কুরআন এবং ভ্রূণের বিকাশঃ নুতফা পর্যায়

নুতফা

ভূমিকা

মুসলিমদের বিশ্বাস অনুযায়ী, তাদের ধর্মগ্রন্থ ‘কুরআন’ স্বয়ং তাদের ঈশ্বর আল্লাহর বাণী এবং সেই কারণে তাতে কোনোরূপ ভুল থাকতে পারেনা। তারা বিশ্বাস করেন, কুরআন পুরোপুরি নির্ভুল একটি গ্রন্থ এবং তাতে কোনোরূপ কোনো সমস্যা নেই। মুসলিমরা মনে করেন, কুরআনে ভুল আছে বলে মানুষ যা বলে থাকেন তা আসলে তাদের বুঝার ভুল। একজন মুসলিম হতে হলে আপনাকে অবশ্য তাই বিশ্বাস করতে হবে, তাই ভেবেই নিজের বিশ্বাসকেই সত্য বলে নিজেকে বুঝ দিতে হবে। তবে বাস্তবতার দিক থেকে বললে, কুরআনে বেশকিছু ভুল পাওয়া যায় এবং সেইসব ভুল সমূহকে ইসলাম প্রচারকরা “বুঝার ভুল” বলে যেসব ব্যাখ্যা সমূহ দেন সেইসব ব্যাখ্যা সমূহকে আবার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নিরীক্ষা করলে তাতেও প্রচুর অসততা, ভুল উপস্থাপন এবং মিথ্যা বর্ণনা পাওয়া যায়। কুরআনে যতো ভুল আছে তার মধ্যে কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনার ভুল সমূহ সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে। অতীতে ইসলামের সমালোচকেরা কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনার মধ্যে ভুল দেখিয়েছিলেন, ইসলাম প্রচারকেরাও সেসব ভুলের জবাব দিয়ে কুরআনকে নির্ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, আবার ইসলামের সমালোচকেরাও সেইসব জবাবের অসততা দেখিয়ে ইসলাম প্রচারকদের জবাব দিয়েছেন।

এবিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে, বিতর্ক হয়েছে, সব মিলিয়ে বিষয়টি অনেক আলোচিত একটি বিষয়। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, কুরআনে ঈশ্বর মানব ভ্রূণের পর্যায় থেকে পর্যায়ে অবস্থার পরিবর্তন বর্ণনা করেছেন এবং সেই বর্ণনা আধুনিক বিজ্ঞানের প্রমানিত তথ্যের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। ইসলাম প্রচারকেরা কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনা নির্ভুল প্রমাণ করার জন্য ভ্রূণ বিকাশ বিষয়ক আয়াত সমূহের কোনো শব্দের অর্থ বিকৃত করে এমন অর্থ দাঁড় করান যা প্রখ্যাত কোনো তাফসীর এবং ডিকশনারিতে পাওয়া যায় না, আবার ডিকশনারি থেকে কোনো শব্দের বিকল্প অর্থ গ্রহণ করে সেই অর্থ দিয়ে ভ্রূণের বিকাশ বিষয়ক আয়াত সমূহ পুনরায় ব্যাখ্যা করে আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্য সমূহের সাথে সংগতিপূর্ণ প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, তবে দুঃখজনক ব্যাপার এই যে, সেইসব ব্যাখ্যা সমূহকে আবার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নিরীক্ষা করলে তাতেও প্রচুর অসততা খুঁজে পাওয়া যায়। ইসলামের সমালোচকদের সমালোচনার বিরুদ্ধে ইসলাম প্রচারকদের জবাব সমূহ পড়ে সাধারণ মুসলিমরা সাধারণত মনে করেন ইসলামের সমালোচকেরা ভুল বলেন, কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনায় কোনো অসংগতি নেই, ইসলাম ১৪০০ বছর আগেই মানব ভ্রূণের বিকাশ সঠিকভাবে বর্ণনা করেছে। কারণ তারা নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে ইসলামের সমালোচকদের সমালোচনার বিরুদ্ধে ইসলাম প্রচারকদের জবাব সমূহ যাচাই করে দেখেন না, বিচার বিবেচনা করে দেখেন না যে ইসলাম প্রচারকদের ব্যাখ্যা সমূহ কতটুকু গ্রহণযোগ্য কতটুকু যুক্তিযুক্ত। যা তাদের বিশ্বাসের পক্ষে যায় তাই তাদের কাছে যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তব মনে হয় আর যা তাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায় তাই তাদের কাছে ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হয়। কারণ ছোটবেলা থেকে মেনে আসা বিশ্বাসের প্রতি ভালোবাসা কিংবা দূর্বলতার কারণে তারা তাদের বিশ্বাসের পক্ষে যাওয়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণই যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তবতা বলে বিশ্বাস করতে স্বস্তি বোধ করেন। আশাকরি, প্রবন্ধটি যারা পড়ছেন তারা নিজের প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি দূর্বলতা নিয়ন্ত্রণ করে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে পড়বেন এবং যাচাই-বাছাই করার পরেই সিদ্ধান্ত নিবেন।

