ইসলামে দাসীদের সাথে আচরণ প্রসঙ্গে
সূচিপত্র
ভূমিকা
ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন এবং হাদিসসমূহে দাসপ্রথাকে বৈধতা দান সহকারে ক্রীতদাসীদের সাথে বিবাহ ছাড়াই যৌনকর্ম করাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক নবী মুহাম্মদ নিজেই কাজটি করে কাজটি সুন্নাহের অংশ করে গেছেন। এবং, কেয়ামত পর্যন্ত এই বিধানকে বৈধতাও দিয়েছেন। সেইসাথে, নবী মুহাম্মদের প্রখ্যাত অনেক সাহাবীই ক্রীতদাসীদের সাথে যৌনকর্ম করেছেন, যার প্রমাণ বিভিন্ন জায়গাতেই পাওয়া যায়। আজকের এই লেখাটি হচ্ছে, নবীর প্রখ্যাত সব সাহাবীগণ ক্রীতদাসীদের সাথে কীরকম আচরণ করতেন, তার কিছু বিবরণ। আশাকরি, আগ্রহী পাঠকগণ লেখাটি পড়বেন এবং রেফারেন্সগুলো যাচাই করে দেখবেন যে, নারী মাংসের লোভ কী ভয়াবহ পরিমাণে ছিল নবী এবং নবীর অনুসারীদের মধ্যে। সেই সাথে, আমাদের অন্যান্য লেখা পড়ে দেখারও অনুরোধ রইলো [1] [2]।
ক্রীতদাসী বা যৌনদাসী সঙ্গমে সওয়াব
অনেকেই বলতে পারেন, ক্রীতদাসীদের সাথে যৌনকর্মের কথা ইসলামে রয়েছে তবে কাজটি বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে করতে পারে, নাও করতে পারে। কিন্তু দাসীর সাথে যৌনকর্ম কী আসলেই একটি ঐচ্ছিক বিষয়? নাকি এই কাজে রীতিমত উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে? আসুন হাদিস থেকেই জেনে নিই, দাসী ভোগ ইসলামে পবিত্র কাজ বা সওয়াব বলে বিবেচিত হয় কিনা। নিজের হাদিস থেকে এটি পরিষ্কার যে, নবী দাসী সেক্স করার উৎসাহ দিয়েছেন এবং এটি একটি রীতিমত সওয়াবের কাজ [3] [4] –
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত
পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ – সদাক্বার মর্যাদা
১৮৯৮-[১১] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক ‘তাসবীহ’ অর্থাৎ সুবহা-নাল্ল-হ বলা সদাক্বাহ্ (সাদাকা), প্রত্যেক ‘তাকবীর’ অর্থাৎ আল্ল-হু আকবার বলা সদাক্বাহ্ (সাদাকা), প্রত্যেক ‘তাহমীদ’ বা আলহাম্দুলিল্লা-হ বলা সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। প্রত্যেক ‘তাহলীল’ বা ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ বলা সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। নেককাজের নির্দেশ দেয়া, খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখা সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। নিজের স্ত্রী অথবা দাসীর সাথে সহবাস করাও সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ যদি নিজের কামভাব চরিতার্থ করে তাতেও কি সে সাওয়াব পাবে? উত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকে বলো, কোন ব্যক্তি যদি হারাম উপায়ে কামভাব চরিতার্থ করে তাহলে সেকি গুনাহগার হবে না? ঠিক এভাবেই হালাল উপায়ে (স্ত্রী অথবা দাসীর সাথে) কামভাব চরিতার্থকারী সাওয়াব পাবে। (মুসলিম)[1]
[1] সহীহ : মুসলিম ১০০৬, আহমাদ ২১৪৮২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৮২৩, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৪৫৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৫৬, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ২৫৮৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
উম্মে ওয়ালাদ কী?
ইসলামের বিধান অনুসারে, উম্মে ওয়ালাদ হচ্ছে যে দাসীর গর্ভে মনিবের সন্তান জন্ম নেবে তারা। নবীর যুগে উম্মে ওয়ালাদ বিক্রয় করা বৈধ ছিল, কিন্তু উমর এসে সেটি নিষিদ্ধ করেন। আসুন হাদিস থেকে সরাসরি বিষয়টি দেখে নিই [5] [6] –
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
২৪/ দাসত্বমুক্তি
পরিচ্ছেদঃ ৮. উম্মু ওয়ালাদ আযাদ হওয়া
৩৯৫৪। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বাকরের যুগে উম্মু ওয়ালাদ বাঁদীদেরকে বিক্রি করেছি। পরবর্তীতে উমার (রাঃ)-এর যুগে তিনি আমাদের বারণ করায় আমরা বিরত হই।[1]
সহীহ।
[1]. বায়হাক্বী, হাকিম। ইমাম হাকিম বলেনঃ এই হাদীসটি মুসলিমের শর্ত মোতাবেক।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)
সুনান ইবনু মাজাহ
১৩/ বিচার ও বিধান
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৯৫. উম্মু ওয়ালাদ সম্পর্কে
৩/২৫১৭। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে জীবিত থাকা অবস্থায় আমরা আমাদের যুদ্ধবন্দিনী ক্রীতদাসী ও উম্মু ওয়ালাদ বিক্রয় করতাম। আমরা এটাকে দূষণীয় মনে করতাম না।
আবূ দাউদ ৩৯৫৪। সহীহাহ ২৪১৭।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)
উমরের বিধান অনুসারে, এরকম দাসী মনিবের মৃত্যুর পরে মুক্ত হয়ে যাবে, তবে মনিব জীবিত থাকা অবস্থায় সে সেই উম্মে ওয়ালাদকে দাসীর মতই ভোগ করতে পারবে, তাকে দিয়ে অর্থ উপার্জনও করতে পারবে। আসুন ফতোয়ায়ে আলমগীরি থেকে এই বিষয়ক একটি মাসআলা দেখে নিই [7] –
দাসী প্রহার করলে কী মুক্ত করা বাধ্যতামূলক
অনেকেই দাবী করেন, দাসদাসীকে প্রহার করলে নাকি সেই দাসদাসীকে মুক্ত করে দেয়া ইসলামে বাধ্যতামূলক। আসুন ইযাহুল মুসলিম গ্রন্থ থেকে এই বিষয়টি জেনে নেয়া যাক [8] –
একই কথা বলা রয়েছে সহীহ মুসলিম গ্রন্থের ব্যাখ্যা গ্রন্থেও [9] –
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ
নবী মুহাম্মদ ক্রীতদাসী মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভে ইব্রাহীম নামক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, এই নিয়ে পুর্বেই বিস্তারিত লেখা হয়েছে। তাই এই লেখাতে সেই বিষয় আলোচনা করা হচ্ছে না। আগ্রহী পাঠকগণ এই লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন [10] [11] [12] [13]।
আবু বকর ইবনে আবু কুহাফা
হযরত আবু বকরের শাসনামলে তিনি মুহাম্মদের শরীয়তের অনুসরণ করেই দাসদাসীদের হত্যা করার জন্য মালিকের মৃত্যুদণ্ড হবে না, এমন বিধান চালু রাখেন। দাসদাসীদের হত্যার ক্ষেত্রে ইসলামের এই বিধান খুবই ভয়ঙ্কর রকম বৈষম্য। ইসলামে দাসদাসীর মূল্য মর্যাদার দিক দিয়ে চতুষ্পদ জন্তুর মত। তাই মানুষ এবং পশুর মধ্যে কিসাস হতে পারে না, ইসলামিক বিধানে এরকমই বর্ণিত রয়েছে। আসুন, ফিকহে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু গ্রন্থ থেকে সরাসরি পড়ি [14]। পরবর্তীতে খলিফা উমরও একই বিধান চালু রাখেন।
উমর ইবনুল খাত্তাব
