অপদস্থতার নিদর্শন জিযিয়া | তাফসীরে মাযহারী
আল্লামা কাজী মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ পানিপথী রচিত তাফসীরে মাযহারী কোরানের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ তাফসীর গ্রন্থ। এই গ্রন্থে জিযিয়া সম্পর্কিত সুরা তওবার ২৯ নম্বর আয়াতে কী বলা আছে এবং তার ব্যাখ্যা কী, তা স্পষ্টভাবে বিবৃত রয়েছে। জিযিয়া যে আসলে অপমান, অপদস্থতার নিদর্শন, এবং জিযিয়া কীভাবে গ্রহণ করা হবে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই অধ্যায়টি গুরুত্বপুর্ণ বিধায় “সংশয় – চিন্তার মুক্তির আন্দোলন”- এর পাঠকদের জন্য রেফারেন্স হিসেবে যুক্ত করা হলো। আশাকরি আস্তিক এবং নাস্তিক পাঠকগণ এই রেফারেন্সগুলো উনাদের যুক্তিতর্ক বিতর্কের সময় ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।
শুরুতেই আমাদের জেনে নেয়া জরুরি, জিযিয়া শব্দটির অর্থ কী। অনেকেই জিযিয়া এবং খেরাজকে মিলিয়ে ফেলে জিযিয়াকে ট্যাক্স হিসেবে দাবী করেন। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। খেরাজ হচ্ছে অমুসলিমদের দেয়া কর। কিন্তু জিযিয়া হচ্ছে তাদের বেঁচে থাকার বা নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য দেয়া অর্থ। এই অর্থ দিতে হবে নত অবস্থায়, অপমানিত ভাবে।
এই বিষয়ে তাফসীরে জালালাইনে যা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে, যিজিয়া শব্দটি “জায়া” শব্দ থেকে নিষ্পন্ন অর্থাৎ তুমি মৃত্যুদণ্ডের উপযুক্ত অপরাধী ব্যক্তি। কিন্তু তোমাকে এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে যে, তোমার উপর এ দণ্ড জারি হচ্ছে না এবং দারুল ইসলামে নিরাপত্তার সাথে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তাফসীরে ইবনে কাসীরের এই সম্পর্কিত তাফসীরটিও এখান থেকে পড়তে পারেন। আরেকটি প্রাসঙ্গিক লেখা হচ্ছে, বিবেকের কাঠগড়ায় “জিজিয়া”