সূচিপত্র
বর্তমান সময়ে অনেক মুসলিম দাবি করেন যে, কোরআন বলে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। সেই ১৪০০ বছর আগেই কোরআন এই বিষয়ে বলে দিয়েছে, যা বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানীগণ বুঝতে পেরেছে। কিন্তু কোরআনের এ সম্পর্কিত আয়াত গুলো পড়লে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না বরং এর উল্টোটাই দেখা যায়। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন আয়াতে কোরআনে বর্ণিত চাঁদের আলো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সেই আয়াত এবং তার ভিন্ন ভিন্ন অনুবাদ এখানে দেয়া হচ্ছে।
অনুবাদসমূহঃ
অনুবাদসমূহঃ
অনুবাদসমূহঃ
তিনটি আয়াতে যে দুটি শব্দ চাঁদের আলো বর্ণনায় ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো হল আরবি শব্দ “নূর” (যার অর্থ হলো আলো অনেক ক্ষেত্রে আলোর উৎস ) ও “মুনির” যার অর্থ উজ্জ্বল, দীপ্তিমান, জ্যোতির্ময় ( প্রতিফলিত আলো নয় )। এখানে এই শব্দ দুটির কোনটিই চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত আলো হিসাবে ব্যাখ্যা করে না বরং নূর শব্দের দ্বারা এটাই উল্টো প্রমানিত হয় যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। কারণ আল্লাহর ৯৯টি নামের একটি হলো “আন্-নূর” যার অর্থ “আলো”। যা কোনভাবেই প্রতিফলিত আলো হতে পারে না। ২৪ নং সূরা নূর এর অনুবাদকৃত বাংলা নাম “আলো” ও ইংরেজি নাম “The Light.”
“মুনির” শব্দের মাধ্যমে অনেক মুসলিম চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত প্রমান করতে চান। মুনির শব্দের অর্থও কোন ভাবেই প্রতিফলিত আলো না। প্রতিফলিত আলো দাবি করার জন্য নুর বা মুনির শব্দের আগে প্রতিফলিত, ধার করা কিংবা এসম্পর্কিত অর্থে কোন শব্দ থাকা প্রয়োজন যা কোরআনে নেই। সুরা ৭১ নুহ এর ১৬ নং আয়াতে নূর শব্দের আগে থাকা “ফিহিন্না” শব্দের অর্থ (তারমধ্যে বা তারমাঝে) যা মুসলিমদের দাবির বিপক্ষে যায়। মুনির শব্দের অর্থও যে প্রতিফলিত আলো হয় না সেটি সূরা আল-আহযাব ৩৩ এর ৪৬ নং আয়াতের অনুবাদগুলো লক্ষ্য করলেই নিশ্চিত হওয়া যায় যেখানে মুনির শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। মূলত এ আয়াতে নবী মুহাম্মাদকে উদ্দেশ্যে করে আরবিতে বলা হয়েছে “ ওয়া সিরাজান মুনিরা“। উল্লেখ্য “সিরাজ” শব্দের অর্থ বাতি, প্রদীপ বা ল্যাম্প এবং প্রদীপের আলো কখনো প্রতিফলিত আলো হয় না কারন প্রদীপ বা বাতি সরাসরি আলোর উৎস।
অনুবাদসমূহঃ
এ দেশের প্রখ্যাত বাংলা অনুবাদগুলোর মধ্যে কোথাও চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত বা ধার করা আলো বলা হয়নি। অন্যদিকে কোরানের প্রখ্যাত এবং পুরনো ইংরেজি অনুবাদক ( Yusuf Ali, Pickthall, Shakir,Sarwar) সহ কেউই চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত আলো অনুবাদ করেন নি, কিন্তু তুলনামূলক নতুন এবং সাম্প্রতিক অনুবাদক Sahih International তার অনুবাদে “নুর” শব্দের অনুবাদ করেছেন (derived light -10:5) এবং (reflected light – 71:16) যা একটি ভুল এবং অসাধু অনুবাদ। হযরত জাকির নায়েকও একই ধরনের দাবি করেন। তাদের দাবি অনুযায়ী “নুর” শব্দটিকে (Reflected Light) বা প্রতিফলিত আলো অনুবাদ করলে ২৪ নং সুরা নুর এর ৩৫ নম্বর আয়াত এর ইংরেজি অনুবাদ দাড়ায়,
Allah is the (Reflected Light) of the heavens and the earth
বাংলা অনুবাদ দাড়ায়
“আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিফলিত আলো” ( নাউজুবিল্লাহ)।
উল্লেখ্য, Sahih International এই আয়াতে “নুর”কে Reflected Light অনুবাদ করেনি।