কুরআনের ভ্রূণতত্ত্বের প্রসারণ ইসলামী দাওয়াতের একটি অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় যখন অমুসলিম চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ড. কিথ মুর এবং ড. মরিস বুকাইলির বই প্রকাশিত হয়৷ তারা তাদের বইতে কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনা নির্ভুল প্রমাণ করতে যে সকল দাবি তুলে ধরেন সেইসব দাবিই ড. জাকির নায়েক, হারুন ইয়াহিয়া এবং অন্যান্য অনেকেই পুনরাবৃত্ত করেন। যাইহোক, এই লেখাটির উদ্দেশ্য কেবল কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনার সমস্যা তুলে ধরা এবং কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনার সমর্থনে বিভিন্ন ইসলামিক ওয়েবসাইট এবং ইসলাম প্রচারকদের মিথ্যা, ন্যায়বিরুদ্ধ এবং অপ্রমাণিত দাবি সমূহের অসারতা তুলে ধরা।

কুরআনের ভ্রূণতত্ত্ব বিষয়ক আয়াতসমূহ

কুরআনের সেই সকল আয়াত নিচে উল্লেখ করা হল যেই সকল আয়াত ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনা প্রদান করে :

23:12
আমিতো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মাটির উপাদান হতে।
23:13
অতঃপর আমি ওকে বীর্য রূপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে।
23:14
পরে আমি বীর্যকে পরিণত করি রক্তপিন্ডে, অতঃপর রক্তপিন্ডকে পরিণত করি মাংসপিন্ডে এবং মাংসপিন্ডকে পরিণত করি অস্থিপঞ্জরে; অতঃপর অস্থিপঞ্জরকে ঢেকে দিই মাংস দ্বারা; অবশেষে ওকে গড়ে তুলি অন্য এক সৃষ্টি রূপে; অতএব নিপুণতম স্রষ্টা আল্লাহ কত কল্যাণময়!
22:5
হে মানুষ! পুনরুত্থান সম্বন্ধে যদি তোমরা সন্দিহান হও তাহলে  (জেনে রেখ),  আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মাটি হতে, তারপর বীর্য হতে, এরপর জমাট বাধা রক্ত থেকে, তারপর পূর্ণাকৃতি অথবা অপূর্ণাকৃতি মাংসপিন্ড হতে; তোমাদের নিকট ব্যক্ত করার জন্য। আমি যা ইচ্ছা করি তা এক নির্দিষ্ট কালের জন্য মাতৃগর্ভে স্থিতি রাখি, তারপর আমি তোমাদেরকে শিশু রূপে বের করি, পরে যাতে তোমরা পরিণত বয়সে উপনীত হও; তোমাদের মধ্যে কারও মৃত্যু ঘটানো হয় এবং তোমাদের মধ্যে কেহকে কেহকে প্রত্যাবৃত্ত করা হয় হীনতম বয়সে, যার ফলে তারা যা কিছু জানত সেআ সম্বন্ধে তারা সজ্ঞান থাকেনা। তুমি ভূমিকে দেখ শুস্ক, অতঃপর তাতে আমি বারি বর্ষণ করলে তা শস্য শ্যামল হয়ে আন্দোলিত ও স্ফীত হয় এবং উদগত করে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ।

বিশ্লেষণ

কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনা নিয়ে এযাবৎ অনেক মুসলিম অ্যাপোলজিস্ট লেখালেখি করেছেন যাদের উদ্দেশ্য ছিলো কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনাকে নির্ভুল প্রমাণ করা, অনেক ইসলামিক ওয়েবসাইটে এবিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনায় কোনো ভুল নেই। আমি এই প্রবন্ধে কেবল নুতফা পর্যায় নিয়ে আধুনিক ইসলাম প্রচারকদের ব্যাখ্যা সমূহের জবাব তুলে ধরবো। 

