মুহাম্মদের গুপ্তহত্যা । অবমাননার শাস্তি
ছোটবেলা একটা গল্প মায়ের মুখে শুনতাম। গল্পটা মহানবী আর এক ইহুদী বুড়ির গল্প। এক ইহুদী বুড়ি রোজ মহানবীর নামাজে যাবার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখতো, মহানবী নামাজে সিজদা করার সময় পিঠে উটের নাড়িভুঁড়ি চাপিয়ে দিতো, নানান অত্যাচার করতো, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করতো। কিন্তু মানবদরদী মহানবী তাকে কিছুই বলতেন না। একদিন মহানবী দেখলেন, তার রাস্তায় কাঁটা নেই, তিনি তো হতবাক! নামাজ বাদ দিয়েই দৌড়ে গেলেন বুড়ির বাসায়। গিয়ে দেখেন বুড়ি অসুস্থ। এরপরে মানবতাবাদী মহানবী বুড়ির সেবা শুশ্রূষা করলেন, ভাল করে তুললেন। মহানবীর এই মানবপ্রেম দেখে ইহুদী বুড়ি পরে ইসলাম গ্রহণ করলো।
গল্পটা অসাধারণ। ছোটবেলা যখন গল্পটা শুনতাম, তখন আবেগে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যেত। আহা, মহানবী কত ভালমানুষই না ছিলেন। ধর্ম বর্ণ সবাইকে সমান ভালবাসতেন। এরকম মানুষই তো পৃথিবীর জন্য দরকার। ছোটবেলা তাই মহানবীকে খুব ভালবাসতাম। আমার মা এরকম আরো নানান গল্প বলতেন মহানবীকে নিয়ে। শুনতাম আর মুগ্ধ হয়ে ভাবতাম, আমিও মহানবীর মত মানবদরদী হবো। আমাকেও কেউ গালাগালি, কটাক্ষ করলে আমি তাকে ভালবাসা দিয়ে উত্তর দেবো। কোনদিন তাদের হত্যা করবো না।
একটু বড় হবার পরে এই গল্পটা আরো বিস্তৃতভাবে জানার জন্য কোরআন পড়তে শুরু করলাম, স্বাভাবিকভাবেই ধারণা ছিল কোরআন হাদিস এই ধরণের ঐতিহাসিক সত্য ইতিহাসে পরিপূর্ণ থাকবে। কিন্তু কোরআন হাদিসগুলো সব তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। কোথাও এরকম কিছু খুঁজে পেলাম না। আমি খুব খুশি হতাম যদি আসলেই ঘটনাগুলো এরকম হতো, মহানবী তার সমালোচক, তাকে গালাগালি করা, তার বিরুদ্ধে কবিতা লেখা, তার সমালোচনা করা, তার উপরে অত্যাচার করা সবাইকে ভালবাসা আর প্রেম দিয়ে জয় করে ফেলতেন। মানবতার জয়গান গাইতেন। কোরআন, হাদিস, এবং অন্যান্য ইসলামি ইতিহাসে মহানবী আসলে তার সমালোচকদের, তাকে কটাক্ষকারীদের সাথে কী আচরণ করেছিলেন, তা খুঁজে দেখা তাই আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।
এই বিষয়ে এই বইটি পড়ে দেখা গুরুত্বপুর্ণ। আসলেই মুহাম্মদ কী ক্ষমাশীল ছিলেন, মানবিক ছিলেন, নাকি রীতিমত গুপ্তঘাতক পাঠিয়ে মানুষকে গুপ্তহত্যা করাতেন? আসুন পড়ি, সরাসরি বই থেকে।