প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের প্যারাডক্স: ইসলামিস্টদের বিভাজন

Print Friendly, PDF & Email

ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলাম বেশ আগে, “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের ফলাফল কিন্তু প্যারাডক্সিক্যাল হতে পারে, ভেবে দেখেছেন কি ?” খুব কম মানুষই এটির অর্থ বুঝতে পেরেছিলেন। তখন বইমেলায় এই কিতাবের অভাবনীয় সাফল্য নিয়ে ইসলামিস্ট ভাইরা মিষ্টি বিতরণ করায় ব্যস্ত। কিন্তু এই সাফল্যের হাসির স্থায়িত্ব দেখলাম খুবই ক্ষণস্থায়ী। এই কিতাব যাদের “দাঁত ভাঙ্গা জবাব” দেয়ার জন্য লেখা, সেই সব নাস্তিক মুরতাদদের চাইতে বরং ইসলামিস্ট ভাইরা একে কেন্দ্র করে একে অপরের দিকে বন্দুক তাক করে আছেন। আসুন, এই ঘটনার তাফসীর বিশ্লেষণ করা যাক।

সম্ভবত, বিতর্কের সুত্রপাত “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ টাইপের বই কি সবার পড়া উচিৎ?” এই শিরোনামে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে, যেটি লিখেছেন একজন ইসলামি ব্যাক্তিত্ব, যার ফেসবুকে ফলোয়ার আছেন প্রায় দশ হাজার আর উনার পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ২০০ বার এবং প্রায় সাড়ে চারশো মন্তব্য পড়েছে। বুঝতেই পারছেন এতে এমন কিছু উনি বলেছেন যা নিশ্চয়ই মুমিন সমাজকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। উনার পোস্ট পুরোটাই নিচে দিয়ে দিলাম রেফারেন্সে হিসাবে। উনার বক্তব্যেই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের প্যারাডক্স লুকিয়ে আছে। উনার মুল বক্তব্যটির সাথে আমি একমত।

বাংলাদেশের শতকরা আশি ভাগ মুসলিম হাদিস, কোরান, সিরাতের যে সব বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মুক্তমনা আর ইসলামিস্ট ভাইরা বিতর্ক করেন সেই বিষয়ে অজ্ঞ। উনারা জানেনই না যে সুরা বাকারার ২২৩ নং আয়াতে বলা আছে “তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।” এটাকে আপনি যতই নবি মুহাম্মাদের পিছন দিক দিয়ে নারী সঙ্গমের (Doggy style) বৈধতা দানকারী আয়াত বা একজন কৃষকের কাছে তার জমি খুব প্রিয় আর সে চাইলে লম্বালম্বি বা আড়াআড়ি ভাবে চাষ করতে পারে এসব বলে বুঝান, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে দেখেছি, বেশিরভাগ সাধারন মুসলমান এতে কানে আঙ্গুল দেন, তাদের কাছে প্রিয় নবি যে Doggy style এ সঙ্গমের জন্য বলেছেন এতেই বিব্রত বোধ করেন। বানু কুরাইযার গণহত্যার উদাহরণটি চিন্তা করুন, যে মুমিন মুসলমান জীবনে জানতো না যে তার পেয়ারা নবি এক দিনে প্রায় ৯০০ আত্মসমর্পণ করা অসামরিক (non-combatant) ইহুদী হত্যা করেছিলেন। তাকে যতই কথিত চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে যে পুরো গোত্রের পুরুষদের কতল করা বড়ই মানবিক এটা বুঝানোর চেষ্টা করুন না কেন, বেচারার মনে যে দয়ার নবির এত কালের চিত্র আঁকা ছিল তা অনেকটাই সঙ্কটে পড়ে যাবে। যে মুমিন মুসলমান এত দিন নবির সেই পথে কাঁটা বিছানো ইহুদী বুড়ির বানানো গল্পে বিশ্বাস করে এসেছে তার কাছে এক দিনে ৯০০ ইহুদী জবাই করার ইতিহাসটা হজম করা দুষ্করই বটে। আর ঠিক এই জাতীয় মাল মশলাই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ তুলে দিচ্ছেন সাধারন মুসলমানদের হাতে।