নুতফা পর্যায়

কুরআন অনুযায়ী, মাতৃগর্ভে ভ্রূণ বিকাশের প্রথম পর্যায়টি হলো নুতফা পর্যায়। ‘নুতফা’ শব্দটি দ্বারা ‘সামান্য পরিমাণ তরল’ বোঝায়। (1) অর্থ্যাৎ, কুরআন অনুযায়ী, এই পর্যায়ে ভ্রূণ কেবলই ‘সামান্য পরিমাণ তরল’। এই ‘সামান্য পরিমাণ তরল’ হলো বীর্য, এই পর্যায়ের ভ্রূণ কেবলই সামান্য পরিমাণ বীর্য।

ভ্রূণ এমনকিছু নয় যাকে ‘তরল পদার্থ’ বা ‘সামান্য পরিমাণ তরল’ বা ‘বীর্য’ বলা যায়। একটি ভ্রূণ কখনোই সামান্য পরিমাণ তরল হতে পারে না। একটি ভ্রূণ তার বিকাশের কোনো পর্যায়েই সামান্য পরিমাণ তরল নয় বা সেরকম কিছুতে পরিণত হয় না।

কুরআনের বর্ণনায় পুরুষের শুক্রাণু, নারীর ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু ডিম্বাণুর মিলন থেকে ভ্রূণ গঠন হওয়ার কথা আসেনি। কুরআন যার বাণী সে শুক্রাণু ডিম্বাণুর ব্যাপারে কোনো ধারণা রাখতেন কিনা তারও কোনো চিহ্ন নেই।                     

মুসলিম অ্যাপোলজিস্টদের দাবি, ‘নুতফা’ শব্দটির অর্থ শুক্রাণুও হতে পারে, আবার ডিম্বাণুও হতে পারে।

সূরা আল-ইনসানের ২ নং আয়াত বলে, আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ‘নুতফাতিন আমশাজ’ থেকে। ‘আমশাজ’ শব্দটির অর্থ ‘মিশ্রণ’, ‘নুতফাতিন আমশাজ’ মানে ‘মিশ্র নুতফা’। অ্যাপোলজিস্টদের দাবি, এই আয়াতে ‘নুতফাতিন আমশাজ’ দ্বারা জাইগোট বা ভ্রূণকোষ বোঝানো হয়েছে, যা একটি শুক্রাণুর সাথে একটি ডিম্বাণুর মিলন থেকে গঠিত হয়।

76:2
اِنَّا خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ اَمۡشَاجٍ ٭ۖ نَّبۡتَلِیۡہِ فَجَعَلۡنٰہُ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا ﴿۲﴾
ইন্না-খালাকানাল ইনছা-না মিন নুতফাতিন আমশা-জিন নাবতালীহি ফাজা‘আলনা-হু ছামী‘আম বাসীরা
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি "নুতফাতিন আমশাজিন" থেকে তাকে পরীক্ষা করার জন্য, এজন্য তাকে করেছি শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী।

এবারে আসুন দেখি, ‘নুতফা’ শব্দটি নিয়ে মুসলিম অ্যাপোলজিস্টদের ধারণা সমূহ কতটুকু সঠিক, কতটুকু গ্রহণযোগ্য। প্রথমেই জেনে নেওয়া প্রয়োজন, ‘নুতফা’ শব্দটির প্রকৃত অর্থ কি। ‘নুতফা’ শব্দটির সংজ্ঞায় বিখ্যাত আরবী ডিকশনারি লিসান আল-আরব কি বলে সেটা তুলে ধরছি, পাশাপাশি তুলে ধরছি তার লিপ্যন্তর এবং সঠিক অনুবাদঃ

লিপ্যন্তর : ওয়া আল-নুতফা ওয়া আল-নুতাফা: আল-কালীল মিন আল-মা’আ, ওয়াকীলা: আল-মা’আ আল-কালীল ইয়াবকা ফি আল-কিবরাহ, ওয়া কীলা: হিয়া কাল-জুর’আহ ওয়া লা ফি’আলা লিল-নুতফা।
ওয়া আল-নুতফা আল মা’আ আল-কালীল ইয়াবকা ফি আল-ড্ডালু; আন আল-লিহায়ানি আয়ডান, ওয়া কালা: হিয়া আল-মা’আ আল-সাফী, কাল্লা আও কাথার।
অনুবাদ : এবং “নুতফা” এবং “নুতাফা”: সামান্য পরিমাণ পানি। এবং একে বলা হয়: ভিস্তিতে অবশিষ্ট সামান্য পানি। এবং একে বলা হয়: এটি একটি ডোজের মতো এবং “নুতফা” শব্দের কোনো ক্রিয়াপদ নেই।
এবং “নুতফা” হল বালতিতে অবশিষ্ট সামান্য পরিমাণ পানি। লেহায়ানিও বললেন: এটি বিশুদ্ধ পানি, সামান্য কিংবা অনেক।

সংজ্ঞাটির কিছু কীওয়ার্ড অর্থসহ উল্লেখ করা হলোঃ

১) মা’আঃ পানি (2)

২) কালীলঃ একটি সামান্য পরিমাণ। (3)

অতএব, ‘নুতফা’ শব্দটির লিসান আল-আরব ডিকশনারি প্রদত্ত সংজ্ঞার সঠিক অনুবাদ হলো, “সামান্য পরিমাণ পানি এবং একে বলা হয়ঃ বালতিতে অবশিষ্ট সামান্য পরিমাণ পানি।”

কেউ যদি বলে, “কালীল” শব্দটি “একটি একক কণা” বোঝাতে পারে, তাহলে সে ভুল। আরবীতে “একটি একক কণা” অর্থ হবে, “আল-কাতারা আল-ওয়াহিদা”। (4)

‘নুতফা’ কে একটি শুক্রাণু/ডিম্বাণু/জাইগোট বলাটা এক গাদা বালিকে একটি একক বালুকণা বলার মতোই হাস্যকর। ‘একটি একক পানি কণা’ বা ‘একটি পানি অনু’ কে কোনোভাবেই ‘বালতিতে অবশিষ্ট সামান্য পানি’ বলা যায় না। কেননা, ম্যাক্রোস্কোপিক বা দৃশ্যমান সামান্য পরিমাণ পানি কোনোভাবেই একটি পানি অনুর সমতুল্য নয়, যা ন্যানোস্কোপিকও নয়।

‘নুতফা’ শব্দটির ব্যাপারে লিসান আল-আরব আরও কিছু তথ্য তুলে ধরে (5) যা মুসলিম অ্যাপোলজিস্টদের ভুল প্রমাণ করেঃ

অনুবাদ : “… এবং হাদিসে: তিনি তার সহচরদের বলেন: ওজুর জন্য কি পানি আছে? তখন একজন ব্যক্তি একটি বদনায় করে “নুতফা” নিয়ে আসেন; এটি দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন “সামান্য পানি”। এবং বীর্যকে (মানি) তার সামান্য পরিমানের জন্য “নুতফা” বলা হয়। এবং দৈববাণী: সে কি বীর্যের সামান্য পরিমাণ ছিল না? (কুরআন ৭৫:৩৭)

লিসান আল-আরব ‘নুতফা’ কে বিশেষভাবে খালি চোখে দেখা যায় এমন পরিমাণ পানি হিসেবে বর্ণনা করে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয়, প্রখ্যাত অভিধানটি বলে, বীর্য (মানি) কে ‘নুতফা’ বলা হয় তার সামান্য পরিমাণের জন্য। সবচেয়ে বড় কথা হলো, লিসান আল-আরবে এমন কোনো ইংগিত পাওয়া যায় না যা থেকে অনুমান করা যায় যে ‘নুতফা’ শব্দটি শুক্রাণু/ডিম্বাণু/জাইগোট বোঝাতে পারে।

এবার আসুন দেখি, আরবের লোকেরা ‘নুতফা’ শব্দটি দ্বারা কি বুঝতো। এই হাদিস দুটি খুব পরিষ্কারভাবেই প্রমাণ করে যে আরবরা ‘নুতফা’ শব্দটি দ্বারা কি বুঝতোঃ         

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৩২। পড়ে থাকা বস্তু পাওয়া (كتاب اللقطة)
হাদিস নম্বরঃ ৪৪১০
باب اسْتِحْبَابِ خَلْطِ الأَزْوَادِ إِذَا قَلَّتْ وَالْمُؤَاسَاةِ فِيهَا ‏‏ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الْيَمَامِيَّ – حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، – وَهُوَ ابْنُ عَمَّارٍ – حَدَّثَنَا إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ فَأَصَابَنَا جَهْدٌ حَتَّى هَمَمْنَا أَنْ نَنْحَرَ بَعْضَ ظَهْرِنَا فَأَمَرَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَمَعْنَا مَزَاوِدَنَا فَبَسَطْنَا لَهُ نِطَعًا فَاجْتَمَعَ زَادُ الْقَوْمِ عَلَى النِّطَعِ قَالَ فَتَطَاوَلْتُ لأَحْزُرَهُ كَمْ هُوَ فَحَزَرْتُهُ كَرَبْضَةِ الْعَنْزِ وَنَحْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً قَالَ فَأَكَلْنَا حَتَّى شَبِعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ حَشَوْنَا جُرُبَنَا فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَهَلْ مِنْ وَضُوءٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ بِإِدَاوَةٍ لَهُ فِيهَا نُطْفَةٌ فَأَفْرَغَهَا فِي قَدَحٍ فَتَوَضَّأْنَا كُلُّنَا نُدَغْفِقُهُ دَغْفَقَةً أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً ‏.‏ قَالَ ثُمَّ جَاءَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةٌ فَقَالُوا هَلْ مِنْ طَهُورٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ فَرِغَ الْوَضُوءُ ‏”‏ ‏.‏
বাংলায়ঃ আহমাদ ইবনু ইউসুফ আযদী (রহঃ) ….. সালামাহ্ (রহঃ) তার পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক যুদ্ধে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের মধ্যে খাদ্যের অভাব দেখা দিল। অবশেষে আমাদের কিছু সওয়ারীর বাহন যাবাহ করার কথা ইচ্ছা করেছিলাম। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশে আমরা আমাদের খাদ্যদ্রব্য একত্রিত করলাম। আমরা একটি চামড়া বিছালাম এবং তাতে লোকদের খাদ্যদ্রব্য জমা করা হল। বর্ণনাকারী বলেন, আমি সেটির প্রশস্ততা অনুমান করার জন্য দাঁড়ালাম এবং আমি আন্দাজ করলাম সেটি একটি ছাগল বসার স্থানের সমান। আর আমরা সংখ্যায় ছিলাম চৌদ্দশ’।
রাবী বলেন, আমরা সকলেই তৃপ্তির সাথে খেলাম। তারপর আমাদের নিজ নিজ খাদ্য রাখার থলে পূর্ণ করে নিলাম। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওযুর জন্য কি পানি আছে? বর্ণনাকারী বলেন, এক ব্যক্তি তার পাত্রে সামান্য পানি নিয়ে এগিয়ে এল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা একটি বড় পাত্রে ঢেলে দিলেন। এরপর আমরা চৌদ্দশ’ লোক সকলেই তার থেকে পানি ঢেলে ঢেলে ওযু করলাম। তারপর আরো আটজন লোক এসে বলল, ওযুর জন্য কি পানি আছে? তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওযুর পানি সমাপ্ত হয়ে গেছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩৬৯, ইসলামিক সেন্টার ৪৩৬৯)

গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে (كتاب الطهارة عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ১১৩
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَسْتَيْقِظُ فَيَرَى بَلَلاً وَلاَ يَذْكُرُ احْتِلاَمًا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ الْخَيَّاطُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، هُوَ الْعُمَرِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يَجِدُ الْبَلَلَ وَلاَ يَذْكُرُ احْتِلاَمًا قَالَ ‏”‏ يَغْتَسِلُ ‏”‏ ‏.‏ وَعَنِ الرَّجُلِ يَرَى أَنَّهُ قَدِ احْتَلَمَ وَلَمْ يَجِدْ بَلَلاً قَالَ ‏”‏ لاَ غُسْلَ عَلَيْهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ تَرَى ذَلِكَ غُسْلٌ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ إِنَّ النِّسَاءَ شَقَائِقُ الرِّجَالِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ حَدِيثَ عَائِشَةَ فِي الرَّجُلِ يَجِدُ الْبَلَلَ وَلاَ يَذْكُرُ احْتِلاَمًا ‏.‏ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ إِذَا اسْتَيْقَظَ الرَّجُلُ فَرَأَى بِلَّةً أَنَّهُ يَغْتَسِلُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَحْمَدَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ إِنَّمَا يَجِبُ عَلَيْهِ الْغُسْلُ إِذَا كَانَتِ الْبِلَّةُ بِلَّةَ نُطْفَةٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَإِذَا رَأَى احْتِلاَمًا وَلَمْ يَرَ بِلَّةً فَلاَ غُسْلَ عَلَيْهِ عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ
বাংলায়ঃ আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল যে, সে ঘুম হতে জেগে ভিজা দেখতে পাচ্ছে কিন্তু স্বপ্লদোষের কথা মনে করতে পারছে না। তিনি বললেন, সে গোসল করবে। অপর এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল যে, তার স্বপ্নদোষ হয়েছে কিন্তু বীর্যপাতের কোন আলামাত দেখতে পাচ্ছে না। তিনি বললেনঃ “তাকে গোসল করতে হবে না।” উম্মু সালামা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন স্ত্রীলোক যদি এমনটি দেখতে পায় (স্বপ্লদোষ হয়) তবে তাকে কি গোসল করতে হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, স্ত্রীলোকেরা পুরুষদেরই অংশ। —সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (২৩৪)।