এখানে সাধারণ ইসলামি ডিফেন্সে মুসলিমরা বলে যে চন্দ্র ও সূর্যের আলো বর্ণনায় কোরআন পৃথক শব্দ ব্যবহার করেছে যা প্রমান যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই, যা একটি হাস্যকর দাবি কারন শুধুমাত্র চাদেঁর আলো বর্ণনায়ও কোরআন দুটি পৃথক শব্দ ব্যবহার করেছে যা কোনটির অর্থই প্রতিফলিত আলো না। এমনকি এই সম্পর্কিত তিনটি আয়াতের তাফসিরে কোন তাফসির কারক এই দাবি করেননি যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। পাঠকদের সন্দেহ থাকলে এ সম্পর্কিত প্রত্যেকটি আয়াতের তাফসীর যাচাই করে দেখবেন। এত গুলো আয়াতের ভিন্ন ভিন্ন তাফসীরের বর্ণনা দিতে গেলে লেখাটি অনেক বড় হয়ে যাবে তাই দিলাম না।
এবার দেখুন কোরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা প্রমান করে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
অনুবাদসমূহঃ
এই আয়াতের অনুবাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই আয়াতের তাফসির সমুহ।
তাফসীরে ইবনে কাসীর
এ আয়াতের তাফসীরে একটি ব্যাপার খুবই লক্ষনীয় এই যে, সকল তাফসীরকারকগন একমত যে কেয়ামতের পূর্বে চন্দ্রকে জ্যোতিহীন বা আলোকহীন করে নেয়া হবে। পরের আয়াতেই বলা হচ্ছে যে চন্দ্র এবং সূর্যকে একত্রিত করা হবে। তাফসীরকারক বলেছেন সূর্যও আলোকহীন হয়ে যাবে এবং তাদেরকে একত্রে লেপটিয়ে দেয়া হবে বা একত্রিত করা হবে যার বর্ণনা সহিহ হাদীসেও আছে । অর্থাৎ এই আয়াতের তাফসীরে এই বিষয়টি স্পষ্ট যে কেয়ামতের পূর্বে প্রথমে চাঁদকে আলোকহীন করা হবে যা সরাসরি প্রমান করে যে কোরআন অনুযায়ী চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। এখানে কোন ভাবেই মুসলিমরা এটা দাবি করতে পারবে না যে চাঁদ আলোকহীন হবে সূর্যকে আলোকহীন করার মাধ্যমে যেহেতু কোরআন এবং তাফসীর কারকদের ব্যাখা অনুযায়ী সূর্য এবং চন্দ্রকে একত্রিত করার আগেই চন্দ্রকে আলোকহীন করা হবে।
সহীহ্ হাদীস থেকেও প্রমান করা যায় যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (2973)
অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে না। حُسْبَانٌ হল حِسَابٍ শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا এর অর্থ জ্যোতি। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়। نَسْلَخُ আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ এবং وَهْيُهَا এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া। أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে। যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরে أَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে থাকে وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আর سَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
২৯৭৩। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন চন্দ্র ও সূর্য় উভয়কে লেপটিয়ে দেয়া হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
এই হাদিসের ইংরেজি অনুবাদে এই বিষয়টি নিশ্চিত যে কেয়ামতের দিন চন্দ্র এবং সূর্যকে লেপটিয়ে দেওয়া হবে যাতে তাদের উভয়ের আলো নিঃশেষ হয়ে যাবে যা আবার প্রমান করে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে । বাংলা হাদিসের ব্যাখায় হাসান বসরি একইভাবে ব্যাখ্যাটি করেন। উল্লেখ্য এই হাদিসের অনুবাদে “তার জ্যোতি” না হয়ে তাদের উভয়ের জ্যোতি হবে কারন এখানে দুটি বস্তু তথা চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের কথা বলা হচ্ছে । ইংরেজী হাদীসেও উভয়ের কথাই বলা হচ্ছে
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় আরেকটি বিষয় বলা হচ্ছে যে চন্দ্র এবং সূর্য একটির জ্যোতি অপরটিকে ডাকতে পারে না আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এই দাবিটিও প্রমান করে যে চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের জ্যোতি রয়েছে কারন সেটা না হলে চন্দ্রের জ্যোতি সূর্যকে ডাকতে পারে না এ দাবিটি করা হতো না। অন্যদিকে আমরা জানি যে সূর্য তার আলো দিয়ে চাঁদকে ডেকে ফেলে।
বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “নসরুল বারী শরহে সহীহ বুখারী” (খন্ড ৭ পৃষ্ঠা ৩৪৫ পরিচ্ছেদ ১৯৮৮) তে বলা হচ্ছে (চাঁদ সূর্য) উভয়টির আলো অপরটির আলোকে গোপন করতে পারে না আর না তা করা উভয়ের তরে যতাচিত্ত। এই দাবিটিও আগের দাবির মতোই যা প্রমান করে চাঁদের আলো সূর্যের আলোকে গোপন করতে পারে না। অর্থাৎ চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
তাফসীর ইবনে কাসিরের সুরা ইউনুস এর (১০ঃ৫-৬) আয়াতের তাফসিরেও একই রকম দাবী করা হচ্ছেঃ
সুতরাং কোরআন ও হাদীসের চারটি দাবি প্রমান করে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
লেখকঃ হানিফ বিন আজিজ
প্রাসঙ্গিক লেখাঃ ‘কুরআন ১৪০০ বছর আগেই জানিয়েছে, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই’
আধুনিক বিজ্ঞান, সমাজ ও নীতিনির্ধারণের জগতে ‘প্রমাণ-ভিত্তিক সত্য’ আজকের মানদণ্ড হলেও, সত্য বলতে কেবল যা…
চার্লস ডারউইন কেবল একজন বিজ্ঞানী ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে ভাবনার ধরন বদলে…
সপ্তম শতকের মরু আরবের মৌখিক সংস্কৃতি থেকে শুরু করে একবিংশ শতকের ডিজিটাল বিতর্ক পর্যন্ত -…
মানব সম্পর্কের গভীরে লুকিয়ে থাকা কিছু আদিম সত্য আর জটিল সমীকরণ নিয়ে বিজ্ঞান ও নৃতত্ত্বের…
ভূতের ভয় আসলে আমাদের মস্তিষ্কেরই এক জটিল খেলা, যা বিবর্তন, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত।…
এক পরম দয়ালু ও সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পৃথিবীতে কেন এত অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের অস্তিত্ব? হাজার বছর ধরে…
View Comments
১. চাঁদের আলো এবং সূর্যের আলো বুঝাতে আল্লাহ কেন ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করলেন?
২. আরবি ব্যাকরণ গত ভাবে মুনীর এবং নূর এই দুটি শব্দের উৎপত্তি স্থল শব্দ কোনটি এবং আরবি একটি শব্দের কি শুধুমাত্র দুই-তিনটি অর্থ থাকে নাকি একাধিক অর্থ থাকতে পারে?
অবশ্যই আরবী ব্যকরণ এর সাহায্যে এই শব্দদুটির অর্থ গুলো আমাদের সামনে পরিষ্কার করবেন। ভুল করেও ইংরেজি ট্রান্সলেশন অথবা বাংলা অনুবাদের কোন রেফরেন্স দিবেন না। কারন অনুবাদকরা তাদের প্রয়োজনমতো মানানসই শব্দ ব্যবহার অনুবাদ করে থাকেন। আরবি শব্দের একাধিক অর্থ থাকে এবং থাকাটাই স্বাভাবিক & সব জায়গায় সব অর্থ গ্রহণযোগ্য হয় না।
শুধু একটি উদাহরণ দেবো। যেমন ধরুন, আব্দুল মান্নান ভাইয়ের হাত অনেক লম্বা তার সাথে শত্রুতা করা ঠিক হবে নাহ্।
এখানে 'হাত' শব্দের করতে কি সেটা আশা করি বুঝিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আশা করি আমার পয়েন্ট দুটির যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা দেবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
মুমিন তো মুমিনই হয়। এত প্রখ্যাত অনুবাদক,তাফসিরকারক সবকিছু তুলে ধরা হল তারপরও ত্যানা।
একই শব্দ যেটা এক জায়গায় Noun আবার আরেক জায়গায় Adjective + Noun বুঝায় একটা উদাহরণ দেখান তো ইংরেজি বাংলা যেই ভাষায় হোক।
যেমনঃ
১। Hand (noun) = হাত,
২।আবার Hand (Noun) = Left (Adjective) Hand (Noun)
২য়টা কখনও খুঁজে পাবেন না।
আপনাদের স্বয়ং মোহাম্মদ কবর থেকে উঠে আসেও যদি বলে যে আমি তখন মিথ্যা বলছিলাম তারপরও মানবেন না!
আমার বুদ্ধি কতটুকু এই পোস্ট দেখেই বোঝা যায় আপনারা কাছে কোনো গ্রামারের বুদ্ধি নেই, আপনার কাছে Have যেমন ঠিক তেমনই I Have সমান, আন নুর আর নুর এর মধ্যে এরাবিক গ্রামার এর পার্থক্য টুকু দেখেন, আর মুনির আর মুনিরা দুটোই আলাদা অর্থে ব্যবহৃত হয়। do you have a pen?
I Have a Pen এখানে Have অর্থ একই, কিন্তু দুটি ব্যাবহার হয়েছে অন্য অর্থে। আর বাংলা বা ইংরেজির সঙ্গে এরাবিক মেলাবেন না, এরাবিক ব্যাকরণ পড়ুন তরপর অর্থ নিয়ে চর্চা করবেন