বিপদের এখানেই শেষ নয় বরং শুরু মাত্র। বাংলাদেশে নাস্তিক-মুরতাদের সাথে যদি সংখ্যাগতভাবে ধার্মিকদের অনুপাত করা হয় তাহলে প্রতি ১০-২০ লক্ষ ধার্মিকের বিপরীতে একজন নাস্তিক-মুরতাদ পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। তার উপর এই দুই পক্ষের খেলার মাঠ নাস্তিকদের জন্য বৈরি, দেশের সরকার, আইন, সমাজ সবই তাদের বিরুদ্ধে, চাপাতি, কিতাল পার্টি আর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কথা না হয় নাই বললাম। অপর দিকে একটি শিশু জন্মের পর থেকে তার কানে আযান দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়, কবরে নামার আগ পর্যন্ত তার জীবনে নানা মাধ্যমে নানারূপে ননস্টপ ধর্মীয় প্রচার চলতেই থাকে। কোন রেডিও, টিভি , টক শোতে কারোর ঘাড়ে দুটি মাথা নেই যে সরাসরি ইসলামের সমালোচনা করতে পারে বা নাস্তিকতার পক্ষে বলতে পারে । এই সবই ইসলামিস্ট দের পক্ষে। হাতে গোনা গুটি কয় নাস্তিক-মুরতাদ এক রকম লুকিয়ে চুরিয়ে অন লাইন সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু কথা বলার সুযোগ পাওয়াতে ইসলামিস্ট ভাইদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এমতাবস্থায়, প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়ে যদি সাধারন মুমিন মুসলমান অনুসন্ধিৎসু হয়ে ওঠে আর হাদিস, কোরান, সিরাতের ব্যাপারে মুক্তমনাদের কথা শুনতেও আগ্রহী হয়ে ওঠে , ওদেরকে কি দোষ দেওয়া যায়? আর কে না জানে, নিষিদ্ধ গন্দম ফলের প্রতি আকর্ষণ সেই আদমের আমল থেকে। কাজেই, এই অসমতল প্রতিযোগিতার মাঠে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ মোটামুটি নাস্তিক-মুরতাদদের জন্য বিনে পয়সায় বিজ্ঞাপনের মত।

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের ব্যাপারে একজন ইসলামি ব্যাক্তিত্বের পোস্ট

