আমি নিজেকে নাস্তিক নামে পরিচয় দিয়ে থাকি। নাস্তিক হওয়ার পেছনে আমার মূলত কয়েকটি বড় অবদান রয়েছে।
২০০৮ এর পূর্ব পর্যন্ত আমি নির্দিষ্ট একটা জাতের সমাজে পরিচয় বহন করেছিলাম, কিন্তু আমি বর্তমানে একজন নাস্তিক। ২০০৮ সালের ১২ই জুন “The buddhism philosophy” বইটি আমি হাতে পেলাম যখন, তখন থেকে বইটি আমি বারংবার পড়তে থাকি, আর আমি ধীরে ধীরে নাস্তিকতার দিকে ঝুঁকে পড়ি।
১৩ বৎসর বয়সে আমি বন্ধুদের থেকে একটু ভিন্নমনা ছিলাম। সবসময় ঈশ্বর বিষয়ে প্রশ্ন করতাম বন্ধদের কাছে, আর ছোটখাট ঝগড়াও লেগে থাকত নানান তর্কে। এটা ছিল আমার একটা জিজ্ঞাসু মন মাত্র। এতে কোন ধর্মকে(প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম) হীনমন্যতা দেওয়া আমার লক্ষ্য ছিল না।
আমি একজন জন্মগত বৌদ্ধ পরিবারেরই সন্তান। যখন আমার বয়স ১০ থেকে ১২ বছরে তখন আমি মনে করতাম বুদ্ধ হচ্ছেন ঈশ্বর, আর তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন পিতৃ-মাতৃর সমবায়ে। সেই শৈশবে একটা বড় অহংকার ছিল, বৌদ্ধ পরিবারে জন্ম হয়েছিলাম বলে, ভাবতাম বৌদ্ধধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মগুলি সব বকধর্ম!
কিন্তু ত্রিপিটক পড়তে গিয়ে দেখলাম, পদে পদে ত্রিপিটক নিজেই স্ববিরোধ।
ত্রিপিটকের স্ববিরোধ বিষয়ে যখন পণ্ডিত বৌদ্ধিকদের কাছে জানতে চইতাম, তখন আমাকে বলা হত- যারা ত্রিপিটকে সন্ধেহ প্রকাশ করে তারা নরকবাসী। পরকালের নানান ধরনের ভয়ভিতি দিত আমাকে, কোন যৌক্তিক বিচার দিতেন না। তাই বিষয়গুলি নিয়ে আমি অনেক সময় হতাস হতাম আমার নাস্তিক বন্ধদের কাছে।
একদিন হটাৎ-
সেদিন ছিল ২০১০ সাল। সাহিত্যিক মাতুব্বর আরজ আলীর লেখা “অনুমান” প্রবন্ধটি পড়ে আমি পুরোপুরি সমাজে নিজেকে নাস্তিক হিসেবে দাবি করি, এতে আমার বাবা-মা আমার প্রতি খুবই ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। সমাজের লোকেরা আমাকে কটাক্ষ করে বলতো- আমি নাকি মার(শয়তান) , দেবদত্ত! এ ভাবে কয়েকটা মাস যায়।
২০১২ এর দিকে এসে আমি মাতুব্বর আরাজ আলীর “রচনা সমগ্র” সহ কয়েকটি বই পড়েছি এবং বিখ্যাত অনলাইন ব্লগার আরিফু ররহমান সহ কিছু মুক্তমনাদের অনলান ভিডিও দেখে; বিশেষ করে সানিউর রহমান, আসিফ মহিউদ্দিন সহ আরো কয়েকজনের ভিডিও দেখে আমি নিজেকে আরো নাস্তিক হিসেবে জোরাল ভাবে গঠন করি। লেখক অভিজিৎ রায়ের লেখা বইগুলি পড়ে সব মিলিয়ে আমার বৌদ্ধধর্মের প্রতি বিরূপ ভাব চলে আসে।
ফলত আমি বৌদ্ধধর্মের প্রতি হতাস হয়ে বৌদ্ধধর্ম হতে বেরিয়ে আসতে ইচ্ছুক হলাম, কিন্তুক পুরোপুরি আমি বেরিয়ে আসতে পারলেও বুদ্ধের দার্শনিক দিকগুলোর একটা বিরাট অংশ আমি সাধুবাদের সহিত শ্রদ্ধা করি, বৌদ্ধধর্মের সমাজ ব্যবস্থার এই দিকটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশ ভালো লাগে।
পরে আমি মাকে আমার বৌদ্ধধর্ম ত্যাগের ব্যাপারটি জানালাম। মা আমাকে ধমক্ দিয়ে থামিয়ে দিলেন, আর বললেন; কেন তুই বৌদ্ধধর্ম ত্যাগ করতে চাস? সাথে সাথে আমি জবাব দিলাম- বৌদ্ধ সমাজে ত্রিপটকের হজবরল দিক গুলি কোন বিচার ছাড়াই কেন আগলে ধরা হয়েছে?
