বিবর্তনতত্ত্ব : কিছু ভুল ধারনা খন্ডন

Print Friendly, PDF & Email

মূল পোস্ট

উনার পোস্ট এর টাইটেল হচ্ছে

“আমার কি বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করা উচিত?”

না। “বিশ্বাস” করা উচিত না। বিশ্বাস করে নিতে হয় প্রমাণ না থাকলে। যেমন ঈশ্বরে বিশ্বাস। বিবর্তনতত্ত্বের সত্যতা আপনার “বিশ্বাস” এর উপর নির্ভর করে না। বিশ্বাস না করলেও ওটা সত্য।

যে-কারণে এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ
যদি বিবর্তনবাদ সত্য হয়, তা হলে জীবনের কোনো স্থায়ী উদ্দেশ্য নেই। আর যদি সৃষ্টি সত্য হয়, তা হলে আমরা জীবন ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধীয় প্রশ্নগুলোর সন্তোষজনক উত্তর খুঁজে পাব।

কে বলছে উদ্দেশ্য নেই? উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে। বলুন উদ্দেশ্য ২০০০ বছর বা তার চেয়েও আগের পুরনো কোন বই ঠিক করে দেয় না। মানুষ তার নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়ে ঠিক করে নেয় তার জীবনের উদ্দেশ্য কি হতে পারে। আপনার জীবন কি একটি অপ্রীতিকর, ঈর্ষান্বিত এবং গর্বিত, ক্ষুদ্র, জঘন্য, ক্ষমার অযোগ্য নিয়ন্ত্রণ-বোকা; একটি প্রতিহিংসাপরায়ণ, রক্তাক্ত জাতিগত বিদ্বেষকারী, একটি অপব্যবহারকারী, হোমোফোবিক, বর্ণবাদী, ভ্রান্তিমূলক, গণহত্যাকারি, জালিয়াত, ভয়ঙ্কর চরিত্রের কাছে সমর্পণ করা উদ্দেশ্য হওয়া উচিত?

তুমি হলে কী করতে?
এই দৃশ্যটা কল্পনা করো: অ্যালেক্স বিভ্রান্ত। সে এতদিন যাবৎ ঈশ্বরে এবং সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে এসেছে। কিন্তু, আজকে তাদের জীববিদ্যার শিক্ষক দৃঢ়ভাবে দাবি করেন যে, বিবর্তনবাদ সত্য আর এটা নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণার দ্বারা স্বীকৃত। অ্যালেক্স চায় না, অন্যেরা তাকে বোকা বলে মনে করুক। সে মনে মনে বলে, ‘সবচেয়ে বড়ো কথা হল, বিজ্ঞানীরা যদি বিবর্তনবাদকে সত্য বলে প্রমাণ করে থাকে, তা হলে তাদেরকে সন্দেহ করার আমি কে?’
তুমি যদি অ্যালেক্সের জায়গায় থাকতে, তা হলে তুমি কি কেবল এই কারণে বিবর্তনবাদকে মেনে নিতে যে, সেটাকে পাঠ্যপুস্তকে সত্য বলে তুলে ধরা হয়েছে?

এখানে Strawman ArgumentArgument From Ignorance করা হয়েছে। হ্যাঁ, পাঠ্যবইয়ে আছে। এবং এটা সত্য বলে প্রমাণিতও হয়েছে। একটা দুইটা প্রমাণ নয়। অসংখ্য প্রমাণ। তবুও এটাকে ভুল প্রমাণ করার সুযোগও আছে। শুধুমাত্র একটা এভিডেন্সই লাগবে বিবর্তন তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, জুরাসিক যুগে যদি একটা প্রাইমেট এর কংকাল দেখাতে পারেন তাহলেই বিবর্তন তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়ে যায়। এবং আপনি কিন্তু মিউজিয়ামে গিয়েও ফসিল এভিডেন্স ও ফসিল গুলোর তুলনামূলক পার্থক্যও দেখতে পারেন। তারপর আছে ডিএনএ এভিডেন্স। ডিএনএ এভিডেন্স হল সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আধুনিক যুগে জিনোম সিকুয়েন্স এর মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা প্রত্যেক প্রাণীর Scientific Classification করে ফেলতে পারি। এবং সেই প্রাণীটি Evolutionary Tree তে কোথায় অবস্থিত সেটাও বের করে ফেলতে পারি।

