নিষিদ্ধ বই উন্মুক্ত তরবারিতে আসিফ মহিউদ্দীন সম্পর্কে

নিষিদ্ধ 8

বাঙলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ইসলামি জঙ্গি, মৌলবাদী জঙ্গিবাদের অন্যতম গডফাদার, অসংখ্য জঙ্গি হামলার আসামী শাইখুল হাদিস মুফতি মুহাম্মাদ জসিমুদ্দীন রাহমানীর লেখা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি বই উন্মুক্ত তরবারি, যা বর্তমানে যে কোন মানুষের কাছে পাওয়া গেলে সাথে সাথে গ্রেফতার করা হবে, সেই বইতে আমাকে যেকোন মূল্যে কতল করার নির্দেশ সহকারে, পৃথিবীর সকল মুসলমানের কাছে আমাকে জবাই করার আহবান সহকারে আমার সম্পর্কে নির্লজ্জ কিছু মিথ্যাচার করা হয়েছে। জবাই করার আহবান নিয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না, কারণ সেটি তাদের ধর্মের শিক্ষা। মুহাম্মদও একই স্ট্যাইলে সমালোচকদের জবাই করতো। গুপ্ত হত্যা চালাতো। লোক পাঠিয়ে রাতের আধারে মানুষ হত্যা করতো। সেসব নিয়ে বলতে চাচ্ছি না। শুধুমাত্র বইটিতে আমার সম্পর্কে যা লেখা তার জবাব দেয়া জরুরি।

বইটি বাঙলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে ভয়ঙ্কর জঙ্গিবাদী বই বলেই পরিচিত এবং বাঙলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ জিহাদী হওয়ার কারণে শুধুমাত্র তিনটি পৃষ্ঠা নিয়েই এখানে আলোচনা করা হবে। নিষিদ্ধ এই বইটির কোন ডাউনলোড লিঙ্ক দেয়া হবে না। জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেয়া এই বইটিতে কোরআন হাদিস থেকে রেফারেন্স দিয়ে কাফের হত্যা, বুদ্ধিজীবীদের ওপর গুপ্তহত্যা ও আক্রমণ চালানো, সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চালানো, কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে কেয়ামত পর্যন্ত সর্বাত্মক জিহাদ করা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।

কিন্তু আমি যা নিয়ে লেখালেখি করি, সেগুলো এই বইটিতে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয় নি। এই ধরণের জঙ্গি, মোল্লা, মুফতি এবং শাইখুল হাদিসদের প্রতি আমি আহবান জানাই, সঠিক ভাবে আমার বক্তব্য আপনারা তুলে ধরবেন। এরপরে আমাকে কতল করার হুমকি ধামকি যদি দিতে চান, সেটা দিতে পারেন। আপনাদের কতলের হুমকিকে আমি বিন্দুমাত্র পরোয়া করি না। কিন্তু অনুগ্রহ করে আমার খণ্ডিত বক্তব্য আপনারা আপনাদের বইতে ছাপাবেন না। আপনাদের নবী একজন কামুক, লম্পট, এবং লুচ্চা স্বভাবের মানুষ ছিলেন। যার সমস্ত প্রমাণ আমরা এই ওয়েবসাইটে সকল রেফারেন্স সহকারে দিয়ে রেখেছি। সম্ভব হলে সেই সব লেখার বিরুদ্ধে যুক্তি এবং সমালোচনা দিয়ে আমাদের পরাজিত করুন। কিন্তু কল্লা নামিয়ে লাভ নেই। একজন মুক্তমনার কল্লা ফেললে হাজারো তৈরি হবে। আপনাদের চাপাতি আমাদের দমন করতে পারবেন না। যুক্তিকে চাপাতি দিয়ে দমন করা যায় না।

আসুন দেখি, এই কুখ্যাত নিষিদ্ধ বইটিতে আমার সম্পর্কে কী লেখা রয়েছে।

View Comments (3)

Leave a Comment