ইসলাম ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিত্ব হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং ইসলামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তার অনেকজন উম্মু ওয়ালাদ ছিল বলে জানা যায়। তার বাসায় ক্রীতদাসীগণ নগ্ন বক্ষে পানীয় পরিবেশন করতেন বলে হাদিস থেকে জানা যায়। নিচর হাদিসটি দেয়া হচ্ছে, সেটি পড়ুন। এই হাদিসটি ইসলাম ওয়েব ডট নেট নামক প্রখ্যাত একটি ফতোয়া এবং হাদিস বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে। মূল হাদিস গ্রন্থেও হাদিসটি বর্ণিত আছে। হাদিসটি বর্ণনা করা হয়েছে কিতাব আল সুনান আল কুবরা গ্রন্থে। [15], এবং প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী হাদিসটি তাহক্বীক বা করেছেন। উল্লেখ্য, একটা হাদীস ঠিক কতখানি বিশুদ্ধ তা নির্ণয়ের জন্য তাহক্বীক করা হয়।
كتاب السنن الكبرى » كتاب الصلاة » جماع أبواب لبس المصلي » باب عورة الأمة
بحث في نص الكتاب معلومات عن الكتاب كتاب السنن الكبرى
2جزءالتالي صفحة
227
السابق
3127 ( وأخبرنا ) أبو القاسم عبد الرحمن بن عبيد الله الحرفي ببغداد ، أنبأ علي بن محمد بن الزبير الكوفي ، ثنا الحسن بن علي بن عفان ، ثنا زيد بن الحباب عن حماد بن سلمة ، قال : حدثني ثمامة بن عبد الله بن أنس عن جده أنس بن مالك قال : كن إماء عمر – رضي الله عنه – يخدمننا كاشفات عن شعورهن ، تضرب ثديهن .
قال الشيخ : والآثار عن عمر بن الخطاب – رضي الله عنه – في ذلك صحيحة ، وإنها تدل على أن رأسها ورقبتها وما يظهر منها في حال المهنة ليس بعورة ، فأما حديث عمرو بن شعيب فقد اختلف في متنه ؛ فلا ينبغي أن يعتمد عليه في عورة الأمة ، وإن كان يصلح الاستدلال به وبسائر ما يأتي عليه معه في عورة الرجل . وبالله التوفيق
হাদিসের মূল অংশঃ حدثني ثمامة بن عبد الله بن أنس عن جده أنس بن مالك قال : كن إماء عمر – رضي الله عنه – يخدمننا كاشفات عن شعورهن ، تضرب ثديهن .
হাদিসের ইংরেজি অনুবাদঃ Thumama bin Abdullah bin Anas told me on the authority of his grandfather Anas bin Malik who said: They were the slave girls of Umar – may God be pleased with him – who served us, revealing their hair, hitting their breasts.
এই হাদিসটিতে দেখা যাচ্ছে, যার বাঙলা অনুবাদ হচ্ছে, থুমামা ইবন আবদুল্লাহ বিন আনাস তার দাদা আনাস বিন মালিকের বরাতে বর্ণনা করেছেন, খলিফা উমরের মহলে দাসীগণ আমাদের পানীয় পরিবেশন করতো, যাদের চুল দেখা যেতো, এবং সেই চুল তাদের স্তন্যে ধাক্কা খেতো। পাঠক লক্ষ্য করুন, এই হাদিসের এই অংশটি,
تضرب ثديهن .
এর অর্থ হচ্ছে, hitting their breasts. এই বিষয়ে আমরা আমাদের লাইভ আলোচনাগুলোতে আরবি মাতৃভাষা এমন একজনকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। উনি হাদিসটি অনুবাদ করে পরিষ্কারভাবে বলে গেছেন, এর অর্থ সাধারণভাবে খোলা স্তন। আরবিতে খোলা বা উন্মুক্ত স্তন বোঝাতেই এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য, এই হাদিসটিকে আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী হাসান বা Good গ্রেডিং দিয়েছেন।
আসুন এই হাদিসটি শায়খ আইনুল হুদার মুখ থেকে শুনে নিই,
এর সাথে প্রখ্যাত ইসলামিক আলেম আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এবং মুফতি ইব্রাহীমের একটি বক্তব্য শুনি, যেখানে উনি পরিষ্কারভাবে আরেকটি হাদিস বর্ণনা করছেন, যেখানে জানা যাচ্ছে হযরত উমর ক্রীতদাসীদের পেটাতেন, মুক্ত নারীদের মত পর্দা করার কারণে।
আলী ইবনু তালিব
হযরত মুহাম্মদের মেয়ের জামাই এবং একই সাথে আপন চাচাতো ভাই আলীও ছিল একজন রঙ্গিন চরিত্রের মানুষ। নবী মুহাম্মদ নিজে অসংখ্য বিবি, দাসী ভোগের সাথে সাথে নিজের জামাইদেরকেও যুদ্ধবন্দিনীদের ভাগ দিতে কসুর করেননি। হযরত আলীকে তিনি উদারভাবে মালে গনিমত থেকে প্রাপ্ত খুমুসের অংশ বন্টন করেছেন। উল্লেখ্য, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করে যা লুটপাট করা যেতো, সেগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় বলে গনিমতের মাল। সেখান থেকে এক পঞ্চমাংশ ভাগ নিতেন নবী স্বয়ং। এই এক পঞ্চমাংশকে বলা হয় খুমুস। গনিমতের মালের মধ্যে নারী শিশুও অন্তর্ভূক্ত থাকতো [16]। নিচের হাদিসটিতে দেখা যাবে, কীভাবে হযরত ফাতেমার স্বামী নবী জামাতা শেরে খোদা হযরত আলী বন্দিনীর সাথে সেক্স করছেন, যে বন্দিনীকে তিনি শ্বশুরের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।
মহান আমাদের দয়াল নবী মুস্তফা। নিজের কন্যার স্বামীর সাথে সেক্স করার জন্য যুদ্ধবন্দিনী দিতে এখনকার আধুনিক পিতারও বুক কেঁপে উঠবে, কিন্তু সেই সময়েই দয়াল নবী তা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন [17]
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৬৪/ মাগাযী (যুদ্ধ)
পরিচ্ছদঃ ৬৪/৬২. বিদায় হাজ্জের পূর্বে ‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব এবং খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ।
৪৩৫০. বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আলী (রাঃ)-কে খুমুস (গানীমাতের এক-পঞ্চমাংশ) নিয়ে আসার জন্য খালিদ (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। (রাবী বুরাইদাহ বলেন,) আমি ‘আলী (রাঃ)-এর প্রতি অসন্তুষ্ট, আর তিনি গোসলও করেছেন। (রাবী বলেন) তাই আমি খালিদ (রাঃ)-কে বললাম, আপনি কি তার দিকে দেখছেন না? এরপর আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ফিরে আসলে আমি তাঁর কাছে বিষয়টি জানালাম। তখন তিনি বললেন, হে বুরাইদাহ! তুমি কি ‘আলীর প্রতি অসন্তুষ্ট? আমি বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তার উপর অসন্তুষ্ট থেক না। কারণ খুমুসে তার প্রাপ্য এর চেয়েও অধিক আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০১২)
Narrated Buraida: The Prophet (ﷺ) sent `Ali to Khalid to bring the Khumus (of the booty) and I hated `Ali, and `Ali had taken a bath (after a sexual act with a slave-girl from the Khumus). I said to Khalid, “Don’t you see this (i.e. `Ali)?” When we reached the Prophet (ﷺ) I mentioned that to him. He said, “O Buraida! Do you hate `Ali?” I said, “Yes.” He said, “Do you hate him, for he deserves more than that from the Khumlus.”
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পাঠক লক্ষ্য করুন, যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে যৌনকর্মের পরে গোছলের কথাটিকে বাঙলায় অনুবাদ করা হয়েছে শুধু গোছল হিসেবে। যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে নবী জামাতা আলী সেক্স করতেন তা গোপন করার জন্য। খুব কৌশলে আলীর চরিত্র রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে একই হাদিসের ইংরেজি অনুবাদে সেটি পাওয়া যায়।
সহি বুখারিঃ ভলিউম-৫, বুক নং-৫৯, হাদিস নং-৬৩৭:
বুরাইদা কর্তৃক বর্ণিতঃ
নবী আলীকে ‘খুমুস’ আনতে খালিদের নিকট পাঠালেন (যুদ্ধলব্ধ মালের নাম খুমুস)। আলীর উপর আমার খুব হিংসা হচ্ছিল, সে (খুমুসের ভাগ হিসেবে প্রাপ্ত একজন যুদ্ধবন্দিনীর সাথে যৌনসঙ্গমের পর) গোসল সেরে নিয়েছে। আমি খালিদকে বললাম- “তুমি এসব দেখ না”? নবীর কাছে পৌছলে বিষয়টি আমি তাকে জানালাম। তিনি বললেন- “বুরাইদা, আলীর উপর কি তোমার হিংসা হচ্ছে”? আমি বললাম-“হ্যা, হচ্ছে”। তিনি বললেন-“তুমি অহেতুক ইর্ষা করছ, কারণ খুমুসের যেটুকু ভাগ সে পেয়েছে তার চেয়ে আরও বেশী পাওয়ার যোগ্য সে”।
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে এই বর্ণনাটির আরো বিবরণ পাওয়া যায় [18]
সহজ ইনআমুল বারী যা সহিহ বুখারীর একটি ব্যাখ্যা গ্রন্থ, তা থেকে এই হাদিসটির ব্যাখ্যা যা জানা যায়, তাতে পিলে চমকে ওঠে। আলী আসলে যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে অপ্রাপ্তবয়ষ্ক পিরিয়ড পর্যন্ত না হওয়া এক বালিকার সাথে সহবত করেছিল [19]।
ইবনে হিশামের সিরাতুন নবী থেকে জানা যায়, আয়িশার একটি পরকীয়ার গুজব উঠেছিল। সেই সময়ে আলী আয়িশার একজন দাসীকে ধরে বেদম প্রহার করে সত্যি কথা বের করারও চেষ্টা করেন [20]।
আরো জানা যায়, মৃত্যুর সময় আলীর অনেক উম্মু ওয়ালাদ ছিল, যাদের পেটে আলী সন্তান জন্ম দিয়েছিল। [21]
মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান
হযরত আমির মুয়াবিয়া বা মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান ছিলেন উমাইয়া সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ৬৬১ থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ইসলামি সাম্রাজ্যের খলিফা ছিলেন। তিনি শুধু ইসলামের খুবই গুরুত্বপূর্ণ খলিফাই ছিলেন না, নবী মুহাম্মদের আপন শ্যালকও ছিলেন। তার আপন বোন উম্মে হাবিবা ছিলেন নবী মুহাম্মদের স্ত্রী। তার সম্পর্কে বেশ কিছু হাদিস বর্ণিত আছে, একটি হাদিসে বলা আছে, নবী মু’আবিয়ার জন্য প্রার্থণা করেন, হে আল্লাহ! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও।
সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. মু’আবিয়াহ ইবনু আবী সুফইয়ান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৪২। আবদুর রহমান ইবনু আবী উমাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী ছিলেন; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আবিয়া (রাযিঃ)-এর জন্য দু’আ করেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও।
সহীহঃ মিশকাত (৬২৪৪), সহীহাহ (১৯৬৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ ‘আমীরাহ্ (রাঃ)
সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. মু’আবিয়াহ ইবনু আবী সুফইয়ান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৪৩। আবূ ইদরীস আল-খাওলানী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, “উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) যখন উমাইর ইবনু সা’দ (রাযিঃ)-কে পদচ্যুত করে সে পদে মু’আবিয়াহ (রাযিঃ)-কে হিমসের গভর্নর নিযুক্ত করলেন তখন লোকেরা বলল, তিনি উমাইরকে পদচ্যুত করে সেই পদে মু’আবিয়াহকে শাসক নিযুক্ত করেছেন। উমাইর (রাযিঃ) বলেন, তোমরা মু’আবিয়াহকে ভালভাবে স্মরণ কর। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছিঃ হে আল্লাহ! তুমি তার মাধ্যমে (লোকদের) পথ দেখাও।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব। আমর ইবনু ওয়াকিদকে দুর্বল মনে করা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু ইদরিস খাওলানী (রাঃ)
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদঃ মুআবিয়া (রাঃ) এর মাহাত্ম্য
(২৮৯২) ইরবায বিন সারিয়াহ সুলামী (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে আল্লাহ! তুমি মুআবিয়াকে কিতাব ও হিসাব শিক্ষা দাও এবং আযাব থেকে রক্ষা কর।
(আহমাদ ১৭১৫২, ত্বাবারানীর কাবীর ৬২৮, সিঃ সহীহাহ ৩২২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইরবায ইবনু সারিয়াহ্ (রাঃ)
একইসাথে জানা যায়, মু‘আবিয়াহ ছিলেন উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন সাহাবী এবং ফকীহ।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬২/ সাহাবীগণ [রাযিয়াল্লাহ ‘আনহুম]-এর মর্যাদা
পরিচ্ছেদঃ ৬২/২৮. মু‘আবিয়াহ (রাঃ)-এর উল্লেখ।
৩৭৬৫. ইবনু আবূ মুলায়কাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলা হল, আপনি আমীরুল মু’মিনীন মু‘আবিয়াহ (রাঃ)-এর সঙ্গে এ বিষয় আলাপ করবেন কি? যেহেতু তিনি বিতর সালাত এক রাক‘আত আদায় করেছেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, তিনি ঠিকই করেছেন, কারণ তিনি নিজেই একজন ফকীহ্। (৩৭৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবন আবূ মুলায়কা (রহঃ)
ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এই মু’আবিয়ার দরবারে দাসীদেরকে নগ্ন অবস্থায় উপস্থাপন করা হতো বলে আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থ থেকে জানা যায়। মু’আবিয়া দণ্ড দিয়ে সেই সব দাসীদের গোপনাঙ্গ নির্দেশ করে বলতেন, এই সম্ভোগ অঙ্গ যদি আমার হতো!
ইবনে আসাকির হযরত মু’আবিয়ায় আযাদকৃত গোলাম খোঁঁজা খাদীজের জীবনী আলোচনা প্রসঙ্গে তার উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন,
(একবার) মু আবিরা (বা) একটি সুন্দরী ও ফর্সা বঁদী খরিদ করলেন, এরপর আমি তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় তার সামনে পেশ করলাম, এ সময় তার হাতে একটি দণ্ড ছিল৷ তিনি তা দ্বারা তার বিশেষ অঙ্গের প্রতি নির্দেশ করে বলেন, এই সম্ভোগ অঙ্গ যদি আমার হত! তুমি তাকে ইয়াযীদ বিন মু’আবিয়ার কাছে নিয়ে যাও৷
… রাবী যখন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করলেন, তখন তিনি তাকে বলেন, এই বাদীকে বিবস্ত্র অবস্থায় আমার সামনে আনা হয়েছে এবং আমি তার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ দেখেছি, এখন আমি তাকে ইয়াযীদের কাছে পাঠাতে চাই৷ তিনি বললেন, না৷ আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি তা করবেন না৷ কেননা, সে তার জন্য আর হালাল হবে না ৷ তিনি বলেন, তুমি অতি উত্তম রায় প্রদান করেছ৷
রাবী বলেন, এরপর তিনি হযরত ফতিমা (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম আবদুল্লাহ বিন মাসআদা আল ফাযারীকে বাঁদীটি দান করেন৷ আর সে ছিল কৃষ্ণাঙ্গ, তইি তিনি তাকে বলেন, এর মাধ্যমে তোমার সন্তানাদিকে ফর্সা করে নাও৷ এ ঘটনা হযরত মুআবিয়ার ধর্মীয় বিচক্ষণতা ও অনুসন্ধিৎসার পরিচায়ক৷ যেহেতু তিনি কামভাবের সাথে বীদীটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু তাব ব্যাপারে নিজেকে দুর্বল গণ্য করেন (এবং তাকে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন) তাই তিনি নিম্নের আয়াতের কারণে বাঁদীটি তার পুত্র ইয়াযীদকে দান করা থেকে বিরত থেকেছেন।
আসুন সরাসরি বই থেকেই এই অংশটুকু দেখে নিই, [22]
আবদুল্লাহ ইবনে উমর
হযরত উমরের পুত্র এবং নবী মুহাম্মদের আরেক সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উমর হাদিস ও ফিকহের একজন বড় পণ্ডিত ছিলেন। আসুন একটি হাদিস দেখে নিই,
সুনান আদ-দারেমী
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১১৫. হায়িযগ্রস্ত মহিলার হায়িয শুরু হওয়ার পূর্বে গোসল ফরয থাকলে তার গোসল করা
১১৮৮. নাফি’ রাহি. হতে বর্ণিত, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর স্ত্রীগণ ও তাঁর উম্মু ওয়ালাদ (সন্তানদানকারী দাসী)-গণ যখন গোসল করতেন, তখন তারা তাদের চুলের খোঁপা খুলতেন না; না হায়িযের গোসলে, আর না জানাবাতের গোসলে।[1]
[1] এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৭৪; আব্দুর রাযযাক নং ১০৪৭; সামনে ১২০৩ (অনূবাদে ১১৯৭) নং এ আসছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
উনার সম্পর্কে একটি গুরুত্বপুর্ণ হাদিস পাওয়া যায় মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক গ্রন্থে, যেটি খুবই প্রাচীন একটি হাদিস গ্রন্থ। হাদিসটিতে বলা হচ্ছে, উনি বাজার থেকে দাসী কিনতেন, কেনার সময় টিপে টিপে দেখতেন দাসীদের। স্তন্যের মাঝখানে তিনি হাত দিয়ে দুলিয়ে দেখতেন, দাসীদের স্তন কেমন। খুবই গুরুত্বপুর্ণ হাদিস গ্রন্থ আবদুর রাজ্জাকের প্রণিত হাদিস গ্রন্থের এই হাদিসটি পাওয়া যাবে ইসলাম ওয়েব ডট নেট ওয়েবসাইটে [23]। হাদিস সম্পর্কে যারা অভিজ্ঞ, তারা এই হাদিসটি সম্পর্কে জানেন।
مصنف عبد الرزاق » كتاب الطلاق » باب الرجل يكشف الأمة حين يشتريها 13198 عبد الرزاق ، عن ابن جريج ، عن عطاء قال قلت له الرجل يشتري الأمة ، أينظر إلى ساقيها ، وقد حاضت ، أو إلى بطنها ؟ قال ” نعم ” ، قال عطاء كان ابن عمر ” يضع يده بين ثدييها ، وينظر إلى بطنها ، وينظر إلى ساقيها ، أو يأمر به “
13204 عبد الرزاق ، عن ابن عيينة قال : وأخبرني ابن أبي نجيح ، عن مجاهد قال : ” وضع ابن عمر يده بين ثدييها ، ثم هزها ” .
হাদিসের মূল অংশঃ
قال عطاء كان ابن عمر ” يضع يده بين ثدييها ، وينظر إلى بطنها ، وينظر إلى ساقيها ، أو يأمر به “
” وضع ابن عمر يده بين ثدييها ، ثم هزها ” .
