বর্বর ইসলাম ও বাংলায় বর্বরতার সুচনা নিয়ে দু একটা কথা।

Print Friendly, PDF & Email

বর্তমান বিশ্বে ইসলাম মানেই একটা আতংকের নাম, মানবসভ্যতা ধ্বংশের প্রতীক। ইসলামের বর্বরতা এতটাই আকাশচুম্বী যা ভাষায় বর্ণনাতীত। এই ধর্মের ছোঁয়া যেখানেই লেগেছে সেখানেই ধ্বংসস্তূপ আর হাহাকারে বাতাস ভারী হয়েছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকাল ছিল লাশের স্তুপের উপর। “জোড় করে ধর্মান্তরিত নতুবা হত্যা” এই নীতির মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তির ধর্ম নামের বর্বরতা। বিশ্বের যে ভাগে ০.১% হলেও ইসলাম পৌঁছেছে, সেখানেই শুরু হয়েছে হিংস্রাত্মক তছনছ। আল্লাহ ও মোহাম্মদের নামে শুরু করেছে গনহত্যা। শান্তির ধর্ম ইসলাম যেখানেই পৌঁছেছে সেখানেই অশান্তি আর সহিংসতার চরম রুপ ধারন করেছে। আল্লাহ আকবর বলে গনহারে হত্যা, গত ৫০ বৎসরে যত গনহত্যার ইতিহাস শুনেছি সবগুলোতেই নাম এসেছে ইসলামি সন্ত্রাসীদের। কখনো বা হাত পিছনে বেধে হলায় ছুরি বসিয়ে জবাই করেছে আবার কখনোও বা সারিবদ্ধভাবে একসাথে গুলি করে মেরেছে আর হত্যার সময় একই শব্দ: আল্লাহু আকবর! আল্লাহু আকবর। রেহাই পায়নি কোন কেউই এই বর্বর ইসলামের হিংস্রাত্মক থাবা থেকে। বিস্তর করে দেখলে স্পষ্টত পরিলক্ষিত হবে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর পারিপার্শ্বিক অবস্থা। গন্ডির ভিতর থেকে ভাবলে সবকিছু স্বাভাবিক মনেই হতে পারে, বের হয়ে এসে তীক্ষ্ণভাবে দেখলে বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই সামনে আসবে না।

সৌদি আরব দিয়েই শুরু করা যাক। ১৯৭৯ সালের নভেম্বর ২০ তারিখে সৌদি গ্র‍্যান্ড মসজিদ আটক, মক্কার আল হারামের উপর হামলা চালায় এবং ঘোষনা করে যে ‘মাহাদী(ইসলামের মুক্তিদাতা), তাদের নেতাদের  একজন হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। মোহাম্মদ আব্দুল্লাল আল কাহতানী  তার অনুগত হওয়ার জন্য আহবান জানায়” ফলশ্রুতিতে ২৪৪ জনের মৃত্যু ও প্রায় ১৮০ জনের উপরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।  প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানি ও ফ্রেঞ্চ কমান্ডো ও সৌদি স্পেশাল ফোর্সেরর যৌথ সহযোগিতায় অবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়। আক্রমণকারীরা নিজেদেরকে ‘আল ইকওয়ান’ বলে উল্লেখ করে যারা নিজেদেরকে পশ্চিমের ধর্মতত্ত্ব বলে মনে করে।

১৯৮১ সালের ২৯ নভেম্বর সিরিয়ায় ‘আজবাকিয়া বোম্বিং’ যা সিরিয়ার কেন্দ্রীয় দামেস্কের  ঘনবসতিপূর্ণ আল-আজবাকিয়ায় ঘঠে। বিস্ফোরণটি বাগদাদ স্ট্রিটের একটি স্কুলের সামনে হয়, তিনটি পাঁচতলা এপার্টমেন্ট ভবন ধ্বংস করে যার থাবানলে ২০০ এর অধিক সামরিক ও বেসামরিক প্রাণহানি হয়। পরবর্তীতে মুসলিম ব্রাদারহুড নিজেই এই বোমাহামলার দায়ভার স্বীকার করে নেয়।

