ইরাম শহর
কুরআনকে ঐশ্বরিক গ্রন্থ বলে প্রমাণ করতে মুসলিমরা যেসব তথাকথিত মিরাকলের দাবি উপস্থাপন করেন তার মধ্যে একটি এই যে, কুরআন ৮৯:৭ এমন একটি শহরের নাম উল্লেখ করে যা ধ্বংস হয়েছিলো এবং সেই শহরের ব্যাপারে কেউ কিছু জানতো না।
আমি প্রথমে সেই আয়াতটি উল্লেখ করবো যেই আয়াতকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের দাবি।
89:7
اِرَمَ ذَاتِ الۡعِمَادِ ۪ۙ﴿۷﴾
English – Sahih International
(With) Iram – who had lofty pillars,
Bengali – Bayaan Foundation
ইরাম গোত্রের সাথে, যারা ছিল সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী?
Bengali – Mujibur Rahman
ইরাম গোত্রের প্রতি, যারা অধিকারী ছিল সুউচ্চ প্রাসাদের?
মুসলিমরা বলেন, কুরআনের আয়াতে ইরাম শহরের নাম আসাটা একটি মিরাকল। কেন? কারণ হিসেবে তারা বলেন, ‘ইরাম’ আরবের একটি শহর ছিলো যা একটি ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংস হয়ে যায় এবং কেউই সেই শহরের ব্যাপারে জানতেন না। এটি কেবল বিংশ শতাব্দীতে এসেই প্রত্নতাত্ত্বিকদের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছে। তাই মুসলিমদের প্রশ্ন, ‘কুরআন যদি ঐশ্বরিক কিতাব না হয়ে থাকে তাহলে কুরআনে এই ইরাম শহরের নাম কিভাবে আসলো?’
আমি মুসলিমদের ভাবনা দেখে আশ্চর্য হয়ে ভাবি যে মানুষ নিজেদের এতোটা বিভ্রমে কিভাবে রাখতে পারে? তারা কি নিজেদের বিভ্রমে রাখতে এতোটাই ভালবাসে? বিষয়টা সত্যিই দুঃখজনক!
একটি শহর, আবারও বলছি একটি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং সেই ব্যাপারে কেউই কিছু জানতেন না? এটি কি নিতান্তই একটি হাস্যকর কল্পনা নয়?
একটি শহরের ধ্বংস হওয়াটা বিশাল একটি ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ এবিষয়ে কথা বলবে, নিজেদের সন্তানদের এবিষয়ে গল্প শোনাবে। এটি কল্পনা করা খুবই অর্থহীন যে আরবরা একেবারেই ভুলে গিয়েছিল যে তাদের একটি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল!
কুরআনে কোনো ইংগিত প্রদান করা হয়নি যে শহরটি কোথায় অবস্থিত ছিলো, কুরআন এমন কোনো ইংগিত দেয়নি যে শহরটি কোন স্থানের কাছে। কুরআনে কেবল একটি শহরের নাম আসাটা কুরআনকে ঐশ্বরিক প্রমাণ করে না।
সবচেয়ে বড় কথা, কুরআন ‘ইরাম’ শব্দটি কোনো শহরের নাম বুঝাতে উল্লেখ করা হয়নি। মুসলিমদের দাবি এবং কুরআনের বক্তব্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায় না, কুরআন যেখানে ‘ইরাম’ শব্দটিকে একটি শহর হিসেবেই উল্লেখ করে না, সেখানে মুসলিমদের দাবি কুরআন ‘ইরাম’ শহরের নাম উল্লেখ করে যা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং সেব্যাপারে কেউ কিছু জানতেন না। কি হাস্যকর! কুরআনে একটি গোত্রের নাম হিসেবে ইরাম শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, একটি শহরের নাম হিসেবে নয়।
এবার, কুরআন ৮৯:৬ ও ৮৯:৭ একত্রে খেয়াল করে দেখুন:
89:6
اَلَمۡ تَرَ کَیۡفَ فَعَلَ رَبُّکَ بِعَادٍ ۪ۙ﴿۶﴾
English – Sahih International
Have you not considered how your Lord dealt with ‘Aad –
Bengali – Bayaan Foundation
তুমি কি দেখনি তোমার রব কিরূপ আচরণ করেছেন ‘আদ জাতির সাথে?
Bengali – Mujibur Rahman
তুমি কি দেখনি তোমার রাব্ব কি করেছিলেন ‘আদ বংশের –
89:7
اِرَمَ ذَاتِ الۡعِمَادِ ۪ۙ﴿۷﴾
English – Sahih International
(With) Iram – who had lofty pillars,
Bengali – Bayaan Foundation
ইরাম গোত্রের সাথে, যারা ছিল সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী?
Bengali – Mujibur Rahman
ইরাম গোত্রের প্রতি, যারা অধিকারী ছিল সুউচ্চ প্রাসাদের?
এই আয়াত সমূহ একত্রে পড়লে পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় যে, কুরআন অনুযায়ী ‘ইরাম’ শব্দটি দ্বারা গোত্র বা শহর যাই বুঝানো হোক না কেন, কুরআনের লেখক পরিষ্কারভাবেই এমন কোনোকিছুর ব্যাপারে কথা বলছেন যার ব্যাপারে মানুষ আগে থেকেই জানতেন। আয়াত দুটোই পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করছে যে, ইরাম কোনো গোত্রের নাম হোক বা শহর, ইরাম ও তার ধ্বংসের কথা আরবদের কাছে অপরিচিত ছিলো না।
আপনার এই ভিত্তিহীন এবং ইতিহাস সম্পর্কে বেইসিক জ্ঞানহীন পোস্টের জবাব
https://www.facebook.com/356731348471452/posts/456015961876323/?app=fbl
এই আর্টিকেলে কোনো ইতিহাস অস্বীকার করা হয়নি। কুরআনে ইরাম শব্দটিকে ঘিরে যে মিরাকলের দাবি করা হয়েছে, সেই মিরাকলের দাবি যে হাস্যকর তাই দেখানো হয়েছে, তথাকথিত মিরাকলের দাবি খণ্ডন করা হয়েছে।
এখানে ইতিহাস নিয়ে না কোনো নতুন তথ্য দেওয়া হয়েছে, না কোনো সত্য ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। এখানে কেবল এটাই দেখানো হয়েছে যে কুরআন অনুযায়ী ‘ইরাম’ শব্দটি দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে এবং কুরআনের ‘ইরাম’ শব্দটি উল্লেখ করা কোনো মিরাকল হিসেবে গণ্য হতে পারে কিনা!
আপনি হয়তো আমার এই আর্টিকেলের পয়েন্ট সমূহ বুঝতে পারেননি বা বুঝেও এড়িয়ে গেছেন। এই লেখাটির জবাবে যা লেখা হয়েছে তা নিতান্তই হাস্যকর এবং জোর করে নিজের মনকে বুঝ দেওয়ার জন্য লেখা মনে হলো আমার কাছে! লেখাটিতে ইরাম কি, কাদের বলা হতো, কেন বলা হতো, ‘ইরাম’ শব্দটি দ্বারা কে কি বুঝতো এসব ইন্টারনেট থেকে খুঁজে একত্রিত করা হয়েছে ‘যেভাবেই হোক জবাব দিতে হবে’ এই দায়িত্ব পূরণের জন্য। তবে লেখাটিতে আমার উপস্থাপিত পয়েন্ট খণ্ডন করে কুরআনের ‘ইরাম’ শব্দটি উল্লেখ করা কুরআনকে ঐশ্বরিক প্রমাণ করে এমন কোনো পয়েন্ট নেই।
নিন আপনার ফালতু লিঙ্ক দেখা হয়ে গেছে । এখানে উইকিতে বলেই দেওয়া আছে যে বাইবেলের সাথে এটা মিলে না । + বাইবেলের কাহিনি অনেক আগে থেকেই ছিল । আব্রাহাম , আদম এরা ছিল ক্যানানাইটদের মিথ ।
+ইরামকে কুরআনে শহর বলাই হয় নাই । বলেছে জাতি । হতেই পারে শহরের নাম লোকে মুখে চলতে চলতে জাতি হয়ে গেছে আর নয়ত ইরাম শহর ও ইরাম জাতি আলাদা । কারন উবার নামের আরেক শশর ও ছিল । ইরাক , ইরান ,ইরাম এদের নামেও মিল ।
The application of the Ebla texts to specific places or people in the Bible occasioned controversy and focused on whether the tablets made references to, and thus confirmed, the existence of Abraham, David and Sodom and Gomorrah among other Biblical references.[9] The sensationalist claims were made by Giovanni Pettinato and were coupled with delays in the publication of the complete texts, and it soon became an unprecedented academic crisis.[2] The political context of the modern Arab–Israeli conflict also added fire to the debate, turning it into a debate about the “proof” for Zionist claims to Palestine.[9]
However, much of the initial media excitement about supposed Eblaite connections with the Bible, based on preliminary guesses and speculations by Pettinato and others, is now widely deplored as generated by “exceptional and unsubstantiated claims” and “great amounts of disinformation that leaked to the public”.[11] The present consensus is that Ebla’s role in biblical archaeology, strictly speaking, is minimal.[2]
হাহা । বাইবেলে আব্রাহামের কাহিনি আছে এটা রেফিউটেড । আসলে খ্রিস্টান মিশনারিদের কোথায় না লাফিয়ে একটু রিসাআর্চ করুন । এভাবেই ধর্ম তৈরি হয় । কুসন্সকার থেকে ।
https://www.washingtonpost.com/archive/politics/1979/12/09/ebla-tablets-no-biblical-claims/89f81380-1350-415a-b836-570cfec84b68/
তাই নাকি?
এত প্রসিদ্ধ ঘটনা। অথচ ১৯৭৩ সালে নতুন করে আবার আবিষ্কার করা হলো???
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি পত্রিকার সম্পাদকের উচিৎ ছিল আপনার কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করে নেওয়া।
আসলে সাধারণ মুসলিমদের যেই মিরাকলের দাবী আপনি খন্ডন করেছেন, তা অনেকটা যথার্থ। কিন্তু “মুসলিমদের দাবি এবং কুরআনের কথার মধ্যে মিল পাওয়া যায় না।” একথা বুঝার পর, আপনি যদি মুসলিমদের কথার উপর ভিত্তি করে, পবিত্র কুরআন ঐশ্বরিক বাণী কি না, সেটা যাচাই করেন, তবে আপনি কি একজন বোকা নন?
আপনার উচিত ছিল মুসলিমদের কথার উপর ভিত্তি না করে বরং ইরাম ও আদ সম্পর্কিত সকল আয়াত একসাথে সামনে নিয়ে ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করা যে যিনি কুরআন রচনা করেছেন, তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন, তার কথার সঠিকতা কতটুকু, তিনি কি সত্যিই সবকিছুর স্রষ্টা একমাত্র উপাস্য নাকি অন্য কেউ। তবে হয়তো আপনি সঠিক জিনিস খুঁজে পেতেন।
বুঝার চেষ্টা করুন! সবে মাত্র ডিজিটাল যুগে এসেছি, ০-৯ পর্যন্ত এগুলো হলো ডিজিট বাকি সব কিন্তু নাম্বার। এখনও মাত্র বাইনারি ও রোবোটিক্স আর মোবাইলের সফটওয়্যার বুঝেছি। আরও অনেক দূর হিউম্যানিক্স ও মানুষের সফটওয়্যার।
একটু ভালোভাবে গবেষণা করে “ডিজিটাল” শব্দের ক্লিয়ার কাট আরবি বের করুন। অতঃপর কুরআনে খুঁজুন যে সেই শব্দটি রয়েছে কি না? আপনি যদি সঠিকভাবে খুঁজে পান, তবে পাবেন “ডিজিটাল কতাব” এতটুকুই পুরো আয়াত দুবার রয়েছে কুরআনে।
এটি আপনার জন্য একটি মিরাকল হতে পারে, তবে আল্লাহ কি বুঝাতে চেয়েছেন তিনিই ভালো জানেন।
পূর্বযুগের মুফাসিরদের অনেকেই এ আয়াত দ্বারা বুঝেছেন যে, এখানে “ইরাম” বলতে কোনো এক শহরকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু শহরটি কোথায় এ ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত জানতেন না। তাঁদের কেউ ধারণা করেছেন শহরটি হয়তো দামেশকে আবার কেউ ধারণা করেছেন সেটি হয়তো আলেকজান্দ্রিয়ায়। মোট কথা এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে তাঁদের মাঝে ইখতিলাফ ছিলো। আল কুরআনের সর্বপ্রাচীন তাফসিরের অন্যতম তাফসির তাবারীতে ইমাম ইবন জারির তাবারী(র) এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। —-
واختلف أهل التأويل في تأويل قوله: ( إرَمَ ) فقال بعضهم: هي اسم بلدة، ثم اختلف الذين قالوا ذلك في البلدة التي عُنِيت بذلك، فقال بعضهم: عُنِيت به الإسكندرية.
* ذكر من قال ذلك:
حدثني يونس، قال: أخبرنا ابن وهب، قال: ثني يعقوب بن عبد الرحمن الزهريّ، عن أبي صخر، عن القُرَظي، أنه سمعه يقول: ( إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ ) الإسكندرية.
قال أبو جعفر، وقال آخرون: هي دِمَشق.
* ذكر من قال ذلك:
حدثني محمد بن عبد الله الهلالي من أهل البصرة، قال: ثنا عبيد الله بن عبد المجيد، قال: ثنا ابن أبي ذئب، عن المقْبري ( بِعَادٍ * إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ) قال: دمشق.
নাস্তিক আস্তিক সব আছে, থাকুক! কিন্তু খোচাখুচি করার কি দরকার? তাও আবার পরম করুণাময় আল্লহ কে নিয়ে ? আল্লহ কে ছোট করছেন কেন ? এটা কিন্তু ঠিক না
ইরাম যদি আরবে তখনকার মানুষদের কাছে পরিচিত কোন ঘটনা হত তবে এর কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন অব্শ্যই থাকতো কিন্তু তবে নবী মুহাম্মদ(স)ছাড়া এ গল্প তবে অন্য কেউ বা আসে পাশের দেশের লোকেদের কাছে কেন ছিলো না?
সে সময়ের মানুষ এর কাছে যে প্রচলিত ছিল না তা কিভাবে জানলেন ??
https://en.wikipedia.org/wiki/Ebla–biblical_controversy
অনেক আগেই বাইবেল ও এবলা নিয়ে মিথ্যাচার রেফিউটেড। মুমিনরা এগুলোই করে । এগুলো আরঅ প্রমান করে কুরআন মানুষ এর লেখা । বাইবেলে আরাম নামের স্থানও আছে । সেটাই কুরআনে হয়ত ইরাম হয়েছে । আভ্রাহাম যেমন ইব্রাহিম । তেমনি ।