প্রসঙ্গ বাইবেলঃ নারী অবমাননা, দাসপ্রথা এবং জঙ্গিবাদ
সূচিপত্র
- 1 ভূমিকা
- 2 বাইবেলে নারী
- 2.1 নারীকে পুরুষের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে
- 2.2 স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের প্রতি আত্মসমর্পণ করবে
- 2.3 পুরুষ নয়, নারী প্রতারিত হয়েছিল
- 2.4 নারী এবং পুরুষ একে অপরের শত্রু
- 2.5 গর্ভধারণ এবং সন্তানপ্রসব হচ্ছে শাস্তি
- 2.6 পুরুষের কর্তা হচ্ছে যীশু, আর নারীর কর্তা হচ্ছে পুরুষ
- 2.7 চার্চের মধ্যে নারীদেরকে কথা বলা লজ্জাজনক
- 2.8 নারীরা শিক্ষা দিতে পারবে না
- 2.9 বাবামা বা পাদ্রীকে অসম্মান করলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা
- 2.10 নারী হচ্ছে ফাঁদ, তার হৃদয়ও ফাঁদ, হাত হচ্ছে শিকল
- 2.11 নারী এবং পশুকে হত্যা
- 2.12 মাসিক ঋতুস্রাবকালীন সময়ে নারীরা অস্পৃশ্য থাকে
- 2.13 স্ত্রীর মধ্যে অশুচিতা খুঁজে পেলে তালাক দিয়ে বিদায়
- 2.14 স্ত্রীর হাত যে কারণে কাটতে হবে
- 2.15 ধর্ষক ধর্ষিতাকে বিয়ে করবে এবং তালাক নেই
- 2.16 কুমারীত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে পাথর মেরে হত্যা
- 2.17 তালাকপ্রাপ্তা নারী পুনরায় বিয়ে করতে পারবে না
- 2.18 নারীদেরকে কঠোর ড্রেসকোড মেনে চলতে হবে
- 2.19 নারী শিশুর জন্ম মানে ক্ষতি
- 2.20 নারীরা সব সিদ্ধান্তে নিরব থাকবে
- 2.21 নারীরা পুরুষের উপর কর্তৃত্ব করতে পারবেনা
- 3 বাইবেলে দাসপ্রথা
- 3.1 কাজে অস্বীকৃতি জানালে কঠোর শাস্তি
- 3.2 নির্যাতনের দু-একদিনে মারা গেলে দোষ নেই
- 3.3 ক্রীতদাসদের নিরব থাকতে হবে
- 3.4 লুটপাট, গণহত্যা এবং ধর্ষণের নির্দেশ
- 3.5 বিদ্রোহের জন্য নারী ও শিশুকে হত্যা
- 3.6 কুমারী মেয়েদের বাদে শিশু-সহ সবাইকে হত্যা
- 3.7 শত্রু জাতির সুন্দরী মেয়েদের স্ত্রী বানানো
- 3.8 যুদ্ধে নারীদের ধর্ষণের কলাকৌশল
- 4 উপসংহার
- 5 তথ্যসূত্র
ভূমিকা
লেখাটিতে কেবল মাত্র বাইবেলের বাস্তবতাটাকে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান যুগের খ্রিস্টানদেরকে দেখে সকল মানুষ তাদেরকে শান্তিপ্রিয়, সভ্য জাতি মনে করে এবং খ্রিস্টান রাও অন্যান্য ধর্মে বিস্বাসী মানুষদের মতো নিজেদের ধর্মকেই একমাত্র সত্য ও শান্তিবাদী ধর্ম বলে মনে করে। এদের মধ্যে একটি হচ্ছে খ্রীষ্টান মিশন্যারি গ্রুপ যারা বিভিন্ন প্রতারণা ও কলাকৌশলের আশ্রয় নিয়ে গরীব ও অজ্ঞ লোকজনকে ধর্মান্তরিত করার জন্য সদা-সর্বদা তৎপর থাকে। অনেকেই আজকাল তাদের অপপ্রচারের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছেন। কেননা অধিকাংশ মানুষ খ্রিস্টানদের জীবনযাত্রার মান দেখে খ্রিস্ট ধর্মকে শান্তি ও সম্প্রীতর ধর্ম বলে মনে করে। কিন্তু বাস্তবতা যে ঠিক তার বিপরীত, সেটা বাইবেল না পড়লে কারো পক্ষেই অনুমান করা সম্ভব নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে খ্রিস্টানরা কত কোটি কোটি মানুষ ধর্মের নামে হত্যা করেছে, তার কোন সঠিক হিসেবই করা সম্ভব নয়।
এই লেখাতে নারী ও দাস-দাসীসহ বাইবেলের ঈশ্বর কর্তৃক গনহত্যা, লুটপাট এবং ধর্ষণ এর নির্দেশ উপর বাইবেল থেকে ভার্সগুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে। নিজস্ব কোন ব্যাখ্যা এখানে যুক্ত করা হয় নি। বিষয়গুলোকে যুক্তি দিয়ে ডিফেন্ড করা সম্ভব কি-না সেটাও দেখতে হবে। লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে ভেবে দেখুন, এই আধুনিক যুগে বাইবেল অনুসরণ করা আদৌ সম্ভব কি-না।
বাইবেলে নারী
প্রায় সকল ধর্মের অন্ধবিশ্বাসীদের বিশ্বাস অনুযায়ী তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো সত্য এবং এবং তাদের ধর্ম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান, ঠিক তেমনি খ্রিস্ট ধর্মালম্বীরাও একই ভাবে বিশ্বাস করে থাকেন যে খ্রিস্ট ধর্ম একমাত্র সত্য ধর্ম এবং খ্রিস্ট ধর্মই নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান ও সুমহান মর্যাদা দিয়েছে। কেননা অধিকাংশ মানুষ হলিউড মুভি আর পশ্চিমা বিশ্বের নারীদেরকে দেখে বাইবেলকে বিচার করে। কিন্তু বাইবেল পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন বাস্তবতাটা কতটা ভিন্ন। চলুন দেখে নেয়া যাক বাইবেল নারীকে কতটা সম্মান এবং অধিকার দিয়েছে।
নারীকে পুরুষের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে
বাইবেল অনুসারে নারীকে পুরুষের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, পুরুষকে নারীর জন্য নয়। লক্ষ্য করুন, এখানে ঈশ্বরের কতটা পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে [1]
কারণ পুরুষটি মহিলার নয়, পুরুষের স্ত্রীলোক। উভয়ই পুরুষকে মহিলার জন্য সৃষ্টি করা হয়নি; কিন্তু পুরুষটির জন্য মহিলা।
স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের প্রতি আত্মসমর্পণ করবে
সকল ধর্ম বিশ্বাসী নারী-পুরুষ তাদের ঈশ্বরের কাছে আত্বসমর্পন করে থাকেন বিশেষ প্রার্থনা বা আচার আচরণের মাধ্যমে। কিন্তু বাইবেলের এই ঈশ্বর নারীদেরকে পুরুষের কাছে সমর্পপন করতে বলছে। ঈশ্বর বোঝাতে চান পুরুষেরা হচ্ছে নারীর প্রভু আর স্বামীদের প্রভু হচ্ছেন ঈশ্বর। ঈশ্বরের নারীবিদ্বেষী মনোভাব লক্ষ্য করুন,
স্ত্রীরা, তোমরা প্রভুর মতো তোমার নিজের স্বামীদের কাছে সমর্পণ কর। (ইফিষীয় ৫:২২)
পুরুষ নয়, নারী প্রতারিত হয়েছিল
এবং আদমকে প্রতারণা করা হয়নি, তবে যে মহিলাকে প্রতারণা করা হয়েছিল সে ছিল পাপী। (১ তীমথিয় ২:১৪)
নারী এবং পুরুষ একে অপরের শত্রু
একজন ঈশ্বর সাধারণভাবেই সকলকে ভালোবাসবেন এবং তাদের পরিবার এবং বংশধরদের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি এবং বন্ধুত্ব বজায় রাখবেন । কিন্তুটা বাইবেলের ঈশ্বরের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে ঠিক উল্টোটা তিনি নারী পুরুষ এবং তাদের বংশধরদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করেন!
আমি তোমার ও মহিলার মধ্যে এবং তোমার বংশ ও তার বংশের মধ্যে শত্রুতা রাখব; এটি আপনার মাথা নষ্ট করবে এবং তুমি তার গোড়ালি নষ্ট করবে। (আদিপুস্তক 3:15)
গর্ভধারণ এবং সন্তানপ্রসব হচ্ছে শাস্তি
ঈশ্বর কি জানেন একজন মা কতটা কষ্ট করে বাচ্চা প্রসব করে। এই নারী থেকেই তথাকথিত ঈশ্বরের ভাববাদী বা প্রেরিত পুরুষেরা এসেছেন। কতটা নোংরা মন মানসিকতা হলে একজন ঈশ্বর গর্ভধারণকে অভিশাপ মনে করেন এবং তার যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেন এবং তাদের উপর পুরুষদের কর্তৃত্ব রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি মহিলাকে বললেন, ‘আমি তোমার দুঃখ ও গর্ভধারণকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেব; দুঃখে তুমি বাচ্চা জন্মাবে; তোমার স্বামীর প্রতি তোমার ইচ্ছা হবে এবং সে তোমার উপরে কর্তৃত্ব করবে। (আদিপুস্তক 3:16)
পুরুষের কর্তা হচ্ছে যীশু, আর নারীর কর্তা হচ্ছে পুরুষ
কিন্তু আমি তোমাদের জানতে চাই যে প্রত্যেক পুরুষের প্রধান খ্রীষ্ট; মহিলার মাথা পুরুষ; আর খ্রীষ্টের মস্তক ঈশ্বর। (১ করিন্থীয় ১১: ৩)
চার্চের মধ্যে নারীদেরকে কথা বলা লজ্জাজনক
আজকাল খ্রীস্টান নারীরা কি মানেন চার্চ এর নীরবতা, তারা কী আদৌ জানেন বাইবেল এ নারীদের চার্চের উপস্থিতি নিয়ে কি বলা আছে? লক্ষ্য করুন।
আপনার মহিলারা মণ্ডলীগুলিতে নীরবতা বজায় রাখুন: কারণ তাদের তাদের বলার অনুমতি নেই; বিধি অনুসারে তাদের বাধ্য হয়ে চলার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এবং যদি তারা কিছু শিখেন তবে তাদের স্বামীদের বাড়িতে জিজ্ঞাসা করুন: কারণ মণ্ডলীতে মহিলাদের কথা বলা লজ্জার বিষয়। (১ করিন্থীয় ১৪: ৩৪-৩৫)
নারীরা শিক্ষা দিতে পারবে না
নারীরা শিক্ষা দিতে পারবে না তাদের কোনো শিক্ষা দেয়ার অধিকার নেই। কোনো খ্রীস্টান নারী স্কুল টিচার কি একথা জানেন বা তারা কি এই নিয়ম আদৌ মানেন? তারা তো তাদের মনের অজান্তেই ঈশ্বরের কথার বিরোধিতা করে চলেছেন একবার চিন্তা করে দেখুন বাইবেলের এই নিয়ম বর্তমান পৃথিবীতে আবারো ফিরিয়ে আনলে কি অবস্থ্যা হবে।
মহিলাকে সমস্ত বশীকরণের সাথে নীরবে শিখতে দিন। কিন্তু আমি কোন স্ত্রীলোককে শিক্ষা দিতে বা পুরুষের উপরে কর্তৃত্ব করার জন্য নয় (১ তীমথিয় ২: ১১-১২)
চুপচাপ তাদের স্বামীদের কাছে থেকে সকল প্রকার বশীভূতকরণের মাধ্যমে শিক্ষা নিতে হবে। নারীরা শিক্ষা দিতে পারবে না এবং পুরুষদের উপর কর্তৃত্ব করার অধিকারও তাদেরকে দেওয়া হয়নি।
বাবামা বা পাদ্রীকে অসম্মান করলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা
কোনো পাদ্রির কন্যা ব্যভিচার করলে তাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। পাঠক লক্ষ্য করুন এখানে নারীর (কন্যার) কথা বলা হয়েছে পুরুষের না।
যে কোনও পাদ্রীর কন্যা যদি সে ব্যভিচার করে নিজেকে অমান্য করে তবে সে তার পিতাকে অপমান করে: তাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। (লেবীয় পুস্তক 21: 9)
পিতামাতাকে মানুষ কেনো অভিশাপ দিবে অকারণে, পিতামাতা যা বলে তাদের কথানুযায়ী চলা কি একজন মানুষের জন্য উচিত? পিতামাতা যদি অন্যায়, লুটপাট, ডাকাতি, অনৈতিক, মানবতাহীন কাজ ও করে তাহলেও তাদেরকে অভিশাপ দেয়া যাবে না? অভিশাপ দিলেই তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতে হবে। কোনো খ্রিস্টান পিতামাতা কি তাদের অবাধ্য সন্তানদেরকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন? তারা তাদের মনের অজান্তেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঈশ্বরের নির্দেশ অমান্য করে আসছেন।
কারণ ঈশ্বর বলেছেন, ‘তোমার পিতা ও মাকে সম্মান করো’ এবং ‘যে কেউ তার পিতা বা মাকে অভিশাপ দেয় তাকে অবশ্যই হত্যা করা উচিত।’ (মথি 15: 4)
নারী হচ্ছে ফাঁদ, তার হৃদয়ও ফাঁদ, হাত হচ্ছে শিকল
একজন ঈশ্বর দুনিয়াতে এত কিছু থাকতে নারীকে ফাদ বলছেন। যার সবকিছুই ফাদ । অর্থাত নারীই পুরুষের জন্য ফাদ। অন্যদিকে তিনি কোনো খাটি মহিলাও নাকি খুজে পেলেন না।
আমি যে মহিলার ফাঁদ, যার হৃদয় একটি ফাঁদ এবং যার হাতে শিকল, সে মৃত্যুর চেয়েও তিক্ত যে ব্যক্তি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে সে তার হাত থেকে রক্ষা পাবে, কিন্তু পাপী তাকে ফাঁদে ফেলবে … আমি তখনও তল্লাশী করছিলাম কিন্তু খুঁজে পেলাম না, আমি এক হাজারের মধ্যে একজন খাঁটি মানুষকে পেয়েছি, কিন্তু তাদের মধ্যে একজনও খাঁটি মহিলা ছিল না। (উপদেশক 7: 26 -28 )
নারী এবং পশুকে হত্যা
লক্ষ্য করুন, পুরুষ যদি পশুর সাথে সেক্স করে তাহলে সেই পুরুষ এবং পশুকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। অন্যদিকে নারী যদি পশুর সাথে সেক্স করার জন্য কেবল অগ্রসর হয় তাহলে সেই নারী এবং পশুকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।
যদি কোন পুরুষ কোন পশুর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তবে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে এবং তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। কোনও মহিলা যদি কোনও প্রাণীর সাথে যৌন সম্পর্কের জন্য যোগাযোগ করে তবে স্ত্রী এবং প্রাণী উভয়কেই হত্যা করুন। তাদের অবশ্যই হত্যা করা উচিত; তাদের রক্ত তাদের নিজের মাথায় থাকবে। (লেবীয় পুস্তক 20: 15-16)
মাসিক ঋতুস্রাবকালীন সময়ে নারীরা অস্পৃশ্য থাকে
যদি কোন মহিলার সমস্যা হয় (তবে ঝতুস্রাব হয়) এবং যদি সে তার দেহে রক্তপাত করে তবে সে সাত দিনের জন্য আলাদা থাকবে: যে কেউ তাকে স্পর্শ করে সে সন্ধ্যা অবধি অশুচি থাকবে। যদি কেউ তার বিছানাকে স্পর্শ করে তবে সে তার জামাকাপড় ধুয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা অবধি অশুচি থাকবে। যদি কেউ তার বসবার জন্য কোন জিনিস স্পর্শ করে তবে সে তার জামাকাপড় ধুয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা অবধি অশুচি থাকবে। আর যদি সে তার বিছানায়, বা যে কোনও জিনিসের উপরে বসে থাকে, যখন সে এটি স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা অবধি অশুচি থাকবে। যদি কোন ব্যক্তি তার সাথে শুয়ে থাকে এবং তার ফুল তার গায়ে পড়ে থাকে তবে সে সাত দিন অশুচি থাকবে; সে যে বিছানায় শুয়ে থাকবে সে অশুচি থাকবে। এবং যদি কোনও মহিলার বিচ্ছেদ হওয়ার অনেক দিন পর থেকেই তার রক্তের সমস্যা হয়, বা যদি এটি তার বিচ্ছেদ হওয়ার সময় পেরিয়ে যায়; তার অশুচি হওয়ার সমস্ত দিন তার বিচ্ছিন্ন হওয়ার দিনগুলির মতোই থাকবে: সে অবশ্যই অশুচি থাকবে। সে তার বিছানাকরণের বিছানার বিছানার মতোই তার বিছানার বিছানার মতো হবে এবং তার বিছানার অশুচিতার মতোই সে অবশ্যই অশুচি থাকবে। যদি কেউ এই জিনিসগুলিকে স্পর্শ করে তবে সে অবশ্যই অশুচি থাকবে এবং সে তার কাপড় ধোবে এবং জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা অবধি অশুচি থাকবে। কিন্তু যদি সে তার স্ত্রীকে শুচি করে ফেলে তবে সে তার জন্য সাত দিন গণনা করবে এবং তার পরে সে শুচি হবে। অষ্টম দিনে সে তার দু’টি কচ্ছপ বা দুটি কবুতর নিয়ে সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথের যাজকের কাছে উপস্থিত করবে। যাজক একটিটিকে পাপের উত্সর্গ হিসাবে এবং অন্যটিকে হোমবলির জন্য উত্সর্গ করবে | যাজক অবশ্যই তার অশুচিতার জন্য প্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে | (লেবীয় পুস্তক 15: 19-30)
যদি কোন মহিলাকে তার অশুচিতার জন্য আলাদা করা না হয় তবে তার স্ত্রীর সংস্পর্শের জন্য তুমি তার কাছে যাবে না। (লেবীয় পুস্তক 18:19)
স্ত্রীর মধ্যে অশুচিতা খুঁজে পেলে তালাক দিয়ে বিদায়
“কোন ব্যক্তি যদি কোন স্ত্রীকে বিয়ে করে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তবে সে তার চোখে সন্তুষ্ট হয় না, কারণ সে তার মধ্যে কিছু নাপাকতা পেয়েছে তবে সে তাকে বিবাহবিচ্ছেদের একটি বিল লিখে তার মধ্যে দিয়ে দেবে হাত দিয়ে তাকে তার বাড়ির বাইরে পাঠাও। (দ্বিতীয় বিবরণ 24: 1)
স্ত্রীর হাত যে কারণে কাটতে হবে
একবার চিন্তা করে দেখুন আপনাকে রাস্তায় কেউ যদি কখনো আক্রমন করে বসে আর আশেপাশে কোনো মানুষ না থাকে তাহলে কি হবে? আপনার স্ত্রী যদি আপনার থাকে তিনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন তাকে বাচানোর। বাঁচানোর সময় ভুল করে যদি শত্রুর গোপন স্থানে হাত লেগে যায় তাহলে আপনাত স্ত্রীর হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন ঈশ্বর। কোনো সুস্থ্য মস্তিষ্কের কোনো সত্বা কি এরকম কথা বলতে পারেন তা পাঠকই ভেবে দেখুন
যদি দু’জন লোক লড়াই চালাচ্ছে এবং তাদের মধ্যে একজনের স্ত্রী তার স্বামীকে তার আক্রমণকারী থেকে উদ্ধার করতে আসে এবং সে তার কাছে পৌঁছে যায় এবং তার গোপন স্থানে ধরে ফেলে , তবে আপনি তার হাত কেটে ফেলবেন। তাকে কোন করুণা দেখাবেন না (দ্বিতীয় বিবরণ 25: 11-12)
ধর্ষক ধর্ষিতাকে বিয়ে করবে এবং তালাক নেই
একজন ধর্ষিতা কি কখনো তার সম্মান কেড়ে নেওয়া নরপিচাশ ধর্ষককে ভালোবেসে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করবেন এবং তার সাথে যৌবন অতিবাহিত করবেন? কখনোই না, সে কখনোই এরকম কাজ করবে না এবং সেটিও হবে আরেকটি ধর্ষণ। সেই ধর্ষিতা নারীটি তাকে কখনোই তালাক দিতে পারবে না। কত সুন্দর করে ঈশ্বর তাকে প্রতি রাতে ধর্ষিত হওয়ার ব্যবস্থ্যা করে দিয়েছেন।
যদি কোন পুরুষ কোনও কুমারীকে দেখা দেয়, যার কাছে বিবাহিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি না দেওয়া হয় এবং তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং তারা সনাক্ত হয় তবে সে মেয়েটির পিতাকে পঞ্চাশ শেকল রৌপ্য দিতে হবে। তাকে অবশ্যই মেয়েটিকে বিয়ে করতে হবে, কারণ সে তার লঙ্ঘন করেছে। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন তাকে তালাক দিতে পারবেন না। (দ্বিতীয় বিবরণ 22: 28-29)
কুমারীত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে পাথর মেরে হত্যা
নারীদের রক্তপাত দেখে ঈশ্বর হয়ত অত্যন্ত খুশি হন এবং কুমারীত্ব প্রমানে ব্যর্থ হলে রেগে গিয়ে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করার নির্দেশ দেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভার্জিন হওয়ার পরেও অনেক সময়
প্রথম যৌনমিলনের সময় মেয়েটার ব্লিডিং হয়না। সে সম্পর্কে হয়ত ঈশ্বরের কোনো ধারণা ছিলোনা একবার চিন্তা করে দেখুন আজকের যুগে যদি বিয়ের সময় কোনো নারীর মধ্যে কুমারিত্বের চিহ্ন না পাওয়া যায় তাহলে সেই নারীকে তার পিতার বাড়ির সামনে সকলে মিলে পাথর মেরে হত্যা করে তাহলে কেমন হবে।
কিন্তু যদি সেই মেয়েটির জন্য কুমারীত্বের চিহ্ন না পাওয়া যায় তবে তারা তার মেয়েটিকে তার বাবার বাড়ির দরজায় নিয়ে এনে তার শহরের লোকরা তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলবে, কারণ সে ইস্রায়েলে বোকামি করেছিল বাবার বাড়ীতে বেশ্যা বাজাতে হবে, সুতরাং তোমরা মন্দ লোকদের মধ্য থেকে দূরে সরিয়ে ফেলবে। (দ্বিতীয় বিবরণ 22: 20-21)
তালাকপ্রাপ্তা নারী পুনরায় বিয়ে করতে পারবে না
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যীশু ভার্জিন ছিলেন। হয়ত এই কষ্টেই তিনি হয়ত একথা বলেছেন। যদিও তিনি মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন এ বিষয় নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। কোনো খ্রিস্টান নারী বা পুরুষ এই নিয়ম আদৌ মানেন?
যীশু তাদের বললেন, ‘যে কেউ নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করে অন্য কাউকে বিয়ে করে সে তার বিরুদ্ধে ব্যভিচার করে। আর যদি কোন মহিলা তার স্বামীকে ত্যাগ করে অন্যের সাথে বিবাহিত হয় তবে সে ব্যভিচার করে। (মার্ক 10: 11-12)
নারীদেরকে কঠোর ড্রেসকোড মেনে চলতে হবে
নারীরা পুরুষের মত পোশাক পড়তে পারবেনা। আপনি যদি কোনো খ্রিস্টান নারী হয়ে থাকেন তাহলে নিচের ভার্সটি আপনার জন্য :-
কোন স্ত্রীলোক পুরুষের পোশাক এবং পুরুষের পোশাক পরবে না, কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে এই কাজ করেন তাকে ঘৃণা করে। (দ্বিতীয় বিবরণ 22: 5)
আমি আরও চাই যে মহিলারা বিনয়ের সাথে শালীনতা এবং স্বচ্ছলতার সাথে পোশাকগুলি সজ্জিত করুন, বিস্তৃত চুলের স্টাইল, সোনার বা মুক্তো বা দামী পোশাকের সাথে নয়। (১ তীমথিয় ২: ৯)
হয় বা মাথা কামানো উচিত হয় তবে তার মাথা আবৃত করে রাখা উচিত। (১ করিন্থীয় ১১: ৫-৬)
নারী শিশুর জন্ম মানে ক্ষতি
নারী মায়ের জাত। নারীর জন্ম ঈশ্বরের কাছে ক্ষতি মনে হয়। তাহলে নারীকে কেনো তিনি সৃষ্টি করলেন? অন্য কোনো মাধ্যমে মানুষকে কেনো পৃথিবীতে পাঠানোর ব্যবস্থ্যা করলেন না?
যে কোনও মেয়ের জন্মই ক্ষতি (উপদেশক 22: 3)
নারীরা সব সিদ্ধান্তে নিরব থাকবে
ইউরোপ, আমেরিকা বা পশ্চিমা দেশের খ্রিস্টান নারীরা কি এই নির্দেশ পালন করেন?
নারীরা সম্পূর্ণ বশ্যতাপূর্বক নীরবে নতনম্র হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করুক৷(তিমথি ১ 2:11)
নারীরা পুরুষের উপর কর্তৃত্ব করতে পারবেনা
আমি কোন নারীকে শিক্ষা দিতে অথবা কোন পুরুষের ওপরে কর্তৃত্ত্ব করতে দিই না; বরং নারী নীরব থাকুক৷(তিমথি ১ 2:12)
বাইবেলে দাসপ্রথা
দাসপ্রথা প্রাচীনকালের ক্ষেত্রে একটি স্বাভাবীক প্রথা ছিলো যা বর্তমান যুগে কখনোই গ্রহনযগ্য নয়। আব্রাহাম লিংকন থেকে শুরু করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সহ অসংখ্য মনিষীগন এই মানবতাবিরোধি প্রথাকে বিলুপ্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। যার ফলস্বরূপ আজ দাসপ্রথা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু বাইবেল এবং কুরান কখনোই এই জঘন্য প্রথাকে নিষিদ্ধ করেনি। বরং বাইবেলের ঈশ্বর দাস দাসী রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন :
দাস-দাসীরা তাদের প্রভুদের প্রতি ভয়ে আত্মসমর্পণ করবে, এমনকি প্রভুরা দুর্ব্যবহার করলেও!
দাসগণ, সমস্ত ভয়ে আপনার কর্তাদের অধীন হও; কেবল ভাল এবং নম্র নয়, নীচু করার জন্যও। (১ পিতর ২:১৮)
দাস, গভীর শ্রদ্ধা ও ভয় সহকারে আপনার পার্থিব কর্তাদের আনুগত্য কর। আপনি খ্রীষ্টের সেবা করবে যেমন আন্তরিকভাবে তাদের সেবা। (ইফিষীয়:: ৫)
খ্রিস্টানরা যারা দাস, তাদের তাদের মনিবদের পূর্ণ শ্রদ্ধা জানানো উচিত যাতে ঈশ্বরের নাম এবং তাঁর শিক্ষার লজ্জা না হয়। যদি আপনার গুরু একজন খ্রিস্টান হন তবে এটি অসম্মানিত হওয়ার কোনও অজুহাত নয়। আপনার আরও কঠোর পরিশ্রম করা উচিত কারণ আপনি আপনার চেষ্টায় অন্য বিশ্বাসীকে সাহায্য করছেন। তীমথিয় এই সত্যগুলি শিখিয়ে দিন এবং সবাইকে সেগুলি মানতে উত্সাহিত করুন। (1 তীমথিয় 6: 1-2)
কাজে অস্বীকৃতি জানালে কঠোর শাস্তি
দাস-দাসী যদি কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তাদেরকে কঠোরভাবে শাস্তি দিতে হবে
চাকরকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, যদিও সে তার কর্তব্য জানত তবে সে তা করতে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু যে লোকেরা ভুল করছে যে সচেতন নয় তাদের কেবলমাত্র হালকা শাস্তি দেওয়া হবে। যাদের অনেক বেশি দেওয়া হয় তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রয়োজন হয় এবং যাদের আরও বেশি দেওয়া হয় তাদের কাছ থেকে আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। (লূক 12: 47-48)
নির্যাতনের দু-একদিনে মারা গেলে দোষ নেই
পাঠক লক্ষ্য করুন। মনিব চাইলে তার দাস দাসীকে ইচ্ছেমত পেটাতে পারবে যতক্ষন না পর্যন্ত তারা মারা যায়। তবে অমানবিক নির্যাতন করার পর দু একদিন দাস-দাসী বেচে থাকার পর যদি তারা মৃত্যুবরণ করে তাহলে মনিবের কোনো শাস্তি হবে না।
কোনো পুরুষ যদি তার দাস-দাসীকে রড দিয়ে এমনভাবে আঘাত করে যাতে দাস-দাসী সাথে সাথে মারা যায় তাহলে সেই পুরুষের শাস্তি হবে। কিন্তু দাস-দাসী যদি দু-এক দিনের জন্য জীবিত থাকে তাহলে সেই পুরুষের কোনো শাস্তি হবে না, যেহেতু দাস-দাসী তার নিজস্ব সম্পত্তি। (যাত্রাপুস্তক 21:20)
যখন কোন পুরুষ তার পুরুষ বা মহিলা দাসকে এত শক্ত করে লাঠি দিয়ে আঘাত করে যে তার দাসটি তার নীচে মারা যায়, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। তবে, ক্রীতদাস যদি এক বা দু’দিন বেঁচে থাকে তবে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে না, কারণ দাস তার নিজের সম্পত্তি। (যাত্রাপুস্তক 21: 21)
ক্রীতদাসদের নিরব থাকতে হবে
ক্রীতদাসদের বল, সর্ববিষয়ে মনিবের বাধ্য হয়ে তাঁদের যেন তুষ্ট করে। তারা যেন মুখে মুখে তর্ক না করে বা কিছু চুরি না করে।
(তীত ২:৯)
লুটপাট, গণহত্যা এবং ধর্ষণের নির্দেশ
বাইবেলের ঈশ্বর একাধাকারে একজন গনহত্যাকারী, ডাকাত, সন্ত্রাস, শিশু হত্যাকারী এবং গণধর্ষণকারী । অতীতেও আমরা দেখতে পাই ইতিহাসে ক্রুসেডারস, নাইট টেম্পলার রা কিভাবে অমানবিকভাবে শত্রুদের কে হত্যা করে তাদের ধন সম্পদ লুটপাট করে তাদের স্ত্রীদেরকে ধর্ষণ এবং শিশুদেরকে নির্ববিচারে হত্যা করেছে যা মুসলিমরাও অতীতে ও করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। আইসিস, আল কায়েদা, বোকো হারাম ইত্যাদি সহ এরকম শত শত মুসলিম জংগিগোষ্ঠীরা রা অন্য ধর্মের মানুষদের হত্যা করে তাদের স্ত্রী, শিশুদের গনিমতের মাল বানিয়ে বিক্রি করে যাচ্ছে তবে খ্রিস্টানরা যুগের সাথে সাথে নিজেদের পুরানো ধ্যান ধারণা, বিশ্বাস পরিবর্তন করে সভ্য হয়েছে। কিন্তু বাইবেল এবং কোরান উভয় গ্রন্থই সন্ত্রাসবাদকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে যায়নি।
একজন ঈশ্বর কতটা ভয়ংকর এবং বর্বর হলে তিনি বাড়িঘর লুন্ঠন, নারীদের ধর্ষণ করা এবং শিশুদের হত্যা করার নির্দেশ দেন। কোনো সৃষ্টিকর্তা কি কখনক এরকম কথা বলতে পারেন? সেটা পাঠকই বিবেচনা করে দেখুন :
তাদের বাড়িগুলি লুণ্ঠিত হবে। তাদের স্ত্রীরা ধর্ষিত হবে। আর তাদের চোখের সামনেই তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পিটিযে পিটিযে হত্যা করা হবে। (ইসাইয়া ১৩ঃঃ ১৬)
ঈশ্বর বললেন, “দেখ আমি মাদীয়দের সেনা দ্বারা বাবিলকে আক্রমণ করাব। রূপো ও সোনা দেওয়া হলেও মাদীয়র সেনারা লড়াই থামাবে না। (ইসাইয়া ১৩ঃ ১৭)
তীরন্দাজরা যুবকদের হত্যা করবে। শিশুদের তারা ক্ষমা করবে না। তারা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের প্রতিও করুণা করবে না। (ইসাইয়া ১৩ঃ ১৮)
বিদ্রোহের জন্য নারী ও শিশুকে হত্যা
কতটা বদমেজাজী, রাগান্বিত এই ঈশ্বর দেখুন যে কিনা নিজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার কারণে নারী এবং নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করার হুমকী দিচ্ছেন,
শমরিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে; কারণ সে তার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন তারা যুদ্ধে মারা পড়বে: তাদের বাচ্চাদের মাটিতে আছাড় মেরে চুরমার হবে, আর সন্তানের সঙ্গে তাদের মহিলাদের মৃত্যু হবে (হোশেয়া ১৩:১:16)
কুমারী মেয়েদের বাদে শিশু-সহ সবাইকে হত্যা
নিচের ভার্সগুলো লক্ষ্য করুন ঈশ্বর সমস্ত ছেলে এবং বিবাহিত মহিলাদেরকে হত্যা করে যুবতী মেয়েদেরকে বাচিয়ে রাখতে বলছেন যাতে যোদ্ধারা তাদেরকে ভোগ করতে পারে,
এখন সমস্ত মিদিয়নীয় ছেলেদের হত্যা করো| সমস্ত মিদিয়নীয় স্ত্রীলোকদের হত্যা করো যাদের কোনো না কোনো পুরুষের সঙ্গে য়ৌন সম্পর্ক ছিল|(গণনা পুস্তক 31:17)
তুমি সমস্ত য়ুবতী মেয়েদের বাঁচতে দিতে পারো| কিন্তু কেবল তখনই যদি তাদের সঙ্গে কোনো পুরুষের য়ৌন সম্পর্ক না থেকে থাকে|(গণনা পুস্তক 31:18)
শত্রু জাতির সুন্দরী মেয়েদের স্ত্রী বানানো
তোমরা তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তাদের পরাজিত করতে তোমাদের সাহায্য করতে পারেন এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের বন্দী করে আনতে পারো|(দ্বিতীয় বিবরণ 21:10)
বন্দীদের মধ্যে কোনো সুন্দরী স্ত্রীলোককে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলে,তোমাদের স্ত্রী হিসেবে তোমরা তাদের চাইতে পারো|(দ্বিতীয় বিবরণ 21:11)
কোনো নারী কি কখনো কোনো পুরুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করবে যেই পুরুষটি তার পূর্ববর্তী স্বামীকে হত্যা করেছে? কখনোই কোনো নারী এরকম কাজ করবে না বরং এটিও এক ধরণের ধর্ষণ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা আমাদের মা বোনদেরকে গণধর্ষণ করেছে তাদের স্বামী, ভাই, তাদের পরিবারের সমস্ত পুরুষদের হত্যা করে এবং রাজাকাররা লুটপাট করেছিলো। তারাও নিশ্চই ঈশ্বরের কাছ থেকে এই আইডিয়াটা পেয়েছিলো।
এছাড়াও আরও উল্লেখ আছে,
যখন শহরটিকে অধিগ্রহণ করতে প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের সাহায্য করবেন, তখন তোমরা অবশ্যই সেখানকার সমস্ত পুরুষদের হত্যা করবে। (বাইবেল দ্বিতীয় বিবরন ২০:১৩)
তোমরা তোমাদের নিজেদের জন্য স্ত্রীলোকদের, শিশুদের, গোরু এবং শহরের যাবতীয় জিনিস লুটের জিনিস হিসাবে নিতে পারবে।তোমরা এই সমস্ত লুটের জিনিসগুলো ব্যবহার করতে পারবে।প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের এই জিনিসগুলি দিয়েছেন।(বাইবেল,দ্বিতীয় বিবরন ২০:১৪ )
এখানে সমস্ত পুরুষদের হত্যা করতে বলা হয়েছে।এই সমস্ত পুরুষদের মধ্যে যাচাই করে দেখলে অনেকে হয়তো নির্দোষ।এখানে নির্দোষ পুরুষকেও হত্যা করতে বলা হয়েছে।আর শত্রু জাতির সুন্দরী মেয়েদের জোর করে স্ত্রী বানাতে বলা হয়েছে।এমনকি ছোট শিশুকেও ছাড় দিলো না।ছোটো শিশুটিকেও লুটের মাল হিসাবে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
যুদ্ধে নারীদের ধর্ষণের কলাকৌশল
বন্দীদের মধ্যে কোনো সুন্দরী স্ত্রীলোককে দেখে মুগ্ধ হয়ে তোমাদের স্ত্রী হিসেবে তোমরা চাইতে পারো|(দ্বিতীয় বিবরণ 21:11)
তখন তাকে তোমার বাড়ীতে নিয়ে আসবে| সে অবশ্যই তার মাথা কামাবে এবং নখ কাটবে|(দ্বিতীয় বিবরণ 21:12)
সে য়ে জামাকাপড়গুলি পরে আছে যার থেকে বোঝা যায় য়ে সে যুদ্ধে বন্দীনী ছিল, সেগুলি সে অবশ্যই খুলে ফেলবে| সে অবশ্যই পুরো এক মাস তোমার বাড়ীতে থাকবে এবং বাবা মাকে হারানোর জন্য বিলাপ করবে| এরপর তুমি তার কাছে য়েতে পার এবং তার স্বামী হতে পার| সে তোমার স্ত্রী হবে। (দ্বিতীয় বিবরণ 21:13)
যদি তুমি তার সঙ্গে সুখী না হও, তাহলে তুমি তাকে ত্যাগ করবে এবং তাকে স্বাধীনভাবে চলে য়েতে দেবে| তুমি তাকে বিক্রি করতে পারবে না| তুমি কখনই তার সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করবে না কারণ তার সঙ্গে তোমার যৌন সম্পর্ক ছিল। (দ্বিতীয় বিবরণ 21:14)
উপসংহার
এই হচ্ছে এক নজরে বাইবেলে নারী ও দাস-দাসীদের অবস্থা। এ ছাড়াও আরো ভার্স আছে। কথায় কথায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, পাথর মেরে হত্যা, ও নির্যাতন লক্ষণীয়। খ্রিস্টবিশ্বাসীদের একটা কথা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত। তাদের যখনই বাইবেলের নোংরামির কথা বলা হবে, তাঁরা হঠাৎ বলে বসেন, “This is Old Testament, you know!” এটা বাইবেলের খারাপ অংশগুলো এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু না, যেমনটা তথাকথিত মডারেট মুসলিমগন মাদানী সুরায় বর্ণিত জঘন্য আয়াতগুলিকে এড়িয়ে যান। আপনি এটা তো মানবেন যে যিনি পুরাতন নিয়মের ঈশ্বর তিনিই নতুন নিয়মের ঈশ্বর।যীশু নিজেই বলেছেন,
“ভেবো না যে আমি মোশির বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষা ধ্বংস করতে এসেছি৷ আমি তা ধ্বংস করতে আসিনি বরং তা পূর্ণ করতেইএসেছি ” (মথি ৫:১৭)
তাই কেউ যদি এইসব আদেশের মধ্যে অতি সামান্য আদেশও অমান্য করে আর অপরকে তা করতে শিক্ষা দেয়, তবে সে স্বর্গরাজ্যে সব থেকে তুচ্ছ বলে গন্য হবে৷ কিন্তু যাঁরা বিধি-ব্যবস্থা পালন করে ও অপরকে তা পালন করতে শিক্ষা দেয়, তারা স্বর্গরাজ্যে মহান বলে গন্য হবে৷ (মথি ৫:১৯)
তার মানে হচ্ছে যীশু ওল্ড টেস্টমেন্ট কে পূর্ন করতেই এসেছেন। এরপরেও যদি আপনি ওল্ড টেস্টমেন্ট কে অস্বীকার করেন, না মানেন তাহলে তো আপনি যীশুর কথাকেই অমান্য করছেন। সাধু পৌল যখন পত্রাবলী লিখছিলেন নতুন নিয়ম তখনও সম্পূর্ন হয়নি। এখন সেই একই পৌল যিনি নতুন নিয়মের সর্বাধিক পুস্তক (১৩ টি) রচনা করেছেন তিনি বলছেন পুরাতন নিয়ম ঈশ্বরের অনুপ্রেরণা দ্বারা রচিত, তাহলে কি পুরাতন নিয়মে অ-ইহুদিদের গণহত্যাও কি ঈশ্বরের অনুপ্রেরণায় হয়েছে? আর পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর আজ্ঞা দিচ্ছেন দুধের শিশুকে মেরে ফেল, শত্রুপক্ষের স্ত্রীদের কে হত্যা করে নিজেদের স্ত্রী বানানো এগুলোও কি ঈশ্বরের অনুপ্রানীত বাণী? স্বয়ং যীশু আরো বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত আকাশ আর পৃথিবী অটল থাকবে, ব্যবস্থার পুস্তকও অটুট থাকবে। নতুন নিয়ম, ২য় তীমথিয় ৩:১৬ মতে, “সম্পূর্ন পবিত্র শাস্ত্র ঈশ্বরের অনুপ্রেরণা দ্বারা রচিত।” আর এখনও আকাশ ও পৃথিবী ধ্বংস হয়নি, তাহলে যীশুর মতে পুরাতন নিয়ম বাতিল হয়নি। আর যদি বাতিল হয়ে থাকে, তাহলে যীশু মিথ্যা কথা বলছেন। খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের কাছে একটা প্রশ্ন রইল। পুরাতন নিয়ম বাতিল হয়েছে না কি হয়নি? যদি পুরাতন নিয়ম বাতিল না হয়ে থাকে তাহলে কি ঈশ্বরের আদেশে হওয়া গণহত্যা কে কি আপনি সমর্থন করেন? আর যদি বাতিল হয়ে থাকে তাহলে কি যীশু মিথ্যা কথা বলেছেন? খ্রিস্টানরা কেবল তর্ক করার করার সময়ই লজ্জিত হয়ে বলেন যে তাঁরা পুরাতন নিয়ম মানেননা। বর্তমান যুগের সাথে যদি বাইবেলের তুলনা করা হয় সেক্ষেত্রে খ্রিস্টান মিশনারীদের লজ্জায় বালিশের নিচে মাথা গুজতে হবে।
তথ্যসূত্র
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"
https://vondomoderatemuslims.blogspot.com/2021/06/blog-post.html?m=1
আমি একজন খ্রিষ্টান। আর আপনার পোস্টটি পড়ে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। শুনেছি আপনারা সত্যের সাথে এবং মানবতার খাতিরে লড়ে চলছেন। কিন্তু আপনার তথ্যগুলোর ৮০% মিথ্যা ও ২০% বিকৃত। আর তাই আপনার সাথে আলোচনা করতে চাই। যাতে এই রকম মিথ্যার প্রচার না করতে পারেন। যদি নিজেকে সত্যবাদী মনে করে থাকেন তাহলে আশা করবো নিশ্চয় আলোচনা হবে।
কি কি তিনি মিথ্যা বলেছেন তার মধ্যে কয়েকটা কমেন্টে প্রমাণ দিয়ে যান। তাহলে বুঝতে পারব তিনি মিথ্যা বলেছেন।
খানকির পোলা লুচ্চা নবীর উম্মত।সাহস থাকলে তোর ইসলামের সমালোচনা কর।
নিজের ভাষা সংগত করেন, অন্য ধর্মের নবীকে গালি দিয়ে অমানুষের পরিচয় দিবেন না।যে লিখেছে সে মুসলিম না। ইসলাম ও খ্রিস্টান দুই সম্প্রদায়কেই দোষারোপ করেছে এবং কোরআন ও বাইবেলে জঙ্গি এখনো আছে বলেছে। সবচেয়ে বড় কথা খ্রিস্টান ধর্মের যিশুকে মুসলিমরা ভালোবাসে কারণ তিনি মুসলিম ধর্মের প্রিয় নবী ও রাসূল।উনাকে বাজে ভাবে অপমান ও গালি দেওয়া হয়েছে যা খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মে জঘন্য অপরাধ ও পাপ।
প্রত্যেকটিই হাস্যকর স্টেটমেন্ট। 😂
আপনার ব্যাখ্যার সাথে এই আয়াত গুলোর কোনো মিল নেই। 😂
এটা বাক্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা ছাড়া আর কিছুই নয়। 😂
মানে হাসবো না কী করবো বোঝা যাচ্ছে না। 😂