১৯৮৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর কুয়েতে বোমাবর্ষণের দায়ভার কার, যা ছয়টি বিদেশী ও দুটি কুয়েতি দুতাবাসে ঘঠেছিল। প্রকৃত ধ্বংসের থেকেও বেশী ক্ষতি হতে পারত, যা ত্রুটিপূর্ণ বোম্বিং এর কারনে হয়ে উঠে নি তাও প্রাণহানি ঘঠেছিল ৫ জনের যাদের মধ্যে ৪ বিদেশী কর্মী ছিল। যার দায়ভার ‘ইসলামিক জিহাদ” নামের একটি গ্রুপ স্বীকার করেছিল। এমনকি একই গ্রুপ পুর্ববর্তী আমেরিকান দুতাবাস(এপ্রিল) এবং আমেরিকা-ফ্রেন্স এম.এন.এফ হেডকুয়ারটারস(অক্টোবর) এর উপর হামলাগুলোর দায়ভার স্বীকার করে।

একই দশকের ১৯৮৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে আমেরিকান দুতাবাসে বোমাবর্ষণ এবং ২৫ জনের মৃত্যু। ১৯৮৫ সালের ২১ জানুয়ারি, ইন্দোনেশিয়ায় বৌদ্ধ মন্দিরে, একই সালের ১২ই এপ্রিল স্পেনের মাদ্রিদে একটি রেস্টুরেন্টে বোমাবর্ষণ এবং মৃত্যু ১৮ জনের, জুনের ১৪ তারিখ গ্রিসের ট্রান্স ওয়ার্লড এয়ারলাইন্স(ফ্লাইট ৮৪৭) হাইজাক, ২২ জুলাই ডেনমার্কের কোপেনহেগেনেে দুইটি বোমাবর্ষণ হয় যার একটি ছিল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কাছে। সবকিছুর মুলে কে ছিল, শান্তিপ্রিয় ধর্মান্ধরা? কি উদ্দেশ্য ছিল এবং কি শান্তির প্রতীক নিহিত ছিল এসকল বোমাবাজির মধ্যে।

১৯৮৫ থেকে ১৯৮৬ সালের মাঝে হিজবুল্লাহর সাথে সম্পর্কিত একটি অজানা গ্রুপ ফ্রান্সে একটি সিরিজ হামলা চালায়। মধ্যপ্রাচ্য ও আরব রাষ্ট্রীয় কয়েদিদের(সিএসপিপিএ) সাথে একাত্মতার জন্য এই হামলা পরিচালনা করে যাদের মুল দাবী ছিল তিনটি কারাগারে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের মুক্তি। ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া দ্বারা এই হামলাগুলো স্পষ্টতা প্রণীত হয়েছিল। ১৯৮৬ সালের ডিসেম্বর মাসের একই দিনে দুইবার বোমা হামলা ও বোমা হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছিল প্যারিসকে

লক্ষ করে যার ফলে ২০ প্রাণহানি হয়েছিল।

তাছাড়া ১৯৮৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরে তুর্কির ইস্তাম্বুলে হামলায় ২২ জনের প্রাণহানি যা ফিলিস্তিন মিলিটারি আবু নিদাল(ফাতার এর প্রতিষ্ঠাতা) এর দ্বারা সংঘটিত  এবং ১৯৮৯ সালের ৭ জুলাই ইসরাইল এর হামলায় ১৬ জনের মৃত্যু। যা ফিলিস্তিনি ইসলামী জিহাদ এর আব্দ আল হাদি দ্বারা আত্মঘাতী হামলা ছিল।

প্রাণহানিরর মধ্যে কোন অপার্থিব লালসা কিংবা সত্য অন্তর্নিহিত তা সত্যিই মানুষ হিসেবে বোধগম্যতার বাইরে। কতটা বর্বর হলে পালাক্রমে রক্তের বন্যার উপর শান্তির প্রতীক খোজা যায়?

এক নজরে ১৯৯০ শতকঃ

১৯৯০ শতকের বর্বরতা ছিল আরো ভয়াবহ। ৯০ এর ৪ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদি দ্বারা মিশরে ইসরাইল দর্শনার্থীদের বাসে হামলায় ১১ জনের প্রাণনাশ, ৯২ এর ৫ ফেব্রুয়ারি চায়নায় চারটি বোমাবর্ষণ যার দুটি পাব্লিক বিল্ডিং এবং দুটি বাসে(লাইন ২ এবং লাইন ৩০) যার ফলসরুপ ৩ প্রাণনাশ।

তাছাড়া ১৯৯২ এর ১৭ই মার্চ আর্জেন্টিনায় ইসরাইলি দুতাবাসের সামনে আত্মঘাতী ট্রাক বোমা হামলা ফলশ্রুতি ২৯ জনের মৃত্যু। পাশে স্কুল ছিল বিধায় বেশীরভাগ শিশু ছিল এই মৃতের সংখ্যায়। ইসলামিক জিহাদ সংস্থা যা ইরানের সাথে সংযুক্ত এবং ধারনা করা হিয় হিজবুল্লাহ এই হামলার জন্য দায়ী। ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর জেনারের সেক্রেটারি সৈয়দ আব্বাস আল মুসওয়ামীর হত্যার কারণস্বরূপ তারা এই হামলা চালেয়েছিল বলে ধারনা করা হয়।

একই সালে ইয়েমেনে আল কায়েদার দ্বারা বোমা হামলা, ১৯৯৩ সালে জানুয়ারি ২৫ এবং ফেব্রুয়ারির ২৬ পরপর আমেরিকায় সি.আই.এ হেডফিসে শুটিং এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোম্বিং ছিল ঘৃন্য।

পরবর্তী ১৯৯৩ এর ১২ মার্চ ইন্ডিয়ার মুম্বাইয়ের সিরিয়াল বোমাবাজি ছিল খুবই মর্মান্তিক, যার মুল্য দিতে হয় ২৫৭ জনের অধিক প্রান দিয়ে। ইন্ডিয়ান ইতিহাসের সবথেকে ভয়াভহ হামলা ছিল এটি যা পরিচালনা করছিল দাওদ ইব্রাহিম যার সাথে আল কায়েদা এবং এর নেতা ওসামা বিন লাদেনের যোগাযোগ সন্দেহীত হয়। বোমাবর্ষণ এর পর দাওদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে আত্মগোপন করেছিল যা পাকিস্তানি সরকার অস্বীকার করে।

তাছাড়া ১৯৯৩ এর ২ জুলাই তুর্কিতে হামলায় ৩৫ জনের গনহত্যা, ৬ এপ্রিল ১৯৯৪ বাসে ইসরাইলে আত্মঘাতী বোমাহামলা ৮ জন নিহত, ৭ দিন পর ১৩ই এপ্রিল আবারো বাস স্টেশনে হামলা ৫ জনের প্রাণহানি,জুলাই ১৮, ১৯৯৪ আর্জেন্টিনায় বোমা হামলায় ৮৫ জনের হত্যা, ১৯ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর ১৯৯৪ এ  ইসরাইলে আবারো বোমাবর্ষণ যার ফলে ২৫ অধিক মৃত্যু।  ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৪ ফিলিপাইন, ২৪ ডিসেম্বর  ১৯৯৪ আলজেরীয়া, ২২ জানুয়ারি  ১৯৯৫ আবারো ইসরাইলে হামলা, ৩০ জানুয়ারি ১৯৯৫ আলজেরিয়া, ২০ জুলাই ১৯৯৫ আবারো ইন্ডিয়া, ২৪ জুলাই ইসরাইলে, ২৫ জুলাই ফ্রান্সের প্যারিসে আরইআর মেট্রো স্টেশনে, ২০ অক্টোবর ক্রোয়েশিয়া, পরবর্তী সালে ইসরাইলে ফেব্রুয়ারি ২৫ ও মার্চ ৪ ১৯৯৬ এ হামিলা, এপ্রিল ১৮, ১৯৯৬  মিশরে, জুন ২৫, ১৯৯৬ এ সৌদিআরবে বোমাহামলা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ এ চায়না, মার্চ ২১, জুলাই ৩০, ১৯৯৭ এ আবারো ইসরাইল, নভেম্বর ১৭, ১৯৯৭ মিশরে, ফেব্রুয়ারি ১৪, ১৯৯৮ ইন্ডিয়ায়, আগষ্ট ৭, ১৯৯৮ কেনিয়ায় হামলাগুলোতে ১০, ২০, ৩০ করে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অগণিত।

১৯৯৯ এ যশোরে বোমাহামলার মধ্য দিয়ে জংগী আর ইসলামি সন্ত্রাসবাদের সুচনা হয় আমার সবুজ শ্যামল প্রানের বাংলায়।  এই বছরে অনে আফগান জিহাদি যোদ্ধা বাংলাদেশে আসে এবং যারা কয়েকটা হামলা চালায়। সোনার বাংলায় আলকায়েদার আর জংগীবাদের গোরাপত্তন ঘঠে এই সালের মধ্য দিয়েই। হারকাতুল জিহাদি আল ইসলামি সংঘটনের মুল মুফতি আব্দুল হান্নান এই হামলার মুল হোতা বলে স্বীকার করে। এই সংঘটনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাওলানা আব্দুস সালাম এবং আরেকজন নামধাতু ব্যাক্তিত্ব শেইখুক হাদিত আল্লামা এবং আজিজুল হুক, যিনি ইসলামি ওকিয়া জোটের চেয়ারম্যান ছিলেন। অত:পর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশ এর প্রাথমিক নেতা এবং মুফতি ইজহারুল ইসলাম, এদের মাধ্যমে আমার পরান বাংলায় মৌলবাদী আর জংগীবাদের সুচনার গোড়াপত্তন ঘঠে। “বাংলাদেশ উদিচি” শিল্পি গোষ্টির মধ্যরাতের সংস্কৃতি অনুষ্টানের উপর বোমা হামলা চালায় হারকাত উল জিহাদি আল ইসলামি বাংলাদেশী নামধারী সংঘটন যার হোতা মুফতি আব্দুল হান্নান এবং যার ফলসরূপ ১০ প্রানের বিনাশ হয় এবং শতাধিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। একই সালের অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে খুলনায় আহমেদিয়া মসজিদে বোমা হামলা পরিচালনা করে এই ইসলামিক সংঘটন, আবারো প্রানের ৮ বিনাশে এবং ৩০ অধিক আহতের রক্তে রক্তিম হয় প্রানের বাংলা। আহমদিয়া মসজিদের হামলার কারন ছিল ৯০ শতাংশ মুসলিম দেশে তারা প্রচলিত ইসলামের মতবিরোধী যদিও তারা মুসলিম ছিল। বোমাবর্ষণের তিনদিনের মাথায় বাংলাদেশ আর্মি আহমদিয়া হেডঅফিস, ঢাকা থেকে একটি টাইম বোমা নিষ্ফলা করে। সুচনা হয় প্রানের বাংলায় বোমাবাজ আর গনহত্যা ধর্মের নাম করে নতুবা ফায়দা লুঠার জন্য, কঠোরপন্থি আর ধর্মীয় সন্ত্রাবাদের সুচনা।

২০০০ সালের ২৩ এপ্রিল মালেশিয়ায় ৬ জন ইসলামিস্ট মিলিটারি দ্বারা অপহরন হয় ১০ জন ইউরোপীয় এবং মধ্যপ্রাচ্য দর্শনার্থী, ১১ জন মালেশিয় কর্মী এবং ১৯ জন নন ফিলিপিনো নাগরিক। যার হোতা ছিল আবু সায়েফ বাহিনী, তারা ১৯৯৩ সালের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা হামলাকারী রামজি ইউসেফ সহ ২৪ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন বন্দীদের মুক্তি দাবী করে। একই সালের অক্টোবর ১২ ইয়েমেনে  আল কায়েদার দ্বারা সংঘটিত ইউএসএস কলে(ডিডিজি-৬৭) এ হামলায় ১৭ আমেরিকান নাবিক নিহত হয়। একই সালের ডিসেম্বরে ইন্ডিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় বোমা হামলায় প্রায় ২৫ প্রাণহানি হয়।

২০০১ থেক শুরু করে ২০১৮ অব্দি যত ইসলামিস্ট আতঙ্কবাদিদের হামলা রয়েছে তা পৃষ্টার মাঝে বর্ণনাতীত।  প্রতি হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০ থেকে শুরু করে শত ছাড়িয়ে। বিশ্বের প্রত্যেকটা স্থানে, যেখানেই উগ্রবাদি আর ফতোয়াবাদিদের ছোঁয়া পরেছে সেখানেই রক্তের আহাজারিতে জর্জারিত হয়েছে মানবতা।

রক্তের দাগ এখনো মুছে যায়নি রমনার বটমুলে, যেখানে বাংলাদেশ হারকাত উল জিহাদি আল ইসলামি জংগী সংস্থার আঘাতে লাল হয়েছিল পহেলা বৈশাখের উৎসব, মৃতের সংখ্যা আনুমানিক ১০ এবং আহত ছিল অনেকেই।

একই সালে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ায় আবারো আতঙ্কবাদী হামলা, তবে এবার লক্ষ্য নতুন দিল্লি। যার হোতা ছিল  পাকিস্তানি ইসলামিস্ট আতঙ্কবাদী জশে মোহাম্মদ এবং লস্কর ই তইবা।

পরবর্তী সালগুলোর মধ্যে আতঙ্কবাদী হামলা এত ছড়িয়ে যে বিস্তারিত লিখতে গেলে আর্টিকেল লিখা হবে না বরং একটা বই হয়ে যাবে। ইসলামিস্ট উগ্রবাদীদের আর রকমারি জংগী সংস্থাদের গনহত্যার সংখ্যা এত যে ১৪০০ বৎসর আগের বর্বরতাকেও হার মানাবে। শুধু প্রানের বাংলার কিছু তুলে ধরে লিখার ইতি টানব।

সাল ২০০৪, আবারো হারকাত উল জিহাদ আল ইসলামি দ্বারা ঢাকায় গ্রেনেড আক্রমন। হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৪ আর আহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর বাতাশ রক্তমাখা আর লাশের পোড়া গন্ধে ভারী হয়েছিল সেদিন। তাজা প্রানের আহুতির মাধ্যমে শান্তির পতাকা আর শান্তির ধর্ম নামকরনের মানের স্বার্থকতা নামমাত্র।

পরবর্তী সালে ১৭ই আগষ্ট বাংলার ইতিহাসের এক পৈশাচি ঘঠনা যা দেশের ৩০০ টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে  ৫০০ টির বেশি বোমাবর্ষণের মাধ্যমে নিহিত হয়। দেশের ৬৪ টি জেলার ৬৩ টা তেই হামলা হয় একই দিনের একই সময়ে যার পরিচালনা করে জিএমবি তথা জামাতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ। শাইখ আব্দুর রহমান এবং সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এই সংঘটনের মুল ছিল যাদের সাহে আল কায়েদার সংশ্লিষ্টতার প্রমান পাওয়া গিয়েছিল। বাংলার বুকে হারকাত উল জিহাদ আল ইসলামিদের মাধ্যমেই সুচনা হয় জংগীবাদের, কারন এই দুই দলে সমন্বয় এবং যোগাযোগ ছিল। একই সালে ইন্ডিয়ায় মলে বোমাবাজিতে ৬০ জনেএ প্রাণহানি ও ১৮০ এর অধিক জখমী হয়, দ্বায়ভার জিমাহ ইসলামিয়া।

পরবর্তী ২০১৫ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর আই এস আই এল(ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড দ্যা লেভান্ট) এর ধারা তিনজন মোটর বাইকধারী এক ইতালীয়কে গুলি করে হত্যা করে।

পরবর্তী ২০১৬ সালের এপ্রিল ২৩ তারিখে প্রফেসরকে হত্যা করা হয় কারন তিনি ছিলেন মুক্তমনা, নাস্তিকবাদে আহবান করাই ছিল তার অপরাদ যার কারনে ইসলামিস্ট উগ্রবাদীরা হত্যা করে তাকে, আইএসয়াইএল এই হত্যার দ্বায়ভার স্বীকার করে। একই মাসের ২৫ তারিখ ঢাকায় দুইজন সমকামীকে হত্যা করা হয় কারন তারা সমকামী ছিল। এই হত্যার হোতা ছিল আল কায়েদা পন্থী একটা কথিত সংস্থা। একই সালের পহেলা জুলাই, শুধু বাংলার বুকে নয়, ইতিহাসে জংগীবাদের বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়ে আর কটোরপন্থী মৌলবাদী আর মধ্যপ্রাচ্যের দালালদের উপস্থিতি প্রমানে এটি ছিল স্বয়ম্ভু। গুলশান হলি আর্টিজানের মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক ঘঠনা। দেশি এবং বিদেশি নাগরিক মিলে ২৬ প্রানের সমাপ্তি হয়, ভারী হয় বাংলার বুকে বর্বরতার পতাকা আর শক্ত হয় উগ্র মোলবাদীদের ঘাঁটি।

এই দায়ভার কাদের? জিহাদ আর বর্বরতা এ দুয়ের নাম করে ধর্মান্ধদ রক্ত পিশাচীদের মানবতার কোন লেশ অথবা শান্তির কোন ছিটেফোঁটা নেই, শুধু রয়েছে হিংস্রাত্মক বিস্তার, যা প্রসারের জন্য একটা কিতাব আর একটা মানুষই দায়ী নয় কি।

বৃত্তবন্দি

"মুর্খরা প্রার্থনায় আর জ্ঞানীরা কাজে বিশ্বাসী।"(ময়নুল)

3 thoughts on “বর্বর ইসলাম ও বাংলায় বর্বরতার সুচনা নিয়ে দু একটা কথা।

  • June 21, 2018 at 3:52 AM
    Permalink

    really islam is great terrorist religion

    Reply
    • February 12, 2020 at 3:02 PM
      Permalink

      How can a RELIGION be terrorist? It is the way the so called religious people handle the matter/situation.

      Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *