গৌতম বুদ্ধ ভারদ্বাজকে প্রশ্নের মাধ্যম উত্তর দিলেন, দেবতা আছেন কী? এরূপ জিজ্ঞাসিত হয়ে দেবতা আছেন বলে যিনি বলেন, আর অবশ্যই বিদিত হয়ে ‘আমার বিদিত আছে যিনি এরূপ বলেন; অতঃপর বিজ্ঞপুরুষের এক্ষেত্রে একান্তই নিষ্ঠাবান হওয়া উচিত যে, ‘দেবতা আছেন’।”
এক্ষেত্রে গৌতম স্বীকার করে নিলেন? কিন্তু পাঠকের প্রশ্ন কোন দেবতা? সেটি পরবর্তীতে গৌতম বুদ্ধ একদম স্পষ্ট করেন।
গৌতম বুদ্ধের উত্তরে ভারদ্বাজ বললেন “কেন, ভবৎ গৌতম! আপনি আমাকে প্রথমেই বর্ণনা করেন নাই?”
পুণঃরায় গৌতম বুদ্ধ বললেন, “ভারদ্বাজ! ইহা জগতে সুপ্রসিদ্ধ ও সর্বজন সম্মত যে “উৎপত্তি দেবতা আছেন।”
তাহলে এই সূত্রে ভগবান বুদ্ধ স্পষ্ট করে দিলেন উৎপত্তি দেবতা আছেন। উপরের দেবতার সংজ্ঞানুযায়ী উৎপত্তি দেবতাই হল সৃষ্টিকর্তা। এ বিষয়টি বৌদ্ধরা অস্বীকার করলে তা কি ত্রিপিটক বা বুদ্ধের অবমাননা নয়? যেখানে গৌতম বুদ্ধ সরাসরি স্পষ্ট করেছেন সৃষ্টিকর্তা বা উৎপত্তি দেবতা যা মহাব্রহ্মা নামে প্রথম পর্বে উপস্থাপন করেছি। তাহলে কীভাবে বৌদ্ধ ধর্ম নাস্তিক্য হতে পারে তার বিচার পাঠকেরাই করবেন।
রেফারেন্সঃ
(১) ত্রিপিটক, সূত্ত পিটকে মধ্যম নিকায়(২য় খন্ড) অনুবাদক পন্ডিত শ্রীমৎ ধর্ম্মাধার মহাস্থবির, মহাসঙ্গারব সূ্ত্র (৪৮৫ নং, পৃষ্ঠা নং ৩৪১)
লিখেছেনঃ Sina Ali
Leave a Comment