Table of Contents
ভূমিকা
ইসলামের ইতিহাসের বহু ঘটনার বিশ্লেষণ মানবিক মূল্যবোধ ও আধুনিক নীতিনৈতিকতার আলোকে নতুন করে ভাবতে আমাদের বাধ্য করে। ইসলামের প্রবর্তক মুহাম্মদ-এর জীবনে ঘটে যাওয়া এমনই এক বিতর্কিত ঘটনা হলো বনু নাজীর গোত্রের খেজুর বাগান পুড়িয়ে দেওয়া। এই ঘটনাকে ইসলামী ইতিহাসে গৌরবজনক ‘কৌশল’ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও, আজকের মানবাধিকারচর্চার আলোকে বিষয়টি এক গভীর প্রশ্নের জন্ম দেয়—একটি গোত্রের জীবিকার উৎস ধ্বংস করে দুর্বল করে এরপরে আক্রমণ করে তাদের জমিজমা দখল করে নেয়া কি সভ্য আচরণ? বর্তমান সময়ের মানুষের তৈরি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন কি এ ধরণের কর্মকে বৈধতা দেয়?
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
হিজরতের পর মদিনায় অবস্থানকালে মুহাম্মদ ইহুদি গোত্রসমূহের সঙ্গে নানা ধরণের রাজনৈতিক ও সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। তেমনই এক ইহুদি গোত্র ছিল বনু নাজীর। ইসলামী ইতিহাস মতে, বনু নাজীর গোত্রের লোকেরা মুহাম্মদকে হত্যা করতে চেয়েছিল, যদিও তার কোন বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায় না, জিবরাইল নাকি গোপনে এই তথ্য মুহাম্মদকে দিয়ে গিয়েছিল। এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এখানে করা হয়েছে। এবং এই ষড়যন্ত্রের জবাবে তিনি তাদের ঘিরে ফেলেন এবং তাদের খেঁজুর বাগানের কিছু অংশ পুড়িয়ে দেন। এই ঘটনা কুরআনের সূরা হাশরের ৫নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, [1]
তোমরা খেজুরের যে গাছগুলো কেটেছ আর যেগুলোকে তাদের মূলকান্ডের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দিয়েছ, তা আল্লাহর অনুমতিক্রমেই (করেছ)। আর (এ অনুমতি আল্লাহ এজন্য দিয়েছেন) যেন তিনি পাপাচারীদেরকে অপমানিত করেন।
— Taisirul Quran
তোমরা যে খেজুর বৃক্ষগুলি কর্তন করেছ এবং যেগুলি কান্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছ, তাতো আল্লাহরই অনুমতিক্রমে; এটা এ জন্য যে, আল্লাহ পাপাচারীদেরকে লাঞ্ছিত করবেন।
— Sheikh Mujibur Rahman
তোমরা যে সব নতুন খেজুর গাছ কেটে ফেলছ অথবা সেগুলোকে তাদের মূলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দিয়েছ। তা তো ছিল আল্লাহর অনুমতিক্রমে এবং যাতে তিনি ফাসিকদের লাঞ্ছিত করতে পারেন।
— Rawai Al-bayan
তোমরা যে খেজুর গাছগুলো কেটেছ এবং যেগুলোকে কাণ্ডের উপর স্থিত রেখে দিয়েছ, তা তো আল্লাহ্রই অনুমতিক্রমে [১] এবং এ জন্যে যে, আল্লাহ ফাসিকদেরকে লাঞ্ছিত করবেন।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria
অর্থাৎ, খেজুর গাছ পুড়িয়ে দেওয়ার কাজটি মুহাম্মদের পক্ষ থেকে ধর্মীয় বৈধতা পেয়েছে। আসুন এই আয়াতটির তাফসীর পড়ে নেয়া যাক, [2]

অন্যান্য প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করেছি, কীভাবে নারী শিশু হত্যা, প্রাপ্তবয়স্ক কাফির পুরুষদের হত্যা, দাসদাসীতে পরিণত করা, এগুলো করেই থামেননি মুহাম্মদ, গাছপালাও তার হিংস্র আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি। যার আরও প্রমাণ মেলে বুখারী মুসলিমের হাদিস থেকেই [3] [4] [5] –
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ বর্গাচাষ
পরিচ্ছেদঃ ১৪৫০. খেজুর গাছ ও অন্যান্য গাছ কেটে ফেলা। আনাস (রা.) বলেন, নবী (সঃ) খেজুর গাছ কেটে ফেলার আদেশ দেন এবং টা কেটে ফেলা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ২১৭৫, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২৩২৬
২১৭৫। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ নযির গোত্রের বুওয়াইরা নামক স্থানে অবস্থিত বাগানটির খেজুর গাছ জ্বালিয়ে দিয়েছেন এবং বৃক্ষ কেটে ফেলেছেন। এ সম্পর্কে হাস্সান (রাঃ) (তাঁর রচিত কবিতায়) বলেছেন, বুওয়াইরা নামক স্থানে অবস্থিত বাগানটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে আর বনূ লূয়াই গোত্রের সর্দাররা তা সহজে মেনে নিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর
পরিচ্ছেদঃ ১০. কাফিরদের গাছ-পালা কাটা ও জ্বালিয়ে দেয়া বৈধ
হাদিস একাডেমি নাম্বারঃ ৪৪৪৪, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৭৪৬
৪৪৪৪-(২৯/১৭৪৬) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, মুহাম্মাদ ইবনু রুমূহ ও কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ….. ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাযীর গোত্রের খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দিলেন এবং কেটে দিলেন। বুওয়াইরাহ ছিল সে বাগানের নাম। কুতাইবাহ এবং ইবনু রুমূহ (রহঃ) উভয়েই তাদের হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। এরপর মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেনঃ “তোমরা যেসব খেজুর বৃক্ষ কেটে ফেলেছে কিংবা তার কাণ্ডের উপর খাড়া রেখেছ, সবই ছিল আল্লাহর নির্দেশে, যাতে তিনি পাপাচারীদের অপদস্থ করেন।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪০২, ইসলামিক সেন্টার ৪৪০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৩। জিহাদ ও সফর
পরিচ্ছেদঃ ১০. কাফিরদের গাছ-পালা কাটা ও জ্বালিয়ে দেয়া বৈধ
হাদিস একাডেমি নাম্বারঃ ৪৪৪৫, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৭৪৬
৪৪৪৫-(৩০/…) সাঈদ ইবনু মানসূর … ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাযীর গোত্রের খেজুর বাগান কেটেছিলেন এবং জ্বলিয়ে দিয়েছিলেন। এ সম্পর্কে কবি হাস্সান (রাযিঃ) বলেন, “বনী লুওয়াই (অর্থাৎ- কুরায়শ) এর নেতাদের কাছে বুওয়াইরায় আগুনের লেলিহান শিখা খুব সহজ হয়ে গেছে।” আর এ সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে এ আয়াতঃ (অর্থ) “তোমরা যেসব খেজুর গাছ কেটেছে অথবা তা কাণ্ডের উপর রেখে দিয়েছ” আয়াতটির শেষ পর্যন্ত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪০৩, ইসলামিক সেন্টার ৪৪০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
ইসলামী আইন বা ফিকাহের গ্রন্থগুলোতেও গাছপালা ধ্বংসের বিষয়ে নানা ধরণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আল হিদায়া গ্রন্থে আরো বর্ণিত রয়েছে কিভাবে কাফিরদের ঘরবাড়ি, গাছপালা, বাগানে মুসলিমরা গিয়ে জ্বালা পোড়াও করবে [6] জিহাদ অধ্যায়ে –

অর্থনৈতিক অবকাঠামো ধ্বংসের নৈতিক সমস্যা
ভেবে দেখুন তো, একাত্তর সালে পাক আর্মি যখন আমাদের ফসলী জমিগুলোতে আগুন দিয়ে আমাদের শস্য ধ্বংস করেছিল, আমাদের একজন কৃষকের তখন কী অসহায় অবস্থা হয়েছিল? বা ধরুন আজকের পৃথিবীতে যেসব দেশে যুদ্ধ হচ্ছে, সেসব দেশে যদি সাধারণ মানুষের মূল জীবিকার ওপর আঘাত হানা হয়, সেটি কতটা ভয়ঙ্কর অবস্থার জন্ম দেবে? বেসামরিক মানুষ, নারী শিশুরা এতে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে? একটি সমাজের অর্থনৈতিক অবকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া শুধুই সম্পদের ক্ষতি নয়, বরং একটি জাতিগোষ্ঠীর মৌলিক মানবাধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল। যখন একটি জনগোষ্ঠীর প্রধান জীবিকা, খাদ্য, এবং আর্থিক স্বনির্ভরতার উৎস—যেমন খেজুর বাগান—পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন তা তাদের কেবল আর্থিকভাবে নয়, সামাজিকভাবেও চরমভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। বনু নাজীর গোত্রের জীবিকা ছিল মূলত খেজুর চাষের ওপর নির্ভরশীল। সেই বাগান ধ্বংস করে দেওয়া মানে হলো—তাদের খাদ্য সরবরাহ, পণ্য বাণিজ্য এবং ভবিষ্যৎ জীবনধারার ভিত্তি ধ্বংস করে দেওয়া। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের পদক্ষেপ শত্রুর সামরিক শক্তি নয়, বরং নিরস্ত্র সাধারণ জনগণের ওপর পরোক্ষ আঘাত হানে।তাদের খাদ্য সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়ে তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলা হয়, যা নৈতিক দিক দিয়ে মেনে নেয়া যায় না।
এই ধরণের কর্মকাণ্ড আধুনিক আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী “collective punishment” বা সামষ্টিক শাস্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। কোনো ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর কিছু সদস্যের অপরাধের দায় সমগ্র জনগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের জীবিকার উপরে আঘাত হানা একটি অমানবিক ও নিষিদ্ধ পদ্ধতি। ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশনের চতুর্থ অনুচ্ছেদে এ ধরনের কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—বেসামরিক জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা যাবে না, যদি না তা একদম সরাসরি ও অত্যাবশ্যক সামরিক প্রয়োজনের অংশ হয়। মুহাম্মদের ঐ কাজ অত্যাবশ্যকীয় সামরিক প্রয়োজন বা একদম সরাসরি প্রয়োজন ছিল না। বেসামরিক মানুষকে মানসিকভাবে দুর্বল করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। খেজুর গাছ পোড়ানো সেই সময়কার প্রেক্ষাপটে কেবল প্রতিশোধমূলক বা মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রয়োগের একটি উপায় ছিল, সামরিক বাধ্যবাধকতা নয়। ফলে তা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী একটি গুরুতর নৈতিক লঙ্ঘন হিসেবে প্রতিভাত হয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী পর্যালোচনা
জেনেভা কনভেনশনের চতুর্থ ধারার ৫৩-নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:
“Any destruction by the Occupying Power of real or personal property belonging individually or collectively to private persons… is prohibited, except where such destruction is rendered absolutely necessary by military operations.”
নবী মুহাম্মদের সময়ে বনু নাজীর গোত্র সরাসরি যুদ্ধরত ছিল না, বরং তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল। তাই সেই খেজুর বাগান পুড়িয়ে দেয়া কোন গাছ কেটে ফেলা বা আগুন লাগানো কোনো সরাসরি অত্যাবশ্যক সামরিক প্রয়োজন ছিল না, যা সরাসরি কোন সামরিক হুমকি সৃষ্টি করে। বরং একটি দমনমূলক মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। অতএব, এটি সরাসরি যুদ্ধের অনিবার্য বাস্তবতা ছিল না, বরং একটি মনস্তাত্ত্বিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ, যা আজকের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ।
পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ
আধুনিক বিশ্বে পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নেও এই কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য। খেজুর গাছ শুধুই অর্থনৈতিক সম্পদ নয়, বরং একটি অঞ্চলের ইকোলোজিক্যাল ব্যালেন্স বজায় রাখারও উপাদান। গাছ কেটে বা পুড়িয়ে দিয়ে মানুষ কেবল সমাজ নয়, প্রকৃতিকেও আঘাত করে। নবী মুহাম্মদের সময়ে এই দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলেও, একজন “আখলাকুল কারিমা” (সর্বোচ্চ নৈতিকতার অধিকারী) ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে আরও মানবিক আচরণ প্রত্যাশিত ছিল।
দ্বিমুখী নীতি: যুদ্ধকৌশল না নির্মমতা?
ইসলামী ঐতিহাসিকগণ এই ঘটনাকে “যুদ্ধকৌশল” হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও, প্রশ্ন থাকে—যদি অন্য ধর্ম বা জাতির কেউ একই কাজ করত, অর্থাৎ মুসলমানদের গাছপালা পুড়িয়ে দিত, নিরস্ত্র বেসামরিক মুসলিমদের খাদ্য সংকটে ফেলে- ক্ষুধার্ত রেখে মানসিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করতো, তবে কি সেটাও কৌশল হিসেবে বৈধ হতো? ইতিহাসে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে যেখানে মুসলিমরা শত্রুদের এমন কাজের সমালোচনা করেছেন। অথচ যখন নবী মুহাম্মদ নিজে একই কাজ করেন, তখন তা ‘আল্লাহর অনুমোদিত’ হিসেবে বৈধতা পায়। এই দ্বিমুখী মানদণ্ড একধরনের নৈতিক বেইমানি বা মুনাফেকি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়, যাকে আমরা “moral inconsistency” বা হিপোক্রেসি নামেও অভিহিত করতে পারি।
উপসংহার
নবী মুহাম্মদের বনু নাজীর খেজুর বাগান ধ্বংসের ঘটনা শুধুই একটি প্রাচীন যুদ্ধকৌশল নয়—এটি একটি মানবিক ও নৈতিক প্রশ্নের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ, এবং নৈতিক দৃষ্টিকোণের আলোকে এই কর্মটি ছিল একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। ধর্মের নামে যুদ্ধে নৈতিকতা বিসর্জন দিলে সেই ধর্মের ন্যায়ের দাবি হাস্যকর হয়ে পড়ে। ইতিহাসকে যুক্তির কাঁচিতে কাটাছেঁড়া করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যাতে ভবিষ্যৎ মানবতা একই ভুল না করে।
তথ্যসূত্রঃ
- কোরআন ৫৯:৫ ↩︎
- তাফসীরে ইবনে কাসীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা ২৭ ↩︎
- সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ২১৭৫ ↩︎
- সহীহ মুসলিম, হাদিস একাডেমী, হাদিসঃ ৪৪৪৪ ↩︎
- সহীহ মুসলিম, হাদিস একাডেমী, হাদিসঃ ৪৪৪৫ ↩︎
- আল হিদায়া, শায়খুল ইসলাম বুরহানুদ্দীন আলী ইব্ন আবূ বকর আল-ফারগানী আল-মারগীনানী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৩২ ↩︎