ভবিষ্য পুরাণে ইসলামের প্রবর্তক মুহাম্মদ!
সূচিপত্র
- 1 ভূমিকা
- 2 মুমিনদের উপস্থাপিত প্রমাণ
- 3 জাকির নায়েকের বক্তব্য
- 4 পুরাণ কী?
- 5 ভবিষ্য পুরাণের সময়কাল
- 6 ভবিষ্য পুরাণে আর কাদের নাম রয়েছে?
- 7 ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদের কথা অতীতকালে লিখিত কেন?
- 8 ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদের সুনাম নাকি দুর্নাম করা হয়েছে?
- 9 ভোজরাজা কে ছিলেন??
- 10 মূল ভবিষ্য পুরাণের অনুবাদ
- 11 উপসংহার
- 12 প্রয়োজনীয় রেফারেন্সঃ
ভূমিকা
মুমিনঃ আপনাকে আমি বিতর্কের আহবান জানাই, সাহস থাকলে এবং এক বাপের পোলা হয়ে থাকলে উত্তর দেবেন।
– না ভাই, আমার এত সাহস আসলে নেই। আর এক বাপের পোলা না দশ বাপের পোলা, এই ধরণের কথাগুলোও আমার ঠিক পোষায় না। মনে হয় পাড়ার টঙ্গের দোকানের অথবা বাসের চালিয়াৎ হকারের কথা এগুলো। এই ধরণের মানুষের সাথে বিতর্ক তো দূরের কথা, কথাও বলতে চাই না। মান সম্মানে লাগে। আপনি আপনার সমমনা বা সমকক্ষ কাউকে খুঁজে নিন। আর আমার সাথে আপনি বিতর্কে জয়ী হয়েছেন ভেবে সুখ পেতে চাইলে তাও পেতে পারেন। আমার আপত্তি নেই।
মুমিনঃ আচ্ছা, তাইলে একটা প্রশ্নের উত্তর দেন। হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ভবিষ্য পুরাণে হযরত মুহাম্মদের(সাঃ) নাম এবং ভবিষ্যত বাণী কীভাবে আছে? এই বই তো অনেক আগে লিখিত। এটাই কী ইসলাম এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতার প্রমাণ না? আপনি চাইলে আমি রেফারেন্সও দিতে পারি। ভবিষ্য পুরাণে স্পষ্ট মুহাম্মদ নামটা আছে। তার অনুসারিদের যে মুসলমান বলা হবে, এবং তারা যে লিঙ্গ কর্তন করবে এগুলাও বলা আছে। এগুলা তো ইসলাম এবং মহানবী (সাঃ) এর সত্যতার প্রমাণ।
মুমিনদের উপস্থাপিত প্রমাণ

– আপনি ভবিষ্য পুরাণ পড়েছেন সেজন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই। আপনি কি ভবিষ্য পুরাণ পুরোটা পড়েছেন?
মুমিনঃ না, যতটা প্রয়োজন ততটা পড়েছি।
– আপনি আসলে একটি শব্দও পড়েন নি। মিথ্যা বলার কোন দরকার দেখি না। পড়ে থাকলে আপনি ভবিষ্য পুরাণের রেফারেন্স দিয়ে মুহাম্মদকে নবী বানাতে চেষ্টাই করতেন না। কেন এগুলো বললাম, তা পরে ব্যাখ্যা করছি।
আপনি কী পুরাণ কাকে বলে, সে সম্পর্কে ভালভাবে জানেন? পুরাণ কে লিখেছে এবং কোন সময়কালে তা লিখিত, সে সম্পর্কে কোন বই পড়েছেন? কোন গবেষণা গ্রন্থ? কোন ঐতিহাসিকের দ্বারা লিখিত প্রবন্ধ?
মুমিনঃ পুরাণ কাকে বলে আপনে জানেন না? অনেক প্রখ্যাত হিন্দু ধর্মগুরুও ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদের কথা স্বীকার করেছেন। আমার কাছে ভিডিও লিঙ্ক আছে।
– আমি জানি কী জানি না, সেটা ভিন্ন বিষয়। আপনি আমাকে উত্তর দেন, পুরাণ কী তা আপনি জানেন কিনা। ভিডিও লিঙ্ক সম্ভবত আমার দেখাই আছে। এগুলো কোনটাই আমি বাদ রাখি না।
মুমিনঃ পুরাণ হইলো হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ! আমি এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না। পড়ি নাই এগুলা।
– ভাই, যখন রেফারেন্স নিয়ে আসবেন, সেই রেফারেন্স সম্পর্কে কিছু বেইসিক ধারণা নিয়ে আসলে ভাল হয়। শুরুতেই আমাদের জানা দরকার, পুরাণ কাকে বলে।
জাকির নায়েকের বক্তব্য
এবারে আসুন জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে নিই,
পুরাণ কী?
পুরাণ হচ্ছে, হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ আখ্যানমূলক ধর্মগ্রন্থ-সমুচ্চয়। যেগুলোর অনেক অংশই লোকমুখে যুগে যুগে প্রচলিত ছিল। এগুলোর উৎপত্তি সম্পর্কে বেশীরভাগেরই নির্দিষ্ট কোন সময়কাল নেই। যুগের পর যুগ ধরে, অনেক সময় শতাব্দীর পরে শতাব্দী ধরে এগুলো লিখিত হয় এবং লোকমুখে প্রচলিত হয়। এর মধ্যে, ভবিষ্য পুরাণ সংস্কৃতে লিখিত এবং সাধারণ বিশ্বাস অনুযায়ী বেদ-সংকলক ব্যাসদেব এই গ্রন্থের রচয়িতা। তবে সেটি শুধুই বিশ্বাস মাত্র।
ভবিষ্য পুরাণের সময়কাল
এই ধরণের দাবী মুমিনগণ এত অসংখ্যবার করেছেন যে, এগুলো নিয়ে আলোচনা করাও খুবই হাস্যকর। নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে আজান শুনে মুসলিম হয়ে গেছে, সুনীতা উইলিয়ামস মুসলমান হয়েছে, হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত কল্কি অবতারই আসলে মুহাম্মদ, নাসা নাকি চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে, এরকম দাবীদাওয়া হাজার হাজার। প্রতিটি দাবীই হাস্যকর এবং সবগুলোর জবাব দেয়া হয়েছে। এখানে শুধুমাত্র ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদের নাম বিষয়ক দাবীর প্রমাণ দেয়া হচ্ছে।
ভবিষ্য পুরাণের লেখার কোন নির্দিষ্ট সময়কালই নেই। ভবিষ্য পুরাণের কিছু অংশ খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে রচিত। এবং এই রচনাকালের ব্যাপ্তি বিষয়ে একজন বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ মরিজ উইন্টারনিৎজ এর মতে, উদ্ধৃতি হিসেবে গৃহীত লেখ ও পুরাণ উভয় ক্ষেত্রে উল্লিখিত এই শ্লোকগুলি সম্ভবত ধর্মরাষ্ট্রসমূহের পূর্ববর্তী এবং তাই এগুলির ভিত্তিতে কোনো কালানুক্রমিক তালিকা প্রস্তুত সম্ভব নয়। আরেকজন বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ Alf Hiltebeitel এর মতে, খ্রিষ্ঠপূর্ব ৫০০ থেকে শুরু করে উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ভবিষ্য পুরাণ লিখিত এবং পরিমার্জিত হয়েছে। অর্থাৎ, এটি কোন ঐশ্বরিক অবিকৃত গ্রন্থ নয়, বহুল পরিমার্জিত এবং নতুন নতুন বিষয় যুক্তকরণের মাধ্যমেই আজকে যেই ভবিষ্য পুরাণ পাওয়া যাচ্ছে সেটি।
সেই সাথে, এই বিষয়ের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ Alf Hiltebeitel গবেষণা করে দেখিয়েছেন, লিখিত শ্লোকগুলোর অনেকাংশই রচনা হয়েছিল একদমই সাম্প্রতিক সময়ে। কারণ সেই শ্লোকগুলোর বাক্যগঠন অতীতের বাক্য গঠনের থেকে আলাদা। এর অর্থ হচ্ছে, ভবিষ্য পুরাণে অত্যন্ত চাতুর্য্যের সাথে বর্তমান সময়ের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা অতীতের লেখা ভবিষ্যতবানী হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো আসলে অতীতে লিখিত নয়, বর্তমান সময়েই লিখিত।
এ কে রামানুজন একে ” যথাযথভাবে হালনাগাদকৃত ভবিষ্য পুরাণ” বলে মন্তব্য করে বলেছেন, এইগ্রন্থে খ্রিস্ট, মুসা ও রানি ভিক্টোরিয়ার উল্লেখ পাওয়া গেছে। একে তিনি এই বলে ব্যাখ্যা করেন যে: চতুর বক্তব্য ও অনুশাসন প্রয়োগ করার প্রচেষ্টার পরও বলতেই হয় যে পুরাণগুলি মুক্ত ব্যবস্থার অন্তর্গত। ভবিষ্যোত্তর পুরাণ মুখ্যত কিছু কিংবদন্তি ও লোককথা সম্বলিত ধর্মীয় রীতিনীতির হাতবই।
রাজেন্দ্র হাজরা একে “বিভিন্ন সূত্র থেকে গৃহীত একটি অসংবদ্ধ উপাদানসংগ্রহ” বলে উল্লেখ করেছেন।
ভবিষ্য পুরাণে আর কাদের নাম রয়েছে?
সবচাইতে মজার বিষয় হচ্ছে, ভবিষ্য পুরাণে যেই অংশে মহম্মদের কথা বলা আছে, সেখানে ঈশ্বরপুত্র যীশু, ভারতের রাণী ভিক্টোরিয়া, সম্রাট আকবর, এমনকি, হিটলারের কথাও বর্ণিত আছে। আপনি কী তাহলে ঈশ্বরপুত্র যীশুর দাবিটিও মেনে নিচ্ছেন? বা হিটলারকে নবী মানবেন?
বিষয়টি সহজ করে বোঝাচ্ছি। ধরুন, আমি এখন একটি ভবিষ্যত বাণী করলাম, যে ১৯০০-১৯৫০ সালের মধ্যে দু’টি বিশ্বযুদ্ধ হবে। কথাটি লিখে মাটির নিচে পুতে দিলাম, এবং কয়েক বছর পরে সেগুলো মাটি থেকে তুলে বলতে লাগলাম, এই কথাগুলো খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ সালে লিখিত। কিন্তু কথাগুলোর বাক্যগঠন এবং রচনার ধারা লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে, সেগুলো আসলে আমি সাম্প্রতিক সময়েই লিখেছি। এবং এগুলো অতীতে লিখিত ভবিষ্যত বাণী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি।
মরিজ উইন্টারনিৎজ এর মতে, ভবিষ্য পুরাণ শিরোনামে যেসব পুথি আমাদের হস্তগত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে আপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র গ্রন্থে উদ্ধৃত প্রাচীন কীর্তি নয়। আপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র-এ একটি উদ্ধৃতি ভবিষ্য পুরাণ -এর নামাঙ্কিত; কিন্তু উক্ত পুরাণের প্রাপ্ত কোনো পাঠে তা পাওয়া যায় না। ভবিষ্য পুরাণ অনুসারে এই গ্রন্থের পাঁচটি পার্বন বা খণ্ড। কিন্তু প্রাপ্ত পাঠভিত্তিক মুদ্রিত সংস্করণে চারটি খণ্ড দেখা যায় ( ব্রাহ্ম , মধ্যমা , মধ্যমা , ও উত্তর)। এই চারটি খণ্ড বিষয়গতভাবে পৃথক ও ভিন্ন ভিন্ন সময়কালে রচিত।
Alf Hiltebeitel তার Rethinking India’s Oral and Classical Epics গ্রন্থে পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, this part (যেই অংশে মুহাম্মদের কথা আছে, প্রতিসর্গপর্বন) of the Bhavisya Purana was mostly likely composed in the 19th century.
ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদের কথা অতীতকালে লিখিত কেন?
এবারে আসুন আরেকটি মজার বিষয় লক্ষ্য করি। আপনি যদি ভবিষ্য পুরাণের কিছু অংশ পড়ে থাকেন, পড়লেই দেখবেন, এটি ভবিষ্যতের নানা কথা বর্ণনা করেছে। এবং বর্ণনার সময়, টেন্স হিসেবে ফিউচার টেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্য পুরাণের প্রতিসর্গপর্বন অংশটুকু পড়লেই, মজার বিষয় দেখবেন, মুহাম্মদের বর্ণনা অংশে, সেখানে ব্যবহৃত হয়েছে পাস্ট টেন্স। অর্থাৎ অতীত কালের বিবরণ। মজার না বিষয়টি? কেউ ভবিষ্যতবাণী করলে কোন টেন্সে লেখে? অতীত কাল হিসেবে বর্ণনা করে বুঝি?
ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদের সুনাম নাকি দুর্নাম করা হয়েছে?
আসুন এবারে আপনাকে ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদ সম্পর্কিত অংশটুকু বাঙলায় অনুবাদ করে দিচ্ছি। আপনি নিজেই পড়ে আমাকে বলবেন, ভবিষ্য পুরাণকে আপনি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করবেন কিনা। কারণ সেটা আপনি করতে চাইলে, মুহাম্মদকে একটি ইবলিশি বা দানবীয় বা অসুরীয় ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই আপনাকে মানতে হবে।
ইসলাম সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী (প্রতিসর্গ পর্ব তৃতীয় অংশ থেকে)
শ্রী সুতা গোস্বামী বলেন: রাজা শালীবন রাজবংশের মধ্যে, দশজন রাজা ছিলেন যারা ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শাসন করার পর স্বর্গীয় গ্রহগুলিতে গিয়েছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে পৃথিবীতে নৈতিকতা ভূলণ্ঠিত হতে লেগেছিল। সেই সময়ে ভোজরাজা ছিলেন পৃথিবীর রাজাদের দশম জন। তিনি যখন দেখলেন যে পৃথিবীতে নৈতিকতা ভূলণ্ঠিত হচ্ছিল তখন তিনি কালিদাসের দশ হাজার সৈন্যবাহিনী দিয়ে তার দেশের চারিপাশের সব দিক জয় করলেন। তিনি সিন্ধুর নদী পার হলেন এবং গান্ধারা, ম্লেচ্ছ, শক, কাশ্মীর, নওড়া ও শঠের উপর জয়ী হন। তিনি তাদের শাস্তি দিয়েছিলেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। তারপর রাজা মহমদদ (মুহম্মদ), ম্লেচ্ছ ধর্মের প্রবক্তা, এবং যিনি মরুভূমিতে ছিলেন, তাকে নিয়ে এবং মহাদেব শিবের অনুসারিদের সাথে গেলেন। তিনি গঙ্গা পানি দিয়ে মহাদেব শিবকে ধৌত করেছিলেন এবং মনপ্রাণ দিয়ে উপাসনা করেছিলেন পঞ্চগভ্য (দুধ, ঘি, দই, গরু এবং গোমূত্র) দিয়ে এবং চন্দনচোপড় ইত্যাদি দিয়ে। তারপরে তিনি প্রার্থণা অর্পণ করে তাকে খুশী করেন।
শ্রী সুতা গোস্বামী বলেন: তার প্রার্থণা শুনে, মহাদেব শিব বললেনঃ হে রাজা ভোজরাজ, তোমাকে মহাকক্ষ্ম নামক স্থানে যেতে হবে। সেই স্থানটিকে বহিকা বলা হয় এবং এখন ম্লেচ্ছদের দ্বারা দূষিত হচ্ছে। সেই ভয়ঙ্কর দেশে আর ধর্ম (ধর্ম বলতে এখানে হিন্দু ধর্ম বোঝানো হচ্ছে) বলে কিছু নেই।
অতীতে একসময় ত্রিপুরা নামক একটি দানবের আবির্ভাব ঘটেছিল, যাকে আমি ইতিমধ্যেই পুড়িয়ে ছাই করেছিলাম। কিন্তু সে আবার বালির আদেশে ফিরে এসেছে। তার কোন সৃষ্টি নেই এবং সে আমার কাছ থেকে একটি বর লাভ করেছে। তার নাম মহাওদা এবং তার কর্ম একটি দানবের মতো। অতএব, হে রাজা, ঐ অশুভ দানবের দেশে যেও না। আমার দয়া দ্বারা আপনার বুদ্ধি শুদ্ধ করা হবে।
এইসব শুনে রাজা ভোজরাজ তার দেশে ফিরে আসেন এবং মহমমদ তাদের এগিয়ে দিতে সিন্ধু নদীর তীর পর্যন্ত এসেছিলেন। তিনি (মহম্মদ) মায়া (ইল্যুশন) প্রসারিত করতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন, এবং খুব আনন্দের সাথে রাজাকে বললেন, ” হে মহারাজ, আপনার ঈশ্বর আমার দাস হয়েছেন। শুধু দেখুন, আপনার ঈশ্বর আমার অবশিষ্টাংশ খাবে, তাই আমি আপনাকে দেখাবো।” তার সম্মুখে এইসব দেখে রাজা বিস্মিত হলেন। তারপর রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে কালিদাস মহমমদকে ধমক দিয়ে বললেন, “হে বদমাশ, তুমি রাজাকে বিদ্রূপ করার জন্য মায়াজ্বাল তৈরি করছো, আমি তোমাকে মেরে ফেলব, তুমি নিকৃষ্টতম …”
(…)
সেই শহরটি তীর্থযাত্রীদের কাছে তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিত ছিল, একটি জায়গা যা ছিল মদিনা এবং উম্মত্ততা থেকে মুক্ত। একটি দানব সাথে নিয়ে মোহমায়া সৃষ্টিতে পারঙ্গম মহমমদ রাজা ভোজরাজের সামনে রাতে হাজির হলো এবং বললো: হে রাজা, আপনার ধর্ম অবশ্যই সব ধর্মের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তারপরেও আমি আমার প্রভুর নির্দেশ মোতাবেক একটি ভয়ঙ্কর এবং অসুরীয় ধর্ম স্থাপন করতে যাচ্ছি। আমার অনুসারিদের লক্ষণ হবে যে, তারা প্রথমে তাদের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলবে, কোন শিখা থাকবে না, তবে দাড়ি থাকবে, তারা পাপাত্মা হবে, প্রচুর হট্টোগোল করবে এবং সব খাবে। তারা কোন শুদ্ধ নিয়মনীতিহীন ভাবে প্রাণী হত্যা করে খাবে। ইহাই আমার অভিপ্রায়। আপনি যেমন কুশার সাহায্যে সব পরিশুদ্ধ করেন, তারাও মুশাল্লা বা মশলা দিয়ে শুদ্ধকর্মের কাজ করবে। অতএব, তারা মুসলমান হিসাবে পরিচিত করা হবে, যাদেরকে ধর্মদুষণকারী বলা হবে। এইভাবে আমি একটি অসুরীয়/ ইবলিশি ধর্ম প্রতিষ্ঠা করবো।
এই সব শুনে শুনে রাজা তার প্রাসাদে ফিরে আসেন এবং সেই পাপাত্মা তার জায়গায় ফিরে গেল।
ভোজরাজা কে ছিলেন??
এবারে আসুন মূল আলাপে। ভোজরাজা(সর্বপ্রথম জন) সম্পর্কে আমরা যা জানি, তা হচ্ছে, উনি শাসন করেছেন ১০১০ থে ১০৫৫ সাল পর্যন্ত। মুহাম্মদের জন্মকাল হচ্ছে ৫৭০ থেকে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ। দুইজনার দেখাসাক্ষাত হয়েছে বা মিল মহব্বত হয়েছে, এরকম কল্পনা শুধু পাগলের মাথায় আসতে পারে। তারপরে লক্ষ্য করুন, এখানে হযরত মুহাম্মদ পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে পাস্ট টেন্সে ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছে যে, সে একটি অসুরীয় ধর্ম প্রতিষ্ঠা করবেন। আপনি বা আপনারা যারা ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদের নাম আছে জেনেই ধেই ধেই করে নৃত্য শুরু করেছেন, ভবিষ্য পুরাণের রেফারেন্স ধরে মুহাম্মদকে সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে নেমেছেন, তাদের মত কাঠ বলদ মনে হয় আর কেউ নেই। কারণ, আপনারা আসলে মুহাম্মদের পেছনে আইক্কাওয়ালা বাঁশ দেয়ার উদ্দেশ্যেই, মুহাম্মদকে অসুরীয় ধর্মের প্রবর্তক, এই বক্তব্য প্রচার করছেন।

মূল ভবিষ্য পুরাণের অনুবাদ
মূল ভবিষ্য পুরান গ্রন্থটি এখানে যুক্ত করা হলো। বইটির ৩৭৬ পৃষ্ঠা থেকে মূল বইয়ের পাতাগুলো তুলে দেয়া হলো আগ্রহী পাঠকের জন্য। বইটির ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে পেয়ে যাবেন।







উপসংহার
হিন্দু ধর্মগুরুরা কী উদ্দেশ্যে মুহাম্মদের কথা ভবিষ্য পুরাণে বর্ণিত আছে, এরকম দাবী করেন, তার উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ
১. এতে তাদের ধর্মগ্রন্থ কতটা অলৌকিক তা প্রমাণ হয়।
২. এতে তাদের ধর্মের ভিত মজবুত হয়।
৩. এতে মুহাম্মদকে একটি অসুরীয় বা রাক্ষসের ধর্ম, বা দানবীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়।
৪. এতে মুসলমানদেরকে অসুরের উপাসক, এবং ঘৃণিত সম্প্রদায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উষ্কানি দেয়া যায়।
হিন্দুরা নাহয় এইকাজ করে যাচ্ছে, তার কারণ বোধগম্য, আপনি মুসলমান হয়ে ভবিষ্য পুরাণকে রেফারেন্স ধরে নিচ্ছেন কোন বুদ্ধিতে? মুমিন হয়েছেন ভাল কথা, তাই বলে কী জ্ঞানবুদ্ধি কিছুই থাকতে নেই? এরকম বেয়াকুব কীভাবে হন আপনারা?
মুমিনঃ আপনাদের সাথে যুক্তি দিয়া লাভ নাই। কারণ আপনারা যুক্তি বুঝেন না। আল্লাহ আপনাদের অন্তরে মোহর মেরে বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনাদের মত লোকদের সাথে তর্ক করে সময় নষ্ট করতে চাই না।
– আচ্ছা ঠিক আছে। আল্লাহ আপনাকে হেদায়ের দান করুক। আমিন।
প্রয়োজনীয় রেফারেন্সঃ
১। Alf Hiltebeitel এর লেখা Rethinking India’s Oral and Classical Epics University of Chicago Press. pp. 217–218. ISBN 978-0-226-34050-0. আগ্রহী পাঠকের জন্য বইটির ডাউনলোড লিঙ্কও দেয়া হলো।
২। পুরাণ সংকলন, ইংরেজিতে। ইসলাম সম্পর্কিত অংশটুকু ৪৮৩ নং পৃষ্ঠায় দেখুন।
৩। মহর্ষি কৃষদ্বৈপায়ন বেদব্যাস বিরচিতম ভবিষ্য পুরান। শ্রীমৎ স্বামী পরমাত্মানন্দনাথ ভৈরব (গিরি) কৃত অনুবাদ এবং সম্পাদনা। বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ বইটি স্ক্যান করে দিয়েছেন বিশ্ব ব্যাপারী ভাই।


মুহাম্মদ এর ভবিষ্যত বাণী টা past tense লেখা। মানে কি বোঝাতে চেয়েছেন? এটা manipulation? এই জায়গাটা একটু clear করবেন?
মুহাম্মদ, যীশু, ভারতে ব্রিটিশ শাসন, হিটলারের বিবরণ পুরোটাই ধাপ্পাবাজি। পরবর্তীতে সংযুক্ত। খুব সম্ভবত উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এটি পরিমার্জন করা হয়।
ভবিষ্যৎ লেখে কখন? ঘটনা ঘটার আগে নাকি পরে, অবশ্যই আগে। তাহলে বাক্যটুকু এরকম হবে যে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু-2 স্যাটেলাইট আগামী 15 বছর উত্তোলন করবে। নাকি এরকম হবে যে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু-1 স্যাটেলাইট গত 11 মে উত্তোলন হবে। তাহলে কোন ঘটনা ঘটবে সেই ঘটনা লিখলে সেটা হবে ফিউচার টেন্সে আর কোন ঘটনা ঘটে গেছে তা হবে পাষ্ট টেন্সে। ভবিষ্যপূরানে যে ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় ভোজ রাজা এবং মোহাম্মদের , তাদের দুইজনের আবির্ভাবের মধ্যে অন্তত 500 বছড়ের দুরত্ব পাওয়া যায়। তাহলে আমি বলবো মোহাম্মদের নাম থাক দুরের কথা ঐ ঘটনাটাইতো একটা বানোয়াট ঘটনা। আসল কথা ওখানেনা, আসল কথা হলো আই মোহাম্মদের নাম হিন্দুদের গ্রন্থ্যে মোহাম্মদের নাম আছে এটা ভাবতেই মুমিনদের গা শিউরে ওঠে। কিন্তু তারা বোঝেনা যে হিটলারের নামও সবাই স্মরন করে আর মাহাত্মা গান্ধীর নামও সবাই স্মরন করে। কিন্তু কার নাম কী জন্য স্মরন করে তাই তারা বোঝেনা। এটা মুমিনদের সমস্যা না এটা ইসলামিক সাইক্লোজিগত সমস্যা। মানে কথা হলো আমার ছেলেটাকে নাকের উপর সাপে কাঁমড় দিয়া মারছে সমস্যা নাই কিন্তু আমার ছেলের চোখটাতো অক্ষত আছে………………ধন্যবাদ
I think it’s about time the legal organisation of the country clarify the issue for that particular country and people in that country will stop talking about it. Legal action is necessary to sort out the religious mess!!
তার মানে আপনার অবস্থানটা হলো মুহম্মদ এর ভবিষ্যৎ বাণীর পুরোটাই মুসলিমরা চক্রান্ত করে পুরানের অন্তর্ভুক্ত করেছে?
ছাগল, বোঝে কম খায় বেশি।
এটা আপনার লেখার পরের অংশের সাথে খুব সূক্ষ ভাবে বৈপরীত্য প্রকাশ করে না?
খুবই তথ্যবহুল আর গুরুগম্ভীর লেখা শুধু আইক্কাওয়ালা বাঁশ শব্দটা এই লেখার সাথে মানাচ্ছে না। শব্দটা বাদ দিয়ে দিন।।
ভালো
যদি পুরান কেউ manipulation করে তা নিশ্চয় হিন্দুরা করার কথা না।
কিন্তু খেলাটা অন্য জায়গাতে। মুসলিমরা করলে পুরো কথাটাই মুসলিমদের পক্ষে আসতো।
দাদারা একটু মরিচীকা দেখিয়ে গাধাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন, কিন্তু আসলে চক্রান্তটা দাদারাই করেছেন চিন্তা করলেই তা ক্রিস্টাল ক্লেয়ার।
In this article one thing comes to light if an analytical mind uses his rationality . That’s about the shortcomings of references given by Zakir Nayek. It is not enough just providing references mechanically, even they are true. Why? When Zakir Nayek provides references, he overlooks or bypasses various contradictions, time validity, faithful or honest interpretation etc. This is intellectual dishonesty. For example Mr ASif pointed out about the falsification of timing of the myth about a character “Muhammad”. There are many mismatching or
gojamil which Zakir Nayek just avoids or bypasses. It is dishonesty or cheating. So those who follow him are also dishonest.
হিন্দুদের ভবিষ্য পুরানে যদি মুহাম্মদের উল্লেখ থাকে , তাহলে আজকেই মুসলমানদের ইসলাম ত্যাগ করা উচিত,
লিখেছেন: কাঠমোল্লা
ইদানিং কিছু ইসলাম প্রচারক তারস্বরে চিৎকার করে প্রচার করছে হিন্দুদের ভবিষ্য পুরানে মুহাম্মদের কথা লেখা আছে।বলা আছে – মুহাম্মদকে গ্রহন করে সকল হিন্দুদের ইসলাম অনুসরন করার কথা। কিন্তু যদি দেখা যায় , মুহাম্মদকে ভবিষ্য পুরানে শয়তান হিসাবে চিহ্নিত করেছে , তাহলে কি করতে হবে ? আজকেই কি তাহলে সকল মুসলমানের ইসলাম ত্যাগ করা উচিত নয় ?
এখানে বিস্তারিত
Rahul তো না বুঝে বাংলা, না বুঝে সংস্কৃতি আবার না পরে ভাল করে আরবি বলতে, যদি কোন বুদ্ধিমান ও সুচিন্তার মানুষ হত লাইভে আসতো না।
প্রশ্ন কিভাবে করতে হয় এবং উত্তর কিভাবে দিতে হয় সে জানেও না।
আসলেই রাহুল লোকটার যুক্তিগুলো ঠিক নয়।
মনগড়া গল্প কম বানান। মুমিন এরকম কিছু বলবে না যদি জ্ঞান থাকে । বেদ গ্রন্হে কিছু ভবিষ্যত বাণী অাছে । পুরান ঐশ্বরিক গ্রন্হ নয় । বেদ ঐশ্বরিক গ্রন্হ । যদিও তা বেশীরভাগ হিন্দু চোখেই দেখেনি কোনোদিন ।
কোন ধর্মীয় নেতারা আলাদা কোন কথা বলেনি যদি আলাদা তথ্য পাওয়া যায় তা ধর্ম ব্যবসায়ী রা করেছেন ঠিক আপনার মতনই কারণ আমি ধর্মের সবধরনের কিতাব পড়ি
সম্পূর্ণটা পড়লাম. এটা পরিস্কার করে বুঝতে পেরেছি যে আপনি যেই ঘটনা বললেন সেটাই past tense এ লেখা। কিন্তু ভবিষ্যৎ past tense এ হয় কিভাবে????
আপনি একদম ঠিক বলেছেন সাম্প্রতিককালে লিখে মাটি চাপা দিয়ে কিছু বছর পর বের করে আনলে যে লিখা পাওয়া যাওয়ার কথা তা আপনার তুলে ধরা ছবি দেখলেই বুঝা যাচ্ছে যে ইহা বিকৃত।
অবিকৃত ভবিষ্য পুরাণ খুঁজে না পেলে যা হয় আর কি!
অনেকেই বলছেন ডা. জাকির নায়েক যেহেতু বার বার বলছে এই বই এ মো. এর নাম উল্লেখ আছে তাহলে এই ধর্ম পালন করলেই হয়।যুক্তির খাতিরে বিভিন্ন পুরানো বই বা গ্রন্থে যা মিল আছে তার সাদৃশ্যতা তুলে ধরেছেন তিনি।কারণ আমাদের রয়েছে পবিত্র আল্লাহতায়ালার বাণী কোরআন এবং সর্বশেষ পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ সঃ এর হাদিস।আমরা মুসলিম। আমরা বিশ্বাস করি সৃষ্টিকর্তা একজন,তিনি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই,তাঁকে আমরা আল্লাহ বলে ডাকি।
তাঁকে দেখা যায় না।যেখানে আমরা তাঁকে না দেখেই বিশ্বাস করি তাঁর পবিত্র বানী কুরআন শরীফ পড়ে এবং তাঁর কুদরতের নিদর্শন ও এই দুনিয়া আসমান যমিন ও তার মাঝে সবকিছুর সৃষ্টির সেই এক মালিক আমাদের মহান আল্লাহতায়ালা আমরা এই সমস্ত কিছুই বিশ্বাস করি।
আর যুক্তিতর্ককরবার মতো জাকির ভাই অনেক কিছুই তো আরো তুলে ধরেছেন অগুলা নিয়াও কিছু যুক্তি দেখান যা কি না বিজ্ঞানসম্মত কুরআনের প্রায় ৮০% আজ এই ক’বছর আগে বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যা কি কুরআনে ১৪০০বছর আগে বলা আছে।
তারপরেও মানে আপনাদের এই অদ্ভুত চিন্তাভাবনায় আমি বিষ্মিত হয়ে যাই কেমনে পারেন অদ্ভুত যুক্তি দেখাইতে যার কোনো ভিত্তি নাই?
দয়া করে সবাই একবার কুরআন শরীফ পড়বেন। পড়লে বুঝবেন ইহাই যে একমাত্র শান্তির ধর্ম।পড়ার শেষে তারপর আইসেন যুক্তি দেখাতে।ধন্যবাদ।
ভাই আপনি কুরআন পড়ছেন ??
আমি একজন নাস্তিক তবে স্বল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করীতে বিশ্বাসী ও সত্যান্বেষী।
প্রথমত,পুরাণ বলতে কি বোঝায়, সেটা সঠিক ব্যাখ্যা করা হয় নি। মূল পুরাণ গুলি সমস্তই মহর্ষি বেদব্যাস কৃত, ঠিক আছে।
এবার, আপনি যে ভবিষ্য পুরাণ সম্পর্কে উদাহরণ গুলি দিচ্ছেন, সে বিষয় আরো একটু আপনাদের জানা দরকার। ভারতে মুসলমান আক্রমণের পূর্বেও বিভিন্ন জাতি দ্বারা বিভিন্ন স্থানে ভারতের আক্রমণ করতো ও সে সব অঞ্চলের বেক্তিদের এই মূল পৌরাণিক গ্রন্থগুলি আক্রমণে নষ্ট হওয়ায় তারা পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যতটুকু মণে রাখতে পারত ততটুকু পরবর্তীতে জন্য লিখে যেত। যার জন্য ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া ভবিষ্য পুরাণের যতগুলি পাণ্ডুলিপি উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে বিভিন্নতা সামান্য দেখা যায়। এবার আপনি ভবিষ্য পুরাণের রচনা কাল সম্পর্কে যাদের উদাহরণ দিলেন তারা সকলেই বিদেশী। ইংরেজরা, ভারতীয় সংস্কৃতিকে ভুল প্রমাণ করার জন্য ভারতীয় বেদ-উপনিষদ-পুরাণ গুলোর ভুল ব্যাখ্যা করতে শুরু করে যাতে ভারতের ভবিষ্যত প্রজন্ম ইংরেজদের মহান বলে জানে। আর ইংরেজদের এই মিথ্যাচারের বর্তমানে প্রমাণিত হয়েছে। Max Muller তা চিঠিতে নিজে জানিয়েছেন। এতো কিছুর পরেও বিদেশীদের ব্যাখ্যার উপর আমরা কি ভাবে বিশ্বাস করুন পারি? আর ভোজ রাজের সময়কাল আপনি কোথা থেকে পেলেন, একটু জানাবেন Pleae?
Please go through the following links:-
https://www.quora.com/Is-Prophet-Muhammad-mentioned-in-Bhavishya-Purana
জগরা কইরেনা সবাই মিলেমিশে থাকবো
ভবিষ্য পুরাণে হযরত মুহাম্মদ এর নাম থাকলে কি আসে যায় না থাকলে কি আসে যায় । ভবিষ্যৎ পুরান কে লিখেছে? ভবিষ্যৎ পুরাণকে কি সত্য মানতে হবে না মানলে চলবেনা ।
নবী মুহাম্মদ কে নিয়ে এতো এতো বাজে কথা বলা হয়েছে তারপরও মুমিনরা গর্বিত । ঝাচাই বাচাই করার কোন প্রয়োজন বোধ করে না।
ভুল ব্যাখ্যা,,,,, ভারতের হিন্দু ধর্ম গুরু রবিসংকর,,,,,,,, সঠিক ব্যাখ্যার লিংক হত্তপ://sharevideo1.com/v/WVUtaHo3TGxFc2c=?t=ytb&f=co
you are right brother
sob jaygay mittha kotha bolte valo lage na?
I used to like dr. Zakir nayek so much that i made a dream of becoming like him or less…..যখন আমার journey শুরু হয় অবিশ্বাসের তখন থেকে Dr. জাকের নালায়েক কে চিনতে শুরু করলাম…and what you mentioned above regarding Mohammad in the kalki poran helped me a lot…. Cause when i used to discuss with theists they almost,,likely always put up this information to tackle me….তখন আমার কাছে এটা অজানা ছিলো।।but with your help It’s clear now….dr. জাকের নালায়েকব is the biggest cheat, a fraud, a religiophobe….এখন আমি ওনার মতো হওয়া তো দুর, আমি অমানুষই হতে চাইনা। আগে মানুষ হতে চাই
ভাই , আমি আপনার একজন ফ্যান । ভাই আমার ,আল রাযী সাহেব এর কিছু বই এর লিঙ্ক চাই। যদি আপনার জানা থাকে তবে আমাকে জানাবেন please.