আসুন শুরুতেই দাবীগুলো জেনে নিই। ইসলামপন্থীদের হাজার হাজার ওয়াজে দাবী করা হচ্ছে, নাসার বিজ্ঞানীরা নাকি চাঁদে দুই খণ্ডে বিভক্ত হওয়ার মত ফাটল দেখে দলে দলে ইসলাম কবুল করে নিচ্ছে। আসুন শুনি,
নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার দাবির স্বপক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১০ সালে, নাসা বিজ্ঞানী ব্র্যাড বেইলি মন্তব্য করেন, “আমার অনুরোধ, আপনি ইন্টারনেটে যা পড়ছেন তাই বিশ্বাস করবেন না। কেবল পিয়ার-রিভিউড পেপারস’ই বৈজ্ঞানিকভাবে গ্রহণযোগ্য উৎস। বর্তমানে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যা বলে, অতীতে চাঁদ দুই (বা আরো) অংশে বিভক্ত হয়ে পরে পুনরায় কোনো একসময়ে একত্রিত হয়েছে।” প্রথম দিকে, নাসার বিজ্ঞানীদের যখন বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তারা প্রশ্নটি বুঝতেই পারেন নি। [1]

পরবর্তীতে যখন আরও ভালভাবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়, বিষয়টি তারা ইন্টারনেটের গুজব বলে পুরোপুরিই উড়িয়ে দেন। [2]

- **তথ্যগত সঠিকতা**:
- লেখাটি নাসার বিজ্ঞানী ব্র্যাড বেইলির মন্তব্যের উল্লেখ করেছে, যা সঠিক এবং যাচাইযোগ্য। ব্র্যাড বেইলি ২০১০ সালে চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়ার দাবিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।
- নাসার বিজ্ঞানীদের ইসলাম গ্রহণের দাবির কোনো প্রমাণ বা উৎস উল্লেখ করা হয়নি, যা "needs verification" হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত।
- **যুক্তির গঠন**:
- লেখাটি যুক্তিসঙ্গতভাবে নাসার বিজ্ঞানীদের মন্তব্যের মাধ্যমে চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়ার দাবিকে খণ্ডন করেছে।
- তবে, ইসলাম গ্রহণের দাবির ক্ষেত্রে কোনো প্রমাণ বা যুক্তি প্রদান করা হয়নি, যা যুক্তির দুর্বলতা।
- **উৎস ও প্রমাণ**:
- ব্র্যাড বেইলির মন্তব্যের উৎস হিসেবে NASA Lunar Science Institute-এর উল্লেখ করা হয়েছে, যা যথাযথ।
- ইসলাম গ্রহণের দাবির ক্ষেত্রে কোনো উৎস বা প্রমাণ নেই।
- **বৈজ্ঞানিক/সমসাময়িক মানদণ্ড**:
- বর্তমান বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অনুযায়ী, চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই, যা লেখাটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
- **মূল শক্তি**:
- নাসার বিজ্ঞানীদের মন্তব্যের সঠিক উল্লেখ এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের উপর জোর দেওয়া।
- **মূল দুর্বলতা**:
- ইসলাম গ্রহণের দাবির ক্ষেত্রে প্রমাণের অভাব।
- কিছু দাবির জন্য নির্ভরযোগ্য উৎসের অভাব।
- **সংশোধন ও সুপারিশ**:
- ইসলাম গ্রহণের দাবির ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য উৎস বা প্রমাণ প্রদান করা উচিত।
- লেখাটির নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আরও তথ্যসমৃদ্ধ এবং প্রমাণসমর্থিত যুক্তি প্রদান করা উচিত।
- **সারাংশ রায়**:
- তথ্যগত সঠিকতা: ৭/১০
- যুক্তির গুণমান: ৬/১০
- উৎসব্যবহার: ৫/১০
- সামগ্রিক স্কোর: ৬/১০
তথ্যসূত্রঃ
- Was the Moon Split In Two? ↩︎
- Brad Bailey, “Evidence of the moon having been split in two“, NASA Lunar Science Institute, June 21, 2010 ↩︎
