামাজিক বিশ্বের জন্য, যেখানে মানসিক পরিপূর্ণতা (emotional fulfilment) প্রাধান্য পায়, তা মানুষের সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের বর্তমান জ্ঞান থেকে খুব আলাদা হবে।” একটি যৌন সম্পর্ক যদি টাকার উপরে ভিত্তি করা হয়, তার মানে এই নয় যে এই সম্পর্কটি ঘনিষ্টতা থেকে বিচ্ছিন্ন। একজন মানুষ যদি টাকার শর্ত রেখে যৌনতার মধ্যে emotional fulfillment উপভোগ করতে পারে, তাহলে সেটা সেই সম্পর্কের মতন ততটাই বিশুদ্ধ, ততটাই মূল্যবান যেখানে মানুষ মানসিকতার বৈশিষ্টের ভিত্তিতে মানুষের সাথে যৌনতার সম্পর্ক স্থাপন করে।
একটি ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মৌলিকভাবে টাকার বিনিময়ে যৌনতাকে তুচ্ছ করে দেখার মতন কোনো যুক্তি নেই। অবহিত সম্মতির অর্থ হলো এই যে একজন মানুষ একটা জিনিসে লিপ্ত হওয়ার ঝুঁকি এবং ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে অবহিত হয়ে তাদের সম্মতি প্রদান করছে। কাউকে সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ রাখার ক্ষমতা আমাদের কারোরই নেই। তবে আমরা যা করতে পারি তা হলো মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্যে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, যা সর্বদা একটি চলমান সংগ্রাম। ঝুঁকির অজুহাত ব্যবহার করে আমি বিশেষ করে সেক্স ওয়ার্ক-এর বিরোধিতা করার পিছনে কোনো যুক্তি দেখি না। বরং আমি মনে করি যে সমাজের প্রত্যেকটা স্তরে মানুষের সমতা বজায় রাখার জন্যে সেক্স ওয়ার্ক-কে সম্পূর্ণভাবে অপরাধমুক্ত করা উচিত, এবং একই সাথে আমাদের সমাজে সেক্স ওয়ার্ক সম্পর্কে মানুষের চিন্তাধারার ব্যবকভাবে একটি রূপান্তরের দরকার। সেক্স ওয়ার্ক-কে খারাপ, অগ্রহণযোগ্য বা কুরুচিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করার পিছনে আমি কোনো যুক্তি দেখি না, “নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ” ছাড়া। এবং “নিজের ব্যক্তিগত পছন্দের” কোনো জিনিষকে মৌলিকভাবে খারাপ হিসাবে প্রমাণিত করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়।
অন্যদিকে, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, দেনমোহরের প্রথা টাকার ভিত্তিতে নারীর শরীরের সীমাহীন ব্যবহারের অনুমুতি দেয়। ইসলাম ধর্মের বিবাহের প্রথা, যার মধ্যে নারীদেরকে দেনমোহর দিয়ে আবদ্ধ করা হয়, সেখানে একটি লিঙ্গ-ভিত্তিক ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, বিবাহের পর একজন স্ত্রী তার স্বামীকে যৌন সঙ্গমের জন্যে কোনো ক্ষেত্রেই “না” বলতে পারে না। যেখানে সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম সেক্স ওয়ার্ক-এর ক্ষেত্রে সেক্স ওয়ার্কারদের সমতা অর্জনের পক্ষে কথা বলে থাকে, ইসলাম ধর্ম তার নিজের বিবাহের প্রথার মধ্যে বিদ্যমান লিঙ্গ-ভিত্তিক অসমতাকে সম্পূর্ণভাবে বৈধ হিসাবে উপস্থাপনা করে। তাই, ইসলাম ধর্মের দেনমোহরের প্রথা সরাসরি নারীদের অব্জেক্টিফিকেশন-এর জন্যে দায়ী।
মানুষের মধ্যে সম্পর্কের গণতন্ত্রকরণ তো দূরের কথা, ইসলাম ধর্মের মধ্যে দেনমোহর এবং বিবাহের প্রথা- উভয় একচেটিয়াভাবে পুরুষদেরকে বেশি ক্ষমতা দেয়, যেখানে পুরুষরা তাদের যৌন উপভোগের উদ্দেশ্যে নারীদেরকে মানুষের পরিবর্তে নির্জীব বস্তু হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। একই সাথে, পুরুষদের দ্বারা নারীদের এই অব্জেক্টিফিকেশন ইসলাম ধর্মের নামে বৈধ হিসাবে উপস্থাপনা করা হয়। এর বিপরীতে, একটি সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, সেক্স ওয়ার্ক কখনোই নারীদের অব্জেক্টিফিকেশন-কে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। একই সাথে, সেক্স ওয়ার্কার-রা যখন ক্লায়েন্ট-দের দ্বারা আক্রমণের স্বীকার হয়, তা সেক্স পসিটিভ ফেমিনিজম দ্বারা কখনোই গ্রহণযোগ্য হিসাবে স্বীকৃতি পাবে না।
এই সকল কারণের জন্যে, একজন নাস্তিক হিসাবে আমি ইসলাম ধর্মের দেনমোহরের বিরোধিতা করি এবং একটি সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্ট দৃষ্টিবঙ্গি থেকে সেক্স ওয়ার্ক-কে সমর্থন করি।
উপসংহার
একটি সেক্স পসিটিভ ফেমিনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমরা জানতে পারি যে যৌনতা অত্যন্ত মূল্যবান, এবং সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা একজন মানুষের শারীরিক স্বায়ত্তশাসন, আয়-রোজগার করার ক্ষমতা এবং যৌনতাকে সীমাবদ্ধ করে। একই সাথে, সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না। আমাদের দৈনন্দিন যৌনকর্মকে অবৈধ অথবা অগ্রহণযোগ্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে আমরা যেভাবে ধর্ষণের সমস্যার সমাধান করতে পারি না, ঠিক একইভাবে, সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করে আমরা সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারের সমাধান করতে পারি না। সমস্ত প্রাসঙ্গিক প্রমান আমাদেরকে ইঙ্গিত দেয় যে সেক্স ওয়ার্ক-কে অবৈধ করা ক্ষতিকর, HIV/AIDS/STI-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এবং সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং যৌন আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি সেসব আইন, যা সেক্স ওয়ার্কারদের শাস্তি না দিয়ে শুধুমাত্র ক্রেতা এবং তৃতীয় পক্ষদের শাস্তি দেয়, তাও সেক্স ওয়ার্কারদের নিরাপত্তা বজায় না রেখে একটি ক্ষতিকারক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
আইনের মাধ্যমে যৌনতা এবং পেশাগত শ্রমের সীমাবদ্ধের পরিবর্তে, সমাজে আমাদের যেটি দরকার, তা হলো যৌন প্রকাশের স্বাধীনতা- যতক্ষণ সেখানে কারোর ক্ষতি হচ্ছে না। একই সাথে যা দরকার তা হলো সেক্স ওয়ার্কারদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থসেবায় প্রবেশাধিকার বজায় রাখা। এবং, তা কখনো সম্ভব হবে না যতক্ষণ না আমরা সেক্স ওয়ার্ক এবং সেক্স ওয়ার্কারদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার প্রতিরোধ সফল ভাবে করতে পারি। সেক্স ওয়ার্ক বিরোধীরা প্রায়শই সকল সেক্স ওয়ার্কারদের নিরীহ ভিক্টিম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে সেক্স ওয়ার্ক-কে যৌন দাসত্বের সাথে সমতুল্য করেছে। তবে, এই ধারণার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ায় সেসব নারীবাদীরা যারা স্বেচ্ছায়, সম্মতি প্রদান করে সেক্স ওয়ার্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং যারা গর্বের সাথে তাদের শ্রম প্রদান করে। হোক তারা পর্ন ফিল্ম-এর অভিনেতা অথবা পতিতা, এরকম অসংখ্য নারী নারীবাদী সংলাপে যুক্ত হয়ে, তাদের জীবন্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করছে। তাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে সেক্স ওয়ার্ক-এর মধ্যে মনুষ্য কর্মক্ষমতার প্রয়োগ কিভাবে একটি বাদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোর সংস্কার ঘটিয়ে নারীদেরকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত করতে পারে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
এই লেখাটির বঙ্গানুবাদে এবং তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেছেন মাতুব্বর আজাদ অভিজিৎ ভাই। উনার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। Thank you, Matu bhai for everything. This article would never have been possible without your support. <3
তথ্যসূত্র
- Freeman, 1989[↑]
- Berg, 2014[↑]
- Mesce, G. (2020). Sex Work Decriminalization and Feminist Theory. 57. p.9-10[↑][↑]
- Vanwesenbeeck, 2013[↑]
- Young, 2015[↑]
- Sanders, 2005[↑]
- Vanwesenbeeck, I. (2017). Sex Work Criminalization Is Barking Up the Wrong Tree. Archives of Sexual Behavior, 46(6), 1631–1640. p.1637[↑]
- Kempadoo, K. (Ed.). (1998). Introduction: Globalizing Sex Workers Rights. In Global Sex Workers. Routledge.[↑]
- Neave 1988[↑]
- McIntosh 1978[↑]
- Sullivan, B. (1991). Feminist approaches to the sex industry. Sex Industry and Public Policy, 8. p.11[↑]
- Bell, 1995; Califia, 1994; Queen, 1997; Rubin, 1984; Willis, 1992[↑]
- Comte, J. (2014). Decriminalization of Sex Work: Feminist Discourses in Light of Research. Sexuality & Culture, 18(1), 196–217.[↑][↑][↑][↑]
- Kaplan, M. (2014). Sex-Positive Law. New York University Law Review, 89, 89. p.95[↑]
- see S. Bell, 1994, p. 86[↑]
- S. Bell, 1994[↑]
- Sloan, L., & Wahab, S. (2000). Feminist Voices on Sex Work: Implications for Social Work. Affilia-Journal of Women and Social Work – AFFILIA J WOMEN SOC WORK, 15, 457–479.[↑][↑]
- Donaghue, 2015[↑]
- Reissing & Di Giulio, 2010[↑]
- Arakawa, Flanders, Hatfield, & Heck, 2012; Burnes, Rojas, Delgado, & Watkins, 2017[↑]
- Burnes, T. R., Singh, A. A., & Witherspoon, R. G. (2017). Sex Positivity and Counseling Psychology: An Introduction to the Major Contribution. The Counseling Psychologist, 45(4), 470–486. p.471[↑]
- Kaplan, M. (2014). Sex-Positive Law. New York University Law Review, 89, 89. p.94-95[↑]
- Kaplan, M. (2014). Sex-Positive Law. New York University Law Review, 89, 89. p.97-98[↑]
- Henry 2004, 90[↑]
- Martin, N. K. (2007). Porn Empowerment: Negotiating Sex Work and Third Wave Feminism. Atlantis: Critical Studies in Gender, Culture & Social Justice, 31(2), 31–41. p.37[↑]
- Sutherland, K. (2004). Work, Sex, and Sex-Work: Competing Feminist Discourses on the International Sex Trade. Osgoode Hall Law Journal, 42, 139. p.144[↑]
- Doezema, 2002[↑]
- Offermann, S. (2012). Dildos and Cyborgs: Feminist Body-Politics in Porn from the 1970s to Posthumanism. 46.[↑]
- Butler, C., 2015, “A Critical Race Feminist Perspective on Prostitution & Sex Trafficking in America”, Yale Journal of Law and Feminism, 27: 95–139.[↑]
- Shrage, L. (2021). Feminist Perspectives on Sex Markets. In E. N. Zalta (Ed.), The Stanford Encyclopedia of Philosophy (Winter 2021). Metaphysics Research Lab, Stanford University.[↑]
- Pheterson, 1989[↑]
- Oksala, J. (2013). Feminism and Neoliberal Governmentality. Foucault Studies, 32–53. p.50-51[↑]
- Johnson, A. H. (2015). Beyond Inclusion: Thinking Toward a Transfeminist Methodology. In V. Demos & M. Texler Segal (Eds.), Advances in Gender Research (Vol. 20, pp. 21–41). Emerald Group Publishing Limited. p.27[↑]
- Nussbaum, 1999: 218[↑]
- Shrage, L. (2005). Exposing the fallacies of anti-porn feminism. Feminist Theory, 6(1), 45–65. p.54-55[↑]
- Califia, 1994; Queen, 1997[↑]
- Bell, 1995; Califia, 1994; Queen, 1997[↑]
- Sutherland, K. (2004). Work, Sex, and Sex-Work: Competing Feminist Discourses on the International Sex Trade. Osgoode Hall Law Journal, 42, 139. p.157-158[↑]
- Bernstein, E (2007), Temporarily Yours: Intimacy, Authenticity, and the Commerce of Sex, Chicago: University of Chicago Press[↑]
- Nencel, L (2001), Ethnography and Prostitution in Peru, London: Pluto Press[↑]
- Delacoste, F and Alexander, P (1998), Sex Work: Writings By Women in the Sex Industry, San Francisco: Cleis Press[↑]
- Revathi, A and Geetha, V (2010), Truth About Me: A Hijra Life Story, New Delhi: Penguin Books.[↑]
- Shah, S. P. (2011). Trafficking And The Conflation with Sex Work: Implications for HIV Control And Prevention 31. p.5-6[↑]
- Kantola and Squires, 2004[↑]
- Wagenaar and Altink, 2012[↑][↑]
- Harcourt and Donovan, 2005; Hubbard et al., 2008; O’Connell Davidson, 2006; Weitzer, 2007[↑]
- Abel, G. M. (2014). A decade of decriminalization: Sex work ‘down under’ but not underground. Criminology & Criminal Justice, 14(5), 580–592. p.2-3[↑]
- Wilkes, F. (2020). Constructions of Prostitution in Berlin, 1914-45: Lessons in Understanding Sex Work, Legalization, and Decriminalization. 59.p.27-28[↑]
- Toupin, 2006[↑]
- Agustin, 2007; Global Alliance Against Trafficking in Women; Toupin, 2006[↑]
- Comte, J. (2014). Decriminalization of Sex Work: Feminist Discourses in Light of Research. Sexuality & Culture, 18(1), 196–217.[↑][↑][↑]
- Canadian HIV/AIDS Legal Network, 2005; Delacoste & Alexander, 1998; Ditmore, 2010; Mensah & Lee, 2006[↑]
- O’Connell Davidson[↑]
- Chuang, J. A. (2009). Rescuing Trafficking from Ideological Capture: Prostitution Reform and Anti-Trafficking Law and Policy. University of Pennsylvania Law Review, 158, 74.p1701-1702[↑]
- Global Commission on HIV and the Law. Risks, Right & Health. New York: United Nations Development Program; 2012[↑]
- Donovan, B. (2012). Sex trafficking: The dark side of the Australian sex industry? Sexual Health, 9, 499.p.500[↑]
- Barbara Sullivan, Trafficking in Women: Feminism and New International Law, 5 INT’L FEMINIST J. POL. 67, 76 (2003); see also id. at 75-77 (explaining and criticizing this view held by neo-abolitionist feminists while arguing that members of the sex trade are able to practice freedom and consent); Noah D. Zatz, Sex Work/Sex Act: Law, Labor, and Desire in Constructions of Prostitution, 22 SIGNS 277, 280-81 (1997) (recognizing prostitutes’ varying reactions to their experiences).[↑]
- Chuang, J. A. (2009). Rescuing Trafficking from Ideological Capture: Prostitution Reform and Anti-Trafficking Law and Policy. University of Pennsylvania Law Review, 158, 74.p1699[↑]
- Ratna Kapur, Post-colonial Economies of Desire: Legal Representations of the Sexual Subaltern, 78 DENV. U. L. REV. 855, 866, (2001).[↑]
- Mike Dottridge, Responses to Trafficking in Persons: International Norms Translated into Action at the National and Regional Levels, in U.N. Office On Dugs & Crime, An Introduction To Human Trafficking: Vulnerability, Impact And Action 103, 114 (2008).[↑]
- Kamala Kempadoo, Introduction: Globalizing Sex Worker’s Rights, in Global Sex Workers: Rights, Resistance, And Redefinition 1, 11-14 (Kamala Kempadoo & Jo Doezema eds., 1998).[↑]
- See Ratna Kapur, The Tragedy of Victimization Rhetoric: Resurrecting the “Native” Subject in International/Post-colonial Feminist Legal Politics, 15 Harvard Human Rights Journal 1, 18 (2002) (describing the image of a Third World woman as “truncated, . . . sexually constrained, tradition-bound, incarcerated in the home, illiterate, and poor”).[↑]
- Chuang, J. A. (2009). Rescuing Trafficking from Ideological Capture: Prostitution Reform and Anti-Trafficking Law and Policy. University of Pennsylvania Law Review, 158, 74.p1699-1700[↑]
- Kari Lerum and Barbara G Brents, “Sociological Perspectives on Sex Work and Human Trafficking,” Sociological Perspectives 59:1 (2016): 17–26, quotes on pp. 18–19.[↑]
- Wilkes, F. (2020). Constructions of Prostitution in Berlin, 1914-45: Lessons in Understanding Sex Work, Legalization, and Decriminalization. 59.p.14-15[↑]
- Shah, S. P. (2011). Trafficking And The Conflation with Sex Work: Implications for HIV Control And Prevention 31. p.28[↑]
- Andrijasevic, 2007[↑]
- Heynen, R., & van der Meulen, E. (2022). Anti-trafficking saviors: Celebrity, slavery, and branded activism. Crime, Media, Culture, 18(2), 301–323.p.309-310[↑]
- Bruckert & Chabot, 2010; Lewis et al., 2005; Shaver et al., 2011; van der Meulen & Durisin, 2008[↑]
- Bruckert, 2002; Bruckert & Chabot, 2010; Parent & Bruckert, 2005; van der Meulen & Durisin, 2008; Shaver et al., 2011[↑]
- Bruckert & Chabot, 2010; Shaver, 2005; Shaver et al., 2011[↑]
- Bruckert & Chabot, 2010; Jeffrey & MacDonald, 2006; Lewis et al., 2005; Parent & Bruckert, 2005[↑]
- Bradley, 2007; Bruckert, 2002; Bruckert & Chabot, 2010; Bruckert & Parent, 2007; Warr & Pyett, 1999[↑]
- Canadian HIV/AIDS Legal Network, 2005; Cantin et al., 2006; Delacoste & Alexander, 1998; Mensah & Lee, 2006; Parent et al, 2010; Mensah et al, 2011; van der Meulen & Durisin, 2008[↑]
- Crago 2009 , p.17[↑]
- Scorgie et al. 2013[↑]
- Dewey, S., Zheng, T., & Orchard, T. (2016). Systematic Collusion: Criminalization’s Health and Safety Consequences (pp. 27–50).[↑]
- Special Rapporteur, Report of the Special Rapporteur on the Right of Everyone to the Enjoyment of the Highest Attainable Standard of Physical and Mental Health, Human Rights Council, p. 17[↑]
- South Africa Centre For Epidemiological Modeling And Analysis, Mode Of Transmission Study, 2010[↑]
- Interview with Sex Workers attending Creative Space session at SWEAT[↑]
- Interview with the SWEAT Outreach Staff including sex workers[↑]
- Ilse Pauw & Loren Brener, ‘You are Just Whores—You Can’t be Raped’: Barriers to Safer Sex Practices Among Women Street Sex Workers in Cape Town, Culture, Heath & Sexuality 465, 474 (2003[↑]
- Dewey, S., Zheng, T., & Orchard, T. (2016). Systematic Collusion: Criminalization’s Health and Safety Consequences p.1429-1430[↑]
- e.g., Brock, 1998; Cantin et al., 2006; Delacoste & Alexander, 1998; Ditmore, 2006, 2010; Jenness, 1993; Mensah, 2006a; Canadian HIV/AIDS Legal Network, 2005; Parent et al, 2010; Mensah et al, 2011[↑]
- Bates and Berg 2014[↑]
- Donovan et al. 2010[↑]
- Bernstein 2007 ; Frank 2002 ; Sanders 2005[↑]
- Dewey, S., Zheng, T., & Orchard, T. (2016). Systematic Collusion: Criminalization’s Health and Safety Consequences (pp. 27–50).[↑]
- Goffman, 1963: 3[↑]
- Weitzer, R. (2018). Resistance to sex work stigma. Sexualities, 21(5–6), 717–729.[↑]
- Link & Phelan, 2001, p. 375[↑]
- Link & Phelan, 2001, p. 363[↑]
- Scambler, 2009[↑]
- Benoit, C., Jansson, S. M., Smith, M., & Flagg, J. (2018). Prostitution Stigma and Its Effect on the Working Conditions, Personal Lives, and Health of Sex Workers. The Journal of Sex Research, 55(4–5), 457–471.p.458[↑]
- Benoit, C., Jansson, S. M., Smith, M., & Flagg, J. (2018). Prostitution Stigma and Its Effect on the Working Conditions, Personal Lives, and Health of Sex Workers. The Journal of Sex Research, 55(4–5), 457–471.p.464[↑]
- Weitzer, R. (2018). Resistance to sex work stigma. Sexualities, 21(5–6), 717–729.p.720-721[↑]
- Benoit, Jansson, Jansenberger, & Phillips, 2013; Link & Phelan, 2001[↑]
- Green, Davis, Karshmer, Marsh, & Straight, 2005[↑]
- Link & Phelan, 2001; Pescosolido, Martin, Lang, & Olafsdottir, 2008; Stuber, Meyer, & Link, 2008[↑]
- Goffman, 1963[↑]
- Benoit, C., Jansson, S. M., Smith, M., & Flagg, J. (2018). Prostitution Stigma and Its Effect on the Working Conditions, Personal Lives, and Health of Sex Workers. The Journal of Sex Research, 55(4–5), 457–471.p.458[↑]
- Bruckert, 2012; Hammond, 2015[↑]
- Nikita & Schaffauser, 2007, p. 24, translated by Bruckert & Chabot, 2014, p. 79; see also Tempest, 2019[↑]
- Goffman 1963; Bruckert & Chabot, 2014; see also Abel, 2011; Armstrong, 2019; Benoit et al., 2015; Benoit et al., 2018; Benoit et al., 2019a, 2019b; Bruckert, 2012; Cunningham, 2016; Hallgrímsdóttir et al., 2008[↑]
- Benoit at al., 2019a; Hallgrímsdóttir et al., 2008; Parker & Aggleton, 2003[↑]
- DiTecco, D. D. B.-A. (2020). New Technology, Same Old Stigma: An Analysis of Feminist Discourses and Sex Work Stigma in Sex Robot Media [Text, Carleton University].p.35-36[↑]
- Benoit et al., 2019a; Bruckert & Chabot, 2014, p.80-84[↑]
- Bruckert & Chabot, 2014[↑]
- Armstrong, 2019; Benoit et al., 2018; Lowman, 2000; Sallmann, 2010[↑]
- DiTecco, D. D. B.-A. (2020). New Technology, Same Old Stigma: An Analysis of Feminist Discourses and Sex Work Stigma in Sex Robot Media [Text, Carleton University].p.38[↑]
- Benoit, et al., 2019a[↑]
- Benoit et al., 2018; Benoit at al., 2019b; Bruckert & Chabot, 2014[↑]
- Benoit et al., 2018[↑]
- DiTecco, D. D. B.-A. (2020). New Technology, Same Old Stigma: An Analysis of Feminist Discourses and Sex Work Stigma in Sex Robot Media [Text, Carleton University].p.39[↑]
- Markelj, L., Selan, A., Dolinar, T., & Sande, M. (2022). Sex Work in Slovenia: Assessing the Needs of Sex Workers. Sociological Research Online, 27(2), 434–451.p.447[↑][↑]
- Shrage, L. (2005). Exposing the fallacies of anti-porn feminism. Feminist Theory, 6(1), 45–65. p.62[↑]
- Ntokozo Yingwana, 2018 We Fit in the Society by Force, Sex Work and Feminism in Africa[↑][↑][↑][↑][↑][↑][↑][↑]
- ইসলাম ও নারী – সর্বোচ্চ সম্মান এবং সুমহান মর্যাদা! [↑]
- Cornwall et al., 2013, 21[↑]
- Merriam Webster Dictionary- Pornography[↑]
- Merriam Webster Dictionary- Feminism[↑]
- Taormino, T. (2006). The Danger of Protecting Our Children: Government Porn Regulation Threatens Alternative Representations and Doesn’t Save Kids. Yale Journal of Law and Feminism, 18, 6.[↑]
- Williams, D., & Prior, E. (2016). The first anniversary of JPS: Celebrating accomplishments and building on success. Journal of Positive Sexuality, 2(1), 4. p.16[↑]
- Taormino et al, 2013, 18[↑]
- Good for Her, 2014[↑]
- Smith, 2007[↑]
- Sabo, 2012; Sprinkle and Cody, 2001[↑]
- Lee, 2015; Young, 2016[↑]
- Hartley, 2006; Taormino, 2012[↑]
- Hodgson, 2016[↑]
- Stardust, Z. (2018). Safe for Work: Feminist Porn, Corporate Regulation and Community Standards. In C. Dale & R. Overell (Eds.), Orienting Feminism (pp. 155–179). Springer International Publishing. p.3[↑]
- Bleakley, P. (2014). “500 Tokens to Go Private”: Camgirls, Cybersex and Feminist Entrepreneurship. Sexuality & Culture, 18(4), 892–910.[↑]
- Willis 1992, p. 221[↑]
- Williams, D., & Prior, E. (2016). The first anniversary of JPS: Celebrating accomplishments and building on success. Journal of Positive Sexuality, 2(1), 4. p.16-17[↑]
- Kevill, H. (2015). Unearthing “New” Eroticisms: Feminist Theory as Transformational in “Aberrant” Sexual Desires and Practices. USURJ: University of Saskatchewan Undergraduate Research Journal, 1(2). p.79[↑]
- Wendy McElroy, 1995 XXX: A Woman’s Right to Pornography, New York: St. Martin’s Press, p.191[↑]
- Nadine Strossen, 2000 Defending Pornography: Free Speech, Sex, and the Fight for Women’s Rights, New York: NYU Press, p.14.[↑]
- Wendy McElroy, 1995 XXX: A Woman’s Right to Pornography, New York: St. Martin’s Press, p.162[↑]
- Alison Lee. “The New Face of Porn,” This Magazine, last modified November 26, 2009[↑]
- Kevill, H. (2015). Unearthing “New” Eroticisms: Feminist Theory as Transformational in “Aberrant” Sexual Desires and Practices. USURJ: University of Saskatchewan Undergraduate Research Journal, 1(2). p.77[↑][↑]
- Sprinkle, 1998: 104–06, 140; Leigh, 2004[↑]
- Shrage, L. (2005). Exposing the fallacies of anti-porn feminism. Feminist Theory, 6(1), 45–65. p.62-63[↑]
- World Health Organization, Policy Brief, 2012, Prevention and Treatment of HIV and Other Sexually Transmitted Infections For Sex Workers In Low-Income and Middle-Income Countries[↑]
- Sex Workers’ Rights are Human Rights. (2015, August 14). Amnesty International.[↑]
- Amnesty International publishes policy and research on protection of sex workers’ rights. Amnesty International USA. Retrieved August 12, 2022[↑]
- Why Sex Work Should Be Decriminalized. (2019, August 7). Human Rights Watch.[↑]
- The Global Commission on HIV and the Law: Sex Workers[↑]
- FNUSA Position Paper: Preventing Sex Trafficking Requires the Full Decriminalization of Sex Work (September 2021)[↑]
- American Civil Liberties Union, It’s Time To Decriminalize Sex Work[↑]
- Platt et al. 2018; Gender & Sexual Health Initiative 2014[↑]
- WHO, UNAIDS, Amnesty International[↑]
- Platt et al. 2011[↑]
- Shannon et al. 2015; Amnesty International 2016; UNAIDS 2014[↑]
- Platt et al. 2018[↑]
- Machat, S., Shannon, K., Braschel, M., Moreheart, S., & Goldenberg, S. M. (2019). Sex workers’ experiences and occupational conditions post-implementation of end-demand criminalization in Metro Vancouver, Canada. Canadian Journal of Public Health, 110(5), 575–583.p.582[↑]
- Bettio, F., Della Giusta, M., & Di Tommaso, M. L. (2017). Sex Work and Trafficking: Moving beyond Dichotomies. Feminist Economics, 23(3), 1–22.p.8[↑]
- Bruckert 2014[↑]
- Le Bail and Giametta 2018; Karim 2017; NSWP 2018b; Beyrer et al. 2015a; Platt et al. 2018[↑]
- McBride, B. (2020). Harms of criminalization of sex work: How end-demand legislation and immigration policy shape labour, health and rights among im/migrant and indoor sex workers in Canada [University of British Columbia].p.88-89[↑]
- Le Bail and Giametta 2018[↑]
- Levy and Jakobsson 2014; PION 2017; Le Bail and Giametta 2018[↑]
- Decker et al. 2015; Klambauer 2018[↑]
- Levy and Jakobsson 2014[↑]
- PION 2017[↑]
- Parliament of Canada 2014[↑]
- Lim et al. 2015; Ganju and Saggurti 2017; NSWP 2017; Goldenberg, Krüsi, et al. 2017[↑]
- McBride, B. (2020). Harms of criminalization of sex work: How end-demand legislation and immigration policy shape labour, health and rights among im/migrant and indoor sex workers in Canada [University of British Columbia].p.39[↑]
- McBride, B., Shannon, K., Pearson, J., Krüsi, A., Braschel, M., & Goldenberg, S. M. (2022). Seeing pre-screened, regular clients associated with lower odds of workplace sexual violence and condom refusal amidst sex work criminalization: Findings of a community-based cohort of sex workers in Metro Vancouver, Canada (2010-2019). BMC Public Health, 22(1), 519.p.2-3[↑]
- Argento, E., Goldenberg, S., Braschel, M., Machat, S., Strathdee, S. A., & Shannon, K. (2020). The impact of end-demand legislation on sex workers’ access to health and sex worker-led services: A community-based prospective cohort study in Canada. PLOS ONE, 15(4) p.5-7[↑]
- Anderson et al. 2016[↑]
- Goldenberg, Duff, and Krusi 2015; Yi et al. 2012; Bruckert and Law 2013; O’Doherty 2015[↑]
- McBride, B. (2020). Harms of criminalization of sex work: How end-demand legislation and immigration policy shape labour, health and rights among im/migrant and indoor sex workers in Canada [University of British Columbia].p.61[↑]
- Ahmed, A. (2011). Feminism, Power And Sex Work In the Context of HIV/AIDS: Consequences for Women’s Health, Harvard Journal of Law & Gender. 34, 34. p.255-256[↑]
- McBride, B. (2020). Harms of criminalization of sex work: How end-demand legislation and immigration policy shape labour, health and rights among im/migrant and indoor sex workers in Canada [University of British Columbia].p.90[↑]
- Poole, E. (2013). Hey Girls, Did You Know: Slut-Shaming on the Internet Needs to Stop. University of San Francisco Law Review, 48, 221. p.231[↑]
- বহুল প্রচলিত কিছু কুযুক্তি বা ফ্যালাসি বা কুতর্ক বা হেত্বাভাস [↑]
- Chuang, J. A. (2009). Rescuing Trafficking from Ideological Capture: Prostitution Reform and Anti-Trafficking Law and Policy. University of Pennsylvania Law Review, 158, 1655.[↑]
- Aziza Ahmed (2011). Feminism, Power, And Sex Work in the Context of HIV/AIDS: Consequences for Women’s Health[↑]
- R Sahni & V Shankar (2011). The First Pan–India Survey of Sex Workers: A summary of preliminary findings[↑]
- Himani Chouhan (2021). A Conflict of Agency and Morality: Acknowledging the Right of Sex Workers to Not Be Rescued, Centre for Women and the Law, National Law School of India University[↑]
- Ahmed, A., & Seshu, M. (2014). “We have the right not to be ‘rescued’”: When anti-trafficking programs undermine the health and well-being of sex workers. In Global Human Trafficking. Routledge.[↑]
- Banerji, V. (2018). Status and remedies of female sex workers: an Indian perspective. Novum Jus: Revista Especializada en Sociología Jurídica y Política; Vol. 12, no. 2[↑]
- Veronica Magar (2012). Rescue and Rehabilitation: A Critical Analysis of Sex Workers’ Antitrafficking Response in India Signs, Vol. 37 The University of Chicago Press[↑]
- Hoang, K. K. (2016). Perverse Humanitarianism and the Business of Rescue: What’s Wrong with NGOs and What’s Right About the “Johns”?. In Perverse Politics? Feminism, Anti-Imperialism, Multiplicity. Emerald Group Publishing Limited. Vietnam[↑]
- Oishik Sircar & Debolina Dutta (2011). Beyond compassion: Children of sex workers in Kolkata’s Sonagachi[↑]
- Natalie Marian Raymond (2019). The Effects of a Sex Positive Sexual Violence Prevention Program on College Women, University of North Dakota[↑]
- দেনমোহর | ইসলামে নারীর লজ্জাস্থান ভোগের মূল্য [↑]
- Giddens, Anthony. p.3 The Transformation of Intimacy: Sexuality, Love, and Eroticism in Modern Societies. (1992) Cambridge: Polity, 2013.[↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"
যৌনতা:
১)নাস্তিকরা নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশাকে সমর্থন করে।
২)নাস্তিকরা নারীদের জন্য পর্দাপ্রথা বা অবরোধ প্রথাকে সমর্থন করেনা।
৩) নাস্তিকরা নারীদের বেপর্দা রাস্তায় চলাফেরাকে অশ্লীল বা খারাপ কোন কাজ মনে করেনা।
৪)নাস্তিকরা নারীদের খোলামেলা পোশাক পরে বাইরে বের হওয়াকে অশ্লীল বা খারাপ কোন কাজ মনে করেনা।
৫)নাস্তিকরা নারী পুরুষ প্রেম ভালোবাসা সমর্থন করে।
৬)নাস্তিকরা নারী-নারী প্রেম ভালোবাসা এবং পুরুষ -পুরুষ প্রেম ভালবাসাকেও সমর্থন করে।
৭)নাস্তিকরা প্রেম ভালবাসাকে সমর্থন করে।
৮)নাস্তিকরা যেকোন দুজন মানুষের মধ্যে প্রেম ভালোবাসাকে সমর্থন করে।
৯)নাস্তিকরা নারী পুরুষ অবাধ যৌনতা সমর্থন করে।
১০)নাস্তিকরা অবাধ যৌনতাকে অনৈতিক কোন কাজ মনে করেনা।
১১)নাস্তিকরা নারী পুরুষের অবাধ যৌনতাকে অশ্লীল বা খারাপ কোন কাজ মনে করেনা।
১২)নাস্তিকরা দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যকার প্রেম ভালবাসা,যৌনতার ক্ষেত্রে তৃতীয় কোন পক্ষে(3rd party)-র বাধাদান বা interference কে সমর্থন করেনা।
১৪)নাস্তিকরা পরকিয়া সমর্থন করে।
১৫)নাস্তিকরা পরকিয়াকে গুরুতর অপরাধ মনে করেনা