আদম ও মুসার বাদানুবাদ প্রসঙ্গে
“ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ” Al Bidaya Wal Nihaya (Download Link) প্রখ্যাত মুফাসসির ও ইতিহাসবেত্তা আল্লামা ইবনে কাসীর (রহ) প্রণীত একটি সুবৃহৎ ইতিহাস গ্রন্থ। এই গ্রন্থে ইসলাম তথা কোরআন এবং হাদিসের আলোকে সৃষ্টির শুরু তথা আরশ, কুরসী, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল প্রভৃতি এবং সৃষ্টির শেষ তথা হাশর-নশর, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম প্রভৃতি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। এই গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে ইসলামের অসংখ্য অজানা বিষয়াদি, যা আমাদের দেশের বেশিরভাগ মুসলিমই অবগত নন। নাস্তিক্য ডট কম সর্বদাই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে চায় এবং জেনে বুঝে যাচাই বাছাই করে যুক্তি প্রমাণ ইত্যাদির নিরিখে বিবেচনা করতে উৎসাহ দেয়। সেই কারণেই আপনাদের সামনে পেশ করছি কিছু জরুরি আলোচনা, যা চিন্তাশিল মানুষের কাজে লাগলেই আমরা আনন্দিত হবো।
এই নিয়ে দীর্ঘ একটি বিতর্ক রয়েছে যে, আদমকে সৃষ্টির পরে জান্নাতে গন্দম ফল খাওয়া কী আদমের স্বাধীন ইচ্ছায় করা অপরাধ, নাকি সেটি স্বয়ং আল্লাহরই ইচ্ছা ছিল? আদমের পাপে আল্লাহ পাকের কতটা প্রভাব ছিল? নাকি আদমের এই কাজে আল্লাহ বিন্দুমাত্র প্রভাব বিস্তার করেন নি? আল্লাহ আসলে কখনই চান নি, আদম গন্দম খেয়ে পাপ করুক, এবং শাস্তি পাক! এই বিষয়ে কোরআন হাদিস কী বলে? যদি তা আল্লাহ পাকেরই ইচ্ছা হয়ে থাকে, আল্লাহ কেন এমন কাজের শাস্তি কাউকে দেবেন, যা তিনি নিজেই পূর্বে পরিকল্পনা এবং নির্ধারণ করে রেখেছেন? এ কী ন্যায় বিচার?
অনেকেই বলে থাকেন, আদম নিজ ইচ্ছাতেই সজ্ঞানে গন্দম খাওয়ার অপরাধ করেছিল। আবার অনেকে বলেন এটি ছিল আল্লাহ পাকের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। যদি আল্লাহ পাকই সেরকম পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আদমকে দিয়ে তিনি গন্দম খাইয়েছেন, এবং শয়তানকেও একই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। সেই বিষয়টি আশাকরি এই রেফারেন্সগুলো চেক করবার পরে আপনাদের কাছে খোলাসা হয়ে যাবে। এখানে একটি কথাও আমি নিজে বলবো না, রেফারেন্সে যা বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সেই দিকেই আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। আরজ আলী মাতুব্বরের এই বিষয়ে শয়তানের জবানবন্দি নামে একটি সুবিখ্যাত গল্প রয়েছে, প্রাসঙ্গিকভাবে পড়তে পারেন। অন্যান্য রেফারেন্সের জন্য তথ্যভাণ্ডার এবং গ্রন্থাগার পাতাগুলো দেখার অনুরোধ রইলো।
শুরুতেই এই সম্পর্কিত সহিহ হাদিসগুলো পড়ে নিই।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বের হওয়া সহিহ মুসলিম হাদিসের ৬ নম্বর খণ্ডটির ডাউনলোড লিঙ্ক দেয়া হলো, বাকিগুলো গ্রন্থাগার পাতাতে পাবেন।
এবারে আসুন পড়ি, ইবনে কাত্থিরের গ্রন্থ থেকে।