মা প্রত্যজবাবে নিরব দেখালেন।
সেই বারের মত মা আমার উপর অভিমান করে, দু’কটা দিন কথা না বললেও, পরবর্তীতে তা স্বাভাবিকভাবেই হয়ে উঠে। কথাটা বাবার কানেও দিলাম। বাবা শুনা মাত্রই আমার কপুলে কষিয়ে দিল এক চড়। চড় খেয়ে আমি কিয়ৎকন নিরব থাকার পর, জবাব দিলাম আমার এখন বুঝার বয়স হয়েছে; আমি অন্ধ ভাবে আপনার পূর্ব পুরুষদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম মেনে নিতে পারবো না! হটাৎ বাবা একগাল হেসে জবাব দিলেন আমিও সেটাই ভাবচ্ছিলাম বৌদ্ধধর্মে মানবিক দিকগুলি বেশি থাকলেও, এতে স্ববিরোধও কম নয়। সামাজিক কারণ বসত আমি নিরব রয়েছি বললেন বাবা।আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বাবা গন্তব্য পথে চলে গেলেন। অবশ্য অনেক আগেই অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থাদিতে যেমন স্ববিরোধ দেখা মেলে সেইরূপ বাবা নিজেও ত্রিপিটকের স্ববিরোধ সম্বন্ধে বুঝতে পেরেছিলেন, যা সমাজের ভয়ে আড়াল করে রেখেছিলেন।
বৌদ্ধদের সবচেয়ে স্বরণীয়-উজ্জ্বল উৎসবটি হলো “বৈশাখী পূর্ণীমা” এই উৎসবটিতে বৌদ্ধমন্দিরে লোকসংখ্যা তেমনটি দেখা যায় না, কিন্তুক “কঠিনচীবর দান” নামের উৎসবটিই হয়ে উঠে মহাউৎসব বৌদ্ধদের কাছে! তা কেন? বৈশাখী পূর্ণীমার চেয়ে কঠিনচীবর দান উৎসবটি বেশ মূল্যবান হয়ে গেল কেন?
হওয়ারও কথা! কেননা, বৈশাখী পূর্ণীমাতে বৌদ্ধভিক্ষু নামের পুরোহিত বাবুদের কাপরের ব্যাগটি পড়ে থাকে খালি, যদিও বা জুটে পাতেয় নামের কানা-কড়ি শ দোশ টাকা, কিন্তু চীবর দানে সেই পুরোহিত বাবুদের কাপড়ের ব্যাগটি আর কাজে আসে না, কারণ তাঁরা ভোজ্য-ব্যবহার্য এতো বেশী পায় যে, এর জন্য প্রয়োজন দু’চারখনা লাই! মানে বুঝলেন তো? বড় জুড়ি।
আর চিঠির খামে করে পেয়ে যায় কচ্কচে হাজারি নোট দু-পাঁচখানা। এতেই পুরোহিত বাবুরা মহা আনন্দে মসগোলে হয়, কিন্তু ছোট্ট ভিক্ষুরা(যাদের বর্ষাবাস কম) কঠিন চীবরের মাস চলে আসলে খুশিতে হট্ট হলেও, তাঁদের মনের ভেতরের আনন্দটা কিছুটা কম! কারণ তাঁরা পাতেয় নামের টাকা-কড়ি পায় বড়দের তোলনায় কম!!
এখন পাঠকদের কাছে একটি প্রশ্ন ছুড়ে না মারলে আমার মনে হয় ছানি পড়া চোখ ছানিতেই রয়ে যাবে। প্রশ্ন হলো- একই গন্তব্য হতে আসা বড় ভিক্ষু পাতেয় পাবেন বেশি, আর ছোট ভিক্ষুরা পাবেন কম! কেন?
আর আমাদেরই মত রক্তে-মাংসে গড়া মহামতি মানব, বুদ্ধকেই আমি কেনই বা ঈশ্বর ভেবে ভূল করতাম, তা সে সময় বুঝে উঠতে পারিনি।
সেটা বরং আমার দোষ নয়, মূলত দোষটি বৌদ্ধ পুরোহিত বাবুদের, কারণ তাঁদের দেশনায় বৌদ্ধদর্শন উঠে আসে না, যা উঠে আসে তা শুধু গাট্টি ভরার কায়দা কথা, মানে বুঝলেন না- দান ধর্মের কথা, পরলোকের ভয়ভীতি ও ৫০০ অপ্সরা সহ স্বর্গলাভের লোভ দেখানো ভঙ্গি।।
আরও একটি কথা না বললে হচ্ছে না! বলতেই হচ্ছে- যখন দানাংশ কম পড়ে যায়, তখন ভিক্ষুরা একটি ফতোয়া দিয়ে এমন এমন দেশনা জুড়ে দেয়, এতে সাধারণ মানুষ দান না করে যেতেই পারে না। দান না করলে নাকি পরজন্মে ধনী হওয়া যায় না, আর সেই ফতোয়াকে বিশ্বাস করেই ভক্তরা নিজেদের অর্জিত সম্পদাদি পুরোহিত বাবুদের ব্যাংক-ব্যালান্স বৃদ্ধি করে দেয়। বর্তমানের দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখবেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শীল-বিনয়ের ফতোয়া দিলেও, নিজেদের ব্যাংক-ব্যালান্সগুলি কোন বিনয়ে পড়ে?
সেটি অদৌ ভিক্ষুদের জানা আছে কি না তা জানি না!(বিনয পিটক, নিচ্ছেগ্গিয় আপত্ত হতে সংগৃহীত)
পৃথিবীতে চারটি ধর্মের উত্তান প্রবল- ইসলাম, সনাতন, খৃষ্টান ও বৌদ্ধ ছাড়াও রয়েছে নানা ধর্মমত। প্রায় প্রতিটি ধর্মমতেই রয়েছে পূনজন্মের বিধান-বিশ্বাস। কিন্তু বৌদ্ধদর্শনের সার তথ্যে পূনজন্মে রেশ মাত্রই স্ববিরোধ কেন?
রামায়ণ; একালের নাকি সেকালের?
-রামায়ণের রচনা কাহিনীর ভূমিকা চরিত্র রাম। রাম হিন্দদের একজকন অবতার। এ থেকেই প্রমাণিত যে, রামায়ণ কাহিনীটি সেকালের। আনুমানিক কোন কালের? বলাটাই মুশকিল, সেই আদি কালের ভাধি(বুড়া) কথা। সনাতন ব্রাহ্মণ্য কূটনীতি এতই চোর-চতুর যে, এটা ধরা চুঁয়ার বাইরে। ব্রাহ্মণ্য দাদাদের ইতিহাস বিকৃতি ও ইতিহাস চুরির দায় প্রমাণ এই রামায়ণ। যা আজ তথ্যফাঁস। প্রাচীন বৌদ্ধসাস্ত্র সূত্রপিটকের অন্তরগত ‘জাতক’। জাতকের একটি কাহিনী ‘দশরথ'(জাতক নং 469)। এই কাহিনীটি বিকৃতি করেই রচয়িত হয় রামায়ণ, নাকি ব্রাহ্মণ্য কূটপণ্ডিতরা রামায়ন কাহিনী ও উপনিষদের কল্পিত পুনজন্ম মূলক গল্পগুলি জাতক নামে বৌদ্ধ পিটকে সংযোক্ত করেন, যাতে বৌদ্ধদর্শনকে কবজা করে হিন্দুত্বে পরিণত করতে পারে! কি মনে হয় পাঠক আপনাদের?
এ বিষয়েও যথা স্বন্ধেহ রয়েই যায়।
বুদ্ধ বিদ্বেষী এই হিন্দুত্ববাদীরা বুদ্ধকে পরোক্ষ ভাবে গালি দিলেও, পরবর্তিতে বুদ্ধকে অবতার বানিয়ে পূজা করতে থাকে, তাও ছিল একটি অতিকল্পিত পুনজন্ম মূলক সম্পূর্ণ চক্রান্ত মাত্র।
পরজন্ম এমন একটি ধারণা যা কুসংষ্কারই মাত্র, এটি একেবারেই বৌদ্ধদর্শনের অন্তরগত নয়। বৌদ্ধ ইতিহাসে উক্ত তথ্যটির কিছু ছোঁয়া রয়েছে, যা স্ববিরোধী!ঈশ্বরবাদের সহিত আত্মাবাদ, আত্মাবাদের সহিত পূনজন্মের সম্বন্ধ, তেমনি অনিশ্বরবাদের সহিত অনাত্মা, অনাত্মাবাদের সহিত পূনজন্মের কোন সম্বন্ধ থাকতেই পারেনা। তবে বৌদ্ধদর্শনে পূনজন্মের যে আবৃতি করা হয়েছে, তা অন্যমতাদর্শনের সহিত ভিন্ন ও পরম বলে দাবি রাখেন বৌদ্ধরা। আবার কেহ বলেন পরকাল নেই, পাপ-পূণ্যও নাই। কিন্তু বুদ্ধ বলেন- শ্বাশ্বত ও অশ্বাশ্বত এই দুইটি অন্ত ভেবে কেহ লীন, আর কেহ অতি ধাবিত হচ্ছে। মধ্যপথই পণ্ডত-সেব্য। এই মধ্যম প্রতিপদাই”প্রতীত্য-সমুৎপাদ বা কায্যকারণ-প্রবাহ”। পরকাল নেই বলাটা যেমন অসংগত, আছে বলাটাও তেমন অসংগত; বৌদ্ধদর্শন এমন অসংগত ধারণা দেন না, ইহা কায্যকারণ প্রবাহ মাত্র। এই কার্য্যকারণ তথ্যটিকেই বৌদ্ধদর্শনে চরিত্রের পূনজন্ম বলা হয়; অর্থাৎ জীব-জড় সবই পরিবর্তনশীল,অন্য উদয় হয়, অন্য ব্যয় হয়। সুতরাং পরকাল বা পুনজন্ম আছে বা নেই সে বিষয়ক কোন প্রশ্নই উঠেনা। তাই পরজন্মের লোভ কিংবা ভয়ভীতি দেবার কোন কারন বা প্রয়োজন থাকতেই পারে না।
কিন্তু আমাদের বৌদ্ধিকদের ভেতরে বড় একটা অংশ রয়ে গেছে ভক্তিবাদে, তারা যৌক্তিক কোন প্রমাণ সাপোর্ট করতে চায় না, আবার যৌক্তিক কোন প্রমাণ দিতেও পারে না। এ কেমন যৌক্তিক বিচার? নাকি অন্ধত্বকে বরণ করে অন্ধই হয়ে আছেন বৌদ্ধ ভিক্ষু পুরোহিত সহ ভক্ত বাবুরা?
জন্মান্তরবাদের সুস্পষ্ট কোন যৌক্তিক প্রমাণ ত্রিপিটকের(অধ্যয়নাংশ) কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না। সম্ভবত অবতারবাদীরাই জন্মান্তরবাদের সূচনা করেছেন বৌদ্ধদর্শনে, যা একেবারেই চলে না, এ থেকে এখনও বৌদ্ধরা পরজন্মবাদ হতে বেরিয়ে আসতে পারেনি, এর কোন যৌক্তিকতা তারা খোজতেও রাজি নন। বরং গায়ের জোড়েই অন্ধত্বকেই নিয়ে লাপালপি করছেন, ভক্তিবাদেই তারা বুদ্ধকে খোজে পেলেন, কিন্তু অন্যদিকে বৌদ্ধদর্শনে ভক্তিবাদ মোটেও স্বীকার করে না একদল বৌদ্ধজাতি, স্বীকার করে যৌক্তিকতা ও প্রমাণতা।
মোট কথা ত্রিপিটক একটি বিশাল গুচ্ছ সংকলন, যা যুগে যুগে নানা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়ে এসেছে, যার কারণে ত্রিপিটকেই স্ববিরোধ দেখা যায় পদে পদে…!
স্পষ্ট কথা, মহামতি গৌতম বুদ্ধ বলেছেন- গুরু বলেছে বলেই বিশ্বাস করতে হবে এমন কোন কথা নেই, জাতি বলেছে বলেই বিশ্বাস করতে হবে তাও নয়, শাস্ত্রে আছে বলেই মেনে নিতে হবে এমন নয়, আগে বোধগম্য কিনা দেখো, পরীক্ষণ চালাও, গ্রহণীয় হলে গ্রহণ করো যেটা বাস্তবিক কল্যাণকর ও শ্রদ্ধার।
তবে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভক্ত বাবুরা ঈশ্বর-আত্মা নিয়ে অন্যমতাবলম্বীদের সাথে চুলছেড়া যৌক্তিক বিবাদ করলেও, পূনজন্ম নামক কুসংস্কারটিকে আগলে ধরে আছেন অন্ধত্ব ভাবে কেন? এর পেছনে কি কোন স্বার্থ আছে?
এমন বৌদ্ধিকদের যৌক্তক বিচার দেখে কেবল হাসিই পায়…..।
সেই কারণেই সম্ভবত নারীদের পুরুষ প্রার্থনা নামক অতিহীন ব্যবস্থা প্রচলিত করতে পুরুষরা সক্ষম হয়েছে। সুতরাং, এসব কুসংস্কার হতে বেরিয়ে আসার আরো দৃঢভাবে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। আমাদের বৌদ্ধধর্ম বা ত্রিপিটকের গন্ডি হতে বেরিয়ে এসে মুক্তমনের হওয়া উচিৎ।
বৈষম্য আর নয়, নারী-পুরুষ প্রকৃতির।
Leave a Comment