আল-হিদায়া – জিহাদ অধ্যায়
ফিকাহ্ শাস্ত্রের জগতে, বিশেষতঃ হানাফি ফিকাহ্র পরিমণ্ডলে আল-হিদায়া একটি মৌলিক ও বুনিয়াদি গ্রন্থ । এক কথায় এ গ্রন্থকে হানাফী ফিকাহ্ শাস্ত্রের বিশ্বকোষ বলা যায়। বহু সংখ্যক মানুষই দাবী করে থাকে, জিহাদের অর্থ হচ্ছে নিজের অন্তরে খারাপের সাথে যুদ্ধ। কিন্তু ইসলামের পরিভাষায় জিহাদ কী এবং কীভাবে তা করতে হবে, তা পরিষ্কারভাবেই আল-হিদায়া গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে। সংশয় ডট কমের পক্ষ থেকে পাঠকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স তুলে দিচ্ছি।
সম্পাদক,
সংশয় – চিন্তার মুক্তির আন্দোলন
মহাপরিচালকের কথা
আল-হিদায়া হানাফী মাযহাবের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ, নির্ভরযােগ্য এবং জনপ্রিয় প্রামাণ্য ফিকাহ গ্রন্থ। এই গ্রন্থের প্রণেতা ইমাম বুরহান উদ্দীন আবুল হাসান আলী ইবনে আবু বকর ৫১১ হিঃ মােতাবেক ১১১৭ খ্রিঃ আফগানিস্তানের মারগীনান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। ৫৯৩ হিঃ মােতাবেক ১১৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। অসাধারণ প্রতিভাধর এই লেখক ছিলেন একাধারে হাফেজে কোরআন, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকীহ এবং নীতি শাস্ত্রবিদ। লেখকের সুদীর্ঘ ১৩ বছরের পরিশ্রমের ফসল এই আল-হিদায়া।
আল-হিদায়া ইসলামী আইন শাস্ত্রের একখানি নির্ভযােগ্য মৌলিক গ্রন্থ। গ্রন্থকার তাঁর এই গ্রন্থখানিতে ইসলামী আইনের বিভিন্ন ধারা ও উপধারায় ক্ষেত্র বিশেষে অন্যান্য ইমামদের মতামত দলীল-প্রমাণসহ উপস্থাপন করেছেন। হানাফী মাযহাবের রায় ও সিদ্ধান্তসমূহ পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করে এসবের সমর্থনে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের এমন সব অকাট্য প্রমাণাদি পেশ করেছেন, যারা হানাফী মাযহাবের সিদ্ধান্ত এবং রায়সমূহই সঠিক, অধিক গ্রহণযােগ্য ও যুক্তিযুক্ত প্রমাণিত হয়েছে। গ্রন্থখানিতে কোথাও ইমাম আবু হানীফা (র), কোথাও ইমাম আবু ইউসূফ (র) এবং কোথাও ইমাম মুহাম্মাদ (র)-এর সিদ্ধান্তকে যুক্তি-প্রমাণসহ প্রাধান্য প্রদান করা হয়েছে।
ইতােপূর্বে আমরা এই গ্রন্থখানির প্রথম বণ্ড বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে পাঠকের হাতে তুলে দিয়েছি। এবার এর দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশ করা হলাে। ভবিষ্যতে গ্রন্থখানির অবশিষ্টাংশের অনুবাদ পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সবশেষে আমি বিজ্ঞ অনুবাদক, প্রাজ্ঞ সম্পাদক, অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ গ্রন্থখানি প্রকাশনার ক্ষেত্রে যারা সাহায্য-সহযােগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ।
মওলানা আবদুল আউয়াল
মহাপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
‘নাস্তিকতাও একধরণের বিশ্বাস বা ধর্ম’ কথাটি ঠিক নয়, কারণ-
স্ট্যাম্প সংগ্রহ করা একজনের শখ। অন্য আরেকজনের নয়। যার নয়, তার ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি না যে, স্ট্যাম্প কালেকশন না করা হচ্ছে তার শখ। বা ধরুন কেউ টিভিতে কেউ কোন চ্যানেল দেখে। যখন কোন চ্যানেল আসছে না, কোন সিগান্যাল আসছে না, সেটাকে আমরা আরেকটি চ্যানেল বলতে পারি না। সেটা হচ্ছে সিগন্যালের অনুপস্থিতি। শূন্য সিগন্যাল। যেমন আলো হচ্ছে সাতটি রঙের মিশ্রণ। আলোর অনুপস্থিতিকে আমরা অন্ধকার বলি। সেটাকে আরেক রকমের আলো বলি না। বা আরেকটি রঙ বলি না।”
একজন অমুসলিম হিসেবে এটা আমার কাছে খুবই বেদনাদায়ক যে ইতিহাসের পাতায় আমরা যাকে নিছকই কর হিসেবে জেনে এসেছি। সেটা আসলে আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হয়েছে।
জিহাদের অর্থ অন্য ধর্মের অনুসারীদের বিরুদ্ধে ইসলামের নিয়ম প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করা।