প্রথম হাদিসে, ‘নুতফা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ‘সামান্য পানি’ বোঝাতে।

দ্বিতীয় হাদিসে, ‘নুতফা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ‘বীর্য’ বোঝাতে। অর্থ্যাৎ, প্রকৃতপক্ষেই ‘নুতফা’ শব্দটি দ্বারা বীর্য বোঝায়।

মুসলিম অ্যাপোলজিস্টদের দাবি, ‘নুতফা’ শব্দটি দ্বারা কেবল ‘বীর্য’ বোঝাতে পারে না, কেননা সূরা আল-ক্বিয়ামাহের ৩৭ নং আয়াতে ‘নুতফা’ শব্দটি ‘মানি’ (বীর্য) শব্দটি থেকে আলাদাভাবে এসেছে। তাদের মতে, যেহেতু সূরা আল-ক্বিয়ামাহের ৩৭ নং আয়াত বলে, “সে কি নির্গত বীর্যের ‘নুতফা’ ছিলো না?”, সেহেতু ‘নুতফা’ শব্দটি দ্বারা বীর্য নয়, বরং বীর্যের সামান্য অংশ বা উপাদান বুঝায়।

75:37
اَلَمۡ یَکُ نُطۡفَۃً مِّنۡ مَّنِیٍّ یُّمۡنٰی ﴿ۙ۳۷﴾
আলাম ইয়াকুনুতফাতাম মিম মানিইয়িইঁ ইউমনা
সে কি নির্গত বীর্যের “নুতফা” ছিল না?

এটা যে সূরা আল-ক্বিয়ামাহের ৩৭ নং আয়াতের একটি অপব্যাখ্যা ছাড়া কিছুই না, সেটা উপরের আলোচনা থেকেই পরিষ্কার।

লিসান আল-আরব বলছে, “বীর্যকে ‘নুতফা’ বলা হয় তার সামান্য পরিমাণের জন্য। আর কুরআন বলে, সে কি নির্গত বীর্যের ‘নুতফা’ ছিলো না?”

অতএব, একাডেমিক ডিকশনারি প্রদত্ত তথ্য সমূহের আলোকে সূরা আল-ক্বিয়ামাহের ৩৭ নং আয়াতের সবচেয়ে সঠিক এবং গ্রহণযোগ্য অনুবাদটি হলোঃ “সে কি নির্গত বীর্যের সামান্য পরিমাণ ছিলো না?”

আপনি এখন প্রশ্ন করতেই পারেন, যদি ‘নুতফা’ কেবলই বীর্য হয়ে থাকে, তাহলে কুরআন কেন ‘মানি’ শব্দটি ছাড়াই কেবল বলে না যে, ‘নুতফা’ নির্গত হয়? হ্যাঁ, কুরআন তা বলে।

53:46
مِنْ نُطْفَةٍ إِذَا تُمْنَىٰ
মিন নুতফাতিন ইযা-তুমনা।
'নুতফা' থেকে যখন নির্গত করা হয়।

সূরা আস-সাজদাহের ৮ নং আয়াত ব্যবহার করেও অ্যাপোলজিস্টরা একটি দাবি উপস্থাপন করেন।

32:8
ثُمَّ جَعَلَ نَسۡلَہٗ مِنۡ سُلٰلَۃٍ مِّنۡ مَّآءٍ مَّہِیۡنٍ ۚ﴿۸﴾
ছুমমা জা‘আলা নাছলাহূমিন ছুলালাতিম মিম মাইম মাহীন।
তারপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।

অ্যাপোলজিস্টরা বলেন, ‘নুতফা’ শব্দটি কেবলই বীর্য বোঝাতে পারে না, কেননা কুরআন অনুযায়ী, ‘নুতফা’ হলো ‘এক তুচ্ছ তরলের নির্যাস’। তাদের দাবি, ‘বীর্যের নির্যাস’ স্বয়ং ‘বীর্য’ থেকে আলাদা, বীর্যের কিছু উপাদান।

আসুন দেখি, প্রখ্যাত আরবী-ইংরেজি ডিকশনারি Lane’s Lexicon আরবী শব্দ ‘ছুলালাহ (নির্যাস)’ কে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করেঃ (6)

Lane’s Lexicon এর বর্ণনায়, “an extract of a thing” বা কোনোকিছুর নির্যাস মানে “The clear or pure part…of a thing” বা কোনোকিছুর পরিষ্কার বা খাঁটি অংশ। অর্থ্যাৎ, প্রখ্যাত আরবী-ইংরেজী ডিকশনারি Lane’s Lexicon অনুযায়ী, তুচ্ছ পানির নির্যাস বা বীর্যের নির্যাস মানে তুচ্ছ পানির খাঁটি অংশ বা বীর্যের খাঁটি অংশ। আরও পরিষ্কার অর্থে বলতে গেলে বলতে হয়, “ক এর নির্যাস” মানে ক এর খাঁটি অংশ।

বীর্যের নির্যাস মানে যে স্বয়ং বীর্য নয়, বরং বীর্যের কিছু উপাদান, তার কোনো প্রমাণ নেই।     

আপনি এখন এই প্রশ্নটি করতেই পারেন যে, “কুরআন কেন “নির্যাস” শব্দটির ব্যাবহার না করে বললো না যে, মানুষকে এক তুচ্ছ তরল থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে?” এই প্রশ্নের উত্তর হল, হ্যা কুরআন বলে, কুরআনের আয়াত ৭৭:২০ এ কুরআন এই কথা বলেছে।

77:20
اَلَمۡ نَخۡلُقۡکُّمۡ مِّنۡ مَّآءٍ مَّہِیۡنٍ ﴿ۙ۲۰﴾
আলাম নাখলুককুম মিম মাইম্মাহীন।
আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি দিয়ে সৃষ্টি করিনি?
77:21
فَجَعَلۡنٰہُ فِیۡ قَرَارٍ مَّکِیۡنٍ ﴿ۙ۲۱﴾
ফাজা‘আলনা-হু ফী কারা-রিম মাকীন।
অতঃপর তা আমি রেখেছি সুরক্ষিত আধারে

কুরআনের আয়াত ৭৭:২০-২১ অনুযায়ী, এক তুচ্ছ পানি (যাকে আরবী শব্দ “মা’ইন” দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে) একটি সুরক্ষিত আঁধারে স্থাপিত হয়। এই আয়াতটি কুরআনের আয়াত ২৩:১৩ এর অনুরূপ, যা বলে “নুতফা” একটি সুরক্ষিত আঁধারে স্থাপিত হয়। এই বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে তোলে যে, কুরআনে “নুতফা” শব্দটি দ্বারা বীর্য বুঝানো হয়েছে।

23:13
ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَكِينٍ
ছুমমা জা‘আলনা-হু নুতফাতান ফী কারা-রিম মাকীন।
অতঃপর আমি তাকে বীর্য রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।

সুতরাং, তথ্যপ্রমাণের আলোকে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতেই পারিঃ

  1. আরবী শব্দ ‘নুতফা’ দ্বারা ‘সামান্য পরিমাণ তরল’ বা ‘বীর্য’ বোঝায়।
  2. সূরা আল-ইনসানের ২ নং আয়াতে ‘নুতফাতিন আমশাজ’ দ্বারা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন তরলের মিশ্রণ বোঝানো হয়েছে।
  3. কুরআনের ভ্রূণ বিকাশের নুতফা পর্যায়ে ভ্রূণ কেবলই সামান্য পরিমাণ তরল। আর একটি ভ্রূণকে কখনোই ‘সামান্য পরিমাণ তরল’ বলা যায় না। এটা কুরআনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক ভুল।

তথ্যসূত্রসমূহ

পরবর্তী পর্বঃ কুরআন এবং ভ্রূণের বিকাশ: আলাকাহ পর্যায়

আরও পড়ুনঃ

View Comments (8)

  • ধার্মিকরা এসব বিশ্বাস করবে না। তারা বলবে কোরানে উপমার সাহায্যে অনেক কিছু বলা হয়েছে। সেকালে পর্যাপ্ত মেডিকেল নলেজ ছিল না বলে প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ধার্মিকরা এ যুক্তি দিলে কি বলবেন?

  • এ ব্যাপারে এই লেখাটি পড়া যেতে পারেঃ
    “কুরআন কি মানুষের সৃষ্টিতত্ত্ব ও ভ্রূণবিদ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়?”
    https://www.muslimmedia.info/2017/07/28/skepticism-sries-does-quran-give-correct-info-about-creation-and-embryology

  • হ্যাঁ বুঝলাম কুরআনে ভুল আছে কিন্তু নবী মোহাম্মদ বা আল্লাহ এই ধারণাটা কোথায় থেকে পেল?

  • Marufur Rahman Khan, আপনার লেখায় বেশ কিছু ত্রুটি আছে যা বোঝার এবং জানার স্বল্পতার কারণে হয়েছে। আপনার জন্য এটা খুবই ভালো হবে যে অতিসত্বর ই আপনি ভাই মুশফিকুর রহমান মিনারের লেখা- "কুরআন কি মানুষের সৃষ্টিতত্ত্ব ও ভ্রূণবিদ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়?”
    https://www.muslimmedia.info/2017/07/28/skepticism-sries-does-quran-give-correct-info-about-creation-and-embryology
    মনোযোগের সাথে গুরুত্বসহকারে পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন ‌। সেটা অবশ্যই নিরপেক্ষ মনে। আশা করি আপনি প্রকৃত সত্যটা বুঝতে পারবেন।

    • আপনি যে লেখাটা আমাকে পড়তে বলছেন সেটা আপনি নিজেই পড়েননি। পড়লে জানতেন যে, লেখাটা মুশফিকুর রহমান মিনারের লেখা নয়। আপনি নিজে আগে লেখাটা পড়ে দেখুন, তারপর আমার এই লেখাটা আবার পড়ুন (ধরে নিচ্ছি আগেই একবার পড়েছেন), তারপর নিজেই সিদ্ধান্ত নিন।

      আর আপনার সাজেস্ট করা লেখাটা অনেক আগেই পড়েছি, এখানে নতুন কিছুই নেই, যা আছে সব পুরানো দাবি, খণ্ডিত দাবি।

  • আপনার লেখাটি সরাসরি wikiISLAM থেকে কপি করা, তাড়াতাড়ি তার উত্তর দিতে যাচ্ছি, ""ইন শা আল্লাহ""

    • উইকিইসলামের কোন লেখা থেকে সরাসরি কপি? লেখাটার লিংক দেন!

  • যিনি এই বিষয়ে লেখালেখি করেছেন সে কি জানেনা canada torando university professor Dr.Keith L Moore তার ভ্রুণ বিষয়ে কি বলেছিলেন,,,,তিনি বলেছিলেন কোরআনের কথা আর আধুনিক ভ্রুণ বিজ্ঞানের কথা পুরটাই ১০০% মিল আছে,,,আমি একটা পরামর্শ দিব যারা এই কমেন্ট পড়ছেন তারা সেই বিজ্ঞানীর কথা গুলি নেটে চেক করে নিবেন,,,,,তাহলে আরো বিস্তারিত বুঝতে পারবেন এই সব ফালতু আর্টিকেল থেকে,,,,আর এই বিষয়ে উইলিয়াম ক্যাম্বেলের সাথে জাকির নায়েকের যে লেকচার টা আছে তা শুনে নিবেন,,,,,তাহলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে

    :সার ফ্রান্সেস ব্রেকন বলেন: বিজ্ঞান সম্পর্কে কম জ্ঞান একজন মানুষকে করে তোলে নাস্তিক তবে বিজ্ঞান সম্পর্কে বেশিজানলে এক সর্বশক্তিমান ইশ্বরকে বিশ্বাস করবে

Leave a Comment