“প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ টাইপের বই কি সবার পড়া উচিৎ?
বিষয়টি নিয়ে লিখব কি না মনস্থির করতে পারছিলাম না। তাছাড়া মানসিকভাবে বিতর্ক এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু ভাই বিষয়টি নিয়ে লেখার আবেদন করেছেন। যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে পরামর্শ হিসেবে কয়েকটি কথা বলব। কারও সুনাম-সুখ্যাতি নষ্ট বা ব্যবসায়িক ক্ষতি করা এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়।
১। হযরত মাওলানা আব্দুল মালিক সাহেব দা:বা: এর একটি আলোচনা থেকে শিক্ষাটা আমি নিয়েছি। এবং ব্যক্তিগতভাবে আমল করার চেষ্টাও করছি। হুজুরের বক্তব্যের সারাংশ ছিল, সাধারণ মানুষের সামনে ইসলাম বিরোধী যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করে খন্ডন করার প্রচেষ্টা মূলত: কারও হাত-পা ভেঙে জোড়া লাগানোর মত। এক্ষেত্রে সমূহ সম্ভাবনা আছে যে, তার হাত-পা ভাঙবে ঠিকই, কিন্তু জোড়া লাগবে না। সাধারণ মানুষের সামনে ইসলাম বিরোধী অভিযোগ উপস্থাপন করলে কয়েকটি সম্ভাবনা রয়েছে।
ক। লোকটি অভিযোগটি সম্পর্কে আগে জানত না; নতুনভাবে জানল।
খ। অভিযোগটি তার অন্তরে গেথে গেল, কিন্তু উত্তরটি সে হ্রদয়ঙ্গম করতে পারল না। অথবা উত্তরদাতার অযোগ্যতার কারণে সঠিক উত্তরটি তুলে ধরতে পারল না।
গ। অভিযোগ ও উত্তর দু’টিই সে হ্রদয়ঙ্গম করেছে এবং এসব বিষয়ে সে অন্যের সাথে বিতর্ক শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ হওয়ার কারণে সে বিতর্কে হেরে গেল অথবা বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করল।
উপরের সবগুলি বিষয় সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় তার ইমান চলে যাওয়ার আশংকা থাকে।
২। ব্লগিং, ফেসবুকে লেখালেখি বা ইউটিউবের কল্যাণে আমরা অনেক মেধাবী মুখ দেখছি। সবারই উপকার হচ্ছে। তবে একটা বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সবাই কিন্তু সব বিষয়ে এক্সপার্ট না। কোন বিষয়ে ভাল করা আর সে বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়া কিন্তু এক নয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে দু’টিকে একাকার করে ফেলি। জেনারেল থেকে আসা যেসব ভাইয়েরা দ্বীনি বা দাওয়াতি বিষয়ে কাজ করছেন, তারা কিন্তু দ্বীনি বিষয়ে এক্সপার্ট না। তাদের ভুল করার সম্ভাবনা খুবই বেশি। আর বাস্তবেও তারা অনেক মোটা মোটা বিষয়ে ভুল করে থাকেন ব্যসিক না জানার কারণে। এজন্য নন-এক্সপার্টদের কাছ থেকে দ্বীনি বিষয়ে ইলম নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা কাম্য।
৩। বেশ কয়েক বছর আগে আমার চোখের সামনে একটা মারাত্মক ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন আমি চিন্তিত ছিলাম। দীর্ঘ সময় নিয়মিত নামাজ রোজা করা একটা ছেলে হঠাৎ নাস্তিক হয়ে যায়। তার নাস্তিকতার কারণ নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি। নীচের বিষয়গুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে।
ক। অল্প বয়সে কোরআন, হাদীস, সাইন্স, লজিক সহ নানা বিষয় নিয়ে মাথা ঘামান। অথচ সে মেচিউরড ছিল না। কোন বিষয়ে তার পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান ছিল না। এক্সপার্টিজ তো অনেক পরের বিষয়।
খ। নিজে এক্সপার্ট না হয়ে দাওয়াত শুরু করা। অন্যকে রিফিউট করার চেষ্টা করা।
গ। কোন সময় এক্সপার্টদের স্মরণাপন্ন না হওয়া।
ডাক্তার জাকির নায়েকের লেকচার শুনে অথবা সাজিদ সিরিজের বই পড়ে কেউ যদি এধরণের পরিস্থিতির স্বীকার হোন, তাহলে অবশ্যই তার এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
৪। কোরআন হাদীসের পাশাপাশি এসব বিষয়ের লেখক বা বক্তাদের প্রচুর লজিক ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় হল, অনেকেই এ বিষয়ে পড়া-শোনা করেন না। তারা তর্কশাস্ত্র, ফিলোসফি, ইলমুল কালাম ইত্যাদির জ্ঞান অর্জন না করে যুক্তি উপস্থাপন করেন। একারণে তাদের অনেক যুক্তি বাস্তবে যুক্তির মানদন্ডে উত্তীর্ণ হয় না। এগুলো যে কেউ ইজিলি রিফিউট করতে পারবে। অনেক সময় যুক্তিগুলো হাস্যকর হয়ে যায়। এজন্য প্রত্যেকটা বিষয়ের এক্সপার্টিজ প্রয়োজন।
সর্বশেষ বিষয় হল, ইসলামের সকল বিষয় বিজ্ঞান বা যুক্তির ছাচে ফেলানোর পদ্ধতিটাই গলদ। এই প্রচেস্টার কোন ভবিষ্যত নেই। ইসলাম অবশ্যই বিজ্ঞান ও যুক্তির উর্ধ্বে। এই বাস্তবতা থেকে সরে গিয়ে শুধু যুক্তির মাধ্যমে ইসলাম প্রচার কিংবা বিজ্ঞান অনুগামী দাওয়াত আহলে সুন্নতের মানহাজ নয়।
আহলে সুন্নত মানকুল (কোরআন-হাদীস) ও মা’কুলের (যুক্তি) সমন্বয়ের কথা বলেন। গাইরে মা’কুলকে (যুক্তির উর্ধ্নে) কোরআন-সুন্নাহর অনুগামী বানাতে বলেন। কিছু বিষয় আছে, এগুলো মানুষের চিন্তাশক্তি ও যুক্তির উর্ধ্নে। এসব বিষয়ে শুধু ইমান আনতে হবে। এগুলো যুক্তিগ্রাহ্য হওয়া জরুরি নয়। এগুলোকে যুক্তির অনুগামী বানাবার চেষ্টা করাটাও ভুল।
ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের জবাব দেয়া অবশ্যই দ্বীনের অনেক বড় খিদমত। তবে এসব বিষয়ে শরীয়তের জ্ঞান অনেক জরুরি। শুধুমাত্র শরয়ী সম্পাদনা যথেষ্ট নয়। জেনারেল থেকে আসা ভাইদেরকে আমি আশংকামুক্ত মনে করি না। আর সাধারণ মানুষকে তাদের বই পড়ার উৎসাহ দেই না। কিছু মোটা মোটা ভুল চোখে পড়েছে। এখানে সেগুলো আলোচনা করাটা অপ্রয়োজনীয়।
এই টাইপের বইগুলো ওষুধের মত। শুধুমাত্র রোগীরা খাবে। আবার সব রোগী এক ওষুধ খাবে না। ভাল মানুষের খাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। উপরের লেখা থেকে কোন ইসলাম-বিদ্বেষীর খুশি হওয়ার কিছু নেই। কিছু বিষয় ছাড়া আমার এই লেখার সাথে দ্বিমত করার যথেষ্ট সুযোগ আছে।”

ইসলামি শিবিরে পাল্টা প্রতিক্রিয়াঃ

উপরের পোস্ট এর প্রতিক্রিয়ায় ইস্লামিস্ট ভাইরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে বই মেলায় প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের সাফল্যে যারা এতক্ষণ বগল বাজাচ্ছিলেন তারা এবার মাথা চুলকে ভাবতে থাকলেন , তাই ত, এভাবে ত ভেবে দেখিনি ? কি হইতে কি হইল? এর প্রতিক্রিয়াগুলো পড়ে মোটামুটি দুটি ধারা দেখতে পাওয়া যায়। এক দল পোস্টকারি ইসলামি ব্যাক্তিত্বকে এই বলে অভিযুক্ত করছেন যে উনি জনাব আরিফ আজাদের এই নাস্তিক বিরোধী মহতী উদ্যোগের শুধুই সমালোচনা করছেন এবং এটি করার আগে উনার উচিৎ ছিল কোন আকিদা বা মানহাজ গত ত্রুটি থাকলে তা নিয়ে আরিফ আজাদের সাথে কথা বলা। আরেক পক্ষ পোস্টকারীর পক্ষে মত দিয়েছেন। এক জন সালাফি ভাইয়ের কমেন্ট থেকে বুঝতে পারলাম আরিফ আজাদ একজন জামাতি দলের সদস্য কাজেই উনার মধ্যে বিভিন্ন আকিদাগত ভুল থাকায় উনার লেখাটি পরিত্যাজ্য। (পোস্টটি পরে ডিলিট করা হয়) । গতকাল পোস্টকারী ইসলামি ব্যাক্তিত্বকে উদ্দেশ্য করে একজন অন লাইন ইসলামিস্ট বেশ কড়া ভাষায় একটি লাইভ ভিডিও করেছেন যার লিঙ্ক তথ্যসূত্রে উল্লেখ করব(1)। কিতাবটিকে কেন্দ্র করে ইস্লামিস্ট ভাইদের বিভক্তিটি কি জামাতি বনাব নন-জামাতি ইসলামিস্টদের কিনা সেটা সঠিক ভাবে নিরূপণ করা দুষ্কর, তবে সব জামাতিরা আরিফ আজাদকে সমর্থন করেছেন। কিছুদিন আগে আরেকজন অন লাইন ইসলামিস্ট তাকে মুরজিয়াহ ট্যাগ লাগানোর অভিযোগ তুলেছেন সালাফি বা কিতাল পার্টির বিরুদ্ধে। সুন্নি ইসলামের নানা বিভাজন নিয়ে,একে অপরকে কাফির ফতওয়া দেওয়া (তাকফির) বিষয়ে লিঙ্কের ভিডিওটি দেখলে সুন্নি ইসলামের এই সব বিভাজনের কারন সম্পর্কে আরও ভালভাবে অনুধাবন করতে পারবেন(2)। ইসলামের বিভিন্ন বিতর্কিত দিককে কেও যুক্তি, কেও বিজ্ঞান বা দর্শন দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা বহুকাল ধরেই চলে আসছে কিন্তু এগুলোর ফলে গোঁজামিল বেড়েছে বই কমেনি, আরও বেশী প্যানডোরার বাক্স খুলেছে। তাই লক্ষ্য করে দেখলাম সকল সালাফি স্কলার ইসলামের ক্ষেত্রে যুক্তিবিদ্যা বা দর্শনচর্চাকে মোটামুটি হারাম ঘোষণা করেছেন আর ইসলামের ব্যাপারে যে মূলনীতিটি দিয়েছেন তা হল ঃ বিলা কাইফা অর্থাৎ ধর্মের বিষয়গুলি বিনা প্রশ্নে মানতে হবে। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের প্যারাডক্স বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই।

তথ্যসূত্রঃ

  1. প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের ইসলামি সমালোচনার জবাবে অন্য ইসলামিস্টের ফেসবুক লাইভঃ হুজুরের চুলকানি
  2. মুরজিয়াহ বিতর্ক ও সুন্নি ইসলামে বিভাজন

লেখকঃ সুবচন

shubochon

A free thinking human being and humanist

3 thoughts on “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের প্যারাডক্স: ইসলামিস্টদের বিভাজন

    • March 15, 2019 at 11:58 AM
      Permalink

      পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভ কামনা।

      Reply
  • February 2, 2021 at 3:38 AM
    Permalink

    আরিফ আজাদ সমীপে নামে কোন বই বের করেছেন আপনারা?

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *