সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাকের কেন এই মিথ্যাটি বলতে হলো, সেটি খুবই হতাশ করা বিষয়। কারণ, সর্বশক্তিমান আল্লাহ চাইলেই একলক্ষ বা এককোটি ফেরেশতা পাঠিয়ে কাফেরদের তুলোধোনা করে ফেলতে পারতেন
যখন ইউরোপ ‘অন্ধকার যুগে’ নিমজ্জিত, তখন অষ্টম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত বাগদাদ থেকে কর্ডোবা পর্যন্ত এক জ্ঞানভিত্তিক সভ্যতা জেগে উঠেছিল। এই ইসলামী স্বর্ণযুগে পণ্ডিতরা কেবল গ্রিক জ্ঞানের মশাল রক্ষা করেননি, বরং তাতে নতুন তেল ঢেলে তাকে আরও উজ্জ্বল করেছিলেন। গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন ও প্রকৌশলে তাদের যুগান্তকারী অবদান পরবর্তীকালে ইউরোপীয় রেনেসাঁ ও আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের কৌতূহল, যুক্তি ও বহুসাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের এক মহাকাব্য এই স্বর্ণযুগ, যা ইতিহাসের এক প্রায়-বিস্মৃত অথচ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যার উত্তরাধিকার আজও আধুনিক বিশ্বকে আলোকিত করে রেখেছে।
মহাবিশ্বের বিশাল বিশৃঙ্খলার মাঝে মানুষের মস্তিষ্ক বিন্যাস খোঁজে, আর এই খোঁজের প্রধান হাতিয়ার হলো যুক্তিবিদ্যা বা লজিক। এই লেখাটি কেবল যুক্তির সংজ্ঞা বা ইতিহাসেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এক ব্যবহারিক টুলবক্স যা আমাদের অপরিচ্ছন্ন চিন্তাকে শৃঙ্খলিত করতে শেখায়। সত্য ও বৈধতার পার্থক্য, ডিডাকশন ও ইন্ডাকশনের পথ, এবং চিন্তার সাধারণ ভুল (ফ্যালাসি) থেকে শুরু করে আমাদের মস্তিষ্কের গভীরে থাকা পক্ষপাত (কগনিটিভ বায়াস) – সবকিছুই এখানে আলোচিত। চূড়ান্তভাবে, এটি কুসংস্কারের অন্ধকারে যুক্তিবাদের মশাল জ্বালিয়ে সত্য অনুসন্ধানের এক বুদ্ধিবৃত্তিক অভিযাত্রা, যা আমাদের নির্ভুলভাবে চিন্তা করতে এবং প্রতারণার ফাঁদ এড়াতে সাহায্য করে।
আব্বাসীয় খিলাফতের স্বর্ণযুগের আলোর নিচেই ছিল নিকষ কালো অন্ধকার। নবম শতাব্দীতে দক্ষিণ ইরাকের লবণাক্ত জলাভূমিতে পূর্ব আফ্রিকা থেকে আনা ‘জাঞ্জ’ নামক দাসদের অকল্পনীয় শোষণ এই বিদ্রোহের জন্ম দেয়। আলী ইবনে মুহাম্মদের নেতৃত্বে তারা প্রায় পনেরো বছর ধরে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয়, যা কেবল একটি সাম্রাজ্যের ভিতই কাঁপিয়ে দেয়নি, বরং জন্ম দিয়েছিল নিজস্ব রাষ্ট্র ‘আল-মুখতারা’র। বসরা নগরীর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে শুরু করে গেরিলা যুদ্ধের অবিশ্বাস্য রণকৌশল – এই আখ্যান কেবল একটি দাস বিদ্রোহের নয়, বরং ইতিহাসের বিস্মৃত পাতা থেকে উঠে আসা এক লোনা দীর্ঘশ্বাসের গল্প, যা সভ্যতার চাকচিক্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কদর্য রূপকে উন্মোচিত করে।
জানুন মহাভারতের যে কথাগুলো জাতিবাদের ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে। জাতিভেদের মূলে কুঠারাঘাত করতে পারে এই বক্তব্যগুলি।
জাকির নায়েক দাবী করছেন যে, খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে নাকি খুব পরিষ্কারভাবে নবী মুহাম্মদের আগমনের ভবিষ্যবাণী করা আছে।