একটু থেমে চিন্তা করো!
বিতর্কিত মনোভাব পোষণ করে এমন দু-দলই নির্দ্বিধায় সেই বিষয়টাই বলে, যা তারা বিশ্বাস করে, যদিও তারা আসলে জানে না কেন তারা সেটা বিশ্বাস করে।
কেউ কেউ শুধু এই কারণে সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে যে, ধর্ম তাদের এটা শিখিয়েছে। কেউ কেউ শুধু এই কারণে বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করে যে, স্কুল তাদের এটা শিখিয়েছে।

এটা প্রায় ঠিকই বলা হয়েছে। কিন্তু এখানে দুইটা ভিন্ন জিনিষ। ধর্ম কোনদিনই প্রমাণের ধার ধারে নি। এটা শুধুমাত্রই বিশ্বাস। ধর্মতেই ঈশ্বরে Faith রাখার কথা বলা হয়েছে বিনা প্রশ্নে। কিন্তু বিজ্ঞান আপনাকে কখনই অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে বলে না। বিজ্ঞান এর বই যদি পড়তেন তাহলে দেখতেন প্রত্যেক পাঠের শেষের দিকে ব্যবহারিক থাকে। যাতে একেবারে প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়ে দেয়া থাকে। তাই এখানে তুলনা False Equivalence Fallacy.

বিবেচনা করার মতো ছ-টা প্রশ্ন
বাইবেল বলে: “প্রত্যেক গৃহ কাহারও দ্বারা সংস্থাপিত হয়, কিন্তু যিনি সকলই সংস্থাপন করিয়াছেন, তিনি ঈশ্বর।” (ইব্রীয় ৩:৪) এই কথাগুলো বিশ্বাস করা কি যুক্তিসংগত?

না। যুক্তিসংগত নয়। এটা হচ্ছে Special Pleading Fallacy. সেখানে আপনি সকল ক্ষেত্রে একই জিনিষ ধরে শুধুমাত্র একটা মাত্র জায়গায় এক্সেপশন ধরে নিচ্ছেন।

দাবি: নিখিলবিশ্বের সমস্ত কিছু হঠাৎ মহাবিস্ফোরণের ফলে এসেছে।

১. এই মহাবিস্ফোরণ কে ঘটিয়েছে অথবা কীসের কারণে ঘটেছে?

১ম প্রশ্নটা হচ্ছে Loaded Question Fallacy. এখানে আপনি ধরে নিচ্ছেন “কারও” জন্য মহাবিশ্ব হয়েছে। আপনি “কি” বা “কেন” বা “কিভাবে” জিজ্ঞেস করেন নি। যাই হোক এগুলোও যদি জিজ্ঞেস করতেন তাহলে উত্তর হল “আমরা জানি না”। আর জানিনা বলেই সেই জায়গায় ঈশ্বর ধরে নেই না। সেটা হচ্ছে “God of the Gaps Argument“। এখনো যেই বিষয়ে মানুষের পরিষ্কার ধারনা নেই সেখানে ঈশ্বর ধরে নেয়ার মানে কি? কোন কিছু না জানলেই কি সেখানে একটা উত্তর ধরে নেয়া উচিত?

২. কোনটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়—কোনো কিছু ছাড়াই সমস্ত কিছু অস্তিত্বে এসেছে অথবা কেউ সমস্ত কিছু অস্তিত্বে নিয়ে এসেছে?

২য় প্রশ্নটা হচ্ছে False Dilemma এর একটা উদাহরণ। এখানে মাত্র দুইটা সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। যা একটি ফ্যালাসি। কারণ এখানে “কেউ” না হয়ে “কি” ও হতে পারে। পার্সোনাল কেউ যে এর পিছনে থাকবে সেটা ধারনার কারণ কি?

দাবিঃ মানুষ পশু থেকে এসেছে।

৩. মানুষ যদি পশু থেকে—উদাহরণ স্বরূপ, বানর থেকে—আসে, তা হলে মানুষের এবং বানরের বুদ্ধিমত্তার মধ্যে এত বিরাট পার্থক্য কেন?

আবার Strawman ArgumentArgument From Ignorance ফ্যালাসি। মানুষ বানর থেকে আসে নি। বানর ও মানুষ একই কমন এন্সেস্টর থেকে এসেছে। পশু বলতে যদি Animal বোঝান তাহলে মানুষ Animal ই। সকল প্রাণীই Animal. আর বানরের ও মানুষের বুদ্ধির এত পার্থক্য কেন? কারণ মানুষ তার ব্রেইন কে বেশি কাজে লাগিয়েছে বিবর্তনীয় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য; বানর না। অন্যান্য প্রাণী এগিয়ে আছে অন্য কিছুতে। যেমন চিতা গতিতে, জিরাফ উচ্চতাতে ইত্যাদি। এটাই জীববৈচিত্র্য।

৪. কেন এমনকী একটা ‘সরল’ প্রাণও এতটা জটিল?