বাঙলা অনুবাদঃ
আতা বলেছিলেন: ইবনে উমর তাঁর স্তনগুলির মাঝে হাত রাখতেন, পেটের দিকে তাকাতেন, তার পা দেখতেন বা আদেশ দিতেন।
ইবনে উমর তাঁর স্তনগুলির মাঝে হাত রাখলেন, তারপর তা ঝাকালেন।
আবু সাঈদ খুদরী
সায়িদ ইবনে মালিক সিনান আল-খাজরাজি আল-খুদরী ছিলেন মদিনার স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্য থেকে একজন আনসারী এবং একজন স্বল্পবয়সী সাহাবী। তার পিতা মালিক ইবনে সিনান ও মাতা আনিসা বিনতে আবিল হারিস হিজরতের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন। অসংখ্য হাদিস বর্ণনাকারী এই গুরুত্বপুর্ণ সাহাবী যুদ্ধে গনিমতের মাল হিসেবে কাফের নারীদের পেলে তাদের সাথে আযল করতেন। নবীও এর অনুমতি দিতেন। উল্লেখ্য, আযল হচ্ছে, যৌনকর্মের সময় পুরুষাঙ্গ শেষ মূহুর্তে বের করে বীর্য বাইরে ফেলা, যেন ধর্ষিতা নারীরা গর্ভবতী না হয়ে যায়। যেন অনেকদিন ধরে ধর্ষণ চালানো যায় [24] [25] [26] [27] –
সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ২২. আযল এর হুকুম
৩৪৩৮-(১২৭/…) আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা আয যুবাঈ (রহঃ) ….. আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দিনী লাভ করেছিলাম। (তাদের সাথে) আমরা ‘আযল করছিলাম। এরপর আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাদের বললেন, অবশ্যই তোমরা এ কাজ করবে। অবশ্যই তোমরা এ কাজ করবে। অবশ্যই তোমরা এ কাজ করবে। (বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন) বস্তুত কিয়ামাত পর্যন্ত যত প্রাণী সৃষ্টি হওয়ার তা সৃষ্টি হবেই।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪১১, ইসলামীক সেন্টার ৩৪১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান)
পরিচ্ছেদঃ ২১৯৬. বনূ মুসতালিকের যুদ্ধ। বনূ মুসতালিক খুযা’আর একটি শাখা গোত্র। এ যুদ্ধ কে মুরায়সীর যুদ্ধ ও বলা হয়। ইব্ন ইসহাক (র) বলেছেন, এ যুদ্ধ ৬ষ্ঠ হিজরী সনে সংঘটিত হয়েছে। মুসা ইবন উকবা (র) বলেছেন, ৪র্থ হিজরী সনে। নুমান ইবন রাশিদ (র) যুহরী (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইফকের ঘটনা মুরায়সীর যুদ্ধে সংঘটিত হয়েছিল।
৩৮৩২। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) … ইবনু মুহায়রীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং তাকে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বানূ মুসতালিকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহু বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে খায়েস হল এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ালো। তাই আমরা আয্ল করা পছন্দ করলাম এবং তা করার মনস্থ করলাম। তখন আমরা বলাবলি করতে লাগলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এরুপ না করলে তোমাদের ক্ষতি কি? জেনে রাখ, কিয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমন ঘটবার আছে, ততগুলোর আগমন ঘটবেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনে মুহায়রীয (রহঃ)
আসুন আরো কয়েকটি হাদিস পড়া যাক [28] [29] [30] –
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৯৭/ তাওহীদ
পরিচ্ছদঃ ৯৭/১৮. আল্লাহর বাণীঃ তিনিই আল্লাহ্ সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদাতা। (সূরাহ আল-হাশর ৫৯/২৪)
৭৪০৯. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বানী মুসতালিক যুদ্ধ বিষয়ে বর্ণনা করেন যে, মুসলিমগণ যুদ্ধে কতকগুলো বন্দিনী লাভ করলেন। এরপর তাঁরা এদেরকে ভোগ করতে চাইলেন। আবার তারা যেন গর্ভবতী হয়ে না পড়ে সে ইচ্ছাও তারা করছিলেন। তাই তারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আযল বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এতে তোমাদের কোন লাভ নেই। কারণ আল্লাহ্ ক্বিয়ামাত পর্যন্ত যত জীবন সৃষ্টি করবেন, তা সবই লিখে রেখেছেন। মুজাহিদ (রহ.) কাযআ (রহ.)-এর মাধ্যমে আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যত জীবন সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, আল্লাহ্ তা‘আলা অবশ্যই তা সৃষ্টি করবেনই। (২২২৯) (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
আবু সালামা
আবু সালামা ইবনে আবদিল আসাদ আল মাখজুমি মুহাম্মাদের একজন ঘনিষ্ট সাহাবা বা সঙ্গী ছিলেন । যিনি মুহাম্মাদের ফুফাত ভাই এমনকি দুধভাইও ছিলেন। তিনি মুহাম্মাদের স্ত্রী উম্মে সালামার প্রথম স্বামী ছিলেন। তিনি বদর ও উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আবু সালামা কাতানের অভিযান থেকে ফিরলে উহুদ যুদ্ধে তীরবিদ্ধ ক্ষতস্থানে আবার বিষক্রিয়া শুরু হয়। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর মারা যান। কিছু হাদিস থেকে তার দাসী ভোগের রগরগে বর্ণনা পাওয়া যায়।
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অধ্যায়ঃ ৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা
পরিচ্ছেদঃ ১৪. নফল (বিশেষ পুরস্কার ও অনুদান) হিসাবে কিছু দেওয়া এবং বন্দীদের বিনিময়ে (আটকে পড়া) মুসলমানদের মুক্ত করা
৪৪২১। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … ইয়াস ইবন সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বলেছেন, আমরা ফাযারা গোত্রের সাথে যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের আমীর ছিলেন আবূ বাকর (রাঃ)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আমাদের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন যখন আমাদের এবং (গোত্রের) পানির স্থানের মাঝে এক ঘণ্টা সময়ের ব্যবধান ছিল, তখন আবূ বাকর (রাঃ) আমাদেরকে শেষ রাতের অবতরণের (বিশ্রামের) নির্দেশ দিলেন। সুতরাং আমরা রাতের শেষাংশেই সেখানে অবতরণ করলাম। এরপর বিভিন্ন দিক দিয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালালেন এবং পানি পর্যন্ত পৌছলেন। আর যাদের পেলেন হত্যা করলেন এবং বন্দী করলেন।
আমি লোকদের একটি দলের দিকে দেখছিলাম যাদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছে। আমি আশংকা করছিলাম যে, তারা হয়তো আমার আগেই পাহাড়ে পৌছে যাবে। অতএব, আমি তাদের ও পাহাড়ের মাঝে তীর নিক্ষেপ করলাম। তারা যখন তীর দেখতে পেল থেমে গেল। তখন আমি তাদেরকে হাঁকিয়ে নিয়ে এলাম। তাদের মাঝে চামড়ার পোশাক পরিহিত বনী ফযরার একজন মহিলাও ছিল এবং তার সঙ্গে ছিল তার এক কন্যা। সে ছিল আরবের সব চাইতে সুন্দরী কন্যা। আমি সকলকেই হাকিয়ে আবূ বকর (রাঃ) এর কাছে নিকট এলাম। আবূ বকর (রাঃ) কন্যাটিকে আমাকে নফল হিসাবে প্রদান করলেন।
এরপর আমি মদিনায় ফিরে এলাম। আমি তখনও তার বস্ত্র উন্মোচন করিনি। পরে বাজারে আমার সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ হলে তিনি বললেনঃ হে সালামা! তুমি মহিলাটি আমাকে দিয়ে দাও। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাকে আমার খবুই পছন্দ হয়েছে এবং এখনও আমি তার বস্ত্র উন্মোচন করিনি। পরের দিন আবারও বাজারে আমার সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ হলো। তখন তিনি বললেনঃ হে সালামা! তুমি মহিলাটি আমাকে দিয়ে দাও। “আল্লাহ তোমার পিতাকে কতই সুপুত্র দান করেছেন।” তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে আপনার জন্যই আল্লাহর কসম! আমি তার বস্ত্র উমোচন করিনি। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ কন্যাটিকে মক্কায় পাঠিয়ে দিয়ে তার কয়েকজন মুসলমানের মুক্তির ব্যবস্থা করলেন, যারা মক্কায় বন্দী ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইয়াস ইবনু সালামাহ ইবনু আকওয়াহ (রহঃ)
উপসংহার
ইসলামের ইতিহাসে দাসীদের এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে যৌনবস্তু হিসেবে গন্য করা হয়েছে। সবচাইতে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, ইসলামের কথিত স্রষ্টা স্বয়ং আল্লাহ ও তার নবীও কাজগুলোকে বৈধতা দিয়ে গেছেন। নবী নিজে পথ দেখিয়েছেন, সাহাবীগণ দাসীদেরকে যৌনবস্তু হিসেবে ভোগ করেছেন। বর্তমানে দাসপ্রথা আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুসারে নিষিদ্ধ হলেও, ইসলামে এটি কখনোই নিষিদ্ধ হয় নি। যদি আবারো পৃথিবী জুড়ে ইসলামি হুকুমত বা আল্লাহর আইন চালু হয়, তখন আবারো দাসদাসীর বাজার বসবে, আবারো যুদ্ধবন্দী গনিমতের মাল পাওয়া যাবে। মিজানুর রহমান আজহারী তার একটি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে এরকম মতামতই দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কী এরকম পৃথিবীতে থাকতে চাই? আমরা কী আমাদের নারীদেরকে সেই বাজারে কল্পনা করতে পারি? আমরা কী ভাবতে পারি, দাড়িওয়ালা পুরুষেরা বাজারে ঘুরে ঘুরে আমাদের কন্যাদের গরুর হাটে গরু কেনার মত করে টিপেটুপে দেখছে, তাকে কেনা যাবে কিনা? এরকম কল্পনা খুবই ভয়াবহ। তাহলে ভাবুন, কাফেরদের কন্যাদের প্রতিও কিন্তু তারা একই ভালবাসা বোধ করে। প্রেম, মায়া, মমতা, ভালবাসার কিন্তু কোন ধর্ম হয় না। ধর্ম হয় ঘৃনা, বিদ্বেষ আর হিংসার।
তথ্যসূত্র
- দাস প্রথা – কুরআন হাদিসের দলিল [↑]
- স্ত্রী কি স্বামীর দাসী সেক্স বিষয়ে আপত্তি করতে পারে? [↑]
- মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত), হাদিস নম্বরঃ ১৮৯৮ [↑]
- মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত), আধুনিক প্রকাশনী, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৩ [↑]
- সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত), হাদিস নম্বরঃ ৩৯৫৪ [↑]
- সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ২৫১৭ [↑]
- ফাতওয়ায়ে আলমগীরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৩৭ [↑]
- ইযাহুল মুসলিম, পৃষ্ঠা ৩৬৪-৩৬৫ [↑]
- সহীহ মুসলিম শরীফ প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাসহ বঙ্গানুবাদ, আল হাদিস প্রকাশনী, ১৬ তম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১২১ [↑]
- মারিয়া কিবতিয়া | বাঁদী পত্নী সমাচার! [↑]
- হযরতের দাসীদের বিবরণ [↑]
- সুরা তাহরীম এর তাফসির – ইবনে কাসীর [↑]
- সুরা তাহরীম | তাফসীরে জালালাইন [↑]
- ফিকহে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু, ডঃ মুহাম্মদ রাওয়াস কালা’জী, আধুনিক প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ১০২-১০৩ [↑]
- كتاب السنن الكبرى » كتاب الصلاة » جماع أبواب لبس المصلي » باب عورة الأمة [↑]
- ইসলাম, গনিমতের মাল এবং আমাদের মানবতা [↑]
- সহীহুল বুখারী। তাওহীদ প্রকাশনী। চতুর্থ খণ্ড। পৃষ্ঠা নম্বর ২১০। হাদিস নম্বর ৪৩৫০ [↑]
- আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১৯১ [↑]
- সহজ ইনআমুল বারী। শরহে বুখারী মাগাযী ও তাফসীর অংশ। অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ মাওলানা মুহাম্মদ আলমগীর হুসাইন। মাকতাবায়ে এমদাদিয়া প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২২৭, ২২৮ [↑]
- সিরাতুন নবী (সাঃ), ইবনে হিশাম, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩০৯, ৩১০ [↑]
- আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সপ্তম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৮৯ [↑]
- আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনে কাসীর, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ২৬৬ [↑]
- مصنف عبد الرزاق » كتاب الطلاق [↑]
- সহীহ মুসলিম, হাঃ একাডেমী, হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৮ [↑]
- সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ৩৮৩২ [↑]
- সহিহ মুসলিম। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার। পঞ্চম খণ্ড। হাদিস নম্বর ৩৪৭২ [↑]
- সহিহ বুখারী । ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সপ্তম খণ্ড। পৃষ্ঠা ৬৯। হাদিস নম্বর ৩৮৩২ [↑]
- সহীহ বুখারী (তাওহীদ), হাদিস নম্বর- ৭৪০৯ [↑]
- বুখারী শরীফ । ইসলামিক ফাউন্ডেশন। দশম খণ্ড । পৃষ্ঠা ৫৪৯। হাদিস নম্বর ৬৯০৫ [↑]
- বুখারী শরীফ । ইসলামিক ফাউন্ডেশন। চতুর্থ খণ্ড। পৃষ্ঠা ৮৯। হাদিস নম্বর ২০৮৮ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"
অসম্ভব দরকারি লেখা লিখেছেন আসিফ ভাই। এই প্রসঙ্গে আরেকটি জিনিস সামনে আনতে চাই। মুশরিক ও জরোয়াস্ত্রিয়ান বন্দি ও দাসীদের ধর্ষন করার আগে মুসলিমরা তাদের জোরপূর্বক ইসলামে কনভার্ট করে নিত। উইকিপিডিয়ায় Sexual slavery in Islam আর্টিকেলে Forced conversion for concubinage সেকশনে কিছু তথ্য দেয়া আছে এই বষয়ে-
“Hasan al-Basri narrates that Muslims would achieve this objective through various methods. They would order the Zoroastrian slave-girl to face the qiblah, utter the shahada and perform wudhu. Her captor would then have sex with her after one menstrual cycle. However, others add the condition that the slave-girl must be taught to pray and purify herself before the master can have sex with her.”
হাসান বসরির এই বিষয়ে ফতোয়াটি কোথায় পাওয়া যেতে পারে?
আরে ছাগল দাস-দাসীর প্রথা কি ইসলাম চালু করসে যে তুই বলতেসস ইসলামি আইন চালু হইলে আবারো দাসদাসীর বাজার বসবে, আবারো যুদ্ধবন্দী গনিমতের মাল পাওয়া যাবে,দাস প্রথা হাজার হাজার বছর আগে থেকে রাজা বাদশার আমলে ছিল।তারা দাস-দাসিদের কীটপতঙ্গের মতো আচরন করতো।কিন্তু ইসলাম দাস-দাসীর অধিকার নিশ্চিত করেছে।রাসুল (স) বলেন : তোমরা যা খাবে, তাঁদেরকে তাই খেতে দেবে। তোমরা যে বস্ত্র পরবে, তাঁদেরকেও তাই পরতে দেবে। তোমরা তাঁদের ওপর এমন কোনো কাজের বোঝা চাপাবে না, যা বহন করতে তাঁরা অপারগ হয়। যদি তোমাদের দেয়া কোনো কাজ করতে তাঁরা অসমর্থ হয়, তাহলে তোমরা তাঁদের কাজে সাহায্য করবে।৪১৬৯[৫]
সুবাহানাল্লাহ।
হ্যা জনাব, ইসলামী আইন চালু হলে দাসদাসীর বাজার বসবে। অমুসলিম মেয়েদের দাসী বানানো হবে। এটা মিজানুর রহমান আযহারি সহ আরো অনেক আলেমই স্পষ্টভাবে বলেছেন।
সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ ও তার রাসুল যুদ্ধবন্দী দাসীদের ধর্ষন করতে স্পষ্ট হুকুম দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় এসে সেখানে নারীদের দাসী হিসেবে বেঁচাকেনার হাট বসিয়েছে যেভাবে গরু ছাগলের হাট বসানো হয়।
তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন আর ইসলামে যুদ্ধবন্দিদের সাথে আচরণবিধি রেখে তুলনা করলেই একজন সভ্য মানুষের পক্ষে ধর্মের ভন্ডামি ধরতে পারা কোন কঠিন কাজ হবে বলে মনে হয় না।
https://docs.google.com/document/d/1363rj-LzKB568CevCwxO4BxpfZJynEiqTzE0hbVbEsE/edit?usp=drivesdk
https://vondomoderatemuslims.blogspot.com/2021/06/blog-post.html?m=1
ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় এসে সেখানে নারীদের দাসী হিসেবে বেঁচাকেনার হাট বসিয়েছে যেভাবে গরু ছাগলের হাট বসানো হয়।
ইসলামের পূর্বে সমগ্র বিশ্বে দাস বেচাকেনা ছিল গ্লোবাল ইকোনমির একটি অন্যতম অংশ , ইসলাম দাস ব্যবস্থাকে সমাজে অমানবিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এটিকে কৌশলে সমূলে বিলুপ্ত করেছে I ইসলাম দাস-দাসীদের প্রতি আচরণ এমনভাবে নির্ধারিত করেছে যা অনুসরণ করলে মনিব তার দাস দাসীদেরকে ভিআইপির মতো ট্রিট করতে হবে, যেমন:
– দাস দাসীদেরকে দাস-দাসী বলে সম্বোধন করা যাবে না,
– নিজেকে প্রভু বলে জাহির করা যাবে না ,
-তার ক্ষমতার অতিরিক্ত কাজ দেওয়া যাবে না,
-নিজে যা খাবে তাকেও তাই খেতে দিতে হবে,
-অন্যায় ভাবে তাকে একটি থাপ্পর দিলেও সেই দাস মুক্ত হয়ে যাবে….
অর্থাৎ ইসলাম দাস দাসীদেরকে এমন ভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে অনেকটা ভিআইপি মর্যাদা যাকে তার মনির মারধর করতে পারবে না গালিগালাজ করতে পারবে না কষ্টকর কাজ দিতে পারবেনা অন্যদিকে দাস দাসী মুক্ত করে দেওয়া অত্যন্ত মর্যাদার কর কাজ হিসেবে ঘোষণা তার উপরে দাসীদের বিয়ে করার অনুমতি, বস্তুত এতগুলো স্কিম কার্যকর করার কারণে দাসপ্রথা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিলুপ্ত হয়ে গেল
যে সমস্ত হাদিস একাধিক বর্ণনাকারী পাওয়া যায়না সেগুলো অটোমেটিক্যালি দুর্বল বলে গন্য যদিও সেগুলো তাহকীক করা হয় (মূল বর্ণনাকারী পর্যন্ত লিনিয়েজ খুঁজে পাওয়া যায়).
নবীর সময় হতে অনেক মিথ্যুক, নবীর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করে বেড়াতো, সেগুলোর বেশকিছু এখনো অনেকের কাছে পাওয়া যায়.
এসব মিথ্যাচারী অতি সুকৌশলে মিথ্যা হাদিস রচনা করতো যা সাধারণ পাঠকদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে সক্ষম হতো যদিও ব্যাপক অনুসন্ধান করে সেগুলোর অসততা খুঁজে পাওয়া যায়.
যখন একই ঘটনার বিভিন্ন রকম বর্ণনা বিভিন্ন বর্ণনাকারী হতে পাওয়া যায় তাই চৌদ্দশ বছর পরে শুধুমাত্র হাদিস এর বর্ণনার উপর নির্ভর করে নবীর বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করার ধৃষ্টতা পরিহার করা উচিত. অন্যথায় যারা এটি করবে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে.
প্রত্যেক মুমিনের মনে রাখতে হবে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব চরিত্র, সৃষ্টিকর্তার শেষ নবী, যখন কারো বর্ণনা নবীর নবুয়াত এবং মানবীয় গুনাবলীর শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে তিলমাত্র সন্দেহের অবকাশ তৈরি করে সেগুলো অবশ্যই জালিয়াতি.
একইভাবে কোরআন এই জগতের সৃষ্টিকর্তার নিকট হতে সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বশেষ বাণী.
একটি কবিতার বই নয় বিজ্ঞান গ্রন্থ নয় কিংবা ইতিহাসের কিতাব নয় কোরআন সমগ্র মানবজাতির জন্য হেদায়েত এবং মুক্তির উপায় একই সাথে কোরআনের আয়াতসমূহ মানুষের আত্মার উপর পূর্ণ মাত্রায় সক্রিয়, যারা বুঝে পড়বে তারা উপকৃত হবে, যারা না বুঝে পড়বে অথবা তেলাওয়াত হিসেবে শুনবে তারাও উপকৃত হবে.
কারণ কোরআন এর আয়াত সমূহের মধ্যে নিহিত রয়েছে সীমাহীন আধ্যাত্মিক শক্তি এবং শ্রবণকারীর অন্তরের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে এবং পাঠক কিংবা শ্রবণকারীর আন্তরিক উদ্দেশ্য অনুযায়ী তাকে তাই প্রদান করে (হেদায়েত অথবা ভ্রান্তি) যা সে অন্বেষণ করে.
কুরআনের কিছু আয়াত সহজ অর্থে হিদায়াত এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ আর কিছু রূপক অর্থে পেশ করা হয়েছে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির রহস্য এবং চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক হিসেবে.
রূপক আয়াত গুলোর ব্যাপারে জ্ঞানী বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন রকমের অনুসন্ধান রয়েছে আবার মতানৈক্য রয়েছে এবং এটিই স্বাভাবিক কিন্তু অনেকে এগুলো নিয়ে বাক-বিতণ্ডা করে গোমরাহীর শিকার হয় এবং নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়.
ইসলাম বিদ্বেষীরা কোরআনের আয়াত সমূহের অপেক্ষাকৃত দুর্বল তরজমা গুলো নিয়ে তামাশা করার চেষ্টা করে কিন্তু তারা বুঝে না বিচারের দিন তারাই তামাশার পাত্রে পরিণত হবে.
এরা ভুলে যায় মানুষ নিজেদেরকে নিজেরা সৃষ্টি করে নাই এই পৃথিবীতে নিজেদের ইচ্ছায় আবির্ভূত হয় নাই কিংবা অনন্তকাল এখানে থেকে যেতে পারবেনা. এই পৃথিবীতে তাদের অবস্থান ক্ষণস্থায়ী. এবং প্রত্যেকের আচরণের ভালো-মন্দ নিরূপণ করা হবে
আসিফ মহিউদ্দীনঃ ক্রিশ্চিয়ানিটি আর ইসলামের মধ্যে বড় ধরণের পার্থক্য আছে। ইউরোপে আসার পরে বেশিরভাগ মানুষকেই দেখেছি, তারা ক্রিশ্চিয়ানিটির ওপর ভিত্তি করে সব ধর্মকে মূল্যায়ন করে। কিন্তু প্রতিটি ধর্মই আলাদা এবং সেগুলো বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতিকর। বিবেচনা করা দরকার, কোন ধর্মের সর্বোচ্চ অথরিটি কে বা কী। যেমন ক্রিশ্চিয়ানিটির সর্বোচ্চ অথরিটি হিসেবে চার্চ নিজেকে দাবী করে। তবে এর থেকে অনেকেই বের হয়ে আলাদা অথরিটি হিসেবে দাড়িয়ে গেছে। এভাবে অনেকগুলো আলাদা আলাদা অথরিটি তৈরি হওয়ায় তাদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতা করতে হয়েছে, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার। তাই এখন পোপ পর্যন্ত ঘোষনা করছে, নাস্তিকরাও স্বর্গে যেতে পারবে। এটা তারা সামাজিক প্রেশারের কারণেই বলতে বাধ্য হচ্ছে। নাস্তিকরা যেন তাদের ওপর ক্ষুব্ধ না হয়, তার চেষ্টা আর কি।
সেইসাথে বাইবেলে যা লেখা আছে, সেগুলোকে অধিকাংশ ক্রিশ্চিয়ান খুব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে না। তাদের নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের সাথে বাইবেল সাংঘর্ষিক হলে তারা বাইবেলকে ভুল বলে ধরে নেয়। সেটা ভাবার সুযোগ তাদের আছে।
অন্যদিকে, ইসলামের মূল অথরিটি কোরান এবং মুহাম্মদের জীবন। এছাড়া আর কোন অথরিটি নেই। কোরানকে ভুল ভাবার কিছুমাত্র সুযোগ কারো নেই। কোরানকে যেহেতু পাল্টাবার সুযোগ নেই, এবং ব্যাখ্যাগুলোও আসলে হাদিস সহকারে এমনভাবে ওয়েল ডকুমেন্টেড যে, এদিক সেদিক হওয়ার সুযোগ খুবই অল্প। কিছু প্রতারক শব্দের ভুল অর্থ বের করে কিংবা মানবিক ব্যাখ্যা হাজির করে সামান্য সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারবে, তবে সেগুলো আসলে প্রতারণাই। টিকবে না।
যতদিন পর্যন্ত ইসলামের মূল অথরিটি কোরান এবং মুহাম্মদের জীবনী, ততদিন তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। সংস্কার, সংশোধন যাই করেন, পুরনো জিনিসই ক’দিন পরে ফেরত আসবে। খেলাফত আমলে তো কম চেষ্টা হয় নি। “লাভ কী হয়েছে?”
এখানে আপনারা অনেক মিথ্যাচার করেছেন, একটা ধরিয়ে দেই। নবী ﷺ আগে থেকেই সন্তানদের মা-কে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন কিন্তু অনেকেই ঐ সময় জানতোনা যদি নবি ﷺ এটি নিষেধ না করতেন তাহলে হযরত ওমর এর কোনো ক্ষমতা ছিলোনা এটিকে নিষেধ করার। নিচের কিছু হাদিস থেকে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
রাসূল (সা.) কারো সন্তানদের মা-কে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন, তাদেরকে বিক্রি করা যাবে না, উপহারও দেয়া যাবে না, উত্তরাধিকার সূত্রেও পাওয়া যাবে না। মনিব জীবিত অবস্থায় তাকে ব্যবহার করবেন এবং যখন তিনি মারা যাবেন তখন তিনি মুক্ত হবেন। [সুনানে আল-দারাক্বুতনী (আরবি), ৫/২৩৭, হাদিস নং ৪২৫০]
খাওয়াত ইবনে জুবায়ের (রাঃ) বলেছেন,
যখন এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার সময় আমার কাছে ওসিয়ত করে গেলো, তার উইলে উম্মু-ওয়ালাদ (দাসী) এবং আজাদ স্ত্রীর কথা ছিলো। উম্মু-ওয়ালাদ এবং আজাদ স্ত্রীর মধ্যে তিক্ত দ্বন্দ্ব দেখা দিল। মহিলাটি বলল, “হে জারজ! তোমাকে কাল কান ধরে বাজারে বিক্রি করা হবে।” আমি যখন রাসূল (সাঃ) এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলাম, তখন তিনি বললেন, উম্মে-ওয়ালাদ বিক্রি করা যাবে না। [ মু’যাম আল-তাবারানী আল-কবির (আরবি) ৪০৩৯]
আবু বকর (রাঃ) এর দু’বছরের শাসনামলে তাঁর নজরে এ বিষয়টি আসে নি। ওমর (রাঃ) এ বিষয়টি নজরে আসার পর জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ কে অবহিত করেন। ওমর (রাঃ) তার শাসনামলে এরুপ কিছু বিষয়ের সমাধান করেন রাসূল (সাঃ) এর নির্দেশনানুযায়ী। [ফাতহ আল-কাদির আল-মানাউই, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৮৫]
এখানে অনেক মিথ্যা তথ্য রয়েছে।
প্রথমত, মারিয়া কিবতিয়া (রাঃ) যুদ্ধবন্দিনী ছিলেন না।
দ্বিতীয়ত, আবু বকর (রাঃ) বলেননি যে দাস-দাসীরা চতুষ্পদ জন্তু। বলেছেন গ্রন্থের লেখক।
তৃতীয়ত, উমর (রাঃ) এর দাসীরা নগ্ন স্তন নিয়ে অতিথিদের পানীয় পরিবেশন করতো, তা এখানে উল্লেখ নেই। এখানে নগ্ন স্তনের কথা উল্লেখ নেই। আর দাসীর স্তনও পর্দার অংশ নয়। স্তন খোলা রাখাতেও কোনো দোষ নেই।
চতুর্থত, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে সকল কাহিনীই যে সত্য, তা নয়। এখানে অবাস্তব কথাও রয়েছে। আর যদি এই কাহিনী সত্য হয়, তবে এখানে কোনো দোষ নেই। কেননা মুয়াবিয়া (রাঃ) এর সামনে নিজের দাসীকে উলঙ্গ অবস্থায় উপস্থাপন করা হয়েছে। নিজের দাসীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখা জায়েজ।
পঞ্চমত, দাসীকে বাজার থেকে কিনার সময় তার দেহে হাত দেওয়া জায়েজ। এমনকি খোলা অবস্থায় হাত দেওয়াও জায়েজ। আর কিনার সময় দাসীর স্তন টিপে পরীক্ষা করাও নাজায়েজ নয়। কারণ দাসীর গোপনাঙ্গ ব্যাতিত পুরো দেহ দেখা ও স্পর্শ করাও জায়েজ। তাছাড়াও কুমারিত্ব পরীক্ষার জন্য যোনীপথও দেখা ভালো। কেননা অধিকাংশ দাসীদেরকে সহবাস করার জন্য খরিদ করা হতো। এখানে দোষণীয় কিছু নেই।