সংশয় প্রকাশনীর প্রথম ইবুক

সংশয় প্রকাশনী 2

“সংশয় – চিন্তার মুক্তির আন্দোলন” শুরু করতে যাচ্ছে এই প্রথমবারের মত, আমাদের নিজস্ব ইবুক প্রকাশনা। প্রকাশিত হলো সংশয় প্রকাশনীর প্রথম ইবুক, ওয়াফা সুলতান এর ” যে ঈশ্বর ঘৃণা করে ” এর বাঙলা অনুবাদ। আপনাদের অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা আমাদের কাম্য। নতুন পুরাতন লেখক এবং অনুবাদকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি আগ্রহী হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

সেই আরজ আলী মাতুব্বর থেকে শুরু করে বহুসংখ্যক মুক্তমনা লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক এবং পাঠক ইসলামী মৌলবাদীদের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, হত্যা খুন আক্রমণ বা জবাই হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে কোন প্রকাশকই আর মুক্তচিন্তার বই প্রকাশ করতে নিরাপদ বোধ করছেন না। এবং ধর্মান্ধ মৌলবাদী কেতাব লেখকগণ এই সুযোগে ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছেন এবং তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন। আমাদের হাত পা এবং মুখ বেঁধে অসম লড়াইয়ের ময়দানে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের হাতে দেয়া হয়েছে আধুনিক সব অস্ত্রশস্ত্র, অন্যদিকে আমাদের হাত পা মুখ বাঁধা। তারপরেও ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা সুবিধা করতে পারছে না। তাদের লেখাগুলো পড়ে খোদ ধার্মিকগণই মুখ টিপে হাসেন। নিশ্চয়ই তাদের ঈশ্বরগণও এই লজ্জায় লজ্জিত। এরকম বুদ্ধিশূন্য মেধাহীন সংখ্যায় অধিক বিশ্বাসীদের ঘাড়ে ভর করেই অবশ্য ঈশ্বরদের টিকে থাকতে হবে। ঈশ্বরদের অস্তিত্ব তো মূর্খ মানুষের মগজেই।
এমতাবস্থায় ২০২০ সালে আমরা বেশ কিছু ইবুক প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেই ইবুকগুলো ছড়িয়ে দেয়া হবে বাঙলা ভাষাভাষীদের মধ্যে। মুক্তচিন্তার বিকাশে যা খুবই প্রয়োজনীয় বলে আমরা মনে করি। আপনারা ডাউনলোড করতে পারবেন ইবুকগুলো। এবং আমরা বইগুলো নিয়ে পাঠচক্র করবো। লেখকদের নিয়ে আসার চেষ্টা করবো ফেইসবুক লাইভে। তারা পাঠকের সাথে মত বিনিময় করবেন, পাঠকের সমালোচনাও শুনবেন। পাঠকের সাথে লেখকের সরাসরি আলাপ হবে, যা আমরা সবসময় চেয়েছি।
বাঙলাদেশে সাধারণত এক একটি বই কিনতে ১৫০/২৫০ টাকার দরকার হয়। আপনারা যারা বইগুলো ডাউনলোড করবেন, তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা বইগুলোর লেখক, প্রকাশক এবং অন্যান্য বিষয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করা মানুষদের এই সামান্য অর্থটি দেবেন। যদিও তা দিতেই হবে, এমন কোন কথা নেই। আপনার যদি সামর্থ্য থাকে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রে আপনি বইটি কেনার সমপরিমান বা কমবেশি যে যা পারেন, আমাদের পাঠাতে পারেন। আমরা সেই অর্থ ব্যবহার হবে পরবর্তী বই প্রকাশের কাজে। কারণ প্রতিটি বইয়ের পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকজন মানুষের পরিশ্রম৷ বইগুলো অবশ্যই বিনামূল্যের, তবে আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা পরের বইগুলো বের করতে পারবো না৷
যদি সেটি সম্ভব না হয়, যদি আপনি কোন অর্থ প্রদানে অপারগ হোন, অনুগ্রহ করে বইটি পড়ার পরে বইটির একটি রিভিউ লিখে আমাদের কাছে পাঠান। আপনার লেখা সামান্য কিছু কথা নিঃসন্দেহে লেখক এবং অনুবাদকদের আরো বেশি অনুপ্রাণিত করবে৷ সবচাইতে সেরা রিভিউগুলো বইটির পরবর্তী সংস্করণে আমরা যুক্ত করে দেবো।
যদি সেটিও সম্ভব না হয়, আপনি বইটি আরো কয়েকজনকে দিয়ে তাদের থেকে বইটির দাম বাবদ কিছু অর্থ সংগ্রহ করুন। এবং সেটি আমাদের পাঠিয়ে দিন। কারণ আমাদের সাধ্য ও সামর্থ্য সীমিত। তবে ইচ্ছে আকাশের চেয়েও বড়। মুক্তচিন্তার বিকাশের স্বার্থে আমরা আমাদের পরিশ্রম আপনাদের দিচ্ছি, কিন্তু মাগনা পেলে অনেকেই মনে করেন মূল্যহীন। তাই আমরা আপনাদের বিনামূল্যে দিচ্ছি না। যদি একেবারেই কোন উপার্জন না থাকে, তাহলে এই প্রকাশনী সামনের দিকে এগুতে পারবে না।
মুক্তচিন্তার বিকাশে পাশে থাকুন। আমরা চাই বাঙলাদেশের মাদ্রাসার ছাত্রদের কাছে পৌঁছে যাক আমাদের লেখাগুলো, বইগুলো। কাফেরের মুণ্ডু কর্তনের বদলে তারা যুক্তিখণ্ডন শিখুক। মুরতাদ জবাইয়ের বদলে তারা যুক্তি তথ্য প্রমাণ দিয়ে প্রতিপক্ষের যুক্তিকে ধরাসায়ী করতে শিখুক। এই কারণে সকল মাদ্রাসা ছাত্রের জন্য বইগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। আপনি মাদ্রাসার সাবেক বা বর্তমান ছাত্র হলে বইগুলোর মূল্য বাবদ কোন অর্থ আমাদের দিতে হবে না।

খুব শীগ্রই আপনাদের জন্য সংশয় ডট কম প্রকাশনী থেকে বের হচ্ছে, ওয়াফা সুলতানের লেখা যে ঈশ্বর ঘৃণা করে। অনুবাদ করেছেন, শ্রীজীব বিশ্বাস।

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

আপডেইটঃ প্রকাশিত হলো যে ঈশ্বর ঘৃণা করে । ওয়াফা সুলতান । অনুবাদঃ শ্রীজীব বিশ্বাস । ডাউনলোড করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

সম্পাদক।
সংশয় ডট কম।

View Comments (9)

  • কুরআন হাদিস আমি পড়িনি কিন্তু তাতে যদি লেখা থাকে যে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে বা পৃথিবীটা চ্যাপ্টা থালার মতো এবং একটি বিশাল কচ্ছপ সেটাকে পিঠের ওপর ধরে রেখেছে কিম্বা হজরত মহম্মদ আঙুলের ইশারায় চাঁদ কে দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন, তাহলে আমি বলতে চাই যে কুরআন টা না পড়াই ভালো, অনর্থক কিছু ভুল ধারণা শিখবেন সবাই।

  • Boita porechi kichuta, Valo legeche Khub. Anubad khub sundor o sabolil...

    Kintu koyekta confusion ache...

    Syriar je obostha, tar jonnyo ki akmatro Dhormoi dayi??? Sekhankar Manuser ethical boishisto-o er Jonnyo Dayi bole mone hoi amr.

    Ar lekhika Americar nam Korar somoy khub abeg ke prosroy diyechen.

    Beshi abeg onek somoy reality ke aral kore fele..

  • আসিফ ভাই, জাহাঙ্গীর ভাই, ইকবাল মাসুদ ভাই, মুফতি মাসুদ ভাই, মাতব্বর ভাই সহ অন্যান্য সকল ভাই কে আমার তরফ থেকে সেলুট জানাচ্ছি। আপনাদের এই যুদ্ধে আমি কোন ভাবেই শরিক হতে পারছি না। আমি এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে চাই। আসিফ ভাই টাকা পাঠাবার মাধ্যমে জানবেন বাংলাদেশ থেকে। ইমেইল আইডি দিলাম ।

  • ভাই আমি আপনাদের সাথে যুক্ত হতে চাই, আপনাদের মহৎ উদ্যোগের সাহসী যোদ্ধা হতে চাই। কিভাবে আমি আপনাদের সাথে অংশগ্রহণ করতে পারি জানাবেন‌। ইমেইল দেয়া আছে।

  • শাহিন ভাইকে জানাই, সিরিয়ার অবস্থার জন্য একমাত্র ধর্ম দায়ী নয়; আপনার এই মতের সাথে আমি অনেকাংশে একমত। কিন্তু আপনি যে এথিক্যাল বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন; প্রশ্ন হচ্ছে সেই বৈশিষ্ট্য কিভাবে সৃষ্টি হয়। আপনি আপনার জীবনে যে এথিকস বহন করেন তা অনেক উপাদানের সমাহার। আপনার পারিবারিক ঐতিহ্য, শিশুকাল থেকে লালিত হাজার বছর ধরে চলে আসা বিশ্বাস,আপনার শিক্ষা, বিবেচনাবোধ, ভাল-মন্দ বিচারবোধ এ সবই তার উপকরণ। একটু অনুভব করে দেখুন, এদের প্রতিটির সাথে ধর্ম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কিছুটা হলেও সম্পৃক্ত। তদুপরি যে ধর্ম প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নির্দেশনা দেয় তার একটা প্রভাব তো মনে রেখাপাত করবেই। এ থেকে বেরোনোর একটাই পথ (আমার মতে), শিক্ষা। যে শিক্ষা মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করে, ইতিহাসকে জানায়, প্রকৃতিকে চেনায়, দর্শনের তত্ত্ব শেখায়, যুক্তিসিদ্ধ চিন্তায় শান দেয়, সেই শিক্ষা। কিন্তু কোন জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ যদি তার থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকে; অপরপক্ষে হাজার বছর পিছনের ভাবনা চিন্তাকে ধর্মীয় কারণে প্রাণপণে আঁকড়ে ধরে তাহলে কি ফল হবে সহজেই অনুমেয়। মূল কথা হল, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ইসলামে শুধু কোরআন এবং হাদিসের শিক্ষাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর সাথে আছে পুরুষপ্রাধাণ্যের অত্যাচার। যে বিষয়টা সহজ, সাধারণ চোখে অন্যায় বলে বিবেচিত; তা যদি ধর্মীয় অনুমোদন পায় তাহলে অন্যায়কারী প্রশ্রয় পাবেই।
    আপনার চিন্তার সাথে আমার কয়েকটা কথা যোগ করলাম। আশা করব একটু ভাববেন। আন্তরিক শুভেচ্ছা সব সময়।
    শ্রীজীব বিশ্বাস

  • ইবুকের টাকা কীভাবে পরিশোধ করব? একটু জানাবেন।

Leave a Comment