সবচেয়ে সিম্পল Life form হচ্ছে Viroids. এটা মাত্র একটা চক্রাকার একসুত্রক RNA strand নিয়ে তৈরি। এটাকেও জটিল মনে হয়?
দাবি: বিবর্তনবাদ প্রমাণিত সত্য।

৫. যে-ব্যক্তি এই দাবি করেন, তিনি কি নিজে এর প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখেছেন?

প্রমাণ বলতে যদি আপনি চাক্ষুষ দেখা বোঝেন তাহলে আপনাকে একটা উদাহরণ দেই, ধরুন আপনি একদিন বাসায় গিয়ে দেখলেন আপনার প্রিয়তম/প্রিয়তমা মারা গেছে। তার বুকে একটা ছোরা গাথা। ছোরায় অন্য একজনের হাতের ছাপও লেগে আছে। সেই ছাপ নিয়ে গোয়েন্দাগিরি করে আপনি আরেক লোকের সন্ধান পেলেন যার সাথে এই হাতের ছাপ মিলে যায়। এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করাতে লোকটা বাধ্য হয়ে খুনের কথা স্বীকার করল। এবার খেয়াল করুন। খুনের ব্যাপারটা কিন্তু কেউ “চাক্ষুষ” দেখে নি। আর শুধু চাক্ষুষ দেখলেই যদি বিশ্বাস করেন তাহলে কি আপনি লোকটাকে ছেড়ে দেবেন? কারণ “যথেষ্ট” প্রমাণ নেই?

৬. বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করে বলেই কি অন্যেরা এটা বিশ্বাস করে?

(যাই হোক। স্বীকার করলেন যে “বুদ্ধিমান ব্যাক্তিই” বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করে। 😛 )

না। এভাবে বিশ্বাস করলে সেটা হবে Appeal to Population এবং Appeal to Authority এর সমন্বয়। প্রমাণের ভিত্তিতেই কোন কিছু গ্রহণ করা উচিত।
এবং বিবর্তনের প্রমাণ আছে। যা উপরে সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করেছি।

“একটা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তুমি যদি একটা সুন্দর বাড়ি দেখো, তা হলে তুমি কি এইরকম চিন্তা করবে: ‘কী চমৎকার! গাছগুলো একেবারে সঠিক জায়গায় পড়ে কী সুন্দর একটা বাড়ি তৈরি হয়েছে।’ অবশ্যই না! এটা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। তা হলে, কেন আমরা এটা ধরে নেব যে, নিখিলবিশ্ব এমনি এমনিই অস্তিত্বে এসেছে?”—জুলিয়া।

এটা হচ্ছে Teleological argument অথবা The Watchmaker Analogy.
এটা দুইভাবে খণ্ডন করা যায়।
১। Infinite Regress: মানে যদি ধরে নেই কমপ্লেক্স সব কিছুর করে ডিজাইনার আছে। তাহলে সেই কমপ্লেক্স ডিজাইনার এর আরও কমপ্লেক্স ডিজাইনার থাকার কথা। তারপর তার ডিজাইনার। তারপর তার ডিজাইনার…
জোর করে এক জায়গায় থেমে গিয়ে The Ultimate Designer ধরে নেয়া হবে Special Pleading fallacy
২। Burden of proof: যদি ডিজাইনার থাকে তাহলে সেটার প্রমাণ দেয়া লাগবে। বাড়ির ডিজাইনার এর প্রমাণ আছে। মহাবিশ্বে ডিজাইনার এর প্রমাণ আছে কি?

“কল্পনা করো, কেউ তোমাকে বলেছে, ছাপাখানায় একটা বিস্ফোরণ ঘটেছে আর এর ফলে দেওয়ালে ও ছাদে কালি ছড়িয়ে পড়েছে এবং একটা সম্পূর্ণ ডিকশনারি তৈরি হয়েছে। তুমি কি এটা বিশ্বাস করবে?”—গুয়েন।

Weak Analogy ফ্যালাসি। বিগ ব্যাং থিওরিকে কোন ভাবেই ছাপাখানার কালি বিস্ফোরণের সাথে তুলনীয় নয়। কারণ একটা হচ্ছে স্পেস টাইমের শুরু ও সম্প্রসারণ। আরেকটা হচ্ছে একটা Chaotic ঘটনা।
যদি এটা বলতে চান যে যে এইরকম একটা অনির্দিষ্ট “সম্প্রসারণ” থেকে কিভাবে “পৃথিবীর” মত বাসযোগ্য স্থান হল সেটাতেও দুটো যুক্তি আছে।.
১। মহাবিশ্ব বিশালঃ বিশাল একটা মহাবিশ্বে বেশিরভাগ জায়গায়ই বাসযোগ্য নয়। সেই তুলনায় মাত্র ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা জায়গা বসবাসযোগ্য। প্রায় 99.999999999….9999% জায়গাই বসবাস অযোগ্য। এই জায়গার মধ্যে পৃথিবীকে পারফেক্ট মনে করা আর দেয়ালের ফাঁক দিয়ে একটা চারা গাছ গজালে চারাগাছের জন্য দেয়ালকে পারফেক্ট মনে করা একই কথা।
২। অনেক বিশ্ব অনুকল্পঃ এই অনুকল্পে ধারনা করা হয় বিগ ব্যাং একটা হয় নি। অসংখ্য হয়েছে। এবং অসংখ্য “বিগ ব্যাং” এর মধ্যে যেটা টেকসই হয়েছে সেটাই আমাদের Universe.

কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে?
বাইবেল আমাদের উৎসাহিত করে, “সর্ব্ববিষয়ের পরীক্ষা কর।” (১ থিষলনীকীয় ৫:২১) এর অর্থ, ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের ভিত্তি কেবল এগুলোই হওয়া উচিত নয় যেমন,
– আবেগ (আমি মনে করি, অবশ্যই সর্বশক্তিমান কেউ আছেন)
– সংস্কৃতি (আমি এক ধর্মীয় সমাজে বাস করি)
– শিক্ষা (বাবা-মা আমাকে ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে —আমার বাছাই করার মতো কিছু ছিল না)
এর পরিবর্তে, তোমার বিশ্বাসের যুক্তিযুক্ত কারণ থাকা উচিত।

যৌক্তিক। কিন্তু আপনি কি তা করছেন? এতক্ষণ পড়ে তার কোন লেশমাত্র পেলাম না। বরং উল্টোটা দেখলাম।

“ক্লাসে শিক্ষক যখন আমাদের দেহের কাজ সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেন, তখন এই ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহই থাকে না যে, ঈশ্বর আছেন। দেহের প্রতিটা অংশেরই, এমনকী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশেরও নিজ নিজ কাজ রয়েছে আর বেশিরভাগ সময়ই এই কাজগুলো হয়ে থাকে আমাদের অজান্তে। মানবদেহ সত্যিই এত জটিল যে, তা বোধের অগম্য!”—টেরেসা।

“The beauty of biology, really, is the illusion of design,” – Richard Dawkins
“জীববিজ্ঞানের আসল সৌন্দর্য হচ্ছে পরিকল্পনা মনে হবার বিভ্রম।” -রিচার্ড ডকিন্স

“আমি যখন কোনো আকাশচুম্বী অট্টালিকা, বিরাট জাহাজ অথবা গাড়ি দেখি, তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করি, ‘কে এগুলো তৈরি করেছে?’ উদাহরণ স্বরূপ, একটা গাড়ি তৈরি করার জন্য বুদ্ধিমান লোক প্রয়োজন কারণ সম্পূর্ণ গাড়িটা যাতে কাজ করতে পারে, সেইজন্য অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়কে একেবারে সঠিকভাবে কাজ করতে হয়। আর একটা গাড়ি তৈরি করার জন্য যদি একজন ব্যক্তির প্রয়োজন হয়, তা হলে মানুষ সৃষ্টি করার জন্যও একজন ব্যক্তির প্রয়োজন।”—রিচার্ড।

এর উত্তর উপরে একটা জায়গায় দিয়েছি।

“যতই আমি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছি, বিবর্তনবাদকে ততই কম নির্ভরযোগ্য বলে মনে হয়েছে। . . . আমার মতে, ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য যতটা বিশ্বাস প্রয়োজন, বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করার জন্য তার চেয়েও বেশি ‘বিশ্বাস’ প্রয়োজন।”—অ্যান্থনি।

Argument from Incredulity ফ্যালাসি। একটা জিনিষ বুঝতে না পারাই মানে সেটা মিথ্যা হয়ে যাওয়া নয়। আর বিবর্তন তত্ত্ব যদি কোনদিন ভুল প্রমাণ হয়েও যায় এর মানে এইটা নয় যে “নাজিল” তত্ত্ব সঠিক। এটাও একটা False Dilemma।

চিন্তা করার মতো বিষয়
দশকের পর দশক ধরে গবেষণা করার পরও বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদ সম্বন্ধে এমন কোনো উপসংহারে পৌঁছাতে পারেননি, যেটাতে তারা সবাই একমত হতে পারেন। বিজ্ঞানীরা, যাদেরকে বিশেষজ্ঞ বলে মনে করা হয়, তারা যদি বিবর্তনবাদের বিষয়ে একমত হতে না পারেন, তা হলে তোমার জন্য এই মতবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা কী ভুল?

এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। প্রায় সকল বিজ্ঞানীই প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলে বিবর্তনের পক্ষে একমত। বিবর্তন নিয়ে এখনো রিসার্চ হচ্ছে। বিবর্তনের ছোট ছোট দিক নিয়ে হয়ত বিজ্ঞানীরা দ্বিমত পোষণ করেন। কিন্তু তার মানে এই না যে পুরো বিবর্তন তত্ত্বই বাতিল। নিউটনের তত্ত্ব সাবএটমিক পার্টিকেল এর ক্ষেত্রে খাটে না। আইন্সটাইনের জেনারেল রিলেটিভিটিও সকল কিছুর ব্যাখ্যা দিতে পারে না। তাই বলে কি ওই তত্ত্বগুলো বাতিল?

কর্মপরিকল্পনা
কল্পনা করো, একজন সহপাঠী তোমাকে বলল: “আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না। তুমি কি বিশ্বাস করো?” তুমি কী বলবে, তা নীচে লেখো।

আমি ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি না। কারণ কোন প্রমাণ পাই নি।
আপনি?
উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।

12 thoughts on “বিবর্তনতত্ত্ব : কিছু ভুল ধারনা খন্ডন

  • August 18, 2018 at 10:56 AM
    Permalink

    আমিও ঈশ্বরের অস্থিত্ব বিশ্বাস করিনা

    Reply
  • August 19, 2018 at 9:10 PM
    Permalink

    Na ami kono issor ke bissas kori na

    Reply
  • September 14, 2018 at 11:59 PM
    Permalink

    ঈশ্বর যে নেই তার কোন প্রমান নেই
    তাই আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি।

    Reply
    • September 21, 2018 at 10:01 AM
      Permalink

      তাই নাকি?? “বুঙ্গা বুঙ্গা”ও যে নেই তার কোন প্রমাণ নেই। তাহলে সেটাও বিশ্বাস করে নিন।

      Reply
  • September 21, 2018 at 3:52 AM
    Permalink

    I think, Allah exists in my heart and mind.

    Reply
    • September 21, 2018 at 10:10 AM
      Permalink

      Then he is imaginary.

      Reply
      • September 27, 2018 at 4:38 AM
        Permalink

        let us say , it is imaginary

        Reply
  • September 27, 2018 at 4:35 AM
    Permalink

    GOD is there in dictionary

    Reply
  • May 15, 2019 at 8:19 AM
    Permalink

    গাজা খুরি সব যুক্তি .. প্রায় 99.999999999….9999% জায়গাই বসবাস অযোগ্য এর প্রমান কথায় পেলেন ? আফ্রিকাতে প্রায় ২০০,০০০ বছর পূর্বে আধুনিক মানুষের প্রমান পাওয়া যায়.. এত বিশাল সম্যের ভিতর মানুষ থেকে অন্য কনো প্রানিতে রুপান্ত্র হয়েছে কি?

    Reply
    • November 16, 2020 at 12:05 PM
      Permalink

      আধুনিক মানুষের উদ্ভব মাত্র ২৫০০০ বছর আগে,
      এটা বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত আর মানুষের উদ্ভব ২ কোটি বছর আগে, সেখানে ২ লক্ষ বছর তেমন বড় কোনো সময় না।

      Reply
      • March 7, 2021 at 10:15 AM
        Permalink

        কোত্থেকে পেয়েছেন এই তথ্য যে ২৫০০০ হাজার বছর আগে আধুনিক মানুষের জন্ম ? রেফারেন্স দেখাতে পারবেন ?

        Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *